Terrorists had shaken Mumbai and the entire country. But it is India's strength that we recovered from that attack and are now crushing terrorism with full courage: PM Modi
26th November is very important. On this day in 1949, the Constituent Assembly adopted the Constitution of India: PM Modi
When there is 'Sabka Saath' in nation building, only then 'Sabka Vikas': PM Modi
In India today, it's evident that the 140 crore people are driving numerous changes: PM Modi
The success of 'Vocal For Local' is opening the doors to a developed India: PM Modi
This is the second consecutive year when the trend of buying goods by paying cash on Diwali is decreasing. People are making more and more digital payments: PM Modi
In contrast to a decade ago, our patents are now receiving approvals at a rate that is tenfold higher: PM Modi
One of the biggest challenges of the 21st century is – ‘Water Security’. Conserving water is no less than saving life: PM Modi

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। ‘মন কি বাতে’ স্বাগত জানাই আপনাদের। কিন্তু আজ, ২৬শে নভেম্বরকে কখনই ভুলতে পারব না আমরা। আজকের দিনেই দেশের উপর সবথেকে জঘন্য আতঙ্কবাদী হামলা হয়েছিল। আতঙ্কবাদীরা মুম্বাইকে, পুরো দেশকে স্থবির করে দিয়েছিল। কিন্তু এটা ভারতের সামর্থ্য যে আমরা সেই হামলা থেকে বেরিয়ে এসেছি আর এখন পুরো শক্তি দিয়ে আতঙ্কের বিনাশও করছি। মুম্বাই হামলায় নিজেদের প্রাণ হারানো প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি আমি। এই হামলায় প্রাণের আহুতি দেওয়া আমাদের যে সব সন্তান, বীরের পরিণতি পেয়েছে তাঁদের আজ স্মরণ করছে দেশ।

আমার প্রিয়জনেরা, ২৬ নভেম্বরের আজকের এই দিন আরও একটা কারণেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৯ সালে আজকের দিনেই সংবিধান সভা ভারতের সংবিধানের অঙ্গীকার করেছিল। আমার মনে আছে, যখন ২০১৫ সালে আমরা বাবা সাহেব আম্বেদকরের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালন করছিলাম তখন এই ভাবনা এসেছিল যে ২৬শে নভেম্বরকে ‘সংবিধান দিবস’ হিসাবে পালন করা হোক। আর তখন থেকে প্রতি বছর আজকের এই দিনকে আমরা ‘সংবিধান দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছি। আমি সব দেশবাসীকে সংবিধান দিবসের অনেক-অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি। আর আমরা সবাই মিলে, নাগরিকের কর্তব্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে, বিকশিত ভারতের সঙ্কল্পকে অবশ্যই পূরণ করব।

বন্ধুরা, আমরা সবাই জানি যে সংবিধান নির্মাণে ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন সময় লেগেছিল। শ্রী সচ্চিদানন্দ সিন্‌হা’জি সংবিধান সভার সবথেকে বয়স্ক সদস্য ছিলেন। ষাটটিরও বেশি দেশের সংবিধানের অধ্যয়ন আর দীর্ঘ আলোচনার পরে আমাদের সংবিধানের খসড়া তৈরি হয়েছিল। খসড়া তৈরি হওয়ার পরে সেটাকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে আবার সেটাতে দু’হাজারেরও বেশি সংশোধন করা হয়েছিল। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রযুক্ত হওয়ার পরে এখনও অবধি মোট ১০৬ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। সময়, পরিস্থিতি, দেশের প্রয়োজনের কথা মনে রেখে আলাদা-আলাদা সরকার আলাদা-আলাদা সময়ে সংশোধন করেছে। কিন্তু এটাও দুর্ভাগ্যজনক যে সংবিধানের প্রথম সংশোধন, বাকস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাটছাঁট করার জন্য হয়েছিল। সেই সংবিধানেরই চুয়াল্লিশতম সংশোধনের মাধ্যমে, ইমারজেন্সির সময় করা ত্রুটি শুধরে নেওয়া হয়েছিল।

 

