“বুদ্ধ চেতনা চিরন্তন”
“ভগবান বুদ্ধ-র কোটি কোটি অনুগামীর সঙ্কল্প বিশ্বের কল্যাণের জন্য”
“ভগবান বুদ্ধের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে ভারত বিশ্ব কল্যাণের জন্য নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে”
“ভারত প্রতিটি মানুষের দুঃখকে নিজের দুঃখ বলে মনে করে”
“আইবিসি-র মতো প্ল্যাটফর্ম সম-মনস্ক দেশগুলিকে সুযোগ দিচ্ছে বৌদ্ধ ধম্ম এবং শান্তির প্রসারে”
“সময়ের দাবি, প্রত্যেক ব্যক্তি এবং দেশকে অগ্রাধিকার দিতে হবে নিজ দেশের স্বার্থের পাশাপাশি সারা বিশ্বের স্বার্থকে”
“সমস্যা থেকে সমাধানে পৌঁছনোর যাত্রাই বুদ্ধ-র প্রকৃত যাত্রা”
“বর্তমানের সময়ের সব সমস্যার সমাধান ভগবান বুদ্ধ-র সেই প্রাচীন শিক্ষার মাধ্যমেই পাওয়া”
“বৌদ্ধ পন্থাই ভবিষ্যতের পন্থা এবং দীর্ঘস্থায়িত্বের পন্থা”
“পরিবেশের জন্য জীবনশৈলীর ওপর আলোকপাত করে অথবা ‘মিশন LIFE’-এর যে উদ্যোগ ভারত নিয়েছে তা বুদ্ধ থেকে অনুপ্রেরণার প্রভাবেই”

নমো বুদ্ধায়! 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ শ্রী কিরেন রিজিজুজি, জি কিষাণ রেড্ডিজি, শ্রী অর্জুন রাম মেঘোয়ালজি, মীনাক্ষী লেখিজি, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সঙ্ঘের মহাসচিব, ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমস্ত সন্ন্যাসীবৃন্দ, অন্য অভ্যাগতগণ এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

 

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনারা এসেছেন আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ শিখর সম্মেলনের উদ্বোধনে অংশ নিতে। বুদ্ধের এই ভূমিতে প্রথাই হল – ‘অতিথি দেব ভবঃ’ অর্থাৎ, অতিথিরা আমাদের কাছে ভগবানতুল্য। কিন্তু যখন অনেক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা বুদ্ধ-র আদর্শে জীবনযাপন করেছেন, আমাদের সম্মুখে উপস্থিত তখন বুদ্ধ আমাদেরকে ঘিরে রয়েছে এরকম অনুভূতি জন্ম নেয়। বুদ্ধ হলেন একজন ব্যক্তির ঊর্ধ্বে, একটি ধারণা। বুদ্ধ হল একটি চিন্তাধারা যা ব্যক্তিকে ছাপিয়ে যায়। বুদ্ধ হল এমন চিন্তাধারা যা আকারের ঊর্ধ্বে। বুদ্ধ হল এমন এক চেতনা যা প্রকাশের ঊর্ধ্বে। বুদ্ধ-র এই চেতনা অনন্ত, অবিরাম। এই অনুভূতি স্বতন্ত্র।

এই কারণেই বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে মানুষেরা যে আজ এখানে এসেছেন তা ভগবান বুদ্ধ-র এক চেতনার প্রসার যা সমগ্র মানবতাকে একসূত্রে বেঁধেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি বৌদ্ধ অনুরাগীদের শক্তিকে আমরা অনুভব করতে পারি। যখন তাঁরা একত্রে কোনও সঙ্কল্প নেন তখন সেই শক্তি অসীম আকার নিতে পারে।

 

