প্রশ্ন: পূর্ব ভারত এবং পশ্চিম ভারতে শিল্পায়নের মধ্যে বিরাট ফারাকের কথা আপনি বৈহু বার বলেছেন। আপনি কি এই ব্যবধান কমাতে পেরেছেন?

প্রধানমন্ত্রী: প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিশ্রমী মানুষ থাকা সত্ত্বেও সব থেকে দুঃখজনক বাস্তব হল, পূর্ব ভারত তার ক্ষমতা অনুযায়ী সাফল্য পায়নি। পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা যাক। ১৯৪৭ সালে দেশের শিল্প উৎপাদনের একটা বড় ভাগ পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসত। তার পরে একের পর এক সরকারের আমলে, তা লাগাতার কমেছে। দেশের বিভিন্ন অংশে যে সমস্যা বাসা বেঁধেছে, পশ্চিমবঙ্গ তার উপসর্গ। মূল সমস্যা দু'টি।

প্রথম সমস্যা হল, উন্নয়ন বিরোধী রাজনীতি। পশ্চাদমুখী রাজনৈতিক মতাদর্শের নামে, দশকের পর দশক ধরে, ক্ষমতাসীন লোকেরা উন্নয়ন বিরোধী রাজনীতি চালিয়েছেন। এতে শিল্পায়ন ও উদ্যোগমুখী কাজকর্মের যে দুর্দান্ত ইতিহাস ছিল, তার ক্ষয় হয়েছে। এবং এই উন্নয়নবিরোধী রাজনীতি তৃণমূলের জমানাতেও চলেছে।

দ্বিতীয় সমস্যা হল, প্রশাসনের খামতি। এটা প্রথম সমস্যার সরাসরি ফল। যেহেতু উন্নয়নের এবং সুশাসনের চিন্তাভাবনার ভিত্তিতে কোনও প্রতিযোগিতাই হয়নি, তাই গোটা অঞ্চলে সুশাসনের বড় ঘাটতি থেকে গিয়েছে। জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্যের, ব্যবসায় সহজ পরিবেশের, পরিকাঠামোর, বিদ্যুৎ থেকে প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মীর অভাবে এটা স্পষ্ট। এই অসাম্য কী ভাবে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি, তার ছোট্ট উদাহরণ দিই। আর্থিক বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুতের জোগান জরুরি। কিন্তু ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা এক হাজার দিনের মধ্যে মিশন মোডে কাজ করে ওই গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার গ্রাম ছিল পূর্ব ভারতে। সাত দশক ধরে এই গ্রামগুলি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আমরা সেখানে এক হাজার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। এতগুলো গ্রাম ও পরিবারে যখন বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, তখন আমরা আর্থিক কর্মকাণ্ডের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছি। পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের মধ্যে এই দিনের পর দিন ফারাক থেকে যাওয়া বরাবরই যথেষ্ট চিন্তার কারণ। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই অঞ্চলের প্রচুর উন্নতির সুযোগ ঢাকা পড়ে গিয়েছে। দশকের পর দশক ধরে, সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নতির পথ আটকে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার ৩৪ বছরে তা বিশেষ ভাবে প্রকট। এর ফলে শিল্পায়ন, বিনিয়োগের গতিরোধ হয়েছে। এমনকি, আজকের দিনেও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল রাজ্যের আর্থিক উন্নতির সুযোগের দিকে নজর দেওয়ার বদলে নির্দিষ্ট একটি পরিবারের স্বার্থরক্ষা ও তাদের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষায় ব্যস্ত বলে দেখা যাচ্ছে। যেমন, আমরা পশ্চিমবঙ্গে সড়ক, রেল, বন্দর পরিকাঠামো বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছি। যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়। তা হলে শিল্প আসবে। স্থানীয় কৃষকদের প্রয়োজনও মিটবে।

বিহারে আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে জোর দেওয়ায় মেগা ফুড পার্ক প্রকল্পের মাধ্যমে অত্যাধুনিক শিল্প তৈরি হয়েছে। আমাদের সরকার পূর্বাঞ্চলে পরিকাঠামোর উন্নতিতে বড় রকমের পদক্ষেপ করেছে। যেমন, পূর্ব উপকূল শিল্প করিডর গড়ে তোলা। ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে তা ছড়িয়ে রয়েছে। তার সঙ্গে অন্যান্য শিল্প করিডর রয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, রফতানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই করিডর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এই করিডরগুলি শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করবে। ফলে বিনিয়োগ বাড়বে। আর্থিক উন্নয়ন হবে।

প্রশ্ন: দেশে ভাল মানের কর্মসংস্থান করতে আপনি কী করবেন?

প্রধানমন্ত্রী: আমাদের দশ বছরের ট্র্যাক রেকর্ড দেখুন। আমরা সরকারি থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান করেছি। মহাকাশ ক্ষেত্র থেকে স্টার্টআপ-এ নতুন কাজের রাস্তা তৈরি হয়েছে। আগে এ সবের অস্তিত্ব ছিল না। বিভিন্ন ভাবে কর্মসংস্থান তৈরির কাজ হয়েছে। প্রথমত, আমরা দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণে বিপুল বিনিয়োগ করেছি। ১ কোটি ৩৭ লক্ষের বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এঁদের অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় শংসাপত্র পেয়েছেন। আজ গ্রামের মহিলাদের ড্রোন পাইলট হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ড্রোন দিদি হয়ে উঠেছেন। কৃষি ক্ষেত্রে তাঁরা ড্রোন কাজে লাগাচ্ছেন। যখন গোটা দেশের মানুষ নিজেদের দক্ষতা বাড়াচ্ছেন, তখন আরও বেশি অর্থপূর্ণ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে বাধ্য।

