আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। বর্ষার এই মরশুমে প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয় দেশের পরীক্ষা নিচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে আমরা বন্যা এবং ভূমিধ্বসের সঙ্কট প্রত্যক্ষ করেছি। কোথাও ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়েছে, কোথাও ডুবে গিয়েছে চাষের ক্ষেত, হারিয়ে গিয়েছে পরিবারের পর পরিবার, জলের প্রবল তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেতু, রাস্তা ধ্বংস হয়েছে, মানুষের জীবন বাঁধা পড়েছে সঙ্কটে।
এই সব ঘটনা ব্যথিত করেছে প্রত্যেক ভারতীয়কে। যেসব পরিবার নিজেদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের যন্ত্রণা আমাদের প্রত্যেকের যন্ত্রণা। যেখানেই সঙ্কট এসেছে, সেখানে মানুষকে বাঁচানোর জন্য আমাদের এনডিআরএফ-এসডিআরএফ এর জওয়ানরা, অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী সকলে দিনরাত কাজ করেছে। জওয়ানরা প্রযুক্তির সাহায্যও নিয়েছে। থার্মাল ক্যামেরা, লাইভ ডিটেক্টর, স্নিফার ডগ আর ড্রোনের নজরদারি - এমন অনেক আধুনিক উপকরণের সাহায্য নিয়ে ত্রাণকাজে গতি আনার পূর্ণ প্রয়াস করা হয়েছে। এই সময়ে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, আহতদের এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর্বে সহায়ক হয়ে আবির্ভূত হয়েছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় মানুষ, সামাজিক কর্মকর্তা, ডাক্তার, প্রশাসন সঙ্কটের এই সময়ে সবাই যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। আমি সেইসব নাগরিকদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই যাঁরা এই কঠিন সময়ে মানবিকতাকে স্থান দিয়েছেন সবার উপরে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, বন্যা আর বর্ষার এই ধ্বংসলীলার মাঝে জম্মু-কাশ্মীর দুটো বড় সাফল্য অর্জন করেছে। এই ব্যাপারে খুব বেশি মানুষ নজর দেন নি, কিন্তু যখন আপনি জানবেন সেগুলো সম্পর্কে তখন খুব ভালো লাগবে আপনার। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক স্টেডিয়ামে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে পুলওয়ামার প্রথম দিবারাত্রি ব্যাপী ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আগে এটা হওয়া অসম্ভব ছিল কিন্তু এখন আমার দেশ বদলাচ্ছে। এই ম্যাচ রয়্যাল প্রিমিয়ার লীগের অংশ, যেখানে জম্মু-কাশ্মীরের আলাদা-আলাদা দল খেলছে। এত মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা, পুলওয়ামাতে রাতের সময়, হাজারে-হাজারে ক্রিকেট উপভোগ করছে - এই দৃশ্য সত্যিই অনুপম।
বন্ধুরা, অন্য যে উদ্যোগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, সেটা হচ্ছে দেশে প্রথম বার অনুষ্ঠিত 'খেলো ইণ্ডিয়া ওয়াটার স্পোর্টস ফেস্টিভাল' আর সেটাও শ্রীনগরের ডাল হ্রদে হয়েছে। সত্যি, এমন উৎসব আয়োজনের জন্য কত সুন্দর জায়গা এটা। এর উদ্দেশ্য জম্মু-কাশ্মীরে water sports কে আরও জনপ্রিয় করে তোলা। এখানে গোটা ভারতের আটশোরও বেশী অ্যাথলীট অংশগ্রহণ করেন। পিছিয়ে ছিলেন না মহিলা অ্যাথলীটরাও, তাঁদের অংশগ্রহণও পুরুষ অ্যাথলীটদের মোটামুটি সমান ছিল। আমি সেই সকল খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে চাই যাঁরা এতে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ অভিনন্দন মধ্যপ্রদেশকে যাঁরা সবথেকে বেশি পদক জিতেছে, তার পরে স্থান ছিল হরিয়ানা এবং ওড়িশা। জম্মু-কাশ্মীরের সরকার এবং সেখানকার স্থানীয় মানুষজনের আত্মীয়তা এবং অতিথি আপ্যায়নের আমি প্রভূত প্রশংসা করছি।
বন্ধুরা ,এই উদ্যোগ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতাকে আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমি ভেবেছি যে এমন দু'জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলব আমি যাঁরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ওড়িশার রশ্মিতা সাহু আর দ্বিতীয় জন শ্রীনগরের মহসীন আলি। আসুন শুনি, তাঁরা কী বলছেন।
প্রধানমন্ত্রী - রশ্মিতা জি নমস্কার।
রশ্মিতা - নমস্কার স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - জয় জগন্নাথ ।
রশ্মিতা - জয় জগন্নাথ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - রশ্মিতা জি, সবার প্রথমে খেলাধুলার ক্ষেত্রে আপনার সাফল্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
রশ্মিতা - স্যার আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী - রশ্মিতা জি, আমাদের শ্রোতারা আপনার সম্বন্ধে এবং খেলাধুলার সাফল্যের কথা জানার জন্য আগ্রহী, আমিও উদগ্রীব হয়ে আছি। আপনি বলুন।
রশ্মিতা -স্যার আমি রশ্মিতা সাহু। ওড়িশার অধিবাসী। আমি canoeing খেলোয়াড়। আমি ২০১৭ সাল থেকে canoeing শুরু করি। আমি জাতীয় স্তরে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ন্যাশনাল গেমসে অংশগ্রহণ করেছি। আমি মোট ৪১ টি পদক পেয়েছি তার মধ্যে ১৩ টি সোনা, ১৪ টি রূপো এবং ১৪ টি ব্রোঞ্জ পদক।
প্রধানমন্ত্রী -এই খেলার প্রতি আপনার আগ্রহ কিভাবে হলো? কে আপনাকে সর্ব প্রথম এই বিষয়ে উৎসাহিত করেছে ?আপনাদের পরিবারে কি খেলাধুলার পরিবেশ আছে?
