“ভারতীয় খেলোয়াড়দের কঠোর শ্রম ও প্রচেষ্টার নিরিখে আরও উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গেই সূচনা হচ্ছে ‘আজাদি কা অমৃতকাল’-এর”
“দেশের যুব সমাজকে খেলোয়াড়রা উৎসাহিত করেছেন খেলাধূলা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রের কাজকর্মে”
“তোমরা তোমাদের চিন্তাভাবনা ও স্থির লক্ষ্যকে এমনভাবে একসূত্রে বাঁধতে পেরেছ যা ছিল এককালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি”
“ইউক্রেনে আমরা এই ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার শক্তি উপলব্ধি করেছি। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য শুধু ভারতীয়দেরই নয়, অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও ত্রিবর্ণা ছিল রক্ষাকবচ”
“আমাদের খেলার জগৎ-কে সর্বাঙ্গীন, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে। দেশের কোনও প্রতিভা যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে”

যদিও সকলের সঙ্গে কথা বলাটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। কিন্তু দেখুন, সকলের সঙ্গে তো আর একসঙ্গে কথা বলা যায় না। তবে, বিভিন্ন সময়ে আপনাদের অনেকের সঙ্গে আমার কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে এবং আপনাদের অনেকের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখার সুযোগ পেয়েছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে আপনারা খানিকটা সময় নিয়ে আমার বাড়িতে এসেছেন। আপনাদের সাফল্য প্রত্যেক ভারতবাসীকে গর্বিত করেছে। আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমিও গর্বিত। আপনাদের সকলকে স্বাগত।

আর দু’দিন পর দেশ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। অমৃতকালের এই সময়ে আপনাদের সাফল্য দেশের জন্য গর্বের বিষয়।

বন্ধুগণ,

গত কয়েক সপ্তাহে দেশ ক্রীড়া জগতে দুটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আপনাদের ঐতিহাসিক ক্রীড়া নৈপুণ্যের পাশাপাশি, দেশ সফলভাবে দাবা অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেছে। দেশে দাবা খেলায় যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেটি বজায় রেখে এই প্রতিযোগিতায় আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো ফল করেছেন। আজ এই উপলক্ষে আমি দাবা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী সকল দাবাড়ু এবং পদক জয়ীদেরও অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ, আমি আপনাদের সকলকে কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরুর আগে কথা দিয়েছিলাম, দেশে ফিরলেই আমরা একসঙ্গে বিজয় উৎসব পালন করবো। আপনারা যে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসবেন, সেই আস্থা আমার ছিল। তাই, আমার কাজের চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনাদের জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমি খানিকটা সময় বরাদ্দ রেখেছিলা্‌ম। আজ যখন আপনাদের সঙ্গে আমি কথা বলছি, তখন আপনাদের মধ্যে যে সাহস ও প্রত্যয় নজরে আসছে, সেটিই আপনাদের পরিচয় হয়ে উঠেছে। যাঁরা পদক জয় করেছেন এবং যাঁরা আগামী দিনে পদক জয় করতে চলেছেন, তাঁরা সকলেই প্রশংসার যোগ্য।

বন্ধুগণ,

আপনাদের আরও একটা জিনিস জানাতে চাই। আপনারা যখন বার্মিংহামে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, তখন সময়ের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কোটি কোটি ভারতবাসী জেগে থাকতেন। তাঁরা গভীর রাত পর্যন্ত আপনাদের প্রত্যেক খেলাই দেখতেন। খেলার স্কোর, গোল বা পয়েন্ট সবকিছুর দিকেই মানুষের নজর ছিল। আসলে আপনারা যা করেছেন, তা হ’ল – মানুষের মধ্যে খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন, যার জন্য আপনারা প্রত্যেকেই প্রশংসার দাবিদার।