বন্ধুরা, এটাও খুবই প্রেরণাদায়ক যে সংবিধানসভাতে কিছু সদস্য মনোনীত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১৫ জন মহিলা ছিলেন। এমনই একজন সদস্য, হংসা মেহতা’জী মহিলাদের অধিকার এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার হন। সেই সময়ে, ভারত ছিল এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যেখানে সংবিধান বলে মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্র নির্মাণে সবাই অংশগ্রহণ করলেই সকলের উন্নয়ন সম্ভব। আমি সন্তুষ্ট যে সংবিধান প্রণেতাদের এই দূরদর্শিতা অনুসরণ করে ভারতের সংসদ এখন 'নারী শক্তি বন্দন আইন' পাস করেছে। ‘নারী শক্তি বন্দন আইন’ আমাদের গণতন্ত্রের সংকল্প শক্তির উদাহরণ। এটি একটি উন্নত ভারতের জন্য আমাদের সংকল্পকে অগ্রসর করতেও সমানভাবে সহায়ক হবে।

আমার প্রিয়জনেরা, দেশ গঠনের কাজ সাধারণ মানুষ নিজের কাঁধে তুলে নিলে সেই দেশের অগ্রগতি কোনো অপশক্তি আটকাতে পারে না। আজ ভারতেও স্পষ্ট চিত্র দেখা যাচ্ছে যে বেশ কিছু পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেশের ১৪০ কোটি জনগণ সামলাচ্ছে। এর এক প্রত্যক্ষ উদাহরণ আমরা উৎসবের এই মরশুমে দেখলাম। গত মাসে 'মন কী বাত'-এ আমি 'ভোকাল ফর লোকাল ' অর্থাৎ স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য কেনার প্রতি জোর দিয়েছিলাম। গত কয়েকদিন আগেই দীপাবলি, ভাইফোঁটা, ছট্‌ পুজোতে দেশে চার লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এবং সেই সময় ভারতে উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য কেনার উৎসাহ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। এখন তো বাচ্চারাও দোকানে কিছু কিনতে গেলে দেখে যে সেখানে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা আছে না নেই। এটাই শেষ নয়, অনলাইনে জিনিস কেনার সময় এখন লোকজন ‘কান্ট্রি অফ অরিজিন’ দেখতেও ভোলেনা।

বন্ধুরা, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সাফল্যই যেমন এর এগিয়ে চলার প্রেরণা ঠিক তেমনই ভোকাল ফর লোকাল-এর সাফল্য বিকশিত ভারত, সমৃদ্ধ ভারতের দরজা খুলে দিচ্ছে। ভোকাল ফর লোকাল এর এই অভিযান গোটা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করছে। ভোকাল ফর লোকাল অভিযান রোজগারের গ্যারান্টি দেয়। এটি হল বিকাশের গ্যারান্টি, দেশের সুষম বিকাশের গ্যারান্টি। এটি শহুরে এবং গ্রামীণ উভয় মানুষের জন্য সমান সুযোগ প্রদান করে। এটি স্থানীয় পণ্যগুলিতে মূল্য সংস্করণের পথও প্রশস্ত করে, এবং যদি কখনও ব্যবসা নির্ভর অর্থনীতিতে উত্থান-পতন ঘটে, তবে ভোকাল ফর লোকালের মন্ত্রটি আমাদের অর্থনীতিকেও রক্ষা করে।

