“Today is a day of pride in parliamentary democracy, it is a day of glory. For the first time since independence, this oath is being taken in our new Parliament”
“Tomorrow is 25 June. 50 years ago on this day, a black spot was put on the Constitution. We will try to ensure that such a stain never comes to the country”
“For the second time since independence, a government has got the opportunity to serve the country for the third time in a row. This opportunity has come after 60 years”
“We believe that majority is required to run the government but consensus is very important to run the country”
“I assure the countrymen that in our third term, we will work three times harder and achieve three times the results”
“Country does not need slogans, it needs substance. Country needs a good opposition, a responsible opposition”
বন্ধুগণ,
সংসদীয় গণতন্ত্রে আজকের দিনটি অত্যন্ত গৌরবময় একটি বৈভবের দিন। স্বাধীনতার পর প্রথমবার আমাদের নিজেদের গড়া নতুন সংসদ ভবনে এই শপথগ্রহণ সমারোহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে এই প্রক্রিয়া আমাদের পুরনো সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হত। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আমি সমস্ত নব-নির্বাচিত সাংসদের হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই, সবাইকে অভিনন্দন জানাই এবং সবাইকে অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই।
সংসদের এই গঠন ভারতের সাধারণ মানুষের অনেক সংকল্প পূরণের শুভ সূচনা। নতুন উদ্দীপনা, নতুন উৎসাহ নিয়ে নতুন গতি, নতুন উচ্চতা অর্জন করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলার, ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়ে তোলার এই লক্ষ্য, এই সমস্ত স্বপ্ন নিয়ে, এই সমস্ত সংকল্প নিয়ে আজ অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত সূচারু রূপে, অত্যন্ত গৌরবময় পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়া আমাদের প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য একটি গর্বের বিষয়, ১৪০ কোটি দেশবাসীর জন্য গর্বের কথা। প্রায় ৬৫ কোটিরও বেশি ভোটদাতা এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচন এজন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ দেশের জনগণ স্বাধীনতার পর দ্বিতীয়বার কোনো সরকারকে ক্রমাগত তৃতীয়বার সুযোগ করে দিয়েছে সেবা করার জন্য। আর এই সুযোগ ৬০ বছর পর এসেছে। এটা নিজেই একটি খুব বড় গৌরবময় ঘটনা।
বন্ধুগণ,
যখন দেশের জনগণ কোনো সরকারকে তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচন করেছে, তার মানে জনগণ এই সরকারের উদ্দেশ্যগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, এই সরকারের নীতিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতি এই সরকারের সমর্পণ ভাবকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এজন্য আমি দেশবাসীকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। গত ১০ বছরে যে পরম্পরাকে আমরা স্থাপন করার চেষ্টা নিরন্তর করে গেছি, কারণ আমরা জানি, যে সরকার চালানোর জন্য সংখ্যাধিক্যের প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু দেশ চালানোর জন্য সহমত হওয়ার প্রয়োজন অনেক বেশি। সেজন্য এবার আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা থাকবে প্রত্যেকের সঙ্গে সহমত হওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে ভারত মাতার সেবা করা, ১৪০ কোটি ভারতবাসী আশা-আকাঙ্খা পূরণ করা।
আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই, আবার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সংবিধানের মর্যাদা পালন করে সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের গতি আনতে চাই। অষ্টাদশ লোকসভায় আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হল, নবীন প্রজন্মের সংসদ সদস্যদের সংখ্যা খুব ভালো। আর আমরা যখন ১৮-র কথা বলছি, তখন যাঁরা ভারতের বিভিন্ন পরম্পরার সঙ্গে পরিচিত, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা জানেন যে আমাদের দেশে ১৮ সংখ্যাটির অত্যন্ত সাত্বিক মূল্য রয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবত গীতাতেও ১৮টি অধ্যায় রয়েছে যা থেকে আমরা কর্ম, কর্তব্য এবং করুণার শিক্ষা পাই। আমাদের দেশে পুরাণ এবং উপ-পূরাণগুলির সংখ্যাও ১৮। ১৮-র মূলাঙ্ক ৯। আর এই ৯ পূর্ণতার গ্যারান্টি দেয়। ৯ পূর্ণতার প্রতীক সংখ্যা। ১৮ বছর বয়সে আমাদের দেশের নাগরিকরা ভোট দানের অধিকার পান। সেজন্য অষ্টাদশ লোকসভা ভারতের স্বাধীনতার অমৃতকালে, এই লোকসভার গঠন একটি শুভ সংকেত নিয়ে এসেছে।
বন্ধুগণ,
