PM launches the UN International Year of Cooperatives 2025
PM launches a commemorative postal stamp, symbolising India’s commitment to the cooperative movement
For India, Co-operatives are the basis of culture, a way of life: PM Modi
Co-operatives in India have travelled from idea to movement, from movement to revolution and from revolution to empowerment: PM Modi
We are following the mantra of prosperity through cooperation: PM Modi
India sees a huge role of co-operatives in its future growth: PM Modi
The role of Women in the co-operative sector is huge: PM Modi
India believes that co-operatives can give new energy to global cooperation: PM Modi

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও আমার ছোট ভাই ফিজির উপপ্রধানমন্ত্রী, ভারতের সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহ, ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেটিভ অ্যালায়েন্স-এর প্রেসিডেন্ট, রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ, সমবায় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা সহযোগীরা এবং ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহোদয়াগণ,

আপনাদের সবাইকে আজ আমি স্বাগত জানাচ্ছি, আমি একা নয়, বস্তুতপক্ষে আমি একা তা পারবও না। ভারতের লক্ষ লক্ষ কৃষক, গবাদি পশুপালক, মৎস্যজীবী, ৮ লক্ষাধিক সমবায় সংস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত ১০ কোটি মহিলা এবং সমবায় ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত তরুণরা, আমি আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। 

এই প্রথম ভারতে আন্তর্জাতিক সমবায় জোটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতে আমরা এখন সমবায় আন্দোলনকে এক নতুন মাত্রা দিচ্ছি। ভারতের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক সমবায় আন্দোলনকে নতুন হাতিয়ার এবং ২১ শতকের জন্য নতুন চেতনা প্রদান করবে। 

 

বন্ধুগণ, 

সমবায় গোটা বিশ্বের কাছে একটি মডেল। তবে, ভারতে সমবায় হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার ভিত্তি। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনেও প্রেরণা যুগিয়েছে সমবায়। শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষমতায়ন নয়, সেই সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্যও একটি সম্মিলিত মঞ্চ গড়ে তুলেছিল এই সমবায়। মহাত্মা গান্ধীর গ্রাম স্বরাজ (স্বশাসিত গ্রাম)-এর ভাবনা গোষ্ঠীগত অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন শক্তি যুগিয়েছে। সমবায়ের মাধ্যমে তিনি খাদি ও গ্রামোদ্যোগের মতো ক্ষেত্রে নতুন আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। একই সময়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং দুগ্ধ সমবায়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা আন্দোলনে এক নতুন দিশা দিয়েছিলেন। 

বন্ধুগণ,

আজ ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে সরকারের ক্ষমতা এবং সমবায়ের মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। আমরা ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ (সমবায়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি)-র মন্ত্রকে অনুসরণ করছি। ভারতে আজ ৮ লক্ষের বেশি সমবায় সোসাইটি রয়েছে, যার অর্থ হল বিশ্বের প্রতি চারটি সমবায়ের মধ্যে একটি রয়েছে ভারতে। গ্রামীণ ভারতের প্রায় ৯৮ শতাংশ এলাকায় সমবায় রয়েছে। প্রায় ৩০ কোটি মানুষ – বিশ্বের প্রতি ৫ জনের একজন এবং প্রত্যেক ৫ জন ভারতীয়ের একজন – সমবায় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। চিনি, সার, মৎস্য চাষ এবং দুগ্ধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমবায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 

ভারতে এখন প্রায় ২ লক্ষ আবাসিক সমবায় সমিতি রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সংস্কারের মাধ্যমে সমবায় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকেও আমরা মজবুত করেছি। বর্তমানে দেশের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে ১২ লক্ষ কোটি টাকা সঞ্চিত রয়েছে। আগে এই ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতার বাইরে ছিল। কিন্তু, এখন সেগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় আনা হয়েছে। সমবায় ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকেও সম্প্রসারিত করা হয়েছে। 

 

