Bhupen Da's music united India and inspired generations: PM
Bhupen Da's life reflected the spirit of 'Ek Bharat, Shreshtha Bharat': PM
Bhupen Da always gave voice to India's unity: PM
Bharat Ratna for Bhupen Da reflects our government's commitment to the North East: PM
Cultural connectivity is vital for national unity: PM
New India will never compromise on its security or dignity: PM
Let us be brand ambassadors of Vocal for Local, Let us take pride in our Swadeshi products: PM

আমি বলবো, ভূপেন দা! আপনারা বলবেন, অমর রহে! অমর রহে! (তিনি অমর থাকুন)

ভূপেন দা, অমর রহে! অমর রহে!

ভূপেন দা, অমর রহে! অমর রহে!

ভূপেন দা, অমর রহে! অমর রহে!

আসামের মাননীয় রাজ্যপাল, শ্রী লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য জি, এই রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জি, অরুণাচল প্রদেশের তরুণ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পেমা খান্ডু জি, আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জি, ভুপেন হাজারিকা জির ভাই মঞ্চে উপস্থিত শ্রী সমর হাজারিকা জি, ভুপেন হাজারিকা জির বোন শ্রীমতি কবিতা বড়ুয়া জি, ভূপেন দা-র পুত্র, শ্রী তেজ হাজারিকা জি — তেজ, আমি আপনাদেরকে 'কেম ছো!' বলে শুভেচ্ছা জানাবো। এখানে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং আমার আসামের ভাই ও বোনেরা!

আজ একটি অসাধারণ দিন, এবং এই মুহূর্তটি অমূল্য। আমি এখানে যে দৃশ্য দেখেছি, যে উৎসাহ, সম্প্রীতি, ভূপেনের সঙ্গীতের ছন্দ - যদি আমি ভূপেন দা-র নিজের ভাষায় বলতে পারি - বারবার আমার হৃদয়ে ‘ও সময়, ধীরে চলো, ও সময, ধীরে চলো’ গানটি প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। আমার হৃদয় প্রার্থনা করছিল যে ভূপেনের সঙ্গীতের এই ঢেউ সর্বত্র, অবিরাম প্রবাহিত হোক। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল শিল্পীদের আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। আসামের চেতনা এমন যে এখানে প্রতিটি অনুষ্ঠান একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করে। আজও, আপনাদের পরিবেশনার অসাধারণ প্রস্তুতি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল। আপনাদের সকলকে আমার অভিনন্দন!

 

বন্ধুগণ,

কিছুদিন আগে, ৮ই সেপ্টেম্বর, আমরা ভূপেন হাজারিকা জির জন্মবার্ষিকী পালন করেছি। সেদিন, ভূপেন দা-কে উৎসর্গীকৃত একটি প্রবন্ধে, আমি আমার আবেগ প্রকাশ করেছিলাম। আমি ভাগ্যবান যে আমি এই ১০০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। একটু আগেই, হিমন্ত বলছিলেন যে এখানে এসে আমি আশীর্বাদ করেছি। বরং উল্টোটা! এমন একটি পবিত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সত্যিই আমার সৌভাগ্য। আমরা সকলেই শ্রদ্ধার সঙ্গে ভূপেনদাকে 'সুধাকণ্ঠ' বলে ডাকতাম। আজ সেই 'সুধাকণ্ঠ'-র শতবর্ষ, যিনি ভারতের আবেগকে কণ্ঠ দিয়েছিলেন, যিনি সঙ্গীতকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন, যিনি তাঁর গানে ভারতের স্বপ্নকে বুনেছিলেন এবং যিনি মা ভারতীর প্রতি মা গঙ্গার করুণা বর্ণনা করেছিলেন - গঙ্গা বেহতি হো কিউ? গঙ্গা বেহতি হো কিউ?

বন্ধুগণ,

ভুপেনদা এমন সব চিরসবুজ সৃষ্টি রচনা করে গিয়েছেন যেগুলি তাদের স্বরলিপির মাধ্যমে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে, যা ভারতের কয়েক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

ভাই ও বোনেরা,

ভূপেনদা আজ আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তাঁর গান, তাঁর কণ্ঠস্বর, আজও, ভারতের উন্নয়নের যাত্রার সাক্ষী এবং এই যাত্রাকে উজ্জীবিত করে চলেছে। আমাদের সরকার গর্বের সঙ্গে ভূপেনদা-র শতবর্ষ উদযাপন করছে। আমরা ভূপেন হাজারিকাজির গান, তাঁর বার্তা এবং তাঁর জীবনযাত্রা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। আজ, তাঁর জীবনীও এখানে প্রকাশিত হয়েছে। এই উপলক্ষে, আমি ডঃ ভূপেন হাজারিকাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমার আসামের ভাইবোনদের সঙ্গে, আমি ভূপেনদা-র এই শততম জন্মবর্ষে প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ,

