Today when India is moving towards becoming a developed nation, the participation of Bengal is both expected and essential: PM
With this intention, the Central Government is continuously giving new impetus to infrastructure, innovation and investment here: PM
Bengal's development is the foundation of India's future: PM
This city gas distribution project is not just a pipeline project, it is an example of doorstep delivery of government schemes: PM
We are moving towards an India where energy is cheap, clean and easily available: PM

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী সুকান্ত মজুমদারজি, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীজি, আলিপুর দুয়ারের জনপ্রিয় সাংসদ ভাই মনোজ টিগ্‌গাজি, অন্যান্য সাংসদ, বিধায়ক এবং আমার বাংলার ভাই ও বোনেরা!
আলিপুর দুয়ারের এই ঐতিহাসিক ভূমি থেকে বাংলার মানুষকে আমার নমস্কার!
আলিপুর দুয়ারের এই ভূমি কেবলমাত্র সীমান্ত দ্বারাই যুক্ত নয়, সংস্কৃতির মাধ্যমেও জড়িত। একদিকে ভুটান সীমান্ত, অন্যদিকে আসামের অভিনন্দন, একদিকে জলপাইগুড়ির সৌন্দর্য্য আরেকদিকে কোচবিহারের গর্ব। আজ এই সমৃদ্ধ ভূমিতে আপনাদের সকলের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।

বন্ধুগণ,
দেশ যখন আজ বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, তখন বাংলার অংশীদারিত্ব প্রত্যাশিত ও অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এখানে অবিরাম পরিকাঠামো, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগে নতুন গতি সঞ্চার করছে। বাংলার উন্নয়ন ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তিপ্রস্তর। আজ দেশের সেই ভিতে আরও একটি মজবুত ইঁট যুক্ত করার দিন। কিছুক্ষণ আগে আমি এই মঞ্চ থেকেই আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশান প্রকল্পের শুভ সূচনা করেছি। এই প্রকল্পের সাহায্যে ২.৫ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও সস্তায় পাইপলাইন মারফৎ গ্যাস সরবরাহ হবে। এর ফলে, কেবলমাত্র রান্নাঘরের জন্য সিলিন্ডার কেনার চিন্তা দূর হবে তাই নয়, পরিবারগুলিতে সুরক্ষিত গ্যাস সরবরাহও করা হবে। এর পাশাপাশি, সিএনজি সেন্টার নির্মাণের জন্য স্বচ্ছ জ্বালানীর সুবিধাও বিস্তার করা হচ্ছে। এর ফলে, অর্থ সাশ্রয় হবে, সময় বাঁচবে, পরিবেশ রক্ষাও হবে। আমি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের জনগণকে এই নতুন সূচনার জন্য অভিনন্দন জানাই। সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশানের এই প্রকল্প কেবলমাত্র একটি পাইপলাইন প্রকল্প নয়, এটি সরকারি প্রকল্প বাড়ির দরজায় হাজির করার এক অনন্য উদাহরণ। 

 

বন্ধুগণ,
বিগত কয়েক বছরে ভারত শক্তি ক্ষেত্রে যে উন্নতি করেছে, তা অভূতপূর্ব। বর্তমানে আমাদের দেশ গ্যাস-নির্ভর অর্থনীতির দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০১৪ সালের আগে দেশের ৬৬টি জেলায় সিটি গ্যাসের সুবিধা ছিল। বর্তমানে ৫৫০টিরও বেশি জেলায় এই সিটি গ্যাস  নেটওয়ার্ক পৌঁছে গেছে। এই নেটওয়ার্ক এখন আমাদের গ্রাম ও ছোট ছোট শহরেও পৌঁছে যাচ্ছে। লক্ষ লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। সিএনজি-র দরুন জনপরিবহণেও পরিবর্তন এসেছে। এরফলে, পরিবেশ দূষণ কমছে, দেশবাসীর স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত থাকছে এবং অর্থ সাশ্রয়ও হচ্ছে। 

বন্ধুগণ,
প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে এই পরিবর্তনে আরও গতি সঞ্চার হচ্ছে। আমাদের সরকার ২০১৬ সালে এই প্রকল্পের সূচনা করেছিল। এটি দেশের কোটি কোটি গরীব বোনেদের জীবন সহজ করেছে। এরফলে, মহিলারা ধোঁয়া থেকে মুক্ত হয়েছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা হ’ল – বাড়ির রান্নাঘরে সম্মানজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২০১৪ সালে আমাদের দেশে ১৪ কোটিরও কম এলপিজি সংযোগ ছিল। বর্তমানে এই সংখ্যা ৩১ কোটিরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার যে স্বপ্ন ছিল, তা এখন সফল হচ্ছে। আমাদের সরকার এজন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ককে মজবুত করেছে। এজন্য সমগ্র দেশে এলপিজি বিতরণকারীর সংখ্যাও বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে ১৪ হাজারেরও কম এলপিজি বিতরণকারী ছিলেন। বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি। দেশের বিভিন্ন গ্রামে এখন সহজেই গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়।

 

