নমস্কার!

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারিজি, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী উদ্ধব ঠাকরেজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি, শ্রী রাওসাহেব দানভেজি, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অজিত পাওয়ারজি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশজি, উপস্থিত সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কগণ, আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!

আগামীকাল ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের জন্মজয়ন্তী। সবার আগে আমি ভারতের গৌরব, ভারতের পরিচয় এবং ভারতীয় সংস্কৃতির রক্ষক, দেশের মহান মহানায়ক ছত্রপতি শিবাজীজির চরণে সাদর প্রণাম জানাই। শিবাজী মহারাজের জন্মজয়ন্তীর একদিন আগে থানে ও দিভার মাঝে নবনির্মিত পঞ্চম এবং ষষ্ঠ রেললাইনের শুভারম্ভ উপলক্ষে প্রত্যেক মুম্বাইবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

এই নতুন রেললাইন মুম্বাইবাসীদের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আনবে, তাঁদের ‘ইজ অফ লিভিং’কে বাড়িয়ে দেবে। এই নতুন রেললাইন মুম্বাইয়ের কখনও না থামা জীবনকে আরও বেশি গতি দেবে। এই দুই লাইনের উদ্বোধনের মাধ্যমে মুম্বাইয়ের জনগণের সরাসরি চারটি লাভ হবে।

প্রথমত – এখন থানে ও দিভার মাঝে লোকাল আর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য আলাদা আলাদা লাইন নির্ধারিত হবে।

দ্বিতীয়ত – অন্যান্য রাজ্য থেকে মুম্বাইয়ে যাতায়াত করা ট্রেনগুলিকে এখন লোকাল ট্রেনের ক্রসিং-এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

তৃতীয়ত – কল্যাণ থেকে কুরলা সেকশনের মেল ট্রেন / এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি এখন কোনও বাধা বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চালানো সম্ভব হবে।

আর চতুর্থত – প্রত্যেক রবিবারে হওয়া ব্লকের কারণে কোলাবা এবং মুম্বার যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যাও এখন দূর হবে।

বন্ধুগণ,

আজ থেকে সেন্ট্রাল রেলওয়ে লাইনে ৩৬টি নতুন লোকাল ট্রেন চালু হতে চলেছে। এগুলির মধ্যে অধিকাংশই এসি ট্রেন। এই ট্রেনগুলি লোকাল ট্রেনের পরিষেবাকে সম্প্রসারিত করছে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের লোকাল ট্রেনগুলিকে আধুনিক করে তোলার প্রতিশ্রুতি পালনের অঙ্গ। বিগত সাত বছরে মুম্বাইয়ে মেট্রো রেলেরও প্রভূত সম্প্রসারণ হয়েছে। মুম্বাইয়ের নিকটবর্তী শহরতলি এলাকাগুলিতে দ্রুতগতিতে মেট্রো নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।

 

|

ভাই ও বোনেরা,

অনেক দশক ধরে যে লোকাল ট্রেনগুলি মুম্বাইকে পরিষেবা দিচ্ছে, সেগুলির পরিষেবাকে আরও সম্প্রসারিত করা আর সেগুলিকে আধুনিক করে তোলার দাবি অনেক পুরনো ছিল। ২০০৮-এ এই পঞ্চম এবং ষষ্ঠ লাইনের শিলান্যাসও হয়ে গিয়েছিল। ২০১৫ সালের মধ্যে এগুলির কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ২০১৪ পর্যন্ত এই প্রকল্পগুলির কাজ ভিন্ন ভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। তারপর আমরা দায়িত্ব নিয়ে এগুলির কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার অভিযান চালাই আর এভাবেই এই সমস্যাগুলির সমাধান করি।

আমাকে বলা হয়েছে, ৩৪টি স্থান এরকম ছিল, যে স্থানগুলিতে নতুন রেললাইন পেতে পুরনো রেললাইনগুলিকে যুক্ত করতে হত। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের শ্রমিকরা, আমাদের প্রকৌশলীরা এই প্রকল্পগুলিকে সম্পূর্ণ করেছেন। কয়েক ডজন নতুন সেতু নির্মিত হয়েছে। অনেকগুলি উড়ালপুল তৈরি করা হয়েছে, সুড়ঙ্গও তৈরি করা হয়েছে। দেশ নির্মাণের জন্য আমাদের শ্রমিক ও  প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রম, এমন দায়বদ্ধতাকে আমি হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা জানাই, প্রণাম জানাই, অভিনন্দনও জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

