রধানমন্ত্রী ঝাড়খন্ড, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মেঘালয় এবং অন্যান্য রাজ্যের যেসব জেলায় টিকাকরণের হার কম এ রকম ৪০ জন জেলাশাসকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন
এ বছরের মধ্যে দেশজুড়ে টিকাকরণ অভিযান জোরদার করতে সমস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে নতুন বছরে নতুন আত্মবিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে প্রবেশ করা যায়
“এখন আমাদের প্রত্যেক বাড়িতে টিকাকরণ অভিযানকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রত্যেক বাড়িতে ‘হর ঘর দস্তক’ মন্ত্রে পৌঁছাতে হবে, যেসব বাড়িতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ায় সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়নি সেখানে পৌঁছাতে হবে”
“তৃণমূল স্তরে কৌশল তৈরি করতে হবে, স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলি জেনে সকলে যাতে টিকা পান সেই দিকটি নিশ্চিত করতে হবে”
“আপনাদের জেলা যাতে জাতীয় হারের কাছাকাছি পৌঁছায় তার জন্য সব রকমের চেষ্টা করতে হবে”
“আপনারা স্থানীয় স্তরে ধর্মীয় নেতাদের থেকে বেশি সাহায্য পেতে পারেন। সব ধর্মের নেতৃবৃন্দ সর্বদা টিকাকরণের পক্ষে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন”
“যাঁরা নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি, আপনাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাঁদের কাছে

এই বৈঠকে সমস্ত বন্ধুরা যে বক্তব্য রেখেছেন, যে অভিজ্ঞতাগুলির কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেখতে পাচ্ছি যে আপনাদের মনেও সেই ভাবনা রয়েছে যে আপনার রাজ্য, আপনার জেলা, আপনার এলাকা যেন দ্রুত এই সঙ্কট থেকে মুক্ত হয়ে যায়। এই দীপাবলির উৎসবে আমি মুখ্যমন্ত্রীদের ব্যস্ততা বুঝতে পারি। তারপরেও সমস্ত সম্মানিত মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তাঁরা সময় বের করে আমাদের সঙ্গে বসেছেন। এটা সত্যি যে আমি জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলাম, আমি মুখ্যমন্ত্রীদের বিরক্ত করতে চাইছিলাম না, কিন্তু এটা একটা দায়বদ্ধতা। মুখ্যমন্ত্রীদের হৃদয়েও তাঁদের রাজ্যে ১০০ শতাংশ টিকাকরণের যে লক্ষ্য রয়েছে, সেজন্য প্রত্যেক সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রী আজ আমাদের সঙ্গে বসেছেন আর তাঁদের উপস্থিতিতেই আমাদের জেলার আধিকারিকরা একটি নতুন বিশ্বাস, নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নতুন শক্তি যুগিয়েছেন। আমার জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। সেজন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, তাঁরা এই বৈঠককে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন, আর উৎসবের দিনেও আমাদের সঙ্গে বসেছেন।

আমি অন্তর থেকে সমস্ত সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজ যে আলোচনা হয়েছে, এখন মুখ্যমন্ত্রীদের আশীর্বাদ পেয়ে এই কর্মযজ্ঞ অনেক দ্রুতগতিতে ত্বরান্বিত হবে এবং আমরা পরিণাম দেখতে পাব। আমি বলতে চাই, আজ পর্যন্ত যতটা উন্নতি আমরা করেছি, তা সবই আপনাদের পরিশ্রমের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। আজ সমস্ত জেলা, সব গ্রাম, ছোট, বড় সমস্ত আধিকারিক, আমাদের আশা কর্মী – তাঁরা কতটা পরিশ্রম করেছেন, কত দূর দূর এলাকায় পায়ে হেঁটে তবেই গিয়ে মানুষকে টিকা দিয়েছেন। কিন্তু ১০০ কোটির পর আমরা যদি একটুও ঢিলে দিই, তাহলে নতুন সঙ্কট আসতে পারে। আর সেজন্য আমাদের দেশে বলে – রোগ এবং শত্রুকে কখনও ছোট করে দেখা উচিৎ নয়, তাদের শেষ দেখে ছাড়তে হয়। সেজন্য আমি চাই যে আমাদের সামান্যতম ঢিলেমি দিলে চলবে না।

