Rajmata Scindia proved that for people's representatives not 'Raj Satta' but 'Jan Seva' is important: PM
Rajmata had turned down many posts with humility: PM Modi
There is lots to learn from several aspects of Rajmata's life: PM Modi

নমস্কার!

 

আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সমস্ত সহযোগীবৃন্দ, ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীগণ, দেশে ও বিদেশে রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়ার প্রশংসক ও পরিবারের সদস্যগণ, তাঁর প্রিয় মানুষেরা এবং আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

 

আজ এখানে এই অনুষ্ঠানে আসার আগে আমি বিজয়া রাজেজির জীবনের বিভিন্ন ঘটনা পড়ছিলাম। কয়েকটি পাতায় আমার নজর আটকে যায়। সেখানে একটা প্রসঙ্গ ছিল 'একতা যাত্রা'র, যাতে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল গুজরাটের একজন যুব নেতা নরেন্দ্র মোদী হিসেবে।

 

আজ এত বছর পর তাঁর সেই নরেন্দ্র দেশের প্রধান সেবক হয়ে, তাঁর অনেক স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে আপনাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারা হয়তো জানেন, যখন কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত যাত্রা শুরু হয়েছিল ডঃ মুরলী মনোহর যোশীর নেতৃত্বে, আমি সেই যাত্রার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছিলাম।

 

রাজমাতাজি সেই কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কন্যাকুমারী এসেছিলেন। আর তারপর যখন আমরা শ্রীনগর যাচ্ছিলাম, তখন জম্মুতে তিনি আমাদের বিদায় জানাতে এসেছিলেন আর তিনি লাগাতার আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমাদের স্বপ্ন ছিল শ্রীনগরের লালচকে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন। আমাদের লক্ষ্য ছিল সংবিধানের ৩৭০ ধারা থেকে মুক্তি। রাজমাতাজি সেই যাত্রা শুরু করিয়েছিলেন, যে স্বপ্ন তিনি সেদিন দেখেছিলেন, তা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। আজ যখন বইয়ের পাতায় তাঁর জীবনের কথা পড়ছিলাম, আমার দু- চোখ জলে ভরে আসছিল।

বইয়ের এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “একদিন এই শরীর এখানেই থেকে যাবে, আত্মা যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যাবে … শূণ্য থেকে শূণ্যে। স্মৃতিগুলি শুধু থেকে যাবে। নিজের এই স্মৃতিগুলিকে আমি তাঁদের জন্য রেখে যাব, যাঁরা আমার কথার মূল্য দিয়েছেন, যাঁদেরকে আমি মূল্য দিয়েছি!”

 

আজ রাজমাতাজি যেখানেই থাকুন, আমাদের দেখছেন, আমাদের আশীর্বাদ করছেন। আমরা সবাই যত শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তিনি শ্রদ্ধা পাচ্ছেন, তিনি এখানেও এই বিশেষ কর্মসূচিতে কিছু মানুষের মাধ্যমে পৌঁছে গেছেন এবং উপস্থিতও আছেন। আর দেশের অনেক অংশে কোণায় কোণায় এই অনুষ্ঠানটি ভার্চ্যুয়ালি পালন করা হচ্ছে।

 

আমাদের মধ্যে অনেকেই তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হওয়ার, তাঁর সেবা–ধর্ম, তাঁর বাৎসল্য অনুভব করার সৌভাগ্য লাভ করেছি। আজ তাঁর পরিবারে, তাঁর ঘনিষ্ঠজনেদের অনেকেই এই অনুষ্ঠানে রয়েছেন। কিন্তু তাঁর জন্য আমরা সবাই, প্রত্যেক দেশবাসীই তাঁর পরিবারের মানুষই ছিলাম। রাজমাতাজি বলতেন, "আমি এক পুত্রের নয়। আমি তো সহস্র পুত্রের মা। তাঁদের ভালোবাসায় আমি আকন্ঠ ডুবে থাকি।" আমরা সবাই তাঁর পুত্র–কন্যাদের অন্যতম, তাঁর পরিবারের অংশ।

 

এটা আমার অত্যন্ত বড় সৌভাগ্য যে রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়াজির স্মৃতিতে ১০০ টাকার বিশেষ স্মারক মুদ্রা উন্মোচনের সৌভাগ্য আমার হচ্ছে। যদিও আমি নিজেকে আজ অত্যন্ত বাধিত অনুভব করছি, অনেক বাধিত অনুভব করছি, কারণ আমি জানি যদি করোনা মহামারী না থাকত, আজ এই কর্মসূচির স্বরূপ কত বড় হত, কত জাঁকজমকপূর্ণ হত। কিন্তু একথা অবশ্যই মানি, আমার সঙ্গে রাজমাতার যেরকম সম্পর্ক ছিল, অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ না হতে পারলেও, এটি পবিত্র হয়ে উঠেছে।

 

বন্ধুগণ,

 

বিগত শতাব্দীতে ভারতকে যাঁরা পথ দেখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া। রাজমাতাজি শুধুই বাৎসল্যের প্রতিমূর্তি ছিলেন না, তিনি একজন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নেত্রী ছিলেন এবং কুশল প্রশাসকও ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পর অনেক দশক ধরে, ভারতীয় রাজনীতির প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের তিনি সাক্ষী ছিলেন। স্বাধীনতার আগে বিদেশি বস্ত্রের হোলি বা বহ্ন্যুৎসব থেকে শুরু করে জরুরি অবস্থা এবং রাম মন্দির আন্দোলন পর্যন্ত, রাজমাতার অভিজ্ঞতার ব্যাপক বিস্তার আমাদেরকে ঋদ্ধ করেছে।