যখন এত অনন্ত মানুষ বিশ্বের উন্নত ভবিষ্যতের এক ভাবধারায় স্থিত, তখন তার ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ এক চেতনার আধার হতে বাধ্য। বস্তুতপক্ষে আমি বিশ্বাস করি, প্রথম আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ শিখর সম্মেলন একটি কার্যকরি মঞ্চ গড়ে তুলবে যেখানে সমস্ত দেশ এই লক্ষ্যে কর্মে ব্রতী হবে। ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রক এবং আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ মহাসঙ্ঘকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

এই শিখর সম্মেলনের সঙ্গে আমার আত্মিক যোগের একটি অন্য কারণও আছে। গুজরাটের ভাদনগর, যেখানে আমার জন্ম, বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে তার এক নিবিড় যোগ রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক পুরাতাত্ত্বিক দৃষ্টান্ত ভাদনগরে পাওয়া যায়। এক সময় বৌদ্ধ পর্যটক হিউয়েন সাং ভাদনগর ভ্রমণ করেছিলেন। প্রদর্শনীতে বিস্তারিতভাবে এই সমস্ত কিছুকে তুলে ধরা হয়েছে। আমার জন্ম ভাদনগরে, আমি কাশীর সাংসদ, সারনাথও সেখানে অবস্থিত, - এই সংযোগটি আপনারা লক্ষ্য করুন।

 

বন্ধুগণ,

আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ শিখর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন এক সময়ে যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে এবং স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। এই অমৃতকালে ভবিষ্যতের জন্য ভারতের লক্ষ্য অপার এবং বিশ্বকল্যাণে রয়েছে অনন্ত সঙ্কল্প। আজ বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র ভারত নব উদ্যোগ নিয়েছে। এইসব উদ্যোগের পেছনে আমাদের সর্ববৃহৎ প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন ভগবান বুদ্ধ।

বন্ধুগণ,

বুদ্ধ-র পথ – ‘পরিযাত্তি’, ‘পতিপত্তি’ এবং ‘পতিভেদা’ অর্থাৎ তত্ত্ব, ব্যবহার এবং অনুধাবন সম্পর্কে আপনারা সকলেই অবহিত। ভারত গত ৯ বছরে এই তিন ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আমরা সব সময়েই ভগবান বুদ্ধ-র আদর্শকে প্রচার করেছি। ভগবান বুদ্ধ-র এই শিক্ষাকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে একটা আত্মনিবেদনের অনুভূতি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। 

 

সর্বাগ্রে রয়েছে ‘পতিপত্তি’ যার ফলে ভারত ও নেপালে বৌদ্ধ সার্কিট গড়ে তোলা, সারনাথ এবং কুশিনগরের মতো ধর্মীয় স্থানগুলিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা, কুশিনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ, লুম্বিনীতে বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ ভারত এবং আইবিসি-র সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে। ভগবান বুদ্ধ-র শিক্ষার এ এক উত্তরাধিকার যে ভারত প্রত্যেক মানবের দুঃখকে তার নিজের বলে মনে করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি মিশনই হোক, তুরস্কে ভূমিকম্পের বিপর্যয়ই হোক, মানুষের যে কোনও সঙ্কটের মুহূর্তে ভারত পূর্ণ শক্তি এবং মানবিক চেতনা নিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ সারা বিশ্ব ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের অনুভূতিকে প্রত্যক্ষ করছে, বুঝতে পারছে এবং গ্রহণ করছে। আমি বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ মহাসঙ্ঘের এই ফোরাম এই অনুভূতিরই নতুন করে বিস্তার ঘটাচ্ছে। সমমনোভাবাপন্ন এবং সহৃদয় দেশগুলিকে তা নতুন করে সুযোগ করে দেবে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার এবং শান্তির বাতাবরণ গড়ে তোলার জন্য। সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জগুলি আমরা কি করে গ্রহণ করব তা নিয়ে আলোচনা কেবল প্রাসঙ্গিকই নয়, বিশ্বের কাছে নতুন আশার এই উজ্জ্বল রেখাও তা রচনা করবে। 

