We want to move ahead from consumer protection towards best consumer practices & consumer prosperity: PM
Due to GST, various indirect and hidden taxes have ceased to exist; biggest beneficiaries of GST will be the consumers: PM
Effective grievance redressal systems are vital for a democracy: PM Narendra Modi
The Government has devoted effort and resources towards digital empowerment of the rural consumer: PM

মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী রামবিলাস পাসোয়ানজি, শ্রী সি আর চৌধুরীজি,আঙ্কটাড-এর মহাসচিব ডঃ মুখিসা কিটুই এবং এখানে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজন। 

প্রথমেই ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আঞ্চলিকসম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য আমি আপনাদের সকলকেই অভিনন্দন জানাই। দক্ষিণ এশিয়া,দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার সবকটি দেশের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে মিলিতহয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকেই আমি স্বাগত জানাই। 

দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরণের সম্মেলন এই প্রথম আয়োজিত হচ্ছে। এই ধরণের একটিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে এই মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য ভারতের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে সমর্থনজানানোর পাশাপাশি এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য আঙ্কটাড-এর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। 

বন্ধুগণ, এই অঞ্চলের মতো এত বিশাল ঐতিহাসিক তাৎপর্য খুব কম অঞ্চলেরই রয়েছে।হাজার হাজার বছর ধরে বাণিজ্য, ধর্ম ও সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে সংযোগসাধন করেছে। বহুশতাব্দী ধরেই এই অঞ্চলকে অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করার কাজে উপকূলবর্তীঅঞ্চলের অর্থনীতি এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান সৃষ্টি করেছে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে সফরএবং চিন্তাভাবনা বিনিময়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি দেশ দু’দিক থেকেই লাভবানহয়েছে। তাই বর্তমানে শুধুমাত্র অর্থনীতি নয়, সংস্কৃতির দিক থেকেও আমরা এক মিলিতঐতিহ্যের প্রতীক। 

বন্ধুগণ, আধুনিক যুগে আমাদের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে।এশিয়ার দেশগুলি বর্তমানে শুধু নিজেদের দেশেই পণ্য ও পরিষেবার বাজার সৃষ্টির মধ্যেসীমাবদ্ধ নেই। অন্যান্য দেশেও তাঁদের এই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা আজ প্রসারিত। এইপরিস্থিতিতে ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষা হ’ল এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা এইঅঞ্চলের বাণিজ্য প্রচেষ্টাকে শুধুমাত্র প্রসারিতই করবে না, সেইসঙ্গে তাকে আরওশক্তিশালীও করে তুলবে। 

 দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন ও চাহিদার বিষয়গুলি আমরা বাস্তবে ততটা অনুভব ওউপলব্ধি করি এবং তাঁদের সমস্যার মোকাবিলায় আমরা আমাদের সাধ্য মতো কতটা চেষ্টা করতেপারি, তারই প্রতিফলন ঘটবে আজকের এই অনুষ্ঠানটিতে। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক নাগরিকইহলেন একজন ক্রেতা বা ভোক্তা এবং এই কারণেই আমাদের সমবেত সংকল্পবদ্ধতার এক প্রতীকহয়ে উঠবে আজকের এই সম্মেলন। 

এই সমগ্র প্রচেষ্টা ও প্রক্রিয়ায় এক বিশেষ অংশীদার হয়ে উঠতে রাষ্ট্রসঙ্ঘযেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা আমাদের পক্ষে খুব উৎসাহের বিষয়। ১৯৮৫ সালে প্রথমবার ক্রেতাসুরক্ষার ওপর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতি-নির্দেশিকা রচিত হয়েছিল। দু’বছর আগে তা আবারসংশোধিতও হয়েছে। এই সংশোধন প্রচেষ্টায় এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে ভারত। বিকাশশীলদেশগুলিতে ভোগ্যপণ্যের নিরন্তর যোগান, বৈদ্যুতিন বাণিজ্য এবং আর্থিক পরিষেবারক্ষেত্রে এই নীতি-নির্দেশিকা একান্ত জরুরি। 