বন্ধুগণ, 

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গোটা সমবায় পরিমণ্ডল বদলাতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বেশকিছু সংস্কার করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হল, সমবায় সোসাইটিগুলিকে বহুমুখী করে তোলা। এই লক্ষ্যে পৃথক সমবায় মন্ত্রক গঠন করেছে ভারত সরকার। সমবায় সোসাইটিগুলিকে বহুমুখী করার লক্ষ্যে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগে সমবায় সমিতিগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা গোবর্ধন প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। বর্তমানে আমরা ২ লক্ষ গ্রামে বহু উদ্দেশ্যসাধক সমবায় সমিতি গড়ে তুলছি, যা আগে ছিল না। উৎপাদন এবং পরিষেবা ক্ষেত্রেও সমবায়কে সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। সমবায় ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম শস্য মজুত ভান্ডার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে ভারত। এই সমবায়গুলি দেশজুড়ে মজুবত ভান্ডার গড়ে তুলছে, যা চাষীদের পক্ষে সহায়ক হবে। 

বন্ধুগণ, 

কৃষক উৎপাদক সংস্থার (এফপিও) মাধ্যমে আমরা ছোট ছোট চাষীদের সংগঠিত করছি। সরকার এই এফপিও-গুলিকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে এবং প্রায় ৯ হাজার এফপিও ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে। আমাদের লক্ষ্য হল, একটি শক্তিশালী সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তোলা। 

বন্ধুগণ, 

বর্তমান শতাব্দীতে বিশ্বের অগ্রগতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মহিলাদের যে সমাজ যত বেশি সুযোগ-সুবিধা দেবে, সেই সমাজ তত দ্রুত এগোবে। ভারত বর্তমানে মহিলা-পরিচালিত উন্নয়নের যুগে প্রবেশ করেছে এবং আমরা এর ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছি। সমবায় ক্ষেত্রেও মহিলারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে যুক্ত রয়েছেন ৬০ শতাংশের বেশি মহিলা। আমাদের লক্ষ্য হল, সমবায় পরিচালনায় মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো। এই লক্ষ্যে আমরা মাল্টি-স্টেট সমবায় সোসাইটি আইন সংশোধন করেছি। এখন মাল্টি-স্টেট সমবায় সমিতিগুলিতে পরিচালন পর্ষদে একজন করে মহিলা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

 

বন্ধুগণ, 

ভারতে এখন ১০ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত। গত এক দশকে ভারত সরকারের কাছ থেকে এই গোষ্ঠীগুলি কম সুদে ৯ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি গ্রামাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সম্পদ সৃষ্টি করছে। ক্ষুদ্র এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল সমবায় সমিতিগুলিকে সাহায্য করতে আর্থিক তহবিল গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। সম্মিলিত আর্থিক প্ল্যাটফর্ম বড় বড় প্রকল্পে অর্থের জোগান এবং সমবায়গুলিকে ঋণ প্রদান করতে পারে। 

 

বন্ধুগণ, 

বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি সমবায় আন্দোলনের পক্ষে এক উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করেছে। সমবায়গুলিকে বিশ্বের দেশগুলির অখন্ডতা রক্ষা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বার্তাবাহক হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা অবশ্যই উদ্ভাবন এবং আমাদের নীতিকে সুসংহত করার পথে হাঁটব। ভারত মনে করে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমবায় নতুন শক্তি যোগাতে পারে। বিশেষত গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির জন্য অগ্রগতির সুনির্দিষ্ট মডেল প্রয়োজন, যা সমবায়গুলি প্রদান করতে পারে। 

 

 