মুম্বাই মহানগর গোড়া থেকেই স্বাধীন ভারতের প্রগতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এখন এই চেষ্টা করতে হবে যাতে আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণেও মুম্বাইয়ের সামর্থ্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। সেজন্য মুম্বাইয়ে একবিংশ শতাব্দীর পরিকাঠামো নির্মাণে আমরা বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে এখানে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের শহরতলি এলাকাগুলির রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক এবং শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি-নির্ভর করে তোলা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে বর্তমান রেল যোগাযোগ ক্ষমতা যতটা আছে, তার সঙ্গে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার অতিরিক্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করতে পারি। সিবিটিসি-র মতো আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থার পাশাপাশি ১৯টি স্টেশনকে আধুনিকীকরণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

শুধু মুম্বাইয়ের মধ্যেই নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে মুম্বাইয়ের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করার ক্ষেত্রেও গতি বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে, আধুনিকীকরণের গতি বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য আমেদাবাদ-মুম্বাই হাইস্পিড রেল আজ মুম্বাই তথা দেশের প্রয়োজনীয়তা পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি মুম্বাইয়ের ক্ষমতাকে, স্বপ্নের শহর রূপে মুম্বাইয়ের পরিচয়কে আরও মজবুত করবে। এই প্রকল্প দ্রুতগতিতে সম্পূর্ণ করার জন্য আমরা সকলেই এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। একইরকমভাবে, ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরও মুম্বাইকে নতুন শক্তি যোগাতে চলেছে।

 

|

বন্ধুগণ,

আমরা সবাই জানি যে, যত মানুষ প্রতিদিন ভারতীয় রেলে যাতায়াত করেন, বিশ্বের অনেক দেশের জনসংখ্যাই তত নয়। ভারতীয় রেলকে সুরক্ষিতভাবে, সমস্ত সুবিধা যুক্ত করে আধুনিক করে তোলা আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের অন্যতম। আমাদের এই দায়বদ্ধতাকে করোনা বিশ্বব্যাপী মহামারীও টলাতে পারেনি। বিগত দুই বছরে ভারতীয় রেল ফ্রেট ট্রান্সপোর্টেশন বা পণ্য পরিবহণে নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। এর পাশাপাশি, ৮ হাজার কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকীকরণও করা হয়েছে। প্রায় ৪,৫০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন পাতা বা পূর্ববর্তী লাইনগুলির পাশাপাশি দ্বিগুণ রেললাইন পাতার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। করোনাকালেই আমরা ‘কিষাণ রেল’ চালু করে এর মাধ্যমে দেশের কৃষকদের সারা দেশের বাজারগুলির সঙ্গে যুক্ত করেছি।

বন্ধুগণ,

আমরা সবাই এটাও জানি যে, রেলওয়েতে সংস্কার হলে আমাদের দেশের পণ্য পরিবহণ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে। সেজন্য বিগত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরকার রেলওয়েতে সব ধরনের সংস্কারকে উৎসাহ যুগিয়ে গেছে। অতীতে পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি বছরের পর বছর ধরে চলত। সেগুলি এতদিন ধরে এজন্য চলত কারণ, পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত ভারসাম্য রক্ষা ও যোগাযোগের অভাব ছিল। ওই দৃষ্টিকোণ থেকে একবিংশ শতাব্দীর ভারতে পরিকাঠামো নির্মাণ সম্ভব ছিল না। সেজন্যই আমাদের যথোচিত সংস্কার আনতে হয়েছে, আমূল পরিবর্তন করতে হয়েছে।

সেজন্যই আমরা ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’ রচনা করেছি। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যেক বিভাগ, রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং বেসরকারি ক্ষেত্র – সবাইকে একটি অভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে পরিকাঠামোর যে কোনও প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সমস্ত তথ্য আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। তাহলেই সকলে নিজেদের অংশের কাজ, তাঁদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সঠিক পদ্ধতিতে করতে পারবেন। মুম্বাই এবং দেশের অন্যান্য রেলওয়ে প্রজেক্টের জন্যও আমরা গতি শক্তির ভাবনা নিয়েই কাজ করতে চলেছি।  

