এই কর্মসূচি ১ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি সুফলভোগীকে ই-সম্পত্তি কার্ড প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
গ্রামকে দারিদ্র্য মুক্ত করতে অনিশ্চয়তা ও অবিশ্বাসের হাত থেকে রক্ষার জন্য জমি বা বাড়ির মালিকানা অত্যন্ত জরুরি
স্বাধীনতার কয়েক দশক পরও গ্রামের সম্ভাবনায় বেড়ি পরানো ছিল; গ্রামের ক্ষমতা এবং গ্রামবাসীর জমি ও বাড়ি উন্নয়নের কাজে পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা হয়নি
আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রামের উন্নয়ন ও মানুষের মধ্যে আস্থা গড়ে তুলতে স্বামিত্ব কর্মসূচি এক নতুন মন্ত্র
এখন সরকার দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ও তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটাচ্ছে, ভারতকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা দ্রোণ প্রযুক্তির রয়েছে
আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রামের উন্নয়ন ও মানুষের মধ্যে আস্থা গড়ে তুলতে স্বামিত্ব কর্মসূচি এক নতুন মন্ত্র

স্বামীত্ব যোজনার মাধ্যমে যে আত্মবিশ্বাস, যে ভরসা আমাদের গ্রামগুলিতে বেড়েছে তা সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি স্পষ্টভাবে অনুভব করছিলাম। আমি আজ এখানেও সেই আত্মবিশ্বাস দেখতে পাচ্ছি, আপনারা আমাকে বাঁশের তৈরি চেয়ারগুলি দেখিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু আমার চোখে দূর দূর পর্যন্ত যে জনপ্লাবন দেখতে পাচ্ছি, তাঁদের উৎসাহ, উদ্দীপনার দিকেই বারবার মন চলে যাচ্ছে। জনগণেশের এত ভালোবাসা, এত আশীর্বাদ, তাঁদের কতটা উপকার হয়েছে সেটা আমি সম্পূর্ণ রূপে অনুভব করতে পারছি। এই প্রকল্প যে কত বড় শক্তি রূপে প্রকাশিত হচ্ছে তা কিছুক্ষণ আগেই কয়েকজন সুবিধাভোগীর সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের অভিজ্ঞতা শুনে টের পেয়েছি। তাঁরা বিস্তারিত বলেছেন। স্বামীত্ব যোজনা কার্যকর হওয়ার পর সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমরজি, ডঃ বীরেন্দ্র কুমারজি, ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলজি, ফগগন সিং কুলস্তেজি, কপিল মোরেশ্বর পাটিলজি, এল মুরুগনজি, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় শিবরাজ সিং চৌহানজি, মধ্যপ্রদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রীগণ, উপস্থিত সাংসদগণ, বিধায়কগণ, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আর হাদরা সহ মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানের হাজার হাজার গ্রাম থেকে আগত অসংখ্য ভাই ও বোনেরা।

সবার আগে আমি ভাই কমলজিকে শুভকামনা জানাতে চাই, আজ তাঁর শুভ জন্মদিন। এই একটু আগেই আমরা টিভিতে দেখছিলাম ‘এমপি হ্যায় তো গজব হ্যায়!’ আর এমপি অবশ্যই একটি অসাধারণ রাজ্য। মধ্যপ্রদেশ দেশের গৌরব। এমপি-তে গতি আছে আর উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষাও আছে। জনগণের হিতে যত প্রকল্প তৈরি হয়, সেগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য কিভাবে মধ্যপ্রদেশ সরকার দিন-রাত এক করে কাজ করে তার বিবরণ যখন শুনি, তার পরিণাম যখন দেখি তখন আমার খুব আনন্দ হয়। খুব ভালো লাগে যে আমার বন্ধুরা এত ভালো কাজ করছেন, এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও প্রেরণার বিষয়।