বন্ধুরা, ভারতীয় উৎপাদনের প্রতি এই মনোভাব শুধুমাত্র উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। এখন বিয়ের মরশুমও আরম্ভ হয়ে গেছে। কিছু ব্যবসায়িক সংস্থার অনুমান বিয়ের এই Season-এ প্রায় পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার কারবার হতে পারে। বিয়ের কেনাকাটায় আপনারা ভারতে তৈরী সামগ্রীগুলিকে প্রাধান্য দিন। আর বিয়ের কথা যখন এলো, একটা বিষয় আমাকে অনেক দিন ধরে কখনো কখনো খুব কষ্ট দেয়। আর মনের কষ্টের কথা পরিবারের সদস্যের বলবো না তো কাকে বলবো? আপনি ভাবুন আজকাল এই যে কিছু পরিবারের মধ্যে বিদেশে গিয়ে বিয়ে করবার নতুন প্রচলন আরম্ভ হয়েছে, এটা কি জরুরী? ভারতের মাটিতে, ভারতের লোকজনের মধ্যে থেকে যদি আমরা বিয়েশাদী করি, তাহলে ভারতের টাকা ভারতেই থাকে। দেশের মানুষজন আপনার বিয়েতে কিছু না কিছু কাজ করার সুযোগ পাবেন। ছোট খাটো কাজ করা গরীব মানুষেরা তাদের ছেলেমেয়েদের আপনাদের বিয়ের কথা বলবেন। আপনারা কি Vocal for Local-এর এই মিশনকে আরো বিস্তৃত করতে পারেন? বিয়েশাদির মতন অনুষ্ঠানগুলি আমাদের নিজেদের দেশেই করলে কেমন হয়? হতে পারে আপনারা যেরকম ব্যবস্থা চান, সেটা এখনই উপলব্ধ নয় কিন্তু আমরা যদি এরকম করে অনুষ্ঠান করতে থাকি তাহলে আমাদের পরিকাঠামোগুলি উন্নতি হবে। এটা অনেক বৃহৎ পরিসরের বিষয়, অনেক পরিবার যুক্ত এর সঙ্গে। আশা করছি আমার এই কষ্ট সেই বড় বড় পরিবারগুলির কাছে নিশ্চয়ই পৌঁছাবে।

আমার প্রিয়জনেরা, উৎসবের এই মরসুমে আরো একটি বড় Trend দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে  পরপর দু’বছর দেখা গেল দীপাবলীর কেনাকাটায় ক্যাশ টাকার ব্যবহার ধীরে ধীরে কম হয়েছে। তার মানে মানুষজন এখন বেশি করে Digital মাধ্যম ব্যবহার করছেন। এটা বড়ই উৎসাহ ব্যঞ্জক। আপনারা আরো একটা কাজ করতে পারেন। আপনারা সিদ্ধান্ত নিন যে একমাস আপনারা UPI বা অন্য কোনো মাধ্যমে Digital Payment করবেন, কোনো ক্যাশ Payment করবেন না। ভারতের Digital বিপ্লবের সাফল্যতা এখন এই কাজকে খুবই বাস্তবায়ীত করেছে। আর এক মাস অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, আপনি অবশ্যই আমার সঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতা এবং ছবি শেয়ার করবেন। এখন থেকেই, আমি আপনাকে আমার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই। আমার প্রিয়জনের, আমাদের তরুণ বন্ধুরা দেশকে আরেকটি বড় সুখবর দিয়েছেন যা আমাদের সবাইকে গর্বে ভরিয়ে দেবে। Intelligence, Idea ও Innovation আজ ভারতীয় যুবকদের পরিচয়। এতে, প্রযুক্তির সংমিশ্রণের মাধ্যমে তাদের বৌদ্ধিক গুণাবলীর ক্রমাগত বৃদ্ধি দেশের শক্তিকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনি জেনে খুশি হবেন যে ২০২২ সালে ভারতীয়দের পেটেন্ট আবেদনে ৩১% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। World Intellectual Property Organisation একটি খুব চমকপ্রদ report প্রকাশ করেছে। এই report-এ বলা হয়েছে যে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশ যা পেটেন্ট দাখিল করায় শীর্ষস্থানে রয়েছে তার মধ্যে ভারতও আছে। এটি আগে কখনও ঘটেনি। এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য আমি আমার তরুণ বন্ধুদের অভিনন্দন জানাই। আমি আমার তরুণ বন্ধুদের আশ্বস্ত করতে চাই যে দেশ প্রতিটি পদক্ষেপে আপনার সঙ্গে আছে। সরকারের করা প্রশাসনিক ও আইনগত সংস্কারের পর, আজ আমাদের তরুণরা একটি নতুন শক্তি নিয়ে বৃহত্তর ইনোভেশনের কাজে যুক্ত হচ্ছে। যদি আমরা ১০ বছর আগের পরিসংখ্যানের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে আজ আমাদের পেটেন্টগুলি ১০ গুণ বেশি অনুমোদন পাচ্ছে। আমরা সবাই জানি যে পেটেন্ট শুধুমাত্র দেশের intellectual property বাড়ায় না, এটি নতুন নতুন সুযোগের দরজা খুলে দেয়। এটি আমাদের স্টার্টআপগুলির শক্তি এবং ক্ষমতাকেও বৃদ্ধি করে। আজ, আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যেও উদ্ভাবনের চেতনা বিকশিত হচ্ছে। অটল টিঙ্কারিং ল্যাব, অটল ইনোভেশন মিশন, কলেজে ইনকিউবেশন সেন্টার, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন - এই ধরনের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলাফল দেশবাসীর সামনে রয়েছে। এটাও ভারতের যুবশক্তি, ভারতের innovative power-এর প্রত্যক্ষ উদাহরণ। এই উদ্যমের সঙ্গে আগে এগোতে পারলেই আমরা বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণ করে দেখাতে পারবো, আর সেইজন্য আমি বারবার বলি 'জয় জওয়ান, জয় কিষান, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান'।

আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের মনে আছে কিছুদিন আগে ‘মন কি বাত’-এ ভারতে আয়োজিত বিভিন্ন মেলা সম্বন্ধে আমি চর্চা করেছিলাম। তখন একটি এমন প্রতিযোগিতারও কথা উঠেছিল যেখানে মানুষ মেলা কেন্দ্রিক ছবি ভাগ করে নেয়। সংস্কৃতি মন্ত্রক এটার উপরেই Mela Moments Contest-এর আয়োজন করেছিল। আপনাদের এটা জেনে ভালোলাগবে যে এতে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং অনেকেই পুরস্কার জিতেছিলেন। কলকাতার অধিবাসী রাজেশ ধর’জি 'চড়ক মেলা'-এ বেলুন ও খেলনা বিক্রয়কারীর এক অদ্ভুত সুন্দর ছবি তুলে পুরস্কার জিতে ছিলেন। এই মেলা গ্রামীণ বাংলায় জনপ্রিয়। বারাণসির হোলিকে showcase করার জন্য অনুপম সিং’জি Mela portraits-এর পুরস্কার পান। অরুণ কুমার নলিমেলা’জি 'কুলসাই দশেরার' সঙ্গে জড়িত একটি আকর্ষক দিক ছবিতে তুলে ধরার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন। সেরকমই 'পান্ডহারপুরের ভক্তি প্রদর্শক ছবি , সবথেকে বেশি পছন্দ হওয়া ছবিগুলোর অন্তর্গত, যেটা পাঠিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রেরই এক সজ্জন ব্যক্তি শ্রীমান রাহুল’জি। এই প্রতিযোগিতায় অনেক ছবি মেলার সময়কার স্থানীয় খাওয়াদাওয়ারেও ছিল। এতে পুরুলিয়ার বাসিন্দা আলোক অবিনাশ’জির ছবি পুরস্কার জিতেছিলেন। উনি একটি মেলার সময় বাংলার গ্রামীণ ক্ষেত্রের খাওয়াদাওয়ার ছবি তুলে ধরেছেন। প্রণব বসাক’জির সেই ছবিও পুরস্কৃত হয় যেখানে ভাগোরিয়া মহোৎসব এর সময় কিছু মহিলা কুলফির আস্বাদন করছিলেন। রুমেলা’জি ছত্তিশগড়-এর জগদলপুর এর একটি গ্রামের মেলায় এক মহিলার তেলেভাজা খাওয়ার Photo পাঠিয়েছিলেন - এটাও পুরস্কৃত হয়েছিল।

 

বন্ধুরা, মন কি বাত এর মাধ্যমে আজ প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি পঞ্চায়েতের কাছে আমার অনুরোধ যে, প্রতিনিয়ত এই ধরনের প্রতিযোগিতার যেন আয়োজন করা হয়। আজকাল তো সোশ্যাল মিডিয়া এত শক্তিশালী - টেকনোলজি ও মোবাইল ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। আপনাদের লোকাল উৎসব হোক বা কোন প্রোডাক্ট, আপনারা তাকে এভাবেও গ্লোবালে পরিণত করতে পারেন।

