প্রায় ৩,৭০০ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
থিরুথুরাইপুন্ডি এবং অগাস্তিয়ামপল্লির মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার গেজ রূপান্তর অংশের উদ্বোধন করেছেন
তাম্বারাম এবং সেনগোত্তাইয়ের মধ্যে এক্সপ্রেস পরিষেবার সূচনা করেন এবং থিরুথুরাইপুন্ডি এবং অগাস্তিয়ামপল্লির মধ্যে ডেমু পরিষেবার সূচনা করেন
“তামিলনাড়ু হল ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ভাষা ও সাহিত্যের এক পীঠস্থান”
“অতীতে পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিকে বিলম্বিত এক উন্নয়ন প্রচেষ্টা বলেই সকলে ধরে নিতেন। কিন্তু বর্তমানে এই ধারণারও আমূল পরিবর্তন ঘটেছে”
“করদাতাদের প্রতিটি অর্থ যাতে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়, সে সম্পর্কে সরকার পূর্ণ মাত্রায় সজাগ ও সচেতন”
“পরিকাঠামো শুধুমাত্র ইঁট ও সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিটের কোনও গাঁথনিমাত্র নয়, বরং তার মধ্যে রয়েছে মানুষ ও মানবিকতার স্পর্শ”
“তামিলনাড়ুর উন্নয়নকে সরকারের এক বিশেষ অগ্রাধিকার”
“চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংটির উদ্বোধন করা হয়েছে তা তামিল সংস্কৃতির সৌন্দর্যের এক প্রতীকবিশেষ”
“তামিলনাড়ুর উন্নয়নের সঙ্গে সার্বিকভাবে যুক্ত রয়েছে ভারতের উন্নয়নও”

ভারতমাতার জয়

ভারতমাতার জয়

ভারতমাতার জয়

ভনক্কম তামিলনাড়ু!

তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবিজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্ট্যালিনজি, কেন্দ্রীয় সরকারে আমার সহকর্মী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি ও তামিলনাড়ুর ভাই ও বোনেরা। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

তামিলনাড়ুতে আসা সব সময় একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা। এটা ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর। এটা ভাষা এবং সাহিত্যের প্রাণভূমি। দেশাত্মবোধ এবং জাতীয় চেতনার এটা এক কেন্দ্রস্বরূপ। আমাদের অনেক অগ্রগামী স্বাধীনতা সংগ্রামী তামিলনাড়ু থেকে এসেছেন।

বন্ধুগণ,

আমি জানি যে আপনাদের উৎসবের মরশুমে আমি আপনাদের মধ্যে এসেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই তামিল উথান্ডু উদযাপিত হবে। এটা নতুন শক্তি, নতুন আশা, নতুন উদ্দীপনা এবং নতুন সূচনার এক সময়বিশেষ। কয়েকটি নতুন প্রজন্মের পরিকাঠামো প্রকল্পের সূচনা আজ থেকে মানুষের সেবায় লাগবে। আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে এখন থেকে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সড়ক, রেলপথ, বিমানপথ যা নববর্ষ উদযাপনকে আরও বেশি রঙিন করে তুলবে।

 

বন্ধুগণ,

বিগত কয়েক বছরে ভারত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপ্লব প্রত্যক্ষ করছে। গতি এবং মাত্রার দ্বারা এটা চালিত। মাত্রার অঙ্কে যদি ধরা যায়, আগের তুলনায় এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট আপনি দেখুন। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য রেকর্ড পরিমাণ, ১০ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১৪-র তুলনায় এটা প্রায় পাঁচগুণ! রেল পরিকাঠামোর জন্য যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাও এক সর্বকালীন রেকর্ড।

বন্ধুগণ,

গতির প্রসঙ্গই ধরা যাক। কয়েকটি বিষয় আমাদেরকে সঠিক প্রেক্ষাপটের দিশা দিতে পারে। ২০১৪-র আগের তুলনায় জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য প্রতি বছর দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪-র আগে প্রতি বছর ৬০০ কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকরণ করা হত, কিন্তু আজ প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার রেললাইন বৈদ্যুতিকরণ করা হচ্ছে। ২০১৪ পর্যন্ত বিমানবন্দরের সংখ্যা ছিল ৭৪। ২০১৪ থেকে তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০-এ। তামিলনাড়ুতে যে সুদীর্ঘ উপকূল রয়েছে বাণিজ্যের জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪-র আগের তুলনায় আমাদের সমুদ্র বন্দরগুলির ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাহ্যিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র গতি ও মাত্রা দেখলেই হয় না, সামাজিক এবং ডিজিটাল পরিকাঠামোর ক্ষেত্রটিও অনুরূপভাবে বিবেচ্য। ২০১৪ পর্যন্ত ভারতে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৮০, আর আজ তা ৬৬০। গত ৯ বছরে আমাদের দেশে এইমস-এর সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনে আমরা বিশ্বের এক নম্বর জায়গায়। আমাদের কাছে বিশ্বের সবথেকে কম খরচে মোবাইল ডেটা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ৬ লক্ষ কিলোমিটারের বেশি অপটিক ফাইবারের মাধ্যমে প্রায় ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে যুক্ত করা হয়েছে। আজ ভারতের গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শহরের থেকে বেশি।