বন্ধুগণ,

প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী স্বামীত্ব যোজনা মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, কর্ণাটক এবং রাজস্থানের কিছু গ্রামেই চালু করা হয়েছিল। এই রাজ্যগুলির গ্রামে বসবাসকারী ২২ লক্ষ পরিবারের জন্য প্রপার্টি কার্ড ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রকল্পটি কার্যকর করা হচ্ছে। এটা এক ধরনের পাইলট প্রোজেক্ট ছিল যাতে ভবিষ্যতে এই প্রকল্পে কোনও ত্রুটি না থেকে যায় সেটা পরীক্ষা করা দেখার জন্য। এখন গোটা দেশে একে চালু করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশও এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে তার পরিচিত ঢং-এ দ্রুতগতিতে কাজ করেছে। সেজন্য মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রশংসার যোগ্য। আজ মধ্যপ্রদেশের ৩ হাজার গ্রামের ১ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে এই প্রপার্টি কার্ড অধিকার নথি দেওয়া হয়েছে। এই কার্ড তাঁদের সমৃদ্ধির হাতিয়ার হয়ে উঠবে। এই প্রপার্টি কার্ড হোল্ডাররা ডিজি লকার-এর মাধ্যমে তাঁদের মোবাইল ফোনেও প্রপার্টি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যাঁরা পরিশ্রম করেছেন তাঁদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা আর যাঁরা এ থেকে উপকৃত হয়েছেন তাঁদেরকে অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। যে গতিতে মধ্যপ্রদেশে এই প্রকল্প এগিয়ে চলেছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে অতিসত্ত্বর এই রাজ্যের সকল গ্রামীণ পরিবার তাঁদের অধিকারের নথি, তাঁদের ‘প্রপার্টি কার্ড’ পেয়ে যাবেন।

ভাই ও বোনেরা,

আমরা প্রায়ই শুনতে পাই যে ভারতের আত্মা নাকি গ্রামে বসবাস করে। স্বাধীনতার পর দশকের পর দশক পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ভারতের গ্রামগুলির অনেক বড় সামর্থ্যকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে রাখা হয়েছে। গ্রামগুলির যে শক্তি, গ্রামের জনগণের জমি, মাটি, তাঁদের বাড়ি - সেগুলি তাঁরা এতদিন নিজেদের উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ রূপে ব্যবহার করতে পারতেন না। এর বিপরীতে গ্রামের জমি এবং বাড়িগুলি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোন্দল, অবৈধ জবরদখল ইত্যাদি গ্রামের মানুষের প্রাণশক্তিকে নিঃশেষ করে দিত। কোর্ট-কাছারি ছুটতে ছুটতে তাঁদের অনেক সমস্যার মধ্যে কাটাতে হত। সময় আর টাকা জলের মতো বয়ে যেত। প্রপার্টি কার্ড হাতে পাওয়ার পর গ্রামের মানুষদের আর সেই দুশ্চিন্তা নেই। গান্ধীজিও তাঁর সময়ে এই বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছিলেন। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই ছিল। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন থেকে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা গুজরাটে ‘সমরস গ্রাম পঞ্চায়েত’ অভিযান শুরু করেছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছি যে সঠিকভাবে চেষ্টা করলে গোটা গ্রামের মানুষ যে কোনও উদ্যোগকে সফল করার জন্য এগিয়ে আসেন। আর একটু আগেই মাননীয় শিবরাজজি বর্ণনা করছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার ২০ বছর যখন পূর্ণ হচ্ছে সেই দিনে শিবরাজজি বলছিলেন যে, তাঁর মনে আছে, যেদিন আমি প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, সেদিন প্রথম বড় যে কর্মসূচিটি ছিল – সেটি ছিল একটি গরীব কল্যাণ মেলা। আর আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ আমার প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণের ২০ বছরের শেষ দিনেও গরীব কল্যাণের কোনও কর্মসূচির সঙ্গেই আমি যুক্ত রয়েছি। এটা হয়তো কোনও ঈশ্বরের আশীর্বাদ, কোনও দৈব সঙ্কেত যে আমি ক্রমাগত ২০ বছর ধরে আমার দেশের গরীব মানুষের সেবা করার সৌভাগ্য পেয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই স্বামীত্ব যোজনাও আপনাদের সকলের অংশীদারিত্বে গ্রাম স্বরাজের একটি উদাহরণ হয়ে উঠবে। সম্প্রতি আমরা করোনাকালের মধ্যে দেখেছি, কিভাবে ভারতের গ্রামগুলি মিলেমিশে একটি লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করেছে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই ভয়ানক অতিমারীর মোকাবিলা করেছে। এই কঠিন সময়ে গ্রামবাসীরা সংক্রমণ প্রতিরোধের এক একটি মডেল তৈরি করেছে। বাইরে থেকে আসা মানুষের জন্য থাকার স্বতন্ত্র ব্যবস্থা, ভোজন এবং কাজের ব্যবস্থা, টিকাকরণের ক্ষেত্রেও ভারতের গ্রামগুলি অনেক এগিয়ে। গ্রামের মানুষদের সচেতনতা ও সতর্কতা ভারতের গ্রামগুলিকে করোনা থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত রেখেছে আর সেজন্য আমি দেশের সমস্ত গ্রামের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। তাঁরা নিজেদের মতো করে সমস্ত নিয়ম মেনেছেন, সচেতনতা বাড়িয়েছেন আর সরকারের সঙ্গে যথাসম্ভব সহযোগিতা করেছেন। গ্রামগুলি এক্ষেত্রে দেশকে বাঁচানোর লক্ষ্যে যতটা সাহায্য করেছে তা আমি কখনও ভুলতে পারব না।