দ্বিতীয়ত, ভারত ‘কাটিং-এজ' প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পা রাখছে। যেখানে আমরা আগে সাহস দেখাইনি । উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎসাহভাতা বা প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভের জন্য এটা সম্ভব হচ্ছে। আগে ভারতে মোবাইল উৎপাদন প্রায় হতই না। দশ বছর আগে দেশে শতকরা ৯৮ ভাগ মোবাইল আমদানি করা হত। এখন ৯৯ শতাংশ মোবাইল দেশে তৈরি হচ্ছে। আমরা মোবাইলের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য রফতানিকারী হয়ে উঠেছি। গোটা বিশ্বে মোবাইল তৈরির ক্ষেত্রে দেশ দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি রেকর্ড ছুঁয়েছে। সেমিকনডাক্টর শিল্পের ক্ষেত্রে একই রকম সাফল্য পেতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তৃতীয়ত, ভারত গত দশ বছরে অভূতপূর্ব গতিতে বিশ্ব মানের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। বিমানবন্দরের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হোক, আরও বেশি শহরে মেট্রো রেল চালু করা হোক বা দ্রুত গতিতে হাইওয়ে তৈরি করা হোক, কোনও এলাকা যাতে পিছিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করছি। ভাল যোগাযোগের সুযোগ নতুন ব্যবসা ও শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে অনেক দরজা খুলে দেয়। আমরা পরিকাঠামোর উন্নতিতে ১০ লক্ষ কোটি টাকার ঐতিহাসিক বরাদ্দ করেছি। এই পরিকাঠামো তৈরির ফলে কর্মসংস্থান তৈরির সংখ্যাও বেড়েছে। চতুর্থত, নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের রোজগার মেলায় লক্ষ লক্ষ চাকরির নিয়োগপত্র বিলি করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলিও নির্দিষ্ট লক্ষ্য বেঁধে কাজ করছে।

এ সবের ফল দেখা যাচ্ছে। বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে জনসংখ্যার মধ্যে কর্মীদের ভাগ বেড়ে ৫৬ শতাংশ হয়েছে। বেকারত্বের হার ঐতিহাসিক ভাবে ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৭ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) ৬ কোটির বেশি নতুন কর্মী নাম লিখিয়েছেন। সংগঠিত ক্ষেত্রে কত কাজ তৈরি হয়েছে, এতেই বোঝা যায়।

প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে এবং পূর্ব ভারতে কর্মসংস্থানের জন্য আপনার পরিকল্পনা কী?

প্রধানমন্ত্রী: আর্থিক বৃদ্ধি, শিল্পোন্নয় ও উদ্যোগকে লালনপালন করাই আমার চিন্তার মূলে। এই রাজ্যের অব্যবহৃত ক্ষমতা বিপুল। এটা সম্ভব করতে হলে শুধু চিরাচরিত ক্ষেত্রের দিকে নজর দিলে হবে না। উঠতি শিল্পের দিকেও নজর দিতে হবে। শিল্প ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রেখে আমরা ব্যবসার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিতে চাই। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও রক্ষা করতে হবে। তা ছাড়া, পরিকাঠামো তৈরিতে জোর, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, পূর্ব উপকূল আর্থিক করিডরের মতো শিল্প করিডর তৈরির ফলে আরও বিনিয়োগ আসবে, ব্যবসায়িক লেনদেন বাড়বে, শিল্প বেড়ে ওঠার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে। তার ফলেও কাজের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা পূর্ব ভারতে সড়ক, রেল, বন্দর ও ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরিতে বিপুল বিনিয়োগ করছি। পূর্ব ভারত একসময় যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা পায়নি। অবশেষে এ সবের সুবিধা পাচ্ছে। আমি কৃষি, মৎস্য, বস্ত্র ও ক্ষুদ্র শিল্পের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ায় বিশ্বাসী। ছোট-মাঝারি শিল্প আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। আত্মনির্ভর ভারত, উৎপাদনে উৎসাহ ভাতার মতো প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোগপতিদের অনেক সাহায্য দশকের পর দশক ধরে, সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নতির পথ আটকে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার ৩৪ বছরে তা বিশেষ ভাবে প্রকট। এর ফলে শিল্পায়ন, বিনিয়োগের গতিরোধ হয়েছে। এমনকি, আজকের দিনে ও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল রাজ্যের আর্থিক উন্নতির সুযোগের দিকে নজর দেওয়ার বদলে নির্দিষ্ট একটি পরিবারের স্বার্থরক্ষা ও তাদের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষায় ব্যস্ত বলে দেখা যাচ্ছে। করছি। উদ্ভাবনে উৎসাহ দিচ্ছি। তৃণমূল স্তরে কর্মসংস্থান তৈরি করছি। পশ্চিমবঙ্গে ছোট ব্যবসায় শুধু ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী মুদ্ৰা যোজনায় ৩৮,৫০০ কোটি টাকার ঋণ বিলি করা হয়েছে।

প্রশ্ন: প্রথম পর্বের ভোটের পর আপনি মুসলিম, পাকিস্তান, মঙ্গলসূত্রের কথা বলে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করছেন বলে বিরোধীরা বলছেন। কী বলবেন?

প্রধানমন্ত্রী: অযৌক্তিক প্রশ্ন। কংগ্রেসের ইস্তাহারে বাড়াবাড়ি রকমের সাম্প্রদায়িক প্রতিশ্রুতি জায়গা করে নিয়েছে। সে জন্য সীমান্তপার থেকে কংগ্রেসের প্রশংসা পর্যন্ত করা হয়েছে। অথচ, বলা হচ্ছে আমি নাকি ভোটে মেরুকরণ করছি? আপনারাই বলুন, কোনও দলের ইস্তাহার কি কেবল নির্বাচনী ‘শো-পিস’? কোনও দলের ইস্তাহার দেশকে কোন পথে নিয়ে যেতে চাইছে তা কি সংবাদমাধ্যম মূল্যায়ন করে দেখবে না? যখন কংগ্রেসের ইস্তাহার এল তখন আমি অপেক্ষা করছিলাম যে সংবাদমাধ্যম ওই দলের বিস্ফোরক ভাবনাচিন্তাকে তুলে ধরবে। কিন্তু আমি কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলে তুলে ধরার পরে সংবাদমাধ্যমে সে দিকে নজর দেয়। কংগ্রেসের ইস্তাহার থেকে স্পষ্ট যে তারা ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের প্রস্তাব করেছে। যা সংবিধানের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না। এটি কংগ্রেসের সুপরিকল্পিত কৌশল, যা তারা রাজ্য স্তরে কয়েক দশক ধরে প্রয়োগ করে এসেছে। ১৯৯৫ সালে কর্নাটকে কংগ্রেস ওবিসিদের সংরক্ষণের একাংশ মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ করেছিল। তারপরে ২০০৪ সালে কংগ্রেস অন্ধ্রপ্রদেশে তফসিলি জাতি, জনজাতি ও ওবিসিদের সংরক্ষণ থেকে মুসলিমদের সংরক্ষণ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালতে সেই উদ্যোগ আটকে যায়। কংগ্রেসের ২০০৯ সালের ইস্তাহারেও এই মনোভাব একেবারে স্পষ্ট ছিল। কংগ্রেস জাতীয় স্তরে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ চালু করতে চেয়েছিল। এখন কর্নাটকে রাতারাতি কংগ্রেস গোটা মুসলিম সমাজকে ওবিসি বলে ঘোষণা করেছে। যা ওবিসিদের অধিকারের প্রকাশ্য লুট। তেমনি সম্পদ বণ্টন করে দেওয়ার যে প্রস্তাব কংগ্রেস রেখেছে, সেটিও সমভাবে বিপজ্জনক। কংগ্রেসের