আমরা সবাই তাঁর সঙ্গে এসে যুক্ত হচ্ছিলাম, যাঁরা তাঁর ঘনিষ্ঠ। তিনি সেটা খুব ভালোভাবেই জানতেন, তার সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলিও খুব ভালোভাবেই জানতেন। কিন্তু এটাও অত্যন্ত জরুরি যে রাজমাতার জীবনযাত্রাকে, তাঁর জীবনের বার্তাগুলিকে দেশের বর্তমান প্রজন্মও জানুক, তার থেকে প্রেরণা নিক, তার থেকে শিখুক। সেজন্য তাঁর সম্পর্কে এবং তাঁর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বারবার কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিছুদিন আগে 'মন কি বাত' কর্মসূচিতে আমি অনেকটাই বিস্তারিতভাবে তাঁর ভালোবাসা নিয়ে চর্চা করেছিলাম।

 

বিয়ের আগে রাজামাতাজি কোনও রাজপরিবারের মেয়ে ছিলেন না। একটি সামান্য পরিবারের মেয়ে ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর তিনি সবাইকে নিজের করে নিয়েছেন এবং এই শিক্ষা দিয়েছেন যে জনসেবার জন্য, রাজকীয় দায়িত্বের জন্যও কোনও বিশেষ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা জরুরি নয়।

 

যে কোনও সাধারণ মানুষের মধ্যে যদি যোগ্যতা থাকে, প্রতিভা থাকে, দেশসেবার ভাবনা থাকে – তিনিই এই গণতন্ত্রের শাসন প্রণালীকে নিজের জীবনের সেবার মাধ্যম করে তুলতে পারেন। আপনারা কল্পনা করুন, তাঁর হাতে শাসন ক্ষমতা ছিল, সম্পত্তি ছিল, সামর্থ্য ছিল, কিন্তু সেই সবকিছু থেকে এগিয়ে রাজমাতার যে মূল সম্পদ ছিল তা হল তাঁর শিষ্টাচার, সেবা এবং ভালোবাসার ঝর্ণাধারা।

 

এই ভাবনা, এই আদর্শ তাঁর জীবনের প্রত্যেক পদক্ষেপে আমরা দেখতে পাই। এতবড় রাজ ঘরাণার হর্তা–কর্তা রূপে তাঁর ৫ হাজারেরও বেশি কর্মচারী ছিল। বিশাল মহল ছিল, সমস্ত সুযোগ–সুবিধা ছিল। কিন্তু তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে, গ্রাম–গরীবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের জন্য নিজের জীবন সমর্পণ করে দিয়েছেন।

 

রাজমাতা এটা প্রমাণ করেছেন যে, জনপ্রতিনিধির জন্য রাজসত্ত্বা নয়, জনসেবা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একটি রাজ পরিবারের মহারাণী ছিলেন। রাজশাহী পরম্পরার অঙ্গ ছিলেন। কিন্তু তিনি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সংঘর্ষকেই জীবনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি জেলে কাটিয়েছেন।

 

জরুরি অবস্থার সময় তিনি যে অত্যাচার সহ্য করেছেন তার সাক্ষী আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছি। জরুরি অবস্থার সময়েই তিহার জেল থেকে তিনি নিজের মেয়েদেরকে চিঠি লিখতেন, সম্ভবত, ঊষা রাজেজি, বসুন্ধরা রাজে কিংবা যশোধরা রাজেজির সেই চিঠিগুলির কথা মনে আছে। রাজমাতাজি সেই চিঠিগুলিতে যা লিখেছিলেন, তাতে আমাদের সকলের জন্য অনেক বড় শিক্ষা ছিল। তিনি লিখেছিলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বুক চিতিয়ে বাঁচার প্রেরণা জোগাতে আমাদের আজকের বিপদকে ধৈর্য্যের সঙ্গে সহ্য করা উচিৎ।”

 

রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য রাজামাতা নিজের বর্তমান সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি নিজের সমস্ত সুখ ত্যাগ করেছিলেন। রাজমাতা কোনও পদ এবং প্রতিষ্ঠার জন্য বেঁচে থাকেননি, রাজনীতিকে পথ হিসেবে বেছে নেননি। এরকম অনেক সুযোগ এসেছে যখন অনেক বড় পদ তাঁর সামনে এসে চলে গেছে। কিন্তু তিনি বিনম্রতার সঙ্গে সেই পদকে গ্রহণ করেননি। একবার স্বয়ং অটলবিহারী বাজপেয়ীজি এবং লালকৃষ্ণ আদবানিজি তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি জনসঙ্ঘের অধ্যক্ষের পদ অলঙ্কৃত করেন। কিন্তু একজন কর্মী হিসেবে জনসঙ্ঘের সেবা করার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

 

রাজমাতাজি চাইলে এদেশে একটার থেকে একটা বড় পদে পৌঁছনো তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল না। কিন্তু তিনি মানুষের মাঝে থেকে গ্রাম এবং গরীবের সঙ্গে যুক্ত থেকে তাঁদের সেবা করা পছন্দ করতেন।

 

বন্ধুগণ,

 

আমরা রাজমাতার জীবনের প্রতিটি অংশ থেকে প্রতি মুহূর্তে অনেক কিছু শিখতে পারি। তাঁর এমন অনেক গল্প আছে, জীবনের অসংখ্য ঘটনা আছে যা তাঁর ঘনিষ্ঠ মানুষেরা সবাইকে বলে যান।

 