রশ্মিতা - না স্যার, আমি যে গ্রামে থাকি সেখানে খেলার তেমন কোন পরিবেশ ছিল না। এখানে নদীতে বোটিং হচ্ছিল। আমি সাঁতার কাটতে গিয়েছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটছিলাম তখন canoeing - kayaking এর একটি নৌকা যাচ্ছিল। আমি এটার ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমি এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করি, এটা কি? ও বলল যে জগতপুরে SAI স্পোর্টস সেন্টার আছে ওখানে এই খেলার অনুশীলন হয়। আমিও ওখানে যাচ্ছি। ব্যাপারটা আমার বেশ আকর্ষণীয় মনে হল।
আমি জানতাম না বাচ্চারা জলে কিভাবে boating করে। আমি ওকে বললাম যে, আমিও যাব। কিভাবে যাব সেটা বল। তখন ও বলল যে ওখানে গিয়ে কথা বল। আমি তৎক্ষণাৎ বাড়িতে গিয়ে বাবাকে বললাম যে আমি ওখানে যাব। বারবার বলার পর বাবা রাজি হলেন এবং আমাকে ওখানে নিয়ে গেলেন। ঐ সময় ট্রায়ালের টাইম ছিল না। কোচেরা বললেন যে ফেব্রুয়ারি মার্চ মাস নাগাদ ট্রায়াল হয় সেই সময় আসতে হবে । আমি আবার ট্রায়ালের
সময় আসি।
প্রধানমন্ত্রী - আচ্ছা রশ্মিতা, কাশ্মীরে আয়োজিত খেলো ইন্ডিয়া ওয়াটার স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? আপনি কি প্রথমবার কাশ্মীরে গিয়েছিলেন?
রশ্মিতা - হ্যাঁ স্যার ।আমি প্রথমবার কাশ্মীরে গিয়েছিলাম। খেলো ইন্ডিয়া ওয়াটার স্পোর্টস ফেস্টিভ্যালে আমি দুটো ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ২০০ মিটার সিঙ্গেলস এবং ৫০০ মিটার ডাবলসে আর দুটোতেই আমি স্বর্ণপদক পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী - আরে বাহ ! দুটোতেই স্বর্ণপদক পেয়েছেন ।
রশ্মিতা - হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - অনেক অনেক অভিনন্দন।
রশ্মিতা - ধন্যবাদ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - আচ্ছা রশ্মিতা ওয়াটার স্পোর্টস ছাড়া আপনার hobbiesআর কি কি আছে?
রশ্মিতা - স্যার ওয়াটার স্পোর্টস ছাড়া, স্পোর্টসের ক্ষেত্রে দৌড়াতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি যখনই ছুটিতে যাই তখন দৌড়ানো অভ্যাস করি। পুরনো ফিল্ডে আমি ফুটবল খেলাও শিখেছিলাম। ছুটি পেলেই দৌড় অভ্যাস করি আর অল্পবিস্তর ফুটবল খেলি।
প্রধানমন্ত্রী- তার মানে খেলাধুলা আপনার রক্তে রয়েছে।
রশ্মিতা- হ্যাঁ স্যার, স্কুলে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আমি যেসব খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম প্রত্যেকটাতে প্রথম হতাম। চ্যাম্পিয়ন হতাম।
প্রধানমন্ত্রী- রশ্মিতা জি, যাঁরা আপনার মত খেলাধুলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আপনি কি বার্তা দেবেন?