শাহজাদা আমজনতার সম্পদের এক্স-রে করতে চাইছেন। এ দেশে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সম্পদ গচ্ছিত রাখার প্রথা রয়েছে। এখন কংগ্রেসের নজর সেই মা-বোনেদের সম্পদের উপরে গিয়ে পড়েছে। যদি আপনার পরিবার ক্রমবর্ধমান হয় এবং আপনার যদি গ্রামে একটি বাড়ি ও কর্মক্ষেত্র যে শহরে সেখানে আর একটি বাড়ি থাকে, তা হলে কংগ্রেস একটি বাড়ি কেড়ে নিয়ে তা ভোট ব্যাঙ্ককে বিলিয়ে দেবে। মোদী মোটেই পাকিস্তানকে এই নির্বাচনে টেনে আনেনি। বরং কংগ্রেস পাকিস্তানের এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে জরুরি বার্তা পাঠালে তিনি কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ খোলেন। এখানেই শেষ নয়।  গত কয়েক দিনে জঘন্য রাজনীতির সাক্ষী থাকতে হয়েছে। কংগ্রেসের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়ে উল্টে সেনাকেই দোষী ঠাউরেছেন। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের এক নেতা ২৬/১১ মুম্বই হামলায় পুলিশের মৃত্যুর জন্য হিন্দুদের দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের এক অন্যতম শরিক দলের নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান চুড়ি পরে বসে নেই। আমি শাহজাদার কাছে জানতে চাই, এ ধরনের মন্তব্যের উদ্দেশ্য কী। কেন পাকিস্তানের প্রতি এত ভালবাসা আর দেশের সেনার প্রতি ঘৃণা?

প্রশ্ন: বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে অপব্যবহার করা এবং বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা নেতাদের নেওয়ায় ওয়াশিং মেশিন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আপনি কি মনে করেন না যে এর ফলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত ব্যাহত হচ্ছে?

প্রধানমন্ত্রী: দুর্নীতিকে এত হাল্কা করে দেখাবেন না। রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতিতে জড়াতে দেখে সাধারণ মানুষ খুবই ক্রুদ্ধ। ঝাড়খণ্ডের সাম্প্রতিক ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি ঠিক পথেই এগোচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে গাদা গাদা টাকা উদ্ধার হয়েছে, এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। শুধু বিরোধী দলের বলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তৃণমূল নেতারা তো সব ধরনের অপরাধ করেছে, তাদের জবাব দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় সংস্থার রাজনৈতিক অপব্যবহারের অভিযোগও ভিত্তিহীন। ইডি যে সব দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে, তাঁদের মাত্র তিন শতাংশ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাকি ৯৭ শতাংশ ক্রিমিনাল এবং কিছু আধিকারিক। ব্যবস্থা তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে তদন্তের অভিযোগ টেকে না। আমার তো মনে হয় অপব্যবহারের উদ্বেগের বদলে নিজেদের কেলেঙ্কারি ধরা পড়া এবং গ্রেফতারের ভয় থেকে এ সব বলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা আইন মেনে কাজ করছে এবং তাদের তা করতে দেওয়া হোক।

প্রশ্ন: বিজেপিবিরোধী দলশাসিত দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জেলে। এতে তো বিরোধীরা সহানুভূতি পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী: আমি তো এই প্রশ্নের যুক্তিই কিছু বুঝলাম না । যাঁরা দুর্নীতির জন্য জেলে, তাঁরা সহানুভূতি কেন পাবেন? মানুষ তাঁদের উপর ক্রুদ্ধ। মানুষ নেতাদের প্রশ্ন করছে, তাঁরা যদি দোষী না-ই হন, তা হলে সমনে সাড়া দেননি কেন? কেন তাঁরা পালাতে চেয়েছেন? কী লুকোচ্ছেন তাঁরা? সংবাদমাধ্যমের বরং মানুষকে জানানো উচিত, এই নেতাদের কেলেঙ্কারি সম্পর্কে আদালত কত কঠোর মন্তব্য করেছে। আমার বিশ্বাস, পদ, দল নির্বিশেষে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিচার হওয়া উচিত, মানুষ এটা বোঝেন। এ-ও বোঝেন যে এনডিএ দুর্নীতি নির্মূল করতে চায়, আর ইন্ডি জোট দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাতে চায় ।

প্রশ্ন: রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যাননি বলে বিরোধীদের দোষারোপ করছেন কেন?