বন্ধুগণ,

বিশ্বের অনেক বড় বড় সংস্থাও আকছার বলে যে, কোনও দেশের যে নাগরিকদের কাছে কোনও সম্পত্তির নথি থাকে না, সেই নাগরিকদের আর্থিক ক্ষমতা সব সময়েই কম থাকে। সম্পত্তির নথি না থাকা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই বিষয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। কিন্তু অনেক বড় বড় দেশের জন্য এটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

বন্ধুগণ,

বিদ্যালয় থেকে শুরু করে হাসপাতাল, স্টোরিং-এর ব্যবস্থা, সড়ক নির্মাণ, সেচের নালা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প – এরকম প্রতিটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য জমির প্রয়োজন হয়। কিন্তু যখন রেকর্ডই স্পষ্ট থাকে না, তখন এই ধরনের উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ করতে অনেক বছর লেগে যায়। এই অব্যবস্থার ফলে ভারতের গ্রামগুলির উন্নয়ন অনেকটাই প্রভাবিত হয়েছে। দেশের গ্রামগুলিকে, গ্রামগুলির সম্পত্তিকে জমি ও বাড়ির রেকর্ডের অনিশ্চয়তা এবং অবিশ্বাস থেকে বের করে আনার খুব প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য পিএম স্বামীত্ব যোজনা আমাদের গ্রামগুলির প্রত্যেক ভাই ও বোনেদের অনেক বড় শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে, আর আমরা জানি, যখন কোনও জিনিসের ওপর আপনার অধিকার থাকে তখন কত শান্তি বজায় থাকে। কখনও হয়তো আপনারা দেখেছেন যে, রেলযাত্রা করছেন, সঙ্গে টিকিট রয়েছে কিন্তু আপনার রিজার্ভেশন নেই, তাহলে কেমন অস্বস্তিতে ভুগবেন! রিজার্ভেশন না থাকলে মাথায় দুশ্চিন্তা থাকে। তখন ওই কামরা থেকে নেমে আবার অন্য কামরায় যেতে হয়। কিন্তু আপনার কাছে রিজার্ভেশন থাকলে আপনি নিজের সংরক্ষিত আসনে আরাম করে বসতে পারেন। যত বড় বীরপুরুষই আসুন না কেন, কিংবা কোনও ধনী ব্যক্তি, আপনার রিজার্ভেশন থাকলে কেউ আপনাকে আপনার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আপনি স্পষ্ট জোর গলায় বলতে পারেন যে আমি এখানেই বসব। এটাকেই নিজের অধিকারের শক্তি বলে। আজ যখন গ্রামের মানুষের হাতে এই শক্তি এসেছে তার অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী পরিণাম দেখতে পাবেন। আমি আনন্দিত যে শিবরাজজির নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ আজ ল্যান্ড ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রেও অগ্রণী রাজ্যে পরিণত হয়েছে; তা সে ডিজিটাল রেকর্ডের পরিধি বৃদ্ধি করার নিরিখে হোক কিংবা তার উৎকর্ষ - প্রত্যেক ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশ প্রশংসনীয় কাজ করছে।

