Quoteবেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন
Quoteচার লেন বিশিষ্ট মাইসুরু-কুশলনগর মহাসড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
Quote“আজ কর্ণাটকে উদ্বোধন করা অত্যাধুনিক সড়ক পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি রাজ্য জুড়ে সংযোগ বাড়াবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করবে”
Quote“ভারতমালা এবং সাগরমালা যোজনা ভারতের চালচিত্রে এবং কর্ণাটকের চালচিত্রের রূপান্তর ঘটিয়ে দিচ্ছে”
Quote“দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে”
Quote“জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলার পাশাপাশি পরিকাঠামো, কাজ, বিনিয়োগ এবং উপার্জনের সুযোগ সামনে নিয়ে আসে”
Quote“যে সমস্ত জলসেচ প্রকল্পগুলি দশকের পর দশক ধরে আটকে ছিল, দ্রুততার সঙ্গে তাদের কাজ শেষ করা হচ্ছে”
Quote“মান্ডা এলাকা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কৃষক কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছে”
Quote“ইথানলের উপর ফোকাস আখ চাষীদের সাহায্য করবে”;

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

কর্ণাটকের সমস্ত মানুষকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। ত্বয়ি ভুবনেশ্বরীকেও আমার অভিবাদন। আদিচুনচানাগিরি এবং মেলুকোট-এর গুরুদের সম্মানে আমি মস্তক নত করছি। আমি তাঁদের আশীর্বাদ প্রার্থী।

অতীতে কর্ণাটকের বিভিন্ন জায়গা মানুষদের কাছে যাওয়ার আমার সুযোগ হয়েছে। সর্বত্রই কর্ণাটকের মানুষের অভূতপূর্ব আশীর্বাদে আমি সিঞ্চিত হয়েছি। চিনির শহর হিসেবে পরিচিত মান্ডার মানুষদের আশীর্বাদের মধ্যে এক মিষ্টি ভাব রয়েছে। মান্ডার মানুষের ভালোবাসা এবং আতিথেয়তায় আমি অভিভূত। আমি আপনাদের সকলকে প্রণাম জানাই।

আপনাদের ভালোবাসার ঋণ সুদে-আসলে পরিশোধ করতে ডবল ইঞ্জিন সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকার পরিকাঠামো প্রকল্প যেগুলির হয় উদ্বোধন হয়েছে অথবা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে, এই প্রয়াসেরই অঙ্গ স্বরূপ।

|

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে দেশে অনেক আলোচনা হয়েছে। সমাজ মাধ্যমে এই এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছবি ভাইরাল হয়েছে। আমাদের প্রত্যেক দেশবাসী এবং যুব সম্প্রদায়ের ইচ্ছা এ রকম বিলাসবহুল আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে ভারতের সর্বত্র গড়ে উঠুক। আজ বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে দেখে দেশের যুব সম্প্রদায় গর্ব অনুভব করছেন। এই এক্সপ্রেসওয়ের ফলে অর্ধেকের কম সময়ে মাইসুরু থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়া যাবে।

চার লেন বিশিষ্ট মাইসুরু-কুশলনগর মহাসড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে আজ। এই সমস্ত প্রকল্পগুচ্ছ এই এলাকার সব কা বিকাশের গতি সঞ্চার করবে এবং সমৃদ্ধির পথ তৈরি করে দেবে। এইসব সংযোগ প্রকল্পের জন্য আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন।

|

যখনই ভারতের পরিকাঠামো দিশা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, দুই বরেণ্য ব্যক্তির নাম সামনে ফুটে উঠেছে। কৃষ্ণরাজা ওয়াদিয়ার এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরাইয়া। এই দুই মহান ব্যক্তিত্ব এই ধরিত্রীর সন্তান এবং তাঁরা সমগ্র দেশকে এক নতুন দিশা এবং শক্তি যুগিয়েছেন। এই দুই মহামানব বিপর্যয়কে সুযোগে রূপান্তরিত করেছেন। তাঁরা পরিকাঠামোর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেন এবং আজকের প্রজন্ম সৌভাগ্যবান যে তারা পূর্বপুরুষের কঠিন শ্রমের সুফল লাভ করছেন।

এ রকম মহান ব্যক্তিত্বদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চলেছে। ভারতমালা এবং সাগরমালা প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে আজকের কর্ণাটক বদলে যাচ্ছে। দেশেরও রূপান্তর ঘটছে। বিশ্ব যখন করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়ছিল তখনও ভারত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। এ বছরের বাজেটে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে।

|

পরিকাঠামো কেবলমাত্র সুবিধা বর্ধন করে না, সেইসঙ্গে আসে কর্মসংস্থানের সুযোগ, বিনিয়োগ এবং উপার্জনের অন্য বহুবিধ সুযোগ। কেবল কর্ণাটকেই গত কয়েক বছরে মহাসড়ক সংক্রান্ত প্রকল্পে আমরা ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছি।