রশ্মিতা- স্যার অনেক ছেলে মেয়ের তো বাড়ি থেকে বেরোনোই বারণ আর মেয়ে বলে তো প্রশ্ন ওঠে কোথায় কিভাবে যাবে। টাকা-পয়সার অভাবে অনেককে খেলাধুলা ছাড়তে হচ্ছে। খেলো ইন্ডিয়ার এই স্কিম থেকে অনেক ছেলেমেয়ে আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য পাচ্ছে। অনেকে উন্নতি করতে পারছে। আর আমি সবাইকে বলব যে খেলা ছেড়ো না। খেলাধুলার মাধ্যমে অনেক উন্নতি করা সম্ভব। খেলা তো খেলাই, খেলাধুলা করলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সুস্থ থাকে। খেলায় ইন্ডিয়াকে পদক এনে দেওয়াও আমাদের কর্তব্য।
প্রধানমন্ত্রী- ঠিক আছে রশ্মিতা জি, আমার খুব ভালো লাগলো, আপনাকে আবার অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনার বাবাকে আমার প্রণাম জানাবেন। অনেক অসুবিধার মধ্যেও উনি মেয়েকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। আমার অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ধন্যবাদ।
রশ্মিতা- ধন্যবাদ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী- জয় জগন্নাথ।
রশ্মিতা- জয় জগন্নাথ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী- মোহসিন আলী নমস্কার।
মোহসিন আলী- নমস্কার, স্যার।
প্রধানমন্ত্রী- মহসিন জি আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন আর আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
মোহসিন আলী - ধন্যবাদ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - মহসিন প্রথমবার খেলো ইন্ডিয়া ওয়াটার স্পোর্সের ফেস্টিভ্যাল আর এতে আপনিই প্রথম স্বর্ণপদক জিতেছেন, আপনার কেমন লাগলো?
মোহসিন আলী - স্যার আমি খুব খুশি, প্রথমবার কাশ্মীরে খেলো ইন্ডিয়ার আয়োজন করা হয়েছে আর আমি স্বর্ণপদক পেয়েছি।।
প্রধানমন্ত্রী - অন্যান্যরা কি বলছেন?
মোহসিন আলী - স্যার সবাই এটা নিয়ে আলোচনা করছে আমার পরিবারও খুব খুশি।
প্রধানমন্ত্রী - আপনার বিদ্যালয়ের সকলে কি বলছে?
মোহসিন আলী - বিদ্যালয়ের সকলে খুব খুশি। কাশ্মীরে সকলে বলছে আপনি তো Gold medalist.
প্রধানমন্ত্রী - তাহলে আপনি তো বড় সেলিব্রেটি হয়ে গেছেন।
মোহসিন আলী - হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - আচ্ছা Water sporsts-এ আপনার আগ্রহ কি করে হল? আর আপনার নজরে এর উপকারিতা কি কি?
মোহসিন আলী - ছোটবেলায় ডাল লেকে নৌকা চলতে দেখেছি। বাবা বলতো তুমি কি নৌকা চালাবে? আমারও শখ ছিল। আমি একদিন ওখানকার সেন্টারে ম্যাডামের কাছে গেলাম। ওই বিলকিস Madam-ই আমাকে শেখালেন।
প্রধানমন্ত্রী - আচ্ছা মোহসিন শ্রীনগরে প্রথমবার Water sports-এর আয়োজন করা হয় তাও ডাল লেকে। পুরো দেশ থেকে লোক এখানে এসেছিল। এই ব্যাপারে স্থানীয় মানুষদের অনুভূতি কেমন?
মোহসিন আলী - স্যার, সকলে খুব খুশি। খুব সুন্দর জায়গা ।সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা আছে। এখানে Khelo India-র আয়োজন বেশ ভালোভাবে করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী - খেলাধুলার জন্য আপনি কখনো কাশ্মীরের বাইরে কোথাও গিয়েছেন?
মোহসিন আলী - হ্যাঁ স্যার আমি ভোপাল, গোয়া, কেরলে এবং হিমাচলে গেছি
প্রধানমন্ত্রী - আচ্ছা তাহলে তো আপনি পুরো ভারত দেখে নিয়েছেন।
মোহসিন আলী - হ্যাঁ স্যার
প্রধানমন্ত্রী - আচ্ছা এখানে তো অনেক খেলোয়াড় এসেছিল
মোহসিন আলী - হ্যাঁ স্যার
প্রধানমন্ত্রী - তাহলে নতুন কোন বন্ধু হয়েছে না হয় নি?