বন্ধুগণ,

স্বামীত্ব যোজনা নিছকই একটি মানুষকে নথি প্রদানের প্রকল্প নয়, এটি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে দেশের গ্রামগুলির উন্নয়ন এবং বিশ্বাস স্থাপনের নতুন মন্ত্রের বাস্তবায়ণও। এই যে আজ দেশের গ্রামে-গঞ্জে  ‘উড়ন খাটোলা’ বা ড্রোন উড়ছে, এগুলিকে গ্রামের মানুষ ছোট হেলিকপ্টার বলছেন। আর এই যে ড্রোন উড়ছে এগুলি ভারতের গ্রামগুলিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। ড্রোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাড়ি ও জমির মানচিত্রায়ন করছে। বৈষম্য না রেখে জমি ও বাড়ির সীমানাকে চিহ্নিত করছে। এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় ৬০টি জেলায় ড্রোনের মাধ্যমে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এর ফলে যথাযথ জমির রেকর্ড আর জিআইএস ম্যাপিং এর ফলে এখন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও ‘গ্রাম পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান’কে উন্নত করে তোলার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য পাচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

আজ স্বামীত্ব যোজনার যে লাভগুলি আমরা চোখে দেখতে পাচ্ছি তা দেশের অনেক বড় অভিযানের ফল। এই অভিযান হল গ্রাম ও গরীব মানুষদের আত্মনির্ভর করে তোলা, তাঁদের আর্থিক রূপে অনেক শক্তিশালী করে তোলা। আর একটু আগেই আমরা শুনেছি, পবনজি বলছিলেন, তিন মাসের মধ্যে কত বড় শক্তি এসেছে, নিজেরই বাড়ি কিন্তু কাগজ ছিল না। কাগজ হাতে আসার পরই জীবন বদলে গেছে। আমাদের গ্রামের মানুষ সম্পূর্ণ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রারম্ভিক সম্পদ বা পুঁজি জোগাড়ের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পড়তেন। তাঁদের একটি লঞ্চিং প্যাডের দরকার ছিল। বাড়ি তৈরির জন্য তাঁদের গৃহঋণের সমস্যা ছিল, ব্যবসা শুরু করার জন্য পুঁজির সমস্যা ছিল, চাষের জন্য যদি ট্র্যাক্টর কিনতে হয় বা অন্য কোনও সরঞ্জাম তখনও অর্থের সমস্যা! জমির কাগজ না থাকায় ব্যাঙ্কগুলি থেকে সহজেই তাঁরা ঋণ পেতেন না। অসহায় হয়ে ভারতের গ্রামের মানুষেরা ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার বাইরে থাকা সুদখোর মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হতেন। আর এই ঋণ চোকাতে না পেরে চিরকাল তাঁরা ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে থেকে যেতেন। আমি সেই অসহায়তাকে দেখেছি। যখন ছোট ছোট কাজের জন্য কোনও গরীব মানুষকে কারোর সামনে হাত পাততে হত আর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ দিতে গিয়ে তাঁদের জীবন পেরিয়ে যেত, সুদের টাকা মেটানো তাঁদের জীবনের সবচাইতে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠত, তখন তাঁরা কতকটা অসহায় ছিলেন! আমি দেশের গরীবদের, গ্রামের গরীবদের, গ্রামের নবীন প্রজন্মকে এই কুচক্র থেকে বের করে আনতে চাই। স্বামীত্ব যোজনা এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। প্রপার্টি কার্ড জারি হওয়ার পর এখন গ্রামের মানুষ সহজে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে পারেন। একটু আগেই কয়েকজন সুবিধাভোগীর সঙ্গে কথা বলে আমরা শুনেছি, কিভাবে প্রপার্টি কার্ড তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে সাহায্য করেছে!

