পুনে মেট্রোর সম্পূর্ণ হওয়া অংশের উদ্বোধন করে মেট্রোর যাত্রার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় নির্মিত বাড়িগুলির হস্তান্তর এবং নির্মিত হতে চলা বাড়িগুলির শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী
বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের উদ্বোধন
“পুনে এমন এক প্রাণবন্ত শহর যা দেশের অর্থনীতিকে গতি দেয় এবং সারা দেশের যুব সমাজের স্বপ্নপূরণ করে”
“আমাদের সরকার নাগরিকদের জীবনযাপনের মানোন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”
“আধুনিক ভারতের শহরগুলিতে মেট্রো এক নতুন জীবনরেখা হয়ে উঠছে”
“স্বাধীনতার পর থেকেই মহারাষ্ট্রের শিল্পোন্নয়ন, ভারতের শিল্পোন্নয়নকে পথ দেখাচ্ছে”
“গরিব বা মধ্যবিত্ত, প্রত্যেকের স্বপ্নপূরণ করা মোদীর গ্যারান্টি”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রী রমেশ বৈশ্য জি, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্দে জি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সহযোগীগণ, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অজিত পাওয়ার জি, ভাই দিলীপ জি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ,সাংসদ ও বিধায়কগণ এবং এখানে উপস্থিত আমার প্রিয়  ভাই ও বোনেরা!
আগস্ট মাস উদযাপন ও বিপ্লবের মাস।
এই বিপ্লবের মাসের শুরুতে, আমি পুণেতে এসেছি,
আসার সৌভাগ্য হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, পুণে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনেক অবদান রেখেছে। পুণে দেশকে বাল গঙ্গাধর তিলক সহ বহু মহান বিপ্লবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী দিয়েছে। আজ লোকশাহির আন্না ভাউ সাঠের জন্মজয়ন্তী। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি বিশেষ দিন। আন্না ভাউ সাঠে, একজন মহান সমাজ সংস্কারক ছিলেন তিনি বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়েছিলেন। আজও বিপুল সংখ্যক ছাত্র ও পণ্ডিত তাঁর সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করেন। আন্না ভাউ সাঠের কাজ, তাঁর আহ্বান আজও আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে।

বন্ধুগণ,
পুণে  আজ দেশের অর্থনীতিতে  গতি আনা, সারা দেশের যুবকদের স্বপ্ন পূরণকারী  একটি প্রাণবন্ত শহর। আজ পুণে এবং পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় যে প্রকল্পগুলি পেয়েছে সেগুলির মাধ্যমে  এই ভূমিকাগুলি আরও শক্তিশালী হতে চলেছে৷ এই মুহূর্তে, এখান থেকে প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন করা হয়েছে। হাজার হাজার পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছে, বর্জ্য থেকে সম্পদ তৈরি করার জন্য অত্যাধুনিক ‘প্ল্যান্ট’ বা কারখানা চালু হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির জন্য আমি পুণের সমস্ত মানুষকে, এখানকার সমস্ত নাগরিককে অভিনন্দন জানাই৷
বন্ধুগণ,
আমাদের সরকার পেশাদারদের, বিশেষ করে শহরে বসবাসকারী মধ্যবিত্তদের ‘কোয়ালিটি অফ লাইফ” বা  জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত আন্তরিক, । জীবনযাত্রার মান যখন উন্নত হয়, তখন সেই শহরের উন্নয়নও হয় আরও দ্রুত। আমাদের সরকার পুণের মতো শহরে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। এখানে আসার আগে আমি পুণে মেট্রোরেলের আরেকটি সেকশন উদ্বোধন করে এসেছি। আমার মনে আছে, পুণে মেট্রোর কাজ যখন শুরু হয়েছিল, তখন আমি এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি, আর আজ  দেবেন্দ্র জি এই বিষয়টিকে খুব মজা করে বর্ণনা করছিলেন। বিগত ৫ বছরে এখানে প্রায় ২৪ কিলোমিটার মেট্রো নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে।
 
বন্ধুগণ,
 
আমরা যদি ভারতের শহরগুলিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে চাই, আর এই কর্মযজ্ঞকে একটি নতুন উচ্চতা দিতে চাই তবে আমাদের গণপরিবহনকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। আর সেজন্যেই আজ ভারতের শহরগুলিতে মেট্রো রেলের নেটওয়ার্ক ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে, নতুন নতুন ফ্লাইওভার তৈরি হচ্ছে, লাল বাতির সংখ্যা কমানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালের হিসাবে, ভারতে মোট ২৫০ কিলোমিটারেরও কম মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক ছিল। এর বেশিরভাগই ছিল দিল্লি-এনসিআরে। এখন দেশে মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক ৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেড়েছে। এ ছাড়া ১০০০ কিলোমিটার নতুন মেট্রোরেল লাইন স্থাপনের কাজও চলছে। ২০১৪ সালে শুধুমাত্র দেশের ৫টি শহরে মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক ছিল। আজ দেশের ২০টি শহরে মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক চালু রয়েছে। মহারাষ্ট্রের পুণে ছাড়াও মুম্বাই এবং নাগপুরেও মেট্রো রেল সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক ক্রমে আধুনিক ভারতের শহরগুলির নতুন লাইফলাইন হয়ে উঠছে। পুণের মতো শহরে পরিবেশ রক্ষা এবং দূষণ কমাতে মেট্রোরেলের সম্প্রসারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যেই তো আমাদের সরকার শুরু থেকেই মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য এত কঠোর পরিশ্রম করছে।