ব্যাঙ্গালুরু এবং মাইসুরু উভয়ই কর্ণাটকের গুরুত্বপূর্ণ শহর। এক শহর প্রযুক্তির নামে পরিচিত অন্য শহরে রয়েছে ঐতিহ্যের পরিচিতি এই দুই শহরকে অত্যাধুনিক যোগাযোগ সূত্রে বাঁধা বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দীর্ঘদিন ধরে এই দুই শহরের মধ্যে ভ্রমণরত মানুষ ব্যাপক যানজটের অভিযোগ করেছে। কিন্তু এখন এই এক্সপ্রেসওয়ের কারনে এই দূরত্ব কেবলমাত্র ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট সময়ের মধ্যে অতিক্রম করা সম্ভব হবে। এই কারনেই এই সমগ্র এলাকা জুড়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চার হবে।

|

এই এক্সপ্রেসওয়ে রমনাগাড়া এবং মান্ডার মধ্যে দিয়ে যাবে। এখানে রয়েছে অনেক ঐতিহ্যশালী ঐতিহাসিক স্থান। ফলে এই দুই শহরে পর্যটন সম্ভাবনা প্রসারিত হবে এবং মাইসুরুতে কেবল যে সহজেই পৌঁছানো যাবে তাই নয়, এর ফলে কোদাগু যা মা কাবেরীর পুণ্যস্থান বলে পরিচিত সেখানেও অনায়াসে পৌঁছানো যাবে। এখন আমরা দেখে থাকি পশ্চিমঘাটে বেঙ্গালুরু-মেঙ্গালুরু রাস্তা বর্ষার সময় ভূমি ধ্বসের কারনে বন্ধ থাকে। এতে এই এলাকার বন্দর সংযোগ ব্যাহত হয়। মাইসুরু-কুশলনগর মহাসড়ককে চওড়া করলে এই সমস্যার নিরময় করা যাবে। ভালো সংযোগ ব্যবস্থার কারনে এই এলাকায় শিল্পেরও দ্রুত প্রসার ঘটবে।

২০১৪র পূর্বে জোট সরকারের শরিক হিসেবে কংগ্রেস কেন্দ্র ক্ষমতায় ছিল। বহু দলের সমর্থনে এই সরকার চলছিল। গরিব মানুষ এবং গরিব পরিবারগুলির স্বপ্ন ও আসা ধুলোয় লুটোতে এই সরকার চেষ্টার কোনো খামতি রাখেনি। গরিবদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হাজারো কোটি টাকা কংগ্রেস সরকার বস্তুত লুঠ করেছে। গরিবদের দুঃখ-কষ্টে তারা কোনোভাবেই বিচলিত ছিলনা।

২০১৪ সালে আপনারা যখন আমায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ায় এমন এক সরকার তৈরি হল যারা গরিবদের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারে এবং তা নিরাময় করতে সক্ষম। এর পর থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গরিবদের সেবায় পূর্ণ নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করেছে এবং তারা যে জাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হয় তা দূরীকরণে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়েছে।

|

বিজেপি সরকার গরিব মানুষদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ সুনিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তাদের বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ, উজ্জ্বলা গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্রামীণ রাস্তা, হাসপাতাল এবং যথাযথ চিকিৎসার যাবতীয় প্রয়াস গ্রহণ করেছে।

গত ৯ বছর ধরে বিজেপি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে গরিব মানুষের জীবনযাপন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের সময়কালে ন্যূনতম সুযোগ পেতে গরিব মানুষকে এক থাম থেকে অন্য থাম ছুটে বেরাতে হয়েছে। এখন বিজেপি সরকারের হাত ধরে পরিষেবা এবং সুযোগ গরিব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। বিজেপি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে সুযোগ এখনও যারা পাননি তাদের কাছেও পৌঁছানো হচ্ছে।

বিজেপি সরকার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ওপর সব সময় গুরুত্ব দিয়েছে। গত ৯ বছরে দেশ জুড়ে ৩ কোটি গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এইসব বাড়িগুলির মধ্যে লক্ষ্যাধিক বাড়ি তৈরি হয়েছে কর্ণাটকে। জল জীবন মিশনের আওতায় কর্ণাটকে ৪০ লক্ষ নতুন পরিবারকে পাইপ বাহিত পরিশ্রুত জলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

দেশে দশকের পর দশক ধরে যেসব সেচ প্রকল্প ঘিরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল এখন দ্রুততার সঙ্গে তা রূপায়ণ হচ্ছে। এ বছরের বাজেটে আপার ভদ্রা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও কর্ণাটকের বিস্তীর্ণ এলাকায় সেচের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