বন্ধুগণ, বহুকাল ধরেই ক্রেতা সুরক্ষার বিষয়টি ভারতের প্রশাসনিক ব্যবস্থারএক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার বছর পূর্বে রচিত আমাদের বেদ শাস্ত্রেক্রেতা সুরক্ষার বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। অথর্ব বেদে বলা হয়েছে যে, গুণগত মান ওমাপের বিষয়টিতে অসাধুতা অবলম্বন করা কারোরই উচিৎ নয়। 

এই সমস্ত প্রাচীন পুঁথি ও গ্রন্থগুলিতে ক্রেতা সুরক্ষার নিয়মাবলীর বিষয়টিব্যাখ্যা করা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কি ধরণের শাস্তির ব্যবস্থা করাযেতে পারে, তারও বিধান রয়েছে এই গ্রন্থগুলিতে। আপনারা শুনলে হয়তো আশ্চর্য হবেন যে,প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে কৌটিল্যের সময় শাসন ব্যবস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলব্যবসা-বাণিজ্যর নিয়ন্ত্রণ এবং ক্রেতা সাধারণের সুরক্ষার বিষয়ে। কৌটিল্যের সময়সাংগঠনিক কাঠামোতে যে সমস্ত পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, তা বর্তমানে বাণিজ্য অধিকর্তাএবং পণ্য ও পরিষেবার মান রক্ষার কাজে নিযুক্ত প্রশাসকেরই সমতুল্য। 

বন্ধুগণ, ক্রেতা সাধারণকে আমরা ঈশ্বর জ্ঞান করি। অনেক বিপণি এবং বিক্রয়কেন্দ্রেই আপনারা লক্ষ্য করবেন লেখা রয়েছে – ‘গ্রাহক দেব ভবঃ’। ব্যবসা-বাণিজ্যেরবিষয় বা প্রকৃতি যাই হোক না কেন, ক্রেতা বা গ্রাহক সন্তুষ্টির বিষয়টিকে প্রধানগুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। 

বন্ধুগণ, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে সর্বপ্রথম বিধিবদ্ধভাবে ক্রেতা সুরক্ষারবিষয়টি চালু করা হয় ভারত হ’ল তার অন্যতম। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নীতি-নির্দেশিকা গ্রহণেরমাত্র এক বছর পরই অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে আমাদের দেশে ক্রেতা সুরক্ষা আইন কার্যকর করাহয়। 

ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষা হ’ল সরকারের একটি অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। নতুন ভারতগঠনের লক্ষ্যে আমরা যে সংকল্প গ্রহণ করেছি, এর প্রতিফলন ঘটেছে তার মধ্যেও।শুধুমাত্র ক্রেতা সুরক্ষা নয়, নতুন ভারতে বলবৎ করা হবে ক্রেতা স্বার্থ ও সুরক্ষাএবং ক্রেতা সাধারণের সমৃদ্ধি সম্পর্কিত পন্থা-পদ্ধতি। 

বন্ধুগণ, দেশের চাহিদা এবং বাণিজ্যিক কাজকর্মের দিকে লক্ষ্য রেখে আমরাবর্তমানে এক নতুন ক্রেতা সুরক্ষা আইন বলবৎ করার চেষ্টা করছি। প্রস্তাবিত আইনেক্রেতা সাধারণের ক্ষমতায়নের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ন্যূনতম ব্যয়ে একসুনির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে ক্রেতাদের ক্ষোভ ও অভিযোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট নিয়ম-কানুনআরও সরল করে তোলা হচ্ছে। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরসংস্থানও থাকবে তাতে। প্রশাসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন এক কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষাকর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে দ্রুত প্রতিকার সম্ভব করে তুলতে। 

সাধারণ ঘরবাড়ির ক্রেতা সাধারণের জন্য আমরা এক আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরকরেছি। তার আগে ক্রেতাদের বহু বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকতে হ’ত তাঁদের ফ্ল্যাট বাবাড়ির চাবি হাতে পাওয়ার জন্য। অসৎ ও অসাধু নির্মাতাদের হাতে তাঁদের হয়রানির শেষথাকত না। এমনকি, ফ্ল্যাটের আয়তন নিয়েও তখন অনেক রকম বিভ্রান্তি ছিল। কিন্তু রেরাচালু হওয়ার পর শুধুমাত্র নথিভুক্ত ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাতারাই সমস্ত রকম অনুমতি ওঅনুমোদন সাপেক্ষে ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।এছাড়াও, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মোট দামের মাত্র ১০ শতাংশ তাঁরা অগ্রিম হিসেবে দাবিকরতে পারেন সংশ্লিষ্ট ক্রেতাদের কাছ থেকে। 