‘একতা যাত্রা'রই আরেকটি গল্প। যখন তিনি জম্মুতে ছিলেন, তখন দু'জন নতুন কর্মকর্তাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। রাজমাতা এই দু'জনের মধ্যে একজনের নাম মাঝেমধ্যে ভুলে যেতেন, আর বারবার অন্যজনকে জিজ্ঞাসা করতেন, তুমি গোলু না? আর তোমার অন্য বন্ধুটির নাম কি? সেই বন্ধুটি 'গোলু' ডাকনামে ডাকা পছন্দ করতেন না। সে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিত যে আমার নাম অমুক, ওর নাম তমুক। আপনি নাম দিয়ে কী করবেন, আপনি শুধু আওয়াজ দিয়ে দিন। কিন্তু রাজমাতা তাঁকে জবাব দেন, আমার কর্মকর্তারা আমাকে সাহায্য করছেন আর আমি তাঁদের ঠিকমতো চিনব না, এটা তো ঠিক নয়।

 

আমার মনে হয়, কেউ যদি সামাজিক জীবনযাপন করেন, তাহলে তিনি যে দলেরই সদস্য হোন না কেন, ছোট–বড় সমস্ত কর্মকর্তাদের প্রতি এই ভাবনা আমাদের সকলের মনে থাকা উচিৎ। অভিমান নয়, সম্মান – এটাই রাজনীতির মূলমন্ত্র। তিনি সেটাই নিজের জীবনে পালন করে দেখিয়ে গেছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

রাজমাতার জীবনে আধ্যাত্মবাদের অধিষ্ঠান ছিল। সাধনা, উপাসনা, ভক্তি তাঁর অন্তর্মনে বাস করত। কিন্তু যখন তিনি ভগবানের উপাসনা করতেন, তখন তাঁর পূজা মন্দিরে কেবলমাত্র একটি ভারতমাতার চিত্র থাকত। ভারতমাতার উপাসনা তাঁর জন্য এমনই আস্থার বিষয় ছিল।

 

আমি একবার তাঁর সঙ্গে জড়িত একটি কথা এক বন্ধুকে বলেছিলাম। আর, আমি যখন তাঁর কথা মনে করি, বলি, আমার মনে হয়, আপনাদেরকেও সেটা শোনাই। একবার তিনি পার্টির কোনও কর্মসূচিতে মথুরা গিয়েছিলেন। মথুরা গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাঁকেবিহারীর দর্শন করতে গিয়েছিলেন। বাঁকেবিহারীর মন্দিরে তিনি যে প্রার্থনা করেন তার মর্ম বোঝা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রাজমাতা সেদিন ভগবান কৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন … রাজমাতার জীবনকে ভালোভাবে বুঝতে হলে তিনি সেদিন ভগবান কৃষ্ণের সামনে দাঁড়িয়ে ভক্তিভরে কী চেয়েছিলেন সেটা বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মনে আধ্যাত্মিক চেতনা জেগে উঠেছিল, আর তিনি ভগবান কৃষ্ণের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা জানিয়ে বলেন, "হে কৃষ্ণ এমন বাঁশরি বাজাও যে গোটা ভারতের সমস্ত নর–নারী আরেকবার জেগে উঠবে।" আপনারা ভাবুন, নিজের কোনও কামনা নয়, যা চেয়েছেন দেশের জন্য চেয়েছেন, দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য চেয়েছেন, আর প্রতিটি মানুষকে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। আর তিনি সারা জীবন ধরে যা কিছু করেছেন সব দেশের জন্য করেছেন। এক জাগ্রত দেশের নাগরিক কতকিছু করতে পারে সেটা তিনি জানতেন, বুঝতেন। আজ যখন আমরা রাজমাতাজির জন্ম শতাব্দী পালন করছি, এই শতাব্দী সমারোহ আজ যখন পূর্ণতায় পৌঁছেছে, তখন আমাদের মনে সন্তুষ্টি রয়েছে যে ভারতের নাগরিকদের তিনি যেভাবে জাগ্রত দেখতে চেয়েছিলেন, বাঁকেবিহারীর কাছে তিনি যে প্রার্থনা করেছিলেন, তা আজ এই ধরাতলে চেতনা রূপে অনুভূত হচ্ছে।

 

বিগত বছরগুলিতে দেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক অভিযান এবং প্রকল্প সফল হয়েছে। এইসব কিছুর ভিত্তি হল এই জনচেতনা, জনজাগৃতি এবং জন–আন্দোলন। রাজমাতাজির আশীর্বাদে দেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। গ্রাম, গরীব, পীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত, মহিলারা আজ দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।

 

নারীশক্তি সম্পর্কে তাঁর যে বিশেষ ভাবনা ছিল, তিনি বলতেন, “যে হার কৃষ্ণকে ঝোলায় ঝোলাতে পারে, সে হাত বিশ্বে রাজত্বও করতে পারে।” আজ ভারতের এই নারীশক্তি প্রত্যেক ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজ ভারতের মেয়েরা আকাশে ফাইটার জেট ওড়াচ্ছেন। নৌ–বাহিনীতে যোদ্ধার ভূমিকায় নিজেদের পরিষেবা দিচ্ছেন। আজ তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন তৈরি হওয়ার ফলে দেশে রাজমাতার সেই ভাবনা, নারী ক্ষমতায়নকে তিনি যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য, ভারতের একতার জন্য তিনি যে সংঘর্ষ করেছেন, যে চেষ্টা করেছেন, তার পরিণাম আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেশ রাজমাতাজির অনেক বড় স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। আর এটাও একটা অদ্ভূত সংযোগ যে রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণের জন্য তিনি যে সংঘর্ষ করেছিলেন, রাজমাতাজির জন্ম শতাব্দীর বছরেই সেই রাম জন্মভূমির স্বপ্নও বাস্তবায়িত হয়েছে।