মোহসিন আলী - স্যার অনেক বন্ধু হয়েছে। সবাই একসাথে ডাল লেক, লালচক এবং অন্যান্য জায়গা ঘুরেছি। পহেলগামেও গিয়েছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী - আমার মনে হয় জম্মু কাশ্মীরের স্পোর্টস ট্যালেন্ট অভাবনীয়।
মোহসিন আলী -হ্যাঁ স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - আমাদের জম্মু-কাশ্মীরের যুবকদের মধ্যে দেশের মুখ উজ্জ্বল করার ক্ষমতা আছে আর সেটা তারা করে দেখিয়েছে।
মোহসিন আলী - স্যার আমার স্বপ্ন অলিম্পিকের পদক জেতা।
প্রধানমন্ত্রী – বাহ! সাবাস।
মোহসিন আলী - এটাই আমার স্বপ্ন স্যার।
প্রধানমন্ত্রী - দেখুন আপনার কথা শুনে আমি শিহরিত হয়ে উঠছি
মোহসিন আলী - অলিম্পিকে পদক জেতা আমার স্বপ্ন। দেশের জাতীয় সংগীত বাজবে এটাই আমার স্বপ্ন।।
প্রধানমন্ত্রী - আমাদের দেশের এক শ্রমজীবী পরিবারের ছেলে এত বড় স্বপ্ন দেখছে তার অর্থ আমাদের দেশ অনেক উন্নতি করবে।
মোহসিন আলী - স্যার অনেক উন্নতি হবে। আমরা ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ যারা এখানে প্রথমবার ‘খেলো ইন্ডিয়া’ আয়োজন করেছেন ।
প্রধানমন্ত্রী - সেই কারণেই তো স্কুলেআপনার জয়জয়কার হচ্ছে।
মোহসিন আলী - হ্যাঁ স্যার ।
প্রধানমন্ত্রী - মোহসিন, আপনার সঙ্গে কথা বলে আমার খুব ভালো লাগলো। আমার পক্ষ থেকে আপনার বাবাকে বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাবে। কেননা নিজের শ্রমিক জীবন যাপন করেও উনি আপনার জীবনে উন্নতির জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন আর আপনার বাবার কথা অনুযায়ী কোনরকম স্বাছন্দ্য ছাড়াই ১০ বছর যাবৎ যে অনুশীলন চালিয়েছেন, সেটা যে কোন খেলোয়াড়ের জন্য প্রেরণাদায়ক। আপনার কোচকেও আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। যিনি আপনার জন্য এত পরিশ্রম করেছেন। আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন। অনেক অনেক শুভকামনা।
মোহসিন আলী - ধন্যবাদ স্যার, নমস্কার স্যার , জয় হিন্দ!
বন্ধুরা, "এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত"এর ভাবনা দেশের একতা, দেশের বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং নিশ্চিতভাবেই ক্রীড়া এতে একটা বড় ভূমিকা পালন করে। আর তাই তো আমি বলি, যে খেলে সে বিকশিত হয়। আমাদের দেশও যত টুর্নামেন্ট খেলবে তত বিকশিত হবে। আপনারা দুজন ক্রীড়াবিদকে এবং আপনাদের বন্ধুদের আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা ইউপিএসসির নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছেন। এই সংস্থাটি দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির অন্যতম সিভিল সার্ভিসেস এক্সামও নিয়ে থাকে। আমরা সবাই সিভিল সার্ভিসের টপারদের প্রেরণাদায়ক কথা অনেকবার শুনেছি। এই নব্যযুবারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়াশোনা করে নিজেদের পরিশ্রমের জোরে এই সার্ভিসে স্থান পায়। কিন্তু বন্ধুরা, ইউপিএসসির পরীক্ষার আরো একটি সত্য রয়েছে, তা হলো, হাজার হাজার এমন পরীক্ষার্থীও আছেন যারা অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন, তাদের পরিশ্রমও কারোর থেকে কম নয় কিন্তু সামান্য ব্যবধানের জন্য তারা চূড়ান্ত তালিকা পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননা। এই পরীক্ষার্থীদের অন্য পরীক্ষার জন্য আবার নতুন ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। তাতে তাদের সময় ও অর্থ উভয়ই ব্যয় হত । তাই এখন এমন প্রতিশ্রুতিমান পরীক্ষার্থীদের জন্যও একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যার নাম "প্রতিভা সেতু"।