অগ্রিম বাবদ ক্রেতাদের কাছ থেকে যে অর্থ সংগ্রহ করা হ’ত, তা অন্য প্রকল্পেব্যয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যেত বাড়ি ও ফ্ল্যাটের নির্মাতাদের। কিন্তু বর্তমানেএক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ক্রেতাদেরকাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের ৭০ শতাংশই একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে এবং তাশুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ঐ প্রকল্পটি নির্মাণেই ব্যয় করতে হবে। 

একইভাবে চালু করা হয়েছে ভারতীয় মান নিয়ন্ত্রক আইনটি। বর্তমানে সাধারণ মানুষবা ক্রেতাদের স্বার্থে পণ্য ও পরিষেবা যোগানের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে শংসাপত্রওথাকা চাই। পণ্যের গুণগত মান আশানুরূপ না হলে, তা বাজার থেকে তুলে নেওয়ারও সংস্থানরয়েছে এই আইনটিতে। এমনকি কোনও পণ্য যদি ত্রুটি যুক্ত হয়, তা হলে সংশ্লিষ্টক্রেতাকে ক্ষতি পূরণ দেওয়ারও নির্দেশ রয়েছে ঐ আইনের আওতায়। 

 ভারত সাম্প্রতিককালে পণ্য ও পরিষেবা কর জিএসটি চালু করেছে। জিএসটি চালুহওয়ার পর থেকে পণ্য ও পরিষেবার ওপর নানা ধরণের ভিন্ন ভিন্ন পরোক্ষ কর সংগ্রহেরব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়েছে। বহু লুকনো কর-এরও একই সঙ্গে বিলোপসাধন করা হয়েছে। তাইএকজন ক্রেতা বর্তমানে জানতে পারেন যে, কতটা কর তিনি রাজ্য সরকারকে এবং কতটাই বাকেন্দ্রীয় সরকারকে দিচ্ছেন। সীমান্ত এলাকায় সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার ঘটনাএখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। 

জিএসটি’র সঙ্গে সঙ্গে এক নতুন বাণিজ্য সংস্কৃতিও দানা বেঁধে উঠছে। এর সুবাদেদীর্ঘ মেয়াদে সর্বাপেক্ষা বেশি লাভবান হবেন ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণই। এটি হ’ল এমনএক স্বচ্ছ ব্যবস্থা, যেখানে ক্রেতা সাধারণের স্বার্থে কেউই আঘাত হানতে পারবে না।জিএসটি চালু হওয়ার ফলে প্রতিযোগিতামুখিনতার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং তার ফলশ্রুতিতেপণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। বিশেষত, দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত ক্রেতা সাধারণএর প্রত্যক্ষ সুফলগুলি ভোগ করতে পারবেন। 

বন্ধুগণ, আইনের মাধ্যমে ক্রেতা সাধারণের স্বার্থকে জোরদার করে তোলারপাশাপাশি তাঁদের ক্ষোভ ও অভিযোগগুলির যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটে, তা নিশ্চিত করাওবিশেষ প্রয়োজন। গত তিন বছরে ক্ষোভ ও অভিযোগ নিরসনের জন্য প্রযুক্তির দক্ষব্যবহারের মাধ্যমে এক নতুন এবং যুগোপযোগী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে আমাদের সরকার। 

ক্রেতা সাধারণের জন্য জাতীয় হেল্পলাইনটির ক্ষমতাও চার গুণ বৃদ্ধি করাহয়েছে। ক্রেতা সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত পোর্টাল এবং সোস্যাল মিডিয়াকেও করে তোলাহয়েছে আরও সুসংবদ্ধ। বেসরকারি বেশ কিছু সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে এই পোর্টালটিরসঙ্গে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পোর্টালের মাধ্যমে প্রায় ৪০ শতাংশ অভিযোগইসরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির কাছে। ‘জাগো গ্রাহক জাগো’ অভিযানেরমাধ্যমে ক্রেতা সাধারণকে আরও সচেতন করে তোলা হচ্ছে। আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসেরসঙ্গেই ঘোষণা করতে পারি যে, ভারতে ক্রেতা সুরক্ষার কাজে বর্তমান সরকার যেভাবেসোস্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে, এর আগে আর কেউই তা করে দেখাতে পারেনি। 

