আমার প্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সকাল থেকে বসে বসে হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।আরও ৩৬ ঘন্টা এখানে থাকতে হবে, আপনারা আরও ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। কিন্তু আপনারা হয়তোভেবেছেন যে, সকাল ১০টায় কি আর প্রধানমন্ত্রী আসবেন! আজ পয়লা এপ্রিল, হয়তো ভেবেছেনমোদীজি আপনাদের এপ্রিল ফুল করছেন। বন্ধুগণ, আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমারসত্যি আনন্দ হচ্ছে।
স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন ভারতেএকটি বৃহত্তম নিরীক্ষা। যেদেশের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম, বিশ্বেরসর্ববৃহৎ নবীন দেশ আজ নিজের দেশে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান খুঁজে নিতেবদ্ধ পরিকর। নিজেদের উদ্ভাবন, সৃষ্টিশীলতার অ দ্ভু ত প্রদর্শনের জন্য আপনারা, নবীন প্রজন্মের বন্ধুরা উৎসাহও উদ্দীপনার সঙ্গে যেভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন, তা প্রশংসনীয়। ১৫ ঘন্টাধরে লাগাতার কাজ করার পরও এই সময়ে আপনাদের মুখে আমি কোনও ক্লান্তির ছাপ দেখতেপাচ্ছি না। আপনাদের এমন হাসিখুশি ও উৎসাহে উদ্দীপ্ত দেখে আমি নিশ্চিত যে, সাফল্যআসবেই। কারণ, সাফল্য এভাবেই আসে।
বন্ধুগণ, জ্ঞা নের জগতে সহস্র বছর ধরেই আমাদের দেশের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় রয়েছে। শোনা যায়,শূন্যের আবিষ্কার ভারতেই হয়েছিল। আজ তথ্য প্রযুক্তি ও জ্ঞানের ক্ষেত্রেও ভারতবিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। শূন্য আবিষ্কারের মাধ্যমে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ তামঙ্গলযানের মাধ্যমে মঙ্গলযাত্রার সাফল্যে গৌরবান্বিত। উপনিষদ থেকে শুরু করে উপগ্রহপর্যন্ত আমাদের এই জ্ঞানপথের পরিক্রমা বিস্তৃত। কিন্তু এটাও সত্যি যে, আজ ভারতেনানা সমস্যা সমাধানের জন্য আরও বেশি করে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।আজকের সমাজ প্রযুক্তিনির্ভর। উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সমাজ জীবনকে গতি প্রদান করছে,জ্বালানি সরবরাহ করছে। আর তাই এই স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন, ২০১৭’র জন্য মাইগভ-এরসাহায্যে এরকম প্রায় ৫০০টি সমস্যাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমেআপনারা এগুলির সমস্যা সমাধান করুন। এই প্রতিস্পর্ধা আপনাদের সামনে একটি বড় সুযোগওবটে। আগে আপনারা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নানা রকম ‘জব ওয়ার্ক’ করতে গিয়ে যেরকমআনন্দ পেতেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এখানে এর চেয়ে বেশি আনন্দ পাবেন। কারণ, এই সাফল্যদেশের দরিদ্র মানুষের উপকারে লাগবে, আর তার পেছনে থাকবে আপনার পরিশ্রম। আপনারা যেসমাধান খুঁজে বের করবেন, তা হয়তো ভারতে সরকারি নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে,যা আপনার জীবনকে গর্বিত করবে।