বন্ধুগণ,

অনেক বছর ধরে আমাদের দেশে একটা ভাবনা জোরদার ছিল, যে সম্পদ বা ব্যবস্থা গরীবরা ব্যবহার করেন, মধ্যবিত্তরা ব্যবহার করেন, সেগুলিতে বিনিয়োগ করতে হবে না। এর ফলেই ভারতের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা গণ-পরিবহণগুলি সব সময়েই চমকহীন ছিল। কিন্তু এখন ভারত সেই পুরনো ভাবনাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। আজ গান্ধীনগর এবং ভোপালের আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন ভারতীয় রেলের পরিচয় হয়ে উঠছে। আজ ৬ হাজারেরও বেশি রেলওয়ে স্টেশনে ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি দেশের রেলযাত্রার গতি বাড়িয়েছে এবং অনেক আধুনিক পরিষেবা প্রদান করছে। আগামী বছরগুলিতে ৪০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন দেশবাসীকে পরিষেবা দিতে শুরু করবে।

ভাই ও বোনেরা,

আরও একটি পুরনো ভাবনা যা আমাদের সরকার বদলেছে তা হল, রেলের নিজস্ব সামর্থ্যের ওপর ভরসা। ৭-৮ বছর আগে পর্যন্ত দেশের যে রেল কোচ ফ্যাক্টরিগুলি ছিল, সেগুলি নিয়ে সরকারের মধ্যে অনেক উদাসীনতা ছিল। এই ফ্যাক্টরিগুলি যে পরিস্থিতিতে ছিল তা দেখে কেউ কল্পনাও করতে পারত না যে এই ফ্যাক্টরিগুলি আধুনিক ট্রেন উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু আজ বন্দে ভারত ট্রেন এবং স্বদেশী ভিস্টাডোম কোচ এই ফ্যাক্টরিগুলিতেই তৈরি হচ্ছে। আজ আমরা নিজেদের সিগনালিং সিস্টেমকে স্বদেশী সমাধানের মাধ্যমে আধুনিক করে তোলার ক্ষেত্রেও নিরন্তর কাজ করে চলেছি। এভাবেই সমস্ত ক্ষেত্রে স্বদেশী সমাধান চাই। আমাদের বিদেশি নির্ভরতা থেকে মুক্তি চাই।

 

|

বন্ধুগণ,

নতুন নতুন পরিষেবা বিকশিত করার এই প্রচেষ্টাগুলির মাধ্যমে মুম্বাই এবং তার নিকটবর্তী শহরগুলি অনেক উপকৃত হতে চলেছে।

গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের এই নতুন নতুন পরিষেবা পেয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে আর কর্মসংস্থানের নতুন নতুন উপায়ও খুঁজে পাবেন। মুম্বাইয়ের নিরন্তর বিকাশের দায়বদ্ধতা নিয়ে আরও একবার সমস্ত মুম্বাইবাসীদের আমি অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
India’s digital payments witness robust growth with transaction volumes surge 34.8%

Media Coverage

India’s digital payments witness robust growth with transaction volumes surge 34.8%
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address during the launch of various projects at Kanpur Nagar, Uttar Pradesh
May 30, 2025
QuoteIn Operation Sindoor, the world has seen the power of India's indigenous weapons and Make in India: PM
QuoteThe infrastructure, the facilities, the resources that are available in big metro cities are now visible in Kanpur as well: PM
QuoteWe are making UP a state of industrial possibilities: PM

भारत माता की जय!

भारत माता की जय!

भारत माता की जय!

उत्तर प्रदेश के मुख्यमंत्री श्रीमान योगी आदित्यनाथ जी, केन्द्रीय मंत्रिमंडल के मेरे साथी, यहां उपमुख्यमंत्री केशव प्रसाद मौर्य और श्री बृजेश पाठक जी, उत्तर प्रदेश सरकार में मंत्री, सांसद, विधायक और विशाल संख्या में पधारे हुए कानपुर के मेरे प्यारे भाइयों और बहनों,

ये एक बच्‍ची शायद यहां कोई पेंटिंग बनाकर के, जरा एसपीजी के लोग उसे ले लें। उधर भी कोई एक चित्र बनाकर के लाया है, उस कोने में, आप अपना अता-पता उस पर लिख देना, मैं चिट्ठी भेजूंगा। एक उधर कोने में कोई नौजवान है, उसका अता-पता लिख दीजिए, ताकि मैं आपको चिट्ठी लिखूंगा। ये इधर एक बालक, कब से हाथ उठा रहा है, तेरे कंधे पर दर्द होगा आज, थक जाओगे। आज कानपुर का उत्साह बड़ा जोरो पर है भई। उधर कोई जरा फोटोग्राफर उधर देखो, एसपीजी के लोग जरा उस बच्चे को मदद करो।

भारत माता की जय!