বন্ধুগণ, আমার মতে এবং আমার সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ক্রেতা সুরক্ষারপরিধি রয়েছে ব্যাপক ও সুবিস্তৃত। যে কোনও দেশেরই উন্নয়ন এবং সেখানকার ক্রেতাসুরক্ষার বিষয়টি পরস্পরের সম্পূরক। উন্নয়নের সুফলকে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছেদেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষ প্রশাসনের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 

বঞ্চিতদের কাছে তাদের অধিকার ও পরিষেবা যোগানের কাজ সরকারিভাবে পৌঁছেদেওয়ার মাধ্যমেও ক্রেতা সাধারণের স্বার্থ সুরক্ষিত করে তোলা যায়। বিশুদ্ধজ্বালানির লক্ষ্যে উজ্জ্বলা যোজনা, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে স্বচ্ছ ভারতঅভিযান এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে জন ধন যোজনার মধ্য দিয়ে সরকারেরচিন্তাভাবনা ও কাজেরই প্রতিফলন ঘটেছে। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেকনাগরিক পরিবারেরই যাতে নিজস্ব একটি বাসস্থান গড়ে ওঠে সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করেচলেছে বর্তমান সরকার। 

সাম্প্রতিককালে প্রত্যেকটি গৃহস্থ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ারলক্ষ্যে একটি কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। এই সমস্ত প্রচেষ্টাই সাধারণ মানুষেরপ্রাথমিক জীবনধারণের চাহিদাগুলি পূরণ করার জন্য নিয়োজিত। তাঁদের জীবন যাতে আরওস্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতেই সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ। শুধুমাত্র অধিকার প্রদান করার মাধ্যমেই ক্রেতা সাধারণের স্বার্থ সুরক্ষিতরাখা যায় না। ভারতে ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণের অর্থেরও যাতে সাশ্রয় ঘটে, সেইলক্ষ্যেও কর্মসূচি প্রণয়নের কাজে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। এই সমস্ত কর্মসূচি থেকেসবচেয়ে বেশি সুফল ও সুবিধা ভোগ করতে পারবেন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাধারণমানুষ। 

ভারতে সমীক্ষা চালানোর পর সাম্প্রতিককালে ইউনিসেফ যে প্রতিবেদনটি প্রকাশকরেছে, সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো অবগত রয়েছেন। সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসাব্যয়, সময়ের সাশ্রয় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি - এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করে বলা যায় যেউন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিক কাজকর্ম করার অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকার ফলে প্রত্যেকগৃহস্থ পরিবারে বছরে আর্থিক সাশ্রয় ঘটছে ৫০ হাজার টাকার মতো। 

বন্ধুগণ, দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে সুলভে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সূচনাহয়েছে ভারতীয় জন ঔষধি পরিযোজনার। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধপত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাহয়েছে ৫০০-রও বেশি ধরণের ওষুধকে। শুধু তাই নয়, সেগুলির দামও হ্রাস করা হয়েছে।হৃদরোগের চিকিৎসার প্রয়োজনে স্টেন্ট-এর দাম কমিয়ে আনা হয়েছে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত।সম্প্রতি হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্তশ্রেণীর সাধারণ মানুষদের এর ফলে সাশ্রয় ঘটেছে বেশ কয়েক কোটি টাকা। 

আমাদের লক্ষ্য ও চিন্তাভাবনা হ’ল শুধুমাত্র ক্রেতা সুরক্ষা নয়, ক্রেতাদেরস্বার্থ রক্ষাও। এলইডি বাল্ব বন্টনের মতো একটি সাধারণ কর্মসূচির ফল মিলেছেঅবিশ্বাস্য রকম। বর্তমান সরকার যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে, তখন একটি এলইডি বাল্বেরদাম ছিল ৩৫০ টাকার মতো। কিন্তু সরকারি প্রচেষ্টায় নতুন কর্মসূচির আওতায় এই বাল্বএখন সংগ্রহ করা যাচ্ছে মাত্র ৪০-৪৫ টাকার বিনিময়ে। সুতরাং, শুধুমাত্র এইকর্মসূচিটি থেকেই ক্রেতাদের সাশ্রয় ঘটেছে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এলইডিবাল্বের দাম এবং বিদ্যুৎ বিলের খরচ কমিয়ে আনার মাধ্যমেই তা সম্ভব হয়েছে। 