গণতন্ত্রের সাফল্য গণঅংশীদারিত্বের ওপর নির্ভরশীল। গণতন্ত্রের মানে এই নয়যে, ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য কাউকে চুক্তি দিয়ে দিলাম, আর তাঁরা আমাদের সমস্যাদূর করবেন। যদি পাঁচ বছরের মধ্যে সমস্যার সমাধান না করতে পারেন, তা হলে পরের পাঁচবছরের জন্য অন্য ঠিকাদারকে কাজে লাগানো হবে – এটা গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র,গণঅংশীদারিত্বের ওপর নির্ভরশীল। ১২৫ কোটি ভারতবাসীর দেশকে সবাই মিলে এগিয়ে নিয়েযেতে হবে। সবকিছু সরকার জানে, সকল সমস্যার সমাধান সরকার করতে পারবে – এই ধারণাভ্রান্ত। সরকারে তো আপনাদের মতোই মানুষ এসে বসেছেন। সকলে মিলেই সব সমস্যার সমাধানখুঁজে বের করতে হবে। যাঁরা সরকারে নেই, তাঁদের কাছেও অনেক ভাল পরামর্শ থাকতে পারে,বুদ্ধি-প্রতিভা থাকে, শুধু কাজ করার জন্য ইচ্ছাশক্তি চাই। আর সেজন্যই আমি সবসময়েইচেষ্টা করি, সমস্ত কিছুকে গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আজ এই উপলক্ষেদেশের নবীন প্রজন্মের ১০,০০০ প্রকৌশলী ও তথ্য প্রযুক্তিবিদ একত্রিত হয়ে আমাদেরদৈনন্দিন ৫০০টি সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করছেন। তাঁরা খাওয়া-দাওয়াও ভুলে গেছেন।এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা অভাবনীয়। সেজন্য আমি সবার আগে অংশগ্রহণকারী সবাইকে অনেক অনেকঅভিনন্দন জানাই, আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

আজ যখন আপনারা নিজেদের শক্তিকে প্রশাসনের প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করেছেন, আমিনিশ্চিত যে আপনারা ইতিবাচক সাফল্য পাবেনই। প্রযুক্তি আমাদের সামাজিক জীবনকে এতদ্রুত বদলে দিচ্ছে, যা আমরা কয়েক বছর আগেও ভাবতেই পারতাম না। কে ভেবেছিলেন যে,কখনও রাজপথে চালকবিহীন গাড়ি চলবে? আগামীদিনে কৃত্রিম মেধার বিস্তার আরও বাড়বে।ত্রিমাতৃক প্রযুক্তির সাহায্যে, ত্রিমাতৃক মুদ্রণ আগামীদিনের ভবিষ্যৎ গঠন করবে।
নির্মাণ ক্ষেত্রে এমনকি বাড়িঘরের নক্শার ক্ষেত্রেও এখন আমূল পরিবর্তনআসবে। এখন ‘ইন্টারনেট অফ থিংস্’-এর যুগ এসে গেছে। আমাদের দেশেও যে শহরগুলিকেস্মার্টসিটিতে পরিবর্তিত করা হচ্ছে, সেখানে এই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।স্মার্ট পার্কিং, স্মার্ট লাইটিং, এয়ার কোয়ালিটি মনিটারিং – এসব ক্ষেত্রেইতিমধ্যেই ‘ইন্টারনেট অফ থিংস্’ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ, প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে কিছু নতুন জিনিস ও পরম্পরা গড়ে উঠছে, যাপুরনোকে বাতিল করে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই ফ্লপি, টেপ রেকর্ডার, ওয়াকম্যান – এসব বাতিলহয়ে গেছে। অথচ, একটা সময় এসবেরই রমরমা ছিল। তারও আগে আজকের মাইক্রো ওভেনের আকারেরেডিও আসতো। আজ রেডিও’র আকার হয়েছে দেশলাই বাক্সের মতো। প্রযুক্তি সবকিছুর আকারছোট করলেও, পরিষেবার বিস্তার ঘটাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে আমাদের দেশে নগদবিহীনলেনদেন দ্রুতগতিতে বেড়েছে। এক্ষেত্রে নিয়মিত নতুন নতুন উদ্ভাবন আমরা দেখতে পাচ্ছি।
