প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার (দোসরা আগস্ট, ২০১৮) রেল, সড়ক, বিমানবন্দর, নৌ-বন্দর, গ্রামীণ আবাসন, শহরাঞ্চলের আবাসন কর্মসূচি এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতো প্রধান প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলির অগ্রগতির বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। প্রায় দু’ঘন্টার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, নীতি আয়োগ এবং পরিকাঠামো সম্পর্কিত মন্ত্রকগুলির শীর্ষ আধিকারিকরা।

নীতি আয়োগের সিইও শ্রী অমিতাভ কান্ত-এর উপস্থাপনায় প্রকাশ যে সড়ক নির্মাণের কাজে বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে দৈনিক গড়ে সড়ক নির্মাণের মাত্রা ছিল ১১.৬৭ কিলোমিটার। তুলনায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৬.৯৩ কিলোমিটারে।

পরিবহণ ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রয়োগ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্রগতির বিষয়গুলি সম্পর্কেও বৈঠকে অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে। সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রে ২৪ লক্ষেরও বেশি বেতার সংযোগ ও সঙ্কেত ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। সড়ক পরিবহণে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে টোল রাজস্ব সংগৃহীত হয়েছে ২২ শতাংশেরও বেশি। “সুখদ যাত্রা” অ্যাপটি এ পর্যন্ত ডাউনলোড করা হয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি। এই অ্যাপটিতে সড়ক পরিস্থিতি সহ প্রয়োজনে অভিযোগ দায়ের করার পন্থাপদ্ধতি সম্পর্কেও খোঁজখবর পাওয়া যায়। বৈদ্যুতিন ব্যবস্থায় দ্রুততার সঙ্গে টোল সংগ্রহের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় গ্রামীণ সড়কগুলির মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে ৮০ শতাংশ গ্রামকে। ২০১৪-১৮ – এই সময়কালে এই ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে ৪৪ হাজারেরও বেশি গ্রাম। তুলনায়, পূর্ববর্তী চার বছরে ৩৫ হাজারের মতো গ্রামকে এই ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল। পর্যালোচনাকালে জানা যায় যে ‘মেরি সড়ক’ অ্যাপটি চালু করা হয়েছে ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় এবং এ পর্যন্ত তা ডাউনলোডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লক্ষ ৭৬ হাজার। সড়কগুলির জিআইএস ব্যবস্থায় মানচিত্র তৈরির কাজ বর্তমানে চলছে এবং ২০টি রাজ্যকে নিয়ে আসা হয়েছে জিআরআরএস পদ্ধতির আওতায়। বর্জ্য প্লাস্টিক এবং ফ্লাই অ্যাশের মতো সচরাচর অব্যবহৃত পদার্থকে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজে।

রেল চলাচলের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। রেলের বহন ক্ষমতা এবং সেইসঙ্গে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যাও বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৪-১৮ সময়কালে নতুন নতুন রেললাইন তৈরি, সিঙ্গল লাইনকে ডবল লাইনে রূপান্তর এবং গেজ পরিবর্তনের কাজ হয়েছে ৯,৫২৮ কিলোমিটার বরাবর। এর পূর্ববর্তী চার বছরের তুলনায় এক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৫৬ শতাংশের মতো।

অনুরূপভাবে, বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রেও ২০১৪-১৮ – এই চার বছরে বিমান চলাচল এবং যাত্রী সংখ্যা সার্বিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬২ শতাংশেরও বেশি। এর পূর্ববর্তী চার বছরে বৃদ্ধির হার ছিল ১৮ শতাংশ মাত্র। ‘উড়ান’ কর্মসূচির আওতায় টায়ার-২ এবং টায়ার-৩ শহরগুলিতে ২৭টি বিমানবন্দর বর্তমানে চালু রয়েছে।

ঐ একই সময়কালে অর্থাৎ, ২০১৪-১৮ – এই চার বছরে দেশের প্রধান প্রধান বন্দরগুলিতে পরিবহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।

গ্রামীণ আবাসন ক্ষেত্রের কাজকর্ম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয় যে ২০১৪-১৮ সময়কালে বাসস্থান নির্মিত হয়েছে ১ কোটিরও বেশি। তুলনায়, এর পূর্ববর্তী চার বছরে নির্মিত বাসস্থানের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫ লক্ষ। গ্রামীণ আবাসন ক্ষেত্রে কাজকর্ম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রেও তা বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠেছে। বাসস্থান নির্মাণের কাজ এবং সংশ্লিষ্ট নির্মাণ শিল্পে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। নিরপেক্ষ এক সমীক্ষায় প্রকাশ যে বাসস্থান তৈরির কাজে মোট সময়কালের গড় ২০১৫-১৬-র ৩১৪ দিন থেকে ২০১৭-১৮-তে নেমে এসেছে ১১৪-তে। বাড়িগুলিকে তৈরি করে তোলা হচ্ছে বিপর্যয় রোধের উপযোগী করে। গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে স্বল্প ব্যয়ের নকশা উদ্ভাবন ও ব্যবহারের ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, শহরাঞ্চলের বাসস্থান নির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন নির্মাণ প্রযুক্তির ওপর। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরাঞ্চল)-র সূচনাকাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৪ লক্ষ বাসস্থান নির্মাণের কাজে মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Indian Economy Poised To Remain Fastest-Growing One In FY26: SBI Report

Media Coverage

Indian Economy Poised To Remain Fastest-Growing One In FY26: SBI Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 1 জুন 2025
June 01, 2025

Citizens Appreciate PM Modi’s Bharat: Powering Economic Growth and Global Ambition