বন্ধুগণ, মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তক্রেতা সাধারণের অর্থনৈতিক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় পূর্ববর্তীসরকারের সময়কালে মুদ্রাস্ফীতির হার যেভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাতে সাধারণ মানুষেরহেঁসেলে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটত অস্বাভাবিক হারে। 

প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এবং সরকারি বন্টন ব্যবস্থাকে আরওজোরদার করে তোলার মাধ্যমে সাধারণ দরিদ্র মানুষ যাতে সহজেই সুলভ খাদ্যশস্য সংগ্রহকরতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষ সুফল হস্তান্তরের আওতায় সুফল গ্রহীতাদের প্রাপ্য অর্থ সরাসরি জমাপড়ছে তাঁদের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে। এর সুবাদে যাবতীয় ফাঁকফোকর বন্ধকরে দেওয়ার ফলে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় ঘটেছে ৫৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। 

বন্ধুগণ, সমাজের প্রতি সমবেতভাবে তাঁদেরও যে দায়দায়িত্ব রয়েছে, এই কথাউপলব্ধি করা প্রয়োজন ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণের। নিরন্তর উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণেতাঁরা যাতে তাঁদের কর্তব্য পালন করে যেতে পারেন, সেজন্য এই উপলব্ধি একান্ত জরুরি। 

আজ এই বিশেষ মঞ্চে আমার অন্যান্য দেশের সহকর্মীদের আমি আমাদের ‘গিভ ইট আপ’অভিযানের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে আগ্রহী। আমাদের দেশে ভর্তুকি সহায়তা দেওয়া হয়এলপিজি সিলিন্ডারের ওপর। আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে মাত্র এক বছরের মতো সময়কালেরমধ্যেই ১ কোটিরও বেশি নাগরিক গ্যাসের ওপর তাঁদের ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরফলে,যে অর্থের সাশ্রয় ঘটেছে তার সাহায্যে এ পর্যন্ত ৩ কোটি গৃহস্থ পরিবারে গ্যাসসংযোগের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে। 

প্রত্যেক গ্রাহক ও ক্রেতার মিলিত অবদানের সাহায্যে কিভাবে অন্যান্যগ্রহীতাদের কল্যাণসাধন করা যায় এই ঘটনা তারই এক দৃষ্টান্ত মাত্র। আর এইভাবেই একজনব্যক্তির কর্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাজে এক ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হয়। 

বন্ধুগণ, দেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী ক্রেতা ও গ্রাহক সাধারণের ডিজিটালক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারিভাবে রূপায়িত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটালসাক্ষরতা অভিযান। এই কর্মসূচির আওতায় ৬ কোটি গৃহস্থ পরিবারের প্রত্যেকটি থেকে একজনকরে সদস্যকে ডিজিটাল ব্যবস্থা ও পদ্ধতি গ্রহণের জন্য সাক্ষর করে তোলা হচ্ছে।বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে লেনদেন এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা লাভেরসুযোগ গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই অভিযানের সূচনা। 

ভারতের গ্রামগুলিতে ডিজিটাল পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারের মধ্য দিয়েভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক বিরাট বৈদ্যুতিন বিপণন ব্যবস্থা। অভিন্ন লেনদেনপদ্ধতি অর্থাৎ ইউপিআই প্রচুর শক্তি জুগিয়েছে বৈদ্যুতিন বাণিজ্য শিল্পে। ‘ভারতইন্টারফেস ফর মানি’ অর্থাৎ ‘ভীম অ্যাপ’ শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ডিজিটালপদ্ধতিতে লেনদেনের সুযোগ সম্প্রসারিত করেছে। 

 