বন্ধুগণ,
আপনারা সকলে উর্জা গঙ্গা প্রকল্পের সঙ্গে পরিচিত। এই প্রকল্প গ্যাস-নির্ভর অর্থ ব্যবস্থার লক্ষ্যে এক বিপ্লব সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের আওতায় গ্যাস পাইপলাইনের সাহায্যে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে সংযুক্ত করার কাজ চলছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের অনেক রাজ্যেই পাইপলাইনের সাহায্যে গ্যাস পৌঁছচ্ছে। ভারত সরকারের এইসব প্রচেষ্টা শহর বা গ্রাম সর্বত্রই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পাইপলাইন বসানো থেকে শুরু করে সরবরাহ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরেই কর্মসংস্থান বেড়েছে। গ্যাস-নির্ভর শিল্প ক্ষেত্রও এর ফলে মজবুত হয়েছে। আমরা বর্তমানে এমন এক ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি, যেখানে জ্বালানী সস্তা, স্বচ্ছ ও সুলভ হবে। 

 

বন্ধুগণ,
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের সংস্কৃতি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক বড় কেন্দ্র। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন বাংলার উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়। একথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার বিগত ১০ বছরে এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছে। পূর্বা এক্সপ্রেসওয়ে বা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের আধুনিকীকরণ কিংবা কলকাতা মেট্রোর বিস্তার অথবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের আধুনিকীকরণ বা ডুয়ার্সের পথে নতুন ট্রেন চলাচল সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার উন্নয়নের জন্য যথাসম্ভব প্রয়াস চালিয়েছে। আজ এই যে প্রকল্প শুরু হয়েছে, তাও কেবলমাত্র একটি পাইপলাইন নয়, উন্নয়নের জীবনরেখা। আপনাদের জীবনযাপন সহজ করা ও আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ বিকশিত হওয়ার লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলুক – এই কামনার সঙ্গে আমি আরও একবার এইসব সুবিধার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। পাঁচ মিনিট পর, আমি এইখানে একটি খোলা মঞ্চে যাব। আপনারা আমার কাছ থেকে অনেক কথা শুনতে চান, সেসব কথা বলার জন্য ঐ মঞ্চ বেশি উপযুক্ত হবে। এজন্য বাকি কথা আমি সেখানেই বলব পাঁচ মিনিট পর। এই অনুষ্ঠানের জন্য এটুকুই যথেষ্ট। উন্নয়নের এই যাত্রায় আপনারা উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এগিয়ে চলুন।
অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Most NE districts now ‘front runners’ in development goals: Niti report

Media Coverage

Most NE districts now ‘front runners’ in development goals: Niti report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা হয়েছে
July 09, 2025

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে একাধিক দেশ। এই স্বীকৃতিগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন যা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উত্থানকে মজবুত করেছে। এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককেও প্রতিফলিত করে।

 আসুন, গত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা পুরস্কারগুলি দেখে নেওয়া যাক।

দেশের প্রদান করা পুরস্কারগুলি:

১. ২০১৬ সালের এপ্রিলে সৌদি আরব সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - কিং আব্দুল আজিজ সাশ-এ ভূষিত করা হয়েছে। প্রিন্স সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

২. একই বছর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - আমির আমানউল্লাহ খান পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

৩. ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ফিলিস্তিনে ঐতিহাসিক সফর করেন, তখন তাঁকে গ্র্যান্ড কলার অব দ্য স্টেট অব প্যালেস্তাইন পুরস্কার প্রদান করা দেওয়া হয়। এটি বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ সম্মান।

৪. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীকে অর্ডার অব জায়েদ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।

৫. ২০১৯ সালে রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাদের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে - অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু। 

৬. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মালদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ডিসটিনগুইশড রুল অফ নিশান ইজ্জুদ্দিন প্রদান করা হয়েছে।

৭. ২০১৯ সালে বাহরিন সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনিয়াস্য়ান্স সম্মানে ভূষিত করা হয়।

৮. ২০২০ সালে মার্কিন সরকার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লিজিয়ন অব মেরিট সম্মানে ভূষিত করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনীর দেওয়া পুরস্কার যা ব্যতিক্রমী মেধাবী আচরণের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

৯. ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভুটান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপোতে ভূষিত করেছে।

সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ছাড়াও, বিশ্বজুড়ে মর্যাদাপূর্ণ সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করেছে।

১. সিওল শান্তি পুরস্কার: মানবজাতির সম্প্রীতি, জাতি এবং বিশ্বের মধ্যে পুনর্মিলন বিষয়ে সিউল পিস প্রাইজ কালচারাল ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদান করে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে হয়েছিল।

২. রাষ্ট্রসঙ্ঘের চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড: এটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ পরিবেশগত সম্মান। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সাহসী ভূমিকার জন্য ২০১৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

৩. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রথম ফিলিপ কোটলার প্রেসিডেনশিয়াল পুরস্কার প্রদান করেছে। প্রতি বছর রাষ্ট্রের একজন নেতাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের শংসাপত্রে বলা হয়েছে, দেশকে অসাধারণ নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হল।

৪. ২০১৯ সালে বিল ও মিলিন্ডা গেটস্‌ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের স্বীকৃতি-স্বরূপ ‘গ্লোবাল গোলকিপার’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই পুরস্কার সেইসব ভারতীয়কে উৎসর্গ করেন, যাঁরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছেন এবং এই অভিযানকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ করে তুলেছেন।

৫. ২০২১ সালে কেমব্রিজ এনার্জি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস বা সিইআরএ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আন্তর্জাতিক শক্তি ও পরিবেশ নেতৃত্ব পুরস্কার প্রদান করেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে শক্তি ও পরিবেশের বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রূপায়ণে নেতৃত্বের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।.