আজ আমরা ২৪ জুন তারিখে এই অধিবেশন শুরু করার জন্য একত্রিত হয়েছি। আগামীকাল ২৫ জুন, যাঁরা এ দেশের সংবিধানের গরিমা রক্ষায় সমর্পিত, যাঁরা ভারতের গণতান্ত্রিক পরম্পরগুলিকে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে চাই, তাঁদের জন্য এই ২৫ জুন তারিখটি কখনও না ভুলতে পারার দিন। আজ থেকে ৫০ বছর আগে এই ২৫ জুন তারিখেই ভারতের গণতন্ত্রে একটি বড় কালো দাগ লেগেছিল, ভারতের নতুন প্রজন্ম সে কথা কখনও ভুলবে না যে ভারতের সংবিধানকে সম্পূর্ণ রূপে নস্যাৎ করা হয়েছিল, সংবিধানের বিমূর্ততাকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, দেশকে জেলখানা বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ রূপে কুচলে দেওয়া হয়েছিল।
জরুরি অবস্থার জারি করার এই ৫০ বছর পূর্তিতে আমরা গৌরবের সঙ্গে আমাদের সংবিধানকে রক্ষা করার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছি। ভারতের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক পরম্পরাগুলিকে রক্ষা করার মাধ্যমে দেশবাসী নতুন করে সংকল্প নেবে যে ভারতে আবার কখনও কেউ এই হিম্মত দেখাবে না, যা ৫০ বছর আগে হয়েছিল এবং গণতন্ত্রের ওপর কালো দাগ রেখে গিয়েছে। আমরা সংকল্প গ্রহণ করবো একটি জীবন্ত গণতন্ত্রের। আমরা সংকল্প গ্রহণ করবো ভারতের সংবিধান প্রদর্শিত নির্দিষ্ট দিশা অনুসরণ করে সাধারণ মানুষের স্বপ্নগুলি পূরণ করার।
বন্ধুগণ,
দেশের জনগণ আমাদের তৃতীয়বার সেবার সুযোগ দিয়েছে, এটা একটা অত্যন্ত মহান বিজয়, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। আর সেজন্যই আমাদের দায়িত্ব তিন গুণ বেড়ে গেছে। আর সেজন্য আমি আজ দেশবাসীকে কথা দিচ্ছি যে আপনারা আমাদের তৃতীয়বার দেশ শাসনের যে সুযোগ দিয়েছেন তার পিছনে রয়েছে তৃতীয়বার সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা। সেজন্যই আমি দেশবাসীকে আজ কথা দিচ্ছি যে, আমাদের তৃতীয় কার্যকালে আমরা আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি পরিশ্রম করবো। আমরা তিন গুণ পরিণামও আনবো। আর এই সংকল্প নিয়েই আমরা এই নতুন কার্যভার নিয়ে এগিয়ে যাবো।
সমস্ত মাননীয় সাংসদের প্রতি দেশের জনগণের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমি সমস্ত সাংসদদের অনুরোধ জানাবো, আসুন, জনগণের হিতে, জনসেবার স্বার্থে আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগাই আর যথা সম্ভব জনকল্যাণের কথা ভেবে প্রতিটি পদক্ষেপ নিই। দেশের জনগণ আমাদের বিরোধী নেতাদের কাছেও অনেক ভালো ও ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রত্যাশ করেন। এতদিন পর্যন্ত তাঁদের কাজে জনগণ হতাশ হয়েছে। হয়তো এই অষ্টাদশ লোকসভায় বিরোধীদের কাছ থেকে দেশের সাধারণ মানুষ আরও বেশি প্রত্যাশা করছেন। তাঁরা যেন বিরোধী হিসেবে তাঁদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করেন, তাঁরা যেন দেশের গণতন্ত্রের গরিমাকে অক্ষত রাখেন- দেশবাসী এই প্রত্যাশা করেন। আমি আশা করবো, যে আমাদের বিরোধী দলনেতারা তাঁদের এই প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন।
বন্ধুগণ,
লোকসভা ও রাজ্যসভায় সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা থাকে ডিবেট বা বিতর্কের এবং ডিজিলেন্স বা অধ্যাবসায়ের। এখানে আত্মপ্রদর্শন বা নাটক চলুক বা অহেতুক বিশৃঙ্খলা হোক এটা জনগণ প্রত্যাশা করেন না। জনগণ সাবসটেন্স বা যে কথার গুরুত্ব রয়েছে সেটাই তাঁদের কাছ থেকে শুনতে চান, নিছকই স্লোগান শুনতে চান না। দেশবাসী একটি ভালো বিরোধী পক্ষের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। গণতন্ত্রে দায়িত্বশীল বিরোধী পক্ষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই অষ্টাদশ লোকসভায় আমাদের যতো সাংসদ নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তাঁরা সাধারণ মানুষের এই প্রত্যাশাগুলি পূরণ করার চেষ্টা করবেন।
বন্ধুগণ,
আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে আমাদের উন্নত ভারতের সংকল্পকে বাস্তবায়িত করার। আমরা সবাই মিলে সেই দায়িত্বগুলি পালন করবো। জনগণের বিশ্বাসকে আমরা আরও মজবুত করবো। ইতিমধ্যেই ২৫ কোটি নাগরিককে দারিদ্রসীমার ঊর্ধ্বে নিয়ে আসায় একটি নতুন বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে যে আমরা ভারতকে অত্যন্ত দ্রুত দারিদ্র মুক্ত করার ক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারি। আর এটা মানব জাতির অনেক বড় সেবা হিসেবে প্রতিপন্ন হবে। আমাদের দেশের জনগণ, আমাদের ১৪০ কোটি নাগরিক পরিশ্রম করে। আর এই পরিশ্রমে তাঁরা কোনো ত্রুটি রাখে না। আমাদের কাজ হল তাঁদেরকে যথা সম্ভব বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। এই একটি কল্পনা, এই সংকল্প নিয়েই আমাদের এবারের লোকসভা গড়ে উঠবে। আমাদের অষ্টাদশ লোকসভা যেন এ রকমই অনেক সংকল্প গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বপ্নগুলিকে বাস্তব রূপ দিতে পারে!