বন্ধুগণ, উদ্ভাবনই সমুজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তোলে। যাঁরা পরম্পরারপ্রতিস্পর্ধী, তাঁরাই পরিবর্তন আনেন, তাঁদের হাতেই ইতিহাস রচিত হয়। আরেকটিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল, অধ্যবসায় ও দৃঢ়তা। ছোটবেলা থেকেই আমরা একটা গল্প শুনেএসেছি যে, একটা পিঁপড়ে একটি চিনির দানা নিয়ে যাওয়ার পথের মাঝে একটি দেওয়ালে উঠতেগিয়ে চিনির দানাটি পড়ে যায়, কিন্তু সে বারবার চেষ্টা করে এক সময়ে সেই চিনির দানানিয়ে দেওয়াল পেরিয়ে যায়। একটি পিঁপড়েও যদি নিয়মিত চেষ্টায় এই সাফল্য পেতে পারে, তাহলে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও অসাফল্য যেন আপনাদের হতাশ না করে। অসফলতা মানে হেরে যাওয়ানয়, জয়ের সংকল্প নিয়ে যিনি এগিয়ে যান, তাঁকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।কিন্তু লেগে থাকলে সাফল্য একদিন আসবেই। উদ্ভাবনের ফসল হ’ল উৎকর্ষ।
উৎকর্ষের ক্ষেত্রে কোনও সমঝোতা করা উচিৎ নয়। উৎকর্ষকেই বিশ্ব মনে রাখে।আপনাদের উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন আসবে, তার উৎকর্ষই আপনাকেআরও উদ্দীপিত করে তুলবে। সমাজের নানা সমস্যার সমাধানে আপনার আবিষ্কৃত পথই তখন নতুনভারতে উন্নয়নের ভিত্তি হয়ে উঠবে। আগেকার প্রযুক্তি যে হারে পরিবর্তিত হচ্ছে,বর্তমান প্রজন্মের মস্তিষ্কও তার থেকে অনেক গুণ দ্রুত চিন্তা করতে পারে। যাঁদেরমনে যত বেশি প্রশ্ন, তাঁরা তত বেশি সফল হন। অনেকে বলেন, আজকালকার ছেলেমেয়েদেরধৈর্য্য নেই। এই ধৈর্য্যহীনতাই তাঁদের নতুন নতুন আবিষ্কারের পথে প্রেরণার উৎস।অবশ্য জীবনে ধৈর্য্য থাকতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত ধৈর্য যেন থেমে থাকার কারণ না হয়েওঠে, তাও দেখতে হবে। নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেইআজকের ছেলেমেয়েরা একঘেয়ে কাজ ভালবাসে না। সেজন্যই অটোমেশনের ক্ষেত্রে নতুন নতুনভাবনার আমদানি হচ্ছে। সবাই যদি গড্ডলিকা প্রবাহে চলে, তা হলে জীবন এগোবে না। যাঁরাএকসঙ্গে পাঁচ-সাতটা কাজে জড়িয়ে পড়েন, তাদের অভিভাবকরা বলেন যে সময় নষ্ট হচ্ছে। আমিকিন্তু তা মনে করি না। ভবিষ্যৎ নাগরিককে মাল্টিটাস্কিং-এর জন্য প্রস্তুত থাকতেহবে। অনেক নবীন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জীবনের উদ্দেশ্যকে ঠাহর করতে পারেন না।অনেকে বলেন, তারা কম সময়ে বেশি রোজগারের জন্য দৌড়ঝাঁপ করে । আমি তাঁদের পক্ষে নই। যাঁরা কিছু করে দেখানোর জন্য, আবিষ্কারের জন্য দ্রুতছোটেন, সময়ের আগে কাজ করেন – তারাই বিশ্বকে অনেকে কিছু দিয়ে যান। সেই উৎসাহ নিয়েইআমি নতুন ভারতের কল্পনা করি।
আমার নতুন ভারতের যুবসম্প্রদায় প্রতিটি সমস্যার দ্রুত সমাধান চায়। আর এইসমাধানের জন্য তারা কারও ওপর নির্ভরশীল নয়। এরা কারও অধীনে চাকরি করার চেয়েনিজেরাই এমন কিছু করতে চায় – যার মাধ্যমে অন্যদের রোজগারের সুযোগ দিতে পারে।হ্যাঁ, এতে অবশ্যই পুঁজির দরকার হয়। কিন্তু জীবনের উদ্দেশ্য এবং কর্মধারারসচেতনতার ক্ষেত্রে এরা কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। নতুন নতুন চিন্তাভাবনা, নিজস্বউদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে তাঁরা এগিয়ে আসতে চান, যাতে তার ফলাফল সমাজ জীবনে আরও দক্ষতাএবং সাশ্রয় আনে। আপনাদের এই অদ্ভুত ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই সরকার নবীন প্রজন্মেরলক্ষ লক্ষ নাগরিকের জন্য ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’ অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি,মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে কোটি কোটি যুবক-যুবতীকে কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্কের ঋণদেওয়া হয়েছে।