বন্ধুগণ,    

কটা পদক পেয়েছেন, তার মাধ্যমে আপনাদের খেলাধূলার দক্ষতার যথাযথ মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। অনেকেই বিভিন্ন খেলায় প্রতিদ্বন্দীদের খুব কাছাকাছি ছিলেন। এটা পদক জয়ের থেকে কিছু কম নয়। হতে পারে, এক সেকেন্ড বা একটা পয়েন্ট বা এক সেন্টিমিটারের জন্য পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, আগামী দিনে আপনারা সেই সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। আপনাদের সকলের উদ্যম, কঠোর পরিশ্রম ও মানসিকতার প্রশংসা করি। দলগতভাবে আপনাদের এই উদ্যোগের কারণে হকিতে আমরা আমাদের হৃত গৌরব ফিরে পেয়েছি। গতবারের সঙ্গে বিচার করলে এবার আমরা আরও ৪টি নতুন খেলায় বিজয়ী হয়েছি। লন বল থেকে অ্যাথলেটিক্স ౼ বিভিন্ন খেলায় আমাদের খেলোয়াড়দের পারদর্শিতা ছিল নজরকাড়া। এই পারদর্শিতার জন্যই নতুন নতুন খেলার বিষয়ে দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের আগ্রহ বাড়ছে। আমাদের এই উদ্যোগ বজায় রাখতে হবে। শরদ, কিদাম্বী, সিধু, সৌরভ, মীরাবাঈ, বজরং, বীনেশ বা সাক্ষীর মতো পুরনো মুখগুলি যেমন দেখতে পাচ্ছি, একইভাবে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রাও দারুন খেলেছেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করেছেন। নতুন যেসব খেলোয়াড় এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ৩১টি পদক জয় করেছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে প্রত্যয় বাড়ছে, তা এর মাধ্যমে প্রতিফলিত। নতুন ভারতের মানসিকতা আজ অনুভূত হচ্ছে। একদিকে দীর্ঘ দিনের খেলোয়াড় শরদ আগের মতোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, অবিনাশ, প্রিয়াঙ্কা এবং সন্দীপ এই প্রথম বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের টক্কর দিয়েছেন। এটা এমন এক মানসিকতা যে, যে কোনও প্রতিযোগিতায় আমরা সব ধরনের পরিস্থিতি সামল দিতে প্রস্তুত। আচ্ছা ভাবুন তো, পোডিয়ামে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকাকে দু’জন  ভারতীয় খেলোয়াড় শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, এটা আমরা কতবার দেখেছি? আর বন্ধুরা, আমাদের মেয়েদের পারদর্শিতার জন্য গোটা দেশ আজ আনন্দিত। আমি যখন পূজার সঙ্গে কথা  বলছিলাম, তখন তাঁর আবেগঘন ভিডিও-টির বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। পূজা, আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনি দেশের জন্য বিজয়ী। আপনি আপনার সততা ও কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে কোনও আপোষ করেননি। অলিপিক্সের পর বীনেশকেও আমি একই কথা বলেছিলাম। আমি আনন্দিত যে, উনি ওনার মন খারাপকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন। আমাদের মেয়েরা বক্সিং, জুডো অথবা কুস্তি – সব খেলাতেই দারুন ফল করেছেন। নিতু বক্সিং রিং থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে তো বেরই করে দিলেন। উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল  দুর্দান্ত খেলেছেন। আসলে সব খেলোয়াড়ই চমৎকার পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। আর, রেণুকার স্যুইং-এর ব্যাপারে তো কোনও কথাই হবে না। তার মুখে সিমলার শান্তভাব ফুটে ওঠে, তাঁর হাসিতে পাহাড়ের সারল্য রয়েছে। কিন্তু, তাঁর আগ্রাসী মনোভাব বিপক্ষকে তছনছ করে দেয়। এই পারদর্শিতা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদেরও অনুপ্রাণিত করে, উৎসাহিত করে।  