বন্ধুগণ,
আমি আর একবার বিশেষ করে এবারের নব নির্বাচিত সাংসদদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। সমস্ত সাংসদদের অভিনন্দন জানাই, আর অনেক অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আপনাদের অনুরোধ জানাই, আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশের জনগণ আমাদের যে নতুন দায়িত্ব দিয়েছে তা খুব ভালোভাবে পালন করি, সমর্পণের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে থাকি। অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধুগণ।
India is driving global growth today: PM Modi at Republic Plenary Summit
March 06, 2025
Share
India's achievements and successes have sparked a new wave of hope across the globe: PM
India is driving global growth today: PM
Today's India thinks big, sets ambitious targets and delivers remarkable results: PM
We launched the SVAMITVA Scheme to grant property rights to rural households in India: PM
Youth is the X-Factor of today's India, where X stands for Experimentation, Excellence, and Expansion: PM
In the past decade, we have transformed impact-less administration into impactful governance: PM
Earlier, construction of houses was government-driven, but we have transformed it into an owner-driven approach: PM
नमस्कार!
आप लोग सब थक गए होंगे, अर्णब की ऊंची आवाज से कान तो जरूर थक गए होंगे, बैठिये अर्णब, अभी चुनाव का मौसम नहीं है। सबसे पहले तो मैं रिपब्लिक टीवी को उसके इस अभिनव प्रयोग के लिए बहुत बधाई देता हूं। आप लोग युवाओं को ग्रासरूट लेवल पर इन्वॉल्व करके, इतना बड़ा कंपटीशन कराकर यहां लाए हैं। जब देश का युवा नेशनल डिस्कोर्स में इन्वॉल्व होता है, तो विचारों में नवीनता आती है, वो पूरे वातावरण में एक नई ऊर्जा भर देता है और यही ऊर्जा इस समय हम यहां महसूस भी कर रहे हैं। एक तरह से युवाओं के इन्वॉल्वमेंट से हम हर बंधन को तोड़ पाते हैं, सीमाओं के परे जा पाते हैं, फिर भी कोई भी लक्ष्य ऐसा नहीं रहता, जिसे पाया ना जा सके। कोई मंजिल ऐसी नहीं रहती जिस तक पहुंचा ना जा सके। रिपब्लिक टीवी ने इस समिट के लिए एक नए कॉन्सेप्ट पर काम किया है। मैं इस समिट की सफलता के लिए आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, आपका अभिनंदन करता हूं। अच्छा मेरा भी इसमें थोड़ा स्वार्थ है, एक तो मैं पिछले दिनों से लगा हूं, कि मुझे एक लाख नौजवानों को राजनीति में लाना है और वो एक लाख ऐसे, जो उनकी फैमिली में फर्स्ट टाइमर हो, तो एक प्रकार से ऐसे इवेंट मेरा जो यह मेरा मकसद है उसका ग्राउंड बना रहे हैं। दूसरा मेरा व्यक्तिगत लाभ है, व्यक्तिगत लाभ यह है कि 2029 में जो वोट करने जाएंगे उनको पता ही नहीं है कि 2014 के पहले अखबारों की हेडलाइन क्या हुआ करती थी, उसे पता नहीं है, 10-10, 12-12 लाख करोड़ के घोटाले होते थे, उसे पता नहीं है और वो जब 2029 में वोट करने जाएगा, तो उसके सामने कंपैरिजन के लिए कुछ नहीं होगा और इसलिए मुझे उस कसौटी से पार होना है और मुझे पक्का विश्वास है, यह जो ग्राउंड बन रहा है ना, वो उस काम को पक्का कर देगा।
साथियों,