আমাদেরকে স্মরণে রাখতে হবে, সমস্যা থেকে সমাধানের পথই হল বুদ্ধ-র আসল যাত্রা। বুদ্ধ প্রাসাদ ছেড়ে গিয়েছিলেন তাঁর কোনও সমস্যা ছিল বলে নয়, বুদ্ধ প্রাসাদ ছেড়েছিলেন, রাজকীয় বিলাসিতা ছেড়েছিলেন কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন তাঁর বিলাসিতার এই বৈভব রয়েছে বটে, অথচ অন্যদের জীবন দুর্দশাদীর্ণ। আমরা যদি বিশ্বকে সুখী করতে চাই তাহলে পরিপূর্ণ অর্থে বুদ্ধ-র এই মন্ত্রে বলিয়ান হয়ে নিজত্ব এবং সঙ্কীর্ণ আত্মচেতনার ঊর্ধ্বে আমাদের উঠতে হবে। আমাদের চারিদিকে দারিদ্র্যদীর্ণ মানুষের কথা আমাদেরকে ভাবতে হবে। আমাদের সেইসব দেশগুলির কথা ভাবতে হবে যারা সম্পদের সঙ্কটের মোকাবিলা করছে। এটাই একমাত্র পথ এক উন্নত ও সক্ষম বিশ্ব গড়ে তোলার এবং এটা প্রয়োজনীয়ও বটে। আজ এটা সময়ের দাবি এবং প্রত্যেক ব্যক্তির অগ্রাধিকার যে প্রত্যেক মানুষ বিশ্বের স্বার্থে নিবেদিত হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব স্বার্থ, সেইসঙ্গে দেশের স্বার্থ – এই লক্ষ্যে নিযুক্ত হতে হবে। 

বন্ধুগণ,

আন্তর্জাতিকভাবে এটা মনে করা হচ্ছে যে বর্তমান সময় এই শতাব্দীর সবথেকে চ্যালেঞ্জিং সময়। আজ একদিকে যখন দুটি দেশ মাসের পর মাস ধরে যুদ্ধ করে চলেছে, অন্যদিকে বিশ্ব আর্থিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে চলেছে। সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মীয় মৌলবাদের বিপদ মানবতার আত্মাকে দীর্ণ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন সমগ্র মানবতার অস্তিত্বের ক্ষেত্রে এক বিপদস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিমবাহ গলছে, পরিবেশগত ভারসাম্য ধ্বংস হচ্ছে এবং বিভিন্ন জীবের বিনাশ ঘটছে। এসবের মধ্যেও আমাদের মতো এরকম লক্ষ লক্ষ মানুষ রয়েছেন বুদ্ধের প্রতি যাঁদের নিষ্ঠা অবিচল। সমস্ত জীবের কল্যাণে যাঁরা বিশ্বাস করেন, এই বিশ্বাস, এই আস্থা ধরিত্রীর সবথেকে বড় শক্তি। সমস্ত আশা যখন একত্রিত হয়, বুদ্ধ-র ‘ধম্ম’ তখন বিশ্বের বিশ্বাস হয়ে ওঠে। বুদ্ধ-র চেতনা তখন মানবতার বিশ্বাসের রূপ নেয়।

 