বিজেপি সরকার প্রত্যেকটি ছোটখাটো সমস্যারও সমাধান করে কৃষকদের উদ্বেগের স্থায়ী সমাধান যোগাচ্ছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় কর্ণাটকের কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই ১২ হাজার কোটি টাকা সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার মান্ডার ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা হস্তান্তর করেছে।

|

কর্ণাটকের বিজেপি সরকারকে আরও অতিরিক্ত একটি কারনে আমি সাধুবাদ দিতে চাই। পিএম সম্মান নিধির আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার যখন ৬ হাজার টাকা দিচ্ছে, কর্ণাটক সরকারও তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৪ হাজার টাকা যোগ করেছে। এটাই হল ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিশেষত্ব। কৃষকরা দ্বিগুণ সুযোগ পাচ্ছেন। এর পাশাপাশি তাদের সমস্যাগুলোরও সুরাহা করা হচ্ছে।

চিনির শহর বলে পরিচিত কর্ণাটকের মান্ডায় আমাদের আখ চাষিরা বহু দশক ধরে আরও একটা সমস্যার মুখোমুখি হতেন। আখের উৎপাদন যদি বেশি হত তখন তা ছিল এক বড় সমস্যার বিষয়। আবার আখ চাষ কম হলেও তাও ছিল এক সমস্যা। এর ফলে চিনি কলগুলির সঙ্গে আখ চাষিদের বকেয়া বহু বছর ধরে বাড়তে থাকে।

এই সমস্যার এক সমাধান সূত্র বের করা ছিল জরুরি। বিজেপি সরকার কৃষকের স্বার্থকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ইথানলের পথ বেছে নেয়। আখ থেকে ইথানল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই আমরা। ফলে আখের উৎপাদন বেশি হলে তা থেকে ইথানল প্রস্তুত করা যাবে। এর ফলে ইথানল থেক কৃষকদের আয়ের পথও সুনিশ্চিত হবে।

কেবল গত বছরেই দেশের চিনি কলগুলি তেল কোম্পানীগুলিকে ২০ হাজার কোটি টাকার ইথানল বিক্রি করেছে। এর ফলে আখ চাষিদের নিয়মিত টাকা মেটানো সম্ভব হয়েছে। বিগত ১৩-১৪ সাল থেকে শেষ মরশুম পর্যন্ত চিনি কলগুলি থেকে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ইথানল কেনা হয়েছে। এই টাকা আখ চাষিদের কাছে পৌঁছেছে।

এ বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষকদের জন্য বিশেষত আখ চাষিদের জন্য অনেক সংস্থান রাখা হয়েছে। আখ চাষিরা চিনি সমবায়গুলির কাছ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেতে চলেছেন সেইসঙ্গে কর ছাড়েরও সুবিধা পাবেন তারা।

আমাদের দেশ সম্ভাবনাপূর্ণ। সারা বিশ্বের মানুষ ভারতে সুযোগের দিকে তাকিয়ে। ২০২০তে রেকর্ড বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে। এর থেকে সর্বাধিক উপকৃত হয়েছে কর্ণাটক। করোনা অতিমারী সত্ত্বেও কর্ণাটকে ৪ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের কঠোর পরিশ্রমের এটা প্রতিফলন।

তথ্য প্রযুক্তি ছাড়াও জৈব প্রযুক্তি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণ সহ সমস্ত ক্ষেত্রে প্রসার ঘটছে কর্ণাটকে। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ এবং মহাকাশ ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিনিয়োগ ঘটছে। বৈদ্যুতিক যান নির্মাণের ক্ষেত্রেও কর্ণাটক দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

ডবল ইঞ্জিন সরকারের যাবতীয় প্রয়াসের মাঝেই কংগ্রেস আর তার সহযোগীরা কী করছে? কংগ্রেস মোদীর কবর খোড়ার স্বপ্ন দেখছে। কংগ্রেস যখন মোদীর কবর খুঁড়তে চাই মোদী তখন বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যস্ত। কংগ্রেস যখন মোদীর কবর খোঁড়ায় ব্যস্ত, মোদী তখন ব্যস্ত দরিদ্রদের জীবনযাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করে তুলতে।

যেসব কংগ্রেস কর্মী মোদীর কবর খোঁড়ার স্বপ্ন দেখেন তারা জানেন না দেশের কোটি কোটি মা, ভগিনী এবং কন্যার ও দেশের কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ মোদীর দুর্ভেদ্য রক্ষাকবচ তৈরি করেছে।

কর্ণাটকের দ্রুত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ডবল ইঞ্জিন সরকারকে। এই বিরাট অনুষ্ঠানে আমি মান্ডার মানুষদের অপার আতিথেয়তা এবং তাদের আশীর্বাদের জন্য আরও একবার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এইসব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য আপনাদের সকলকে আমার আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি।

ভারত মাতা কী জয়, ভারত মাতা কী জয়!