প্রতিভা সেতুতে সেই প্রতিশ্রুতিমান পরীক্ষার্থীদের ডেটা রাখা হয়েছে যারা ইউপিএসসির আলাদা আলাদা পরীক্ষার সকল ধাপগুলি উত্তীর্ণ হয়েছেন, কিন্তু চূড়ান্ত মেরিট লিস্টে তাদের নাম আসতে পারেনি। এই পোর্টালে দশ হাজারেরও অধিক এমন প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন যুবাদের ডেটা ব্যাংক রয়েছে। কেউ সিভিল সার্ভিসেস এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস এ যেতে চেয়েছিলেন, কেউ মেডিক্যাল সার্ভিসেস এর প্রতিটি ধাপ পার করেছেন কিন্তু ফাইনালে তার সিলেকশন হয়নি। এমন সব প্রতিশ্রুতিমানদের বিষয়ে তথ্য এখন প্রতিভা সেতু পোর্টালে উপলব্ধ করা হচ্ছে। এই পোর্টাল থেকে প্রাইভেট কোম্পানিগুলি এই প্রতিশ্রুতিমান স্টুডেন্টদের সম্পর্কে জেনে তাদের নিজেদের কোম্পানিতে নিয়োগ করতে পারে। বন্ধুরা, এই প্রয়াসের ফলও আসতে শুরু করেছে। শত শত পরীক্ষার্থী এই পোর্টালের সাহায্যে দ্রুত চাকরি পেয়েছেন। আর সেই যুবা, যিনি সামান্য কোনো ব্যবধানের কারণে থেমে গিয়েছিলেন, এখন নতুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ ভারতের প্রতি গোটা দুনিয়ার মনোযোগ রয়েছে। ভারতের মধ্যে লুক্কায়িত সম্ভাবনাগুলির দিকে সারা বিশ্ব দৃষ্টি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গেই একটা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। আপনারা তো জানেন আজকাল পডকাস্টের খুব ফ্যাশন হয়েছে। নানা বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত পডকাস্ট বিভিন্ন ধরণের লোক দেখেন ও শোনেন। অতীতে আমিও কিছু পডকাস্টে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এমনই এক পডকাস্ট হয়েছিল পৃথিবীর অত্যন্ত বিখ্যাত পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে। এই পডকাস্টে অনেক কথা হয়েছিল এবং সারা বিশ্বের মানুষ তা শুনেছিলেন। পডকাস্টের সময় এমনিই কথায় কথায় আমি একটা বিষয় উত্থাপন করেছিলাম। জার্মানির এক ক্রীড়াবিদ সেই পডকাস্ট শোনেন এবং আমি সেখানে যে কথা বলেছিলাম সেই বিষয়ে তার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়। তিনি এই টপিকের সঙ্গে এতটাই কানেক্ট করেছিলেন যে প্রথমে তিনি সেই বিষয়ে রিসার্চ করেন, তারপর জার্মানিতে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং চিঠি লিখে জানান যে উনি সেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চান।
আপনারা ভাবছেন মোদীজী পডকাস্টে এইরকম বিষয় নিয়ে কেন বললেন- যেটা জার্মানির এক খেলোয়াড়কে উৎসাহিত করলো, এটা কোন বিষয় ছিল- আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি, আমি পডকাস্টে কথায় কথায় মধ্যপ্রদেশের শহডোলের ফুটবল উন্মাদনার সঙ্গে যুক্ত এক গ্রামের কথা বলেছিলাম।আসলে দুবছর আগে আমি শহডোল গিয়েছিলাম, ওখানকার ফুটবল খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। পডকাস্টের সময় এক প্রশ্নের উত্তরে আমি শহডোলের ফুটবল খেলোয়াড়দের উল্লেখ করেছিলাম। এই কথা জার্মানির ফুটবল খেলোয়াড় এবং কোচ Dietmar Beiersdorfer ও শুনেছিলেন। শহডোলের তরুণ ফুটবল খেলোয়াড়দের জীবন কাহিনী তাঁকে খুব প্রভাবিত করেছিল ও প্রেরণা দিয়েছিল। সত্যি কথা বলতে কি, কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে ওখানকার প্রতিভাশালী ফুটবল খেলোয়াড়রা অন্য দেশের মনোযোগ নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করতে পারবেন। এখন জার্মানির ওই কোচ শহডোলের কিছু খেলোয়াড়কে জার্মানির এক অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। এরপর মধ্যপ্রদেশ সরকারও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শীঘ্রই শহডোল থেকে আমাদের কিছু যুবা বন্ধু ট্রেনিং কোর্সের জন্য জার্মানি যাবেন। আমার এই দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে যে ভারতে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। আমি ফুটবলপ্রেমীদের বলব সময় পেলে অবশ্যই শহডোল যাবেন এবং ওখানে যে স্পোর্টিং রেভলিউশন হচ্ছে সেটা প্রত্যক্ষ করবেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, সুরাটের অধিবাসী জিতেন্দ্র সিং রাঠোরের সম্পর্কে জানলে আপনাদের খুব ভালো লাগবে। মন গর্বে ভরে যাবে। জিতেন্দ্র সিং রাঠোর একজন সিকিউরিটি গার্ড আর তিনি এমন এক আসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছেন যা সমস্ত দেশপ্রেমীদের জন্য প্রেরণা স্বরূপ। গত কয়েক বছর