বন্ধুগণ,

আধুনিক বিশ্বে সব সমস্যার সমাধান শত শত বছর আগের বুদ্ধ-র শিক্ষার মধ্যেই নিহিত রয়েছে। আজ যুদ্ধ এবং বিশ্ব যে অস্থিরতার শিকার, তারও সমাধান বুদ্ধ শত শত বছর আগেই দিয়ে গেছেন। বুদ্ধ বলেছিলেন - “जयन् वेरन् पसवति, दुक्खन् सेति पराजितो, उपसंतो सुखन् सेति, हित्व जय पराजयः” অর্থাৎ, জয়লাভ শত্রুতা ডেকে আনে, জয়ী সমস্যাদীর্ণ হয়, অচেতন মানুষ সুখী জীবনযাপন করেন। তাঁর কাছে জয় এবং পরাজয় সমার্থক। ফলে, আমরা সুখী হতে পারি পরাজয়, জয়, বিবাদ-বিসম্বাদকে দূরে সরিয়ে রেখে। বুদ্ধ আমাদেরকে বলেছিলেন যুদ্ধে জয়লাভের উপায় কি। তিনি বলেছিলেন - “नहि वेरेन् वेरानी, सम्मन तीध उदाचन्, अवेरेन च सम्मन्ति, एस धम्मो सन्नतनो” যার অর্থ, শত্রুতা শত্রুতাকে প্রশমিত করে না, সহৃদয়তার মধ্য দিয়েই শত্রুতাকে প্রশমিত করা যায়। ভগবান বুদ্ধ-র কথা হল – “सुखा संघस्स सामग्गी, समग्गानं तपो सुखो” অর্থাৎ, বিভিন্ন সঙ্ঘের মধ্যে সমন্বয়ের আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে। মানুষের সঙ্গে একত্রে বাস করাই আনন্দের।

বন্ধুগণ,

আজ আমরা দেখছি, একজনের ধারণা, একজনের বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বিশ্বের সবথেকে বড় সঙ্কট। কিন্তু ভগবান বুদ্ধ কি বলেছিলেন? ভগবান বুদ্ধ বলেছিলেন - “अत्तान मेव पठमन्, पति रूपे निवेसये।” এর অর্থ হল, অন্যকে শিক্ষা দেওয়ার আগে একজনের উচিত সেই সুব্যবহার নিজে পরখ করা। আজ এই আধুনিক সময়ে আমরা দেখি, গান্ধীজিই হোক কিংবা বিশ্বের অন্য কোনও নেতাই হোন, তাঁরা কিন্তু এই ভাবাদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে বুদ্ধ কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি। তিনি আরও খানিকটা এগিয়ে বলেছিলেন - “अप्‍प दीपो भव:” অর্থাৎ, নিজের ভেতরের চেতনাকে জাগ্রত করো। আজ  ভগবান বুদ্ধ-র এই বাণীর মধ্যেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে। ফলে, কয়েক বছর আগেও আমি গর্বের সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘে বলেছিলাম – ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়। যেখানেই বুদ্ধ-র মহানুভবতা, সেখানেই রয়েছে সমন্বয়, সংঘাত নয়, সেখানেই রয়েছে শান্তি, বৈরিতা নয়।

 

বন্ধুগণ,

বুদ্ধ-র পথ হল ভবিষ্যতের পথ। এই পথ হল সুস্থিতির। বিশ্ব যদি বুদ্ধ-র শিক্ষা অনুসরণ করত তাহলে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হত না। এই সঙ্কট ঘনীভূত হয়েছে কারণ কয়েকটি রাষ্ট্র অন্যকে নিয়ে চিন্তা করেনি, আগামী শতাব্দীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে ভাবেনি। দশকের পর দশক ধরে তারা ভেবেছে প্রকৃতির বিনাশ হলে তারা কোনভাবেই আক্রান্ত হবে না। এইসব দেশগুলি অন্যের ওপরই দোষারোপ করেছে। ভগবান বুদ্ধ পরিষ্কার করে বলেছেন তাঁর ধম্মপদ-এ যে বিন্দু বিন্দু জলে একটা পত্র পূর্ণ হয়। ফলে, লাগাতার ভুল বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসে। মানবতাকে এক্ষেত্রে সতর্ক করেও বুদ্ধ বলেছিলেন, ভুলকে সংশোধন করতে আমাদের নিরন্তর ভালো কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। “माव-मईंएथ पुण्‍यीअस्, न मन् तन् आग-मिस्सति, उद-बिन्दु-निपातेन, उद-कुम्भोपि पूरति, धीरो पूरति पुण्‍यीअस्, थोकं थोकम्पि आचिनन्”। এর অর্থ হল, ভালো কাজকে উপেক্ষা করা উচিত নয় এই ভেবেই যে সেই কাজের ফল আমার কাছে এসে পৌঁছবে না। পাত্র জলধারা দ্বারাই পূর্ণ হয়। ঠিক তেমনই জ্ঞানী মানুষ নিজ গুণবলে ধীরে ধীরে নিজেকে পূর্ণ করে তোলেন।

