প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তামিলনাড়ুর গোঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরাম মন্দিরে আদি থিরুভাথিরাই উৎসবে ভাষণ দিয়েছেন। সর্বশক্তিমান ভগবান শিবের কাছে মাথা নত করে রাজারাজা চোলের পবিত্র ভূমিতে স্বর্গীয় শিব দর্শনের মাধ্যমে গভীর আধ্যাত্মিক প্রাণশক্তির অভিজ্ঞতার প্রতিফলনে, শ্রী ইলাইয়া রাজার সঙ্গীতের সাহচর্যে এবং অধুভারের পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে শ্রী মোদী মন্তব্য করেন যে এই আধ্যাত্মিক পরিবেশ গভীরভাবে আত্মাকে সঞ্চালিত করে।
পবিত্র শ্রাবণ মাস এবং বৃহদীশ্বরর শিব মন্দির নির্মাণের ১০০০ বছর পূর্তির গুরুত্ব উল্লেখ করে শ্রী মোদী এই এক অসাধারণ মুহূর্তে ভগবান বৃহদীশ্বরর শিবের পদতলে উপস্থিত থাকার এবং মর্যাদাপূর্ণ মন্দিরে পুজো করার সুযোগ পাওয়ার কথা বলেন। তিনি ১৪০ কোটি দেশবাসীর কল্যাণ এবং দেশের অগ্রগতির জন্য ঐতিহাসিক বৃহদীশ্বরর শিবের কাছে প্রার্থনা করেন এবং আশাপ্রকাশ করেন যে, ভগবান শিবের আশীর্বাদ যেন পৌঁছায় প্রত্যেকের কাছে। উচ্চারণ করেন ভগবান শিবের পবিত্র মন্ত্র।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক আয়োজিত মানব কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের পূর্বপুরুষের পথ নির্দেশ সংক্রান্ত ১০০০ বছরের ইতিহাস নিয়ে প্রদর্শনীটি দেখার জন্য সাধারণ মানুষকে আবেদন জানান শ্রী মোদী। তিনি চিন্ময় মিশনে তামিল গীতা অ্যালবাম প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি বলেন যে, এই উদ্যোগ দেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণের সংকল্পকে প্রাণশক্তি যোগাবে। এই প্রয়াসের সঙ্গে জড়িতে প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান তিনি।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন চোল শাসকদের কথা যাঁরা শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যেক সম্পর্ক বিস্তার করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি একটি সমাপতন যে, মাত্র গতকালই তিনি মালদ্বীপ থেকে ফিরেছেন আর আজ তামিলনাড়ুতে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
পুঁথি থেকে উদ্ধৃতি দেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, যাঁরা ভগবান শিবের ধ্যান করেন, তাঁরা তাঁরই মতো শাশ্বত হয়ে যান। শ্রী মোদী বলেন, ভারতের চোল ঐতিহ্যের শিকড় গাঁথা আছে শিবের প্রতি অদম্য ভক্তির মধ্যে যা অমরত্ব অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজরাজ চোল এবং রাজেন্দ্র চোলের পরম্পরা ভারতের পরিচিতি এবং গর্বের সঙ্গে একইরকমভাবে সম্পৃক্ত।” তিনি বলেন, চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য ভারতের প্রকৃত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে এই ঐতিহ্য উন্নত ভারত গঠনে জাতীয় প্রত্যাশাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মহান রাজেন্দ্র চোলকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে তাঁর বহুকালের ঐতিহ্যকে স্বীকার করে তিনি এই কথা বলেন। এর সঙ্গেই উল্লেখ করেন যে, আদি থিরুভাথিরাই উৎসব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়, আজ তারই সমাপ্তি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে এবং এরজন্য যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহাসিকগণ মনে করেন, চোল আমল ভারতের স্বর্ণযুগের অন্যতম। যে যুগকে চেনা যায় তার সামরিক শক্তি দিয়ে।” চোল সাম্রাজ্য ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে এগিয়ে দিয়েছে যার সম্পর্কে সাধারণভাবে বিশ্ব অবহিত নয়। তিনি বলেন, যখন ঐতিহাসিকগণ গণতন্ত্রের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ব্রিটেনের ম্যাগনাকার্টার উল্লেখ করেন, তখন মনে রাখতে হবে যে চোল সাম্রাজ্য কুদাভোলাই আমাইয়িপ্পু ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েক শতাব্দী পূর্বেই গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্পন্ন করেছিল। শ্রী মোদী বলেন যে, বর্তমান বিশ্বে প্রায়ই আলোচনা কেন্দ্রীভূত হয় জল ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে, কিন্তু ভারতের পূর্বপুরুষগণ অনেক আগেই এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন যে, যখন অনেক রাজাকেই মনে রাখা হয়, অন্যান্য অঞ্চল থেকে সোনা, রুপো, গবাদি পশু হরণ করার জন্য, তখন রাজেন্দ্র চোলকে মনে রাখতে হয় পবিত্র গঙ্গাজল আনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন রাজেন্দ্র চোল উত্তরভারত থেকে গঙ্গাজল এনে দক্ষিণে স্থাপন করেছিলেন। তিনি সেই প্রবাদের উল্লেখ করেন, “গঙ্গা জলময়ম জয়স্তম্ভম”। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ওই জল চোল গঙ্গা হ্রদে ফেলা হয়েছিল যেটি এখন পরিচিত পন্নেরি লেক নামে।
রাজেন্দ্র চোল গোঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরাম মন্দির স্থাপন করেছিলেন যা সারা বিশ্বেই একটি আশ্চর্যজনক স্থাপত্য হিসেবে স্বীকৃত। তার উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন যে, মা কাবেরীর ভূমিতে গঙ্গার উদযাপনও চোল সাম্প্রাজ্যের একটি ঐতিহ্য। তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, এই ঐতিহাসিক কাহিনীর স্মরণে আরও একবার গঙ্গাজল আনা হয়েছে কাশী থেকে তামিলনাড়ুতে। এইখানেই পালিত হয়েছে আনুষ্ঠানিক পুজার্চনা। কাশীর নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মা গঙ্গার সঙ্গে তাঁর গভীর অনুভবী সংযোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চোল রাজাদের প্রয়াস এবং কর্মসূচি এক পরিত্র উদ্যোগ যা “এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত”-এর প্রতীক। এই উদ্যোগকে নতুন তাজা গতি যুগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, “চোল শাসকরা সাংস্কৃতিক ঐক্যের সূত্রে ভারতকে বেঁধেছিলেন। আজ আমাদের সরকার চোল যুগের সেই আদর্শকেই বয়ে নিয়ে চলেছে।” তিনি বলেন, কাশী-তামিল সঙ্গমম এবং সৌরাষ্ট্র-তামিল সঙ্গমমের মতো কর্মসূচি শতাব্দী প্রাচীন ঐক্যের বাঁধনকে আরও শক্তিশালী করছে। শ্রী মোদী আরও বলেন, তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরামের মতো প্রাচীন মন্দিরগুলির সংরক্ষণ করা হচ্ছে ভারতের পূরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষনের মাধ্যমে। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি, যেখানে শিব অধিনম –এর সন্ন্যাসীরা ওই অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিক পথনির্দেশের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র সেনগল তামিল ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত, সেটিকে সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে মুহূর্তটি তিনি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে স্মরণ করে থাকেন।

চিদাম্বরম নটরাজ মন্দিরে দীক্ষ্মিতারদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, তাঁরা তাঁকে পবিত্র মন্দিরের পবিত্র অর্ঘ্য উপহার দিয়েছিলেন, যে মন্দিরে নটরাজ রূপে ভগবান শিবের পূজো করা হয়। তিনি বলেন, নটরাজের এই রূপ ভারতের দর্শন এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তির প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভগবান নটরাজের আনন্দ তাণ্ডব মূর্তি দিল্লির ভারত মণ্ডপমে স্থান পেয়েছে যেখানে ২০২৩-এ বিশ্বনেতারা জি-২০ শিখর সম্মেলনের সময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।
সম্মানিত নায়ানমার সাধুদের ঐতিহ্য, তাঁদের ভক্তিমূলক সাহিত্য, তামিল সাহিত্যের অবদান এবং অধিনামদের আধ্যাত্মিক প্রভাবের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের শৈব ঐতিহ্য দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চোল সম্রাটরা এই সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রধান স্থপতি ছিলেন এবং তামিলনাড়ু প্রাণবন্ত শৈব ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে আজও বর্তমান।” তিনি বলেন যে, এইসব উপাদানগুলি সামাজিক এবং আধ্যত্মিক পরিমণ্ডলে নতুন যুগ এনেছে।