বন্ধুগণ, 

ভারত আজ অন্যতম দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র জিডিপি বৃদ্ধি নয়, আমাদের লক্ষ্য হল, এর সুযোগ সুবিধা দরিদ্রের মধ্যে দরিদ্রতম মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ভারত সব সময় মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। কোভিড অতিমারীর সময় আমরা বিভিন্ন দেশকে সহায়তা প্রদান করেছিলাম, যার মধ্যে গ্লোবাল সাউথের অনেক দেশ ছিল। শুধুমাত্র কাঠামোগত বা আইনি কাঠামোর মধ্যে সমবায়গুলির গুরুত্ব সীমাবদ্ধ নেই, সমবায়ের মূল সারবস্তু হল, এর চেতনা। সহযোগিতার সংস্কৃতির মধ্যেই সমবায়ের চেতনা নিহিত রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক সমবায় বর্ষে এই চেতনা আরও শক্তিশালী হবে। আমি আবার আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আগামী ৫ বছরে এই শীর্ষ বৈঠক অসংখ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে এবং তার মাধ্যমে সমাজ ও প্রতিটি দেশে ক্ষমতায়ন হবে এবং সমাজ সমৃদ্ধ হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে আমি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই। 

 

 

ধন্যবাদ! 

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan

Media Coverage

'Operation Sindoor on, if they fire, we fire': India's big message to Pakistan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi's address to the nation
May 12, 2025
Today, every terrorist knows the consequences of wiping Sindoor from the foreheads of our sisters and daughters: PM
Operation Sindoor is an unwavering pledge for justice: PM
Terrorists dared to wipe the Sindoor from the foreheads of our sisters; that's why India destroyed the very headquarters of terror: PM
Pakistan had prepared to strike at our borders,but India hit them right at their core: PM
Operation Sindoor has redefined the fight against terror, setting a new benchmark, a new normal: PM
This is not an era of war, but it is not an era of terrorism either: PM
Zero tolerance against terrorism is the guarantee of a better world: PM
Any talks with Pakistan will focus on terrorism and PoK: PM

প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আমরা সবাই বিগত দিনগুলিতে দেশের সামর্থ্য ও সংযম উভয় দেখেছি। আমি সবার আগে ভারতের পরাক্রমী সেনাদের, সশস্ত্র সেনাদলগুলিকে... আমাদের গোয়েন্দা এজেন্সি গুলিকে, আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমাদের বীর সৈনিকেরা অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন লক্ষ্য সাধনের জন্য অসীম শৌর্য প্রদর্শন করেছেন।

আমি তাদের বীরত্বকে, তাদের সাহসকে, তাদের পরাক্রমকে আজ সমর্পণ করছি, আমাদের দেশের প্রত্যেক মা-কে দেশের প্রত্যেক বোনকে আর দেশের প্রত্যেক কন্যাকে এই পরাক্রম সমর্পণ করছি।

বন্ধুগণ, ২২শে এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীরা যে বর্বরতা দেখিয়েছিল, তা দেশ ও বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যারা ছুটি কাটাতে এসেছিলেন সেই নির্দোষ অসহায় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে... তাদের পরিবারের সামনে, তাদের শিশুদের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা... এটা সন্ত্রাসের অত্যন্ত বীভৎস চেহারা ছিল... ক্রুরতা ছিল। এটা ছিল দেশের সদ্ভাব নষ্ট করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টাও। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এই পীড়া ছিল অসহনীয়। এই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর গোটা দেশ... প্রত্যেক নাগরিক... প্রত্যেক সমাজ... প্রত্যেক গোষ্ঠী... প্রতিটি রাজনৈতিক দল... এক স্বরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন প্রত্যাঘাতের জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিল... আমরা সন্ত্রাসবাদীদের ধূলিসাৎ করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছিলাম। আর আজ প্রত্যেক সন্ত্রাসবাদী, প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে যে আমাদের বোন ও কন্যাদের সিঁথি থেকে সিঁদুর মোছার পরিণাম কী হয়।

বন্ধুগণ, অপারেশন সিঁদুর... এটা শুধুই একটা নাম নয়... এটি দেশের কোটি কোটি জনগণের ভাবনার প্রতিধ্বনি। অপারেশন সিঁদুর... ন্যায়ের অখণ্ড প্রতিজ্ঞা...

