“নবনিযুক্তদের নিষ্ঠা দেশকে লক্ষ্যপূরণে সক্ষম করে তুলবে”
“নতুন সংসদে নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম-এর নতুন সূচনা”
“প্রযুক্তি দুর্নীতি আটকেছে, বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়েছে, জটিলতা কমিয়েছে এবং আরাম বৃদ্ধি করেছে”
দেশের ৪৬টি জায়গায় আজ রোজগার মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে মহিলাদের উপস্থিতি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

নমস্কার,

আজকের রোজগার মেলায় যাঁরা সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। কঠোর পরিশ্রমের পর এই সাফল্য আপনারা অর্জন করেছেন। লক্ষ লক্ষ প্রার্থীর মধ্য থেকে আপনাদের বেছে নেওয়া হয়েছে; তাই, আপনাদের জীবনে এই সাফল্যের গুরুত্ব অপরিসীম।

এখন দেশজুড়ে গণেশ চতুর্থী উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। এই শুভ লগ্নে আপনারা আপনাদের জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছেন। গণেশ হলেন সাফল্যের দেবতা। আপনাদের মধ্যে সেবা করার যে দৃঢ় সঙ্কল্প রয়েছে, তা জাতিকে লক্ষ্য অর্জনের দিকে নিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। 

 

বন্ধুরা,

বর্তমানে আমাদের দেশ একের পর এক ঐতিহাসিক সাফল্য ও সিদ্ধান্তের সাক্ষী হচ্ছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই নারীশক্তি বন্দন অধিনিয়ম, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক অংশের কাছে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা বহন করে এনেছে। মহিলা সংরক্ষণের যে বিষয়টি গত ৩০ বছর ধরে বকেয়া ছিল, তা এখন সংসদের দুই সভায় রেকর্ড ভোটে পাশ হয়েছে।

ভাবুন তো, এ এক কতবড় সাফল্য! এই দাবি সেই সময় থেকে উঠে আসছে, যখন আপনাদের মধ্যে অধিকাংশের জন্মই হয়নি। দেশের নতুন সংসদ ভবনের প্রথম অধিবেশনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেদিক থেকে দেখলে, নতুন সংসদের সঙ্গে সঙ্গে দেশের নতুন ভবিষ্যতেরও সূচনা হয়েছে। 

বন্ধুরা,

আজকের এই রোজগার মেলায় আমাদের মেয়েরা বিপুল সংখ্যায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। মহাকাশ ক্ষেত্র থেকে ক্রীড়াক্ষেত্র, ভারতের মেয়েরা আজ সর্বত্রই নতুন রেকর্ড স্থাপন করছেন। নারীশক্তির এই সাফল্যে আমি অত্যন্ত গর্বিত। নারী ক্ষমতায়নের নতুন নতুন দরজা যাতে খুলে যায়, তা সুনিশ্চিত করতে সরকারও বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করেছে। আজ আমাদের মেয়েরা সশস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে দেশের সেবা করছেন। নারীশক্তি কিভাবে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবর্তন নিয়ে আসে, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই রয়েছে। আমাদের জনসংখ্যার এই ৫০ শতাংশ যাতে সুশাসন পান, সেজন্য নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। 

বন্ধুরা,

একবিংশ শতকের ভারতের আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি, আপনাদের কাছে সমাজ এবং সরকারের প্রত্যাশাও ঊর্ধ্বমুখী। নতুন ভারতের এই বিস্ময়কর কৃতিত্ব আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। মাত্র কয়েকদিন আগে এই ভারত চাঁদে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছে। এই নতুন ভারতের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে দেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছি। আজ যখন দেশ ঘটনাবহুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে, তখন প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর ভূমিকার গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘নাগরিকই প্রথম’ – চেতনা নিয়ে আপনাদের সর্বদা কাজ করতে হবে। আপনারা এমন এক প্রজন্মের অংশ, যাঁরা প্রযুক্তির সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম আপনাদের কাছে খেলনার মতো, অথচ আপনাদের বাবা-মায়েরা সেগুলি চালাতেই পারবেন না। 

 

প্রযুক্তির এই সুবিধাকে আপনাদের কর্মক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তির সাহায্যে শাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন কিভাবে ঘটানো যায়, তার উপায় আমাদের খুঁজতে হবে। আপনাকে দেখতে হবে, কিভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি নিজের কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা আরও বাড়াতে পারেন। 

বন্ধুরা,

আপনারা দেখেছেন, গত ৯ বছরে প্রযুক্তিগত রূপান্তরের সুবাদে শাসন ব্যবস্থা কিভাবে সহজতর হয়ে উঠেছে। আগে রেলের টিকিট কাটতে হলে বুকিং কাউন্টারে লম্বা লাইন দিতে হত। প্রযুক্তি এই পদ্ধতিকে সহজ করে দিয়েছে। আধার কার্ড, ডিজিটাল লকার এবং ই-কেওয়াইসি, নথিপত্র রাখার জটিলতা থেকে মুক্তি দিয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারের বুকিং থেকে বিদ্যুতের বিল মেটানো - সবকিছুই এখন অ্যাপ-এর মাধ্যমে হয়ে যাচ্ছে। সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের টাকা পৌঁছে যাচ্ছে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ‘ডিজি যাত্রা’ আমাদের যাতায়াতকে সহজ করে তুলেছে। অর্থাৎ, প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি ও জটিলতা কমেছে, বেড়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বাচ্ছন্দ্য। 

