It is a celebration of India's incredible sporting talent and showcases the spirit of athletes from across the country: PM
We consider sports as a key driver for India's holistic development: PM
We are creating more and more opportunities for our athletes so they can enhance their potential to the fullest: PM
India is making a strong push to host the 2036 Olympics: PM
The National Games is more than just a sporting event, It is a great platform to showcase the spirit of 'Ek Bharat, Shreshtha Bharat,’ It is a celebration of India's rich diversity and unity: PM

ভারত মাতার জয় !

দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল গুরমিত সিং জি, তরুণ মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামী জি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী অজয় টামটা জি, রক্ষা খাড়সে জি, উত্তরাখণ্ড বিধানসভার অধ্যক্ষা রীতু খাণ্ডুরি জি, রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী রেখা আর্য জি, কমনওয়েল্থ গেমস-এর সভাপতি ক্রিস জেঙ্কিন্স জি, আইওএ-র সভাপতি পি টি উষা জি, সাংসদ মহেন্দ্র ভাট জি, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রীড়াবিদরা এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা !
 
আজ দেবভূমি যুবশক্তির তেজে আরও উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। বাবা কেদারনাথ, বদ্রিনাথজি, মা গঙ্গার আশীর্বাদে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আজ সূচনা হল। উত্তরাখণ্ড রাজ্য প্রতিষ্ঠার এটি ২৫-তম বার্ষিকী। বয়সের বিচারে নবীন এই রাজ্যে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার যুবক-যুবতী জড়ো হয়েছেন তাঁদের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য। এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতের একটি সুন্দর ছবি এখানে ফুটে উঠেছে। জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এবারও বেশ কয়েকটি চিরায়ত দেশীয় খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একদিক থেকে বলতে গেলে এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিবেশ বান্ধব। প্রতিযোগিতায় যেসব মেডেল এবং ট্রফি দেওয়া হবে, সেগুলি ই-ওয়েস্ট দিয়ে তৈরি। প্রতিযোগিতায় পদক বিজয়ীদের নামে একটি করে গাছ পোঁতা হবে। এটি এক মহতী উদ্যোগ। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আমি শুভেচ্ছা জানাই। উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি নাগরিক, ধামীজি এবং তাঁর দলের সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন।  

 

বন্ধুগণ, 

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, সোনাকে আগুনে রাখলে তা আরও বিশুদ্ধ হয়। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করছি যাতে তাঁদের দক্ষতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে সারা বছর ধরেই অনেক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খেলো ইন্ডিয়া সিরিজে নতুন নতুন খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া যুব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আরও বেশি তরুণ খেলোয়াড় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা ইউনিভার্সিটি গেমস্-এ নতুন নতুন সুযোগ পাচ্ছেন। খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমস-এ প্যারা অ্যাথলিটসরা নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করছেন। মাত্র দিন কয়েক আগেই লাদাখে পঞ্চম খেলো ইন্ডিয়া উইন্টার গেমস্-এর সূচনা হয়েছে।  

প্রিয় বন্ধুরা, 

সরকারি পর্যায়েই শুধু এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তা নয়। আজ বিজেপি-র শত শত সাংসদ তাঁদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন নতুন প্রতিভার সন্ধানে এমপি স্পোর্টস কম্পিটিশনের আয়োজন করছেন। আমি নিজেও কাশীর সাংসদ। আমি যদি শুধু আমার সংসদীয় ক্ষেত্রের কথা বিবেচনা করি, তাহলে বলতে হয়, প্রতি বছর সেখানে সাংসদ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কাশী সংসদীয় অঞ্চলের প্রায় আড়াই লক্ষ যুবক-যুবতী এখানে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। খেলাধুলায় এক অনন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে যেখানে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  

 

বন্ধুগণ, 

ভারতের সার্বিক বিকাশে আমরা খেলাধুলাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি। কোনো দেশ যখন ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে তখন সেই দেশের বিশ্বাসযোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়। আর তাই ভারতের উন্নয়নে খেলাধুলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতের যুব শক্তির আত্মপ্রত্যয়কে আমরা এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আজ যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পথে এগিয়ে চলেছে, তখন খেলাধুলাকে সেই অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আপনারা জানেন, একজন খেলোয়াড়ের শুধু কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট উদ্যোগ সীমাবদ্ধ থাকে না, এর পিছনে একটি ব্যবস্থাপনা কাজ করে। কোচ, ট্রেনার, খেলোয়াড়দের পুষ্টি ও ফিট থাকার জন্য একদল মানুষ, চিকিৎসা এবং খেলোধুলায় ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম- অনেক কিছুই একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অঙ্গ। আর তাই পরিষেবা প্রদান এবং সরঞ্জাম উৎপাদনের বিষয়টিও এখানে বিবেচিত হয়। ভারতে বিভিন্ন খেলাধুলায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম তৈরি হয়। বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা এগুলি ব্যবহার করেন। আমরা যেখানে রয়েছি, সেখান থেকে মীরাঠ খুব একটা দূর নয়। সেখানে ৩৫,০০০-এর বেশি ছোট ও বড় কারখানায় নানা ধরনের খেলাধুলার সরঞ্জাম তৈরি হয়। ৩ লক্ষ মানুষ সেখানে কাজ করেন। আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি।  