ভাই ও বোনেরা,
জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শহরগুলিতে পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা। একটা সময় ছিল যখন উন্নত দেশের শহর দেখে বলা হতো- বাহ, কী পরিচ্ছন্ন শহর। এখন আমরা ভারতের শহরগুলিকে একইরকম ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে অন্যদের এরকম বলার সুযোগ করে দিচ্ছি। তাই ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ আজ শুধু সারা দেশে শৌচাগার নির্মাণেই সীমাবদ্ধ নয়। এই অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরও অনেক জোর দেওয়া হচ্ছে। আজ আমাদের শহরে আবর্জনার বিশাল পাহাড় একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি আরও জানেন যে পুণেতে যেখানে মেট্রো ডিপো তৈরি করা হয়েছে, এটি আগে কোথরুড আবর্জনা ডাম্পিং ইয়ার্ড হিসাবে পরিচিত ছিল। এখন এ ধরনের আবর্জনার পাহাড় অপসারণের কাজ মিশন মোডে চলছে। আর আমরা বর্জ্য থেকে সম্পদ উৎপাদন-এর মন্ত্র নিয়ে কাজ করছি - অর্থাৎ সম্পদের অপচয় রোধ করছি। পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ের ওয়েস্ট টু এনার্জি প্ল্যান্ট একটি খুব ভাল প্রকল্প। এতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখানকার বিদ্যুত দিয়ে পৌরসংস্থা তার চাহিদাও মেটাতে পারবে। তার মানে দূষণের সমস্যা হবে না এবং পৌরসংস্থার জন্য সাশ্রয়ও হবে।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার পর থেকে, মহারাষ্ট্রের শিল্প উন্নয়ন ভারতের শিল্প উন্নয়নে ক্রমাগত গতি প্রদান করেছে। মহারাষ্ট্রে শিল্প উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে, এখানে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যেই আজ আমাদের সরকার মহারাষ্ট্রে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করছে তা নজিরবিহীন। আজ এখানে বড় বড় এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন রেলপথ, নতুন নতুন বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। রেলের উন্নয়নে ২০১৪ সালের তুলনায় এখানে ১২ গুণ বেশি ব্যয় করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরকে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও সংযুক্ত করা হচ্ছে। এবার উচ্চগতি সম্পন্ন  মুম্বাই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র উভয়কেই উপকৃত করবে। দিল্লি-মুম্বাই অর্থনৈতিক করিডোর মহারাষ্ট্রকে মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করবে। ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোরের মাধ্যমে মহারাষ্ট্র এবং উত্তর ভারতের মধ্যে রেল সংযোগও সম্পূর্ণ বদলে যাবে। ট্রান্সমিশন লাইন নেটওয়ার্ক, যা মহারাষ্ট্রকে তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা এখন মহারাষ্ট্রের শিল্পদ্যোগগুলিতেও একটি নতুন গতি দিতে চলেছে৷ তা সে তেল এবং গ্যাস পাইপলাইন হোক, ঔরঙ্গাবাদে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি গড়ে তোলা, নাভি মুম্বাইয়ে নতুন বিমানবন্দর গড়া, শেন্দ্রা-বিরকিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মানের মতো অনেক কাজের ফলে আজ মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে নতুন গতি প্রদানের সম্ভাবনা বেড়েছে।

 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকার রাজ্যগুলির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধনের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। মহারাষ্ট্রের উন্নতি হলে ভারতও উন্নত হবে। আর ভারত যখন উন্নয়ন করবে, মহারাষ্ট্রও এর থেকে একই সুবিধা পাবে। আজকাল সারা বিশ্বের মানুষ ভারতের উন্নয়নের কথা বলছে। এই উন্নয়নের সুফল মহারাষ্ট্রও পাচ্ছে, পুণেও পাচ্ছে। আপনারা দেখুন, গত ৯ বছরে, ভারত উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপের ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি নতুন পরিচয় তৈরি করেছে। ৯ বছর আগে পর্যন্ত ভারতে মাত্র কয়েকশ স্টার্টআপ ছিল। আজ আমরা ১ লক্ষেরও বেশি  স্টার্টআপ গড়তে সফল হয়েছি। দেশে এই স্টার্ট আপ ইকোসিস্টেম ক্রমে এতটা সমৃদ্ধ হওয়ার মূল কারণ হল, আমরা ডিজিটাল পরিকাঠামো অনেকটা প্রসারিত করেছি। আর ভারতে উন্নত ডিজিটাল পরিকাঠামোর এই ভিত্তি তৈরিতে পুণের একটি বড় ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। সস্তা ডেটা, সস্তা ফোন এবং প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এই ক্ষেত্রটিকে আরও শক্তিশালী করেছে। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম ফাইভ -জি পরিষেবা রোলআউট করা দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। আজ দেশে ফিনটেক, বায়োটেক, এগ্রিটেক, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের তরুণরা সাফল্যের সঙ্গে বিস্ময়কর কাজ করছে। এতে অনেক লাভবান হচ্ছে আমাদের পুণে।
 