বন্ধুগণ,

১০০ বছরের সবচাইতে বড় এই মহামারীর সময় দেশ অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে একটি বিশেষত্ব হল যে আমরা নতুন নতুন সমাধান খুঁজেছি, উদ্ভাবক পদ্ধতিতে সমাধানের চেষ্টা করেছি। প্রত্যেক এলাকার মানুষ নিজেদের মাথা থেকে নতুন নতুন বিষয় বের করেছেন। আপনাদেরকেও নিজেদের জেলায় টিকাকরণ বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবক পদ্ধতিতে আরও বেশি কাজ করতে হবে। নতুন পদ্ধতি, নতুন উৎসাহ, নতুন প্রযুক্তি এই অভিযানে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে থাকবে। আপনাদের এটাও মনে রাখতে হবে, যে রাজ্যগুলি ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজের লক্ষ্য পূরণ করেছে, তাদেরকেও অনেক জায়গায় নানা ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কোথাও ভৌগোলিক প্রতিকূলতা, কোথাও সম্পদ ও সরঞ্জামের সমস্যা। কিন্তু সেই জেলাগুলি এই প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই এগিয়ে গেছে। টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই কয়েক মাসের অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের রয়েছে। আমরা অনেক কিছু শিখেছি, এবং একটি অজানা শত্রুর বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করা যেতে পারে - এটা আমাদের ছোট ছোট আশা কর্মীরাও শিখে নিয়েছেন। এখন আপনাদের মাইক্রো-স্ট্র্যাটেজি বানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এখন আমরা রাজ্যের হিসাব, জেলার হিসাব ভুলে যাব। আমাদের প্রত্যেক গ্রাম, প্রতিটি পাড়ায় খোঁজ নিতে হবে। যদি কোথাও চার ঘর বাকি থেকে থাকে, তাহলে আমাদের আলাদাভাবে ওই চারটি বাড়ির জন্য যেতে হবে, আর লক্ষ্য পূরণ করতে হবে। যেখানে যত ধরনের ত্রুটি রয়েছে সেগুলি দ্রুত দূর করতে হবে। যেমন, একটু আগেই আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে স্পেশাল ক্যাম্প চালু করার প্রসঙ্গ উঠেছিল। এটা খুবই ভালো ভাবনা। আপনাদের জেলাগুলিতে এক একটি গ্রাম, এক একটি জনপদের জন্য যদি ভিন্ন ভিন্ন রণনীতি নিতে হয়, তাহলে তাই করুন! আপনাদের এলাকার হিসেবে ২০-২৫ জনের টিম বানিয়েও এরকম করতে পারেন। আপনারা ইতিমধ্যেই যে টিমগুলি বানিয়েছেন, সেগুলির মধ্যে যেন একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকে। এর চেষ্টাও আমরা করতে পারি। আমাদের এনসিসি-এনএসএস-এর যে যুব বন্ধুরা