অবাধ, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং সংঘাতমুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তুলতে ভারত এবং জাপান দুই দেশই অভিন্ন ভাবনায় বিশ্বাসী। দুই দেশেই রয়েছে প্রচুর সম্পদ, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং প্রতিযোগিতামুখী আর্থিক ব্যবস্থা। 

ভারত-জাপান বিশেষ কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আগামী দশকের জন্য ৮টি ক্ষেত্রে দিক নির্দেশিকা স্থির করেছে দুই দেশ।

১) পরবর্তী প্রজন্মের আর্থিক অংশীদারিত্ব

ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ এবং পঞ্চম বৃহত্তম আর্থিক শক্তির দেশ হয়ে উঠেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য হল, আর্থিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক শক্তিকে কাজে লাগানো।

    ২০২২-২০২৬ পর্বে ৫ ট্রিলিয়ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে জাপানি ইয়েন বিনিয়োগের পথ ধরে এখন ভারতে ১০ ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েন বেসরকারি লগ্নির লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে; 

     এখন লক্ষ্য হল, ভারত-জাপান সর্বাত্মক আর্থিক সহযোগিতা চুক্তি (সিইপিএ)-র রূপায়ণ পর্যালোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; 

    ভারত-জাপান শিল্প প্রতিযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব (আইজেআইসিপি)-র মাধ্যমে “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারত-জাপান শিল্প সহযোগিতাকে মজবুত করা;

    ভারত-জাপান তহবিলের আওতায় নতুন নতুন প্রকল্প খুঁজে বার করা, জাপানে ভারতীয় শিল্পসংস্থা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির উপস্থিতি বাড়ানো;

    স্থানীয় মুদ্রা লেনদেন সহ ভারত ও জাপানের মধ্যে লেনদেন ব্যবস্থায় সহযোগিতা বৃদ্ধি;

    পারস্পরিক সফরের মাধ্যমে ভারত এবং জাপানের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা;

    ব্যবসায়িক লেনদেন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে খাদ্য সুরক্ষা এবং কৃষি বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করা।

গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ককে মজবুত করতে আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছি। ভারতে বেসরকারি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। 

২) পরবর্তী প্রজন্মের আর্থিক সুরক্ষা অংশীদারিত্ব

আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলির ক্ষেত্রে সরবরাহ শৃঙ্খলকে আরও মজবুত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

    সেমিকন্ডাক্টর, বিরল ধাতু, ওষুধ ও জৈব প্রযুক্তি, পরিবেশ বান্ধব শক্তি এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রকল্প চিহ্নিত করা হচ্ছে। কৌশলগত বাণিজ্য ও প্রযুক্তি সহ আর্থিক সুরক্ষা সংক্রান্ত কথাবার্তা চালানো হচ্ছে; 

    খনিজ সম্পদ, ভারত-জাপান ডিজিটাল অংশীদারিত্ব ২.০-র ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতার মাধ্যমে সুস্থায়ী সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলা, সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ শৃঙ্খল অংশীদারিত্ব এবং এই ধরনের অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সক্রিয়তা;

    বেসরকারি ক্ষেত্র পরিচালিত সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া;

    আর্থিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ভারত-জাপান বেসরকারি ক্ষেত্র মত বিনিময়কে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি কৌশলগত বাণিজ্য ও প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া;

    এআই এবং উদ্ভাবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ও বহুমাত্রিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারত-জাপান এআই সহযোগিতার উদ্যোগ (জেএআই)-এর রূপায়ণ;

    ব্যাটারির বাজার ও পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে ভারত-জাপান ব্যাটারি সরবরাহ শৃঙ্খলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

৩) নেক্সট জেনারেশন মবিলিটি

পরিকাঠামো, লজিস্টিক্স এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা গড়ে তুলতে নেক্সট জেনারেশন মবিলিটি পার্টনারশিপ (এনজিএমপি) গড়ে তোলা হবে। ডিজিটাল ও স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার, সুস্থায়ী ও পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি এবং সুরক্ষা ও বিপর্যয় সহনশীল ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা খতিয়ে দেখা হবে। 

    উচ্চগতির রেল ব্যবস্থা, সিগন্যালিং ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, এআই ভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নত মেট্রো রেল ব্যবস্থা, দ্রুত গতির পরিবহণ ব্যবস্থা প্রভৃতি; 

    যানজট এবং বায়ু দূষণের মতো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় স্মার্ট সিটি ও কার্বন মুক্ত শহর গড়ে তোলা;

    গাড়ি ও বিমান, জাহাজ নির্মাণ, পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির ব্যবহার ও পরিবহণ পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ;

    খাদ্য ও ওষুধ পরিবহণের জন্য কোল্ড-চেইন লজিস্টিক পরিষেবা গড়ে তোলা; 

    নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিপর্যয় প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

উল্লিখিত সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রে ভারত এবং জাপানের সংস্থাগুলি পরস্পরের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করবে। আমাদের লক্ষ্য হবে, সুস্থায়ী পরিকাঠামোর উন্নতির মাধ্যমে বিপর্যয়ের ঝুঁকি কমানো।

৪) পরবর্তী প্রজন্ম বাস্তুগত উত্তরাধিকার

আমরা ‘এক পৃথিবী, এক ভবিষ্যৎ’-এর ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে বদ্ধপরিকর। আমাদের লক্ষ্য হল, কার্বন নিঃসরণকে শূন্যে নামিয়ে আনা। 