 

আজ যখন রাম জন্মভূমির কথা উঠলোই তখন আমি অবশ্যই বলতে চাইব যখন আদবানিজি সোমনাথ থেকে অযোধ্যার রথযাত্রা শুরু করেছিলেন, আর রাজমাতাজি সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আমাদের সকলের ইচ্ছা ছিল, আর রাজমাতাজিও চাইছিলেন যে এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাঁর থাকা উচিৎ। কিন্তু সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছিল যে সেই সময় নবরাত্রির অনুষ্ঠান চলছিল আর আমাদের রাজমাতা নবরাত্রির অনুষ্ঠান করতেন। আর তিনি যে স্থানে অনুষ্ঠান করতেন পুরো দশদিন সেই অনুষ্ঠানের এলাকা ছেড়ে যেতেন না।

 

সেজন্য রাজমাতা সাহেবের সঙ্গে যখন আমি কথা বলছিলাম তখন তিনি বলেন, “দেখো ভাই আমি তো যেতে পারব না, কিন্তু আমার যাওয়া খুব প্রয়োজন।" আমি বললাম, পথ বলুন। তিনি বলেন, গোটা নবরাত্রির সময়টা আমি গোয়ালিয়র থেকে বেরিয়ে সোমনাথে গিয়ে থাকতে চাই। আর সেখানেই আমি সম্পূর্ণ নবরাত্রি পালন করব, আর সেই নবরাত্রির সময়েই সোমনাথ থেকে রথযাত্রা শুরু হলে আমি সেই অনুষ্ঠানেও হাজির হতে পারব।

 

রাজমাতাজির উপবাস ব্রত ছিল খুব কঠিন ব্রত। আমি সেই সময় নতুন নতুন রাজনীতিতে যোগ দিয়েছি। একজন কর্মকর্তা রূপে ব্যবস্থাপনা দেখতাম। আমি সোমনাথে রাজমাতার সমস্ত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপণা সামলাই। আর সেই সময় আমার রাজমাতাজির অত্যন্ত কাছে থাকার সুযোগ হয়। আর আমি দেখি, সেই সময় তাঁর এই সম্পূর্ণ পূজার প্রক্রিয়া, গোটা নবরাত্রির অনুষ্ঠান এক প্রকার যেন অযোধ্যার রথযাত্রা এবং রাম মন্দিরকে সমর্পণ করে তিনি সে বছর আয়োজন করেছিলেন। সমস্ত প্রক্রিয়াটাই আমি নিজের চোখে দেখেছি।

 

বন্ধুগণ,

 

রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়াজির স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জন্য আমাদের সবাইকে মিলেমিশে এই গতিতেই কাজ করে যেতে হবে। শক্তিশালী, সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ ভারত তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর এই স্বপ্নকে আমরা আত্মনির্ভর ভারতের সাফল্য দিয়ে বাস্তবায়িত করব। রাজমাতার প্রেরণা আমাদের সঙ্গে রয়েছে, তাঁর আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

 

এই শুভকামনা জানিয়ে আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আর রাজমাতাজি যেভাবে তাঁর জীবন কাটিয়েছেন, কল্পনা করুন আজ একজন কেউ যদি তহসিলের অধ্যক্ষ হয়, তাঁর মেজাজ কিরকম হয়? কিন্তু আমাদের রাজমাতা এতবড় ঘরানার রানি, এতবড় ক্ষমতা, সম্পত্তি – এত সবকিছু থাকার পরেও, এত সুখ–স্বাচ্ছন্দ্য থাকা সত্ত্বেও তাঁর মধ্যে কেমন নম্রতা ছিল, তাঁর বিবেক কতটা জাগ্রত ছিল, তাঁর শিষ্টাচার কিভাবে প্রতিটি মানুষকে প্রেরণা জোগাত।

 

আসুন, আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর এই কথাগুলি নিয়ে যাই, তাঁকে নিয়ে আলোচনা করি। শুধু রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আগামী প্রজন্মের কাছে তাঁর শিষ্টাচারকে নিয়ে যাই। আজ ভারত সরকারের এটা সৌভাগ্য যে আমরা রাজমাতাজির সম্মানে এই মুদ্রা দেশের সামনে উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি।

 

আমি আরেকবার রাজমাতাজিকে শ্রদ্ধাসহ প্রণাম জানিয়ে আমার বাণীকে বিরাম দিচ্ছি।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism

Media Coverage

Vande Mataram: The first proclamation of cultural nationalism
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Congress and RJD only do politics of insult and abuse: PM Modi in Bhabua, Bihar
November 07, 2025
In Bhabua, PM Modi urges voters: One vote for the NDA can stop infiltrators; one vote can protect your identity
They will shake you down, drag people from their homes and run a reign of terror as their own songs glorify violence: PM Modi takes a dig at opposition
Congress leaders never talk about the RJD’s manifesto, calling it ‘a bunch of lies’: PM Modi at Bhabua rally

भारत माता की... भारत माता की... भारत माता की...
मां मुंडेश्वरी के ई पावन भूमि पर रऊआ सब के अभिनंदन करअ तानी।

कैमूर की इस पावन भूमि पर चारों दिशाओं से आशीर्वाद बरसता है। मां बिंध्यवासिनी, मां ताराचंडी, मां तुतला भवानी, मां छेरवारी, सब यहीं आसपास विराजती हैं। चारों ओर शक्ति ही शक्ति का साम्राज्य है। और मेरे सामने...विशाल मातृशक्ति है...जिनका आशीर्वाद हमेशा हम सभी पर रहा है... NDA पर रहा है। और मैं बिहार की मातृशक्ति का आभारी हूं। पहले चरण में NDA के उम्मीदवारों के पक्ष में जबरदस्त मतदान हुआ है। अब कैमूर की बारी है...अब रोहतास की बारी है...मैं इस मंच पर NDA के इन सभी उम्मीदवारों के लिए...आप सभी का साथ और समर्थन मांगने आया हूं। आपके आशीर्वाद मांगने के लिए आया हूं.. तो मेरे साथ बोलिए... फिर एक बार...फिर एक बार...NDA सरकार! फिर एक बार... फिर एक बार... फिर एक बार... बिहार में फिर से...सुशासन सरकार !

