ভারতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনাকে আরও জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আইটিআই-গুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি (ন্যাশনাল স্কিম ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট আপগ্রেডেশন) এবং ৫টি দক্ষতায়ন উৎকর্ষ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর স্কিলিং) গড়ে তোলায় অনুমোদন দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সহায়তাপুষ্ট এই প্রকল্পগুলির জন্য ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ এর বাজেটে মোট ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্র ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং রাজ্যগুলি ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে। বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা দেবে শিল্প মহল। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় রূপায়িত হবে এই কর্মসূচি।
প্রকল্পের আওতায় হাব অ্যান্ড স্পোক প্রণালীর ভিত্তিতে ১ হাজারটি সরকারি আইটিআই-কে শিল্প ক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী, পাঠক্রম নির্মাণে উৎসাহিত করে তোলা হবে। এর আওতায় থাকছে – ৫টি ন্যাশনাল স্কিল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট-ও। বিষয়টিকে আরও জোরদার করতে এই প্রতিষ্ঠানগুলিতেই গড়ে তোলা হবে ৫টি ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর স্কিলিং।
বিভিন্ন রাজ্য ও শিল্প মহলের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই প্রকল্পের আওতায় ৫ বছরে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীকে কর্মদক্ষ করে তোলা হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ভিত্তিতে মানবসম্পদের লভ্যতা ও শিল্প মহলের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিশেষভাবে উপকৃত হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্র।
আইটিআই-গুলিকে যথাযথভাবে উন্নত করে তুলতে এর আগে যে অর্থ সংস্থান হয়েছিল, তা নেহাতই অপর্যাপ্ত। নতুন প্রকল্পের আওতায় ভুবনেশ্বর, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কানপুর এবং লুধিয়ানায় ৫টি ন্যাশনাল স্কিল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (এনএসটিআই) – এ পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কাজে যোগ দেওয়ার আগে এবং কর্মরত থাকার সময় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৫০ হাজার প্রশিক্ষককে।
বিকশিত ভারত গঠনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গী অনুযায়ী, দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠবে এই কর্মসূচি।
উল্লেখ্য, ২০১৪’র পর আইটিআই ব্যবস্থাপনা দ্রুত প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬১৫। সেখানে পাঠরত ১৪.৪ লক্ষ শিক্ষার্থী।


