"ডিবিটিকে আরো কার্যকর করে তুলতে ই-রুপী ভাউচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে : প্রধানমন্ত্রী
যাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে তাদের স্বচ্ছভাবে পুরো অর্থ পেতে ই-রুপী ভাউচার সাহায্য করবে : প্রধানমন্ত্রী
ই-রুপী কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য অথবা কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে : প্রধানমন্ত্রী

নমস্কার,
এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল,উপরাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আমার সহকর্মীরা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিব, বিভিন্ন শিল্প সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সহযোগীরা, স্টার্ট-আপ, ফিনটেকের থেকে যুক্ত আমার যুব বন্ধুরা, ব্যাঙ্কের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা এবং আমার প্রিয় ভাই এবং বোনেরা,
আজ দেশ ডিজিটাল গভর্নেন্সকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে। দেশে ডিজিটাল লেনদেন এবং ডিবিটি বা প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরকে আরো কার্যকর করে তুলতে ই-রুপী ভাউচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এরফলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে, স্বচ্ছভাবে সম্পূর্ণ অর্থ পৌঁছে দিতে অনেক বড় সাহায্য হবে। একুশ শতাব্দীর ভারত, আজ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এগিয়ে চলেছে, প্রযুক্তিকে মানুষের জীবনের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছে, ই-রুপী তারই আরেক প্রতীক। আর আমি খুশি যে এর সূচনা সেই সময়ে হচ্ছে, যখন দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। আর এইসময়ে দেশ ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে এধরণের সংস্কারের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বন্ধুরা,
শুধু সরকারই নয়, যে কোনো সাধারন সংস্থা অথবা সংগঠন যদি কোনো ব্যক্তি বিশেষের চিকিৎসা বা শিক্ষার জন্যে অথবা অন্য যেকোনো কাজের জন্যে অর্থ সাহায্য করতে চায়, তাহলে তাঁরা নগদ অর্থের পরিবর্তে ই-রুপী ভাউচার ব্যবহার করতে পারবেন। এরফলে, কোনো কাজের জন্য তিনি যে অর্থ দেবেন, সেটি নিশ্চিতভাবে সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত হবে। এইমুহূর্তে, এই প্রকল্প দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সুবিধাগুলির ক্ষেত্রে চালু করা হচ্ছে।
ধরা যাক, কোনো সংগঠন সেবা করার মনোভাব নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে দরিদ্র মানুষদের টিকাকরণের কাজে সাহায্য করতে চায়। এই সংগঠন সরকারের তরফে যে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তার লাভ নিতে চাইছে না। এক্ষেত্রে সংগঠনটি যদি বেসরকারী হাসপাতাল গুলিতে যে টাকা দিয়ে টিকা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে ১০০জন দরিদ্রের টিকাকরণের খরচ দিতে চান তবে তিনি সেই ১০০জন দরিদ্রদের জন্যে ই–রুপী ভাউচার দিতে পারবেন। ই-রুপী ভাউচার নিশ্চিত করবে যে ওই সংশ্লিষ্ট অর্থের ব্যবহার টিকাকরণের জন্যেই হবে, কোনো অন্য কাজের জন্যে নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরসঙ্গে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রকে যুক্ত করা হবে। যেমন কেউ কোনো ব্যক্তির চিকিৎসার জন্যে খরচ করতে চান, কেউ যক্ষ্মা রোগীদের সঠিক ওষুধ এবং ভোজনের জন্যে আর্থিক সহায়তা করতে চান, অথবা শিশু, গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার এবং পুষ্টি সংক্রান্ত পরিষেবা দিতে চায়, তাঁদের জন্যে ই-রুপী অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে। অর্থাৎ, ই-রুপী এক অর্থে নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্যে নির্দিষ্ট কাজে সাহায্য করবে।