ভারত মাতা কী জয়, ভারত মাতা কী জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে।

 

  • Jitendra Kumar June 07, 2025

    🙏🙏
  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • JBL SRIVASTAVA May 27, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • Dinesh Hegde April 14, 2024

    Modiji is king jai modiji
  • Vaishali Tangsale February 12, 2024

    🙏🏻🙏🏻
  • ज्योती चंद्रकांत मारकडे February 11, 2024

    जय हो
  • Sau Umatai Shivchandra Tayde January 11, 2024

    जय श्रीराम
  • Sanjay Sanjay March 16, 2023

    सर, ये गुजराती ही क्यों लोगों के पैसे लेकर भागते हैं? गुजराती कमाने लायक नहीं होते क्या?
  • Tribhuwan Kumar Tiwari March 14, 2023

    वंदेमातरम
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
EPFO Adds Record 2.18 Million Jobs in June 2025, Youth & Women Drive India’s Formal Job Growth

Media Coverage

EPFO Adds Record 2.18 Million Jobs in June 2025, Youth & Women Drive India’s Formal Job Growth
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
We are moving ahead with the goal of a quantum jump, not just incremental change: PM Modi
August 23, 2025
QuoteIndia is the world's fastest-growing major economy and is soon set to become the third-largest globally: PM
QuoteIndia, with its resilience and strength, stands as a beacon of hope for the world: PM
QuoteOur Government is infusing new energy into India's space sector: PM
QuoteWe are moving ahead with the goal of a quantum jump, not just incremental change: PM
QuoteFor us, reforms are neither a compulsion nor crisis-driven, but a matter of commitment and conviction: PM
QuoteIt is not in my nature to be satisfied with what has already been achieved. The same approach guides our reforms: PM
QuoteA major reform is underway in GST, set to be completed by this Diwali, making GST simpler and bringing down prices: PM
QuoteA Viksit Bharat rests on the foundation of an Aatmanirbhar Bharat: PM
Quote'One Nation, One Subscription' has simplified access to world-class research journals for students: PM
QuoteGuided by the mantra of Reform, Perform, Transform, India today is in a position to help lift the world out of slow growth: PM
QuoteBharat carries the strength to even bend the course of time: PM

नमस्कार!

मैं World Leaders Forum में आए सभी मेहमानों का अभिनंदन करता हूं। इस फोरम की टाइमिंग बहुत perfect है, और इसलिए मैं आपकी सराहना करता हूँ। अभी पिछले हफ्ते ही लाल किले से मैंने नेक्स्ट जेनरेशन रिफॉर्म्स की बात कही है, और अब ये फोरम इस स्पिरिट के फोर्स मल्टीप्लायर के रूप में काम कर रहा है।

साथियों,

यहां वैश्विक परिस्थितियों पर, Geo-Economics पर बहुत विस्तार से चर्चाएं हुई हैं, और जब हम ग्लोबल Context में देखते हैं, तो आपको भारत की इकॉनॉमी की मजबूती का एहसास होता है। आज भारत दुनिया की Fastest Growing मेजर इकॉनॉमी है। हम बहुत जल्द दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी इकॉनॉमी बनने वाले हैं। एक्सपर्ट कह रहे हैं कि दुनिया की ग्रोथ में भारत का कंट्रीब्यूशन बहुत जल्द, करीब 20 परसेंट होने जा रहा है। ये ग्रोथ, ये रेज़ीलियन्स, जो हम भारत की इकॉनॉमी में देख रहे हैं, इसके पीछे बीते एक दशक में भारत में आई Macro-Economic Stability है। आज हमारा फिस्कल डेफिसिट घटकर Four Point Four परसेंट तक पहुंचने का अनुमान है। और ये तब है, जब हमने कोविड का इतना बड़ा संकट झेला है। आज हमारी कंपनियां, Capital Markets से Record Funds जुटा रही हैं। आज हमारे Banks, पहले से कहीं ज्यादा मज़बूत हैं। Inflation बहुत Low है, Interest Rates कम हैं। आज हमारा Current Account Deficit कंट्रोल में है। Forex Reserves भी बहुत मजबूत हैं। इतना ही नहीं, हर महीने लाखों Domestic Investors, S.I.P’s के ज़रिये हजारों करोड़ रुपए मार्केट में लगा रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं, जब इकॉनॉमी के फंडामेंटल्स मजबूत होते हैं, उसकी बुनियाद मजबूत होती है, तो उसका प्रभाव भी हर तरफ होता है। मैंने अभी 15 अगस्त को ही इस बारे में विस्तार से चर्चा की है। मैं उन बातों को नहीं दोहराउंगा, लेकिन 15 अगस्त के आसपास और उसके बाद एक हफ्ते में जो कुछ हुआ है, वो अपने आप में भारत की ग्रोथ स्टोरी का शानदार उदाहरण है।