বন্ধুগণ,

এইসব সাফল্য সম্ভব হল কি করে? কর্মসংস্কৃতি এবং সঠিক দিশা - এই দুইয়ের মাধ্যমেই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। প্রথমত কর্মসংস্কৃতি। অতীতে ধরে নেওয়া হত যে পরিকাঠামো প্রকল্প মানেই তা বিলম্বিত, আর এখন পরিকাঠামো প্রকল্প মানেই হল দ্রুত কর্মসম্পাদন। এই যে দেরির পথ থেকে সরে এসে কর্মসম্পাদনের দিশারি হওয়া গেছে, তা হয়েছে কর্মসংস্কৃতির দ্বারাই। আমরা এখন আমাদের করদাতাদের দেয় প্রত্যেকটি টাকার প্রতি দায়বদ্ধতা অনুভব করি। আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমা ধরে কাজ করি এবং সময়সীমা পেরোনোর আগেই কর্মসম্পাদন করি।

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গী তা অতীতের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। পরিকাঠামো বলতে আমরা ইঁট, সিমেন্ট আর কংক্রিটের কাঠামোকে বুঝি না। পরিকাঠামোকে আমরা মানবিক চেহারায় দেখি। আশা এবং সম্পাদনকে যা যুক্ত করে, মানুষের সঙ্গে তার সম্ভাবনাকে সূচিত করে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়। আজকের কয়েকটি প্রকল্পকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরা যাক। সড়ক প্রকল্পগুলির একটি বিরুদ্ধনগর এবং তেনকাশির তুলো চাষীদের সঙ্গে অন্য বাজারকে যুক্ত করবে। চেন্নাই এবং কোয়েম্বাটোরের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছোট ব্যবসায়ীদের ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করবে। চেন্নাই বন্দরের নতুন টার্মিনাল বিশ্বকে তামিলনাড়ুর কাছে এনে হাজির করবে। এটি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে যার ফলে এখানকার যুব সমাজের কাছে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সড়ক, রেলপথ অথবা মেট্রোর ফলে কেবল যানবাহনেই নয়, জনসাধারণের স্বপ্ন এবং উদ্যমেও গতি সঞ্চারিত হয়। অর্থনীতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। প্রত্যেক পরিকাঠামো প্রকল্প কোটি কোটি পরিবারের জীবনধারার রূপান্তর ঘটায়।

 

বন্ধুগণ,

তামিলনাড়ুর উন্নয়ন আমাদের কাছে একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। রেল পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এ বছর তামিলনাড়ুর জন্য সর্বকালীন বর্ধিত ৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত গড়ে বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৯০০ কোটি টাকারও কম। ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যে তামিলনাড়ুতে জাতীয় সড়কের প্রসার ঘটেছে ৮০০ কিলোমিটারের মতো। ২০১৪ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে প্রায় জাতীয় সড়ক প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে তামিলনাড়ুতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩-এ এটি প্রায় ছ’গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮,২০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গেছে।

গত কয়েক বছরে তামিলনাড়ু বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রত্যক্ষ করেছে। প্রতিরক্ষা শিল্প করিডর ভারতের সুরক্ষাকে যেমন শক্তিশালী করছে, তেমনই তা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে। ‘প্রধানমন্ত্রী মিত্র মেগা টেক্সটাইল পার্ক’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘোষণা তামিলনাড়ুর বস্ত্রক্ষেত্রকে প্রভূত সাহায্য করবে। গত বছর আমরা বেঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। চেন্নাইয়ের কাছে বহু উদ্দেশ্যসাধক লজিস্টিক্স পার্ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। পূর্ব উপকূল বরাবর মামাল্লাপুরম থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সড়কের ‘ভারতমালা’ প্রকল্পের আওতায় উন্নতিসাধন করা হচ্ছে। তামিলনাড়ুর শ্রীবৃদ্ধির জন্য আরও বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। এরকম আরও বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। আজ এর কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।