বন্ধুগ‍্ণ,
একদিকে আমরা মহারাষ্ট্রে সর্বাত্মক উন্নয়ন দেখছি। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটকে যা ঘটছে তাও আমাদের সামনে রয়েছে। ব্যাঙ্গালোর এত বড় আইটি হাব, বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি কেন্দ্র। এই সময়ে বেঙ্গালুরু, কর্ণাটকের দ্রুত উন্নয়ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেখানে যে ধরনের ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছিল, এত অল্প সময়ের মধ্যে তার কুফল আজ সারা দেশ দেখছে এবং চিন্তিত বোধ করছে। একটি দল যখন তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারের কোষাগার খালি করে, তখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় রাষ্ট্রের, তার জনগণের, আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতও তখন প্রশ্নের মুখে পড়ে। সেজন্যে কর্ণাটকে  ১৪টি দলের সরকার গঠিত হলেও জনগণের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন যে কর্ণাটক সরকার নিজেই স্বীকার করছে যে তার কাছে বেঙ্গালুরুর উন্নয়নের জন্য অর্থ নেই, কর্ণাটকের উন্নয়নের জন্য তার কোষাগার খালি। ভাইয়েরা, এটা দেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। আমরা রাজস্থানেও একই অবস্থা দেখছি, সেখানেও ঋণের বোঝা বাড়ছে, উন্নয়নের কাজ থমকে গেছে।

বন্ধুগণ,
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, উন্নত করতে হলে সঠিক নীতি, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও আনুগত্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের প্রতি সরকারের নীতি, উদ্দেশ্য এবং জনগণের আনুগত্যই  ব্যবস্থাকে সঠিক পথে চালনার সিদ্ধান্ত নেয়, উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করে। এবার যেমন গরীবদের স্থায়ী বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৪ সালের আগে যে সরকার দায়িত্বে  ছিল, তাঁরা শহরগুলিতে দরিদ্রদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য ১০ বছরে দুটি প্রকল্প চালিয়েছিল। এই দুটি প্রকল্পের অধীনে ১০ বছরে সারা দেশে শহুরে দরিদ্রদের জন্য মাত্র ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই বাড়িগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অধিকাংশ গরিব মানুষ এই বাড়িগুলি নিতে অস্বীকার করে। এখন আপনি ভাবুন, বস্তিতে বসবাসকারী ব্যক্তিরাও যদি সেই বাড়িগুলি নিতে অস্বীকার করেন তাহলে সেই বাড়িগুলির অবস্থা কতটা খারাপ হবে। আপনি কল্পনা করতে পারেন যে দেশে ইউপিএ আমলে ২ লক্ষেরও বেশি এমন বাড়ি তৈরি হয়েছিল, যেগুলি কেউ নিতে প্রস্তুত ছিল না। আমাদের মহারাষ্ট্রেও সেই সময়ে তৈরি ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়ি এভাবে খালি পড়ে ছিল। এটা অর্থের অপচয়, জনগণের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত না থাকলেই এভাবে লোকদেখানো কাজ করা সম্ভব।
ভাই ও বোনেরা,
২০১৪ সালে, আপনারা সবাই আমাদেরকে দেশের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। সরকারে আসার পর আমরা সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছি এবং নীতি পরিবর্তন করেছি। গত ৯ বছরে আমাদের সরকার গ্রাম ও শহরে গরিবদের জন্য ৪ কোটিরও বেশি পাকা বাড়ি তৈরি করেছে। এতে শহুরে দরিদ্রদের জন্য ৭৫ লাখের বেশি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আমরা এসব নতুন বাড়ি নির্মাণে স্বচ্ছতা এনেছি এবং এগুলোর মানও উন্নত হয়েছে। আমাদের সরকার আরেকটি বড় কাজ করেছে, সরকার যেসব বাড়ি তৈরি করে গরিবদের দিচ্ছে, তার বেশিরভাগই মহিলাদের নামে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এসব বাড়ির দাম কয়েক লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত ৯ বছরে দেশের কোটি কোটি বোন ‘লাখপতি দিদি’ হয়েছেন, আমার অসংখ্য বোন এখন  ‘লাখপতি দিদি হয়েছেন। প্রথমবারের মতো তাঁর নামে একটি সম্পত্তি নথিভুক্ত হয়েছে। আজও, আমি বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই সেই ভাই ও বোনদের যারা অবশেষে তাঁদের মাথার উপর পাকা ছাদ, নিজস্ব বাড়ি খুঁজে পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমি অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আর আমি নিশ্চিত যে, তাঁদের জন্য এবারের গণেশ উৎসব খুব জমকালো হতে চলেছে।