প্রধানমন্ত্রী: শ্রীরামের জীবন এতই বড় এবং ভারতের সামগ্রিক স্মৃতিতে তা এতই প্রোথিত যে তা প্রত্যেক ভারতীয়ের হৃদয় স্পর্শ করেছে। তিনি প্রত্যেকের ভগবান রাম । রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা ভারতীয় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, ৫০০ বছর তপস্যা, আত্মত্যাগ এবং ধৈর্যের পর কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন সফল হতে দেখছি। রামমন্দির ট্রাস্টের সদস্যরা উদার মনোভাব দেখিয়েছেন। মতভেদ সরিয়ে রেখে তাঁরা সব বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু বিরোধী নেতারা ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতিতে এত নিমগ্ন যে তাঁরা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। যদিও মুসলিমদের তরফে আবেদনকারী ইকবাল আনসারি, যিনি জীবনভর এই মামলা লড়েছেন, অসামান্য সৌজন্য দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েছেন এবং এই অনুষ্ঠানে গিয়েছেন।

প্রশ্ন: সন্দেশখালি কি আপনার দলের জন্য শুধুই নির্বাচনী গিমিক না অভিযোগকারিণীরা সুবিচার পাবেন?

প্রধানমন্ত্রী: আমরা সন্দেশখালির লড়াই রাস্তা থেকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গিয়েছি। সন্দেশখালির অত্যাচারিতদের ন্যায়বিচার দিতে আমরা দায়বদ্ধ। সিবিআই তদন্ত করছে, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমি নিজে সন্দেশখালির কয়েক জন অত্যাচারিতের সঙ্গে দেখা করেছি। শুনেছি তাঁদের কী ভয়ঙ্কর অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। সারা দেশ দেখেছে, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন কী ভাবে দোষীদের আড়াল করতে চেয়েছে। অত্যাচারিতদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমাদের প্রার্থী রেখা পাত্র অন্যদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা তাঁদের পাশে আছি, এই বার্তাই আমরা রেখাকে প্রার্থী করে দিতে চেয়েছি।

প্রশ্ন: লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আপনার আশা?

প্রধানমন্ত্রী:পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বদল চান। এক দশক আগেও আমাদের নামমাত্র উপস্থিতি ছিল সেখানে। আর আজ যদি দেখেন, বোঝাই যাচ্ছে, মানুষ আমাদের কত বিশ্বাস করেন। আমরা আত্মবিশ্বাসী, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে আমাদের বৃহত্তম দল হতে সাহায্য করবেন। তোষণের রাজনীতি থেকে বদল চান পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। মনে হচ্ছে, তাঁরা দুর্নীতিমুক্ত, কার্যকর প্রশাসন বলতে কী বোঝায়, তা দেখানোর সুযোগ আমাদের দিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ সোনার বাংলা চায়, আমরা তা দিয়ে দেখাব।

প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গের জন্য মোদীর গ্যারান্টি?

প্রধানমন্ত্রী: পশ্চিমবঙ্গের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা, বিশ্বে বাঙালির হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনা, যুবসমাজের জন্য উন্নয়ন এবং সুযোগ তৈরি করা, বিকশিত বঙ্গ, দুর্নীতিমুক্ত পশ্চিমবঙ্গ। আমাদের অন্নদাতারা আমাদের অগ্রাধিকার। ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য আরও সুবিধা, মৎস্যজীবীদের সুবিধা, গুচ্ছ শিল্প তৈরি, কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করা— পশ্চিমবঙ্গে প্রকৃত পরিবর্তন আনাই মোদীর গ্যারান্টি। আমাদের সঙ্কল্পপত্রে পশ্চিমবঙ্গের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রূপরেখা রয়েছে।

প্রশ্ন: তৃণমূল বিজেপিকে হিন্দি বলয়ের দল বলে অভিহিত করে। পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে এর মোকাবিলা করতে পারবেন?

প্রধানমন্ত্রী: এটা তো খুবই সঙ্কীর্ণ ভাবনা, তৃণমূলই এমন ভাবতে পারে। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তো পশ্চিমবঙ্গেরই, বিশেষত আধুনিক পশ্চিমবঙ্গ গঠনে তাঁর অবদান কেউ অস্বীকার করতে
জড়িয়ে রয়েছেন, পনজি স্কিম, রেশন কেলেঙ্কারি, পারে না। পশ্চিমবঙ্গেই জন্ম-কর্ম, নিয়োগ কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, এমনকি গরু পাচার কেলেঙ্কারি। সারা দেশ দেখেছে, যখন তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতাকে ইডি গ্রেফতার করেছে, তখন সোনা ও টাকা টয়লেট, পাইপ, ঘর—কোথা থেকে বেরোয়নি? যেখানে তাকানো যায়, লুটের চিহ্ন। বিজেপিতে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত বা মামলাও বন্ধ করা হয়নি। কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে রয়েছেন, পনজি স্কিম, রেশন কেলেঙ্কারি, নিয়োগ কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, এমনকি গরু পাচার কেলেঙ্কারি। প্রতিটি কেলেঙ্কারি কোটি কোটি টাকার। সারা দেশ দেখেছে, যখন তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতাকে ইডি গ্রেফতার করেছে, তখন সোনা ও টাকা টয়লেট, পাইপ, ঘর—কোথা থেকে বেরোয়নি? যেখানে তাকানো যায়, লুটের চিহ্ন। বিজেপিতে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত বা মামলাও বন্ধ করা হয়নি। প্রতিটি কেস চলছে এবং ন্যায় বিচারে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যারা আর্থিক আমাদের গণতন্ত্রকেই ধাক্কা দিচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী: এই ধরনের ধারণা কোথাও নেই। আমাদের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বিশেষত নির্বাচন কমিশনের উপর দেশের মানুষের অগাধ আস্থা আছে। একটা পরাজিত জোটের মিথ্যে অপবাদে তা টলে যাবে না। কংগ্রেস হারবে বুঝতে পারলেই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মানুষ হাসে এ সব কথায়। কারণ, কংগ্রেস যখন কর্নাটক এবং তেলঙ্গানায় জিতেছিল, এই কমিশনই তো নির্বাচন পরিচালনা করেছিল। এটাও হাস্যকর যে, কংগ্রেস কী ভাবে ব্যালট পেপারের মতো প্রাচীন এমন দুর্দান্ত কার্যকর্তা এবং নেতারা আমাদের দলে রয়েছেন। হিংসার শিকার হয়েও আমাদের কার্যকর্তারা মানুষের সেবায় নিয়োজিত।

পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিমঙ্গের মানুষকে ভাল না বাসলে তাঁরা এত ঝুঁকি নিতেন? বিরোধীরা অনেক কিছু বলবেন, তবে আগেও তাঁরা সফল হননি। আমাদের বলা হয় উত্তর ভারতের দল, কিন্তু অন্য দলগুলির তুলনায় দক্ষিণ ভারত থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশি সাংসদ। উত্তরপূর্ব ভারতে কয়েকটি রাজ্যে আমাদের সরকার রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় আমাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই সব রাজ্যেও শীঘ্রই আমরা ক্ষমতায় আসব। ওঁরা এটাও বলেন, বিজেপি হাতেগোনা কয়েকটি সম্প্রদায়ের। বাস্তব হল, তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি সাংসদ ও বিধায়কেরা আমাদের দলে সবচেয়ে বেশি। বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব আমাদের কার্যকর্তারা কাজে দেবেন। তৃণমূলের তরফে সাধারণ মানুষকে বিভাজন এবং ভুল তথ্য দেওয়ার কৌশল নতুন নয় । অপশাসন থেকে নজর ঘোরাতে তারা মানুষকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করে।

Following is the clipping of the interview:

Explore More
78-ാം സ്വാതന്ത്ര്യ ദിനത്തില്‍ ചുവപ്പ് കോട്ടയില്‍ നിന്ന് പ്രധാനമന്ത്രി ശ്രീ നരേന്ദ്ര മോദി നടത്തിയ പ്രസംഗം

ജനപ്രിയ പ്രസംഗങ്ങൾ

78-ാം സ്വാതന്ത്ര്യ ദിനത്തില്‍ ചുവപ്പ് കോട്ടയില്‍ നിന്ന് പ്രധാനമന്ത്രി ശ്രീ നരേന്ദ്ര മോദി നടത്തിയ പ്രസംഗം
FDI inflows into India cross $1 trillion, establishes country as key investment destination

Media Coverage

FDI inflows into India cross $1 trillion, establishes country as key investment destination
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the inauguration of Rising Rajasthan Global Investment Summit 2024 in Jaipur, Rajasthan
December 09, 2024
Rajasthan is emerging as a prime destination for investment, driven by its skilled workforce and expanding market: PM Modi
Experts and investors around the world are excited about India: PM Modi
India's success showcases the true power of democracy, demography, digital data and delivery: PM Modi
This century is tech-driven and data-driven: PM Modi
India has demonstrated how the democratisation of digital technology is benefiting every sector and community: PM Modi
Rajasthan is not only Rising but it is reliable also, Rajasthan is Receptive and knows how to refine itself with time: PM Modi
Having a strong manufacturing base in India is crucial: PM Modi
India's MSMEs are not only strengthening the Indian economy but are also playing a significant role in empowering the global supply and value chains: PM Modi

राजस्थान के राज्यपाल श्री हरिभाऊ बागड़े जी, यहां के लोकप्रिय मुख्यमंत्री श्री भजनलाल जी शर्मा, राजस्थान सरकार के मंत्रिगण, सांसदगण, विधायकगण, इंडस्ट्री के साथी, विभिन्न ऐंबेसेडेर्स, दूतावासों के प्रतिनिधि, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

राजस्थान की विकास यात्रा में, आज एक और अहम दिन है। देश और दुनिया से बड़ी संख्या में डेलीगेट्स, इन्वेस्टर्स यहां पिंक सिटी में पधारे हैं। यहां उद्योग जगत के भी अनेक साथी मौजूद हैं। राइजिंग राजस्थान समिट में आप सभी का अभिनंदन है। मैं राजस्थान की बीजेपी सरकार को इस शानदार आय़ोजन के लिए बधाई दूंगा।

साथियों,

आज दुनिया का हर एक्सपर्ट, हर इन्वेस्टर भारत को लेकर बहुत ही उत्साहित है। Reform-Perform-Transform के मंत्र पर चलते हुए, भारत ने जो विकास किया है, वो हर क्षेत्र में नजर आता है। आजादी के बाद के 7 दशक में भारत दुनिया की ग्यारहवीं सबसे बड़ी इकोनॉमी बन पाया था। उसके सामने पिछले 10 वर्ष में भारत 10th largest economy से 5th largest इकोनॉमी बना है। बीते 10 वर्षों में भारत ने अपनी इकोनॉमी का साइज़ करीब-करीब डबल किया है। बीते 10 वर्षों में भारत का एक्सपोर्ट भी करीब-करीब डबल हो गया है। 2014 से पहले के दशक की तुलना में बीते दशक में FDI भी दोगुना से अधिक हुआ है। इस दौरान भारत ने इंफ्रास्ट्रक्चर का खर्च करीब 2 ट्रिलियन रुपए से बढ़ाकर 11 ट्रिलियन तक पहुंचा दिया है।

साथियों,

डेमोक्रेसी, डेमोग्राफी, डिजिटल डेटा और डिलिवरी की पावर क्या होती है, ये भारत की सफलता से पता चलता है। भारत जैसे डायवर्स देश में, डेमोक्रेसी इतनी फल-फूल रही है, इतनी सशक्त हो रही है, ये अपने आप में बहुत बड़ी उपलब्धि है। डेमोक्रेटिक रहते हुए, मानवता का कल्याण, ये भारत की फिलॉसॉफी के कोर में है, ये भारत का मूल चरित्र है। आज भारत की जनता, अपने डेमोक्रेटिक हक के माध्यम से भारत में स्टेबल गवर्नमेंट के लिए वोट दे रही है।

साथियों,

भारत के इन पुरातन संस्कारों को हमारी डेमोग्राफी यानि युवाशक्ति आगे बढ़ा रही है। आने वाले अनेक सालों तक भारत दुनिया के सबसे युवा देशों में रहने वाला है। भारत में युवाओं का सबसे बड़ा पूल होने के साथ ही सबसे बड़ा स्किल्ड युवा वर्ग भी होगा। इसके लिए सरकार, एक के बाद एक कई फैसले ले रही है।