বন্ধুগণ,

আজ তামিলনাড়ুর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর – চেন্নাই, মাদুরাই এবং কোয়েম্বাটোর আজ উদ্বোধন হওয়া বা কাজ শুরু হওয়া প্রকল্পগুলির থেকে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন সংযুক্ত টার্মিনাল বিল্ডিং-এর উদ্বোধন হল। এতে যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি পাবে। নতুন এই টার্মিনাল বিল্ডিংটিতে তামিল সংস্কৃতির নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি চিত্তাকর্ষক আলোকচিত্র প্রত্যক্ষ করেছেন, তা সে ছাদের নকশাই হোক অথবা মেঝে কিংবা সিলিং বা মূর্তি - এইসবগুলিই তামিলনাড়ুর কোনও না কোনও দিক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে। বিমানবন্দর নির্মাণে যে ঐতিহ্যের সাক্ষর প্রতিভাত হচ্ছে, তা গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক চাহিদার দিকে তাকিয়ে এবং সুস্থায়িত্ব বজায় রাখতে। পরিবেশ-বান্ধব পণ্যসামগ্রী দিয়ে তা নির্মাণ করা হয়েছে এবং পরিবেশ-বান্ধব কৌশল হিসেবে এলইডি আলো ও সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

চেন্নাই আরও একটি বন্দে ভারত ট্রেন পাচ্ছে যা একে কোয়েম্বাটোরের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন চেন্নাইয়ে যখন এল, আমি স্মরণ করতে পারি, তামিলনাড়ুর আমার তরুণ বন্ধুরা ভীষণরকম উত্তেজিত হয়েছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে সেই সময় বন্দে ভারত ট্রেনকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। ‘ভারতে তৈরি’ - এই শ্লাঘাবোধ মহান ভিও চিদাম্বরম পিল্লাইয়ের এই ভূমিতে অত্যন্ত স্বাভাবিক।

বন্ধুগণ,

বস্ত্রক্ষেত্রই হোক, এমএসএমই অথবা শিল্পে, কোয়েম্বাটোর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠেছে। আধুনিক সংযোগ ব্যবস্থা এখানকার মানুষের উৎপাদনশীলতাকে বৃদ্ধি করবে। এখন চেন্নাই থেকে কোয়েম্বাটোরের সফর কেবল ছ’ঘন্টায়! এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার ফলে সালেম, ইরোড এবং তিরুপুরের মতো এলাকাগুলিতে বস্ত্রশিল্প এবং শিল্প হাব উপকৃত হবে।

 

বন্ধুগণ,

মাদুরাইকে বলা হয় তামিলনাড়ুর সাংস্কৃতিক রাজধানী। এটা হল বিশ্বের অন্যতম সর্বপ্রথম শহর। আজকের এই প্রকল্পগুলি এই সুপ্রাচীন শহরের আধুনিক পরিকাঠামোর শ্রীবৃদ্ধি ঘটাবে। এতে জীবনযাপনে স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে এবং মাদুরাই-এ সফর অনেক সহজ হয়ে যাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলা এবং তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকা আজকের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত হবে।

বন্ধুগণ,

তামিলনাড়ু হল ভারতের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। আমি নিশ্চিত, যেসব প্রকল্পগুলির আজ উদ্বোধন হল তা এখানকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার সমৃদ্ধি ঘটাবে। যখন অত্যন্ত উন্নতমানের পরিকাঠামোর দ্বারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, তখন উপার্জন বাড়বে এবং তামিলনাড়ুর উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। তামিলনাড়ুর শ্রীবৃদ্ধির অর্থ ভারতের শ্রীবৃদ্ধি। আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভনক্কম!

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism

Media Coverage

Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Congress and RJD only do politics of insult and abuse: PM Modi in Bhabua, Bihar
November 07, 2025
In Bhabua, PM Modi urges voters: One vote for the NDA can stop infiltrators; one vote can protect your identity
They will shake you down, drag people from their homes and run a reign of terror as their own songs glorify violence: PM Modi takes a dig at opposition
Congress leaders never talk about the RJD’s manifesto, calling it ‘a bunch of lies’: PM Modi at Bhabua rally

भारत माता की... भारत माता की... भारत माता की...
मां मुंडेश्वरी के ई पावन भूमि पर रऊआ सब के अभिनंदन करअ तानी।