 

ভাই ও বোনেরা,
দরিদ্র হোক বা মধ্যবিত্ত পরিবার, প্রত্যেকের প্রতিটি স্বপ্ন পূরণই মোদির গ্যারান্টি। একটি স্বপ্ন পূরণ হলে সেই সাফল্যের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় শত শত নতুন সংকল্প। এই সংকল্পগুলি সেই ব্যক্তির জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে ওঠে। আমরা আপনার সন্তানদের, আপনার বর্তমান এবং আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের উন্নতির জন্য যত্নশীল।

বন্ধুগণ,
এই চেতনারই বহিঃপ্রকাশ হল উন্নত ভারত গড়ার সংকল্প। এ জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। এখানে এই মহারাষ্ট্র রাজ্যে একই কারণে এতগুলি বিভিন্ন রাজনৈতিক  দল একত্রিত হয়েছে। উদ্দেশ্য হ'ল মহারাষ্ট্রের জন্য সবার অংশগ্রহণে আরও ভাল কাজ করা, দ্রুত গতিতে মহারাষ্ট্রের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা। মহারাষ্ট্র সবসময় আমাদের সকলকে অনেক ভালবাসা এবং আশীর্বাদ দিয়েছে। এই আশীর্বাদ ভবিষ্যতেও এভাবেই থাকবে, এই কামনা নিয়ে আমি আবারও সকলকে বিবিধ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অভিনন্দন জানাই।
আমার সঙ্গে বলুন  ভারত মাতার জয়!
ভারত মাতার জয় হোক!
ভারত মাতার জয় হোক!
ধন্যবাদ।

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism

Media Coverage

Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Congress and RJD only do politics of insult and abuse: PM Modi in Bhabua, Bihar
November 07, 2025
In Bhabua, PM Modi urges voters: One vote for the NDA can stop infiltrators; one vote can protect your identity
They will shake you down, drag people from their homes and run a reign of terror as their own songs glorify violence: PM Modi takes a dig at opposition
Congress leaders never talk about the RJD’s manifesto, calling it ‘a bunch of lies’: PM Modi at Bhabua rally

भारत माता की... भारत माता की... भारत माता की...
मां मुंडेश्वरी के ई पावन भूमि पर रऊआ सब के अभिनंदन करअ तानी।

कैमूर की इस पावन भूमि पर चारों दिशाओं से आशीर्वाद बरसता है। मां बिंध्यवासिनी, मां ताराचंडी, मां तुतला भवानी, मां छेरवारी, सब यहीं आसपास विराजती हैं। चारों ओर शक्ति ही शक्ति का साम्राज्य है। और मेरे सामने...विशाल मातृशक्ति है...जिनका आशीर्वाद हमेशा हम सभी पर रहा है... NDA पर रहा है। और मैं बिहार की मातृशक्ति का आभारी हूं। पहले चरण में NDA के उम्मीदवारों के पक्ष में जबरदस्त मतदान हुआ है। अब कैमूर की बारी है...अब रोहतास की बारी है...मैं इस मंच पर NDA के इन सभी उम्मीदवारों के लिए...आप सभी का साथ और समर्थन मांगने आया हूं। आपके आशीर्वाद मांगने के लिए आया हूं.. तो मेरे साथ बोलिए... फिर एक बार...फिर एक बार...NDA सरकार! फिर एक बार... फिर एक बार... फिर एक बार... बिहार में फिर से...सुशासन सरकार !

साथियों,
जब ये चुनाव शुरू हुआ था...तो RJD और कांग्रेस के लोग फूल-फूल के गुब्बारा हुए जा रहे थे।और RJD और कांग्रेस के नामदार आसमान पर पहुंचे हुए थे। लेकिन चुनाव प्रचार के दौरान RJD-कांग्रेस के गुब्बारे की हवा निकलनी शुरू हुई...और पहले चरण के बाद इनका गुब्बारा पूरी तरह फूट गया है। अब तो आरजेडी-कांग्रेस का इकोसिस्टम...उनके समर्थक भी कह रहे हैं...फिर एक बार... फिर एक बार...NDA सरकार!

साथियों,
आरजेडी-कांग्रेस ने बिहार के युवाओं को भ्रमित करने की बहुत कोशिश की..लेकिन उनकी सारी प्लानिंग फेल हो गई...इसका एक बहुत बड़ा कारण है...बिहार का जागरूक नौजवान... बिहार का नौजवान ये देख रहा है कि आरजेडी-कांग्रेस वालों के इरादे क्या हैं।

साथियों,
जंगलराज के युवराज से जब भी पूछा जाता है कि जो बड़े-बडे झूठ उन्होंने बोले हैं...वो पूरे कैसे करेंगे...तो वो कहते हैं...उनके पास प्लान है... और जब पूछा जाता है कि भाई बताओ कि प्लान क्या है.. तो उनके मुंह में दही जम जाता है, मुंह में ताला लग जाता है.. उत्तर ही नहीं दे पाते।