आज पूरी दुनिया कह रही है कि ये भारत की सदी है, ये आपने नहीं सुना है। भारत की उपलब्धियों ने, भारत की सफलताओं ने पूरे विश्व में एक नई उम्मीद जगाई है। जिस भारत के बारे में कहा जाता था, ये खुद भी डूबेगा और हमें भी ले डूबेगा, वो भारत आज दुनिया की ग्रोथ को ड्राइव कर रहा है। मैं भारत के फ्यूचर की दिशा क्या है, ये हमें आज के हमारे काम और सिद्धियों से पता चलता है। आज़ादी के 65 साल बाद भी भारत दुनिया की ग्यारहवें नंबर की इकॉनॉमी था। बीते दशक में हम दुनिया की पांचवें नंबर की इकॉनॉमी बने, और अब उतनी ही तेजी से दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनने जा रहे हैं।
साथियों,
मैं आपको 18 साल पहले की भी बात याद दिलाता हूं। ये 18 साल का खास कारण है, क्योंकि जो लोग 18 साल की उम्र के हुए हैं, जो पहली बार वोटर बन रहे हैं, उनको 18 साल के पहले का पता नहीं है, इसलिए मैंने वो आंकड़ा लिया है। 18 साल पहले यानि 2007 में भारत की annual GDP, एक लाख करोड़ डॉलर तक पहुंची थी। यानि आसान शब्दों में कहें तो ये वो समय था, जब एक साल में भारत में एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी होती थी। अब आज देखिए क्या हो रहा है? अब एक क्वार्टर में ही लगभग एक लाख करोड़ डॉलर की इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही है। इसका क्या मतलब हुआ? 18 साल पहले के भारत में साल भर में जितनी इकॉनॉमिक एक्टिविटी हो रही थी, उतनी अब सिर्फ तीन महीने में होने लगी है। ये दिखाता है कि आज का भारत कितनी तेजी से आगे बढ़ रहा है। मैं आपको कुछ उदाहरण दूंगा, जो दिखाते हैं कि बीते एक दशक में कैसे बड़े बदलाव भी आए और नतीजे भी आए। बीते 10 सालों में, हम 25 करोड़ लोगों को गरीबी से बाहर निकालने में सफल हुए हैं। ये संख्या कई देशों की कुल जनसंख्या से भी ज्यादा है। आप वो दौर भी याद करिए, जब सरकार खुद स्वीकार करती थी, प्रधानमंत्री खुद कहते थे, कि एक रूपया भेजते थे, तो 15 पैसा गरीब तक पहुंचता था, वो 85 पैसा कौन पंजा खा जाता था और एक आज का दौर है। बीते दशक में गरीबों के खाते में, DBT के जरिए, Direct Benefit Transfer, DBT के जरिए 42 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा ट्रांसफर किए गए हैं, 42 लाख करोड़ रुपए। अगर आप वो हिसाब लगा दें, रुपये में से 15 पैसे वाला, तो 42 लाख करोड़ का क्या हिसाब निकलेगा? साथियों, आज दिल्ली से एक रुपया निकलता है, तो 100 पैसे आखिरी जगह तक पहुंचते हैं।
साथियों,
10 साल पहले सोलर एनर्जी के मामले में भारत दुनिया में कहीं गिनती नहीं होती थी। लेकिन आज भारत सोलर एनर्जी कैपेसिटी के मामले में दुनिया के टॉप-5 countries में से है। हमने सोलर एनर्जी कैपेसिटी को 30 गुना बढ़ाया है। Solar module manufacturing में भी 30 गुना वृद्धि हुई है। 10 साल पहले तो हम होली की पिचकारी भी, बच्चों के खिलौने भी विदेशों से मंगाते थे। आज हमारे Toys Exports तीन गुना हो चुके हैं। 10 साल पहले तक हम अपनी सेना के लिए राइफल तक विदेशों से इंपोर्ट करते थे और बीते 10 वर्षों में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट 20 गुना बढ़ गया है।
साथियों,
इन 10 वर्षों में, हम दुनिया के दूसरे सबसे बड़े स्टील प्रोड्यूसर हैं, दुनिया के दूसरे सबसे बड़े मोबाइल फोन मैन्युफैक्चरर हैं और दुनिया का तीसरा सबसे बड़ा स्टार्टअप इकोसिस्टम बने हैं। इन्हीं 10 सालों में हमने इंफ्रास्ट्रक्चर पर अपने Capital Expenditure को, पांच गुना बढ़ाया है। देश में एयरपोर्ट्स की संख्या दोगुनी हो गई है। इन दस सालों में ही, देश में ऑपरेशनल एम्स की संख्या तीन गुना हो गई है। और इन्हीं 10 सालों में मेडिकल कॉलेजों और मेडिकल सीट्स की संख्या भी करीब-करीब दोगुनी हो गई है।
