প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর, তামিলনাডুর তিরুপ্পুর এবং কর্ণাটকের হুবলি সফর করবেন। তিন রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তিনি সূচনা করবেন।
অন্ধ্রপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর প্রথম গন্তব্য হবে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর। সেখানে তিনি ইয়েতুকার বাইপাসে বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করবেন।
দেশের শক্তি নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভের অধীন ১.৩৩ এমএমটি বিশাখাপত্তনম স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ (এসটিআর) ফেসিলিটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকায় ওএনজিসি-র বশিষ্ট অ্যান্ড এস-১ উন্নয়ন প্রকল্পেরও তিনি উদ্বোধন করবেন।
কৃষ্ণপটনমে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের নতুন একটি টার্মিনাল ভবনেরও তিনি শিলান্যাস করবেন।
এই প্রকল্পগুলি অন্ধ্রপ্রদেশ ও নিকটবর্তী এলাকায় গ্যাস-ভিত্তিক শিল্প সংস্থাগুলির পক্ষে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী এরপর, তামিলনাডুর তিরুপ্পুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
তামিলনাডু’তে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তামিলনাডুর তিরুপ্পুরের পেরুমানাল্লুর গ্রামে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
তিরুপ্পুরে তিনি ইএসআইসি হাসপাতালের শিলান্যাস করবেন। দেশীয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গড়ে ওঠা, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটি তৈরি হলে তিরুপ্পুর ও সংলগ্ন এলাকার লক্ষাধিক শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ইএসআই আইন অনুযায়ী এই হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
ত্রিচি বিমানবন্দরের সুসংহত নতুন ভবন এবং চেন্নাই বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ প্রকল্পেরও তিনি শিলান্যাস করবেন।
চেন্নাইয়ের ইএসআইসি হাসপাতালটি তিনি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হাসপাতালে বিভিন্ন ধরণের উন্নত মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।
বিপিসিএল – এর এন্নোর পোস্টাল টার্মিনালটিও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী চেন্নাই বন্দর থেকে মানালি শোধনাগারের চেন্নাই পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড পর্যন্ত ক্রুড অয়েল পাইপ লাইনের উদ্বোধন করবেন। অপরিশোধিত তেল পরিবহণের বিষয়টি যাতে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখা যায়, তার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে, তামিলনাডু ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা পূরণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী চেন্নাই মেট্রোর এজিডিএমএস মেট্রো স্টেশন থেকে ওয়াশারমেনপেট মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবার সূচনা করবেন। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশটি চেন্নাই মেট্রোর ফেজ -১ – এর অংশ।
কর্ণাটকে প্রধানমন্ত্রী
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রথম পর্বে তিনি কর্ণাটকের হুবলি যাবেন। হুবলির গাব্বুর-এ তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ধারওয়াড় আইআইটি এবং ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ধারওয়াড়ের শিলান্যাস করবেন।
এই উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ধারওয়াড়ে সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। দেশবাসীকে স্বচ্ছ গ্যাস সরবরাহের উদ্দেশে সরকার দেশ জুড়ে সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থার সম্প্রসারণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
শক্তি ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ১.৫ এমএমটি ম্যাঙ্গালোর স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ ফেসিলিটি এবং আইএসপিআরএল – এর ২.৫ এমএমটি পাদুর এসপিআর ফেসিলিটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চিকজাজুর – মায়াকোন্ডা সেকশনটির ডবল লাইন করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। দক্ষিণ – পশ্চিম রেলের ব্যাঙ্গালুরু হুব্বাল্লি রুটের ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ হুবলি চিকজাজুর ডবল লাইনের প্রকল্পটির অঙ্গ হিসাবেই চিকজাজুর – মায়াকোন্ডার এই ডবল লাইনের প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ব্যাঙ্গালুরু ও হুব্বাল্লুর মধ্যে যাতায়াতের সুবিধা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। ফলে, ব্যাঙ্গালুরু থেকে হুব্বাল্লি, বেলাগাভি, গোয়া, পুণে এবং মুম্বাই পর্যন্ত আরও দ্রুত যাতায়াত সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ হোসপেট – হুবলি – ভাস্কোদাগামা লাইনের বিদ্যুতিকরণের কাজেরও সূচনা করবেন। ফলে এই লাইনে ডিজেলের ব্যবহার কমবে এবং কার্বন নিঃসরণও হ্রাস পাবে।
সকলের জন্য আবাসন – এই প্রতিশ্রুতির কথা মনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ধারওয়াড়ে পিএমএওয়াই (ইউ) কর্মসূচির আওতায় গড়ে ওঠা ২ হাজার ৩৮৪টি গৃহে ই-গৃহ প্রবেশ প্রত্যক্ষ করবেন।