বিশ্ব বর্তমানে অস্থিরতা, হিংসা, পরিবেশগত সঙ্কটের মতো সমস্যার সম্মুখীন জানিয়ে শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন যে শৈব দর্শন অর্থবহ সমাধানের পথ দেখায়। তিনি তিরুমুলারের শিক্ষার উল্লেখ করেন, যিনি লিখেছিলেন, ‘আনবে শিবম’, যার অর্থ, ‘ভালোবাসাই শিব’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যদি বিশ্ব এই ভাবনাকে গ্রহণ করতে পারতো তাহলে অনেক সমস্যা নিজে থেকেই মিটে যেত। ভারত এই দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর আদর্শের মাধ্যমে।

শ্রী মোদী বলেন, “বর্তমানে ভারত ‘বিকাশ ভি, বিরাসত ভি’ মন্ত্র দ্বারা চালিত হচ্ছে এবং আধুনিক ভারত তার ইতিহাসের জন্য গর্বিত।” তিনি বলেন, গত এক দশকে দেশ তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছে। তিনি বলেন, প্রাচীন মূর্তি এবং শিল্প সামগ্রী যা চুরি হয়ে গেছিল এবং বিক্রি হয়ে গেছিল বিদেশে, সেগুলি ফিরিয়ে আনা হয়েছে ভারতে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০১৪ থেকে ৬০০-র বেশি প্রাচীন শিল্পসামগ্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬টি শিল্পসামগ্রী এই তামিলনাড়ুর। তিনি বলেন যে, নটরাজ, লিঙ্গদভাবার, দক্ষিণামূর্তি, অর্ধনারীশ্বর, নান্দিকেশ্বর, উমা পরমেশ্বরী, পার্বতী, সামবন্দরের মতো বহু মূল্যবান ঐতিহ্যশালী দ্রব্য এখন দেশে বিরাজ করছে।
ভারতের ঐতিহ্য এবং শ্বৈব দর্শনের প্রভাব আর ভৌগোলিক সীমানায় আবদ্ধ নয় জানিয়ে শ্রী মোদী মনে করিয়ে দেন যে যখন ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে ভূমিস্পর্শ করে, সেই জায়গাটির নাম দেওয়া হয় “শিবশক্তি” যা সারা বিশ্ব মেনে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চোল যুগে যে অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল, তা আধুনিক ভারতে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়ে গেছে; রাজারাজা চোল একটি শক্তিশালী নৌবহর গঠন করেছিলেন যাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিলেন রাজেন্দ্র চোল”। তিনি বলেন, চোল যুগে প্রশাসনিক সংস্কার হয়েছিল যার মধ্যে আছে স্থানীয় প্রশাসনের ক্ষমতায়ন এবং একটি শক্তিশালী রাজস্ব কাঠামো রূপায়ণ। তিনি বলেন যে ভারত বাণিজ্যিক অগ্রগতি, সমুদ্র পথের ব্যবহার এবং শিল্প সংস্কৃতির প্রসারের মাধ্যমে সর্বদিকে দ্রুত সমৃদ্ধি লাভ করেছিল। চোল সাম্রাজ্য নতুন ভারত গঠনের এক প্রাচীন পথনির্দেশ হিসেবে কাজ করেছে। শ্রী মোদী আরও জানান, উন্নত দেশ হতে গেলে ভারতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে ঐক্যের ওপর, শক্তিশালী করতে হবে নৌ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীকে, নতুন সুযোগ খুঁজতে হবে এবং মৌলিক মূল্যবোধকে রক্ষা করতে হবে। তিনি সন্তোষপ্রকাশ করে বলেন যে এই দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে।

বর্তমানে ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার ওপর সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অপারেশন সিঁদুরের উল্লেখ করেন। জানান যে, বিশ্ব দেখেছে তার সার্বভৌমত্বের ওপর যেকোনও ধরনের আঘাতে ভারত দৃঢ় এবং নিশ্চিত জবাব দিতে পারে। তিনি বলেন, ওই অপারেশন একটি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে যে জঙ্গি এবং দেশের শত্রুদের জন্য কোনও স্থানই সুরক্ষিত নয়। তিনি আরও বলেন, অপারেশন সিঁদুর ভারতের মানুষের মধ্যে এক নতুন আত্মবিশ্বাস জাগিয়েছে এবং সারা বিশ্ব তা দেখছে। শ্রী মোদী রাজেন্দ্র চোলের ঐতিহ্যের সঙ্গে এক ভাবনাঋদ্ধ সমান্তরাল রেখা টানেন। উল্লেখ করেন গোঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরাম নির্মাণের। গভীর শ্রদ্ধা থেকেই এই মন্দিরের গোপুরম নির্মিত হয়েছিল তাঁর বাবার তৈরি থাঞ্জাভুরের বৃহদীশ্বরর মন্দিরের উচ্চতার থেকে কম উচ্চতা নিয়ে। নানা সাফল্য সত্বেও রাজেন্দ্র চোল ছিলেন বিনয়ের প্রতিরূপ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের নতুন ভারত এই একই মনোভাব পোষণ করছে। শক্তিশালী হলেও বিশ্ব কল্যাণ এবং একতার মূল্যবোধের মধ্যে শিকড় প্রোথিত।”