साथियों,
आरजेडी वालों का जो प्लान है...उससे मैं आज आप सब को, बिहार को और देश को भी सतर्क कर रहा हूं। आप देखिए....आरजेडी के नेताओं के किस तरह के गाने वायरल हो रहे हैं। चुनाव प्रचार के जो गाने हैं कैसे गाने वायरल हो रहे हैं। आरजेडी वालों का एक गाना है...आपने भी सुना होगा आपने भी वीडियों में देखा होगा। आरजेडी वालों का एक गाना है। आएगी भइया की सरकार... क्या बोलते हैं आएगी भइया की सरकार, बनेंगे रंगदार! आप सोचिए...ये RJD वाले इंतजार कर रहे हैं कि कब उनकी सरकार आए और कब अपहरण-रंगदारी ये पुराना गोरखधंधा फिर से शुरू हो जाए। RJD वाले आपको रोजगार नहीं देंगे...ये तो आपसे रंगदारी वसूलेंगे.. रंगदारी ।

साथियों,
RJD वालों का एक और गाना है... अब देखिए, ये क्या-क्या कर रहे हैं, क्या-क्या सोच रहे हैं...और मैं तो देशवासियों से कहूंगा। देखिए, ये बिहार में जमानत पर जो लोग हैं वो कैसे लोग है.. उनका क्या गाना है भइया के आबे दे सत्ता... भइया के आबे दे सत्ता...कट्टा सटा के उठा लेब घरवा से, आप अंदाजा लगा सकते हैं कि ये जंगलराज वाले सरकार में वापसी के लिए क्यों इतना बेचैन हैं। इन्हें जनता की सेवा नहीं करनी...इन्हें जनता को कट्टा दिखाकर लूटना है...उन्हें घर से उठवा लेना है। साथियों, आरजेडी का एक और गाना चल रहा है...बताऊं... बताऊं.. कैसा गाना चल रहा है.. मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...यही इनका तौर-तरीका है...यही इनका प्लान है...इनसे कोई भी सवाल पूछेगा तो यही जवाब मिलेगा...मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...

साथियों,
यही जंगलराज की आहट है। ये बहनों-बेटियों को गरीब, दलित-महादलित, पिछड़े, अतिपिछड़े समाज के लोगों को डराने का प्रयास है। भय पैदा करने का खेल है इनका। साथियों, जंगलराज वाले कभी कोई निर्माण कर ही नहीं सकते वे तो बर्बादी और बदहाली के प्रतीक हैं। इनकी करतूतें देखनी हों तो डालमिया नगर में दिखती हैं। रोहतास के लोग इस बात को अच्छी तरह जानते हैं।
((साथी आप तस्वीर लाए हैं, मैं अपनी टीम को कहता हूं वे ले लेते हैं, लेकिन आप तस्वीर ऊपर करते हैं तो पीछे दिखता नहीं है। मैं आपका आभारी हूं। आप ले आए हैं... मैं मेरे टीम को कहता हूं, जरा ले लीजिए भाई। और आप बैठिए नीचे। वे ले लेंगे। बैठिए, पीछे औरों को रुकावट होती है.. ठीक है भैया ))

साथियों,
अंग्रेज़ों के जमाने में डालमिया नगर की नींव पड़ी थी। दशकों के परिश्रम के बाद। एक फलता-फूलता औद्योगिक नगर बनता जा रहा था। लेकिन फिर कुशासन की राजनीति आ गई। कुशासन की राजनीति आ गई, जंगलराज आ गया। फिरौती, रंगदारी, करप्शन, कट-कमीशन, हत्या, अपहरण, धमकी, हड़ताल यही सब होने लगा। देखते ही देखते जंगलराज ने सबकुछ तबाह कर दिया।

साथियों,
जंगलराज ने बिहार में विकास की हर संभावना की भ्रूण हत्या करने का काम किया था। मैं आपको एक और उदाहरण याद दिलाता हूं। आप कैमूर में देखिए, प्रकृति ने क्या कुछ नहीं दिया है। ये आकर्षक पर्यटक स्थलों में से एक हो सकता था। लेकिन जंगलराज ने ये कभी होने नहीं दिया। जहां कानून का राज ना हो...जहां माओवादी आतंक हो बढ़ रहा हो.. क्या वहां पर कोई टूरिज्म जाएगा क्या? जरा बताइए ना जाएगा क्या? नहीं जाएगा ना.. नीतीश जी ने आपके इस क्षेत्र को उस भयानक स्थिति से बाहर निकाला है। मुझे खुशी है कि अब धीरे-धीरे यहा पर्यटकों की संख्या बढ़ रही है। जिस कर्कटगढ़ वॉटरफॉल... उस वाटरफॉल के आसपास माओवादी आतंक का खौफ होता था। आज वहां पर्यटकों की रौनक रहती है... यहां जो हमारे धाम हैं...वहां तीर्थ यात्रियों की संख्या लगातार बढ़ रही है। जागृत देवता हरषू ब्रह्म के दर्शन करने लोग आते हैं। आज यहां नक्सलवाद...माओवादी आतंक दम तोड़ रहा है....