साथियों,
जब ये चुनाव शुरू हुआ था...तो RJD और कांग्रेस के लोग फूल-फूल के गुब्बारा हुए जा रहे थे।और RJD और कांग्रेस के नामदार आसमान पर पहुंचे हुए थे। लेकिन चुनाव प्रचार के दौरान RJD-कांग्रेस के गुब्बारे की हवा निकलनी शुरू हुई...और पहले चरण के बाद इनका गुब्बारा पूरी तरह फूट गया है। अब तो आरजेडी-कांग्रेस का इकोसिस्टम...उनके समर्थक भी कह रहे हैं...फिर एक बार... फिर एक बार...NDA सरकार!

साथियों,
आरजेडी-कांग्रेस ने बिहार के युवाओं को भ्रमित करने की बहुत कोशिश की..लेकिन उनकी सारी प्लानिंग फेल हो गई...इसका एक बहुत बड़ा कारण है...बिहार का जागरूक नौजवान... बिहार का नौजवान ये देख रहा है कि आरजेडी-कांग्रेस वालों के इरादे क्या हैं।

साथियों,
जंगलराज के युवराज से जब भी पूछा जाता है कि जो बड़े-बडे झूठ उन्होंने बोले हैं...वो पूरे कैसे करेंगे...तो वो कहते हैं...उनके पास प्लान है... और जब पूछा जाता है कि भाई बताओ कि प्लान क्या है.. तो उनके मुंह में दही जम जाता है, मुंह में ताला लग जाता है.. उत्तर ही नहीं दे पाते।

साथियों,
आरजेडी वालों का जो प्लान है...उससे मैं आज आप सब को, बिहार को और देश को भी सतर्क कर रहा हूं। आप देखिए....आरजेडी के नेताओं के किस तरह के गाने वायरल हो रहे हैं। चुनाव प्रचार के जो गाने हैं कैसे गाने वायरल हो रहे हैं। आरजेडी वालों का एक गाना है...आपने भी सुना होगा आपने भी वीडियों में देखा होगा। आरजेडी वालों का एक गाना है। आएगी भइया की सरकार... क्या बोलते हैं आएगी भइया की सरकार, बनेंगे रंगदार! आप सोचिए...ये RJD वाले इंतजार कर रहे हैं कि कब उनकी सरकार आए और कब अपहरण-रंगदारी ये पुराना गोरखधंधा फिर से शुरू हो जाए। RJD वाले आपको रोजगार नहीं देंगे...ये तो आपसे रंगदारी वसूलेंगे.. रंगदारी ।

साथियों,
RJD वालों का एक और गाना है... अब देखिए, ये क्या-क्या कर रहे हैं, क्या-क्या सोच रहे हैं...और मैं तो देशवासियों से कहूंगा। देखिए, ये बिहार में जमानत पर जो लोग हैं वो कैसे लोग है.. उनका क्या गाना है भइया के आबे दे सत्ता... भइया के आबे दे सत्ता...कट्टा सटा के उठा लेब घरवा से, आप अंदाजा लगा सकते हैं कि ये जंगलराज वाले सरकार में वापसी के लिए क्यों इतना बेचैन हैं। इन्हें जनता की सेवा नहीं करनी...इन्हें जनता को कट्टा दिखाकर लूटना है...उन्हें घर से उठवा लेना है। साथियों, आरजेडी का एक और गाना चल रहा है...बताऊं... बताऊं.. कैसा गाना चल रहा है.. मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...यही इनका तौर-तरीका है...यही इनका प्लान है...इनसे कोई भी सवाल पूछेगा तो यही जवाब मिलेगा...मारब सिक्सर के 6 गोली छाती में...

साथियों,
यही जंगलराज की आहट है। ये बहनों-बेटियों को गरीब, दलित-महादलित, पिछड़े, अतिपिछड़े समाज के लोगों को डराने का प्रयास है। भय पैदा करने का खेल है इनका। साथियों, जंगलराज वाले कभी कोई निर्माण कर ही नहीं सकते वे तो बर्बादी और बदहाली के प्रतीक हैं। इनकी करतूतें देखनी हों तो डालमिया नगर में दिखती हैं। रोहतास के लोग इस बात को अच्छी तरह जानते हैं।
((साथी आप तस्वीर लाए हैं, मैं अपनी टीम को कहता हूं वे ले लेते हैं, लेकिन आप तस्वीर ऊपर करते हैं तो पीछे दिखता नहीं है। मैं आपका आभारी हूं। आप ले आए हैं... मैं मेरे टीम को कहता हूं, जरा ले लीजिए भाई। और आप बैठिए नीचे। वे ले लेंगे। बैठिए, पीछे औरों को रुकावट होती है.. ठीक है भैया ))