রয়েছেন, আপনারা তাঁদের থেকে যত বেশি সংখ্যক সাহায্য নিতে পারেন। আপনারা নিজের নিজের জেলায় এলাকা-ভিত্তিক টাইম-টেবিল চালু করতে পারেন। আপনাদের স্থানীয় লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আমি তৃণমূলস্তরে আমাদের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, যে মহিলা আধিকারিকরা টিকাকরণ অভিযানে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা আপ্রাণ পরিশ্রম করছেন এবং ভালো সাফল্য পেয়েছেন। আমাদের সরকারের মহিলা কর্মীরা, এমনকি মহিলা পুলিশকেও কখনও কখনও ৫-৭ দিনের জন্য এই কাজে নিয়ে যান। আপনারা দেখবেন দ্রুত পরিণাম পাবেন। আপনাদের জেলাগুলি যত দ্রুত জাতীয় গড়ের কাছাকাছি পৌঁছবে, ততই আপনাদের অভিযানের গতি যেন ত্বরান্বিত হতে থাকে, আর এক সময় আপনাদের এই জাতীয় গড়ের থেকেও দ্রুত এগোনোর লক্ষ্যে সমস্ত শক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি জানি যে আপনাদের সামনে নানারকম গুজব এবং মানুষের মনে নানা ধরনের ভ্রম ছড়ানোর পরিস্থিতিও রয়েছে। আমরা যত এগিয়ে যাব, ততই আমাদের সামনে এই সমস্যাসম্পন্ন নির্দিষ্ট এলাকাগুলি স্পষ্ট হবে। আমাদের কথোপকথনের সময়েই আপনাদের মধ্যে কয়েকজন এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এর একটি বড় সমাধান হল জনগণকে বেশি করে সচেতন করতে হবে। আপনারা এই অভিযানে স্থানীয় ধর্মগুরুদেরকেও যুক্ত করুন, তাঁদের সাহায্য নিন। প্রত্যেক বাড়িতে সংশ্লিষ্ট ধর্মগুরুদেরকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করুন। ধর্মগুরুরা যাতে তাঁদের শিষ্যদের বোঝান, সেজন্য আপনারা চেষ্টা করুন। এলাকা বড় হলে, তাঁদের মুখ দিয়ে ২-৩ মিনিটের ভিডিও তৈরি করে সেই ভিডিওগুলিকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এলাকার ফোনে ফোনে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করুন, জনপ্রিয় করুন। আমি তো প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের ও মতের গুরুদের সঙ্গে দেখা করি। আমি গোড়া থেকেই সমস্ত ধর্মগুরুদের সঙ্গে কথা বলে এ কাজে তাঁদের সাহায্যের আবেদন রেখেছি। সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, কেউ বিরোধিতা করেননি। এই তো দু’দিন আগেই ভ্যাটিক্যান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। টিকাকরণ নিয়ে ধর্মগুরুদের বার্তাকেও আমরা জনগণের কাছে গুরুত্ব দিয়ে পৌঁছে দিতে হবে।