বন্ধুগণ,

বিগত ৬-৭ বছরে আমাদের সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার দিকে যদি তাকান, বিভিন্ন প্রকল্পের দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখবেন যে আমরা নিরন্তর এই চেষ্টাই করে গেছি, যাতে গরীব মানুষদের আর সুদখোরদের সামনে, কোনও তৃতীয় ব্যক্তির সামনে হাত না পাততে হয়, মাথা না ঝোঁকাতে হয়। আজ কৃষির ছোট ছোট প্রয়োজনগুলি পূরণের জন্য পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান হচ্ছে। এই ছোট কৃষকরা আমাকে যেভাবে আশীর্বাদ জানাচ্ছেন আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতের এই ক্ষুদ্র কৃষকরা প্রতি ১০০ জন কৃষকের মধ্যে যাঁদের সংখ্যা প্রায় ৮০; এই ক্ষুদ্র কৃষকদের দিকে এতদিন কারোর কোনও লক্ষ্যই ছিল না। সামান্য কিছু হাতেগোনা ধনী কৃষকের জন্য সবাই ভেবেছেন। আমরা শুরু থেকেই ক্ষুদ্র কৃষকদের অধিকার স্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করে চলেছি। আমরা মনে করি, আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকরা যদি স্বাবলম্বী হয়ে ওঠেন, শক্তিশালী হয়ে ওঠেন, তাহলে আমাদের দেশকে কেউ দুর্বল করতে পারবে না। করোনার সঙ্কটকালেও অভিযান চালিয়ে আমরা ২ কোটিরও বেশি কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দিয়েছি। যাঁরা পশুপালন করেন, যাঁরা মৎস্যচাষ করেন, তাঁদেরকেও এর মধ্যে সামিল করা হয়েছে। উদ্দেশ্য এটাই যে, প্রয়োজনে তাঁরা যেন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারেন, তাঁদের যেন আর কারোর কাছে হাত না পাততে হয়। মুদ্রা যোজনা চালু করার ফলেও এর সুবিধাভোগীরা ব্যাঙ্ক থেকে বিনা গ্যারান্টিতে ঋণের সুযোগ পেয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিগত ছয় বছরে প্রায় ২৯ কোটি মানুষকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ সাধারণ মানুষের হাতে গেছে। ১৫ লক্ষ কোটি কম টাকা নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্কগুলি থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পেশাদারদের হাতে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা গিয়েছে। এই টাকার জন্য তাঁদের কারোর কাছে হাত পাততে হয়নি।

বন্ধুগণ,

ভারতের গ্রামগুলির আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মা ও বোনেদের ভূমিকা, আমাদের মহিলাশক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। আজ সারা দেশে ৭০ লক্ষেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেগুলির সঙ্গে প্রায় ৮ লক্ষ বোনেরা যুক্ত রয়েছেন আর তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই দেশের গ্রামগুলিতে কাজ করছেন। এই বোনেরা জন ধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আর কোনও গ্যারান্টি ছাড়া ঋণও পেয়েছেন। সম্প্রতি সরকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন প্রত্যেক স্বনির্ভর গোষ্ঠী গ্যারান্টি ছাড়া যেখানে ১০ লক্ষ টাকা করে ঋণ পেত, সেই ঋণের সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ, ২০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের গ্রামের অনেক বন্ধু পার্শ্ববর্তী শহরগুলিতে গিয়ে ঠেলাওয়ালা, রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা কিংবা হকারের কাজ করেন। তাঁদেরকেও পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আজ ২৫ লক্ষেরও বেশি এরকম বন্ধু ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছেন। এখন তাঁদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর কারোর সামনে হাত পাতার প্রয়োজন হয় না!