कैमूर की इस पावन भूमि पर चारों दिशाओं से आशीर्वाद बरसता है। मां बिंध्यवासिनी, मां ताराचंडी, मां तुतला भवानी, मां छेरवारी, सब यहीं आसपास विराजती हैं। चारों ओर शक्ति ही शक्ति का साम्राज्य है। और मेरे सामने...विशाल मातृशक्ति है...जिनका आशीर्वाद हमेशा हम सभी पर रहा है... NDA पर रहा है। और मैं बिहार की मातृशक्ति का आभारी हूं। पहले चरण में NDA के उम्मीदवारों के पक्ष में जबरदस्त मतदान हुआ है। अब कैमूर की बारी है...अब रोहतास की बारी है...मैं इस मंच पर NDA के इन सभी उम्मीदवारों के लिए...आप सभी का साथ और समर्थन मांगने आया हूं। आपके आशीर्वाद मांगने के लिए आया हूं.. तो मेरे साथ बोलिए... फिर एक बार...फिर एक बार...NDA सरकार! फिर एक बार... फिर एक बार... फिर एक बार... बिहार में फिर से...सुशासन सरकार !

साथियों,
जब ये चुनाव शुरू हुआ था...तो RJD और कांग्रेस के लोग फूल-फूल के गुब्बारा हुए जा रहे थे।और RJD और कांग्रेस के नामदार आसमान पर पहुंचे हुए थे। लेकिन चुनाव प्रचार के दौरान RJD-कांग्रेस के गुब्बारे की हवा निकलनी शुरू हुई...और पहले चरण के बाद इनका गुब्बारा पूरी तरह फूट गया है। अब तो आरजेडी-कांग्रेस का इकोसिस्टम...उनके समर्थक भी कह रहे हैं...फिर एक बार... फिर एक बार...NDA सरकार!

साथियों,
आरजेडी-कांग्रेस ने बिहार के युवाओं को भ्रमित करने की बहुत कोशिश की..लेकिन उनकी सारी प्लानिंग फेल हो गई...इसका एक बहुत बड़ा कारण है...बिहार का जागरूक नौजवान... बिहार का नौजवान ये देख रहा है कि आरजेडी-कांग्रेस वालों के इरादे क्या हैं।

साथियों,
जंगलराज के युवराज से जब भी पूछा जाता है कि जो बड़े-बडे झूठ उन्होंने बोले हैं...वो पूरे कैसे करेंगे...तो वो कहते हैं...उनके पास प्लान है... और जब पूछा जाता है कि भाई बताओ कि प्लान क्या है.. तो उनके मुंह में दही जम जाता है, मुंह में ताला लग जाता है.. उत्तर ही नहीं दे पाते।

साथियों,
आरजेडी वालों का जो प्लान है...उससे मैं आज आप सब को, बिहार को और देश को भी सतर्क कर रहा हूं। आप देखिए....आरजेडी के नेताओं के किस तरह के गाने वायरल हो रहे हैं। चुनाव प्रचार के जो गाने हैं कैसे गाने वायरल हो रहे हैं। आरजेडी वालों का एक गाना है...आपने भी सुना होगा आपने भी वीडियों में देखा होगा। आरजेडी वालों का एक गाना है। आएगी भइया की सरकार... क्या बोलते हैं आएगी भइया की सरकार, बनेंगे रंगदार! आप सोचिए...ये RJD वाले इंतजार कर रहे हैं कि कब उनकी सरकार आए और कब अपहरण-रंगदारी ये पुराना गोरखधंधा फिर से शुरू हो जाए। RJD वाले आपको रोजगार नहीं देंगे...ये तो आपसे रंगदारी वसूलेंगे.. रंगदारी ।

साथियों,
RJD वालों का एक और गाना है... अब देखिए, ये क्या-क्या कर रहे हैं, क्या-क्या सोच रहे हैं...और मैं तो देशवासियों से कहूंगा। देखिए, ये बिहार में जमानत पर जो लोग हैं वो कैसे लोग है.. उनका क्या गाना है भइया के आबे दे सत्ता... भइया के आबे दे सत्ता...कट्टा सटा के उठा लेब घरवा से, आप अंदाजा लगा सकते हैं कि ये जंगलराज वाले सरकार में वापसी के लिए क्यों इतना बेचैन हैं। इन्हें जनता की सेवा नहीं करनी...इन्हें जनता को कट्टा दिखाकर लूटना है...उन्हें घर से उठवा लेना है। साथियों, आरजेडी का एक और गाना चल रहा है...बताऊं... बताऊं.. कैसा गाना चल रहा है.. मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...यही इनका तौर-तरीका है...यही इनका प्लान है...इनसे कोई भी सवाल पूछेगा तो यही जवाब मिलेगा...मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...