    মিশন লাইফ-এর মাধ্যমে শক্তি সুরক্ষা, কম কার্বন নিঃসরণ, আর্থিক অগ্রগতি সুনিশ্চিত করা;

    ভারত-জাপান ক্লিন পার্টনারশিপের আওতায় শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে মজবুত করা;

    বর্জ্য থেকে শক্তি প্রযুক্তি, বর্জ্য পৃথকীকরণ ও পুনর্ব্যবহার পদ্ধতির মাধ্যমে সার্কুলার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। 

    সুস্থায়ী কৃষি ব্যবস্থা, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে জলবায়ু উপযোগী প্রযুক্তি, সামুদ্রিক ও উপকূলবর্তী পরিমণ্ডল রক্ষা, সুস্থায়ী অরণ্য ব্যবস্থাপনা এবং জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া;

    জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজম (জেসিএম), দ্য ইনিশিয়েটিভ অফ ক্লিন এনার্জি মবিলিটি অ্যান্ড ইনফ্রা ফর নেক্সট জেনারেশন (আইসিইএমএএন)-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং দূষণ হ্রাস।

৫) নেক্সট জেন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অংশীদারিত্ব

আমরা পরস্পরের বৈজ্ঞানিক ও প্রযু্ক্তিগত সক্ষমতাকে কাজে লাগানো এবং বিজ্ঞান গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেছি:

    কেইকে-তে ইন্ডিয়ান বিমলাইন, সুকুবা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং আগামী প্রজন্মের কম্পিউটার গবেষণার মাধ্যমে মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহযোগিতা;

    জাপান-ভারত স্টার্টআপ সহায়তা উদ্যোগ (জেআইএসএসআই)-এর মাধ্যমে  উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে স্টার্টআপ সহযোগিতা;

    এআই ক্ষেত্র সহ স্টার্টআপ সংস্থাগুলির জন্য তহবিল সংগ্রহ;

    যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর মাধ্যমে আইসিটি সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া;

    লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশনের মাধ্যমে মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা ও স্টার্টআপের অংশগ্রহণ;

    মিলেট সহ খাদ্য প্রযুক্তি ও কৃষি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা।

৬) নেক্সট জেন হেল্থ-এ বিনিয়োগ

চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণা সহযোগিতা, অতিমারী ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার মোকাবিলায় আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি সকলের জন্য সুলভে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করেছি।

    ভারতের আয়ুষ্মান ভারত এবং জাপানের এশিয়া স্বাস্থ্য ও সুস্থতা উদ্যোগের মধ্যে সহযোগিতাকে মজবুত করা হয়েছে;

    স্টেমসেল থেরাপি, জিন থেরাপি, সিন্থেটিক বায়োলজি, ক্যান্সার চিকিৎসা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা;

    ডাক্তারি প্রতিষ্ঠান এবং ডাক্তারদের জন্য ফেলোশিপ চালুর মাধ্যমে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত পেশাদারদের বিনিময়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া;

    যোগ, ধ্যান, আর্য়ুবেদ এবং সামগ্রিক সুস্থতার লক্ষ্যে জাপানে উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলা।

৭) নেক্সট জেন মানুষে মানুষে অংশীদারিত্ব

দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক যোগসূত্র এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনের কথা মাথায় রেখে আমরা আমাদের আর্থিক ও জনবিন্যাস সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে এগোচ্ছি:

    আগামী ৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে ৫ লক্ষের বেশি কর্মী বিনিময়। এর মধ্যে ৫০,০০০ দক্ষ কর্মী ও সম্ভাবনাময় মেধাকে ভারত থেকে জাপানে পাঠানো হবে। 

    ভারতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং জাপানে ভারতীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে;

    কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি, কর্মসংস্থানের সমীক্ষা এবং তথ্যের আদান-প্রদানের পাশাপাশি মেধার বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে;

    সাকুরা সায়েন্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, লোটাস কর্মসূচির মাধ্যমে গবেষক এবং পড়ুয়াদের বিনিয়ম ব্যবস্থাকে মজবুত করা হবে;

    জাপানি ভাষার শিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি সহায়তাও করা হবে;

৮) নেক্সট জেন রাজ্য-প্রিফেকচার অংশীদারিত্ব

ভারতীয় রাজ্য এবং জাপানের প্রিফেকচারগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মাথায় রেখে আমরা ভারত-জাপান অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আরও উপযোগী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থির করেছি :

    পারস্পরিক সম্পদের ভিত্তিতে নতুন সিস্টার-সিটি এবং স্টেট-প্রিফেকচারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া;

    ভারত ও জাপানের শহরগুলির মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ গড়ে তোলা;

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সহ ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বকে মজবুত করা;

    আঞ্চলিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভারত ও জাপানের মধ্যে আরও তথ্যের বিনিময়;

    দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রক সহ প্রতি বছর ৩টি করে সফরের আয়োজন।

বিগত ৮ দশক ধরে ভারত ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। 

এই নথিতে আমাদের পারস্পরিক ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে। তাঁর জাপান সফরকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় ইশিবা শিগেরু-র আমন্ত্রণে ২৯-৩০ অগাস্ট ২০২০৫-এ টোকিও-য় আয়োজিত বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi

Media Coverage

Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।