The human face of 'Khaki' uniform has been engraved in the public memory due to the good work done by police especially during this COVID-19 pandemic: PM
Women officers can be more helpful in making the youth understand the outcome of joining the terror groups and stop them from doing so: PM
Never lose the respect for the 'Khaki' uniform: PM Modi to IPS Probationers

নমস্কার।

মন্ত্রী পরিষদের আমার সহকর্মীবৃন্দ শ্রী অমিত শাহজী, ডঃ জিতেন্দ্র সিংজী, শ্রী জি কিষাণ রেড্ডিজী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল জাতীয় পুলিশ অ্যাকাডেমির আধিকারিকবৃন্দ সকলকে আইপিএস শিক্ষানবিশদের ‘দীক্ষান্ত প্যারেড’ – এ উপস্থিত থাকার জন্য অভিনন্দন। সেই সঙ্গে, অভিনন্দন জানাই ৭১ জন আইপিএস শিক্ষানবিশকে, যাঁরা অচিরেই অদম্য মানসিক জেদ নিয়ে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের নেতৃত্ব দেবেন।

সাধারণত, এই পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে আমি দিল্লিতে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করি। এটা আমার সৌভাগ্য যে, আমি তাঁদেরকে আমার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানাই এবং পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গী বিনিময় করি। কিন্তু, এবার করোনা মহামারীজনিত প্রতিকূল পরিস্থিতির দরুণ এই সুযোগ আমার হচ্ছে না। এ সত্ত্বেও আমি নিশ্চিত যে, আমার কার্যকালের মেয়াদে অন্য যে কোনও সময় আপনাদের সঙ্গে আমার দেখা হবে।

বন্ধুগণ,

এখানে একটা বিষয় সুস্পষ্ট যে, আপনারা যতদিন শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করছেন, ততদিনই আপনারা এক সুরক্ষিত বাতাবরণ পাচ্ছেন। আপনারা এটাও জানেন যে, কোনও ভুলভ্রান্তির ক্ষেত্রে আপনার সহকর্মী বা আপনাকে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁরা আপনার ভুল সংশোধন করে দেবেন। তবে, এরকম পরিবেশ দীর্ঘস্থায়ী নয়, তা রাতারাতি পাল্টে যায়। যে মুহূর্তে আপনি এই অ্যাকাডেমির বাইরে পা ফেলবেন, তখন আপনি আর সুরক্ষিত বাতাবরণের সুবিধা পাবেন না। একজন সাধারণ মানুষ আপনাকে কখনই নতুন আধিকারিক হিসাবে কাজে যোগ দেওয়া ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করবেন না এবং আপনার অভিজ্ঞতা কম – এই বিষয়টিও মেনে নেবেন না। ঐ ব্যক্তি ভাববেন, আপনি একজন উর্দিধারী সাহেব। তিনি একথাও ভাববেন, কেন আপনি তাঁর কাজ করে দিচ্ছেন না। একজন সাহেব হিসাবে কিভাবে আপনি তাঁর সঙ্গে এই আচরণ করতে পারেন? আপনি ব্যর্থ হলেই আপনার প্রতি ঐ ব্যক্তির মানসিকতায় সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটবে।

আপনার প্রতি সারাক্ষণ নজর রাখা হবে। কিভাবে আপনি নিজের কর্তব্য পালন করছেন এবং অন্যদের সঙ্গে আপনার আচরণ কিরকম তা সবাই লক্ষ্য রাখবেন ।