साथियों,
आज के भारत का मिजाज़ कुछ और ही है। आज का भारत बड़ा सोचता है, बड़े टार्गेट तय करता है और आज का भारत बड़े नतीजे लाकर के दिखाता है। और ये इसलिए हो रहा है, क्योंकि देश की सोच बदल गई है, भारत बड़ी Aspirations के साथ आगे बढ़ रहा है। पहले हमारी सोच ये बन गई थी, चलता है, होता है, अरे चलने दो यार, जो करेगा करेगा, अपन अपना चला लो। पहले सोच कितनी छोटी हो गई थी, मैं इसका एक उदाहरण देता हूं। एक समय था, अगर कहीं सूखा हो जाए, सूखाग्रस्त इलाका हो, तो लोग उस समय कांग्रेस का शासन हुआ करता था, तो मेमोरेंडम देते थे गांव के लोग और क्या मांग करते थे, कि साहब अकाल होता रहता है, तो इस समय अकाल के समय अकाल के राहत के काम रिलीफ के वर्क शुरू हो जाए, गड्ढे खोदेंगे, मिट्टी उठाएंगे, दूसरे गड्डे में भर देंगे, यही मांग किया करते थे लोग, कोई कहता था क्या मांग करता था, कि साहब मेरे इलाके में एक हैंड पंप लगवा दो ना, पानी के लिए हैंड पंप की मांग करते थे, कभी कभी सांसद क्या मांग करते थे, गैस सिलेंडर इसको जरा जल्दी देना, सांसद ये काम करते थे, उनको 25 कूपन मिला करती थी और उस 25 कूपन को पार्लियामेंट का मेंबर अपने पूरे क्षेत्र में गैस सिलेंडर के लिए oblige करने के लिए उपयोग करता था। एक साल में एक एमपी 25 सिलेंडर और यह सारा 2014 तक था। एमपी क्या मांग करते थे, साहब ये जो ट्रेन जा रही है ना, मेरे इलाके में एक स्टॉपेज दे देना, स्टॉपेज की मांग हो रही थी। यह सारी बातें मैं 2014 के पहले की कर रहा हूं, बहुत पुरानी नहीं कर रहा हूं। कांग्रेस ने देश के लोगों की Aspirations को कुचल दिया था। इसलिए देश के लोगों ने उम्मीद लगानी भी छोड़ दी थी, मान लिया था यार इनसे कुछ होना नहीं है, क्या कर रहा है।। लोग कहते थे कि भई ठीक है तुम इतना ही कर सकते हो तो इतना ही कर दो। और आज आप देखिए, हालात और सोच कितनी तेजी से बदल रही है। अब लोग जानते हैं कि कौन काम कर सकता है, कौन नतीजे ला सकता है, और यह सामान्य नागरिक नहीं, आप सदन के भाषण सुनोगे, तो विपक्ष भी यही भाषण करता है, मोदी जी ये क्यों नहीं कर रहे हो, इसका मतलब उनको लगता है कि यही करेगा।
साथियों,
आज जो एस्पिरेशन है, उसका प्रतिबिंब उनकी बातों में झलकता है, कहने का तरीका बदल गया , अब लोगों की डिमांड क्या आती है? लोग पहले स्टॉपेज मांगते थे, अब आकर के कहते जी, मेरे यहां भी तो एक वंदे भारत शुरू कर दो। अभी मैं कुछ समय पहले कुवैत गया था, तो मैं वहां लेबर कैंप में नॉर्मली मैं बाहर जाता हूं तो अपने देशवासी जहां काम करते हैं तो उनके पास जाने का प्रयास करता हूं। तो मैं वहां लेबर कॉलोनी में गया था, तो हमारे जो श्रमिक भाई बहन हैं, जो वहां कुवैत में काम करते हैं, उनसे कोई 10 साल से कोई 15 साल से काम, मैं उनसे बात कर रहा था, अब देखिए एक श्रमिक बिहार के गांव का जो 9 साल से कुवैत में काम कर रहा है, बीच-बीच में आता है, मैं जब उससे बातें कर रहा था, तो उसने कहा साहब मुझे एक सवाल पूछना है, मैंने कहा पूछिए, उसने कहा साहब मेरे गांव के पास डिस्ट्रिक्ट हेड क्वार्टर पर इंटरनेशनल एयरपोर्ट बना दीजिए ना, जी मैं इतना प्रसन्न हो गया, कि मेरे देश के बिहार के गांव का श्रमिक जो 9 साल से कुवैत में मजदूरी करता है, वह भी सोचता है, अब मेरे डिस्ट्रिक्ट में इंटरनेशनल एयरपोर्ट बनेगा। ये है, आज भारत के एक सामान्य नागरिक की एस्पिरेशन, जो विकसित भारत के लक्ष्य की ओर पूरे देश को ड्राइव कर रही है।