বন্ধুগণ,

আপনারা এই সমস্ত প্রকল্পের দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখবেন, এগুলির লক্ষ্য একটাই – সরকার থাকতে, ব্যাঙ্ক থাকতে, দেশের গরীবদেরকে যাতে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কাছে হাত পাতার জন্য না যেতে হয় সেটা সুনিশ্চিত করা। দেশ সেই অতীতকে পেছনে ফেলে এসেছে যখন গরীবদের এক একটি টাকার জন্য, এক একটি জিনিসের জন্য সরকারি দপ্তরগুলিতে ঘুরে ঘুরে হয়রান হতে হত। এখন সরকারি ব্যবস্থা নিজেই গরীবদের কাছে যায় আর গরীবদের ক্ষমতায়িত করে। আপনারা দেখুন, করোনার সঙ্কটকালে সরকার নিজেই এগিয়ে ৮০ কোটিরও বেশি জনগণকে মাসের পর মাস বিনামূল্যে শস্য সরবরাহ করেছে, যাতে একজনও গরীব এমন না থাকেন যাঁদের বাড়িতে উনুন জ্বলবে না। আর এক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের যে অবদান, তাঁদের যে পরিশ্রম তাকে মেনে নিতেই হবে। গরীবদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার জন্য সরকার প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে গরীবদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা গরীবদের ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। যে ৮ হাজারেরও বেশি সংখ্যক জন ঔষধি কেন্দ্র থেকে সস্তায় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলিও গরীবদের কয়েকশ’ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। ‘মিশন ইন্দ্রধনুষ’ অভিযানে নতুন টিকা যুক্ত করে টিকাকরণ অভিযানকে অধিকাংশ গরীবের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমরা কোটি কোটি গর্ভবতী মহিলাকে ও শিশুদেরকে অনেক রোগ থেকে বাঁচিয়েছি। এই সমস্ত প্রচেষ্টা আজ গ্রামের গরীবদের অর্থ সাশ্রয় করে তাঁদেরকে অসহায় অবস্থা থেকে বের করে এনেছে, তাঁদের সামনে অনেক সম্ভাবনার আকাশ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, স্বামীত্ব যোজনার শক্তি পাওয়ার পর ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে একটা নতুন অধ্যায় লেখা হবে।

বন্ধুগণ,

ভারতে একটা পরম্পরা ছিল, আধুনিক প্রযুক্তি আগে শহরে পৌঁছত আর তারপর গ্রামে যেত। কিন্তু আজ দেশ এই পরম্পরাকেও বদলে দেওয়ার কাজ করেছে। আমি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন সেখানেও জমি ও জায়গার তথ্যের জন্য অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার কাজ শুরু করেছিলাম। গুজরাট সরকার প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ই-গ্রামসেবার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিল। সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য গুজরাট ‘স্বাগত’ নামক একটি উদ্যোগ নিয়েছিল যা আজও আমাদের সামনে দৃষ্টান্তস্বরূপ। সেই মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে গিয়ে আজ দেশ স্বামীত্ব যোজনা এবং ড্রোন টেকনলজি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের গ্রামগুলির শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামগুলিকে সমৃদ্ধ করেছে। ড্রোন প্রযুক্তি ন্যূনতম সময়ে কঠিনতম কাজ সঠিকভাবে করতে পারে। ড্রোন সেখানেও সহজভাবে কাজ করতে পারে যেখানে মানুষ সহজে যেতে পারে না। বাড়িগুলির মানচিত্রায়ন ছাড়াও গোটা দেশে জমি-জিরেতের সমস্ত নথি, সার্ভে, ডিমার্কেশনের মতো বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর, আরও স্বচ্ছ করে তুলতে ড্রোন অনেক সাহায্য করবে। মানচিত্রায়ন থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা, কৃষিকাজ থেকে শুরু করে পরিষেবা ক্ষেত্র – সর্বত্র ড্রোনের ব্যবহার এখন ব্যাপকভাবে বাড়বে। আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, টিভি ও খবরের কাগজে দু’দিন আগে এসেছিল যে মণিপুরের এমন কিছু এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে করোনার টিকা দ্রুতগতিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যেখানে মানুষের পৌঁছতে অনেক দেরি হত। তেমনই গুজরাটে ড্রোনের মাধ্যমে চাষের খেতে ইউরিয়া স্প্রে করা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের, রোগীদের, দূরদুরান্তে বসবাসকারী মানুষেরা যাতে বেশি উপকৃত হন, তা দূর করে অনেক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতে বেশি করে আধুনিক ড্রোন উৎপাদন সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলতে পিএলআই স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। আজ আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত পরিশ্রমী বৈজ্ঞানিক, ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপার্স এবং স্টার্ট-আপ-এর সঙ্গে যুক্ত যুবক-যুবতীদের কাছে অনুরোধ রাখব ভারতে কম দামের, ভালো মানের ড্রোন উৎপাদনের জন্য এগিয়ে আসুন। এই ড্রোন প্রযুক্তি ভারতের ভাগ্যকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতীয় কোম্পানিগুলি থেকেই ড্রোন এবং সংশ্লিষ্ট পরিষেবা কেনা হবে। এর ফলে, বেশি সংখ্যক দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি ভারতে এসে ড্রোন উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। ফলে, দেশে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও হবে।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার অমৃতকালে অর্থাৎ, আগামী ২৫ বছরে গ্রামগুলির আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারতের উন্নয়ন যাত্রাকে আরও মজবুত করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিষয়ক পরিকাঠামো অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট আজ গ্রামের যুবক-যুবতীদের সামনে অনেক নতুন সুযোগ খুলে দিচ্ছে। কৃষকদেরকে চাষের নতুন নতুন প্রযুক্তি, নতুন ফসল, নতুন বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন আজ বড় ভূমিকা পালন করছে। আজ ভারতের শহরগুলি থেকে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রামগুলিতে রয়েছেন। এখন তো দেশের সমস্ত গ্রামকে অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে যুক্ত করার অভিযানও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সেদিন আর দূরে নেই, যখন গ্রামের গরীবরাও বাড়িতে বসেই উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে কৃষি ছাড়াও ভালো পড়াশোনা, ভালো ওষুধপত্র, ইত্যাদির সুবিধা পেতে পারবেন।  