साथियों,
अंग्रेज़ों के जमाने में डालमिया नगर की नींव पड़ी थी। दशकों के परिश्रम के बाद। एक फलता-फूलता औद्योगिक नगर बनता जा रहा था। लेकिन फिर कुशासन की राजनीति आ गई। कुशासन की राजनीति आ गई, जंगलराज आ गया। फिरौती, रंगदारी, करप्शन, कट-कमीशन, हत्या, अपहरण, धमकी, हड़ताल यही सब होने लगा। देखते ही देखते जंगलराज ने सबकुछ तबाह कर दिया।

साथियों,
जंगलराज ने बिहार में विकास की हर संभावना की भ्रूण हत्या करने का काम किया था। मैं आपको एक और उदाहरण याद दिलाता हूं। आप कैमूर में देखिए, प्रकृति ने क्या कुछ नहीं दिया है। ये आकर्षक पर्यटक स्थलों में से एक हो सकता था। लेकिन जंगलराज ने ये कभी होने नहीं दिया। जहां कानून का राज ना हो...जहां माओवादी आतंक हो बढ़ रहा हो.. क्या वहां पर कोई टूरिज्म जाएगा क्या? जरा बताइए ना जाएगा क्या? नहीं जाएगा ना.. नीतीश जी ने आपके इस क्षेत्र को उस भयानक स्थिति से बाहर निकाला है। मुझे खुशी है कि अब धीरे-धीरे यहा पर्यटकों की संख्या बढ़ रही है। जिस कर्कटगढ़ वॉटरफॉल... उस वाटरफॉल के आसपास माओवादी आतंक का खौफ होता था। आज वहां पर्यटकों की रौनक रहती है... यहां जो हमारे धाम हैं...वहां तीर्थ यात्रियों की संख्या लगातार बढ़ रही है। जागृत देवता हरषू ब्रह्म के दर्शन करने लोग आते हैं। आज यहां नक्सलवाद...माओवादी आतंक दम तोड़ रहा है....

साथियों,
यहां उद्योगों और पर्यटन की जो संभावनाएं बनी हैं... इसका हमें और तेजी से विस्तार करना है...देश-विदेश से लोग यहां बिहार में पूंजी लगाने के लिए तैयार हैं...बस उन्हें लालटेन, पंजे और लाल झंडे की तस्वीर भी नहीं दिखनी चाहिए। अगर दिख गई.. तो वे दरवाजे से ही लौट जाएंगे इसलिए हमें संकल्प लेना है...हमें बिहार को जंगलराज से दूर रखना है।

साथियों,
बिहार के इस चुनाव में एक बहुत ही खास बात हुई है। इस चुनाव ने कांग्रेस-आरजेडी के बीच लड़ाई को सबके सामने ला दिया है। कांग्रेस-आरजेडी की जो दीवार है ना वो टूट चुकी है कांग्रेस-आरजेडी की टूटी दीवार पर ये लोग चाहे जितना ‘पलस्तर’ कर लें... अब दोनों पार्टियों के बीच खाई गहरी होती जा रही है। पलस्तर से काम चलने वाला नहीं है। आप देखिए, इस क्षेत्र में भी कांग्रेस के नामदार ने रैलियां कीं। लेकिन पटना के नामदार का नाम नहीं लिया। कितनी छुआछूत है देखिए, वो पटना के नामदार का नाम लेने को तैयार नहीं है। कांग्रेस के नामदार दुनिया-जहां की कहानियां कहते हैं, लेकिन आरजेडी के घोषणापत्र पर, कोई सवाल पूछे कि भाई आरजेडी ने बड़े-बड़े वादे किए हैं इस पर क्या कहना है तो कांग्रेस के नामदार के मुंह पर ताला लग जाता है। ये कांग्रेस के नामदार अपने घोषणापत्र की झूठी तारीफ तक नहीं कर पा रहे हैं। एक दूसरे को गिराने में जुटे ये लोग बिहार के विकास को कभी गति नहीं दे सकते।

साथियों,
ये लोग अपने परिवार के अलावा किसी को नहीं मानते। कांग्रेस ने बाबा साहेब आंबेडकर की राजनीति खत्म की...क्योंकि बाब साहेब का कद दिल्ली में बैठे शाही रिवार से ऊंचा था। इन्होंने बाबू जगजीवन राम को भी सहन नहीं किया। सीताराम केसरी...उनके साथ भी ऐसा ही किया. बिहार के एक से बढ़कर एक दिग्गज नेता को अपमानित करना यही शाही परिवार का खेल रहा है। जबकि साथियों, भाजपा के, NDA के संस्कार...सबको सम्मान देने के हैं...सबको साथ लेकर चलने के हैं।

हमें लाल मुनी चौबे जी जैसे वरिष्ठों ने सिखाया है...संस्कार दिए हैं। यहां भभुआ में भाजपा परिवार के पूर्व विधायक, आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी भी हमारी प्रेरणा हैं...अब तो वो सौ के निकट जा रहे हैं.. 96 साल के हो चुके हैं... और जब कोरोना का संकट आया तब हम हमारे सभी सीनियर को फोन कर रहा था। तो मैंने मिश्राजी को भी फोन किया। चंद्रमौली जी से मैंने हालचाल पूछे। और मैं हैरान था कि ये उमर, लेकिन फोन पर वो मेरा हाल पूछ रहे थे, वो मेरा हौसला बढ़ा रहे थे। ये इस धरती में आदरणीय चंद्रमौली मिश्रा जी जैसे व्यक्तित्वों से सीखते हुए हम भाजपा के कार्यकर्ता आगे बढ़ रहे हैं।