ভারতের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বের মনোভাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প পুনরায় জানিয়ে শ্রী মোদী ঘোষণা করেন, রাজরাজ চোল এবং তাঁর ছেলে বহুখ্যাত শাসক প্রথম রাজেন্দ্র চোলের একটি বৃহৎ মূর্তি আগামীদিনে তামিলনাড়ুতে স্থাপন করা হবে। তিনি জানান, এই মূর্তিগুলি ভারতের ইতিহাস সচেতনতার আধুনিক স্তম্ভ হিসেবে কাজ করবে। আজ ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামের প্রয়াণ বার্ষিকী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত ভারত গড়তে হলে দেশের প্রয়োজন ডঃ কালাম এবং চোল রাজাদের মতো লক্ষ লক্ষ যুবা। সমাপ্তিতে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সেইরকম যুবা যারা শক্তি এবং ভক্তিতে পূর্ণ, যারা ১৪০ কোটি ভারতীয়ের স্বপ্ন পূরণ করবে। তিনি বলেন, একসঙ্গে আমরা এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের সংকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং এই উপলক্ষ্যে তিনি সারা দেশকে শুভেচ্ছা জানান।

মাননীয় সন্ন্যাসীগণ, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ এল মুরুগন উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিশিষ্টজনদের সঙ্গে।
সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
Rajaraja Chola and Rajendra Chola symbolise India's identity and pride.
— PMO India (@PMOIndia) July 27, 2025
The history and legacy of the Chola Empire reflect the strength and true potential of our great nation. pic.twitter.com/3YrRyQJxlj
The Chola era was one of the golden periods of Indian history.
— PMO India (@PMOIndia) July 27, 2025
This period is distinguished by its formidable military strength. pic.twitter.com/RIMsri522c
Rajendra Chola established the Gangaikonda Cholapuram Temple.
— PMO India (@PMOIndia) July 27, 2025
Even today, this temple stands as an architectural wonder admired across the world. pic.twitter.com/CswBrMsYUp
The Chola emperors had woven India into a thread of cultural unity.
— PMO India (@PMOIndia) July 27, 2025
Today, our government is carrying forward the same vision of the Chola era.
Through initiatives like the Kashi-Tamil Sangamam and the Saurashtra-Tamil Sangamam, we are strengthening these centuries-old bonds of… pic.twitter.com/5kFCZ02WZ3
When the new Parliament building was inaugurated, the saints from our Shaivite Adheenams led the ceremony spiritually.
— PMO India (@PMOIndia) July 27, 2025
The sacred Sengol, deeply rooted in Tamil culture, has been ceremoniously installed in the new Parliament. pic.twitter.com/mWhBB8O2Qw
Our Shaivite tradition has played a vital role in shaping India's cultural identity.
— PMO India (@PMOIndia) July 27, 2025
The Chola emperors were key architects of this legacy. Even today, Tamil Nadu remains one of the most significant centres where this living tradition continues to thrive. pic.twitter.com/jjFmDinKTs
The economic and military heights India reached during the Chola era continue to inspire us even today.
— PMO India (@PMOIndia) July 27, 2025
Rajaraja Chola built a powerful navy, which Rajendra Chola further strengthened. pic.twitter.com/acdUWLHTdO