বন্ধুগণ,

দিন কয়েক আগে দিল্লিতে আমার বাড়িতে এবারের অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়কালে এক বন্ধু আমাকে পিএম শব্দটির নতুন সংজ্ঞা সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, দেশের খেলোয়াড়রা নাকি আমাকে পিএম বা প্রাইম মিনিস্টার (প্রধানমন্ত্রী) হিসেবে বিবেচনা করেন না। তাঁরা আমাকে পরম মিত্র বলে বিবেচনা করেন। আপনাদের এই বিশ্বাসই আমার শক্তি। আপনাদের প্রতিভা, দক্ষতার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। খেলাধুলায় আপনাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখুন, গত ১০ বছরে আমরা আপনাদের প্রতিভার বিকাশের জন্য সক্রিয় রয়েছি। ১০ বছর আগে খেলাধুলার জন্য যে বাজেট বরাদ্দ ছিল, আজ তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ গুণের বেশি হয়েছে। টপস প্রকল্পে দেশের হাজার হাজার খেলোয়াড়ের জন্য কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে অত্যাধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলাধুলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মণিপুরে দেশের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। 

 

বন্ধুগণ,

সরকারের এই উদ্যোগগুলির সুফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। পদক তালিকাগুলিতে তার প্রতিফলন ঘটেছে। আজ প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ভারতীয় খেলোয়াড়রা সফল হচ্ছেন। অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্স-এ আমাদের খেলোয়াড়রা খুব ভালো খেলেছেন। উত্তরাখণ্ডের অনেক খেলোয়াড় পদক জিতেছেন। বেশ কয়েকজন পদকজয়ী এখানে এসেছেন আপনাদের উৎসাহিত করতে, আমি এর জন্য আনন্দিত।

বন্ধুগণ,

হকির গৌরবের দিনগুলি আবারও ফিরে আসছে। দিন কয়েক আগে আমাদের খো খো দলের সদস্যরা বিশ্বকাপ জিতেছেন। আমাদের গুকেশ ডি যখন বিশ্ব দাবা প্রতিযোগিতার খেতাব জয় করলেন, তখন সারা বিশ্ব আশ্বর্য হয়েছে। কোনেরু হাম্পি মহিলাদের ওয়ার্ল্ড রাপিড দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এই সাফল্যগুলির মাধ্যমেই বোঝা যায় ভারতে খেলাধুলা আর এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমাদের যুবক-যুবতীরা খেলাধুলাকে তাঁদের কেরিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে বিবেচনা করছেন। 

বন্ধুগণ,

আমাদের খেলোয়াড়রা আরও সাফল্যের জন্য যখন এগিয়ে চলেছেন, আমাদের দেশও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ব্রতী হয়েছে। আপনারা জানেন, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স ভারতে আয়োজনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অলিম্পিক্স যদি ভারতে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে ভারতীয় ক্রীড়া জগত এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। অলিম্পিক্স শুধুমাত্র একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতাই নয়, পৃথিবীর যেখানেই অলিম্পিক্স হয়েছে, সেখানেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে গতির সঞ্চার হয়েছে। অলিম্পিক্স-এর জন্য খেলাধুলা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হয়। সেখানে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এই উন্নত পরিকাঠামো ভবিষ্যতের খেলোয়াড়দের জন্য সহায়ক হয়। যেসব শহরে অলিম্পিক্স হবে, সেখানে যোগাযোগ সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। ফলে নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলি এবং পরিবহণ শিল্পও শক্তিশালী হয়। আর সবথেকে বেশি উপকৃত হয় পর্যটন শিল্প। অনেক নতুন নতুন হোটেল তৈরি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলোয়াড়রা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আসেন, অনেকে খেলা দেখতেও আসেন। সারা দেশ এ ধরনের উদ্যোগে লাভবান হবে। যেমন ধরুন, দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শকরা উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় আসবেন এই খেলা দেখতে। অর্থাৎ একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের জন্যই লাভবান হয় না, অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিরও প্রসার ঘটে। 