साथियों,
यही जंगलराज की आहट है। ये बहनों-बेटियों को गरीब, दलित-महादलित, पिछड़े, अतिपिछड़े समाज के लोगों को डराने का प्रयास है। भय पैदा करने का खेल है इनका। साथियों, जंगलराज वाले कभी कोई निर्माण कर ही नहीं सकते वे तो बर्बादी और बदहाली के प्रतीक हैं। इनकी करतूतें देखनी हों तो डालमिया नगर में दिखती हैं। रोहतास के लोग इस बात को अच्छी तरह जानते हैं।
((साथी आप तस्वीर लाए हैं, मैं अपनी टीम को कहता हूं वे ले लेते हैं, लेकिन आप तस्वीर ऊपर करते हैं तो पीछे दिखता नहीं है। मैं आपका आभारी हूं। आप ले आए हैं... मैं मेरे टीम को कहता हूं, जरा ले लीजिए भाई। और आप बैठिए नीचे। वे ले लेंगे। बैठिए, पीछे औरों को रुकावट होती है.. ठीक है भैया ))

साथियों,
अंग्रेज़ों के जमाने में डालमिया नगर की नींव पड़ी थी। दशकों के परिश्रम के बाद। एक फलता-फूलता औद्योगिक नगर बनता जा रहा था। लेकिन फिर कुशासन की राजनीति आ गई। कुशासन की राजनीति आ गई, जंगलराज आ गया। फिरौती, रंगदारी, करप्शन, कट-कमीशन, हत्या, अपहरण, धमकी, हड़ताल यही सब होने लगा। देखते ही देखते जंगलराज ने सबकुछ तबाह कर दिया।

साथियों,
जंगलराज ने बिहार में विकास की हर संभावना की भ्रूण हत्या करने का काम किया था। मैं आपको एक और उदाहरण याद दिलाता हूं। आप कैमूर में देखिए, प्रकृति ने क्या कुछ नहीं दिया है। ये आकर्षक पर्यटक स्थलों में से एक हो सकता था। लेकिन जंगलराज ने ये कभी होने नहीं दिया। जहां कानून का राज ना हो...जहां माओवादी आतंक हो बढ़ रहा हो.. क्या वहां पर कोई टूरिज्म जाएगा क्या? जरा बताइए ना जाएगा क्या? नहीं जाएगा ना.. नीतीश जी ने आपके इस क्षेत्र को उस भयानक स्थिति से बाहर निकाला है। मुझे खुशी है कि अब धीरे-धीरे यहा पर्यटकों की संख्या बढ़ रही है। जिस कर्कटगढ़ वॉटरफॉल... उस वाटरफॉल के आसपास माओवादी आतंक का खौफ होता था। आज वहां पर्यटकों की रौनक रहती है... यहां जो हमारे धाम हैं...वहां तीर्थ यात्रियों की संख्या लगातार बढ़ रही है। जागृत देवता हरषू ब्रह्म के दर्शन करने लोग आते हैं। आज यहां नक्सलवाद...माओवादी आतंक दम तोड़ रहा है....

साथियों,
यहां उद्योगों और पर्यटन की जो संभावनाएं बनी हैं... इसका हमें और तेजी से विस्तार करना है...देश-विदेश से लोग यहां बिहार में पूंजी लगाने के लिए तैयार हैं...बस उन्हें लालटेन, पंजे और लाल झंडे की तस्वीर भी नहीं दिखनी चाहिए। अगर दिख गई.. तो वे दरवाजे से ही लौट जाएंगे इसलिए हमें संकल्प लेना है...हमें बिहार को जंगलराज से दूर रखना है।

साथियों,
बिहार के इस चुनाव में एक बहुत ही खास बात हुई है। इस चुनाव ने कांग्रेस-आरजेडी के बीच लड़ाई को सबके सामने ला दिया है। कांग्रेस-आरजेडी की जो दीवार है ना वो टूट चुकी है कांग्रेस-आरजेडी की टूटी दीवार पर ये लोग चाहे जितना ‘पलस्तर’ कर लें... अब दोनों पार्टियों के बीच खाई गहरी होती जा रही है। पलस्तर से काम चलने वाला नहीं है। आप देखिए, इस क्षेत्र में भी कांग्रेस के नामदार ने रैलियां कीं। लेकिन पटना के नामदार का नाम नहीं लिया। कितनी छुआछूत है देखिए, वो पटना के नामदार का नाम लेने को तैयार नहीं है। कांग्रेस के नामदार दुनिया-जहां की कहानियां कहते हैं, लेकिन आरजेडी के घोषणापत्र पर, कोई सवाल पूछे कि भाई आरजेडी ने बड़े-बड़े वादे किए हैं इस पर क्या कहना है तो कांग्रेस के नामदार के मुंह पर ताला लग जाता है। ये कांग्रेस के नामदार अपने घोषणापत्र की झूठी तारीफ तक नहीं कर पा रहे हैं। एक दूसरे को गिराने में जुटे ये लोग बिहार के विकास को कभी गति नहीं दे सकते।