বন্ধুগণ,

প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রামগুলির রূপান্তরণের এই অভিযান নিছকই তথ্যপ্রযুক্তি কিংবা ডিজিটাল প্রযুক্তি পর্যন্ত সীমিত নেই, গ্রামগুলির উন্নয়নে অন্যান্য প্রযুক্তিরও যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। সৌরশক্তি থেকে সেচ এবং রোজগারের নতুন সুযোগও গ্রামগুলিতে সহজ হচ্ছে। বীজ নিয়ে আধুনিক গবেষণা থেকে শুরু করে পরিবর্তিত আবহাওয়া এবং পরিবর্তিত চাহিদা অনুসারে কৃষকদেরকে নতুন নতুন বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। নতুন ও উন্নত টিকাদানের মাধ্যমে গৃহপালিত পশুগুলির স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরকমই অনেক সার্থক প্রচেষ্টার ফলে, গ্রামগুলির সক্রিয় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, সকলের প্রচেষ্টায় আমরা গ্রামগুলির সম্পূর্ণ সামর্থ্যকে ভারতের উন্নয়নের ভিত্তি করে তুলবো। মধ্যপ্রদেশের গ্রামগুলি উন্নত হলে মধ্যপ্রদেশও উন্নত হবে, ভারতও উন্নত হবে। এই সার্বিক উন্নতির কামনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে আরেকবার অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আগামীকাল থেকে নবরাত্রির পবিত্র উৎসব শুরু হতে চলেছে। এই শক্তি সাধনা আপনাদের সবার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসুক, দেশ দ্রুত করোনা থেকে মুক্ত হোক, আমরাও এই করোনার সঙ্কটকালে সতর্কতা বজায় রেখে নিজেদের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাব, আনন্দে বাঁচব, এই শুভকামনা জানিয়ে সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

জনপ্রিয় ভাষণ

ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
Kapil Dev Backs Indian Team, Lauds Prime Minister Narendra Modi’s Gesture After World Cup Final Loss

Media Coverage

Kapil Dev Backs Indian Team, Lauds Prime Minister Narendra Modi’s Gesture After World Cup Final Loss
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Narendra Modi: The Go-To Man in Times of Crises
November 29, 2023

“I salute the determination of all those involved in this rescue campaign. Their courage and resolve have given a new life to our fellow workers. Everyone involved in this mission has set a remarkable example of humanity and teamwork,” PM Modi said in a telephonic conversation with the rescued workers who were successfully pulled out of a collapsed tunnel in Uttarakhand.

41 workers had been trapped in the Silkyara tunnel for the past 17 days. The rescue operation, involving both advanced machinery and ingenious manual skill, lasted over 400 hours. The remarkable resilience displayed by the trapped workers, the dedicated rescue team, and the overarching administrative efforts collectively exemplify an impressive showcase of grit and perseverance.

This massive operation led by the central and state rescue teams is another example of Modi government’s deep commitment to the principles of federalism. It is also a masterclass in effective and timely mobilisation of resources to address the needs of citizens facing distressing situations.