साथियों,

बीते दशक में भारत की युवाशक्ति ने अपने सामर्थ्य में एक और आयाम जोड़ा है। ये नया आयाम है, भारत की टेक पावर, भारत की डेटा पावर। आप सभी जानते हैं कि आज हर सेक्टर में टेक्नोलॉजी का, डेटा का कितना महत्व है। ये सदी टेक ड्रिवन, डेटा ड्रिवेन सदी है। बीते दशक में भारत में इंटरनेट यूजर्स की संख्या करीब 4 गुना बढ़ी है। डिजिटल ट्रांजेक्शन्स में तो नए रिकॉर्ड बन रहे हैं, और ये तो अभी शुरुआत है। भारत, दुनिया को डेमोक्रेसी, डेमोग्राफी और डेटा की असली ताकत दिखा रहा है। भारत ने दिखाया है कि कैसे डिजिटल टेक्नोलॉजी का डेमोक्रेटाइजेशन, हर क्षेत्र, हर वर्ग को फायदा पहुंचा रहा है। भारत का UPI, भारत का बेनिफिट ट्रांसफर स्कीम सिस्टम, GeM, गवर्नमेंट ई-मार्केट प्लेस, ONDC- Open Network for Digital Commerce, ऐसे कितने ही प्लेटफॉर्म्स हैं, जो डिजिटल इकोसिस्टम की ताकत को दिखाते हैं। इसका बहुत बड़ा लाभ, और बहुत बड़ा प्रभाव हम यहां राजस्थान में भी देखने जा रहे हैं। मेरा हमेशा से विश्वास रहा है- राज्य के विकास से देश का विकास। जब राजस्थान विकास की नई ऊंचाई पर पहुंचेगा तो देश को भी नई ऊंचाई मिलेगी।

साथियों,

क्षेत्रफल के हिसाब से राजस्थान, भारत का सबसे बड़ा राज्य है। और राजस्थान के लोगों का दिल भी उतना ही बड़ा है। यहां के लोगों का परिश्रम, उनकी ईमानदारी, कठिन से कठिन लक्ष्य को पाने की इच्छाशक्ति, राष्ट्र प्रथम को सर्वोपरि रखने की भावना, देश के लिए कुछ भी कर गुजरने की प्रेरणा, ये आपको राजस्थान की रज-रज में, कण-कण में दिखाई देती है। आजादी के बाद की सरकारों की प्राथमिकता, ना देश का विकास था, औऱ ना ही देश की विरासत। इसका बहुत बड़ा राजस्थान नुकसान उठा चुका है। लेकिन आज हमारी सरकार विकास भी, विरासत भी इस मंत्र पर चल रही है। औऱ इसका बहुत बड़ा लाभ राजस्थान को हो रहा है।

साथियों,

राजस्थान, राइजिंग तो है ही, Reliable भी है। राजस्थान Receptive भी है और समय के साथ खुद को Refine करना भी जानता है। चुनौतियों से टकराने का नाम है- राजस्थान, नए अवसरों को बनाने का नाम है- राजस्थान। राजस्थान के इस R-Factor में अब एक और पहलू जुड़ चुका है। राजस्थान के लोगों ने यहां भारी बहुमत से बीजेपी की Responsive और Reformist सरकार बनाई है। बहुत ही कम समय में यहां भजन लाल जी और उनकी पूरी टीम ने शानदार काम करके दिखाया है। कुछ ही दिन में राज्य सरकार अपने एक साल भी पूरे करने जा रहा है। भजन लाल जी जिस कुशलता और प्रतिबद्धता के साथ राजस्थान के तेज़ विकास में जुटे हैं, वो प्रशंसनीय है। गरीब कल्याण हो, किसान कल्याण हो, युवाओं के लिए नए अवसरों का निर्माण हो, सड़क, बिजली, पानी के काम हों, राजस्थान में हर प्रकार के विकास, उससे जुड़े हुए सारे कार्य तेज़ी से हो रहे हैं। क्राइम और करप्शन को कंट्रोल करने में जो तत्परता यहां सरकार दिखा रही है, उससे नागरिकों और निवेशकों में नया उत्साह आया है।

साथियों,

राजस्थान के Rise को औऱ ज्यादा फील करने के लिए राजस्थान के Real potential को Realise करना बहुत जरूरी है। राजस्थान के पास natural resources का भंडार है। राजस्थान के पास आधुनिक कनेक्टिविटी का नेटवर्क है, एक समृद्ध विरासत है, एक बहुत बड़ा लैंडमास है और बहुत ही समर्थ युवा शक्ति भी है। यानि रोड से लेकर रेलवेज तक, हॉस्पिटैलिटी से हैंडीक्राफ्ट तक, फार्म से लेकर फोर्ट तक राजस्थान के पास बहुत कुछ है। राजस्थान का ये सामर्थ्य, राज्य को इन्वेस्टमेंट के लिए बहुत ही attractive destination बनाता है। राजस्थान की एक और विशेषता है। राजस्थान में सीखने का गुण है, अपना सामर्थ्य बढ़ाने का गुण है। और इसीलिए तो अब यहाँ रेतीले धोरों में भी पेड़, फलों से लद रहे हैं, जैतून और जेट्रोपा की खेती का काम बढ़ रहा है। जयपुर की ब्लू पॉटरी, प्रतापगढ़ की थेवा ज्वेलरी और भीलवाड़ा का टेक्सटाइल इनोवेशन...इनकी अलग ही शान है। मकराना के मार्बल और कोटा डोरिया की पूरी दुनिया में पहचान है। नागौर में, नागौर के पान मेथी की खुशबू भी निराली है। और आज की बीजेपी सरकार, हर जिले के सामर्थ्य को पहचानते हुए काम कर रही है।

साथियों,

आप भी जानते हैं भारत के खनिज भंडार का बहुत बड़ा हिस्सा राजस्थान में है। यहां जिंक, लेड, कॉपर, मार्बल, लाइमस्टोन, ग्रेनाइट, पोटाश जैसे अनेक मिनरल्स के भंडार हैं। ये आत्मनिर्भर भारत की मजबूत नींव हैं। राजस्थान, भारत की एनर्जी सिक्योरिटी में बहुत बड़ा कंट्रीब्यूटर है। भारत ने इस दशक के अंत तक 500 गीगावॉट रीन्युएबल एनर्जी कैपेसिटी बनाने का टारगेट रखा है। इसमें भी राजस्थान बहुत बड़ी भूमिका निभा रहा है। भारत के सबसे बड़े सोलर पार्क्स में से अनेक पार्क यहां पर बन रहे हैं।