साथियों,
ये लोग अपने परिवार के अलावा किसी को नहीं मानते। कांग्रेस ने बाबा साहेब आंबेडकर की राजनीति खत्म की...क्योंकि बाब साहेब का कद दिल्ली में बैठे शाही रिवार से ऊंचा था। इन्होंने बाबू जगजीवन राम को भी सहन नहीं किया। सीताराम केसरी...उनके साथ भी ऐसा ही किया. बिहार के एक से बढ़कर एक दिग्गज नेता को अपमानित करना यही शाही परिवार का खेल रहा है। जबकि साथियों, भाजपा के, NDA के संस्कार...सबको सम्मान देने के हैं...सबको साथ लेकर चलने के हैं।

हमें लाल मुनी चौबे जी जैसे वरिष्ठों ने सिखाया है...संस्कार दिए हैं। यहां भभुआ में भाजपा परिवार के पूर्व विधायक, आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी भी हमारी प्रेरणा हैं...अब तो वो सौ के निकट जा रहे हैं.. 96 साल के हो चुके हैं... और जब कोरोना का संकट आया तब हम हमारे सभी सीनियर को फोन कर रहा था। तो मैंने मिश्राजी को भी फोन किया। चंद्रमौली जी से मैंने हालचाल पूछे। और मैं हैरान था कि ये उमर, लेकिन फोन पर वो मेरा हाल पूछ रहे थे, वो मेरा हौसला बढ़ा रहे थे। ये इस धरती में आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी जैसे व्यक्तित्वों से सीखते हुए हम भाजपा के कार्यकर्ता आगे बढ़ रहे हैं।

साथियों,
ऐसे वरिष्ठों से मिले संस्कारों ने हमें राष्ट्रभक्तों का देश के लिए जीने-मरने वालों का सम्मान करना सिखाया है। इसलिए, हमने बाबा साहेब आंबेडकर से जुड़े स्थानों को पंचतीर्थ के रूप में विकसित किया। और मैं तो काशी का सांसद हूं, मेरे लिए बड़े गर्व की बात है कि बनारस संत रविदास जी की जन्मभूमि है। संत रविदास की जयंति पर...मुझे कई बार वहां जाने का सौभाग्य प्राप्त हुआ है। 10-11 साल पहले वहां क्या स्थिति थी...और आज वहां कितनी सुविधाएं श्रद्धालुओं के लिए बनी हैं... इसकी चर्चा बनारस में, और बनारस के बाहर भी सभी समाजों में होती है।

साथियों,
बनारस ही नहीं...भाजपा सरकार मध्य प्रदेश के सागर में भी संत रविदास का भव्य मंदिर और स्मारक बना रही है। हाल ही में...मुझे कर्पूरी ग्राम जाने का अवसर मिला था..वहां पिछले कुछ वर्षों में सड़क, बिजली, पानी, शिक्षा और स्वास्थ्य से जुड़ी सुविधाओं का विस्तार हुआ है। कर्पूरीग्राम रेलवे स्टेशन को आधुनिक बनाया जा रहा है। साथियों, ये हमारी ही सरकार है...जो देशभर में आदिवासी स्वतंत्रता सेनानियों के स्मारक बना रही है। भगवान बिरसा मुंडा के जन्मदिवस को...हमने जनजातीय गौरव दिवस घोषित किया है। 1857 के क्रांतिवीर...वीर कुंवर सिंह जी की विरासत से भावी पीढ़ियां प्रेरित हों...इसके लिए हर वर्ष व्यापक तौर पर विजय दिवस का आयोजन किया जा रहा है।

