ওড়িশা শুধুমাত্র একটি রাজ্য নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শত শত বছরের ভারতীয় সভ্যতা এবং আমাদের সংস্কৃতি: প্রধানমন্ত্রী
আজকের সময়ে, যখন উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের মন্ত্র ভারতের অগ্রগতির ভিত্তি হয়ে উঠেছে, তখন ওড়িশার ভূমিকা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হিংসাকে দূরে সরিয়ে আমরা আদিবাসী সম্প্রদায়কে উন্নয়নের নতুন পথে আনতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
একবিংশ শতাব্দীর ভারতের প্রবৃদ্ধি পূর্ব ভারত দ্বারা পরিচালিত হবে: প্রধানমন্ত্রী

জয় জগন্নাথ !

জয় জগন্নাথ !

জয় বাবা লিঙ্গরাজ !

ওড়িশার মানুষকে আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই !

ওড়িশার রাজ্যপাল শ্রী হরি বাবু জি, আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মোহন চরণ মাঝি জি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী জুয়াল ওরাম জি, শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জি ও শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জি, উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী কনক বর্ধন সিং দেও জি ও শ্রীমতী প্রভাতী পরিদা জি, রাজ্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সাংসদ ও বিধায়কগণ এবং ওড়িশার ভাই-বোনেরা !

আজ ২০ জুন একটি বিশেষ দিন। আজ ওড়িশায় প্রথম বিজেপি সরকার সাফল্যের সঙ্গে এক বছর পূর্ণ করেছে। এই এক বছরে মানুষের সেবা এবং আস্থা অর্জনে সরকার নিজেকে উৎসর্গ করেছে। আমি ওড়িশার মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা সকলে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন এবং ওড়িশার উন্নয়নে নতুন গতি এনেছেন। 

 

বন্ধুগণ,

ওড়িশা শুধুমাত্র একটি রাজ্য নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শত শত বছরের ভারতীয় সভ্যতা এবং আমাদের সংস্কৃতি। ওড়িশা প্রকৃত অর্থেই ‘বিকাশ ভি, বিরাসত ভি’ মন্ত্রকে আত্মস্থ করেছে। 

বন্ধুগণ,

আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রী মন্দিরের চারটি দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি শ্রী মন্দিরের রত্নভাণ্ডারও উন্মুক্ত করা হয়েছে। আমি বলছি, এটি রাজনৈতিক লাভ বা সাফল্যের বিষয় নয়, এটি হল, কোটি কোটি মানুষের গভীর বিশ্বাসের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন। 

ভাই  ও বোনরা, 

স্বাধীনতার পর দশকের পর দশক ধরে দেশ কংগ্রেস মডেলের সাক্ষী থেকেছে। কংগ্রেস মডেল হল, যা সুশাসন দিতে পারে না কিংবা মানুষের জীবনকে সহজ করতে পারে না। উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রিতা, প্রকল্প আটকে থাকার ফলে দুর্নীতি বেড়ে গিয়েছিল। এখন গত কয়েক বছর ধরে দেশ বিজেপি-র উন্নয়ন মডেলের সঙ্গে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রথমবারের জন্য বিজেপি সরকার গঠন করেছে। এই রাজ্যগুলিতে শুধুমাত্র সরকারই পরিবর্তন হয়নি, সেইসঙ্গে সামাজিক ও আর্থিক রূপান্তরের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে পূর্ব ভারতের আসামের কথা বলা যায়। এক দশক আগে অস্থিরতা, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং হিংসায় জর্জরিত ছিল আসাম। এখন সেখানে উগ্রপন্থী কার্যকলাপের অবসান ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে আসাম দেশের অন্যান্য রাজ্যের চেয়েও ভালো কাজ করছে। দশকের পর দশক ধরে ওড়িশা বহু সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিল। গরিব কৃষকরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। বিজেপি সরকার এখন পূর্ণ শক্তি ও অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে, যার ফলে গত এক বছরে এইসব চ্যালেঞ্জকে দূর করা সম্ভব হয়েছে। 

 

বন্ধুগণ,

এখানকার মানুষ উন্নয়নের ডবল ইঞ্জিন মডেলের সুফল পাচ্ছেন। যেমন ওড়িশার লক্ষ লক্ষ গরিব পরিবার আজ আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনার সুফল পাচ্ছেন। রাজ্যের প্রায় ৩ কোটি মানুষ বিনা খরচে চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। ওড়িশায় ৭০ বছরের বেশি বয়সী ২৩ লক্ষ মানুষ রয়েছেন। পিএম বয়ঃ বন্দনা যোজনায় তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা খরচে চিকিৎসা পাবেন। একইভাবে পিএম কিষাণ সম্মাননিধি যোজনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন ওড়িশার মানুষ। 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য হল, বঞ্চিতদের ক্ষমতায়ন। ওড়িশায় একটি বড় অংশের মানুষ আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অতীতে তাঁরা উপেক্ষিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের আগে দেশের ১২৫টির বেশি আদিবাসী প্রভাবিত জেলা নকশালদের হিংসার কবলে পড়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হিংসাকে দূরে সরিয়ে আমরা আদিবাসী সম্প্রদায়কে উন্নয়নের নতুন পথে আনতে পেরেছি। নকশাল দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বিজেপি সরকার আদিবাসী এলাকাগুলিতে উন্নয়নের ঢেউ এনেছে। এর ফলে আজ দেশের ২০টিরও কম জেলায় নকশালদের হিংসা সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে। 