বন্ধুগণ, ১২৫ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা এবং দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া মধ্যবিত্তশ্রেণীর দেশ হওয়ার সুবাদে ভারতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এক বাজার ব্যবস্থা।আমাদের উদার অর্থনীতি স্বাগত জানায় বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশকে এবং ভারতীয় গ্রাহক ওক্রেতা সাধারণকে নিবিড়ভাবে যুক্ত করে বিশ্বের বাণিজ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে। মেক ইনইন্ডিয়া কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিল্প সংস্থাগুলির জন্য আমরা প্রস্তুতকরেছি এক বিশেষ মঞ্চ, যাতে তাঁরা ভারতে এসে নির্মাণ ও উৎপাদনের কাজে যুক্ত হতেপারেন এবং আমাদের দেশের বিশাল মানবসম্পদকে আরও উন্নতভাবে কাজে লাগাতে পারেন। 

বন্ধুগণ, বিশ্বের এই অঞ্চলটিতে এ ধরণের সম্মেলনের উদ্যোগ ও আয়োজন এই সর্বপ্রথম। যে দেশগুলি আজ এখানে প্রতিনিধিত্ব করছে তারা সকলেই নিজের নিজের দেশেক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে।কিন্তু আমাদের অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন যে, বিশ্বায়নের প্রসার ঘটার ফলে সমগ্রবিশ্বই এখন একটি মাত্র বাজারে রূপান্তরিত হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পরস্পরেরঅভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা লাভ করা একান্ত জরুরি। সেইসঙ্গে প্রয়োজন সাধারণ সমঝোতারবিষয়গুলিকে খুঁজে বের করা এবং এই ধরণের সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে ক্রেতা ও গ্রাহকসুরক্ষার লক্ষ্যে এক আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলা। 

বন্ধুগণ, এশিয়ার দেশগুলির মোট ক্রেতা ও গ্রাহক সংখ্যা ৪ বিলিয়নেরও বেশি।এরফলে, বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার এক প্রসারিত ক্ষেত্র রয়েছে এই রাষ্ট্রগুলিতে। এইসমস্ত দেশে রয়েছে এক বিরাট সংখ্যক যুবশক্তি। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এইদেশগুলির গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা। বৈদ্যুতিন বাণিজ্য এবং আন্তঃসীমান্ত এলাকায়বাণিজ্যিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে যাতায়াতের ফলে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েচলেছে সীমান্ত বাণিজ্যও। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি দেশেই এক শক্তিশালী নিয়ন্ত্রকব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সাধারণের আস্থা অক্ষুণ্ন রাখারজন্য তথ্য বিনিময়ের বিষয়টিও একান্ত জরুরি। অন্যান্য দেশের গ্রাহক ও ক্রেতাসাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি দেখভালের জন্য সহযোগিতার একটি কাঠামোও গড়েতোলা প্রয়োজন, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে। এরফলে, পারস্পরিকআস্থা ও বিশ্বাসের বাতাবরণ গড়ে ওঠা ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারও অবশ্যম্ভাবী। 

যোগাযোগের লক্ষ্যে কাঠামোগত ব্যবস্থার প্রসার, শ্রেষ্ঠ পন্থা-পদ্ধতিসম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ বিনিময়, ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেনতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং যৌথ প্রচেষ্টায় অভিযান গড়ে তোলার মাধ্যমে পারস্পরিকস্বার্থ রক্ষার কাজকে অনুসরণ করা যেতে পারে। 

বন্ধুগণ, আমাদের আবেগের বন্ধনকে যদি আমরা আরও দৃঢ় করে তুলতে পারি, তা হলেতা আমাদের মিলিত সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক ঐতিহ্যকেও আরও নিবিড় করে তুলতে সাহায্যকরবে। নিজেদের সংস্কৃতির জন্য আমরা যেমন গর্বিত, তেমনই অন্যান্যদের সাংস্কৃতিকধারাকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরই এক বিশেষ অঙ্গ। বহু শতাব্দীধরেই আমরা পরস্পরের কাছ থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা লাভ করে এসেছি। তাই, বাণিজ্য এবং গ্রাহক সুরক্ষা এই প্রক্রিয়ারই একবিশেষ অঙ্গ। 

আমি আশা করি, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় এক স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি ওচিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলনে এক বিশেষ রূপরেখা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।এই সম্মেলনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজেও আমরাসাফল্য অর্জন করব বলে আমি বিশেষভাবে আশাবাদী। 

এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আরও একবার কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদেরসকলের কাছে। 

অসংখ্য ধন্যবাদ। 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।