এই ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তিকে অথবা কোনো প্রকল্পকে সাহায্য করার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হবে, সেই টাকা পুরো ব্যবহার করার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। এখন কেউ যদি বৃদ্ধাশ্রমে ২০টি নতুন শয্যা তৈরি করতে চায়, তাহলে ই-রুপী ভাউচার তাঁকে সাহায্য করবে।
কেউ কোনো অঞ্চলে ৫০জন দরিদ্রদের জন্যে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে চায়, তো ই-রুপী ভাউচার সেই সাহায্য করবে। যদি কেউ গোশালায় পশুখাদ্য প্রদান করতে চান, তো ই-রুপী ভাউচার সেক্ষেত্রে তাঁকে সাহায্য করবে।
এবার যদি একে আমরা রাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে দেখি তো, সরকারের তরফে বই কেনার জন্যে অর্থ পাঠানো হলে, ই-রুপী এটা নিশ্চিত করবে যে সেই অর্থ দিয়ে যাতে বই-ই কেনা হয়। যদি ইউনিফর্মের জন্যে অর্থ পাঠানো হয়, তাহলে তা সেই কাজেই ব্যবহার করা হবে।
যদি ভর্তুকি যুক্ত খাদ্যের জন্যে সাহায্য প্রদান করা হয়েছে, তবে তা খাদ্য কেনার কাজেই খরচা করা হবে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে প্রদান করা নগদ অর্থের দ্বারা শুধু পুষ্টিকর আহারেরই ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ, যে উদ্দেশ্যে অর্থ প্রদান করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যেই তা ব্যবহৃত হবে, ই-রুপী ভাউচার তা নিশ্চিত করবে।
বন্ধুরা,
আগে আমাদের দেশের কিছু মানুষ চাইতো এবং তাঁরা তা বলতেনও, প্রযুক্তি শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিদের জন্যে। ভারতের মতো দরিদ্র দেশের ক্ষেত্রে সেই প্রযুক্তির কী প্রয়োজন? আমাদের সরকার যখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার উপর গুরুত্বের কথা বলতো, সেই সময় কিছু রাজনৈতিক নেতা নেত্রী এবং বিশেষজ্ঞ এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। কিন্তু আজ দেশ সেই সব মানুষদের ভাবনা চিন্তাকে অগ্রাহ্য করেছে এবং তাদের ভাবনা যে ভুল সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
দেশ এখন অন্যরকম চিন্তাভাবনা করছে, নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছে। আজ আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করার, তাঁদের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে দেখছি। সারা বিশ্ব এখন দেখছে ভারত কীভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে এসেছে, প্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে সাধারন মানুষের ওপর থেকে সরকারি লালফিতের ফাঁস আলগা করছে।
আপনারা আজকেরই এই বিশেষ জিনিসটিকে দেখুন, আজ আমরা এই পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি কারন, দেশ জনধন খাতা খুলতে, সেগুলিকে মোবাইল এবং আধারের সঙ্গে যুক্ত করতে এবং জ্যাম-এর মতো ব্যবস্থার জন্য অনেক বছর ধরে পরিশ্রম করেছে। যখন জ্যাম শুরু করা হয়েছিল, তখন অনেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। কিন্তু লকডাউনের সময় আমরা এর গুরুত্ব বুঝতে পারি। যখন বিশ্বের বড় বড় দেশ চিন্তায় পড়ে গেছিল যে লকডাউনে তাঁদের দরিদ্রদের সাহায্য কীভাবে করা সম্ভব হবে, তখন ভারতের কাছে পুরো ব্যবস্থা তৈরি ছিল। অন্যান্য দেশ যখন নতুন করে পোস্ট অফিস এবং ব্যাঙ্ক খুলতে বাধ্য হচ্ছিল, তখন ভারতে সরাসরি মহিলাদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা পাঠানো হচ্ছিল।