বন্ধুগণ,

আদিবাসী ভাইবোনেদের স্বপ্ন পূরণ করা, তাঁদের নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা এবং তাঁদের জীবনে কষ্ট লাঘব করা আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। সেই কারণে এই প্রথম আদিবাসীদের উন্নয়নে ১ লক্ষ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হল, ‘ধরতী আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’, যা বীরসা মুণ্ডার নামে নামকরণ করা হয়েছে। দেশের ৬০,০০০-এর বেশি আদিবাসী প্রভাবিত গ্রামে এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। সেখানে আদিবাসী পরিবারগুলির জন্য বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এবং বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওড়িশার ১১টি জেলায় ৪০টি আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। এই কাজে কেন্দ্রীয় সরকার শত শত কোটি টাকা ব্যয় করছে। 

 

বন্ধুগণ,

দ্বিতীয় প্রকল্পটি হল, পিএম-জনমন যোজনা। এই প্রকল্পের প্রেরণা এসেছে ওড়িশা থেকেই। দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি এই ওড়িশারই কন্যা, মাননীয় দ্রৌপদী মুর্মু জি এই উদ্যোগে আমাদের পথ দেখিয়েছেন। এই প্রকল্পে সবচেয়ে প্রান্তিক আদিবাসী সম্প্রদায়গুলিকে তুলে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওড়িশায় অসংখ্য মৎস্যজীবী রয়েছেন। মৎস্যজীবীদের জন্য দেশজুড়ে পিএম মৎস্য সম্পদ যোজনা চালু করা হয়েছে। মৎস্যজীবীরা কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ২৫,০০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিলও  গড়ে তুলছে।  

 

বন্ধুগণ,

এটি হল, “পূর্বোদয়”-এর যুগ, অর্থাৎ পূর্বের উদয়। এই চেতনা নিয়ে আমরা ওড়িশা এবং দেশের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে নিজেদের উৎসর্গ করেছি। পারাদ্বীপ থেকে ঝারসুগুদা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে। ওড়িশার সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগের উন্নতিসাধনে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ওড়িশায় পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যাল ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। 

 

বন্ধুগণ,

২০৩৬ সালের জন্য ওড়িশা সরকার একটি বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তখন এই রাজ্য গঠনের ১০০ বছর উদযাপিত হবে। ২০৪৭ সালের জন্য ওড়িশার বিজেপি সরকারেরও বিশেষ ভাবনা রয়েছে। তখন ভারতের স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করা হবে। আমরা ওড়িশাকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চাই। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমি এবার আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

 

বন্ধুগণ,

২০৩৬ সালের জন্য ওড়িশা সরকার একটি বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তখন এই রাজ্য গঠনের ১০০ বছর উদযাপিত হবে। ২০৪৭ সালের জন্য ওড়িশার বিজেপি সরকারেরও বিশেষ ভাবনা রয়েছে। তখন ভারতের স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করা হবে। আমরা ওড়িশাকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চাই। এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমি এবার আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

 

জয় জগন্নাথ !
জয় জগন্নাথ !
জয় জগন্নাথ !

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি দিয়েছেন হিন্দিতে। 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Rocking concert economy taking shape in India

Media Coverage

Rocking concert economy taking shape in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister expresses gratitude to the Armed Forces on Armed Forces Flag Day
December 07, 2025

The Prime Minister today conveyed his deepest gratitude to the brave men and women of the Armed Forces on the occasion of Armed Forces Flag Day.

He said that the discipline, resolve and indomitable spirit of the Armed Forces personnel protect the nation and strengthen its people. Their commitment, he noted, stands as a shining example of duty, discipline and devotion to the nation.

The Prime Minister also urged everyone to contribute to the Armed Forces Flag Day Fund in honour of the valour and service of the Armed Forces.

The Prime Minister wrote on X;

“On Armed Forces Flag Day, we express our deepest gratitude to the brave men and women who protect our nation with unwavering courage. Their discipline, resolve and spirit shield our people and strengthen our nation. Their commitment stands as a powerful example of duty, discipline and devotion to our nation. Let us also contribute to the Armed Forces Flag Day fund.”