साथियों,
ऐसे वरिष्ठों से मिले संस्कारों ने हमें राष्ट्रभक्तों का देश के लिए जीने-मरने वालों का सम्मान करना सिखाया है। इसलिए, हमने बाबा साहेब आंबेडकर से जुड़े स्थानों को पंचतीर्थ के रूप में विकसित किया। और मैं तो काशी का सांसद हूं, मेरे लिए बड़े गर्व की बात है कि बनारस संत रविदास जी की जन्मभूमि है। संत रविदास की जयंति पर...मुझे कई बार वहां जाने का सौभाग्य प्राप्त हुआ है। 10-11 साल पहले वहां क्या स्थिति थी...और आज वहां कितनी सुविधाएं श्रद्धालुओं के लिए बनी हैं... इसकी चर्चा बनारस में, और बनारस के बाहर भी सभी समाजों में होती है।

साथियों,
बनारस ही नहीं...भाजपा सरकार मध्य प्रदेश के सागर में भी संत रविदास का भव्य मंदिर और स्मारक बना रही है। हाल ही में...मुझे कर्पूरी ग्राम जाने का अवसर मिला था..वहां पिछले कुछ वर्षों में सड़क, बिजली, पानी, शिक्षा और स्वास्थ्य से जुड़ी सुविधाओं का विस्तार हुआ है। कर्पूरीग्राम रेलवे स्टेशन को आधुनिक बनाया जा रहा है। साथियों, ये हमारी ही सरकार है...जो देशभर में आदिवासी स्वतंत्रता सेनानियों के स्मारक बना रही है। भगवान बिरसा मुंडा के जन्मदिवस को...हमने जनजातीय गौरव दिवस घोषित किया है। 1857 के क्रांतिवीर...वीर कुंवर सिंह जी की विरासत से भावी पीढ़ियां प्रेरित हों...इसके लिए हर वर्ष व्यापक तौर पर विजय दिवस का आयोजन किया जा रहा है।

साथियों,
कैमूर को धान का कटोरा कहा जाता है। और हमारे भभुआ के मोकरी चावल की मांग दुनियाभर में हो रही है। प्रभु श्रीराम को भोग में यही मोकरी का चावल अर्पित किया जाता है। राम रसोई में भी यही चावल मिलता है। आप मुझे बताइए साथियों, आप अयोध्या का राम मंदिर देखते हैं। या उसके विषय में सुनते हैं। यहां पर बैठा हर कोई मुझे जवाब दे, जब राममंदिर आप देखते हैं या उसके बारे में सुनते हैं तो आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? माताओं-बहनों आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? भव्य राम मंदिर का आपको आनंद आता है कि नहीं आता है? आप काशी में बाबा विश्वनाथ का धाम देखते हैं, आपको गर्व होता है कि नहीं होता है? आपका हृदय गर्व से भर जाता है कि नहीं भर जाता है? आपका माथा ऊंचा होता है कि नहीं होता है? आपको तो गर्व होता है। हर हिंदुस्तानी को गर्व होता है, लेकिन कांग्रेस-RJD के नेताओं को नहीं होता। ये लोग दुनियाभर में घूमते-फिरते हैं, लेकिन अयोध्या नहीं जाते। राम जी में इनकी आस्था नहीं है और रामजी के खिलाफ अनाप-शनाप बोल चुके हैं। उनको लगता है कि अगर अयोध्या जाएंगे, प्रभु राम के दर्शन करेंगे तो उनके वोट ही चले जाएंगे, डरते हैं। उनकी आस्था नाम की कोई चीज ही नहीं है। लेकिन मैं इनलोगों से जरा पूछना चाहता हूं.. ठीक है भाई चलो भगवान राम से आपको जरा भय लगता होगा लेकिन राम मंदिर परिसर में ही, आप मे से तो लोग गए होंगे। उसी राम मंदिर परिसर में भगवान राम विराजमान हैं, वहीं पर माता शबरी का मंदिर बना है। महर्षि वाल्मीकि का मंदिर बना है। वहीं पर निषादराज का मंदिर बना है। आरजेडी और कांग्रेस के लोग अगर रामजी के पास नहीं जाना है तो तुम्हारा नसीब, लेकिन वाल्मीकि जी के मंदिर में माथा टेकने में तुम्हारा क्या जाता है। शबरी माता के सामने सर झुकाने में तुम्हारा क्या जाता है। अरे निषादराज के चरणों में कुछ पल बैठने में तुम्हारा क्या जाता है। ये इसलिए क्योंकि वे समाज के ऐसे दिव्य पुरुषों को नफरत करते हैं। अपने-आपको ही शहंशाह मानते हैं। और इनका इरादा देखिए, अभी छठ मैया, छठी मैया, पूरी दुनिया छठी मैया के प्रति सर झुका रही है। हिंदुस्तान के कोने-कोने में छठी मैया की पूजा होने लगी है। और मेरे बिहार में तो ये मेरी माताएं-बहनें तीन दिन तक इतना कठिन व्रत करती है और आखिर में तो पानी तक छोड़ देती हैं। ऐसी तपस्या करती है। ऐसा महत्वपूर्ण हमारा त्योहार, छठी मैया की पूजा ये कांग्रेस के नामदार छठी मैया की इस पूजा को, छटी मैया की इस साधना को, छठी मैया की इस तपस्या को ये ड्रामा कहते हैं.. नौटंकी कहते हैं.. मेरी माताएं आप बताइए.. ये छठी मैया का अपमान है कि नहीं है? ये छठी मैया का घोर अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? ये छठी मैया के व्रत रखने वाली माताओ-बहनों का अपमान करते हैं कि नहीं करते हैं? मुझे बताइए मेरी छठी मैया का अपमान करे उसको सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? पूरी ताकत से बताइए उसे सजा मिलनी चाहिए कि नहीं मिलनी चाहिए? अब मैं आपसे आग्रह करता हूं। अभी आपके पास मौका है उनको सजा करने का। 11 नवंबर को आपके एक वोट से उन्हें सजा मिल सकती है। सजा दोगे? सब लोग सजा दोगे?

