“7,500 sisters and daughters created history by spinning yarn on a spinning wheel together”
“Your hands, while spinning yarn on Charkha, are weaving the fabric of India”
“Like freedom struggle, Khadi can inspire in fulfilling the promise of a developed India and a self-reliant India”
“We added the pledge of Khadi for Transformation to the pledges of Khadi for Nation and Khadi for Fashion”
“Women power is a major contributor to the growing strength of India's Khadi industry”
“Khadi is an example of sustainable clothing, eco-friendly clothing and it has the least carbon footprint”
“Gift and promote Khadi in the upcoming festive season”
“Families should watch ‘Swaraj’ Serial on Doordarshan”

গুজরাটের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজী, সংসদে আমার সহযোগী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার সভাপতি শ্রী সি আর প্যাটেলজী, গুজরাট সরকারের মন্ত্রী ভাই জগদীশ পাঞ্চাল, ভাই হর্ষ সংভি, আহমেদাবাদের মেয়র কীরিটভাই, কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান মনোজজী, উপস্থিত অন্যান্য শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ এবং গুজরাটের নানা প্রান্ত থেকে বিপুল সংখ্যায় সমাগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

সবরমতীর এই তীরভূমি আজ ধন্য হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৭৫ শ বা ৭ হাজার ৫০০ বোন ও কন্যারা একসঙ্গে চরকায় সুতো কেটে নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন। এটা আমার সৌভাগ্য যে, আজ আমিও কিছুক্ষণ সময় চরকা চালানোর অভ্যাস করার এবং সুতো কাটার সুযোগ পেয়েছি। আমি আজ এই চরকা চালাতে গিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ছিল। কারণ, আমাদের বাড়ির ছোট্ট ঘরে এক কোণায় এই সরঞ্জামগুলি রাখা থাকতো, আর আমার মা যখনই সময় পেতেন, আর্থিক উপার্জনের জন্য সুতো কাটতে বসতেন। আজ আমার মনে সেই স্মৃতি জেগে উঠেছিল। আজ আমার মনে হচ্ছিল যে, অতীতে যেমন ছিল, তেমন বর্তমানেও ভক্ত যেমন ভগবানের পূজার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী সাজিয়ে বসেন, এই সুতো কাটার প্রক্রিয়াও তেমনই অনেকের কাছে ঈশ্বরের আরাধনার থেকে কম কিছু নয়।  

স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এই চরকা যেন দেশের হৃদস্পন্দনে পরিণত হয়েছিল। সেই হৃদস্পন্দন যেন আজ আমি এখানে সবরমতী তটে বসে অনুভব করতে পারছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এখানে উপস্থিত সকলে,এই অনুষ্ঠান যাঁরা দেখছেন, প্রত্যেকে আজ এখানে খাদি উৎসবের এই প্রাণশক্তিকে অনুভব করছেন। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে দেশ আজ এই খাদি মহোৎসব আয়োজনের মাধ্যমে তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনেক সুন্দর উপহার দিয়েছে। আজই গুজরাট রাজ্য খাদি গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের নতুন ভবন এবং সবরমতী নদীতে অনিন্দ্যসুন্দর অটল সেতুরও শুভ উদ্বোধন হ’ল। আমি আহমেদাবাদ তথা গুজরাটের মানুষকে আজ এই একটি নতুন পর্যায়ে এসে দাঁড়ানোর জন্য নতুন উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।

বন্ধুগণ,

অটল সেতু সবরমতী নদীর দু’পারকেই শুধু পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করেনি, এটি তার অনুপম নকশা ও নির্মাণে উদ্ভাবন শক্তির মাধ্যমে একটি অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এর নকশা রচনার সময় গুজরাটের বিখ্যাত ঘুড়ি মহোৎসবের কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। গান্ধীনগর তথা গুজরাট থেকে অটলজী সর্বদাই অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালে অটলজী এই গান্ধীনগর থেকেই রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। এই অটল সেতু এখানকার জনগণের পক্ষ থেকে তাঁর পুণ্য স্মৃতির প্রতি একটি ভাবগম্ভীর শ্রদ্ধাঞ্জলিও।