|

साथियों,

अभी latest आंकड़ा आया है कि अकेले जून महीने में, यानी मैं एक महीने की बात करता हूं, अकेले जून के महीने में E.P.F.O डेटा में 22 लाख फॉर्मल जॉब्स जुड़ी हैं, और ये संख्या अब तक के किसी भी महीने से ज्यादा है। भारत की रिटेल इंफ्लेशन 2017 के बाद सबसे कम स्तर पर है। हमारे Foreign Exchange Reserves अपने रिकार्ड हाई के करीब है। 2014 में हमारी Solar PV Module Manufacturing Capacity करीब ढाई गीगावॉट थी, ताजा आंकड़ा है कि आज ये कैपिसिटी 100 गीगावॉट के ऐतिहासिक पड़ाव तक पहुंच चुकी है। दिल्ली का हमारा एयरपोर्ट भी ग्लोबल एयरपोर्ट्स के elite Hundred-Million-Plus Club में पहुंच गया है। आज इस एयरपोर्ट की एनुअल पैसेंजर हैंडलिंग कैपिसिटी 100 मिलियन Plus की है। दुनिया के सिर्फ 6 एयरपोर्ट्स इस Exclusive Group का हिस्सा हैं।

साथियों,

बीते दिनों एक और खबर चर्चा में रही है। S&P Global Ratings ने भारत की Credit Rating Upgrade की है। और ऐसा करीब 2 दशकों के बाद हुआ है। यानी भारत अपनी Resilience और Strength से बाकी दुनिया की उम्मीद बना हुआ है।

साथियों,

आम बोलचाल में एक लाइन हम बार बार सुनते आए हैं, कभी हम भी बोलते हैं, कभी हम भी सुनते हैं, और कहा जाता है - Missing The Bus. यानी कोई अवसर आए, और वो निकल जाए। हमारे देश में पहले की सरकारों ने टेक्नोलॉजी और इंडस्ट्री के अवसरों की ऐसी कई Buses छोड़ी हैं। मैं आज किसी की आलोचना के इरादे से यहां नहीं आया हूं, लेकिन लोकतंत्र में कई बार तुलनात्मक बात करने से स्थिति और स्पष्ट होती है।

साथियों,

पहले की सरकारों ने देश को वोटबैंक की राजनीति में उलझाकर रखा, उनकी सोच चुनाव से आगे सोचने की ही नहीं थी। वो सोचते थे, जो Cutting Edge Technology है, वो बनाने का काम विकसित देशों का है। हमें कभी ज़रूरत होगी, तो वहां से इंपोर्ट कर लेंगे। यही वजह थी कि सालों तक हमारे देश को दुनिया के बहुत से देशों से पीछे रहना पड़ा, हम Bus Miss करते रहे। मैं कुछ उदाहरण बताता हूं, जैसे हमारा कम्यूनिकेशन सेक्टर है। जब दुनिया में इंटरनेट का दौर शुरु हुआ, तो उस वक्त की सरकार असमंजस में थी। फिर 2G का दौर आया, तो क्या-क्या हुआ, ये हम सबने देखा है। हमने वो Bus मिस कर दी। हम 2G, 3G और 4G के लिए भी विदेशों पर निर्भर रहे। आखिर कब तक ऐसे चलता रहता? इसलिए 2014 के बाद भारत ने अपनी अप्रोच बदली, भारत ने तय कर लिया कि हम कोई भी Bus छोड़ेंगे नहीं, बल्कि ड्राइविंग सीट पर बैठकर आगे बढ़ेंगे। और इसलिए हमने पूरा अपना 5G स्टैक देश में ही विकसित किया। हमने मेड इन इंडिया 5G बनाया भी, और सबसे तेजी से देश भर में पहुंचाया भी। अब हम मेड इन इंडिया 6G पर तेज़ी से काम कर रहे हैं।