साथियों,
कैमूर को धान का कटोरा कहा जाता है। और हमारे भभुआ के मोकरी चावल की मांग दुनियाभर में हो रही है। प्रभु श्रीराम को भोग में यही मोकरी का चावल अर्पित किया जाता है। राम रसोई में भी यही चावल मिलता है। आप मुझे बताइए साथियों, आप अयोध्या का राम मंदिर देखते हैं। या उसके विषय में सुनते हैं। यहां पर बैठा हर कोई मुझे जवाब दे, जब राममंदिर आप देखते हैं या उसके बारे में सुनते हैं तो आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? माताओं-बहनों आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? भव्य राम मंदिर का आपको आनंद आता है कि नहीं आता है? आप काशी में बाबा विश्वनाथ का धाम देखते हैं, आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? आपका हृदय गर्व से भर जाता है कि नहीं भर जाता है? आपका माथा ऊंचा होता है कि नहीं होता है? आपको तो गर्व होता है। हर हिंदुस्तानी को गर्व होता है, लेकिन कांग्रेस-RJD के नेताओं को नहीं होता। ये लोग दुनियाभर में घूमते-फिरते हैं, लेकिन अयोध्या नहीं जाते। राम जी में इनकी आस्था नहीं है और रामजी के खिलाफ अनाप-शनाप बोल चुके हैं। उनको लगता है कि अगर अयोध्या जाएंगे, प्रभु राम के दर्शन करेंगे तो उनके वोट ही चले जाएंगे, डरते हैं। उनकी आस्था नाम की कोई चीज ही नहीं है। लेकिन मैं इनलोगों से जरा पूछना चाहता हूं.. ठीक है भाई चलो भगवान राम से आपको जरा भय लगता होगा लेकिन राम मंदिर परिसर में ही, आप मे से तो लोग गए होंगे। उसी राम मंदिर परिसर में भगवान राम विराजमान हैं, वहीं पर माता शबरी का मंदिर बना है। महर्षि वाल्मीकि का मंदिर बना है। वहीं पर निषादराज का मंदिर बना है। आरजेडी और कांग्रेस के लोग अगर रामजी के पास नहीं जाना है तो तुम्हारा नसीब, लेकिन वाल्मीकि जी के मंदिर में माथा टेकने में तुम्हारा क्या जाता है। शबरी माता के सामने सर झुकाने में तुम्हारा क्या जाता है। अरे निषादराज के चरणों में कुछ पल बैठने में तुम्हारा क्या जाता है। ये इसलिए क्योंकि वे समाज के ऐसे दिव्य पुरुषों को नफरत करते हैं। अपने-आपको ही शहंशाह मानते हैं। और इनका इरादा देखिए, अभी छठ मैया, छठी मैया, पूरी दुनिया छठी मैया के प्रति सर झुका रही है। हिंदुस्तान के कोने-कोने में छठी मैया की पूजा होने लगी है। और मेरे बिहार में तो ये मेरी माताएं-बहनें तीन दिन तक इतना कठिन व्रत करती है और आखिर में तो पानी तक छोड़ देती हैं। ऐसी तपस्या करती है। ऐसा महत्वपूर्ण हमारा त्योहार, छठी मैया की पूजा ये कांग्रेस के नामदार छठी मैया की इस पूजा को, छटी मैया की इस साधना को, छठी मैया की इस तपस्या को ये ड्रामा कहते हैं.. नौटंकी कहते हैं.. मेरी माताएं आप बताइए.. ये छठी मैया का अपमान है कि नहीं है? ये छठी मैया का घोर अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? ये छठी मैया के व्रत रखने वाली माताओ-बहनों का अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? मुझे बताइए मेरी छठी मैया का अपमान करे उसको सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? पूरी ताकत से बताइए उसे सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? अब मैं आपसे आग्रह करता हूं। अभी आपके पास मौका है उनको सजा करने का। 11 नवंबर को आपके एक वोट से उन्हें सजा मिल सकती है। सजा दोगे? सब लोग सजा दोगे?

साथियों,
ये आरजेडी-कांग्रेस वाले हमारी आस्था का अपमान इसलिए करते हैं, हमारी छठी मैया का अपमान इसलिए करते हैं। हमारे भगवान राम का अपमान इसलिए करते हैं ताकि कट्टरपंथी खुश रहें। इनका वोटबैंक नाराज ना हो।