বন্ধুগণ,

কিছুদিন আগে গুজরাট সহ গোটা দেশে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালিত হয়েছে। গুজরাটের প্রতিটি গ্রামে, প্রত্যেক গলিতে, প্রতিটি বাড়িতে, ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে, তা অভূতপূর্ব। চারদিকে সকলের মনে তেরঙ্গা, সকলের দেহে তেরঙ্গা, প্রত্যেক মানুষ তেরঙ্গা, প্রত্যেকের উৎসাহে তেরঙ্গা, উদ্দীপনায় তেরঙ্গা – এই চিত্র আমরা সকলে দেখেছি। এই যে একের পর এক তেরঙ্গা নিয়ে শোভাযাত্রা বেরিয়েছে, গ্রামে গ্রামে, শহরে শহরে প্রভাতফেরি হয়েছে, এতে দেশভক্তির জোয়ার তো দেখা গেছেই, তার সঙ্গে অমৃতকালে উন্নত ভারত নির্মাণের সংকল্পও দেখা গেছে। এই সংকল্প আজ এখানে খাদি উৎসবেও দেখা যাচ্ছে। চরকায় যাঁরা সুতো কেটেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের হাতে ভবিষ্যৎ ভারতের বুনিয়াদ রচনা করেছে।

বন্ধুগণ,

ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে, খাদির একটি সুতো স্বাধীনতা আন্দোলনের শক্তি হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে, দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তেমনই, আজ খাদি একটি সুতো উন্নত ভারতের শপথকে বাস্তবায়িত করার আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে পারে। যেমন একটি প্রদীপের আকার যত ছোটই হোক না কেন, সে অন্ধকারকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তেমনই আমাদের খাদির মতো পরম্পরাগত শক্তি ভারতকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার প্রেরণাশক্তি হয়ে উঠতে পারে। সেজন্য এই খাদি উৎসব স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি পবিত্র প্রচেষ্টা। এই খাদি উৎসব ভবিষ্যতে উজ্জ্বল ভারতের সংকল্পকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে প্রেরণা জোগাবে।

বন্ধুগণ,

এ বছর ১৫ আগস্টে আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে ৫টি শপথের কথা উল্লেখ করেছি। আজ সবরমতীর তটে দাঁড়িয়ে এই পুণ্যসলীলা নদীকে সামনে রেখে আমি সেই ৫টি শপথকে পুনরুচ্চারণ করতে চাই। প্রথমতঃ, দেশের সামনে এক বিশাল লক্ষ্য রয়েছে, তা হল – উন্নত ভারত গড়ে তোলা। দ্বিতীয়তঃ, দাসত্বের মানসিকতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি। তৃতীয়তঃ, আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি গর্ববোধ করা। চতুর্থতঃ, দেশের একতা বাড়ানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং পঞ্চমতঃ, যথাযথ নাগরিক দায়িত্ব পালন।

আজকের এই খাদি উৎসব এই পঞ্চ শপথের একটি সুন্দর প্রতিবিম্ব। এই খাদি উৎসবের একটি বিরাট লক্ষ্য আমাদের ঐতিহ্যের জন্য গর্ব, গণঅংশীদারিত্ব, আমাদের কর্তব্য – এই সবকিছুর সমন্বয়। আমাদের খাদিও দাসত্বের মানসিকতার অনেক বড় ভুক্তভোগী। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যে খাদি আমাদের মনে স্বদেশী ভাবনাকে জাগ্রত করেছিল, স্বাধীনতার পর সেই খাদিকে তাচ্ছিল্যের নজরে দেখা হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যে খাদিকে গান্ধীজী দেশের আত্মাভিমানের প্রতীক করে তুলেছিলেন, সেই খাদিকে স্বাধীনতার পর হীন ভাবনায় জর্জরিত করে তোলা হয়েছিল। এর ফলে, খাদি ও খাদি সংশ্লিষ্ট গ্রামোদ্যোগ সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। খাদির এই দূরাবস্থা, বিশেষ করে গুজরাটের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক। কারণ, গুজরাটের সঙ্গে খাদির একটি বিশেষ সম্পর্ক আছে।

বন্ধুগণ,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই গুজরাটের মাটিতেই আরেকবার খাদি পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমার মনে আছে যে, ২০০৩ সালে খাদির দুর্দশা দূর করতে আমি গান্ধীজীর জন্মস্থান পোরবন্দর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছিলাম। তখন আমরা ‘খাদি ফর নেশন’ – এর পাশাপাশি, ‘খাদি ফর ফ্যাশন’ – এর সংকল্প নিয়েছিলাম। সেই সময় গুজরাটে খাদি জনপ্রিয় করে তুলতে অনেক ফ্যাশন শো-র আয়োজন করা হয়েছিল। অনেক বিখ্যাত শিল্পীদের এই অভিযানে যুক্ত করা হয়েছিল। তখন অনেকেই আমাদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিলেন, তাচ্ছিল্য দেখিয়েছিলেন। কিন্তু খাদি ও গ্রামোদ্যোগের প্রতি কোনও রকম উপেক্ষা গুজরাটবাসী মেনে নিতে পারেনি। গুজরাট সম্পূর্ণ সমর্পণ ভাব নিয়ে এগিয়ে গেছে এবং খাদিকে পুনরুজ্জীবিত করে দেখিয়েছে।