साथियों,
यहां उद्योगों और पर्यटन की जो संभावनाएं बनी हैं... इसका हमें और तेजी से विस्तार करना है...देश-विदेश से लोग यहां बिहार में पूंजी लगाने के लिए तैयार हैं...बस उन्हें लालटेन, पंजे और लाल झंडे की तस्वीर भी नहीं दिखनी चाहिए। अगर दिख गई.. तो वे दरवाजे से ही लौट जाएंगे इसलिए हमें संकल्प लेना है...हमें बिहार को जंगलराज से दूर रखना है।

साथियों,
बिहार के इस चुनाव में एक बहुत ही खास बात हुई है। इस चुनाव ने कांग्रेस-आरजेडी के बीच लड़ाई को सबके सामने ला दिया है। कांग्रेस-आरजेडी की जो दीवार है ना वो टूट चुकी है कांग्रेस-आरजेडी की टूटी दीवार पर ये लोग चाहे जितना ‘पलस्तर’ कर लें... अब दोनों पार्टियों के बीच खाई गहरी होती जा रही है। पलस्तर से काम चलने वाला नहीं है। आप देखिए, इस क्षेत्र में भी कांग्रेस के नामदार ने रैलियां कीं। लेकिन पटना के नामदार का नाम नहीं लिया। कितनी छुआछूत है देखिए, वो पटना के नामदार का नाम लेने को तैयार नहीं है। कांग्रेस के नामदार दुनिया-जहां की कहानियां कहते हैं, लेकिन आरजेडी के घोषणापत्र पर, कोई सवाल पूछे कि भाई आरजेडी ने बड़े-बड़े वादे किए हैं इस पर क्या कहना है तो कांग्रेस के नामदार के मुंह पर ताला लग जाता है। ये कांग्रेस के नामदार अपने घोषणापत्र की झूठी तारीफ तक नहीं कर पा रहे हैं। एक दूसरे को गिराने में जुटे ये लोग बिहार के विकास को कभी गति नहीं दे सकते।

साथियों,
ये लोग अपने परिवार के अलावा किसी को नहीं मानते। कांग्रेस ने बाबा साहेब आंबेडकर की राजनीति खत्म की...क्योंकि बाब साहेब का कद दिल्ली में बैठे शाही रिवार से ऊंचा था। इन्होंने बाबू जगजीवन राम को भी सहन नहीं किया। सीताराम केसरी...उनके साथ भी ऐसा ही किया. बिहार के एक से बढ़कर एक दिग्गज नेता को अपमानित करना यही शाही परिवार का खेल रहा है। जबकि साथियों, भाजपा के, NDA के संस्कार...सबको सम्मान देने के हैं...सबको साथ लेकर चलने के हैं।

हमें लाल मुनी चौबे जी जैसे वरिष्ठों ने सिखाया है...संस्कार दिए हैं। यहां भभुआ में भाजपा परिवार के पूर्व विधायक, आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी भी हमारी प्रेरणा हैं...अब तो वो सौ के निकट जा रहे हैं.. 96 साल के हो चुके हैं... और जब कोरोना का संकट आया तब हम हमारे सभी सीनियर को फोन कर रहा था। तो मैंने मिश्राजी को भी फोन किया। चंद्रमौली जी से मैंने हालचाल पूछे। और मैं हैरान था कि ये उमर, लेकिन फोन पर वो मेरा हाल पूछ रहे थे, वो मेरा हौसला बढ़ा रहे थे। ये इस धरती में आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी जैसे व्यक्तित्वों से सीखते हुए हम भाजपा के कार्यकर्ता आगे बढ़ रहे हैं।

साथियों,
ऐसे वरिष्ठों से मिले संस्कारों ने हमें राष्ट्रभक्तों का देश के लिए जीने-मरने वालों का सम्मान करना सिखाया है। इसलिए, हमने बाबा साहेब आंबेडकर से जुड़े स्थानों को पंचतीर्थ के रूप में विकसित किया। और मैं तो काशी का सांसद हूं, मेरे लिए बड़े गर्व की बात है कि बनारस संत रविदास जी की जन्मभूमि है। संत रविदास की जयंति पर...मुझे कई बार वहां जाने का सौभाग्य प्राप्त हुआ है। 10-11 साल पहले वहां क्या स्थिति थी...और आज वहां कितनी सुविधाएं श्रद्धालुओं के लिए बनी हैं... इसकी चर्चा बनारस में, और बनारस के बाहर भी सभी समाजों में होती है।

