“India’s semiconductor sector is on the brink of a revolution, with breakthrough advancements set to transform the industry”
“Today's India inspires confidence in the world… When the chips are down, you can bet on India”
“India's semiconductor industry is equipped with special diodes where energy flows in both directions”
“India holds a three-dimensional power namely the present reformist government, the country’s growing manufacturing base and the nation’s aspirational market which is aware of the technological trends”
“This small chip is doing big things to ensure last-mile delivery in India”
“Our dream is that every device in the world will have an Indian-made chip”
“India is set to play a major role in driving the global semiconductor industry”
“Our goal is that 100% of electronic manufacturing should happen in India”
“Whether it is mobile manufacturing, electronics, or semiconductors, our focus is clear—we want to build a world that doesn’t stop or pause in times of crisis but keeps moving forward”

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সদস্য শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ এবং জিতিন প্রসাদ, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে যুক্ত আন্তর্জাতিক স্তরের বড় বড় সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা, শিক্ষা গবেষণা এবং উদ্ভাবন জগতের অংশীদাররা, অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট জনেরা, ভদ্র মহোদয়া এবং ভদ্র মহোদয়গণ!

 

সকলকে নমস্কার জানাই।

সেমির সঙ্গে যুক্ত সকলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এই সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বৃহৎ অনুষ্ঠানটির অষ্টম আয়োজক দেশ ভারত। আমি শুধু এইটুকু আপনাদের বলব যে, ভারতে আসার এটিই সঠিক সময়। আপনারা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় এসেছেন। একবিংশ শতাব্দীতে ভারতে চিপ – এর ব্যবহার সর্বদাই হচ্ছে। ভারত সারা বিশ্বকে এই বলে আশ্বস্ত করতে পারে যে, চিপ – এর ক্ষেত্রে আপনারা নিঃসঙ্কোচে আমাদের ভরসা করতে পারেন!

 

বন্ধুগণ,

সেমিকন্ডাক্টর জগতের সঙ্গে আপনারা যুক্ত, আর তার অর্থ ডায়োডের সঙ্গেও আপনারা যুক্ত। আপনারা জানেন যে, ডায়োডে শক্তির প্রবাহ একমুখী। কিন্তু, ভারতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বিশেষ ধরনের ডায়োড ব্যবহার করা হয়। এখানে শক্তি প্রবাহ উভয়মুখী। আপনাদের বিষয়টি আশ্বর্য বলে মনে হতে পারে। আপনারা এখানে বিনিয়োগ করবেন। সরকার আপনাদের সহজে ব্যবসা করার জন্য একটি স্থিতিশীল নীতির ব্যবস্থা করেছে। আপনাদের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ‘সুসংহত সার্কিট’ – এর সঙ্গে যুক্ত। ভারত আপনাদের ‘সুসংহত একটি ব্যবস্থাপনা’ নিশ্চিত করছে। আপনারা সকলেই জানেন যে, ভারতে ডিজাইনারদের প্রতিভা অপরিসীম। সারা বিশ্বে নকশা অর্থাৎ ডিজাইন করতে যত মানবসম্পদের প্রয়োজন হয়, তার ২০ শতাংশই ভারত সরবরাহ করে। সেমিকন্ডাক্টর জগতে আমরা ৮৫ হাজার প্রযুক্তিবিদ, কারিগর এবং গবেষণা ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞের মানবসম্পদ সরবরাহ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছি। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য ভারত তার ছাত্রছাত্রী এবং পেশাদার ব্যক্তিত্বদের প্রস্তুত করছে। গতকালই অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন – এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ফাউন্ডেশন ভারতে গবেষণা ব্যবস্থাপনাকে নতুন শক্তিকে নতুন দিকে চালিত করবে। এছাড়াও, ভারত ১ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ একটি গবেষণা তহবিল গড়ে তুলেছে। 

 