साथियों,
किसी भी समाज की, राष्ट्र की ताकत तभी बढ़ती है, जब उसके नागरिकों के सामने से बंदिशें हटती हैं, बाधाएं हटती हैं, रुकावटों की दीवारें गिरती है। तभी उस देश के नागरिकों का सामर्थ्य बढ़ता है, आसमान की ऊंचाई भी उनके लिए छोटी पड़ जाती है। इसलिए, हम निरंतर उन रुकावटों को हटा रहे हैं, जो पहले की सरकारों ने नागरिकों के सामने लगा रखी थी। अब मैं उदाहरण देता हूं स्पेस सेक्टर। स्पेस सेक्टर में पहले सबकुछ ISRO के ही जिम्मे था। ISRO ने निश्चित तौर पर शानदार काम किया, लेकिन स्पेस साइंस और आंत्रप्रन्योरशिप को लेकर देश में जो बाकी सामर्थ्य था, उसका उपयोग नहीं हो पा रहा था, सब कुछ इसरो में सिमट गया था। हमने हिम्मत करके स्पेस सेक्टर को युवा इनोवेटर्स के लिए खोल दिया। और जब मैंने निर्णय किया था, किसी अखबार की हेडलाइन नहीं बना था, क्योंकि समझ भी नहीं है। रिपब्लिक टीवी के दर्शकों को जानकर खुशी होगी, कि आज ढाई सौ से ज्यादा स्पेस स्टार्टअप्स देश में बन गए हैं, ये मेरे देश के युवाओं का कमाल है। यही स्टार्टअप्स आज, विक्रम-एस और अग्निबाण जैसे रॉकेट्स बना रहे हैं। ऐसे ही mapping के सेक्टर में हुआ, इतने बंधन थे, आप एक एटलस नहीं बना सकते थे, टेक्नॉलाजी बदल चुकी है। पहले अगर भारत में कोई मैप बनाना होता था, तो उसके लिए सरकारी दरवाजों पर सालों तक आपको चक्कर काटने पड़ते थे। हमने इस बंदिश को भी हटाया। आज Geo-spatial mapping से जुडा डेटा, नए स्टार्टअप्स का रास्ता बना रहा है।
साथियों,
न्यूक्लियर एनर्जी, न्यूक्लियर एनर्जी से जुड़े सेक्टर को भी पहले सरकारी कंट्रोल में रखा गया था। बंदिशें थीं, बंधन थे, दीवारें खड़ी कर दी गई थीं। अब इस साल के बजट में सरकार ने इसको भी प्राइवेट सेक्टर के लिए ओपन करने की घोषणा की है। और इससे 2047 तक 100 गीगावॉट न्यूक्लियर एनर्जी कैपेसिटी जोड़ने का रास्ता मजबूत हुआ है।
साथियों,
आप हैरान रह जाएंगे, कि हमारे गांवों में 100 लाख करोड़ रुपए, Hundred lakh crore rupees, उससे भी ज्यादा untapped आर्थिक सामर्थ्य पड़ा हुआ है। मैं आपके सामने फिर ये आंकड़ा दोहरा रहा हूं- 100 लाख करोड़ रुपए, ये छोटा आंकड़ा नहीं है, ये आर्थिक सामर्थ्य, गांव में जो घर होते हैं, उनके रूप में उपस्थित है। मैं आपको और आसान तरीके से समझाता हूं। अब जैसे यहां दिल्ली जैसे शहर में आपके घर 50 लाख, एक करोड़, 2 करोड़ के होते हैं, आपकी प्रॉपर्टी की वैल्यू पर आपको बैंक लोन भी मिल जाता है। अगर आपका दिल्ली में घर है, तो आप बैंक से करोड़ों रुपये का लोन ले सकते हैं। अब सवाल यह है, कि घर दिल्ली में थोड़े है, गांव में भी तो घर है, वहां भी तो घरों का मालिक है, वहां ऐसा क्यों नहीं होता? गांवों में घरों पर लोन इसलिए नहीं मिलता, क्योंकि भारत में गांव के घरों के लीगल डॉक्यूमेंट्स नहीं होते थे, प्रॉपर मैपिंग ही नहीं हो पाई थी। इसलिए गांव की इस ताकत का उचित लाभ देश को, देशवासियों को नहीं मिल पाया। और ये सिर्फ भारत की समस्या है ऐसा नहीं है, दुनिया के बड़े-बड़े देशों में लोगों के पास प्रॉपर्टी के राइट्स नहीं हैं। बड़ी-बड़ी अंतरराष्ट्रीय संस्थाएं कहती हैं, कि जो देश अपने यहां लोगों को प्रॉपर्टी राइट्स देता है, वहां की GDP में उछाल आ जाता है।