বন্ধুরা, গ্রামে গ্রামে অনুষ্ঠিত মেলাগুলির মতই আমাদের এখানে বিভিন্ন নৃত্যেরও নিজ নিজ ঐতিহ্য রয়েছে। ঝাড়খন্ড, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের জনজাতি অঞ্চলে একটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ নৃত্য আছে যা ছৌ নামে খ্যাত। ১৫ থেকে ১৭ই নভেম্বর "এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত" এই ভাবনাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীনগরে ছৌ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে সকলে মিলে ছৌ নাচের আনন্দ উপভোগ করেছেন। শ্রীনগরের তরুণ ও যুবাদের ছৌ নাচের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য একটি ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয়েছে। অনুরূপভাবে কিছু সপ্তাহ আগেই কঠুয়া জেলায় বসোহলি উৎসব আয়োজিত হয়েছে। এই স্থানটি জম্মু থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই উৎসবে স্থানীয় শিল্পকলা, লোকনৃত্য এবং পরম্পরাগত রামলীলার আয়োজন করা হয়েছে।

বন্ধুরা, ভারতীয় সংস্কৃতির সৌন্দর্য সৌদি আরবেও অনুভূত হয়েছে। এ মাসেই সৌদি আরবে "সংস্কৃত উৎসব" নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এটি খুবই অনন্য একটি আয়োজন ছিল কারণ সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সংস্কৃতে হয়েছিল। সংবাদ, সংগীত, নৃত্য সবকিছু সংস্কৃতে। এই অনুষ্ঠানে ওখানকার স্থানীয় মানুষদেরও অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।

আমার প্রিয়জনেরা, "স্বচ্ছ ভারত" তো এখন সারা দেশের প্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে। আমার তো প্রিয় বিষয় এটি অবশ্যই, আর যখনই এই সম্পর্কিত কোনো খবর আমি পাই, আমার মন সেদিকে ধাবিত হয়। আর স্বাভাবিকভাবেই ‘মন কি বাতে’ও সেটি স্থান পায়। স্বচ্ছ ভারত অভিযান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সার্বিক, সর্বজনীন স্বচ্ছতা বিষয়ে মানুষের ভাবনা বদলে দিয়েছে। এই উদ্যোগ এখন রাষ্ট্রীয় ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠেছে যা কোটি কোটি দেশবাসীর জীবন উন্নততর করেছে। এই অভিযান ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষকে বিশেষ করে যুবা বন্ধুদের সামগ্রিক অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছে। এমনই একটি প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা সুরাটে দেখা গেছে। যুবদের একটি দল “প্রজেক্ট সুরাট” নামে এক প্রকল্প শুরু করেছে। এর লক্ষ্য সুরাটকে একটি মডেল শহর হিসেবে তৈরি করা যা পরিচ্ছন্নতা এবং সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্টের ক্ষেত্রে উপযুক্ত উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। “সাফাই সান’ডে” নামে শুরু হওয়া একটি বিশেষ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুরাটের যুবরা আগে সব জায়গায় এবং ‘ডু মাস’ বিচ পরিষ্কার করতেন। পরবর্তীকালে এঁরা তাপ্তি নদীর তীরবর্তী এলাকাও পরিষ্কার করার বিষয়ে প্রাণপণে উদ্যোগ নেন এবং আপনারা জেনে খুশি হবেন যে ধীরে ধীরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত লোকের সংখ্যা ৫০ হাজার অতিক্রম করে যায়। মানুষের থেকে পাওয়া এই সমর্থন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়, এর পরে ওঁরা আবর্জনা একত্র করার কাজও শুরু করেন। আপনাদের জেনে আর্শয্য লাগবে যে এই দল লক্ষ লক্ষ কিলো নোংরা পরিষ্কার করেছে। একেবারে তৃণমূল স্তরে হওয়া এমন কাজ অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে।

বন্ধুরা গুজরাট থেকে আরও একটি তথ্য এসেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে এখানে অম্বাজিতে ভাদ্রবী পূর্ণিমা মেলার আয়োজন করা হয়েছিল, এই মেলায় পঞ্চাশ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল। এই মেলা প্রতিবছর আয়োজিত হয়। এর সবচেয়ে ভালো বিষয় ছিল যে এই মেলায় আসা মানুষরা গব্বর পর্বতের একটি বড় অংশে সাফাই অভিযান চালিয়েছিল। মন্দিরের আশেপাশের সব অংশ পরিষ্কার রাখার এই অভিযান অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক ছিল।