২০১৪ সালে যখন আপনারা আমাকে দিল্লির দায়িত্ব নেওয়ার আদেশ দিলেন, তখন গুজরাট থেকে পাওয়া এই প্রেরণাকে আমি আরও এগিয়ে নিয়ে গেছি। এর পরিধিকে আরও বিস্তারিত করেছি। আমি ‘খাদি ফর নেশন, খাদি ফর ফ্যাশন’ – এর সঙ্গে ‘খাদি ফর ট্রান্সফরমেশন’ এর সংকল্পকে যুক্ত করেছি। আমি গুজরাটের সাফল্যের অভিজ্ঞতাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে শুরু করেছি। সারা দেশে খাদি সংক্রান্ত যত সমস্যা ছিল, সেগুলিকে দূর করা হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে খাদি পণ্য কেনার জন্য উৎসাহিত করেছি। এর ফল আজ সারা পৃথিবী দেখছে।

আজ ভারতের টপ ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলি নিজেরাই খাদির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন। আজ ভারতে খাদির রেকর্ড উৎপাদন যেমন হচ্ছে, তেমনই রেকর্ড বিক্রিও হচ্ছে। বিগত ৮ বছরে দেশে চার গুণেরও বেশি খাদি বিক্রি হয়েছে। আজ প্রথমবার ভারতের খাদি ও গ্রামোদ্যোগের টার্নওভার ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। খাদির এই বিক্রি বৃদ্ধির ফলে আপনারাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। আমার দেশের গ্রামে গ্রামে বসবাসকারী খাদির সঙ্গে যুক্ত থাকা ভাই-বোনেরা উপকৃত হয়েছেন।

খাদি বিক্রি বৃদ্ধির ফলে দেশের গ্রামগুলিতে বেশি টাকা গেছে, গ্রামেই প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। বিশেষ করে, মা ও বোনের বেশি ক্ষমতায়ন হয়েছে। বিগত ৮ বছরে শুধু খাদি ও গ্রামোদ্যোগ ক্ষেত্রে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। আর বন্ধুগণ, এখন গুজরাটে ‘গ্রিন খাদি’ অভিযান শুরু হয়েছে। এখন গুজরাটের গ্রামে গ্রামে সৌর চরকা দিয়ে খাদি উৎপাদন শুরু হয়েছে। কারিগরদের সৌর চরকা বিতরণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ গুজরাট আরেকবার গোটা দেশকে নতুন পথ দেখাচ্ছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের খাদি শিল্পের ক্রমবর্ধমান শক্তির পেছনে নারী শক্তির অনেক বড় অবদান রয়েছে। আমাদের বোন ও কন্যাদের মধ্যেও শিল্প ভাবনার প্রতিভা পরিলক্ষিত হয়েছে। এর প্রমাণ, গুজরাটে সখী মন্ডলগুলির সম্প্রসারণ। এক দশক আগে আমরা গুজরাটে বোনেদের ক্ষমতায়নের জন্য ‘মিশন মঙ্গলম’ শুরু করেছিলাম। আজ গুজরাটের বোনেদের ২ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। এগুলির মধ্যে ২৬ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ বোনেরা যুক্ত রয়েছেন। ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল সহায়তায় সখী মন্ডলগুলি পল্লবিত- পুষ্পিত হয়ে উঠেছে।

বন্ধুগণ,

আমাদের বোন ও কন্যাদের এই শক্তিই অমৃতকালে দেশে আসল কার্যকারিতা সৃষ্টি করতে চলেছে। আমরা চাইছি, দেশের মেয়েদের অধিক কর্মসংস্থান। মেয়েরা যেন তাদের পছন্দসই পেশায় যুক্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের মুদ্রা যোজনা অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে। একটা সময় ছিল, যখন সামান্য ঋণ নেওয়ার জন্য বোনেদের নানা জায়গায় হাত পাততে হ’ত। আজ মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ দেওয়া হচ্ছে। দেশের কোটি কোটি বোন ও কন্যারা এই মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ঋণ নিয়ে প্রথমবার নিজের ব্যবসা বা শিল্পোদ্যোগ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা কিছু মানুষকে কর্মসংস্থান করে দিয়েছে। এদের মধ্যে অনেক মহিলা খাদি গ্রামোদ্যোগের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন।