साथियों,
भारत में गांव के घरों के प्रॉपर्टी राइट्स देने के लिए हमने एक स्वामित्व स्कीम शुरु की। इसके लिए हम गांव-गांव में ड्रोन से सर्वे करा रहे हैं, गांव के एक-एक घर की मैपिंग करा रहे हैं। आज देशभर में गांव के घरों के प्रॉपर्टी कार्ड लोगों को दिए जा रहे हैं। दो करोड़ से अधिक प्रॉपर्टी कार्ड सरकार ने बांटे हैं और ये काम लगातार चल रहा है। प्रॉपर्टी कार्ड ना होने के कारण पहले गांवों में बहुत सारे विवाद भी होते थे, लोगों को अदालतों के चक्कर लगाने पड़ते थे, ये सब भी अब खत्म हुआ है। इन प्रॉपर्टी कार्ड्स पर अब गांव के लोगों को बैंकों से लोन मिल रहे हैं, इससे गांव के लोग अपना व्यवसाय शुरू कर रहे हैं, स्वरोजगार कर रहे हैं। अभी मैं एक दिन ये स्वामित्व योजना के तहत वीडियो कॉन्फ्रेंस पर उसके लाभार्थियों से बात कर रहा था, मुझे राजस्थान की एक बहन मिली, उसने कहा कि मैंने मेरा प्रॉपर्टी कार्ड मिलने के बाद मैंने 9 लाख रुपये का लोन लिया गांव में और बोली मैंने बिजनेस शुरू किया और मैं आधा लोन वापस कर चुकी हूं और अब मुझे पूरा लोन वापस करने में समय नहीं लगेगा और मुझे अधिक लोन की संभावना बन गई है कितना कॉन्फिडेंस लेवल है।
साथियों,
ये जितने भी उदाहरण मैंने दिए हैं, इनका सबसे बड़ा बेनिफिशरी मेरे देश का नौजवान है। वो यूथ, जो विकसित भारत का सबसे बड़ा स्टेकहोल्डर है। जो यूथ, आज के भारत का X-Factor है। इस X का अर्थ है, Experimentation Excellence और Expansion, Experimentation यानि हमारे युवाओं ने पुराने तौर तरीकों से आगे बढ़कर नए रास्ते बनाए हैं। Excellence यानी नौजवानों ने Global Benchmark सेट किए हैं। और Expansion यानी इनोवेशन को हमारे य़ुवाओं ने 140 करोड़ देशवासियों के लिए स्केल-अप किया है। हमारा यूथ, देश की बड़ी समस्याओं का समाधान दे सकता है, लेकिन इस सामर्थ्य का सदुपयोग भी पहले नहीं किया गया। हैकाथॉन के ज़रिए युवा, देश की समस्याओं का समाधान भी दे सकते हैं, इसको लेकर पहले सरकारों ने सोचा तक नहीं। आज हम हर वर्ष स्मार्ट इंडिया हैकाथॉन आयोजित करते हैं। अभी तक 10 लाख युवा इसका हिस्सा बन चुके हैं, सरकार की अनेकों मिनिस्ट्रीज और डिपार्टमेंट ने गवर्नेंस से जुड़े कई प्रॉब्लम और उनके सामने रखें, समस्याएं बताई कि भई बताइये आप खोजिये क्या सॉल्यूशन हो सकता है। हैकाथॉन में हमारे युवाओं ने लगभग ढाई हज़ार सोल्यूशन डेवलप करके देश को दिए हैं। मुझे खुशी है कि आपने भी हैकाथॉन के इस कल्चर को आगे बढ़ाया है। और जिन नौजवानों ने विजय प्राप्त की है, मैं उन नौजवानों को बधाई देता हूं और मुझे खुशी है कि मुझे उन नौजवानों से मिलने का मौका मिला।
साथियों,
बीते 10 वर्षों में देश ने एक new age governance को फील किया है। बीते दशक में हमने, impact less administration को Impactful Governance में बदला है। आप जब फील्ड में जाते हैं, तो अक्सर लोग कहते हैं, कि हमें फलां सरकारी स्कीम का बेनिफिट पहली बार मिला। ऐसा नहीं है कि वो सरकारी स्कीम्स पहले नहीं थीं। स्कीम्स पहले भी थीं, लेकिन इस लेवल की last mile delivery पहली बार सुनिश्चित हो रही है। आप अक्सर पीएम आवास स्कीम के बेनिफिशरीज़ के इंटरव्यूज़ चलाते हैं। पहले कागज़ पर गरीबों के मकान