भारत माता की जय!

कानपुर में विकास का ये कार्यक्रम 24 अप्रैल को होने वाला था, लेकिन पहलगाम हमले के कारण मुझे अपना कानपुर दौरा रद्द करना पड़ा। पहलगाम के कायराना आतंकी हमले में हमारे कानपुर के बेटे शुभम द्विवेदी ने भी इस बर्बरता का वो शिकार हुए। बेटी ऐशान्या की वो पीड़ा, वो कष्ट और भीतर का आक्रोश हम सब महसूस कर सकते हैं। हमारी बहनों-बेटियों का वही आक्रोश ऑपरेशन सिन्‍दूर के रूप में पूरी दुनिया ने देखा है। हमने पाकिस्तान में आतंकियों के ठिकाने घर में घुसकर, सैकड़ों मील अंदर जाकर तबाह कर दिए। और हमारी सेना ने ऐसा पराक्रम किया, ऐसा पराक्रम किया कि पाकिस्तानी सेना को गिड़गिड़ाकर युद्ध रोकने की मांग करने पर मजबूर होना पड़ा। स्वतंत्रता संग्राम की इस धरती से सेना के शौर्य को बार-बार सैल्यूट करता हूं। मैं फिर कहना चाहता हूं, ऑपरेशन सिंदूर के दौरान जो दुश्मन गिड़गिड़ा रहा था, वो किसी धोखे में न रहे, ऑपरेशन सिंदूर अभी खत्म नहीं हुआ है। भारत ने आतंक के खिलाफ अपनी लड़ाई में तीन सूत्र स्पष्ट रूप से तय किए हैं। पहला- भारत हर आतंकी हमले का करारा जवाब देगा। उसका समय, जवाब देने का तरीका और जवाब देने की शर्तें हमारी सेनाएं खुद तय करेंगी। दूसरा- भारत अब एटम बम की गीदड़ भभकी से नहीं डरेगा और न ही उसके आधार पर कोई फैसला लेगा। तीसरा- आतंक के आका और आतंकी की सरपरस्त सरकार को भारत एक ही नजर से देखेगा। पाकिस्तान का Straight और Non Straight Actor ये अब खेल चलने वाला नहीं है। अगर मैं सीधे-सीधे कानपुरिया में कहूं तो दुश्मन कहीं भी हो, हांक दिया जाएगा।

|

साथियों,

ऑपरेशन सिंदूर में दुनिया ने भारत के स्वदेशी हथियारों और मेक इन इंडिया की ताकत भी देखी है। हमारे भारतीय हथियारों ने, ब्रह्मोस मिसाइल ने दुश्मन के घर में घुसकर तबाही मचाई है। जहां टारगेट तय किया, वहां धमाके किए। यह ताकत हमें आत्मनिर्भर भारत के संकल्प से मिली है। एक समय था, जब भारत अपनी सैन्य जरूरतों के लिए, अपनी रक्षा के लिए दूसरे देशों पर निर्भर था। हमने उन हालातों को बदलने की शुरुआत की। भारत अपनी सुरक्षा जरूरतों के लिए आत्मनिर्भर हो, यह हमारी अर्थव्यवस्था के लिए तो जरूरी है ही, यह देश के आत्‍म सम्‍मान के लिए भी उतना ही जरूरी है। इसलिए हमने देश को उस निर्भरता से आजादी दिलाने के लिए आत्मनिर्भर अभियान चलाया है और यह पूरे यूपी के लिए गर्व की बात है, वो डिफेंस सेक्टर में आत्मनिर्भर में बड़ी भूमिका निभा रहा है। जैसे कानपुर में पुरानी Ordnance Factory है, वैसे ही 7 Ordnance Factories को हमने बड़ी आधुनिक कंपनियों में बदल दिया है। आज यूपी में देश का बड़ा डिफेंस कॉरिडोर बन रहा है। इस कॉरिडोर का कानपुर नोड, रक्षा क्षेत्र में आत्मनिर्भर भारत का बड़ा केंद्र है।

