
আমি অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীজির মতো নেতা কখনো দেখিনি। তিনি বিশ্রাম বা বিরতি ছাড়াই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। মোদীজি অনেক গেম-চেঞ্জিং সংস্কার এনেছেন। ফলস্বরূপ, আজ বিশ্বজুড়ে ভারত সম্মানিত। ভারত শক্তিশালী এবং ভারত প্রগতিশীল। ২০৪৭ সালের মধ্যে, স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তিতে, ভারত বিশ্বের নম্বর ওয়ান সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হবে। আর এটা শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীজির মাধ্যমেই সম্ভব।

মোদীজি একজন অনন্য নেতা যিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দেশের সেবা করছেন। আমার কোন সন্দেহ নেই। একবিংশ শতাব্দী মোদীজির। তিনি সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায়, সঠিক নেতা। দেশ নরেন্দ্র মোদীজির মতো নেতা পেয়ে খুবই ভাগ্যবান। আমরা এতে খুবই খুশি।

ভারতের সংস্কারের সাহসিকতার কারণে আমি তাদের প্রতি খুব বেশি আগ্রহী। উদাহরণস্বরূপ, সবাই ভারতকে বলেছিল যে বিশাল মাত্রায় ডিজিটাল পরিচিতি তৈরি করা সম্ভব নয়... কিন্তু ভারত তাদের ভুল প্রমাণ করেছে।

শুধু ভারতের বিশাল পরিধির দিকে দেখুন, যা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং ২০২৮ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে রয়েছে, অর্থাৎ একটি উদীয়মান ইকোনমিক সুপারপাওয়ার। আমরা, ব্রিটেন, সেই যাত্রায় অংশীদার হওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা একসাথে ভবিষ্যতের ক্ষেত্র এবং দক্ষতাগুলি তৈরি করতে চাই।

যোগের ওপর আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী মোদীর) ভূমিকার জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি যোগের প্রতি আগ্রহের এক অসাধারণ জোয়ার এনেছেন এবং এর মাধ্যমে যে সুস্থতা লাভ করা যায়, তা তুলে ধরেছেন।

নরেন্দ্র ভাইয়ের নেতৃত্বশৈলীতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সুস্পষ্ট। 'মন কি বাত' উদ্যোগটিকে প্রশাসনের বিশাল কর্মকাণ্ডের একটি ছোট অংশ মনে হতে পারে, কিন্তু এটি একটি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ দিক। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে তিনি তাদের গল্প, সংগ্রাম এবং অবদানকে তুলে ধরে তাদের সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন। এটি তাঁকে আমাদের জনগণের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে যুক্ত রাখে এবং নিশ্চিত করে যে তাঁর শাসনব্যবস্থা তারই প্রতিচ্ছবি।

ভারতীয় সংস্কৃতির আদর্শ হলো "বসুধৈব কুটুম্বকম" এবং "সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ"। এই মূল্যবোধগুলোকে বাস্তব রূপদানকারী যুগপুরুষ হলেন ভারতের সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি। সাধারণ পরিস্থিতি থেকে বিশ্ব রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে উঠে আসা, তাঁর জীবন নিষ্ঠা, দৃঢ়তা এবং প্রচেষ্টার এক অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী। তাঁর নেতৃত্বে ভারত উন্নয়ন, আত্মনির্ভরতা এবং সাংস্কৃতিক জাগরণের দিকে অসাধারণ অগ্রগতি লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, ভারত বারবার বিশ্ব মঞ্চে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহযোগিতামূলক মানবতার রোডম্যাপ প্রদর্শন করেছে।

ভারত সবসময় অন্তর্ভুক্তির মনোভাবকে সমুন্নত রেখেছে, এবং এই অন্তর্ভুক্তির মনোভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একজন নেতা নরেন্দ্র মোদীকে বেছে নেওয়া খুবই উপযুক্ত। অনেক দিক থেকেই, ভারত তার মূল নীতি এবং সহজাত সংস্কারের সঙ্গে অনুরণিত একজন নেতাকে খুঁজে পেয়েছে।

আজ ১.৪৫ বিলিয়ন ভারতীয়র জন্য একটি উৎসবের দিন। আমাদের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় এবং প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রভাই মোদীজির ৭৫তম জন্মদিন। ভারতের সমগ্র ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে, রিলায়েন্স পরিবার এবং আম্বানি পরিবারের পক্ষ থেকে, আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীজিকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। ভারতের অমৃতকালে মোদীজির অমৃত মহোৎসব আসছে এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। স্বাধীন ভারতের ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরেও মোদীজি যেন ভারতের সেবা করে যান, এটাই আমার গভীর কামনা।

রাজনীতির বাইরেও, মোদীজি সবসময় হিমাচলকে দেবভূমি বলে মনে করতেন। তিনি পাহাড়ের মন্দিরগুলিতে গাছের নীচে বসে দীর্ঘ সময় ধরে ধ্যান করতেন। প্রকৃতি এবং ঈশ্বরের প্রতি তাঁর গভীর বিশ্বাস তাঁর জীবন এবং কাজের ধরনে প্রতিফলিত হয়েছে।

একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী থেকে দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনযাত্র - ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের এক কাহিনি।