साथियों,
बनारस ही नहीं...भाजपा सरकार मध्य प्रदेश के सागर में भी संत रविदास का भव्य मंदिर और स्मारक बना रही है। हाल ही में...मुझे कर्पूरी ग्राम जाने का अवसर मिला था..वहां पिछले कुछ वर्षों में सड़क, बिजली, पानी, शिक्षा और स्वास्थ्य से जुड़ी सुविधाओं का विस्तार हुआ है। कर्पूरीग्राम रेलवे स्टेशन को आधुनिक बनाया जा रहा है। साथियों, ये हमारी ही सरकार है...जो देशभर में आदिवासी स्वतंत्रता सेनानियों के स्मारक बना रही है। भगवान बिरसा मुंडा के जन्मदिवस को...हमने जनजातीय गौरव दिवस घोषित किया है। 1857 के क्रांतिवीर...वीर कुंवर सिंह जी की विरासत से भावी पीढ़ियां प्रेरित हों...इसके लिए हर वर्ष व्यापक तौर पर विजय दिवस का आयोजन किया जा रहा है।

साथियों,
कैमूर को धान का कटोरा कहा जाता है। और हमारे भभुआ के मोकरी चावल की मांग दुनियाभर में हो रही है। प्रभु श्रीराम को भोग में यही मोकरी का चावल अर्पित किया जाता है। राम रसोई में भी यही चावल मिलता है। आप मुझे बताइए साथियों, आप अयोध्या का राम मंदिर देखते हैं। या उसके विषय में सुनते हैं। यहां पर बैठा हर कोई मुझे जवाब दे, जब राममंदिर आप देखते हैं या उसके बारे में सुनते हैं तो आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? माताओं-बहनों आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? भव्य राम मंदिर का आपको आनंद आता है कि नहीं आता है? आप काशी में बाबा विश्वनाथ का धाम देखते हैं, आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? आपका हृदय गर्व से भर जाता है कि नहीं भर जाता है? आपका माथा ऊंचा होता है कि नहीं होता है? आपको तो गर्व होता है। हर हिंदुस्तानी को गर्व होता है, लेकिन कांग्रेस-RJD के नेताओं को नहीं होता। ये लोग दुनियाभर में घूमते-फिरते हैं, लेकिन अयोध्या नहीं जाते। राम जी में इनकी आस्था नहीं है और रामजी के खिलाफ अनाप-शनाप बोल चुके हैं। उनको लगता है कि अगर अयोध्या जाएंगे, प्रभु राम के दर्शन करेंगे तो उनके वोट ही चले जाएंगे, डरते हैं। उनकी आस्था नाम की कोई चीज ही नहीं है। लेकिन मैं इनलोगों से जरा पूछना चाहता हूं.. ठीक है भाई चलो भगवान राम से आपको जरा भय लगता होगा लेकिन राम मंदिर परिसर में ही, आप मे से तो लोग गए होंगे। उसी राम मंदिर परिसर में भगवान राम विराजमान हैं, वहीं पर माता शबरी का मंदिर बना है। महर्षि वाल्मीकि का मंदिर बना है। वहीं पर निषादराज का मंदिर बना है। आरजेडी और कांग्रेस के लोग अगर रामजी के पास नहीं जाना है तो तुम्हारा नसीब, लेकिन वाल्मीकि जी के मंदिर में माथा टेकने में तुम्हारा क्या जाता है। शबरी माता के सामने सर झुकाने में तुम्हारा क्या जाता है। अरे निषादराज के चरणों में कुछ पल बैठने में तुम्हारा क्या जाता है। ये इसलिए क्योंकि वे समाज के ऐसे दिव्य पुरुषों को नफरत करते हैं। अपने-आपको ही शहंशाह मानते हैं। और इनका इरादा देखिए, अभी छठ मैया, छठी मैया, पूरी दुनिया छठी मैया के प्रति सर झुका रही है। हिंदुस्तान के कोने-कोने में छठी मैया की पूजा होने लगी है। और मेरे बिहार में तो ये मेरी माताएं-बहनें तीन दिन तक इतना कठिन व्रत करती है और आखिर में तो पानी तक छोड़ देती हैं। ऐसी तपस्या करती है। ऐसा महत्वपूर्ण हमारा त्योहार, छठी मैया की पूजा ये कांग्रेस के नामदार छठी मैया की इस पूजा को, छटी मैया की इस साधना को, छठी मैया की इस तपस्या को ये ड्रामा कहते हैं.. नौटंकी कहते हैं.. मेरी माताएं आप बताइए.. ये छठी मैया का अपमान है कि नहीं है? ये छठी मैया का घोर अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? ये छठी मैया के व्रत रखने वाली माताओ-बहनों का अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? मुझे बताइए मेरी छठी मैया का अपमान करे उसको सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? पूरी ताकत से बताइए उसे सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? अब मैं आपसे आग्रह करता हूं। अभी आपके पास मौका है उनको सजा करने का। 11 नवंबर को आपके एक वोट से उन्हें सजा मिल सकती है। सजा दोगे? सब लोग सजा दोगे?