বন্ধুগণ,

এই উদ্যোগ সেমিকন্ডাক্টর এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় উদ্ভাবনে জোয়ার নিয়ে আসবে। আমরা সেমিকন্ডাক্টর সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সচেষ্ট হয়েছি। আপনাদের কাছে ত্রিমাত্রিক শক্তি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। প্রথমটি হ’ল – ভারতের ক্ষমতাসীন সংস্কারমুখী সরকার, দ্বিতীয়টি হ’ল – এদেশে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ক্ষেত্র এবং তৃতীয়টি হ’ল – ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাজার, যে বাজার প্রযুক্তির স্বাদ আস্বাদনে নিপুণ। আপনাদের জন্য বিশ্বের অন্যত্র ত্রিমাত্রিক শক্তিসম্পন্ন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জায়গা পাওয়া দুঃসাধ্য। 

 

বন্ধুগণ,

ভারতের অনন্য এক উচ্চাকাঙ্খী এবং প্রযুক্তি-বান্ধব সমাজ রয়েছে। ভারতের জন্য একটি চিপ শুধুমাত্র প্রযুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের কাছে এর অর্থ লক্ষ লক্ষ মানুষের চাহিদা পূরণ। আজ ভারত চিপ – এর বাজারের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। এই চিপ – এর উপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ডিজিটাল জনপরিকাঠামো গড়ে তুলেছি। এই ছোট্ট চিপ ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। করোনা অতিমারী সময়কালে বিশ্বের শক্তিশালী ব্যাঙ্কিং পরিষেবা যখন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই সময় ভারতের ব্যাঙ্কগুলি নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিষেবা প্রদান করেছে। ভারতের ইউপিআই, রুপে কার্ড, ডিজি লকার অথবা ডিজি লকার – বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এদেশের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারতে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠছে। আজ পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানীর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এদেশে তথ্য কেন্দ্রের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক স্তরে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ভারত প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে। 

 

বন্ধুগণ,

আগে বলা হ’ত, ‘চিপ যদি বিকল হয়ে যায়, তাহলে যেতে দিন’।  এখন ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবসম্প্রদায় আর সেই মানসিকতায় বিশ্বাসী নন। ভারত চায় – ‘ভারতে চিপ উৎপাদনের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে হবে’। আর তাই, আমরা সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এদেশে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী সংস্থা গড়ে তুলতে হলে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ শতাংশ সহায়তা করে। রাজ্য সরকারগুলিও এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। আর তাই, খুব কম সময়ের মধ্যে এই শিল্পে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। আরও বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। এই আবহে সেমিকন ইন্ডিয়া কর্মসূচি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই কর্মসূচির আওতায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে ডিসপ্লে ফ্যাব, সেমিকন্ডাক্টর প্যাকেজিং, বিভিন্ন সেমিকন্ডাক্টরের সংযুক্তিকরণ, সেন্সর এবং ডিসপ্লে বোর্ড তৈরি শিল্পের সুবিধা হবে। এক কথায় আমাদের সরকার দেশ জুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ-শৃঙ্খল গড়ে তুলতে চায়। আমি এ বছর লালকেল্লার প্রকারে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলাম, একদিন বিশ্বের প্রতিটি যন্ত্রে ভারতে তৈরি অন্তত একটি চিপ থাকবে, আমরা সেই স্বপ্ন দেখি। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে যা যা করনীয় ভারত তাই করবে। 

 

বন্ধুগণ,

আমরা সম্প্রতি দেশে উৎপাদনের জন্য বিরল খনিজ পদার্থ বা ক্রিটিক্যাল মিনারল মিশন এবং বিদেশ থেকে এই খনিজ পদার্থ আমদানীর ক্ষেত্রে আমাদের নীতি ঘোষণা করেছি। ক্রিটিক্যাল মিনারল, আমাদের খনির নিলাম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সীমাশুল্ক ছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ স্পেস সায়েন্সেস – এ একটি সেমিকন্ডাক্টর গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলতে আমরা ব্রতী হয়েছি। উন্নত মানের চিপ তৈরির ক্ষেত্রে আইআইটি-গুলির সঙ্গে আমরা জোট বেঁধেছি, যাতে আমাদের ইঞ্জিনিয়ররা অত্যাধুনিক চিপ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা করতে পারেন। আমরা আন্তর্জাতিক স্তরে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে চাই। আপনারা হয়তো তেল কূটনীতির কথা শুনেছেন। কিন্তু, আজ সময় এসেছে সিলিকন কূটনীতির। এ বছর ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ফ্রেমওয়ার্কের সরবরাহ-শৃঙ্খল পরিষদে ভাইসচেয়ার হিসেবে ভারত নির্বাচিত হয়েছে। কোয়াড সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ-শৃঙ্খল উদ্যোগে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সম্প্রতি জাপান ও সিঙ্গাপুর সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভারত উদ্যোগী হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