ধরে, ভারতমাতাকে রক্ষার জন্য যে সমস্ত জওয়ান প্রাণ বলিদান করেছেন, তিনি তাঁদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য একত্রিত করছেন। এখন তাঁর কাছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার বীর শহীদ জওয়ানদের সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। তাঁর কাছে শহীদদের হাজার হাজার ছবিও রয়েছে। একবার এক শহীদের বাবার বলা কথাগুলো তাঁর হৃদয় গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়। শহীদের বাবা বলেছিলেন, "ছেলে চলে গেছে তো কী হয়েছে, মাতৃভূমি তো সুরক্ষিত আছে।“ এই একটি কথা জিতেন্দ্র সিংহজীর মনে দেশপ্রেমের এক অদ্ভুত আবেগ তৈরী করে। আজ তিনি বহু শহীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।তিনি কম করে হলেও প্রায় আড়াই হাজার শহীদের মা বাবার পদধূলি নিজের কাছেসংগ্রহ করে রেখেছেন। এটিসশস্ত্র সেনাদের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা এবং তাঁদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়ার এক জীবন্ত উদাহরণ। জিতেন্দ্রজীর জীবন আমাদের দেশপ্রেমেরপ্রকৃত শিক্ষা প্রদান করে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজকাল আপনারা দেখে থাকবেন, প্রায়ই ঘরের ছাদের ওপরে, বড় বিল্ডিং এ, সরকারী অফিসে সোলার প্যানেল চকচক করছে। লোকজন এখন এর গুরুত্ব বুঝতে পারছে এবং খোলা মনেআপন করে নিয়েছেন। আমাদের দেশের প্রতি সূর্যদেবের এত কৃপা, তাহলে তাঁর দেওয়া এই শক্তির সদ্ব্যবহার আমরা কেন করবো না!
বন্ধুরা, সোলার পাওয়ার কৃষকদের জীবনও বদলে দিচ্ছে। ওই ক্ষেত, ওই পরিশ্রম, ওই কৃষক, কিন্তু এখন পরিশ্রমের ফল অনেক বেশী।এই পরিবর্তন আসছে সোলার পাম্প আর সোলার রাইস মিল থেকে। আজ দেশের বহু রাজ্যে শত শত সোলার রাইস মিল লাগানো হয়েছে। এই সোলার রাইস মিল কৃষকদের আয় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের চেহারাতেও জৌলুস বাড়িয়েছে।
বন্ধুরা, বিহারের দেবকীজী সোলার পাম্পের সাহায্যে গ্রামের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন।মুজঃফরপুরের রতনপুরা গ্রামের বাসিন্দা দেবকীজীকে লোকে এখন ভালোবেসে সোলার দিদি বলে। দেবকীজীর জীবন সহজ ছিল না।অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়, ছোট ক্ষেত, চারটি বাচ্চার দায়িত্ব এবং ভবিষ্যতের কোন পরিষ্কার ছবি সামনে ছিল না। কিন্তু তাঁর আত্মবিশ্বাস কখনও টাল খায়নি। তিনি এক self-help group এর সঙ্গে যুক্ত হন আর সেখানেই তিনি solar pump সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি solar pump লাগানোর জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন এবং সেই চেষ্টায় সফল হন। Solar দিদির solar pump এরপর গ্রামের ছবি বদলে দিয়েছে। যেখানে আগে কয়েক একর মাত্র জমিতে সেচ করা সম্ভব হতো, এখন সোলার দিদির সোলার পাম্পের সাহায্যে ৪০ একরেরও বেশী জমিতে সেচের জল পৌঁছে যাচ্ছে। সোলার দিদির এই অভিযানে গ্রামের অন্য কৃষকেরাও যুক্ত হয়ে গেছে। তাঁদের ফসল উপচে পড়ছে, আমদানিও বাড়তে শুরু করেছে।
বন্ধুরা, আগে দেবকীজীর জীবন চার দেওয়ালের ভেতর সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ তিনি পুরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন, সোলার দিদি হয়ে উপার্জন করছেন, আর সবথেকে আনন্দের কথা হলো, তিনি নিজের এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে UPI এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিচ্ছেন। এখন পুরো গ্রামে তাঁকে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখা হয়। তাঁর পরিশ্রম এবং দূরদর্শিতা দেখিয়ে দিয়েছে যে সৌরশক্তি শুধু বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান নয়, বরং গ্রামে গ্রামে নতুন ভবিষ্যত গড়ার এক নতুন শক্তিও বটে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ১৫ই সেপ্টেম্বর ভারতের মহান engineer মোক্ষগুণ্ডম বিশ্বেশ্বরাইয়ার জন্মদিন। ওই দিনটি আমরা engineer's day হিসেবে পালন