আপনাদের এই লক্ষ্যে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। প্রযুক্তির সাহায্যে কিভাবে দরিদ্র মানুষের প্রতিটি প্রয়োজন সহজে পূরণ করা যায় এবং সরকারের প্রতিটি কাজ আরও সহজ করা যায়, তা আপনাদের ভাবতে হবে। কাজের জন্য আপনাকে নতুন পদ্ধতি, উদ্ভাবনী পদ্ধতি   খুঁজে বের করে এগিয়ে যেতে হবে। 

 

বন্ধুরা,

গত ৯ বছরে আমাদের গৃহীত বিভিন্ন নীতি বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছে। নতুন মানসিকতা, অবিরাম নজরদারি, মিশন মোডে বাস্তবায়ন এবং জনগণের অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে আমাদের নীতিগুলি প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘স্বচ্ছ ভারত’ই হোক বা ‘জল জীবন মিশন’ – আমরা সব সময়ই ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে গিয়েছি। সরকারের প্রতিটি স্তরে প্রকল্পগুলির কাজের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে। 

‘প্রগতি’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে প্রকল্পগুলির কাজের গতির ওপর নজর রাখি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি রূপায়ণের সবথেকে বড় দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের মতো নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের ওপর। আপনাদের মতো লক্ষ লক্ষ তরুণ যখন সরকারি চাকরিতে যোগ দেন, তখন নীতি বাস্তবায়নের গতি ও মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে সরকারের বাইরেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্কৃতিও গড়ে ওঠে।

বন্ধুরা,

বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আজ ভারতের জিডিপি দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। আমাদের উৎপাদন এবং রপ্তানি - দুই-ই ব্যাপাকভাবে বেড়েছে। এই প্রথম দেশে আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য রেকর্ড পরিমাণ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আজ দেশে নতুন নতুন ক্ষেত্রের প্রসার ঘটছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, জৈব-কৃষি, প্রতিরক্ষা, পর্যটনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নজিরবিহীন বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

মোবাইল ফোন থেকে এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার, করোনার টিকা থেকে ফাইটার জেট – আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের শক্তি আজ সবার চোখের সামনে। ২০২৫ সালের মধ্যে শুধুমাত্র ভারতের মহাকাশ অর্থনীতিই ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ, আজ দেশের যুব সমাজের সামনে ক্রমাগত নতুন সুযোগ ও কর্মসংস্থানের দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। 

 

বন্ধুরা,

আপনাদের চাকরি জীবনের আগামী ২৫ বছর, ‘আজাদি কা অমৃতকাল’-এর পরবর্তী ২৫ বছরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। টিমওয়ার্ককে আপনাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, এই মাসেই দেশে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন সফলভাবে করা গেছে। দিল্লি সহ দেশের ৬০টি শহরে ২০০টিরও বেশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। 

এই সময়ে বিদেশি অতিথিরা আমাদের দেশের বর্ণাঢ্য বৈচিত্র্যের সাক্ষী থেকেছেন। জি-২০ আমাদের ঐতিহ্য, সঙ্কল্প ও আতিথেয়তার পরিচয় বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং বেসরকারি ক্ষেত্রেরও সাফল্য। প্রত্যেকে একটি টিম হিসেবে এই মহাযজ্ঞে সামিল হয়েছেন। আমার ভালো লাগছে যে, আপনারাও আজ সরকারি কর্মীদের ‘টিম ইন্ডিয়া’র অংশ হতে চলেছেন।

বন্ধুরা,

আপনারা সবাই দেশের উন্নয়ন যাত্রায় সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এই যাত্রাপথে শেখার অভ্যাস বজায় রাখবেন। ‘iGoT Karmayogi’ অনলাইন লার্নিং পোর্টালে আপনারা আপনাদের পছন্দের যে কোনো কোর্সে যোগ দিতে পারেন। 

আমি চাই আপনারা সবাই এর সুযোগ নিন। আবারও আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। ভারতের সঙ্কল্পকে ফলপ্রসূ করার জন্য আপনাদের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা। আপনাদের পরিবারের সদস্যদেরও আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আগামী ২৫ বছর আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে দেশের উন্নতির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এমন বিরল সংমিশ্রণ খুব একটা দেখা যায় না।

আসুন বন্ধুরা, আমরা শপথ নিয়ে এগিয়ে চলি, দেশের জন্য বাঁচি, দেশের জন্য কিছু করে দেখাই। আপনাদের সবার প্রতি আমার শুভেচ্ছা।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India's services sector 'epochal opportunity' for investors: Report

Media Coverage

India's services sector 'epochal opportunity' for investors: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
List of Outcomes : Prime Minister’s visit to Namibia
July 09, 2025

MOUs / Agreements :

MoU on setting up of Entrepreneurship Development Center in Namibia

MoU on Cooperation in the field of Health and Medicine

Announcements :

Namibia submitted letter of acceptance for joining CDRI (Coalition for Disaster Resilient Infrastructure)

Namibia submitted letter of acceptance for joining of Global Biofuels Alliance

Namibia becomes the first country globally to sign licensing agreement to adopt UPI technology