Operation Ganga: Safely Evacuating Over 20,000 Indian Students from Ukraine
However, this is not something that we are seeing for the first time. Operation Ganga, a monumental effort to evacuate over 22,000 Indian students from Ukraine amidst a war, stands as a remarkable achievement. The mission entailed pooling of substantial resources, the provision of humanitarian assistance and the creation of a safe passage for students to return home. Prime Minister Modi was involved in every intricate detail of the operation—right from logistics to the diplomatic reach-out. In addition, to personally coordinate the entire rescue mission, four Union Ministers were dispatched to four neighbouring countries to Ukraine. On the home front, efforts were made to assuage the concerns of every parent, ensuring they were reassured about the swift and secure return of their children.

This is the Modi government’s ‘whole-of-government’ approach, where swift coordination between diverse ministries, government departments and public agencies leads to coherent action giving exceptional results.

The Machchhu Dam Disaster of 1979
However, the groundwork for Prime Minister Modi's mass mobilization approach was established during the early years of his public service. A striking and pioneering instance of this approach emerged during the Machchhu dam failure, commonly known as the Morbi disaster. It came to known as history’s biggest dam-related disaster unleashing a flood of water through the city of Morbi in 1979, leading to over 25,000 casualties and earning the unfortunate distinction of being the worst dam burst according to the Guinness Book of World Records.

At that time, Narendra Modi, an RSS Karyakarta in Gujarat, undertook extraordinary efforts to assist those affected on the ground. He leveraged the organisational strength of the RSS by mobilising the karyakartas in the time of crisis. He did not stop there. In the demoralizing aftermath, Narendra Modi, in his inimitable style, penned an inspirational letter to motivate the youth in Morbi to rebuild their lives.

The monumental relief efforts in Morbi spanned over a span of over two months, during which Narendra Modi who was an RSS Sangathak in Gujarat, demonstrated exemplary leadership, by personally taking charge and remaining at the forefront until the last bus taking volunteers home departed. Along with RSS volunteers, he assessed the situation and created a detailed plan through which teams were assigned specific tasks to address the different problems arising from the tragedy. Governments can take time before they can choose a course of action. But the 29-year-old worker Narendra Modi, pursued a singular course of action - reaching the people and find ways to alleviate their suffering.

2001 Gujarat Earthquake

Another compelling instance of Narendra Modi's commitment to mobilizing every available resource for swift and effective resolution, is the handling of the devastating 2001 earthquake that shook the state of Gujarat. Even before assuming role as Gujarat’s Chief Minister, Narendra Modi, then a BJP karyakarta, immediately rushed to ground zero to aid the affected.

During the aftermath of the massive earthquake in Bhuj, where Narendra Modi had no official role in the Gujarat government or the party hierarchy, he leveraged his personal network in the Sangh and mobilised the BJP's cadre to provide assistance to the earthquake victims. Witnessed by all, he rode pillion on a motorcycle to assess the damage and come up with potential remediation measures. Collaborating with non-profit organizations, organizing relief camps, distributing food, and coordinating support collection nationwide and internationally, Narendra Modi displayed how far he can go to assist those in need, irrespective of any formal power or position.

Upon assuming the role of Chief Minister shortly after, Modi chose to spend Diwali in 2001 in Bhuj, in solidarity with the earthquake victims. Shortly afterward, CM Modi displayed sensitive leadership when he organized a mass worship offering to Mother Earth, alleviating fears caused by the earthquake.

When faced with the monumental task of rehabilitation, Chief Minister Narendra Modi left no stone unturned in mobilizing the state’s government machinery. In the face of officials estimating a rehabilitation period of at least three years, Narendra Modi, not aloof of ground realities in Gujarat and conscious of the urgency for those who had become homeless and destitute, issued a straightforward directive: Kutch should stand on its feet again in three months. As the first anniversary of the earthquake of 26 January 2002 approached, Kutch not only stood on its feet but also started regaining momentum.

The Uttarakashi Tunnel Rescue materialized into reality only through decisive leadership at the helm which demonstrated a profound concern for those at the grassroots level. India stood to benefit from the hands-on experiences of the Prime Minister, who has witnessed and managed several many disasters and crisis as a RSS swayamsevak, a BJP karyakarta, and later as the head of the state in Gujarat and India.

Today, we see that this personal abilitiy of PM Modi has transformed into institutional power. This ‘whole-of-government’ approach has transformed the governance paradigm in India, and today one can proudly say that it was an all of government, all of India operation.