और साथियों,

हम सब जानते हैं, भारत में सेमीकंडक्टर बनने की शुरुआत भी 50-60 साल पहले हो सकती थी। लेकिन भारत ने वो Bus भी मिस कर दी, और आने वाले कई बरसों तक ऐसा ही होता रहा। आज हमने ये स्थिति बदली है। भारत में सेमीकंडक्टर से जुड़ी फैक्ट्रियां लगनी शुरु हो चुकी हैं, इस साल के अंत तक पहली मेड इन इंडिया चिप, बाजार में आ जाएगी।

|

साथियों,

आज नेशनल स्पेस डे भी है, मैं आप सभी को National Space Day की शुभकामनाएं और उसके साथ ही, इस सेक्टर की भी बात करूंगा। 2014 से पहले स्पेस मिशन्स भी सीमित होते थे, और उनका दायरा भी सीमित था। आज 21वीं सदी में जब हर बड़ा देश अंतरिक्ष की संभावनाओं को तलाश रहा है, तो भारत कैसे पीछे रहता? इसलिए हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म भी किए और इसे प्राइवेट सेक्टर के लिए ओपन भी कर दिया। मैं आपको एक आंकड़ा देता हूं। Year 1979 से 2014 तक भारत में सिर्फ 42 Missions हुए थे, यानी 35 Years में 42 मिशन्स, आपको ये जानकर खुशी होगी कि पिछले 11 सालों में 60 से ज्यादा Missions पूरे हो चुके हैं। आने वाले समय में कई सारे मिशन लाइन्ड अप हैं। इसी साल हमने, स्पेस डॉकिंग का सामर्थ्य भी हासिल किया है। ये हमारे फ्यूचर के मिशन्स के लिए बहुत बड़ी अचीवमेंट है। अब भारत गगनयान मिशन से अपने Astronauts को Space में भेजने की तैयारी में है। और इसमें हमें ग्रुप कैप्टन शुभांशु शुक्ला के अनुभवों से भी बहुत मदद मिलने वाली है।

साथियों,

स्पेस सेक्टर को नई एनर्जी देने के लिए उसे हर बंधन से आजाद करना जरूरी था। इसलिए हमने पहली बार Private Participation के लिए Clear Rules बनाए, पहली बार Spectrum Allocation Transparent हुआ, पहली बार Foreign Investment Liberalise हुआ, और इस साल के बजट में हमने Space Startups के लिए 1,000 करोड़ रुपए का Venture Capital Fund भी दिया है।

साथियों,

आज भारत का स्पेस सेक्टर इन रीफॉर्म्स की सफलता देख रहा है। साल 2014 में भारत में सिर्फ एक Space Startup था, आज 300 से ज्यादा हैं। और वो समय भी दूर नहीं जब अंतरिक्ष में हमारा अपना स्पेस स्टेशन होगा।

साथियों,

हम इंक्रीमेंटल चेंज के लिए नहीं बल्कि क्वांटम जंप का लक्ष्य लेकर आगे बढ़ रहे हैं। और रिफॉर्म्स हमारे लिए न कंपल्शन हैं, न क्राइसिस ड्रिवेन हैं, ये हमारा कमिटमेंट है, हमारा कन्विक्शन है! हम होलिस्टिक अप्रोच के साथ किसी एक सेक्टर की गहरी समीक्षा करते हैं, और फिर One By One उस सेक्टर में रीफॉर्म्स किए जाते हैं।

Friends,

कुछ ही दिन पहले संसद का मानसून सत्र समाप्त हुआ है। इसी मानसून सत्र में आपको Reforms की निरंतरता दिखेगी। विपक्ष द्वारा अनेक व्यवधान पैदा करने के बावजूद हम पूरे कमिटमेंट के साथ Reforms में जुटे रहे। इसी मानसून सत्र में जन विश्वास 2.0 है, यह ट्रस्ट बेस्ड गवर्नेंस और प्रो पीपल गवर्नेंस से जुड़ा बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। जन विश्वास के पहले एडिशन में हमने करीब 200 minor offences को डी-क्रिमिनलाइज किया था। अब इस कानून के दूसरे एडिशन में हमने 300 से ज्यादा minor offences को डी-क्रिमिनलाइज कर दिया है। इसी सेशन में इनकम टैक्स कानून में भी रीफॉर्म किया गया है। 60 साल से चले आ रहे इस कानून को अब और सरल बनाया गया है। और इसमें भी एक खास बात है, पहले इस कानून की भाषा ऐसी थी कि सिर्फ़ वकील या CA ही इसे ठीक से समझ पाते थे। लेकिन अब इनकम टैक्स बिल को देश के सामान्य टैक्सपेयर की भाषा में तैयार किया गया है। यह दिखाता है कि नागरिकों के हितों को लेकर हमारी सरकार कितनी संवेदनशील है।

|

साथियों,

इसी मानसून सेशन में माइनिंग से जुड़े कानूनों में भी बहुत संशोधन किया गया है। शिपिंग और पोर्ट्स से जुड़े कानून भी बदले गए हैं। यह कानून भी अंग्रेजों के जमाने से ऐसे ही चले आ रहे थे। अब जो सुधार हुए हैं, वह भारत की ब्लू इकॉनॉमी को, पोर्ट लेड डेवलपमेंट को बढ़ावा देंगे। इसी तरह स्पोर्ट्स सेक्टर में भी नए रीफॉर्म किए गए हैं। हम भारत को बड़े इवेंट्स के लिए तैयार कर रहे हैं। स्पोर्ट्स इकोनॉमी के पूरे इकोसिस्टम का निर्माण कर रहे हैं। इसलिए सरकार, नई नेशनल स्पोर्ट्स पॉलिसी-खेलो भारत नीति लेकर भी आई है।