ভারতে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থ সরাসরি পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র এখন ৩০০র বেশি প্রকল্পে প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায়কে ব্যবহার করছে। প্রায় ৯০ কোটি ভারতীয় এই ব্যবস্থায় উপকৃত হয়েছেন। রান্নার গ্যাস, রেশন, চিকিৎসার জন্য অর্থ, বৃত্তি, পেনশন অথবা বেতন দেওয়ার জন্য ডিজিট্যাল মাধ্যমে এরকম অনেক সুবিধা পাওয়া গেছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এইবার তো কৃষকেরা সরকারিভাবে যখন গম বিক্রি করেছেন, তার ৮৫ হাজার কোটি টাকা এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এই সমস্ত ব্যবস্থায় সব থেকে যেটি সুবিধা হয়েছে, তা হল ১ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ভুল লোকের হাতে পড়ার থেকে বেঁচে গেছে।
বন্ধুরা,
ভারত আজ সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে প্রযুক্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং এরসঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে সে কারও থেকে পিছিয়ে নেই। উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে হোক, পরিষেবা বিতরনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হোক, ভারত বিশ্বের বড় বড় দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বিগত ৭ বছরে, ভারত নিজেদের উন্নয়নে যে গতি এনেছে, তাতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনি ভাবুন, ৮-১০ বছর আগে, কেউ ভাবতে পারতো যে টোল বুথে কোটি কোটি গাড়ি কোনো প্রত্যক্ষ লেনদেন ছাড়াই পার হতে পারবে? কিন্তু ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে তা আজ সম্ভব হয়েছে।
৮-১০ বছর আগে কেউ ভাবতে পেরেছিল, সুদূর গ্রামে বসে থাকা কোনও হস্তশিল্পী নিজেদের জিনিস সরাসরি দিল্লির কোনও সরকারি দপ্তরে বিক্রি করতে পারবেন? গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট প্লেস আজ তা সম্ভব করেছে।
৮-১০ বছর আগে কেউ ভাবতে পেরেছিল, ভারতে এমএসএমই সেক্টরের ব্যবসায়ীরা মাত্র ৫৯ মিনিটে ঋণ পেয়ে যাবেন। ভারতে আজ এসব সম্ভব। আর এভাবেই ৮-১০ বছর আগে আপনারা কি ভেবেছিলেন যে কোনও কাজের জন্যে ডিজিটাল ভাউচার পাঠাবেন, আর কাজ হয়ে যাবে? ই-রুপীর মাধ্যমে আজ এটাও সম্ভব হয়েছে।
আমি আপনাদের এরকম অনেক উদাহরণ দিতে পারি। এই মহামারীর মধ্যেও দেশ প্রযুক্তির শক্তি উপলব্ধি করেছে। আরোগ্য সেতু অ্যাপের উদাহরণও আমাদের সামনে রয়েছে। আজ এই অ্যাপটি সবথেকে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলির মধ্যে একটি। একইভাবে, কোউইন পোর্টালও আমাদের টিকা কর্মসূচিতে দেশবাসীকে সাহায্য করছে, টিকা কেন্দ্র নির্বাচন, রেজিস্ট্রেশন, টিকার সার্টিফিকেট পেতে।
যদি পুরোনো ব্যবস্থা চালু থাকত, তাহলে টিকা নেওয়ার পর সার্টিফিকেটের জন্য দৌড়াতে হতো। এমনকি বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশে আজ কাগজে হাতে লিখে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভারতবাসী এক ক্লিকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করছে। সেই কারণেই, আজ ভারতের কোউইন পদ্ধতি বিশ্বের অনেক দেশকে আকৃষ্ট করছে। ভারত এটি বিশ্বের সঙ্গে ভাগও করে নিয়েছে।