বন্ধুগণ, স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা সবারই থাকে। কিন্তু সেই স্বপ্নকে সংকল্পেপরিবর্তিত করার ক্ষমতাই সাফল্যের মূলে। সংকল্প সিদ্ধ করার জন্য নিজেকে উজাড় করেদিতে হয়। অনেকের স্বপ্ন, সংকল্প এবং সিদ্ধি অসংখ্য মানুষকে প্রেরণা যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রেই আপনারা দেখেছেন যে, অনেক বড় বড় উদ্ভাবনের সূত্রপাত একটি ছোটঘরে কিংবা একটি গ্যারাজে সামান্য অর্থ বিনিয়োগে শুরু হয়েছিল। শুরুর দিকে একে সবাইখারিজ করে দিলেও উদ্ভাবকরা নিজেদের স্বপ্ন, সংকল্প এবং সম্পূর্ণ ক্ষমতাকে কাজেলাগিয়ে সিদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। তবেই সাফল্য আসে। এখন হয়তো সেই মানুষরাই বিলিয়নডলারের কোম্পানির মালিক। আপনাদের সামনে এখন দীর্ঘ সময় রয়েছে। অনেক কিছু করতে হবে।আপনাদের যাত্রাপথে কোনও ভাবনাকে বিফলে যেতে দেবেন না। হতে পারে, আজ অন্যরা আপনারযে ভাবনাকে নস্যাৎ করছে, আগামীকাল আপনাকে বিলিয়ন ডলার প্রকল্পের মালিক করে তুলবে।আপনিও কয়েক লক্ষ মানুষের জীবনে পরিবর্তনে কারণ হয়ে উঠবেন।
বন্ধুগণ, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে সবাইকে জ্ঞান এবং দক্ষতার মধ্যেপার্থক্যকে বুঝতে হবে। জ্ঞান হ’ল কোনও ধারণাকে গোড়া থেকে বোঝা। যেমন – কোনওইলেক্ট্রিক সার্কিট কিভাবে কাজ করে, আর দক্ষতা হ’ল সেই ধারণাকে প্রয়োগ করা। আমিএরকম অনেককে জানি যে, যাঁরা ইলেক্ট্রনিক্স বা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশকরেছেন, কিন্তু বাড়ির একটা ফিউজ উড়ে গেলে মিস্ত্রি ডাকেন। জ্ঞানকে তীক্ষ্ণ ধারকরার জন্য প্রয়োগের অভ্যাসকেই দক্ষতা বলা যায়। সেজন্য জ্ঞান যেভাবে প্রসারিতহচ্ছে, একই গতিতে দক্ষতার বিস্তারও জরুরি। সেজন্য আমি বলি, ‘স্কিল এনগেজমেন্টঅপ্টিমাইজেশন’ ইন্টারনেটের দুনিয়ায় সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হয়, তাইএতে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।
আপনার আমার বিশ্ব জনগণের কল্যাণ আর গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে চলে। সেজন্যএতেও ‘স্কিল এনগেজমেন্ট অপ্টিমাইজেশন’-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু জ্ঞানথাকলেই চলবে না, বিশ্ব বাজারে এখন জ্ঞানকে যাঁরা প্রয়োগ করতে জানেন, সেই দক্ষমানুষদের বাজারদর বেশি। যাঁরা ক্রেতাকে পরিষেবা দিতে পারেন। আপনারা যখন ‘স্কিলএনগেজমেন্ট অপ্টিমাইজেশন’কে গুরুত্ব দেবেন, তখন দেশের জনসংখ্যার লভ্যাংশ উন্নয়নেরলভ্যাংশে পরিণত হবে। এই উন্নয়নের লভ্যাংশ নতুন ভারতের ভিত্তি মজবুত করবে।
বন্ধুগণ, আপনাদের যে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে – আমি জানি যে, আগামী কয়েকঘন্টার মধ্যেই আপনারা এর কোনও না কোনও সমাধান খুঁজে বের করবেন। কিন্তু এখানেই থেমেথাকলে চলবে না, এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের ২৯টি মন্ত্রক অংশগ্রহণ করছে, তাদেরসবার দায়িত্ব হ’ল এই হ্যাকাথন থেকে যেসব সমাধান উদ্ভাবিত হবে, সেগুলিকেযুক্তিসঙ্গতভাবে কিভাবে অন্তিম রূপ দেওয়া যায়। এতে কোনও সংশোধনের প্রয়োজন হলে তাসংশোধন করেই তবে ব্যবস্থার অন্তর্গত করা হোক। আজকের এই প্রয়াস আপনাদের সাফল্যমণ্ডিতকরুক, নতুন নতুন সমাধান বেরিয়ে আসুক – এই আশা রেখেই সকলকে অনেক অনেকশুভেচ্ছা।