साथियों,

जो लक्ष्य हासिल कर लिया, उसी में संतुष्ट हो जाऊं, वो इतना करके बहुत हो गया, मोदी आराम कर लेगा! यह मेरे स्वभाव में नहीं है। रिफॉर्म्स को लेकर भी हमारी यही सोच हैं। हम आगे के लिए तैयारी करते रहते हैं, हमें और आगे बढ़ना हैं। अब रिफॉर्म्स का एक और पूरा आर्सेनल लेकर आने वाले हूं। इसके लिए हम कई मोर्चों पर काम कर रहे हैं। हम बेवजह के कानूनों को खत्म कर रहे हैं। नियमों और प्रक्रियाओं को सरल बना रहे हैं। प्रोसीजर्स और अप्रूवल्स को डिजिटल कर रहे हैं। अनेक प्रावधानों को डिक्रिमनलाइज कर रहे हैं। इसी कड़ी में GST में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म किया जा रहा है। इस दीवाली तक ये प्रक्रिया पूरी हो जाएगी। इससे GST और आसान बनेगा और कीमतें भी कम होंगी।

साथियों,

नेक्स्ट जनरेशन रिफॉर्म्स के लिए इसके इस आर्सनल से भारत में मैन्युफैक्चरिंग बढ़ेगी, मार्केट में डिमांड बढ़ेगी, इंडस्ट्री को नई एनर्जी मिलेगी, Employment के नए अवसर बनेंगे और Ease Of Living, Ease Of Doing Business दोनों इंप्रूव होंगे।

साथियों,

आज भारत 2047 तक विकसित होने के लिए पूरी शक्ति से जुटा है और विकसित भारत का आधार आत्मनिर्भर भारत है। आत्मनिर्भर भारत को भी हमें तीन पैरामीटर्स पर देखने की जरूरत है। यह पैरामीटर हैं–स्पीड, स्केल और स्कोप। आपने ग्लोबल पेंडेमिक के दौरान भारत की स्पीड भी देखी है, स्केल भी देखा है और स्कोप भी महसूस किया है। आपको याद होगा, उस समय कैसे एकदम बहुत सारी चीजों की जरूरत पड़ गई थी और दूसरी तरफ ग्लोबल सप्लाई चेन भी एकदम ठप हो गई थी। तब हमने देश में ही जरूरी चीज़ें बनाने के लिए कदम उठाए। देखते ही देखते, हमने बहुत बड़ी मात्रा में टेस्टिंग किट्स बनाए, वेंटिलेटर्स बनाए, देशभर के अस्पतालों में ऑक्सीजन प्लांट्स लगाए। इन सारे कामों में भारत की स्पीड दिखाई दी। हमने देश के कोने-कोने में जाकर, अपने नागरिकों को 220 करोड़ से ज्यादा मेड इन इंडिया वैक्सीन लगाईं और वो भी बिल्कुल मुफ्त। इसमें भारत का स्केल दिखाई देता है। हमने करोड़ों लोगों को तेज़ी से वैक्सीन लगाने के लिए कोविन जैसा प्लेटफॉर्म बनाया। इसमें भारत का स्कोप नजर आता है। यह दुनिया का सबसे अनूठा सिस्टम था, जिसके चलते रिकॉर्ड समय में हमने वैक्सीनेशन भी पूरा कर लिया।

साथियों,

ऐसे ही, एनर्जी के क्षेत्र में भारत की स्पीड, स्केल और स्कोप को दुनिया देख रही है। हमने तय किया था कि 2030 तक हम अपनी टोटल पावर कैपेसिटी का फिफ्टी परसेंट, नॉन फॉसिल फ्यूल से जनरेट करेंगे, यह 2030 तक का लक्ष्य था। यह टारगेट हमने पांच साल पहले इसी साल 2025 में ही अचीव कर लिया।

|

साथियों,

पहले के समय जो नीतियां थीं, उसमें इंपोर्ट पर बहुत जोर रहा। लोगों के अपने फायदे थे, अपने खेल थे। लेकिन आज आत्मनिर्भर होता भारत, एक्सपोर्ट में भी नए रिकॉर्ड बना रहा है। पिछले एक साल में हमने चार लाख करोड़ रुपए के एग्रीकल्चर प्रॉडक्ट एक्सपोर्ट किए हैं। पिछले एक साल में पूरी दुनिया में 800 करोड़ वैक्सीन डोज बनी है। इसमें 400 करोड़ भारत में ही बनी हैं। आजादी के साढ़े छह दशक में हमारा इलेक्ट्रॉनिक्स एक्सपोर्ट, 35 हज़ार करोड़ रुपए के आस-पास पहुंच पाया था। आज ये करीब सवा तीन लाख करोड़ रुपए तक पहुंच रहा है।