আমি আপনাদের একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আপনার কর্মক্ষেত্রে কাজে যোগ দেওয়ার গোড়ার দিকে অন্যদের মনে আপনার যে ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে, সেটাই হবে আপনার প্রথম ও শেষ ভাবমূর্তি। আপনি যখন একজন বিশেষ আধিকারিক হিসাবে পরিচিত হবেন, কর্মসূত্রে আপনি যেখানেই বদলি হন না কেন আপনাকে সেই পরিচয় বয়ে বেড়াতে হবে। এই পরিচয় থেকে বেরিয়ে আসতে অনেকটা সময় লাগবে। তাই, আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপ সাবধানে ফেলতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের সমাজে কিছু ঘাটতি রয়েছে। যখন আমরা নির্বাচনের পর দিল্লিতে এসে পৌঁছাই, ২-৪ জন এমন ব্যক্তি আছেন যাঁরা প্রায়শই আমাদের আশেপাশে আঠার মতো লেগে থাকেন। এরা কারা আমরা তা জানি না। এমনকি, খুব শীঘ্রই এরা আপনাকে বিভিন্ন রকম সাহায্য ও পরিষেবার কথা প্রস্তাব দেবে। এদের কেউ কেউ বলবে, সাহেব আপনার গাড়ি প্রয়োজন বা জলের দরকার – আমি এইসব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সাহেব, আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে, আপনি এখনও খেয়ে ওঠেননি। আপনি জানেন না, এই ভবনের খাবার ভালো নয়। তাই, আমি অন্য ভবন থেকে আপনার খাবার এনে দিচ্ছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই জানি না – এই পরিষেবাদাতারা কারা। যেখানেই আপনি যাবেন, আপনি এ ধরনের কিছু মানুষ খুঁজে পাবেন। কর্মসূত্রে আপনি যেখানে যাবেন, আপনার কাছে সেই জায়গা হবে নতুন এবং সেখানে আপনার একাধিক প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ঐ ধরনের মানুষের প্রলোভনের ফাঁদে পা দেন, তা হলে আপনার পক্ষে ঐ প্রলোভনের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে উঠবে । প্রাথমিকভাবে, নতুন জায়গা হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই আপনার মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনাকে চোখ-কান খোলা রেখে প্রতিটি বিষয় উপলব্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। তাই, কর্মজীবনের গোড়ার দিকে যতটা সম্ভব আপনার চোখ-কান খোলা রাখুন ও সতর্ক থাকুন।

নেতৃত্বদানের ক্ষমতায় আপনি যদি সাফল্য লাভ করতে চান, তা হলে আপনার বিচক্ষণতা অত্যন্ত জরুরি। অবশ্য আমি একথা বলছি না যে, আপনি আপনার চোখ-কান বন্ধ রাখুন। আমি কেবল বলছি, সতর্ক ও সজাগ থাকতে। এই পন্থা যদি আপনি অবলম্বন করতে পারেন, তা হলে কর্মজীবনে যখনই প্রয়োজন পড়বে, আপনি আপনার কর্তব্য পালনে আন্তরিকতার সঙ্গে সেবায় ব্রতী হবেন। যখন কোনও আধিকারিক নতুন জায়গায় বদলি হিসাবে যান, সাধারণ মানুষ তখন তাঁকে ডাস্টবিন বা আস্তাকুড় হিসাবে গণ্য করেন। তাই আপনি যতই ক্ষমতাবান আর শক্তিশালী হন না কেন, সাধারণ মানুষ আপনাকে তত বড়ই আস্তাকুড়ের বস্তু হিসাবে গণ্য করবে। সাধারণ মানুষ সেই আস্তাকুড়ে আপনার ওপর জঞ্জালের স্তুপ বানিয়ে ফেলবেন। আর আপনিও এটাকে নিয়তি মনে করবেন। তাই, আমরা যদি আমাদের চেতনাকে সজাগ রাখি, তা হলে তা আমাদের পক্ষে লাভজনক হয়ে উঠবে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হ’ল – আমরা কি কখনও আমাদের পুলিশ থানাগুলির কর্মসংস্কৃতির বিষয়ে ভেবেছি? কিভাবে আমাদের পুলিশ থানাগুলি সামাজিক আস্থার কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে? আজ আমরা যখন কোনও থানায় যাই, সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে – এটা নিঃসন্দেহে ভালো দিক। এছাড়াও, কোনও কোনও এলাকায় এমন থানা রয়েছে, যেগুলি অনেক পুরনো এবং সেগুলির অবস্থাও জরাজীর্ণ। আমি এ ব্যাপারে অবগত রয়েছি কিন্তু থানাগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ কোনোভাবেই জটিল নয়।

আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কর্মসূত্রে আমরা যেখানে যাবো, সেখানেই ১২-১৫টি বিষয়ের কথা কাগজেই লিখে রাখবো এবং সেগুলিকে বাস্তবায়নের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবো। একজন ব্যক্তির মানসিকতায় পরিবর্তন আনা সত্যি কঠিন কাজ কিন্তু প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন কঠিন কাজ নয়। তাই, এই পরিবেশ বদলে ফেলা যেতে পারে এবং এ ধরনের পরিবেশ গড়ে তোলা কি আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকতে পারে না? থানায় কিভাবে ফাইলপত্র গুছিয়ে রাখতে হয়, থানায় আপনার সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসবেন, তাঁদেরকে সিটে বসার অনুরোধ জানাতে হয় – ছোট ছোট এই সমস্ত বিষয়গুলিতে আপনি নিজেই পরিবর্তন আনতে পারেন।

কিছু পুলিশ আধিকারক রয়েছেন, যখন তাঁরা কর্মজীবনের গোড়ায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তাঁদের মধ্যে কর্তৃত্ব প্রদর্শনের মানসিকতা গড়ে ওঠে। তাঁদের ধারণা হয়, সাধারণ মানুষ তাঁকে ভয় পান এবং শ্রদ্ধায় অবনত থাকুন বা সম্ভ্রম দেখান। অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িতদের আমার নাম শুনেই কাঁপুনি ধরুক – এ রকম চিন্তাভাবনা পোষণ করে থাকেন। যে সমস্ত মানুষ সিংহমের মতো ছবি দেখে বড় হয়ে উঠছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই এরকম চিন্তাভাবনা মানায়। এদের এই মানসিকতার ফলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ পড়ে যায়। আপনার অধীনে যাঁরা কাজ করছেন, আপনি তাঁদের মধ্যে নৈতিক পরিবর্তন আনতে পারেন এবং তাঁদেরকে নিয়ে একটি ভালো দল গড়তে পারেন। আপনি এরকম কাজ করলেই আপনার প্রতি সাধারণ মানুষেরও মানসিকতায় পরিবর্তন আসবে।

আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সাধারণ মানুষ আপনাকে সম্ভ্রম দেখাবেন কিনা। আপনি এটাও ভাবতে পারেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্ভ্রমের পরিবর্তে ভালোভাসার সেতু গড়তে চান কিনা। তাই, আপনি যদি সাধারণ মানুষের প্রতি আপনাদের কর্তৃত্বের প্রভাব বিস্তার করতে চান, তা হলে তা হবে ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু আপনি যদি ভালোভাসা ও করুণার বন্ধন গড়ে তুলতে চান, তা হলে সাধারণ মানুষ আপনাদের অবসরের পরও মনে রাখবেন। যে এলাকায় আপনি আপনার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, সেখানকার মানুষ আপনার অবসরের পরও ২০ বছরে আগে আপনি কেমন ছিলেন – সেকথা স্মরণ করবেন। একবার আপনি যদি সাধারণ মানুষের মন জয় করে নেন, তা হলে সবকিছুই স্বাভাবিকভাবেই আপনার আয়ত্ত্বে আসবে। পুলিশি ব্যবস্থা সম্পর্কে একটা ধারণা রয়েছে, যখন আমি প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হই, সে সময় দীপাবলী উৎসবের পর ছিল গুজরাটি নববর্ষ। এই উপলক্ষে এক ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে পুলিশ কর্মীরা দীপাবলী মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আমার আগে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন, তাঁরা এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার সময় আমিও এই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমি যখন প্রথমবার গিয়েছিলাম, আমি সকলের সঙ্গেই দেখা করেছিলাম। সেখানে একজন পুলিশ আধিকারিক আমাকে বলেছিলেন, কেন আপনি সকলের সঙ্গে করমর্দন করছেন? এটা না করাই ভালো। কারণ, করমর্দন করতে গিয়ে আপনার হাত ফুলে যাবে এবং আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন পড়বে। এ ব্যাপারে আমি ঐ পুলিশ আধিকারিককে বলেছিলাম, তিনি এরকম ভাবছেন কেন। অবশ্য পুলিশ দপ্তর সম্পর্কে এরকম একটা ধারণা রয়েছে যে, সেখানে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আসলে তা ঠিক নয়।

উর্দিধারী পুলিশের কৃত্রিম ভাবমূর্তি প্রকৃত রূপ নয়। করোনা সঙ্কটের সময় আমরা পুলিশের প্রকৃত ভূমিকা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। একজন পুলিশ কর্মীও আমাদের মতোই মানুষ। তিনিও মানবজাতির কল্যাণে তাঁর কর্তব্য পালন করে চলেছেন। আমাদের আচার-আচরণের মাধ্যমে সমাজে পুলিশের প্রতি ইতিবাচক ধারণাকে আরও সুদৃঢ় করা যেতে পারে।