साथियों,

एक समय जहां से पारंपरिक उद्योग पलायन कर रहे थे, वहां अब डिफेंस सेक्टर की बड़ी कंपनियां आ रही हैं। यहां पास में ही अमेठी में AK203 राइफल का निर्माण शुरू हो चुका है। ऑपरेशन सिंदूर में जिस ब्रह्मोस मिसाइल ने दुश्मनों को सोने नहीं दिया, उस ब्रह्मोस मिसाइल का भी नया पता है उत्तर प्रदेश। भविष्य में कानपुर और यूपी भारत को डिफेंस का बड़ा एक्स्पोर्टर बनाने में सबसे आगे रहेंगे। यहाँ नई फैक्ट्रियां लगेंगी। यहाँ बड़े पैमाने पर निवेश आएगा। यहां के हजारों युवाओं को रोजगार के अच्छे अवसर मिलेंगे।

साथियों,

यूपी और कानपुर को विकास की नई ऊंचाई पर लेकर जाना, ये डबल इंजन सरकार की पहली प्राथमिकता है। ये तभी होगा, जब यहाँ पर उद्योगों को बढ़ावा मिलेगा, जब कानपुर का पुराना गौरव फिर से लौटेगा, लेकिन भाइयों और बहनों, पिछली सरकारों ने आधुनिक उद्योगों की इन जरूरतों को नज़रअंदाज करके रखा था। कानपुर से उद्योगों का पलायन होता गया। परिवारवादी सरकारें आँख बंद करके बैठे रहीं। नतीजा ये हुआ कि केवल कानपुर ही नहीं पूरा यूपी पीछे हो गया।

|

भाइयों बहनों,

राज्य की औद्योगिक प्रगति के लिए दो सबसे जरूरी शर्तें हैं, पहली- ऊर्जा क्षेत्र में आत्मनिर्भरता, यानी बिजली सप्लाई और दूसरी- इंफ्रास्ट्रक्चर और कनेक्टिविटी। आज यहाँ 660 मेगावाट के पनकी पावर प्लांट, 660 मेगावाट के नेवेली पावर प्लांट, 1320 मेगावाट के जवाहरपुर पावर प्लांट, 660 मेगावाट के ओबरासी पावर प्लांट, 660 मेगावाट के खुर्जा पावर प्लांट, का लोकार्पण हुआ है। ये यूपी की ऊर्जा जरूरतों को पूरा करने के लिए बहुत बड़ा कदम है। इन पावर प्लांट्स के बाद यूपी में बिजली की उपलब्धता और बढ़ेगी, इससे यहां के उद्योगों को भी गति मिलेगी। आज 47 हजार करोड़ रुपए से अधिक की लागत के कई और विकास कार्यों का लोकार्पण और शिलान्यास भी किया गया है। यहां बुजुर्गों को मुफ्त इलाज के लिए आयुष्मान वय वंदना कार्ड भी दिये गए हैं। अन्य योजनाओं के लाभार्थियों को भी मदद दी गई है। ये योजनाएँ, ये विकास कार्य, कानपुर और यूपी की प्रगति के लिए हमारे कमिटमेंट को दिखाते हैं।