सेंक्शन होते थे। आज हम जमीन पर गरीबों के घर बनाते हैं। पहले मकान बनाने की पूरी प्रक्रिया, govt driven होती थी। कैसा मकान बनेगा, कौन सा सामान लगेगा, ये सरकार ही तय करती थी। हमने इसको owner driven बनाया। सरकार, लाभार्थी के अकाउंट में पैसा डालती है, बाकी कैसा घर बनेगा, ये लाभार्थी खुद डिसाइड करता है। और घर के डिजाइन के लिए भी हमने देशभर में कंपीटिशन किया, घरों के मॉडल सामने रखे, डिजाइन के लिए भी लोगों को जोड़ा, जनभागीदारी से चीज़ें तय कीं। इससे घरों की क्वालिटी भी अच्छी हुई है और घर तेज़ गति से कंप्लीट भी होने लगे हैं। पहले ईंट-पत्थर जोड़कर आधे-अधूरे मकान बनाकर दिए जाते थे, हमने गरीब को उसके सपनों का घर बनाकर दिया है। इन घरों में नल से जल आता है, उज्ज्वला योजना का गैस कनेक्शन होता है, सौभाग्य योजना का बिजली कनेक्शन होता है, हमने सिर्फ चार दीवारें खड़ी नहीं कीं है, हमने उन घरों में ज़िंदगी खड़ी की है।
साथियों,
किसी भी देश के विकास के लिए बहुत जरूरी पक्ष है उस देश की सुरक्षा, नेशनल सिक्योरिटी। बीते दशक में हमने सिक्योरिटी पर भी बहुत अधिक काम किया है। आप याद करिए, पहले टीवी पर अक्सर, सीरियल बम ब्लास्ट की ब्रेकिंग न्यूज चला करती थी, स्लीपर सेल्स के नेटवर्क पर स्पेशल प्रोग्राम हुआ करते थे। आज ये सब, टीवी स्क्रीन और भारत की ज़मीन दोनों जगह से गायब हो चुका है। वरना पहले आप ट्रेन में जाते थे, हवाई अड्डे पर जाते थे, लावारिस कोई बैग पड़ा है तो छूना मत ऐसी सूचनाएं आती थी, आज वो जो 18-20 साल के नौजवान हैं, उन्होंने वो सूचना सुनी नहीं होगी। आज देश में नक्सलवाद भी अंतिम सांसें गिन रहा है। पहले जहां सौ से अधिक जिले, नक्सलवाद की चपेट में थे, आज ये दो दर्जन से भी कम जिलों में ही सीमित रह गया है। ये तभी संभव हुआ, जब हमने nation first की भावना से काम किया। हमने इन क्षेत्रों में Governance को Grassroot Level तक पहुंचाया। देखते ही देखते इन जिलों मे हज़ारों किलोमीटर लंबी सड़कें बनीं, स्कूल-अस्पताल बने, 4G मोबाइल नेटवर्क पहुंचा और परिणाम आज देश देख रहा है।
साथियों,
सरकार के निर्णायक फैसलों से आज नक्सलवाद जंगल से तो साफ हो रहा है, लेकिन अब वो Urban सेंटर्स में पैर पसार रहा है। Urban नक्सलियों ने अपना जाल इतनी तेज़ी से फैलाया है कि जो राजनीतिक दल, अर्बन नक्सल के विरोधी थे, जिनकी विचारधारा कभी गांधी जी से प्रेरित थी, जो भारत की ज़ड़ों से जुड़ी थी, ऐसे राजनीतिक दलों में आज Urban नक्सल पैठ जमा चुके हैं। आज वहां Urban नक्सलियों की आवाज, उनकी ही भाषा सुनाई देती है। इसी से हम समझ सकते हैं कि इनकी जड़ें कितनी गहरी हैं। हमें याद रखना है कि Urban नक्सली, भारत के विकास और हमारी विरासत, इन दोनों के घोर विरोधी हैं। वैसे अर्नब ने भी Urban नक्सलियों को एक्सपोज करने का जिम्मा उठाया हुआ है। विकसित भारत के लिए विकास भी ज़रूरी है और विरासत को मज़बूत करना भी आवश्यक है। और इसलिए हमें Urban नक्सलियों से सावधान रहना है।
साथियों,
आज का भारत, हर चुनौती से टकराते हुए नई ऊंचाइयों को छू रहा है। मुझे भरोसा है कि रिपब्लिक टीवी नेटवर्क के आप सभी लोग हमेशा नेशन फर्स्ट के भाव से पत्रकारिता को नया आयाम देते रहेंगे। आप विकसित भारत की एस्पिरेशन को अपनी पत्रकारिता से catalyse करते रहें, इसी विश्वास के साथ, आप सभी का बहुत-बहुत आभार, बहुत-बहुत शुभकामनाएं।