ভারতের সেমিকন্ডাক্টর মিশন সম্পর্কে আপনারা অবগত। কেউ কেউ জানতে চান, ভারত এই ক্ষেত্রকে এত অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন? তাঁদের উচিৎ আমাদের ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশন সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া। একটি স্বচ্ছ, কার্যকর এবং ত্রুটিমুক্ত প্রশাসন নিশ্চিত করাই এই মিশনের মূল লক্ষ্য। আজ আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব বুঝতে পারছি। আমাদের ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে সফল করে তুলতে হলে ব্যয়সাশ্রয়ী মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং তথ্যের প্রয়োজন। আমরা প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তাই চাহিদা মতো সংস্কার বাস্তবায়িত করেছি। এক দশক আগে আমরা ছিলাম বৃহত্তম মোবাইল ফোন আমদানীকারক দেশ। আর আজ ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক এবং রপ্তানীকারক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ফাইভ-জি হ্যান্ডসেটের বাজারের নিরিখে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। মাত্র দু’বছর আগে আমরা ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আর দেখুন, আজ আমরা কোথায় পৌঁছে গেছি। আজ ভারতের বৈদ্যুতিন শিল্পের বিকাশ ঘটেছে ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল। কিন্তু, আমাদের লক্ষ্য আরও বড়। এই দশকের শেষে আমাদের বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রের বিকাশ ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছক – আমরা সেটাই চাই। এর ফলে, ভারতের যুবসম্প্রদায়ের জন্য ৬০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এদেশেই বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ১০০ শতাংশ উৎপাদন হোক – সেটাই আমাদের লক্ষ্য। অর্থাৎ, ভারত শুধুমাত্র সেমিকন্ডাক্টরের চিপ তৈরির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না, সেমিকন্ডাক্টরের সাহায্যে তৈরি পণ্য সামগ্রীর বিষয়ে প্রসারিত হতে চায়। 

 

বন্ধুগণ,

ভারতের সেমিকন্ডাক্টর ব্যবস্থাপনা শুধুমাত্র দেশের চাহিদাই পূরণ করবে না, বিদেশের চাহিদাও মেটাবে। আপনারা হয়তো ডিজাইন সংক্রান্ত একটি রূপকের কথা শুনেছেন। তা হ’ল – সিঙ্গল পয়েন্ট অফ ফেইলিয়োর। ডিজাইনিং নিয়ে যেসব ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করেন, তাঁরা যাতে এই পরিস্থিতির শিকার না হন, সেই বিষয়ে তাঁদের সচেতন করে তোলা হয়। অর্থাৎ, কোনও ব্যবস্থাপনাকে শুধুমাত্র একটি উপাদানের উপর নির্ভর রাখা হয় না। ডিজাইনিং – এর মধ্যে এই শিক্ষা আজ আর আবদ্ধ নয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এর প্রয়োগ রয়েছে। কোভিড অথবা যুদ্ধ পরিস্থিতি – যে কোনও ক্ষেত্রেই সরবরাহ-শৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটলে কোনও শিল্পই রেহাই পায় না। আর তাই, সরবরাহ-শৃঙ্খলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা শুনে আনন্দিত হবেন যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি যথাযথ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এখানে আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে যখন প্রযুক্তির সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো হয়, তখন সেই মূল্যবোধ ইতিবাচক হয়ে আরও ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠে। যখন প্রযুক্তি থেকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিচ্ছিন্ন করা হয়, তখন সেই প্রযুক্তি সমানভাবে ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। আর তাই, মোবাইল উৎপাদন, বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের উৎপাদন অথবা সেমিকন্ডাক্টর – প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। আমরা এমন এক পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সঙ্কটের সময়ও কোনও সমস্যা তৈরি হবে না। ভারতের এই উদ্যোগকে আপনারা আরও শক্তিশালী করে তুলবেন - এই আশা করি। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence

Media Coverage

World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।