साथियों,
ये जंगलराज वाले, तुष्टिकरण की राजनीति में एक कदम और आगे बढ़ गए हैं। ये अब घुसपैठियों का सुरक्षा कवच बन रहे हैं। हमारी सरकार गरीबों को मुफ्त अनाज-मुफ्त इलाज की सुविधा देती है। RJD-कांग्रेस के नेता कहते हैं ये सुविधा घुसपैठियों को भी देना चाहिए। गरीब को जो पक्का आवास हम दे रहे हैं, वो घुसपैठियों को भी देना चाहिए ऐसा कह रहे हैं। मैं जरा आपसे पूछना चाहता हूं, क्या आपके हक का अनाज घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके हक का आवास घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके बच्चों का रोजगार घुसपैठियों को जाना चाहिए क्या? भाइयों-बहनों मैं आज कहना नहीं चाहता लेकिन तेलंगाना में उनके एक मुख्यमंत्री के भाषण की बड़ी चर्चा चल रही है। लेकिन दिल्ली में एयरकंडीसन कमरों में जो सेक्युलर बैठे हैं ना उनके मुंह में ताला लग गया है। उनका भाषण चौंकाने वाला है। मैं उसकी चर्चा जरा चुनाव के बाद करने वाला हूं। अभी मुझे करनी नहीं है। लेकिन मैं आपसे कहना चाहता हूं मैं आपको जगाने आया हूं। मैं आपको चेताने आया हूं। इनको, कांग्रेस आरजेडी इन जंगलराज वालों को अगर गलती से भी वोट गया तो ये पिछले दरवाज़े से घुसपैठियों को भारत की नागरिकता दे देंगे। फिर आदिवासियों के खेतों में महादलितों-अतिपिछड़ों के टोलों में घुसपैठियों का ही बोलबाला होगा। इसलिए मेरी एक बात गांठ बांध लीजिए। आपका एक वोट घुसपैठियों को रोकेगा। आपका एक वोट आपकी पहचान की रक्षा करेगा।

साथियों,
नरेंद्र और नीतीश की जोड़ी ने बीते वर्षों में यहां रोड, रेल, बिजली, पानी हर प्रकार की सुविधाएं पहुंचाई हैं। अब इस जोड़ी को और मजबूत करना है। पीएम किसान सम्मान निधि के तहत...किसानों को अभी छह हज़ार रुपए मिलते हैं।बिहार में फिर से सरकार बनने पर...तीन हजार रुपए अतिरिक्त मिलेंगे। यानी कुल नौ हज़ार रुपए मिलेंगे। मछली पालकों के लिए अभी पीएम मत्स्य संपदा योजना चल रही है। केंद्र सरकार...मछली पालकों को किसान क्रेडिट कार्ड दे रही है। अब NDA ने..मछुआरे साथियों के लिए जुब्बा सहनी जी के नाम पर नई योजना बनाने का फैसला लिया है। इसके तहत मछली के काम से जुड़े परिवारों को भी नौ हज़ार रुपए दिए जाएंगे।

साथियों,
डबल इंजन सरकार का बहुत अधिक फायदा...हमारी बहनों-बेटियों को हो रहा है। हमारी सरकार ने..बेटियों के लिए सेना में नए अवसरों के दरवाज़े खोले हैं...सैनिक स्कूलों में अब बेटियां भी पढ़ाई कर रही हैं। यहां नीतीश जी की सरकार ने...बेटियों को नौकरियों में आरक्षण दिया है। मोदी का मिशन है कि बिहार की लाखों बहनें...लखपति दीदी बनें। नीतीश जी की सरकार ने भी जीविका दीदियों के रूप में, बहनों को और सशक्त किया है।

साथियों,
आजकल चारों ओर मुख्यमंत्री महिला रोजगार योजना की चर्चा है। अभी तक एक करोड़ 40 लाख बहनों के बैंक-खाते में दस-दस हज़ार रुपए जमा हो चुके हैं। NDA ने घोषणा की है कि फिर से सरकार बनने के बाद...इस योजना का और विस्तार किया जाएगा।

साथियों,
बिहार आज विकास की नई गाथा लिख रहा है। अब ये रफ्तार रुकनी नहीं चाहिए। आपको खुद भी मतदान करना है...और जो साथी त्योहार मनाने के लिए गांव आए हैं... उनको भी कहना है कि वोट डालकर ही वापस लौटें...याद रखिएगा...जब हम एक-एक बूथ जीतेंगे...तभी चुनाव जीतेंगे। जो बूथ जीतेगा वह चुनाव जीतेगा। एक बार फिर...मैं अपने इन साथियों के लिए, मेरे सभी उम्मीदवारों से मैं आग्रह करता हूं कि आप आगे आ जाइए.. बस-बस.. यहीं रहेंगे तो चलेगा.. मैं मेरे इन सभी साथियों से उनके लिए आपसे आशीर्वाद मांगने आया हूं। आप सभी इन सब को विजयी बनाइए।

मेरे साथ बोलिए...
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
वंदे... वंदे... वंदे... वंदे...
बहुत-बहुत धन्यवाद।