৬ই মে’র রাত...৭ মে’র সকাল... গোটা বিশ্ব এই প্রতিজ্ঞাকে পরিণামে বদলাতে দেখেছেন। ভারতের সেনারা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ডেরাগুলিকে, তাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীরা স্বপ্নেও ভাবেনি যে ভারত এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে... কিন্তু যখন দেশ একজোট হয়ে, nation first-এর ভাবনায় সম্পৃক্ত হয়... রাষ্ট্র সর্বোপরি থাকে... তখনই কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া যায়, যা ফলদায়ক হয়। যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে ভারতীয় মিসাইলগুলি আক্রমণ হানে, ভারতের ড্রোনগুলি আক্রমণ হানে... তখন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বাড়িগুলি শুধু থরথর করে কাঁপে না, তাদের সাহসও ধূলিসাত হয়ে যায়। বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকের মতো সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিতে এক প্রকার global terrorism-এর university চলত। বিশ্বের যেকোন জায়গায় যখন বড় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, সেগুলির তার কোথাও না কোথাও এই সন্ত্রাসবাদী ঠিকানাগুলির সাথে জুড়েছিল।

সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের বোনেদের সিঁদুর মুছেছিল, সেজন্য ভারত সন্ত্রাসবাদের এই head quarterগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের এই আক্রমণে ১০০-রও বেশি ভয়ানক সন্ত্রাসবাদীকে মেরে ফেলা হয়েছে। সন্ত্রাসের অনেক মনিব বিগত আড়াই তিন দশক ধরে মুক্তভাবে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল... যারা ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে... তাদেরকে ভারত এক ঝটকায় শেষ করে দিয়েছে।

বন্ধুগণ, ভারতের এই প্রত্যাঘাত পাকিস্তানকে ঘোর নিরাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে, ফলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর এই মাথা খারাপ হওয়াতেই তারা একটি দুঃসাহস করে। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতকে সমর্থন করার বদলে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা করা শুরু করে।

পাকিস্তান আমাদের স্কুল, কলেজে, গুরুদ্বারে, মন্দিরগুলিতে সাধারণ মানুষের বাড়িগুলিকে নিশানা করে। পাকিস্তান আমাদের সৈন্য ঠিকানা গুলিকেও নিশানা করে, কিন্তু এক্ষেত্রেও পাকিস্তানের নিজের মুখোশ খুলে যায়। বিশ্ববাসী দেখে, কীভাবে পাকিস্তানের ড্রোন এবং মিসাইলগুলি ভারতের সামনে খড়ের টুকরোর মত ছড়িয়ে পরে। ভারতের শক্তিশালী air defence system সেগুলিকে আকাশেই নষ্ট করে দেয়। পাকিস্তানের প্রস্তুতি ছিল সীমান্তে আক্রমণ করার... কিন্তু ভারত পাকিস্তানের বুকে আক্রমণ করে। ভারতের ড্রোন... ভারতের মিসাইলগুলি নির্ভুল গন্তব্যে আক্রমণ হানে। পাকিস্তানি বায়ু সেনার সেই এয়ারবেসগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেগুলি নিয়ে পাকিস্তানের অনেক অহঙ্কার ছিল।

ভারত প্রথম তিনদিনেই পাকিস্তানকে এমন তছনছ করে দেয় যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি... সেজন্য... ভারতের ভয়ানক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান বাঁচার রাস্তা খুঁজতে থাকে। পাকিস্তান সারা পৃথিবীতে তাদের রক্ষা করার জন্য বার্তা পাঠাতে থাকে। আর ভীষণরকম ভাবে মার খাবার পর অসহায়ের মতো ১০ই মে দুপুরে পাকিস্তানের সেনা আমাদের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। ততক্ষণে আমরা সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামোগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। পাকিস্তানের বুকে বাসা বাঁধা সন্ত্রাসবাদী ডেরাগুলিকে আমরা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিয়েছিলাম। সেজন্য যখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর্ত চিৎকার শোনা গেল... পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যখন বলা হল যে তাদের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে কোন সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ এবং দুঃসাহস দেখানো হবে না, তখন ভারত সে বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। আর আমি আর একবার বলছি, আমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী এবং সৈন্য ঠিকানাগুলিকে আমাদের প্রত্যাঘাতগুলিকে শুধুমাত্র স্থগিত রেখেছি।

আগামীদিনে... আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপকে দাঁড়িপাল্লায় মাপবো। তাদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখব।

বন্ধুগণ, ভারতের তিনটি বাহিনী আমাদের Airforce, আমাদের Army, আমাদের Navy, আমাদের Border Security ফরচে, BSF ভারতের সমস্ত আধা সামরিক বাহিনী লাগাতার এলার্ট থাকবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইক-এর পর অপারেশন সিঁদুর এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারেশন সিঁদুর একটি নতুন রেখা টেনে দিয়েছে...