साथियों,

राजस्थान, दिल्ली और मुंबई जैसे economy के दो बड़े सेंटर्स को जोड़ता है। राजस्थान, महाराष्ट्र और गुजरात के पोर्ट्स को, नॉर्दन इंडिया से जोड़ता है। आप देखिए दिल्ली-मुंबई इंडस्ट्रियल कॉरिडोर का 250 किलोमीटर हिस्सा राजस्थान में है। इससे राजस्थान के अलवर, भरतपुर, दौसा, सवाई माधोपुर, टोंक, बूंदी और कोटा ऐसे जिलों को बहुत फायदा होगा। Dedicated freight corridor जैसे आधुनिक रेल नेटवर्क का 300 किलोमीटर हिस्सा राजस्थान में है। ये कॉरिडोर, जयपुर, अजमेर, सीकर, नागौर और अलवर जिलों से होकर गुजरता है। कनेक्टिविटी के इतने बड़े प्रोजेक्ट्स का सेंटर होने के कारण राजस्थान निवेश के लिए बेहतरीन डेस्टिनेशन है। खासतौर पर ड्राय पोर्ट्स और लॉजिस्टिक्स सेक्टर के लिए तो यहां अपार संभावनाएं हैं। हम यहाँ मल्टी मॉडल लॉजिस्टिक पार्क का विकास कर रहे हैं। यहां लगभग दो दर्जन Sector Specific इंडस्ट्रियल पार्क बनाए जा रहे हैं। दो एयर कार्गो कॉम्प्लेक्स का निर्माण भी हुआ है। इससे राजस्थान में इंडस्ट्री लगाना आसान होगा, इंडस्ट्रियल कनेक्टिविटी और बेहतर होगी।

साथियों,

भारत के समृद्ध फ्यूचर में हम टूरिज्म का बहुत बड़ा पोटेंशियल देख रहे हैं। भारत में नेचर, कल्चर, एडवेंचर, कॉन्फ्रेंस, डेस्टिनेशन वेडिंग और हैरिटेज टूरिज्म सबके लिए असीम संभावनाएं हैं। राजस्थान, भारत के टूरिज्म मैप का प्रमुख केंद्र है। यहां इतिहास भी है, धरोहरें भी हैं, विशाल मरुभूमि और सुंदर झीलें भी हैं। यहां के गीत-संगीत और खान-पान उसके लिए तो जितना कहे, उतना कम है। Tour, Travel और Hospitality Sector को जो चाहिए, वो सब राजस्थान में है। राजस्थान दुनिया के उन चुनिंदा स्थानों में से एक है, जहां लोग शादी-ब्याह जैसे जीवन के पलों को यादगार बनाने के लिए राजस्थान आना चाहते हैं। राजस्थान में wild life tourism का भी बहुत अधिक स्कोप है। रणथंभौर हो, सरिस्का हो, मुकुंदरा हिल्स हो, केवलादेव हो ऐसे अनेक स्थान हैं, जो वाइल्ड लाइफ को पसंद करने वालों के लिए स्वर्ग हैं। मुझे खुशी है कि राजस्थान सरकार अपने टूरिस्ट डेस्टिनेशन्स, हैरिटेज सेंटर्स को बेहतर कनेक्टिविटी से जोड़ रही है। भारत सरकार ने लगभग अलग-अलग थीम सर्किट्स से जुड़ी योजनाएं भी शुरू की हैं। 2004 से 2014 के बीच, 10 साल में भारत में 5 करोड़ के आस-पास विदेशी टूरिस्ट आए थे। जबकि, 2014 से 2024 के बीच भारत में 7 करोड़ से ज्यादा विदेशी टूरिस्ट आए हैं, और आप ध्यान दीजिए, इन 10 वर्षों में पूरी दुनिया के तीन-चार साल तो कोरोना से लड़ने में निकल गए थे। कोरोना काल में टूरिज्म ठप्प पड़ा था। इसके बावजूद, भारत में आने वाले टूरिस्ट्स की संख्या इतनी ज्यादा बढ़ी है। भारत ने अनेक देशों के टूरिस्ट्स को ई-वीजा की जो सुविधा दी है, उससे विदेशी मेहमानों को बहुत मदद मिल रही है। भारत में आज डोमेस्टिक टूरिज्म भी नए रिकॉर्ड बना रहा है, उड़ान योजना हो, वंदे भारत ट्रेने हों, प्रसाद स्कीम हो, इन सभी का लाभ राजस्थान को मिल रहा है। भारत के वाइब्रेंट विलेज जैसे कार्यक्रमों से भी राजस्थान को बहुत फायदा हो रहा है। मैंने देशवासियों से वेड इन इंडिया का आह्वान किया है। इसका फायदा भी राजस्थान को होना तय है। राजस्थान में हेरिटेज टूरिज्म, फिल्म टूरिज्म, इको टूरिज्म, रूरल टूरिज्म, बॉर्डर एरिया टूरिज्म इसे बढ़ाने की अथाह संभावनाएं हैं। इन क्षेत्रों में आपका निवेश, राजस्थान के टूरिज्म सेक्टर को ताकत देगा और आपका बिजनेस भी बढ़ाएगा।

साथियों,

आप सभी ग्लोबल सप्लाई और वैल्यू चेन से जुड़ी चुनौतियों से परिचित हैं। आज दुनिया को एक ऐसी अर्थव्यवस्था की ज़रूरत है, जो बड़े से बड़े संकट के दौरान भी मजबूती से चलती रहे, उसमें रुकावटें ना आए। इसके लिए भारत में व्यापक मैन्युफेक्चरिंग बेस का होना बहुत ज़रूरी है। ये सिर्फ भारत के लिए ही नहीं, बल्कि दुनिया की इकोनॉमी के लिए भी आवश्यक है। अपने इसी दायित्व को समझते हुए, भारत ने मैन्युफेक्चरिंग में आत्मनिर्भरता का एक बहुत बड़ा संकल्प लिया है। भारत, अपने मेक इन इंडिया प्रोग्राम के तहत low cost manufacturing पर बल दे रहा है। भारत के पेट्रोलियम प्रोडक्ट्स, भारत की दवाएं और वैक्सीन्स, भारत का इलेट्रॉनिक्स सामान इसमें भारत की रिकॉर्ड मैन्युफेक्चरिंग से दुनिया को बहुत बड़ा फायदा हो रहा है। राजस्थान से भी बीते वर्ष, करीब-करीब चौरासी हज़ार करोड़ रुपए का एक्सपोर्ट हुआ है, 84 thousand crore rupees। इसमें इंजीनियरिंग गुड्स, जेम्स और ज्वेलरी, टेक्सटाइल्स, हैंडीक्राफ्ट्स, एग्रो फूड प्रोडक्ट्स शामिल हैं।