বন্ধুগণ,

প্রত্যেক ব্যক্তিই এই ধরিত্রীকে কোনও না কোনভাবে প্রভাবিত করছেন, তা সে জীবনশৈলীর ক্ষেত্রেই হোক, পরিচ্ছদ, খাওয়াদাওয়া অথবা ভ্রমণের অভ্যাসবশতই হোক, সমস্ত কিছুরই একটা প্রভাব রয়েছে। এটা একটা পরিবর্তন ঘটাতে পারে। প্রত্যেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারেন। প্রত্যেক ব্যক্তি তাঁদের জীবনশৈলী সম্পর্কে সচেতন হন, তাহলে অনেক বড় সমস্যা বুদ্ধ-র নির্দেশিত পথেই অনেক সহজে সমাধান করা যায়। এই ভাবধারা থেকেই ভারত ‘মিশন LIFE’-এর সূচনা করেছ। ‘মিশন LIFE’-এর অর্থ পরিবেশের জন্য জীবনশৈলী। এই ভাবধারাও বুদ্ধ-র দ্বারা অনুপ্রাণিত যা বুদ্ধ-র শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়েছে।

বন্ধুগণ,

আজ বিশ্বের নিজেকে বস্তুবাদ এবং আত্মসর্বস্বতার নিগড় থেকে বের করে আনা অত্যন্ত আবশ্যক। এই অনুভূতির বিন্যাস ঘটানো দরকার - ‘भवतु सब्ब मंगलन्’ অর্থাৎ, সকলের মঙ্গল হোক। বুদ্ধ কেবলমাত্র একটি প্রতীক নন, এক প্রতিচ্ছবি, তাহলেই এই সঙ্কল্প - ‘भवतु सब्ब मंगलन्’ পূর্ণ করা যাবে। ফলে, বুদ্ধ-র কথা আমাদেরকে স্মরণে রাখতে হবে। “मा निवत्त, अभि-क्कम” অর্থাৎ, পেছনে ফিরো না, সম্মুখে এগিয়ে যাও! আমাদেরকে সম্মুখে এগিয়ে যেতে হবে এবং এগিয়েই চলতে হবে। আমার স্থির বিশ্বাস, একত্রে সঙ্কল্পকে সফলতায় রূপ দিতে পারব। আরও একবার আমাদের আমন্ত্রণ স্বীকার করে আপনাদের এখানে আসার জন্য আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। দু’দিনের এই আলোচনা থেকে মানবতা নতুন আলোকপ্রাপ্ত হবে, নতুন অনুপ্রেরণা, নতুন শক্তি, নতুন সাহস পাবে। আপনাদের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

নমো বুদ্ধায়!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Investment worth $30 billion likely in semiconductor space in 4 years

Media Coverage

Investment worth $30 billion likely in semiconductor space in 4 years
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister Shri Narendra Modi emphasises importance of Harmony and Forgiveness in our lives on the auspicious occasion of Samvatsari
September 07, 2024

On the auspicious occasion of Samvatsari, Prime Minister Shri Narendra Modi shared a heartfelt message on X, highlighting the importance of harmony and forgiveness in our lives. He urged citizens to embrace empathy and solidarity, fostering a spirit of kindness and unity that can guide our collective journey.

In his tweet, he stated, "Samvatsari highlights the strength of harmony and to forgive others. It calls for embracing empathy and solidarity as our source of motivation. In this spirit, let us renew and deepen bonds of togetherness. Let kindness and unity shape our journey forward. Michhami Dukkadam."