ভুপেন হাজারিকা জি তাঁর সারা জীবন সঙ্গীত পরিবেশন করে গেছেন। যখন সঙ্গীত ধ্যানে পরিণত হয়, তখন তা আমাদের আত্মাকে স্পর্শ করে। যখন সঙ্গীত একটি সংকল্পে পরিণত হয়, তখন এটি সমাজকে একটি নতুন দিকনির্দেশ দেখানোর মাধ্যম হয়ে ওঠে। এই কারণেই ভূপেনদা-র সঙ্গীত এত বিশেষ ছিল। তিনি যে আদর্শে বেঁচে ছিলেন, যে অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল, তা তিনি তাঁর গানেও গেয়েছিলেন। তাঁর গানে আমরা মা ভারতীর প্রতি এত অগাধ ভালোবাসা পাই কারণ তিনি 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর চেতনায় বেঁচে ছিলেন।
একবার ভাবুন—তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, ব্রহ্মপুত্রের পবিত্র ঢেউ তাঁকে সঙ্গীতের পাঠ দিয়েছিল। তারপর তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কাশীতে যান, এবং ব্রহ্মপুত্রের ঢেউ দিয়ে শুরু হওয়া সঙ্গীতের সন্ধান গঙ্গার কলকল শব্দের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা লাভ করে। কাশীর গতিশীলতা তাঁর জীবনকে এক অবিচ্ছিন্ন প্রবাহে প্রবাহিত করেছিল। তিনি একজন ভারত ভ্রমণকারী হয়ে ওঠেন; তিনি সমগ্র ভারত ভ্রমণ করেছিলেন। তারপর, পিএইচডি করার জন্য, তিনি আমেরিকাও গিয়েছিলেন! তবুও, জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে, তিনি একজন প্রকৃত পুত্রের মতো আসামের মাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এবং তাই তিনি ভারতে ফিরে আসেন! এখানে, সিনেমায়, তিনি সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন, তিনি তাঁদের জীবনের বেদনার কণ্ঠস্বর দিয়েছিলেন। সেই কণ্ঠস্বর আজও আমাদের নাড়া দেয়।

তাঁর "মানুহে মানুষোর বাবে, জোড়াহে আওকোনু নাভাবে, আওকোনি হোহানুভূতিরে, ভাবিবো কোনেনু কুয়া?" গানটির অর্থ, * মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?ও বন্ধু…. - একবার ভাবুন, এটা আমাদের জন্য কতটা অনুপ্রেরণাদায়ক। এই চিন্তাভাবনা নিয়েই আজ আমাদের সরকার ভারতের গ্রাম, দরিদ্র, দলিত, বঞ্চিত এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবন উন্নত করার কাজে নিয়োজিত।

বন্ধুগণ,

ভুপেনদা ছিলেন ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতার একজন মহান নায়ক। কয়েক দশক আগে, যখন উত্তর-পূর্ব ভারত অবহেলার শিকার ছিল, যখন উত্তর-পূর্ব ভারত হিংসা ও বিচ্ছিন্নতার আগুনে পুড়ে যাচ্ছিল, সেই কঠিন সময়েও ভূপেনদা ভারতের ঐক্যের আওয়াজ তুলেছিলেন। তিনি একটি সমৃদ্ধ উত্তর-পূর্ব ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যে নিমজ্জিত উত্তর-পূর্বের গান গেয়েছিলেন। আসামের জন্য তিনি গেয়েছিলেন:

 

“নানা জাতি-উপোজতি, রহোনিয়া কৃষ্টি, আকুওয়ালি লোই হোইসিল সৃষ্টি, এই মোর আহোম দেশ।” যখন আমরা এই গানটি গুনগুন করি, তখন আমরা আসামের বৈচিত্র্যের জন্য গর্বিত বোধ করি। আমরা আসামের শক্তি এবং সম্ভাবনার জন্য গর্বিত বোধ করি।

বন্ধুগণ,

তিনি অরুণাচলকে সমানভাবে ভালোবাসতেন, এবং তাই আজ অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী বিশেষভাবে এখানে এসেছেন। ভূপেনদা লিখেছেন: “অরুণ কিরণ শীষ ভূষণ, ভূমি সুরময়ী সুন্দর, অরুণাচল হামারা, অরুণাচল হামারা।”