বন্ধুরা আমি সব সময় বলি যে স্বচ্ছতা কোন একটি দিন বা একটি সপ্তাহের অভিযান নয় বরং এটা জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা একটি কাজ। আমরা আমাদের আশেপাশে এমন মানুষ দেখতে পাই যাঁরা নিজের সম্পূর্ণ জীবন স্বচ্ছতার সঙ্গে যুক্ত বিষয়েই কাজে লাগিয়েছেন। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে বাস করা লোগনাথন’জি এমনই আশ্চর্য মানুষ। ছোটবেলায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের ছেঁড়া জামাকাপড় দেখে তিনি খুব কষ্ট পেতেন। এরপরে উনি এমন শিশুদের সাহায্য করার পণ গ্রহণ করেন এবং নিজের রোজগারের একটি অংশ তাঁদের দান করা শুরু করেন। যখন অর্থের অভাব হয়েছিল লোগানাথন’জি এমন কি Toilet পর্যন্ত পরিষ্কার করেছিলেন যাতে অসহায় শিশুদের সাহায্য করা যায়। গত ২৫ বছর ধরে তিনি এই কাজে নিজেকে পুরোপুরি সমর্পিত করে রেখেছেন আর এখনো পর্যন্ত পনেরশোর'ও বেশী শিশুকে তিনি সাহায্য করেছেন। আমি আরো একবার এমন প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি। এমন অনেক প্রয়াস যা সারা দেশ জুড়ে হয়ে চলেছে তা শুধু আমাদের অনুপ্রাণিত'ই করে না নতুন কিছু করার ইচ্ছা শক্তি'ও যোগায়।

আমার প্রিয়জনেরা, একুশ শতকের সবথেকে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো 'জল সংরক্ষণ'! জল সংরক্ষণ জীবন রক্ষার থেকে কোন অংশে কম নয়। যখন আমরা সামগ্রিক ভাবে এই চিন্তা-ভাবনা থেকে কোন কাজ করি তখন সাফল্য'ও আসে। দেশের প্রত্যেক জেলায় চলতে থাকা অমৃত সরোবর নির্মানের কাজ এর একটা উদাহরণ। অমৃত-মহোৎসব চলাকালীন ভারতে ৬৫ হাজারেরো বেশি অমৃত সরোবর নির্মাণ হয়েছে, যা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম লাভবান হবে। এখন আমাদের দায়িত্ব যেখানে যেখানে অমৃত সরোবর নির্মাণ হয়েছে তার অবিরাম দেখাশোনা করা, যাতে সেগুলো জল সংরক্ষণে মুখ্য ভূমিকা নেয়।

বন্ধুরা, জল সংরক্ষণ নিয়ে এই আলোচনার মধ্যেই আমি গুজরাটের অমরেলি'তে হওয়া জল উৎসব সম্পর্কে জানতে পেরেছি। গুজরাটে বারো মাস প্রবাহমান নদীর অভাব, সে কারণে লোকজনকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করতে হয়। গত কুড়ি পঁচিশ বছরে, সরকার এবং বহু সমাজসেবী সংগঠনের মিলিত প্রচেষ্টার পর সেখানে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। আর এ জন্য সেখানে জল উৎসবের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। অমরেলিতে হওয়া এই জল উৎসব চলাকালীন জল সংরক্ষণ ও সরোবর রক্ষার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করা হয়েছে। এখানে ওয়াটার স্পোর্টসের বিষয়েও উৎসাহ যোগানো হয়েছে, Water Security বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নানান পর্যালোচনা'ও করা হয়েছে। কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী মানুষের তেরাঙ্গা Water fountain খুব পছন্দ হয়েছে। সুরাটের এর Diamond Buisness-এ সুনাম অর্জন করা, সাওজি ভাই ঢোলকিয়ার ফাউন্ডেশন এই জল উৎসব আয়োজন করেছিল। এর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে আমার অভিনন্দন, জল সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এমন কাজ করার জন্য থাকলো শুভকামনা।