আমি অনেকবার দেখেছি, রাজনৈতিক নেতারা প্রথমেই পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উর্দিধারী পুলিশ কর্মীরা রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন এবং আপনি এটাও দেখতে পাবেন যে, ৫-৫০ জন এমন ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁরা রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের সুনজরে পড়ার জন্য বারবার হাততালি দেন।

আমাদের একথা ভুললে চলবে না যে, আমরা সকলেই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অঙ্গ। একটি গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল যাই হোক না কেন, নির্বাচিত প্রতিনিধির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির প্রতি সম্মান পক্ষান্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই সম্মান জানানোর পন্থা। দু’জন ব্যক্তির মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু এই মতভেদ দূর করার উপায়ও রয়েছে। কিন্তু কি সেই পদ্ধতি আমাদের আপন করে নিতে হবে। এ ব্যাপারে আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিছি। আমি যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, এখন যিনি আপনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, সেই অতুল আমাকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাই আমিও তাঁর অধীনে প্রশিক্ষণ পেয়েছি। কারণ, আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন অতুলজী ছিলেন আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক।

হঠাৎ করেই একদিন সেই অতুল যিনি অতুল গাড়োয়াল আমার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে নিলেন এবং সাক্ষাতের দিন আমার কক্ষে দেখা করতে এলেন। তখন আমি জানতাম না যে, সে আমায় চিনতে পারবেন কিনা! কিন্তু, তা হয়নি। তিনি আমায় চিনেছিলেন এবং তখনকার কথা স্মরণ করেছিলেন।

এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, তা হ’ল প্রযুক্তি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, এখন প্রযুক্তি আমাদের কাছে কতটা উপকারী হয়ে উঠেছে। এক সময় পুলিশী ব্যবস্থা তথ্য ও গোয়েন্দা সূত্র একত্রিত করে পরিচালিত হ’ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ এ ধরনের প্রথার অবলুপ্তি ঘটছে। এ সত্ত্বেও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, পুলিশের কাজকর্মের ক্ষেত্রে তথ্যের বড় ভূমিকা রয়েছে। আজকাল প্রযুক্তি অপরাধ চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। তা সে নজরদারী ক্যামেরাই হোক বা মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংই হোক। এটাও মনে রাখা প্রয়োজন সাম্প্রতিককালে যেসব পুলিশ কর্মী বরখাস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে তাদের দুর্ব্যবহার,লোভ, সংযম হারিয়ে ফেলা বা ভয়ানক ঘটনা হিসাবে সহ-পুলিশ কর্মীকে গুলি চালানো প্রভৃতি প্রমাণ করার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়েছে।

প্রযুক্তি এখন আশীর্বাদ এবং অভিশাপ দুটোই হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে পুলিশের উপর। আজ তথ্যের কোনও অভাব নেই। তথ্য সংগ্রহের জন্য বিগডেটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সোশ্যাল মিডিয়া প্রভৃতি মাধ্যম এসে গেছে। এরফলে, একদিকে তথ্য সংগ্রহ যেমন বেড়েছে। অন্যদিকে তথ্যের কারচুপিও হয়েছে। এক্ষেত্রে সহায়তার জন্য পুলিশকে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিতে হয়েছে। তাই বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আপনাদেরকেও সম্যক ধারণা অর্জন করতে হবে।

আমি আপনাদের যে কোনও প্রাকৃতিক বা অযাচিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সর্বদাই প্রস্তুত রাখতে অনুরোধ করবো। আজ বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সামিল করে পুলিশের এক নতুন ভাবমূর্তি গড়ে উঠছে। মানুষ এখন বলছেন, সঙ্কটের সময় পুলিশ এসে পৌঁছেছে। ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংস স্তুপ থেকে আটকে পড়া মানুষকে যথাসময়ে উদ্ধারের চেষ্টা করছে – এগুলি সবই পুলিশের কাছে গর্বের বিষয়।