साथिय़ों,

2014 तक भारत 50 हजार करोड़ रुपए के आसपास के ऑटोमोबाइल एक्सपोर्ट करता था। आज भारत एक साल में एक लाख बीस हज़ार करोड़ रुपए के ऑटोमोबाइल एक्सपोर्ट कर रहा है। आज हम मेट्रो कोच, रेल कोच से लेकर रेल लोकोमोटिव तक एक्सपोर्ट करने लगे हैं। वैसे आपके बीच आया हूं, तो भारत की एक और सफलता के बारे में आपको बता दूं, भारत अब दुनिया के 100 देशों को इलेक्ट्रिक व्हीकल भी एक्सपोर्ट करने जा रहा है। दो दिन के बाद 26 अगस्त को इससे जुड़ा एक बहुत बड़ा कार्यक्रम भी हो रहा है।

साथियों,

आप सभी जानते हैं, देश की प्रगति का बहुत बड़ा आधार रिसर्च भी है। इंपोर्टेड रिसर्च से गुज़ारा तो हो सकता है, लेकिन जो हमारा संकल्प है, वह सिद्ध नहीं हो सकता। इसलिए, रिसर्च फील्ड में हमें Urgency चाहिए, वैसा Mindset चाहिए। हमने रिसर्च को प्रोत्साहित करने के लिए बहुत तेजी से काम किया है। इसके लिए जो जरूरी पॉलिसी और प्लेटफार्म चाहिए, उस पर भी हम लगातार काम कर रहे हैं। आज, रिसर्च और डेवलपमेंट पर होने वाला खर्च 2014 की तुलना में दोगुने से भी अधिक हो गया है। 2014 की तुलना में फाइल किए जाने वाले पेटेंट्स की संख्या भी 17 टाइम ज्यादा हो गई है। हमने करीब 6,000 हायर एजुकेशन इंस्टीट्यूट्स में रिसर्च एंड डेवलपमेंट सेल स्थापित किए गए हैं। ‘वन नेशन, वन सब्सक्रिप्शन’ से भी आप परिचित हैं। इसने छात्रों के लिए विश्वस्तरीय रिसर्च जर्नल्स तक पहुँचने में उनको बहुत आसान बना दिया है। हमने 50 हज़ार करोड़ रुपए के बजट के साथ नेशनल रिसर्च फाउंडेशन बनाया है। एक लाख करोड़ रुपए की रिसर्च डेवलपमेंट एंड इनोवेशन स्कीम को भी मंजूरी दे दी है। लक्ष्य ये है कि प्राइवेट सेक्टर में, विशेषकर Sunrise और Strategic Sectors में नई रीसर्च को सपोर्ट मिले।

साथियों,

यहां इस समिट में इंडस्ट्री के बड़े-बड़े दिग्गज भी हैं। आज समय की मांग है कि इंडस्ट्री और प्राइवेट सेक्टर आगे आएं, विशेषकर Clean Energy, Quantum Technology, Battery Storage, Advanced Materials और Biotechnology जैसे सेक्टर्स में रिसर्च पर अपना काम और अपना निवेश और बढ़ाएँ। इससे विकसित भारत के संकल्प को नई एनर्जी मिलेगी।

|

साथियों,

रिफॉर्म, परफॉर्म, ट्रांसफॉर्म के मंत्र पर चल रहा भारत आज उस स्थिति में है कि वो दुनिया को धीमी ग्रोथ से बाहर निकाल सकता है। हम ठहरे हुए पानी में किनारे पर बैठकर के कंकड़ मारकर एंजॉय करने वाले लोग नहीं हैं, हम बहती तेज़ धारा को मोड़ने वाले लोग हैं और जैसा मैंने लाल किले से कहा था, भारत...समय को भी मोड़ देने का सामर्थ्य लेकर चल रहा है।

साथियों,

एक बार आप सबसे मिलने का मुझे अवसर मिला है, इसके लिए मैं इकोनॉमिक टाइम्‍स का आभार व्यक्त करता हूं। आप सबका भी हृदय से बहुत-बहुत आभार व्यक्त करता हूं। बहुत-बहुत शुभकामनाएं देता हूं!

धन्‍यवाद!