 

বন্ধুগণ,

আজ সারা বিশ্ব বলছে, একবিংশ শতাব্দী ভারতের। বাবা কেদারনাথ দর্শনের পর আমার অন্তরের গভীর স্থল থেকে যে কথাটি আমার মুখে এলো, তা হল, এই দশকটি উত্তরাখণ্ডের। উত্তরাখণ্ডের উন্নয়ন দ্রুত হারে হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। গতকালই ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ড অভিন্ন দেওয়ানী বিধি কার্যকর করেছে। আমি একে ধর্ম নিরপেক্ষ দেওয়ানী বিধিও বলি। অভিন্ন দেওয়ানী বিধি আমাদের মা-বোনদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাত্রার চাবিকাঠি হয়ে উঠবে। এটি গণতান্ত্রিক ভাবনাকে শক্তিশালী করবে, আমাদের সংবিধানের ভাবনাকেও শক্তিশালী করবে। আর আজ আমি এখানে খেলাধুলার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছি। খেলাধুলা যে কোনো বৈষম্যমূলক মনোভাব থেকে দূরে সরে আসতে সাহায্য করে। খেলাধুলায় জয় লাভের মন্ত্র হল, এখানকার প্রতিটি পদক হল, ‘সবকা প্রয়াস’-এর ফল। খেলাধুলা আমাদের দলগতভাবে কাজ করার শক্তি যোগায়। অভিন্ন দেওয়ানী বিধির ক্ষেত্রেও এই একই মনোভাব রয়েছে। কারুর প্রতি বৈষম্য নয়, সকলেই সমান। উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। 

বন্ধুগণ,

উত্তরাখণ্ডে এই প্রথম এতো বড় মাপের একটি জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এর ফলে এখানে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, এখানে যুবক-যুবতীরা কাজ পাবেন। উত্তরাখণ্ড তার উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এখন আর এই রাজ্যের অর্থনীতি শুধুমাত্র চার ধাম যাত্রার ওপরই নির্ভরশীল নয়। সরকার এই যাত্রাপথে আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিনিয়ত নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। প্রতি বছর এখানে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, নতুন নতুন রেকর্ড গড়ে তুলছে। কিন্তু এ টুকুই যথেষ্ট নয়। শীতকালে ধর্মীয় যাত্রাকে উৎসাহিত করতে হবে। আমি আনন্দিত, উত্তরাখণ্ড সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।  

বন্ধুগণ,

এক অর্থে উত্তরাখণ্ড আমার দ্বিতীয় বাড়ি। আমি এখানে শীতকালে ভ্রমণ করতে চাই। দেশের যুব সম্প্রদায়কে আমি বলবো, আপনারা শীতকালে এখানে আসুন। সেই সময় এখানে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা কম থাকে। বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারমূলক কর্মসূচিতে আপনারা অংশ নিতে পারেন। জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের আমি বলবো, এই প্রতিযোগিতা শেষ হলে পর আপনারাও এই সুযোগগুলিকে কাজে লাগান। সম্ভব হলে দেবভূমির আতিথেয়তা আরও কয়েকদিন গ্রহণ করুন।

 

বন্ধুগণ,

আপনারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আগামী দিনগুলিতে আপনারা নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। অনেকে জাতীয় রেকর্ড ভাঙবেন, রেকর্ড গড়বেন। আপনারা এই প্রতিযোগিতায় আপনাদের পুরো ক্ষমতাকে কাজে লাগাবেন। তবে আপনাদের কাছে কয়েকটি অনুরোধ রয়েছে। দেখুন, এই জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি শুধুমাত্র খেলাধুলার প্রতিযোগিতাই নয়, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের এক শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবেও এগুলিকে বিবেচনা করুন। ভারতের বৈচিত্র্য এখানে আপনারা উপভোগ করুন। যে পদকগুলি আপনারা জিতবেন তা ভারতের ঐক্য ও শ্রেষ্ঠত্বকে বিকশিত করুক। এখানে আপনারা বিভিন্ন রাজ্যের ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, সঙ্গীত ও কলা সম্পর্কে অবগত হন। আমি পরিচ্ছন্নতার দিকেও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাবো। দেবভূমির নাগরিকদের উদ্যোগের কারণেই উত্তরাখণ্ড আজ প্লাস্টিক মুক্ত রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। আপনাদের সহযোগিতা না পেলে প্লাস্টিক মুক্ত উত্তরাখণ্ড গড়ার যে সংকল্প নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হবে না। এই কর্মসূচিকে সফল করে তুলতে আপনারা এগিয়ে আসুন।