साथियों,
ये आरजेडी-कांग्रेस वाले हमारी आस्था का अपमान इसलिए करते हैं, हमारी छठी मैया का अपमान इसलिए करते हैं। हमारे भगवान राम का अपमान इसलिए करते हैं ताकि कट्टरपंथी खुश रहें। इनका वोटबैंक नाराज ना हो।

साथियों,
ये जंगलराज वाले, तुष्टिकरण की राजनीति में एक कदम और आगे बढ़ गए हैं। ये अब घुसपैठियों का सुरक्षा कवच बन रहे हैं। हमारी सरकार गरीबों को मुफ्त अनाज-मुफ्त इलाज की सुविधा देती है। RJD-कांग्रेस के नेता कहते हैं ये सुविधा घुसपैठियों को भी देना चाहिए। गरीब को जो पक्का आवास हम दे रहे हैं, वो घुसपैठियों को भी देना चाहिए ऐसा कह रहे हैं। मैं जरा आपसे पूछना चाहता हूं, क्या आपके हक का अनाज घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके हक का आवास घुसपैठिये को मिलना चाहिए क्या? आपके बच्चों का रोजगार घुसपैठियों को जाना चाहिए क्या? भाइयों-बहनों मैं आज कहना नहीं चाहता लेकिन तेलंगाना में उनके एक मुख्यमंत्री के भाषण की बड़ी चर्चा चल रही है। लेकिन दिल्ली में एयरकंडीसन कमरों में जो सेक्युलर बैठे हैं ना उनके मुंह में ताला लग गया है। उनका भाषण चौंकाने वाला है। मैं उसकी चर्चा जरा चुनाव के बाद करने वाला हूं। अभी मुझे करनी नहीं है। लेकिन मैं आपसे कहना चाहता हूं मैं आपको जगाने आया हूं। मैं आपको चेताने आया हूं। इनको, कांग्रेस आरजेडी इन जंगलराज वालों को अगर गलती से भी वोट गया तो ये पिछले दरवाज़े से घुसपैठियों को भारत की नागरिकता दे देंगे। फिर आदिवासियों के खेतों में महादलितों-अतिपिछड़ों के टोलों में घुसपैठियों का ही बोलबाला होगा। इसलिए मेरी एक बात गांठ बांध लीजिए। आपका एक वोट घुसपैठियों को रोकेगा। आपका एक वोट आपकी पहचान की रक्षा करेगा।

साथियों,
नरेंद्र और नीतीश की जोड़ी ने बीते वर्षों में यहां रोड, रेल, बिजली, पानी हर प्रकार की सुविधाएं पहुंचाई हैं। अब इस जोड़ी को और मजबूत करना है। पीएम किसान सम्मान निधि के तहत...किसानों को अभी छह हज़ार रुपए मिलते हैं।बिहार में फिर से सरकार बनने पर...तीन हजार रुपए अतिरिक्त मिलेंगे। यानी कुल नौ हज़ार रुपए मिलेंगे। मछली पालकों के लिए अभी पीएम मत्स्य संपदा योजना चल रही है। केंद्र सरकार...मछली पालकों को किसान क्रेडिट कार्ड दे रही है। अब NDA ने..मछुआरे साथियों के लिए जुब्बा सहनी जी के नाम पर नई योजना बनाने का फैसला लिया है। इसके तहत मछली के काम से जुड़े परिवारों को भी नौ हज़ार रुपए दिए जाएंगे।

साथियों,
डबल इंजन सरकार का बहुत अधिक फायदा...हमारी बहनों-बेटियों को हो रहा है। हमारी सरकार ने..बेटियों के लिए सेना में नए अवसरों के दरवाज़े खोले हैं...सैनिक स्कूलों में अब बेटियां भी पढ़ाई कर रही हैं। यहां नीतीश जी की सरकार ने...बेटियों को नौकरियों में आरक्षण दिया है। मोदी का मिशन है कि बिहार की लाखों बहनें...लखपति दीदी बनें। नीतीश जी की सरकार ने भी जीविका दीदियों के रूप में, बहनों को और सशक्त किया है।

साथियों,
आजकल चारों ओर मुख्यमंत्री महिला रोजगार योजना की चर्चा है। अभी तक एक करोड़ 40 लाख बहनों के बैंक-खाते में दस-दस हज़ार रुपए जमा हो चुके हैं। NDA ने घोषणा की है कि फिर से सरकार बनने के बाद...इस योजना का और विस्तार किया जाएगा।

साथियों,
बिहार आज विकास की नई गाथा लिख रहा है। अब ये रफ्तार रुकनी नहीं चाहिए। आपको खुद भी मतदान करना है...और जो साथी त्योहार मनाने के लिए गांव आए हैं... उनको भी कहना है कि वोट डालकर ही वापस लौटें...याद रखिएगा...जब हम एक-एक बूथ जीतेंगे...तभी चुनाव जीतेंगे। जो बूथ जीतेगा वह चुनाव जीतेगा। एक बार फिर...मैं अपने इन साथियों के लिए, मेरे सभी उम्मीदवारों से मैं आग्रह करता हूं कि आप आगे आ जाइए.. बस-बस.. यहीं रहेंगे तो चलेगा.. मैं मेरे इन सभी साथियों से उनके लिए आपसे आशीर्वाद मांगने आया हूं। आप सभी इन सब को विजयी बनाइए।

मेरे साथ बोलिए...
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
भारत माता की जय!
वंदे... वंदे... वंदे... वंदे...
बहुत-बहुत धन्यवाद।