 

বন্ধুরা,
আমার মনে আছে, ৪ বছর আগে যখন ভীম অ্যাপের সূচনা হয়েছিল, তখন আমি বলেছিলাম যে কিছুদিনের মধ্যেই বেশিরভাগ ব্যবসায়িক লেনদেন নগদ টাকাপয়সার পরিবর্তে ডিজিটালি করা হবে। তখন আমি এটাও বলেছিলাম যে এই পরিবর্তনের ফলে দরিদ্র, বঞ্চিত, ছোটো ব্যবসায়ী, কৃষক, জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষদের ক্ষমতায়ন হবে, তাঁরা ক্ষমতাবান হবেন। আজ আমরা এটা প্রত্যক্ষ্ অনুভব করেছি। প্রতিমাসে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। জুলাই মাসে ইউপিআই –এর মাধ্যমে ৩০০ কোটি লেনদেন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন সম্ভব হয়েছে। এখন চা-ওয়ালা, জুস-ওয়ালা, ফল ও সব্জী বিক্রেতাও এর ব্যবহার করছে।

একইসঙ্গে ভারতের রুপে কার্ড দেশের গর্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি সিঙ্গাপুর- ভুটানেও চালু করা হয়েছে। আজ দেশে ৬৬ কোটি রুপে কার্ড রয়েছে এবং দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেনও রুপে কার্ডের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এই কার্ড দরিদ্রদেও ক্ষমতায়ণ করছে। তাঁদের এটা অনুভব করাতে সাহায্য করছে যে তাঁদের কাছেও ডেবিট কার্ড রয়েছে এবং তাঁরা সেটির ব্যবহার করতে পারেন।

 

বন্ধুরা,
প্রযুক্তির মাধ্যমে দরিদ্ররা কীভাবে ক্ষমতাবান হতে পারেন তাঁর আরেকটি উদাহরণ হল- পিএম স্বনিধি যোজনা। আমাদের দেশে যে হকারেরা রয়েছেন, ঠেলাগাড়িওয়ালারা রয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে আগে কখনও ভাবা হয়নি। নিজেদের কাজের উন্নতির জন্যে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। যেহেতু ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশনের কোনও ইতিহাস ছিলো না, কোনও কাগজপত্র ছিলো না, তাই আমাদের রাস্তার বিক্রেতারা ঋণ নেওয়ার জন্যে প্রথম পদক্ষেপও নিতে পারতো না। এই বিষয়টি উপলব্ধি করেই, আমাদের সরকার পিএম স্বনিধি যোজনা শুরু করে। আজ, দেশের ছোট এবং বড় শহরে, এই স্কিমের আওতায় ২৩ লক্ষেরও বেশি রাস্তার বিক্রেতা এবং ঠেলাওয়ালাদের সাহায্য করা হয়েছে। এই করোনার সময়ে, তাদের প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই দরিদ্র বন্ধুরা এখন ডিজিটাল লেনদেন করছে এবং তাদের ঋণ পরিশোধ করছে। অর্থাৎ এখন তাদের লেনদেনের একটি ডিজিটাল ইতিহাস তৈরি হচ্ছে।
পিএম স্বনিধি যোজনায় ব্যবস্থা করা হয়েছে যে, প্রথম ১০,০০০ টাকার ঋণ শোধ করলে, ২০ হাজার টাকার দ্বিতীয় ঋণ এবং দ্বিতীয় ঋণ শোধ করার পর, ৫০ হাজারের তৃতীয় ঋণ রাস্তার হকারদের দেওয়া হবে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে আজ শত শত রাস্তার হকার এবং বিক্রেতারা এখন তৃতীয় ঋণ পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বন্ধুরা,

বিগত ৬-৭ বছরে ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং ডিজিটাল লেনদেনের জন্যে যে কাজ হয়েছে, তা আজ সারা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। বিশেষ করে ভারতে ফিনটেকের বড় আধার তৈরি হয়েছে। অনেক বড় বড় দেশেও এরকম ভিত তৈরি হয়নি। দেশবাসীদের ইতিবাচক মানসিকতা, তাঁদের মধ্যে ফিনটেক সমাধানগুলিকে গ্রহণ করতে পারার অসীম ক্ষমতা রয়েছে। সেইজন্যে আজ ভারতের যুব সম্প্রদায়, ভারতের স্টার্ট- আপ সংস্থাগুলির সামনে ভালো সুযোগ রয়েছে। ভারতের স্টার্ট-আপগুলির জন্যে ফিনটেকে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্ধুরা,

আমি নিশ্চিত ই-রুপী ভাউচারও সাফল্যের নতুন অধ্যায় লিখবে। আমাদের ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য পেমেন্ট গেটওয়ে এর বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাদের শত শত বেসরকারি হাসপাতাল, কর্পোরেট, শিল্প, এনজিও এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। আমি রাজ্য সরকারগুলিকে তাদের স্কিমের সঠিক এবং সম্পূর্ণ সুবিধা নিশ্চিত করতে ই-রুপীর সর্বাধিক ব্যবহার করার আহ্বান জানাই। আমি নিশ্চিত যে আমাদের সকলের এইরকম একটি ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব একটি সৎ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা তৈরিতে আরও উৎসাহ দেবে।
আরও একবার দেশবাসীদের এই বড় সংস্কারের জন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভকামনা!
ধন্যবাদ!

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।