সম্প্রতি সরকার মিশন কর্মযোগী নামে এক নতুন কর্মসূচি সূচনা করেছে। দিনকয়েক আগেই মন্ত্রিসভা এই কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছে। আমরা চাইছি যে, মিশন কর্মযোগীর মাধ্যমে পুলিশের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকেও যথাযোগ্য অগ্রাধিকার দিতে।

আমি নিশ্চিত যে, আপনারা দেশ সেবার যে সুযোগ পেয়েছেন, তা একাগ্র চিত্তে পালন করবেন এবং মানবজাতির সেবায় ব্রতী হবেন আর এভাবেই আপনারা আমাদের জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবেন এবং ভারতীয় সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা বজায় রেখে দেশের সেবা করে যাবেন।

তাই, আমরা যদি আমাদের কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করি, সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাদের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা আরও বাড়বে।

আমি আরও একবার আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, খাকি উর্দির গর্ব বাড়াতে আপনারা কোনোভাবেই আপোষ করবেন না। আমার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের জানাতে চাই, আপনাদের প্রতি আমার কর্তব্যের কোনও ঘাটতি থাকবে না। আপনার পরিবারের প্রতিও কোনও বৈষম্য থাকবে না। যেমন থাকবে না আপনার প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধার। এই বিশ্বাস নিয়ে আমি আপনাদের সকলকে আরও একবার শুভ কামনা জানাই।

ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Highlights: First 100 Days Of Modi 3.0, Ministers Unveil Report Card

Media Coverage

Highlights: First 100 Days Of Modi 3.0, Ministers Unveil Report Card
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Bharatiya Antariksh Station (BAS) Our own Space Station for Scientific research to be established with the launch of its first module in 2028
September 18, 2024
Cabinet approved Gaganyaan Follow-on Missions and building of Bharatiya Antariksh Station: Gaganyaan – Indian Human Spaceflight Programme revised to include building of first unit of BAS and related missions
Human space flight program to continue with more missions to space station and beyond

The union cabinet chaired by the Prime Minister Shri Narendra Modi has approved the building of first unit of the Bharatiya Antariksh Station by extending the scope of Gaganyaan program. Approval by the cabinet is given for development of first module of Bharatiya Antariksh Station (BAS-1) and undertake missions to demonstrate and validate various technologies for building and operating BAS. To revise the scope & funding of the Gaganyaan Programme to include new developments for BAS & precursor missions, and additional requirements to meet the ongoing Gaganyaan Programme.

Revision in Gaganyaan Programme to include the scope of development and precursor missions for BAS, and factoring one additional uncrewed mission and additional hardware requirement for the developments of ongoing Gaganyaan Programme. Now the human spaceflight program of technology development and demonstration is through eight missions to be completed by December 2028 by launching first unit of BAS-1.

The Gaganyaan Programme approved in December 2018 envisages undertaking the human spaceflight to Low Earth Orbit (LEO) and to lay the foundation of technologies needed for an Indian human space exploration programme in the long run. The vision for space in the Amrit kaal envisages including other things, creation of an operational Bharatiya Antariksh Station by 2035 and Indian Crewed Lunar Mission by 2040. All leading space faring nations are making considerable efforts & investments to develop & operationalize capabilities that are required for long duration human space missions and further exploration to Moon and beyond.

Gaganyaan Programme will be a national effort led by ISRO in collaboration with Industry, Academia and other National agencies as stake holders. The programme will be implemented through the established project management mechanism within ISRO. The target is to develop and demonstrate critical technologies for long duration human space missions. To achieve this goal, ISRO will undertake four missions under ongoing Gaganyaan Programme by 2026 and development of first module of BAS & four missions for demonstration & validation of various technologies for BAS by December, 2028.

The nation will acquire essential technological capabilities for human space missions to Low Earth Orbit. A national space-based facility such as the Bharatiya Antariksh Station will boost microgravity based scientific research & technology development activities. This will lead to technological spin-offs and encourage innovations in key areas of research and development. Enhanced industrial participation and economic activity in human space programme will result in increased employment generation, especially in niche high technology areas in space and allied sectors.

With a net additional funding of ₹11170 Crore in the already approved programme, the total funding for Gaganyaan Programme with the revised scope has been enhanced to ₹20193 Crore.

This programme will provide a unique opportunity, especially for the youth of the country to take up careers in the field of science and technology as well as pursue opportunities in microgravity based scientific research & technology development activities. The resulting innovations and technological spin-offs will be benefitting the society at large.