বন্ধুগণ,

আপনাদের জেলাগুলিতে বসবাসকারী মানুষের সাহায্যের জন্য, তাঁদেরকে প্রেরণা যোগানোর জন্য টিকাকরণ অভিযানকে এখন প্রত্যেক বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন। প্রত্যেক বাড়িতে কড়া নেড়ে তাঁদেরকে খুঁজে বের করুন, যাঁরা এখনও সম্পূর্ণ সুরক্ষা কবচ পাননি। এতদিন পর্যন্ত আপনারা সবাইকে টিকাকরণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং তাঁদের নিরাপদ টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছেন। এখন ‘প্রত্যেক বাড়িতে টিকা, বাড়িতে বাড়িতে টিকা’ – এই উদ্দীপনা আমাদের প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে।

বন্ধুগণ,

এই অভিযানের সাফল্যের খাতিরে আমাদের যোগাযোগের জন্য প্রযুক্তি থেকে শুরু করে আপনাদের সামাজিক পরিকাঠামোকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের কাছে দেশের অনেক রাজ্যে, অনেক জেলায় এমন মডেল রয়েছে, যেগুলিকে দূরদুরান্তের গ্রাম থেকে শুরু করে শহরগুলিতে ১০০ শতাংশ টিকাকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। সামাজিক কিংবা ভৌগোলিক পরিস্থিতির হিসেবে যে মডেল আপনাদের জন্য কিংবা বিশেষ কোনও অঞ্চলের জন্য অনুকূল হবে, সেটাকেই আপনারা বেছে নিন। আরেকটি কাজ আপনারা করতে পারেন। আপনাদের সহযোগীরা ও বন্ধুরা অন্যান্য জেলায় যে দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ অভিযান চালিয়েছেন, এমনও হতে পারে যে আপনারা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁরাও এই ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছিলেন। আপনারা তাঁদের কাছ থেকেও জানুন যে কিভাবে তাঁরা টিকাকরণের গতি বাড়িয়েছিলেন, কিভাবে তাঁরা সমস্যাগুলির সমাধান করেছিলেন। কোন ধরনের নতুন পদ্ধতি বেছে নিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেও আপনাদের জেলায় অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। যদি তাঁরা নিজের জেলায় উদ্ভাবক কিছু করে থাকেন, কিছু ভালো উপায় বের করে থাকেন যেটা আপনার জেলার পরিস্থিতির অনুকূল, তাহলে আপনারাও সেটাকে আপন করে নিতে পারেন। আমাদের যত আদিবাসী-বনবাসী বন্ধুরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য টিকাকরণ অভিযানকে আরও জোরদার করতে হবে। আমাদের এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা একটা অনেক বড় বিষয়। আমাদের কিছু দিনও ঠিক করতে হবে। যেমন সামনেই রয়েছে বিরসা মুন্ডাজির জন্মজয়ন্তী। বিরসা মুন্ডাজির জয়ন্তীর আগে গোটা আদিবাসী এলাকায় এমন আবহ সৃষ্টি করুন, মানুষকে বলুন যে আমরা বিরসা মুন্ডাজির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি রূপে এবার টিকাকরণ অভিযান চালাব। এ ধরনের কিছু আবেগপ্রবণ বিষয়ের সঙ্গে যদি আমরা যুক্ত হই, তাহলে আমার মতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সম্পূর্ণ টিকাকরণের ক্ষেত্রে আমরা অনেক বড় সাফল্য পাব। টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আমরা যতটা সরল করে তুলতে পারব, স্থানীয় ভাষায় যত বেশি কথা বলব, ততই সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাব। আমি দেখেছি যে অনেকেই এই বিষয় নিয়ে গান বানিয়েছেন। গ্রামীণ ভাষায় সেই গানগুলি গাইতে গাইতে টিকাকরণের কথাও বলছেন। এর মাধ্যমে উন্নত পরিণাম অবশ্যই আসবে।

 

বন্ধুগণ,

প্রত্যেক বাড়িতে কড়া নাড়ার সময় প্রথম ডোজের পাশাপাশি আপনাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও ভাবতে হবে। কারণ, যখনই সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে, তখন অনেক সময় ‘আর্জেন্সি’র ভাবনাটাও হ্রাস পায়। মানুষের মনে হয়, এত তাড়ার কী আছে? টিকা নিয়ে নেবখন! আমার মনে আছে, যেদিন আমরা ১০০ কোটি অতিক্রম করলাম, সেদিন আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে এরকম এক ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁকে আমি জিজ্ঞাসা করি যে এতদিন কেন টিকা নেননি? তিনি বলতে শুরু করেন যে আমি তো পালোয়ান, আমার মনে যখনই এই বিষয়টা এসেছে তখন ভেবেছি কিসের প্রয়োজন? কিন্তু এখন যখন ১০০ কোটি হয়ে গেছে, তখন আমার মনে হয় যে টিকা না নিলে আমাকে সবাই অচ্ছূৎ ভাববে, মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করবে!

আমি বলতে চাই যে আমাদের কোনও পরিস্থিতিতেই মানুষের ভাবনাচিন্তাকে শ্লথ হতে দিলে চলবে না। এই ভাবনার কারণেই বিশ্বের অনেক দেশে… আপনারা দেখুন, ভালো ভালো সমৃদ্ধ দেশেও আরেকবার করোনার কামড় চিন্তার সৃষ্টি করেছে। আমাদের মতো দেশের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি, আমরা একে স্বীকার করতে পারব না, আমরা সহ্যও করতে পারব না। সেজন্য টিকার উভয় ডোজ নির্ধারিত সময়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের এলাকার যে নাগরিকদের এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় সম্পূর্ণ হওয়ার পরও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাঁদেরকেও আপনাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যোগাযোগ রাখতে হবে, নির্ধারিত দিনে তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দিতেই হবে।