একটি নতুন মাত্রা, একটি নিউ নর্মাল স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথমত- ভারতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলে, উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

আমরা আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে, আমাদের নিজস্ব শর্তে প্রত্যাঘাত হানবো। সন্ত্রাসবাদের শিকড় যেখান থেকে বেরিয়ে আসবে, আমরা সেখানেই কঠোর ব্যবস্থা নেব।

দ্বিতীয়ত- ভারত কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী আস্তানাগুলির ওপর একটি সুনির্দিষ্ট এবং সিদ্ধান্তমূলক আক্রমণ শুরু করবে।

তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের প্রভুদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখব না।

অপারেশন সিন্দুরের সময়...

বিশ্ব আবারও পাকিস্তানের কুৎসিত সত্যটি দেখেছে...

যখন মৃত সন্ত্রাসবাদীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হয়...

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন।

এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের একটি বড় প্রমাণ।

ভারত এবং আমাদের নাগরিদের যেকোনো হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব।

বন্ধুরা,

আমরা প্রতিবারই যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি। আর এবার অপারেশন সিন্দুর একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা মরুভূমি এবং পাহাড়ে আমাদের দক্ষতা উজ্জ্বলভাবে প্রদর্শন করেছি... এবং এছাড়া... নতুন যুগের যুদ্ধেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। এই অভিযানের সময়...আমাদের ভারতে তৈরি অস্ত্রের ক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে। আজ বিশ্ব দেখছে... একবিংশ শতাব্দীর যুদ্ধের জন্য ভারতে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম... সময় এসেছে।

বন্ধুরা,

সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য... আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটা অবশ্যই যুদ্ধের যুগ নয়... কিন্তু এটা সন্ত্রাসবাদের যুগও নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা... এটিই একটি উন্নত বিশ্বের গ্যারান্টি।

বন্ধুরা,

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী... পাকিস্তান সরকার... যেভাবে সন্ত্রাসবাদকে লালন করা হচ্ছে... একদিন তারা পাকিস্তানকেই ধ্বংস করে দেবে। পাকিস্তান যদি টিঁকে থাকতে চায়, তাহলে তাদের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হবে। এ ছাড়া শান্তির আর কোনো উপায় নেই। ভারতের অবস্থান খুবই স্পষ্ট... সন্ত্রাস আর আলাপ-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।... সন্ত্রাস এবং বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। এবং... এমনকি জল এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। আমি আজ বিশ্ব সম্প্রদায়কে বলতে চাই...

আমাদের ঘোষিত নীতি হল…

যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হ্য়...তাহলে তা হবে কেবল সন্ত্রাসবাদ নিয়ে…যদি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর...শুধুমাত্র পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

প্রিয় দেশবাসী,

আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা।

ভগবান বুদ্ধ আমদের শান্তির পথ দেখিয়েছেন।

শান্তির পথও ক্ষমতার মধ্য দিয়ে যায়।

মানবতা...শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়…

প্রত্যেক ভারতবাসী যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে…

উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে…

এর জন্য ভারতের শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…

এবং প্রয়োজনে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

আর গত কয়েকদিন ধরে ভারত ঠিক তাই করেছে।

আমি আবারও ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীকে স্যালুট জানাই।

আমরা ভারতীয়দের সাহস এবং প্রত্যেক ভারতীয়র ঐক্যকে আমি অভিবাদন জানাই।

ধন্যবাদ…

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!

ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক!!!