বন্ধুগণ,

আপনারা সকলেই ফিট থাকার উপযোগিতা বুঝতে পারছেন। আর তাই আজ আপনাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানাবো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের দেশে স্থুলতার সমস্যা খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কারণ মোটা হয়ে গেলে, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখের মতো নানা রকম শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। আজ দেশ ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের মাধ্যমে সুস্থ এবং ফিট থাকার বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠায় আমি আনন্দিত। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি থেকে শারীরিকভাবে সচল থাকা, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং সুষম জীবন যাপনের বিষয়ে আমরা ধারণা পাই। আজ আমি দেশবাসীকে দুটি বিষয় মেনে চলতে বলব। এগুলি ব্যায়াম করা এবং খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেকদিন খানিকটা সময় বের করে ব্যায়াম করুন। আপনার জন্য যা সুবিধা হবে, সেটি করুন। হাঁটুন অথবা অন্য কোনো কিছু শারীরিক কসরত করুন। দ্বিতীয়ত হল, খাদ্যাভ্যাস। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খান। 

 

আরও একটি বিষয়ে ভাবা উচিত। আপনার খাদ্য তালিকা থেকে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় জিনিস এবং তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিন। আমাদের বাড়িতে সাধারণত মাসের শুরুতেই বাজার আসে। আপনারা যদি প্রতি মাসে ২ লিটার রান্নার তেল ব্যবহার করেন, তাহলে তার থেকে ১০ শতাংশ কম তেল ব্যবহারের চেষ্টা করুন। প্রতিদিন উদ্যোগ নিলে আপনারা তেলের ব্যবহার কমাতে পারবেন। এইভাবে আপনারা স্থুলতার মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। ছোট ছোট পদক্ষেপগুলি আপনাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আমাদের বয়স্ক লোকেরা আগে এগুলিই করতেন। তাঁরা তাজা খাবার খেতেন। সুষম আহার করতেন। শরীর সুস্থ থাকলেই মন ভালো থাকে এবং স্বাস্থ্যকর এক জাতি গঠন করা যায়। আমি রাজ্য সরকারগুলিকে, স্কুলগুলিকে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে এ বিষয়ে আরও সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেবো। আসুন, আমরা সকলে মিলে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ গড়ে তুলি।

বন্ধুগণ,

যদিও আজ এখানে আমার কাজ হল জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা করা, কিন্তু আমি চাইবো, আপনারা সকলে এই উদ্যোগে সামিল হন। এই প্রতিযোগিতা শুরু করার জন্য আপনাদের মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটগুলি জ্বালান। সকলের মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালান। প্রত্যেকে মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালান। আর আপনাদের সকলের সঙ্গে আমি ৩৮-তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সূচনার ঘোষণা করছি। আরও একবার আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। 

ধন্যবাদ !

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
From CM To PM: The 25-Year Bond Between Narendra Modi And Vladimir Putin

Media Coverage

From CM To PM: The 25-Year Bond Between Narendra Modi And Vladimir Putin
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister welcomes President of Russia
December 05, 2025
Presents a copy of the Gita in Russian to President Putin

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has welcomed President of Russia, Vladimir Putin to India.

"Looking forward to our interactions later this evening and tomorrow. India-Russia friendship is a time tested one that has greatly benefitted our people", Shri Modi said.

The Prime Minister, Shri Narendra Modi also presented a copy of the Gita in Russian to President Putin. Shri Modi stated that the teachings of Gita give inspiration to millions across the world.

The Prime Minister posted on X:

"Delighted to welcome my friend, President Putin to India. Looking forward to our interactions later this evening and tomorrow. India-Russia friendship is a time tested one that has greatly benefitted our people."

@KremlinRussia_E

"Я рад приветствовать в Дели своего друга - Президента Путина. С нетерпением жду наших встреч сегодня вечером и завтра. Дружба между Индией и Россией проверена временем; она принесла огромную пользу нашим народам."

"Welcomed my friend, President Putin to 7, Lok Kalyan Marg."

"Поприветствовал моего друга, Президента Путина, на Лок Калян Марг, 7."

"Presented a copy of the Gita in Russian to President Putin. The teachings of the Gita give inspiration to millions across the world."

@KremlinRussia_E

"Подарил Президенту Путину экземпляр Бхагавад-гиты на русском языке. Учения Гиты вдохновляют миллионы людей по всему миру."

@KremlinRussia_E