 

আমার প্রিয়জনেরা, আজ সারা বিশ্বে Skill Development এর গুরুত্ব গ্রহণ করা হচ্ছে। যখন আমরা একজন ব্যক্তিকে একটি Skill শেখাই, তখন আমরা তাকে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা দিই না বরং তাকে আয়ের একটি উৎসও প্রদান করি এবং যখন আমি জানলাম যে একটি সংস্থা গত চার দশক ধরে Skill Development এর কাজে নিযুক্ত, তখন আমার আরও ভালো লেগেছে। এই সংস্থাটি, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে এবং এর নাম ‘বেলজিপুরাম Youth Club’। Skill Development এর ওপর focus করে ‘বেলজিপুরাম Youth Club' প্রায় ৭০০০ মহিলার সশক্তিকরণ করেছে। এই মহিলাদের মধ্যে অনেকেই আজ নিজেদের ক্ষমতায় নিজেদের কাজ করছেন। এই সংস্থাটি শিশু শ্রমজীবী বাচ্চাদেরও কিছু কাজের দক্ষতা দিয়ে সেই দুর্দশা থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে। ‘বেলজিপুরাম Youth Club' দল কৃষক উৎপাদক সংগঠন অর্থাৎ FPO-র সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের নতুন Skill শিখিয়েছে যার কারণে বিপুল সংখ্যক কৃষক নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। স্বচ্ছতা নিয়েও এই Youth Club' গ্রামে গ্রামে সচেতনতা প্রচার করছে । অনেক শৌচালয় নির্মাণেও সাহায্য করেছে। আমি Skill Development-এর জন্য এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং তাদের প্রশংসা করছি। আজ, দেশের গ্রামে-গ্রামে Skill Development এর জন্য এমন সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

 

বন্ধুগণ, যখন কোন এক লক্ষের জন্য সকলের সমষ্টিগত প্রয়াস থাকে তখন সফলতার উচ্চতা ও বেড়ে যায়। আমি লাদাখের একটি অতি প্রেরণাদায়ক ঘটনার উল্লেখ করতে চাই। আপনারা পাশমিনা শালের ব্যাপারে তো নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন! বেশ কিছু সময় ধরে কিন্তু লাদাকি পাশমিনা-ও বহু চর্চিত হচ্ছে। ‘লুম্স অফ লাদাখ’ নামে, লাদাকি পাশমিনা সারা বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। আপনারা এটা জেনে অবাক হবেন যে এই শালটি তৈরি করার পেছনে ১৫টি গ্রামের, ৪৫০ এরও বেশি মহিলাদের বিশেষ অবদান রয়েছে। এর পূর্বে ওরা ওদের সৃষ্ট বস্তু পর্যটকদেরই বিক্রি করতো। কিন্তু এখন ডিজিটাল ভারতের যুগে, ওদের হাতে তৈরি জিনিস দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের লোকাল এখন গ্লোবাল হচ্ছে এবং এই মহিলাদের আর্থিক অবস্থার ও উন্নতি হচ্ছে।

বন্ধুগণ, নারী শক্তির এই ধরনের সাফল্যের কাহিনী দেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে। প্রয়োজন হল, এই সাফল্যের কাহিনী গুলোকে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা। আর এই ঘটনাগুলি বলার জন্য ‘মন কি বাত’-এর চেয়ে ভালো আর কি কোন প্রচার মাধ্যম হয়? তাই আপনারাও আরো বেশি করে এই ধরনের উদাহরণ আমার সঙ্গে নিশ্চয়ই শেয়ার করবেন। আমিও পুরো চেষ্টা করব এই ঘটনাগুলিকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার।

 

আমার প্রিয়জনেরা, ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে আমরা এমন সব সমষ্টিগত প্রয়াসের ব্যাপারে আলোচনা করি যেগুলির মাধ্যমে সমাজে বড়-বড় পরিবর্তন এসেছে। ‘মন কী বাত’ আরেকটি কাজ করতে সক্ষম হয়েছে, তা হল ঘরে-ঘরে রেডিওর জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে।