साथियों,
ये आरजेडी-कांग्रेस वाले हमारी आस्था का अपमान इसलिए करते हैं, हमारी छठी मैया का अपमान इसलिए करते हैं। हमारे भगवान राम का अपमान इसलिए करते हैं ताकि कट्टरपंथी खुश रहें। इनका वोटबैंक नाराज ना हो।

साथियों,
ये जंगलराज वाले, तुष्टिकरण की राजनीति में एक कदम और आगे बढ़ गए हैं। ये अब घुसपैठियों का सुरक्षा कवच बन रहे हैं। हमारी सरकार गरीबों को मुफ्त अनाज-मुफ्त इलाज की सुविधा देती है। RJD-कांग्रेस के नेता कहते हैं ये सुविधा घुसपैठियों को भी देना चाहिए। गरीब को जो पक्का आवास हम दे रहे हैं, वो घुसपैठियों को भी देना चाहिए ऐसा कह रहे हैं। मैं जरा आपसे पूछना चाहता हूं, क्या आपके हक का अनाज घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके हक का आवास घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके बच्चों का रोजगार घुसपैठियों को जाना चाहिए क्या? भाइयों-बहनों मैं आज कहना नहीं चाहता लेकिन तेलंगाना में उनके एक मुख्यमंत्री के भाषण की बड़ी चर्चा चल रही है। लेकिन दिल्ली में एयरकंडीसन कमरों में जो सेक्युलर बैठे हैं ना उनके मुंह में ताला लग गया है। उनका भाषण चौंकाने वाला है। मैं उसकी चर्चा जरा चुनाव के बाद करने वाला हूं। अभी मुझे करनी नहीं है। लेकिन मैं आपसे कहना चाहता हूं मैं आपको जगाने आया हूं। मैं आपको चेताने आया हूं। इनको, कांग्रेस आरजेडी इन जंगलराज वालों को अगर गलती से भी वोट गया तो ये पिछले दरवाज़े से घुसपैठियों को भारत की नागरिकता दे देंगे। फिर आदिवासियों के खेतों में महादलितों-अतिपिछड़ों के टोलों में घुसपैठियों का ही बोलबाला होगा। इसलिए मेरी एक बात गांठ बांध लीजिए। आपका एक वोट घुसपैठियों को रोकेगा। आपका एक वोट आपकी पहचान की रक्षा करेगा।

साथियों,
नरेंद्र और नीतीश की जोड़ी ने बीते वर्षों में यहां रोड, रेल, बिजली, पानी हर प्रकार की सुविधाएं पहुंचाई हैं। अब इस जोड़ी को और मजबूत करना है। पीएम किसान सम्मान निधि के तहत...किसानों को अभी छह हज़ार रुपए मिलते हैं।बिहार में फिर से सरकार बनने पर...तीन हजार रुपए अतिरिक्त मिलेंगे। यानी कुल नौ हज़ार रुपए मिलेंगे। मछली पालकों के लिए अभी पीएम मत्स्य संपदा योजना चल रही है। केंद्र सरकार...मछली पालकों को किसान क्रेडिट कार्ड दे रही है। अब NDA ने..मछुआरे साथियों के लिए जुब्बा सहनी जी के नाम पर नई योजना बनाने का फैसला लिया है। इसके तहत मछली के काम से जुड़े परिवारों को भी नौ हज़ार रुपए दिए जाएंगे।

साथियों,
डबल इंजन सरकार का बहुत अधिक फायदा...हमारी बहनों-बेटियों को हो रहा है। हमारी सरकार ने..बेटियों के लिए सेना में नए अवसरों के दरवाज़े खोले हैं...सैनिक स्कूलों में अब बेटियां भी पढ़ाई कर रही हैं। यहां नीतीश जी की सरकार ने...बेटियों को नौकरियों में आरक्षण दिया है। मोदी का मिशन है कि बिहार की लाखों बहनें...लखपति दीदी बनें। नीतीश जी की सरकार ने भी जीविका दीदियों के रूप में, बहनों को और सशक्त किया है।

साथियों,
आजकल चारों ओर मुख्यमंत्री महिला रोजगार योजना की चर्चा है। अभी तक एक करोड़ 40 लाख बहनों के बैंक-खाते में दस-दस हज़ार रुपए जमा हो चुके हैं। NDA ने घोषणा की है कि फिर से सरकार बनने के बाद...इस योजना का और विस्तार किया जाएगा।

साथियों,
बिहार आज विकास की नई गाथा लिख रहा है। अब ये रफ्तार रुकनी नहीं चाहिए। आपको खुद भी मतदान करना है...और जो साथी त्योहार मनाने के लिए गांव आए हैं... उनको भी कहना है कि वोट डालकर ही वापस लौटें...याद रखिएगा...जब हम एक-एक बूथ जीतेंगे...तभी चुनाव जीतेंगे। जो बूथ जीतेगा वह चुनाव जीतेगा। एक बार फिर...मैं अपने इन साथियों के लिए, मेरे सभी उम्मीदवारों से मैं आग्रह करता हूं कि आप आगे आ जाइए.. बस-बस.. यहीं रहेंगे तो चलेगा.. मैं मेरे इन सभी साथियों से उनके लिए आपसे आशीर्वाद मांगने आया हूं। आप सभी इन सब को विजयी बनाइए।

मेरे साथ बोलिए...
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
वंदे... वंदे... वंदे... वंदे...
बहुत-बहुत धन्यवाद।