साथियों,

आज केंद्र और प्रदेश की सरकार आधुनिक और विकसित यूपी के निर्माण के लिए काम कर रहे हैं। इसी का परिणाम है, जो इंफ्रास्ट्रक्चर, जो सुविधाएं, जो संसाधन बड़ी-बड़ी मेट्रो सिटीज़ में होती है, वो सब अब अपने कानपुर में भी दिखने लगी हैं। कुछ साल पहले हमारी सरकार ने कानपुर को पहली मेट्रो की सौगात दी थी। अब आज कानपुर मेट्रो की ऑरेंज लाइन, कानपुर सेंट्रल तक पहुंच गयी है। पहले elevated और अब अंडरग्राउंड, हर तरह का मेट्रो नेटवर्क कानपुर के महत्वपूर्ण इलाकों को जोड़ रहा है। कानपुर मेट्रो का ये विस्तार, ये कोई साधारण प्रोजेक्ट नहीं है। कानपुर मेट्रो इस बात का सबूत है, अगर सही इरादों, मजबूत इच्छाशक्ति और नेक नियत वाली सरकार हो, तो देश के विकास के लिए, प्रदेश के विकास के लिए कैसे ईमानदारी से प्रयास होते हैं। आप याद करिए कानपुर के बारे में पहले लोग कैसी-कैसी बातें करते थे? चुन्नीगंज, बड़ा चौराहा, नयागंज, कानपुर सेंट्रल, इतनी भीड़-भाड़ वाले इलाके, जगह-जगह सँकरी सड़कों की समस्या, आधुनिक इनफ्रास्ट्रक्चर और प्लानिंग की कमी, लोग कहते थे, यहाँ कहाँ मेट्रो जैसे काम हो पाएंगे? यहाँ कहाँ कोई बड़ा बदलाव हो पाएगा? एक तरह से कानपुर और यूपी के दूसरे प्रमुख शहर विकास की दौड़ से बाहर थे। इससे ट्रैफिक की समस्या गहराती रही, शहर की रफ्तार कम होती चली गई, यूपी में सबसे ज्यादा संभावनाओं से भरे शहर विकास की दौड़ में पिछड़ते गए। लेकिन, आज वही कानपुर, वही यूपी, विकास के नए कीर्तिमान गढ़ रहा है। आप देखिए, मेट्रो सेवाओं से ही कानपुर के लोगों को कितना फायदा होने जा रहा है। कानपुर व्यापार का इतना बड़ा केंद्र है। मेट्रो के कारण अब हमारे व्यापारियों और ग्राहकों दोनों के लिए नवीन मार्केट और बड़ा चौराहा पहुंचना आसान हो जाएगा। कानपुर आने-जाने वाले लोग, IIT के स्टूडेंट्स, सामान्य मानवी, इन सबके लिए सेंट्रल रेलवे स्टेशन तक पहुंचने में कितना समय बचेगा। हम जानते हैं, शहर की गति ही शहर की प्रगति बनती है। ये सुविधाएं, ये कनेक्टिविटी, ट्रांसपोर्ट की आधुनिक फैसिलिटी आज यूपी के आधुनिक विकास की नई तस्वीर बन रही है।

साथियों,

आज हमारा यूपी आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर और कनेक्टिविटी के मामले में बहुत आगे निकल रहा है। जिस यूपी की पहचान टूटी-फूटी सड़कों और गड्ढों से होती थी, वो अब एक्स्प्रेसवेज के नेटवर्क के लिए जाना जाता है। जिस यूपी में लोग शाम के बाद बाहर जाने से बचते थे, वहाँ अब हाइवेज पर 24 सौ घंटे लोग ट्रैवल करते हैं। यूपी कैसे बदला है, ये कानपुर वालों से बेहतर भला कौन जानता है? कुछ ही दिनों में कानपुर लखनऊ एक्सप्रेस वे से लखनऊ का सफर सिर्फ 40-45 मिनट का होने वाला है। यह बेटी कब से खड़ी है, चित्र लेकर के थक गई होगी, जरा एसपीजी के लोग इस बेटी से वो चित्र ले लीजिए। Thank you बेटा, बहुत बढ़िया शानदार चित्र बनाकर लाई हो आप, देखिए इस बच्‍ची के कब से, थक जाएगी बेटा, वो तुम्हारा नाम पता लिख दिया है बेटा? वो मेरे ऑफिस के लोग आएंगे, अभी ले लेंगे, मुझे पहुंच जाएगा बेटा, बहुत-बहुत धन्यवाद आपका।

|

साथियों,

लखनऊ से ही पूर्वांचल एक्सप्रेस वे से सीधे कनेक्टिविटी भी मिलेगी। कानपुर-लखनऊ एक्सप्रेस वे को गंगा एक्सप्रेस वे से भी जोड़ा जाएगा। इससे पूर्व और पश्चिम, दोनों तरफ जाने के लिए दूरी भी और समय भी बचेगा।

साथियों,

कानपुर के लोगों को अब तक फर्रुखाबाद अनवरगंज सेक्शन में, सिंगल-लाइन से दिक्कत होती रही है। एक दो नहीं 18 रेलवे क्रॉसिंग से आपको संघर्ष करना पड़ता था, कभी ये फाटक बंद, कभी वो फाटक बंद, आप लोग कब से इस परेशानी से मुक्ति की मांग कर रहे थे। अब यहां भी एक हजार करोड़ रुपए खर्च करके एलिवेटेड रेल कॉरिडोर बनने जा रहा है। इससे यहां ट्रैफिक सुधरेगा, स्पीड बढ़ेगी और प्रदूषण भी कम होगा और सबसे बड़ी बात, कानपुर के आप लोगों का समय बचेगा।