বন্ধুগণ,

‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযানের মাধ্যমে আমরা একদিনে প্রায় ২.৫ কোটি টিকার ডোজ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা আমাদের শক্তি অনুভব করেছি। এ থেকে বোঝা যায় যে আমাদের সামর্থ্য কতটা। টিকাকে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে সরবরাহ শৃঙ্খল নেটওয়ার্কের প্রয়োজন, তা এখন প্রস্তুত। এ মাসে কত টিকা উৎপাদিত হবে তার বিস্তারিত তথ্যও প্রত্যেক রাজ্যকে অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আপনারা নিজের নিজের সুবিধা অনুসারে এ মাসের জন্য নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। আমি আরেকবার বলছি, এ বছর ১০০ কোটি ডোজের পর দীপাবলি পালনের উদ্দীপনা এসেছে। আমাদের নতুন লক্ষ্য পার করে ক্রিস্টমাসও অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করতে হবে আর এই মেজাজ নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।

অবশেষে আমি আপনাদের মতো সকল বন্ধুকে একটি কথা মনে করাতে চাই। আপনারা সেদিনের কথা ভাবুন, যে দিনটি আপনাদের সরকারি চাকরিতে প্রথমদিন ছিল। আমি সমস্ত জেলা আধিকারিকদের প্রতি, তাঁদের সঙ্গে বসে থাকা টিমগুলির সকলকেও অন্তর থেকে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা কল্পনা করুন, যেদিন আপনাদের প্রথম ডিউটি ছিল বা যেদিন আপনারা মুসৌরি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন তখন আপনাদের মনে কোন ভাবনা-চিন্তাগুলি ভরে ছিল। আপনাদের উদ্দীপনা কেমন ছিল? কোন স্বপ্ন দেখছিলেন! আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের প্রত্যেকের মনেই এই ইচ্ছা ছিল যে আপনারা কিছু ভালো কাজ করবেন, আর কিছু করবেন না। সমাজের জন্য আপ্রাণ পরিশ্রম করবেন।

আপনারা আরেকবার সেই স্বপ্নগুলির কথা ভাবুন, সেই সঙ্কল্পগুলি মনে করুন। তারপর ঠিক করুন যে সমাজে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছে, যাঁরা বঞ্চিত, তাঁদের জন্য জীবন সমর্পণ করার এর থেকে বড় সুযোগ আর হতে পারে না। এই ভাবনার কথা মনে করে আপনারা লেগে পড়ুন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অত্যন্ত দ্রুত আপনাদের জেলাগুলিতে টিকাকরণের গতি বাড়বে। আসুন, প্রত্যেক বাড়িতে দরজার কড়া নাড়ি, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকা অভিযানকে আমরা সাফল্যমণ্ডিত করি। আজ দেশের যত মানুষ আমাকে শুনছেন, আপনাদেরকেও আহ্বান জানাই, আপনারাও এগিয়ে আসুন। আপনারা নিজেরা যদি টিকা নিয়ে থাকেন তাহলে খুব ভালো কথা, কিন্তু আপনারা অন্যদের টিকা প্রদানের জন্যও পরিশ্রম করুন। ঠিক করুন যে প্রত্যেকদিন পাঁচজন, দশজন কিংবা দু’জনকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করবেন। এটা মানবতার কাজ, এটা ভারতমাতার সেবার কাজ, ১৩০ কোটি দেশবাসীর কল্যাণের কাজ। আপনারাও এগিয়ে আসুন। আপনারা টিকা নিয়েছেন খুব ভালো কথা। আমরা যদি চেষ্টা করি, এবারে আমাদের দীপাবলি এই সঙ্কল্পগুলির দীপাবলি হয়ে উঠতে পারে।

আমরা সবাই স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি পালন করছি। এই স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি যেন আনন্দে ভরে ওঠে, আত্মবিশ্বাসে ভরে ওঠে, একটি নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ভরে ওঠে তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের আর খুব কম সময়ের মধ্যেই এই পরিশ্রম করতে হবে। আপনাদের সকলের ওপর আমার ভরসা আছে। আপনাদের মতো নবীন টিমের ওপর আমার ভরসা আছে, আর সেজন্য আমি জেনেশুনে বিদেশ থেকে ফিরেই দেশের এই টিকার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদেরও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা এটা প্রমাণ করে যে আমাদের এই বৈঠকটির গুরুত্ব কত বেশি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীরাও এটা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আমি সমস্ত সম্মানিত মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। নমস্কার!

 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।