বন্ধুগণ,

দেশকে আপনারা পদক এনে দিয়েছেন। আর তার জন্য দেশ গর্বিত – বিষয়টি এরকম ভাবলে চলবে না। বরং বলা ভালো ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনাকে আপনারা শক্তিশালী করেছেন। দেশের যুবসম্প্রদায়কে শুধু ক্রীড়া জগতেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও আপনারা অনুপ্রাণিত করেছেন। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল অভিন্ন লক্ষ্য। আপনারা ‘এক সংকল্প ও এক লক্ষ্য’ – এর মাধ্যমে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মঙ্গল পান্ডে, তাতিয়া টোপি, লোকমান্য তিলক, সর্দার ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, আসফাকুল্লা খান এবং রামপ্রসাদ বিসমিলের ভাবনা ছিল আলাদা। কিন্তু, উদ্দেশ্য ছিল এক। গতানুগতিক নিয়মের বেড়াজাল ভেঙ্গে রানী লক্ষীবাঈ, ঝালকারি বাঈ, দুর্গাভাবি, রানী চেন্নাম্মা, রানী গাইদিলিউ এবং ভেলু নাচিয়ের মতো অগণিত বীরাঙ্গনা এগিয়ে এসেছিলেন। বীরসা মুন্ডা, আল্লুরি সীতারাম রাজু এবং গোবিন্দ গুরুর মতো বহু জনজাতি যোদ্ধা তাঁদের সাহস ও মানসিকতার জোরে লড়াই করেছেন। স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, পন্ডিত নেহরু, সর্দার প্যাটেল, বাবাসাহেব আম্বেদকর, আচার্য বিনোবা ভাবে, নানাজী দেশমুখ, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা তাঁদের জীবন অতিবাহিত করেছেন। যেভাবে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল, সেই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীন ভারতের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্য, জেলা, গ্রাম, ভাষা – যাই হোক না কেনো, দেশের গর্ব ও মান রক্ষার জন্য আপনাকে আপনার সবথেকে ভালো জিনিসটা দিতে হবে। এই ত্রিবর্ণা আপনার চালিকাশক্তি। দিন কয়েক আগে ইউক্রেনে আমরা এই ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার শক্তি উপলব্ধি করেছি। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার জন্য শুধু ভারতীয়দেরই নয়, অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও ত্রিবর্ণা ছিল রক্ষাকবচ।  

বন্ধুগণ,

সাম্প্রতিককালে আমরা অন্যান্য টুর্নামেন্টও ভালো খেলেছি। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারদর্শিতা দেখিয়েছি। অনুর্দ্ধ-২০ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও আমরা ভালো খেলেছি। ওয়ার্ল্ড ক্যাডেট রেসলিং চ্যাম্পিয়ানশিপ এবং প্যারা ব্যাডমিন্টন ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টেও অনেক নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ভারতীয় ক্রীড়া জগতের ক্ষেত্রে সময়টা দারুন। আমাদের প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণ দলের কর্মী এবং ক্রীড়া প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, এটা নতুন এক সূচনা। শুধুমাত্র এই সাফল্যে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। ভারতীয় ক্রীড়া জগতের সুবর্ণ্ যুগের সূচনা হয়েছে। বন্ধুরা, খেলো ইন্ডিয়া মঞ্চ থেকে উঠে আসা অনেক খেলোয়াড় দারুন খেলেছেন। টপস্‌ প্রকল্পের ইতিবাচক দিকও নজরে আসছে। নতুন নতুন প্রতিভার অন্বেষণে আমাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে। আমাদের খেলার জগৎ-কে সর্বাঙ্গীন, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে। দেশের কোনও প্রতিভা যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আপনাদের সকলকে আগামী এশিয়ান গেমস্‌ ও অলিম্পিক্সের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। আরেকটি অনুরোধ আছে, স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে এর আগে আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, দেশের ৭৫টি স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করুন। ইতোমধ্যেই ‘মিট দ্য চ্যাম্পিয়ন’ কর্মসূচির আওতায় অনেকেই বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেছেন। যাঁরা যাননি, তাঁদের কাছে অনুরোধ, আপনারা এই উদ্যোগে সামিল হন। যেহেতু, দেশের তরুণ-তরুণীরা আপনাদের আদর্শ হিসাবে মনে করেন এবং আপনাদের কথাগুলি খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন, তাই আপনাদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা প্রয়োজন। কারণ, আপনারা যে পরামর্শ দেবেন, তারা তাদের জীবনে সেটি গ্রহণ করবে। আপনাদের ক্ষমতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং আপনাদের প্রতি সম্মান দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আরও একবার আপনাদের সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানাই! অনেক অভিনন্দন! ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi

Media Coverage

Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।