উত্তরপ্রদেশের আমরোহার রাম সিং বৌদ্ধ’জির একটি চিঠি আমি মাই গভে পেয়েছি। রাম সিং’জি বিগত বহু দশক ধরে রেডিও সংগ্রহের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ওঁর বক্তব্য, ‘মন কী বাতের’ জন্য ওঁর Radio Museum-এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে গেছে।

ঠিক এভাবেই ‘মন কী বাতের’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আহমেদাবাদের পার্শ্ববর্তী তীর্থস্থান প্রেরণা তীর্থ একটি আকর্ষণীয় প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এখানে দেশ-বিদেশের ১০০-রও বেশি antique radio রাখা হয়েছে। এখানে ‘মন কী বাতের’ এখনও-পর্যন্ত- সম্প্রাচারিত সমস্ত Episodes শোনানো হয়।

‘মন কী বাতে’ অনুপ্রাণিত হয়ে কীভাবে মানুষ নিজের কাজ শুরু করেছেন, বহু উদাহরণ থেকে এই কথা জানা যায়। এমনই একটি উদাহরণ কর্ণাটকের চামরাজনগরের বাসিন্দা বর্ষা’জির জীবন, যিনি ‘মন কী বাত’-এর অনুপ্রেরণায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। এই অনুষ্ঠানের একটি Episode শুনে অনুপ্রাণিত হয়েই উনি কলা থেকে জৈবিক সার উৎপাদন করতে শুরু করেন। প্রকৃতিপ্রেমী বর্ষা’জি এই উদ্যোগ অন্য মানুষের জন্যও রোজগারের সুযোগ নিয়ে এসেছে।

আমার প্রিয়জনেরা, কাল, ২৭ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমা তিথি। এই দিনই দেব দীপাবলি পালিত হয়। আর আমার সবসময় ইচ্ছে থাকে এই দিন কাশীর দেব দীপাবলি যেন অবশ্যই দর্শন করি। এবার আমি কাশী যেতে পারছি না বটে, কিন্তু ‘মন কী বাতের’ মাধ্যমে বেনারসের সকল মানুষকে আমার শুভকামনা অবশ্যই পাঠাচ্ছি। এবারও কাশীর ঘাটে-ঘাটে লক্ষ-লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে, অপূর্ব-সুন্দর আরতি করা হবে, laser show হবে, দেশ-বিদেশ থেকে আসা লক্ষাধিক মানুষ দেব দীপাবলি উপভোগ করবেন।

বন্ধুরা, কাল পূর্ণিমার দিনই গুরু নানক দেবের প্রকাশ পর্বও রয়েছে। গুরু নানক দেবের অমূল্য বার্তা কেবল ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবী জুড়ে আজও অনুপ্রেরণামূলক ও প্রাসঙ্গিক। তাঁর বার্তা আমাদের সারল্য, সদ্ভাব ও অন্যের প্রতি সমর্পিত হতে শেখায়। গুরু নানক দেব যে সেবা ভাবনা ও সেবা কার্যের শিক্ষা দিয়েছেন তা আজও আমাদের শিখ ভাই-বোনেরা সারা বিশ্বে পালন করছে। ‘মন কী বাতের’ সকল শ্রোতাদের আমি গুরু নানক দেবের প্রকাশ পর্বের অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি।

আমার প্রিয়জনেরা, ‘মন কী বাতে’ এবার আমার সঙ্গে এই পর্যন্তই। দেখতে-দেখতে ২০২৩ শেষের দিকে এগোচ্ছে। এবং প্রতিবারের মত আমি-আপনি ভাবছি…আরে, কী দ্রুত বছরটা কেটে গেল। কিন্তু এটাও ঠিক, এ বছরটি ভারতবর্ষের জন্য বহু নতুন প্রাপ্তি নিয়ে এসেছে, এবং ভারতবর্ষের প্রাপ্তি মানে প্রতিটি ভারতীয়ের প্রাপ্তি। আমি খুশি কারণ ‘মন কী বাত’ ভারতীয়দের এই প্রাপ্তিগুলি প্রকাশ্যে আনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। পরেরবার আবার ভারতীয়দের বহু সাফল্য নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। ততক্ষণের জন্য আমায় বিদায় দিন। অনেক-অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।