বন্ধুগণ,

একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের হৃদয় থেকে যে কণ্ঠস্বর বেরিয়ে আসে তা কখনও বৃথা যায় না। আজ, উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, আমরা দিনরাত কাজ করে চলেছি। আমাদের সরকার, ভূপেনদাকে ভারতরত্ন প্রদান করে, উত্তর-পূর্বের স্বপ্ন এবং মর্যাদাকে সম্মানিত করেছে এবং জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। যখন আমরা আসাম এবং অরুণাচলকে সংযুক্ত করা দেশের দীর্ঘতম সেতুগুলির মধ্যে অন্যতম একটি নির্মাণ করেছি, তখন আমরা এর নামকরণ করেছি ভূপেন হাজারিকা সেতু। আজ, আসাম এবং সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল দ্রুত অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। উন্নয়নের এই সাফল্য ভূপেনদা-র দেশপ্রেমের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে এক প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বন্ধুগণ,
আমাদের আসাম, আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারত, সর্বদা ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে এক বিরাট অবদান রেখেছে। এই ভূমির ইতিহাস, এর উৎসব, উদযাপন, এর শিল্প, এর সংস্কৃতি, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এর ঐশ্বরিক আভা, এবং এই সবকিছুর সঙ্গে, মা ভারতীর সম্মান, মর্যাদা এবং প্রতিরক্ষার জন্য এখানকার মানুষের ত্যাগ - এগুলি ছাড়া আমরা আমাদের মহান ভারত কল্পনাও করতে পারি না। আমাদের উত্তর-পূর্ব প্রকৃতপক্ষে জাতির জন্য নতুন আলো এবং নতুন ভোরের ভূমি। সর্বোপরি, দেশের প্রথম সূর্যোদয় এখানেই হয়। ভূপেনদা তাঁর গানে এই অনুভূতির কণ্ঠ দিয়েছেন: "আহোম আমার রূপোহি, গুণোরু নাই হেশ, ভারতোর পূর্বো দিখোর, হুরজো উঠা দেশ!"

 

অতএব, ভাই ও বোনেরা,

যখন আমরা আসামের ইতিহাস উদযাপন করি, তখনই ভারতের ইতিহাস সম্পূর্ণ হয়, কেবল তখনই ভারতের আনন্দ সম্পূর্ণ হয় এবং আমাদের গর্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।

বন্ধুগণ,

যখন আমরা যোগাযোগের কথা বলি, তখন মানুষ সাধারণত রেল, সড়ক বা বিমান যোগাযোগের কথা ভাবে। কিন্তু জাতির ঐক্যের জন্য, আরও একটি সংযোগ সমানভাবে অপরিহার্য, এবং তা হল সাংস্কৃতিক সংযোগ। গত এগারো বছর ধরে, উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার সাংস্কৃতিক সংযোগকেও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। এটি একটি মিশন, যা নিরন্তরভাবে অব্যাহত রয়েছে। আজ, এই অনুষ্ঠানে, আমরা সেই মিশনের এক ঝলক দেখতে পাচ্ছি। কিছুদিন আগে, আমরা জাতীয় স্তরে বীর লাচিত বরফুকনের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকীও উদযাপন করেছি। স্বাধীনতা সংগ্রামেও, আসাম এবং উত্তর-পূর্বের অসংখ্য যোদ্ধা অভূতপূর্ব ত্যাগ স্বীকার করেছেন! 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর সময়, আমরা আবারও উত্তর-পূর্বের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এবং এই অঞ্চলের ইতিহাসকে জীবন্ত করে তুলেছি। আজ, সমগ্র জাতি আসামের ইতিহাস এবং অবদানের সাথে পরিচিত হচ্ছে। সম্প্রতি, আমরা দিল্লিতে অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবেরও আয়োজন করেছি। সেই উদযাপনেও, আসামের শক্তি এবং দক্ষতা স্পষ্ট ছিল।

বন্ধুগণ,

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আসাম সর্বদা জাতির গর্বকে কণ্ঠ দিয়েছে। ভূপেনদা-র গানে আমরা এই কণ্ঠস্বর শুনতে পাই। ১৯৬২ সালের যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয়েছিল, তখন আসাম সরাসরি সেই যুদ্ধের সাক্ষী ছিল। সেই সময় ভূপেনদা জাতিকে শক্তি দিয়েছিলেন। তিনি গেয়েছিলেন: “প্রতি জোয়ান রুক্তোরে বিন্দু, হাহাহোর অনন্ত হিন্দু, সেই হাহাহোর দুর্জয় লাহোরে, জাশীলে প্রতিজ্ঞা জয়রে।” সেই অঙ্গীকার দেশবাসীকে নতুন উৎসাহে ভরিয়ে দিয়েছিল।