করি। engineer শুধু machine ই তৈরী করেন না তাঁরা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার কর্মযোগীও। আমি ভারতের প্রতিটি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশংসা করছি এবং তাদের আমার শুভকামনা জানাচ্ছি। বন্ধুরা, সেপ্টেম্বরেই ভগবান বিশ্বকর্মার পূজার পবিত্র সময় আসছে। ১৭ ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। এই দিনটি সেইসব বিশ্বকর্মা বন্ধুদের প্রতি সমর্পণ করা হয় , যাঁরা শিল্পের ঐতিহ্য, কৌশল এবং জ্ঞান বিজ্ঞান কে অনবরত এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে পৌঁছে দিচ্ছেন। আমাদের সুত্রধর, কামার, স্বর্ণকার, কুম্ভকার, মৃৎশিল্পী, কাঠের কারিগর, আগাগোড়াই ভারতের সমৃদ্ধির বুনিয়াদ ছিলেন। আমাদের এই বিশ্বকর্মা বন্ধুদের সাহায্যের জন্য সরকার বিশ্বকর্মা যোজনাও চালাচ্ছেন।
বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের এক audio recording শোনাতে চাইছি। " তো এই যে মানপত্রে আপনি লিখেছেন যে রাজ্যের ব্যাপারে আমি যা কিছু করেছি, বা হায়দ্রাবাদের ব্যাপারে আমাদের সরকার যা কিছু করেছে, তা ঠিকই করেছে।কিন্তু আপনি কি জানেন যে হায়দ্রাবাদের কাহিনী এইরকম ,যা আমরা করেছি তা করতে গিয়ে কত অসুবিধে হয়েছে! আমরা কথা দিয়েছিলাম যে কোন প্রিন্সের, কোন রাজার বিরুদ্ধে কোন বিরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। সকলের যা হবে, তাঁরও তাই হবে। কিন্তু তাঁর জন্য,আমরা আলাদা সমঝোতা করেছিলাম।"
বন্ধুরা, এই কণ্ঠ লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের। হায়দ্রাবাদের ঘটনায় তাঁর কণ্ঠে যে বেদনা ঝরে পড়ছে তা আপনারা অনুভব করতে পারছেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আমরা hyderabad liberation day পালন করবো। এ সেই মাস যখন আমরা সেই সব বীরদের সাহসের কথা স্মরণ করি যাঁরা operation polo র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আপনাদের সবার জানা আছে নিশ্চয়ই, যে যখন ১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাসে ভারত স্বাধীনতা পায়, তখন হায়দ্রাবাদ একদম অন্য অবস্হানে ছিল। নিজাম আর রাজাকারদের অত্যাচার দিন দিন বেড়ে চলেছিল। জাতীয় পতাকা ওড়ানোর জন্য কিংবা বন্দেমাতরম বলার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো। মহিলা এবং গরীবদের ওপর অত্যাচার করা হতো। সেই সময় বাবা সাহেব আম্বেদকরও সাবধান করেছিলেন যে এই সমস্যা অনেক বড় হয়ে দাঁড়াবে।অবশেষে সর্দার প্যাটেল ব্যাপারটা নিজের হাতে নিয়ে নেন। তিনি operation polo শুরু করার জন্য সরকারকে রাজী করান। রেকর্ড সময়ে আমাদের সেনারা হায়দ্রাবাদকে নিজামের অত্যাচারের হাত থেকে উদ্ধার করে স্বাধীন করেন এবং ভারতের সঙ্গে তাকে যুক্ত করেন। সারা দেশ এই সাফল্য উদযাপন করে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা বিশ্বের যে কোনো জায়গায় চলে যান, সেখানে আপনি অবশ্যই ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব দেখতে পাবেন, আর এই প্রভাব শুধু বিশ্বের বড় বড় শহরেই সীমাবদ্ধ নেই, ছোট ছোট শহরেও তা চোখে পড়বে। ইটালির এক ছোট শহর ক্যাম্প -রোতোন্দো তে সেরকমই দেখতে পেয়েছি। এখানে মহর্ষি বাল্মীকির মূর্তির আবরণ উন্মোচন করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে ওখানকার স্থানীয় মেয়রের সঙ্গে ওখানকার অনেকগণ্যমান্য ব্যক্তিও সামিল হয়েছিলেন।ক্যাম্প-রোতোন্দোর বাসিন্দা ভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষ বাল্মীকিজীর মূর্তি স্থাপনায় খুব খুশি হয়েছিলেন। মহর্ষি বাল্মীকির উপদেশ আমদের সবাইকে অনেক প্রেরণা দান করে।
বন্ধুরা, এই মাসের শুরুতে কর্ণাটকের মিসিসাগাতে প্রভু শ্রী রামের ৫১ ফিট উঁচু প্রতিমার আবরণ উন্মোচন করা হল। এই আয়োজনে জনসাধারণের অত্যন্ত উৎসাহ ছিল। Social media তে প্রভু শ্রীরামের এই অতি চমৎকার প্রতিমার video খুব share করা হয়েছে।