साथियों,

कानपुर सेंट्रल रेलवे स्टेशन को भी अपग्रेड करके विश्वस्तरीय लुक दिया जा रहा है। थोड़े ही समय में कानपुर सेंट्रल रेलवे स्टेशन भी एयरपोर्ट की तरह आधुनिक वर्ल्ड क्लास आपको नजर आएगा। हमारी सरकार यूपी के 150 से ज्यादा रेलवे स्टेशनों को अमृत भारत रेलवे स्टेशन के रूप में विकसित कर रही है। यूपी, पहले ही देश में सबसे ज्यादा इंटरनेशनल एयरपोर्ट वाला राज्य बन चुका है। यानी, हाइवेज, रेलवेज़ और एयरवेज, यूपी अब हर क्षेत्र में तेजी से आगे बढ़ रहा है।

|

साथियों,

हम यूपी को औद्योगिक संभावनाओं का राज्य बना रहे हैं। इस साल के बजट में हमने मेक इन इंडिया के लिए मिशन manufacturing की घोषणा की है। इसके तहत लोकल उद्योगों को, उत्पादन को बढ़ावा दिया जाएगा। कानपुर जैसे शहरों को इसका बहुत बड़ा लाभ मिलेगा। आप जानते ही हैं, कानपुर के औद्योगिक सामर्थ्य में सबसे बड़ा योगदान यहाँ की MSMEs, लघु उद्योगों का होता था। आज हम यहां के लघु उद्योगों की अपेक्षाओं को पूरा करते हुए काम कर रहे हैं।

साथियों,

कुछ समय पहले तक हमारी MSMEs को इस तरह परिभाषित किया जाता था, कि उन्हें विस्तार करने में भी डर लगता था। हमने उन पुरानी परिभाषाओं को बदला। हमने लघु उद्योगों के टर्नओवर और स्केल की सीमा को बढ़ाया। इस बजट में सरकार ने एक बार फिर MSMEs के दायरे को और बढ़ाते हुए उन्हें और भी छूट दी है। पहले के समय में MSMEs के सामने बड़ी दिक्कत क्रेडिट की भी होती थी। पिछले 10 वर्षों में हमने क्रेडिट की समस्या को खत्म करने के लिए एक के बाद एक कई बड़े फैसले लिए हैं। आज युवा अपना उद्योग शुरू करना चाहते हैं, तो उन्हें मुद्रा योजना के जरिए तुरंत पूंजी मिल जाती है। छोटे और मध्यम उद्योगों को आर्थिक मजबूती देने के लिए हमने क्रेडिट गारंटी स्कीम चलाई है। इस साल के बजट में MSME लोन पर गारंटी को बढ़ाकर 20 करोड़ कर दिया गया है। MSMEs के लिए 5 लाख तक की लिमिट वाले क्रेडिट कार्ड भी दिए जा रहे हैं। हम यहां पर नए उद्योगों, खासकर, MSMEs के लिए अनुकूल माहौल बना रहे हैं। इसके लिए प्रक्रियाओं को सरल किया जा रहा है। कानपुर के पारंपरिक चमड़ा और होजरी उद्योगों को 'वन डिस्ट्रिक्ट, वन प्रॉडक्ट' जैसी योजनाओं के माध्यम से सशक्त किया जा रहा है। हमारे इन प्रयासों का लाभ कानपुर के साथ-साथ यूपी के सभी जिलों को भी मिलेगा।

|

साथियों,

आज उत्तर प्रदेश में निवेश का एक अभूतपूर्व और सुरक्षित माहौल बना है। गरीब कल्याण की योजनाओं को पारदर्शिता से जमीन पर उतारा जा रहा है। मध्यम वर्ग के सपनों को पूरा करने के लिए भी सरकार उनके साथ खड़ी है। इस बजट में हमने 12 लाख रुपए तक की आय को पूरी तरह टैक्स फ्री कर दिया है। इससे करोड़ों मध्यम वर्गीय परिवारों में नया विश्वास जगा है, उन्हें नई ताकत मिली है। हम सेवा और विकास के इस संकल्प के साथ इसी तरह तेजी से आगे बढ़ेंगे। हम देश को, यूपी को नई ऊंचाई पर लेकर जाने के लिए मेहनत करने में कोई कोर कसर नहीं छोड़ेंगे। मैं कानपुर के उज्ज्वल भविष्‍य के लिए सभी मेरे कानपुर के भाई-बहनों को बहुत-बहुत शुभकामनाएं देता हूं।

बहुत-बहुत धन्यवाद