 

বন্ধুগণ,

সেই আবেগ, সেই চেতনা এখনও মানুষের হৃদয়ে পাথরের মতো অটল। আমরা অপারেশন সিন্দুরের সময়ও এটি দেখেছি। দেশ পাকিস্তানের সন্ত্রাসী চক্রান্তের এমন জবাব দিয়েছে যে ভারতের শক্তির প্রতিধ্বনি সারা বিশ্বে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। আমরা দেখিয়েছি যে ভারতের শত্রু কোনও কোণে নিরাপদ থাকবে না। নতুন ভারত কোনও মূল্যে তার নিরাপত্তা এবং গর্বের সঙ্গে আপস করবে না।

বন্ধুগণ,

আসামের সংস্কৃতির প্রতিটি দিকই অসাধারণ এবং অসাধারণ, তাই আমি প্রায়শই বলেছি যে সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় যখন দেশের শিশুরা 'A for Assam' শিখবে। এর সংস্কৃতি, মর্যাদা এবং গর্বের পাশাপাশি, আসামও অপরিসীম সম্ভাবনার উৎস। আসামের পোশাক, এর রন্ধনপ্রণালী, এর পর্যটন, এর পণ্য - আমাদের কেবল দেশজুড়ে নয়, সারা বিশ্বে এই সমস্ত স্বীকৃতি দিতে হবে। আপনারা সকলেই জানেন, আমি নিজেই অত্যন্ত গর্বের সাথে আসামের গামোসার ব্র্যান্ডিং প্রচার করি। একইভাবে, আমাদের আসামের প্রতিটি পণ্যকে বিশ্বের দূরতম কোণে নিয়ে যেতে হবে।

ভুপেনদা'র সমগ্র জীবন জাতির জন্য নিবেদিত ছিল। আজ, ভূপেনদা'র জন্মের এই শততম বর্ষে, আমাদের দেশের জন্য আত্মনির্ভরতার সংকল্প নিতে হবে। আমি আসামের ভাই ও বোনদের কাছে আবেদন করছি - আমাদের 'ভোকাল ফর লোকাল'-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে হবে। আমাদের অবশ্যই আদিবাসীদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে গর্ব করতে হবে। আমাদের অবশ্যই আদিবাসীদের উৎপাদিত পণ্য কিনতে হবে, এবং আমাদের অবশ্যই আদিবাসীদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হবে। এই অভিযানগুলিকে আমরা যত দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাব, তত দ্রুত আমাদের উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।

বন্ধুগণ,

মাত্র তেরো বছর বয়সে ভূপেনদা একটি গান লিখেছিলেন: "অগ্নিযুগর ফিরিঙ্গোতি মোই, নতুন ভারত গড়িম, হরবোহরর হর্বোশ্বো পুনোর ফিরাই অনিম, নতুন ভারত গড়িম।"
বন্ধুগণ,
এই গানে, তিনি নিজেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বলে মনে করেছিলেন এবং প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি একটি নতুন ভারত গড়বেন। একটি নতুন ভারত, যেখানে প্রত্যেক পীড়িত এবং বঞ্চিত ব্যক্তি তাঁর অধিকার ফিরে পাবেন।

আমার ভাই ও বোনেরা,

ভূপেনদা সেই সময়ে যে নতুন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজ জাতির সংকল্পে পরিণত হয়েছে। আমাদের এই সংকল্পের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে হবে। আজ সময় এসেছে যখন আমরা ২০৪৭ সালের উন্নত ভারতকে প্রতিটি প্রচেষ্টা, প্রতিটি সংকল্পের কেন্দ্রে রাখি। এর অনুপ্রেরণা আসবে ভূপেনদা-র গান থেকে, তাঁর জীবন থেকে। আমাদের এই সংকল্পগুলিই ভূপেন হাজারিকাজির স্বপ্ন পূরণ করবে। এই চেতনা নিয়ে, আবারও ভূপেনদা-র জন্মশতবর্ষে সকল দেশবাসীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি: দয়া করে আপনাদের মোবাইল ফোন বের করে টর্চলাইট জ্বালিয়ে ভূপেনদা-কে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এই লক্ষ লক্ষ আলো ভূপেনদা-র অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছে। আজকের প্রজন্ম তাঁর কণ্ঠকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলছে। অনেক ধন্যবাদ!

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi

Media Coverage

Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।