বন্ধুরা, রামায়ণ আর ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি এই ভালোবাসা এখন বিশ্বের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যাচ্ছে। রাশিয়াতে এক বিখ্যাত জায়গা আছে- Vladivostok. অনেকে এই স্থানকেএই হিসেবে জানেন যে, এখানে শীতে তাপমাত্রা মাইনাস ২০ থেকে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এই মাসে Vladivostok এ এক অনন্য প্রদর্শনী হয়েছে। এতে রুশ ছেলেমেয়েদের তৈরী রামায়ণের বিভিন্ন থিমের ওপর আঁকা ছবি প্রদর্শন করা হয়। এখানে একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। বিশ্বের আলাদা আলাদা অংশে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি বেড়ে চলা সচেতনতা দেখে খুবই আনন্দ হয়।
আমার প্রিয় দেশবাসী, মন কি বাত এ এবার এই পর্যন্ত। এই সময় দেশজুড়ে গণেশ উৎসবের সমারোহ চলছে ।আগামী দিনে আরো অনেক উৎসবের রোশনাই আমরা দেখতে পাবো ।
এইসব উৎসবে আপনাদের স্বাদেশিকতার কথা কখনোই ভোলা উচিত নয়। উপহার তাই হবে যা ভারতে তৈরী, পোশাক তাই পরবেন যা ভারতে বয়ন করা, সাজসজ্জা তাই হবে যা ভারতে প্রস্তুত দ্রব্য দিয়ে তৈরি, আলোকসজ্জা হবে ভারতে প্রস্তুত সামগ্রী দিয়ে- আরও এইরকম অনেককিছু , জীবনের প্রতিটি প্রয়োজনীয় জিনিস স্বদেশী হওয়া চাই। গর্বের সঙ্গে বলো 'এটি স্বদেশী', গর্বের সঙ্গে বলো 'এটি স্বদেশী', গর্বের সঙ্গে বলো 'এটি স্বদেশী'। এই ভাবনা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। একটাই মন্ত্র 'Vocal for local', একটাই রাস্তা 'আত্মনির্ভর ভারত', একটাই লক্ষ্য ' বিকশিত ভারত'।
বন্ধুরা, এই খুশির মধ্যেও আপনারা সবাই স্বচ্ছতার প্রতি জোর দিতে থাকবেন, কারণ যেখানে স্বচ্ছতা আছে সেখানে উৎসবের আনন্দ আরও বেড়ে যায়। বন্ধুরা, 'মন কি বাত' নিয়ে এইরকম ভাবেই আমাকে বেশি বেশি করে আপনাদের বক্তব্য পাঠাতে থাকুন। আপনাদের প্রতিটি পরামর্শ এই কার্যক্রমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের feedback আমার কাছে অবশ্যই পৌঁছতে থাকুন। আগামী পর্বে আবার যখন আমরা মিলিত হবো তখন আরও নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ, নমস্কার।
Jammu and Kashmir has achieved two remarkable milestones. #MannKiBaat pic.twitter.com/HyjpGIrS2N
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
PRATIBHA Setu is a digital platform that connects capable UPSC aspirants who missed the final list with new career opportunities. #MannKiBaat pic.twitter.com/jXKehDntQ5
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
Today, the attention of the world is focused on India. #MannKiBaat pic.twitter.com/Z0ULy7oImW
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
Young footballers from Shahdol inspired a German coach, who has invited them to train in Germany. #MannKiBaat pic.twitter.com/xWLMUUcA5B
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
The inspiring story of Jitendra Singh Rathore Ji, a security guard from Surat, who has dedicated his life to honouring India's martyrs and keeping their memories alive. #MannKiBaat pic.twitter.com/aDoxSKP5jS
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
The inspiring journey of Devki Ji from Bihar's Muzaffarpur... #MannKiBaat pic.twitter.com/qaWXtviGlv
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
Hyderabad Liberation Day is a tribute to Sardar Patel's leadership and the people's courage. #MannKiBaat pic.twitter.com/t8HE0RPjsq
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
Indian culture takes over the world! #MannKiBaat pic.twitter.com/qM7eJaq3Yj
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025
Let us celebrate festivals with the Swadeshi spirit. #MannKiBaat pic.twitter.com/7zVX4W8BKV
— PMO India (@PMOIndia) August 31, 2025