साथियों,

भारत में मैन्युफेक्चरिंग बढ़ाने में PLI स्कीम का रोल भी लगातार बढ़ता जा रहा है। आज Electronics, Speciality Steel, Automobiles और auto components, Solar PVs, Pharmaceutical drugs...इन सेक्टर्स में बहुत अधिक उत्साह है। PLI स्कीम के कारण करीब सवा लाख करोड़ रुपए का इंवेस्टमेंट आया है, करीब 11 लाख करोड़ रुपए के प्रॉडक्ट बने हैं और एक्सपोर्ट्स में 4 लाख करोड़ रुपए की बढ़ोतरी हुई है। लाखों युवाओं को नए रोजगार भी मिले हैं। यहां राजस्थान में भी ऑटोमोटिव और ऑटो कॉम्पोनेंट इंडस्ट्री का अच्छा बेस तैयार हो चुका है। यहां इलेक्ट्रिक व्हीकल मैन्युफेक्चरिंग के लिए बहुत संभावनाएं हैं। इलेक्ट्रॉनिक्स मैन्युफेक्चरिंग के लिए भी जो ज़रूरी इंफ्रास्ट्रक्चर की जरूरत है, वो भी राजस्थान में उपलब्ध है। मैं सभी निवेशकों से आग्रह करूंगा, इन्वेस्टर्स से आग्रह करूंगा, राजस्थान के मैन्युफेक्चरिंग पोटेंशियल को भी ज़रूर एक्सप्लोर करें।

साथियों,

राइजिंग राजस्थान की बहुत बड़ी ताकत है- MSMEs.. MSMEs के मामले में राजस्थान, भारत के टॉप 5 राज्यों में से एक है। यहां इस समिट में MSMEs पर अलग से एक कॉन्क्लेव भी होने जा रहा है। राजस्थान के 27 लाख से ज्यादा छोटे और लघु उद्योग, लघु उद्योगों में काम करने वाले 50 लाख से ज्यादा लोग, राजस्थान के भाग्य को बदलने का सामर्थ्य रखते हैं। मुझे खुशी है कि राजस्थान में नई सरकार बनते ही कुछ ही समय में नई MSMEs पॉलिसी लेकर आ गई। भारत सरकार भी अपनी नीतियों और निर्णयों से MSMEs को लगातार मजबूत कर रही है। भारत के MSMEs सिर्फ भारत ही नहीं, बल्कि ग्लोबल सप्लाई और वैल्यू चेन को सशक्त करने में बड़ी भूमिका निभा रहे हैं। हमने कोरोना के दौरान देखा जब दुनिया में फार्मा से जुड़ी सप्लाई चेन क्राइसिस में आई गई तो भारत के फार्मा सेक्टर ने दुनिया की मदद की। ये इसलिए संभव हुआ क्योंकि भारत का फार्मा सेक्टर बहुत मजबूत है। ऐसे ही हमें भारत को बाकी प्रोडक्ट्स की मैन्युफेक्चरिंग का बहुत स्ट्रॉन्ग बेस बनाना है। और इसमें हमारे MSMEs का बड़ा रोल होने जा रहा है।

साथियों,

हमारी सरकार ने MSMEs की परिभाषा बदली है, ताकि उन्हें ग्रोथ के और अधिक अवसर मिल सकें। केंद्र सरकार ने करीब 5 करोड़ MSMEs को formal economy से जोड़ा है। इससे इन उद्योगों के लिए access to credit आसान हुआ है। हमने एक क्रेडिट गारंटी लिंक्स स्कीम भी बनाई है। इसके तहत छोटे उद्योगों को करीब 7 लाख करोड़ रुपए की मदद दी गई है। बीते दशक में MSMEs के लिए क्रेडिट फ्लो, दो गुना से अधिक बढ़ चुका है। साल 2014 में जहां ये करीब 10 लाख करोड़ रुपए होता था, आज ये 22 लाख करोड़ रुपए से ऊपर जा चुका है। इसका राजस्थान भी बहुत बड़ा लाभार्थी रहा है। MSMEs की ये बढ़ती ताकत, राजस्थान के विकास को एक नई ऊंचाई पर ले जाएगी।

साथियों,

हम आत्मनिर्भर भारत के नए सफर पर चल चुके हैं। आत्मनिर्भर भारत का अभियान, ये विजन ग्लोबल है और उसका इंपैक्ट भी ग्लोबल है। सरकार के स्तर पर हम, whole of the Government approach के साथ आगे बढ़ रहे हैं। इंडस्ट्रियल ग्रोथ के लिए भी हम हर सेक्टर, हर फैक्टर को एक साथ बढ़ावा दे रहे हैं। मुझे पूरा भरोसा है कि सबका प्रयास की यही भावना, विकसित राजस्थान बनाएगी, विकसित भारत बनाएगी।

साथियों,

यहां देश और दुनिया से अनेक डेलीगेट्स आए हैं, बहुत सारे साथियों की ये पहली भारत यात्रा होगी, हो सकता है राजस्थान की भी उनकी पहली यात्रा हो। आखिरी में, मैं यही कहूंगा, स्वदेश लौटने से पहले आप राजस्थान को, भारत को ज़रूर एक्सप्लोर करें। राजस्थान के रंग-बिरंगे बाज़ारों का शॉपिंग एक्सपीरियंस, यहां के लोगों की ज़िंदादिली, ये सब कुछ आप कभी भी नहीं भूलेंगे। एक बार फिर सभी निवेशकों को, राइजिंग राजस्थान के संकल्प को, आप सभी को बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।