বন্ধুগণ,

আজ খাদি যে উচ্চতায় উঠেছে, সেখান থেকে আমাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। আজকাল আমরা প্রত্যেক আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে একটি শব্দ প্রায়শই শুনতে পাই, তা হ’ল –‘ সাস্টেইনেবল’ বা সুস্থায়ী।  কেউ কেউ বলেন, সুস্থায়ী উন্নয়ন। কেউ আবার বলেন, সুস্থায়ী শক্তি উৎপাদন। কেউ বলেন, সুস্থায়ী কৃষি। আবার কেউ সুস্থায়ীউৎপাদনের কথাও বলেন। গোটা বিশ্বে এই লক্ষ্যে অনেক প্রচেষ্টা চলছে, যাতে মানুষের কৃতকর্মের ফলে আমাদের পৃথিবীকে, এই ধরিত্রী মাতাকে ন্যূনতম বোঝা ওঠাতে হয়। বিশ্ব আজকাল শেকড়ে প্রত্যাবর্তনের নতুন মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করেছে। প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। এক্ষেত্রে সুস্থায়ী জীবনশৈলী নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।

আমাদের সমস্ত উৎপাদিত পণ্য যেন পরিবেশ-বান্ধব হয়, আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া যেন পরিবেশের কোনও ক্ষতি না করে – এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখানে খাদি উৎসবে অংশগ্রহণ করতে আসা সকলে হয়তো ভাবছেন যে, আমি এখানে এই সুস্থায়ী কাজের উপর কেন জোর দিচ্ছি। এর কারণ হ’ল – খাদি একটি সুস্থায়ী আভরণের উদাহরণ,  খাদি একটি পরিবেশ-বান্ধব আভরণের উদাহরণ। খাদি থেকে ন্যূনতম কার্বন নিঃসরণ হয়। এরকম অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে, সেই দেশগুলিতে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খাদির প্রচার ও প্রসারের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে । অর্থাৎ, খাদি আজ আন্তর্জাতিক স্তরে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। শুধু আমাদের মনে নিজেদের এই ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব থাকতে হবে। খাদির সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য আজ একটি অনেক বড় বাজার তৈরি হয়ে গেছে। এই সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হলে চলবে না। আমি সেই দিনটি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, যখন বিশ্বের সমস্ত বড় সুপার মার্কেটে কাপড়ের বাজারে ভারতের খাদির জনপ্রিয়তা বাড়বে। আপনাদের পরিশ্রম ও আপনাদের ঘামের ফসল এখন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের নিরিখে এখন খাদির চাহিদা ক্রমশই বাড়বে। খাদিকে ‘লোকাল থেকে গ্লোবাল’ হয়ে উঠতে কোনও শক্তিই আর আটকাতে পারবে না।

বন্ধুগণ,

আজ সবরমতীর তীরভূমি থেকে সমস্ত দেশবাসীর উদ্দেশে একটি অনুরোধ জানাতে চাই, আগামী উৎসবের মরশুমে প্রিয়জনদের খাদি গ্রামোদ্যোগে নির্মিত বস্ত্র ও অন্যান্য পণ্য উপহার দিন। আপনাদের বাড়িতে বাড়িতে নানাধরনের ফেব্রিকের কাপড় থাকতে পারে। কিন্তু, সেগুলির মধ্যে আপনারা খাদিকেও কিছুটা জায়গা দিন। আপনাদের এই উদ্যোগ দেশে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ অভিযানকেও গতি প্রদান করবে। অনেক গরীব মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে অনেক সহায়ক হবে। আপনাদের মধ্যে যাঁরা বিদেশে থাকেন, তাঁরা যখন আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের কাছে যাবেন, তখন উপহার হিসাবে খাদি পণ্য কিনে নিয়ে যান। এর ফলে, খাদি গ্রামোদ্যোগ যতটা উৎসাহিত হবে, পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মধ্যেও খাদি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ,

যে দেশ তার ইতিহাস ভুলে যায়, সেই দেশ নতুন ইতিহাস রচনা করতে পারে না। খাদি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অভিন্ন অঙ্গ। এখন আমরা নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করি বলেই সারা পৃথিবী তাকে সম্মান করছে। এর আরেকটা কারণ হ’ল – ভারতের খেলনা শিল্প। আমাদের খেলনা, ভারতীয় পরম্পরা-ভিত্তিক খেলনাগুলি পরিবেশ সুরক্ষার নিরিখেও অনেক অবদান রাখছে। ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হতে দিচ্ছে না। কিন্তু, বিগত কয়েক দশকে অসংখ্য বিদেশি খেলনার আবির্ভাব ভারতকে দুর্বল করে দিয়েছিল। ভারতের নিজস্ব সমৃদ্ধ খেলনা শিল্প বিনষ্ট হচ্ছিল।

সরকারের প্রচেষ্টায় খেলনা শিল্পোদ্যোগগুলির সঙ্গে যুক্ত আমাদের ভাই-বোনেদের পরিশ্রমে এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এখন বিদেশ থেকে খেলনা আমদানি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তেমনই, ভারতীয় খেলনাগুলি বিদেশের অধিকাংশ বাজারে নিজেদের বড় জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। এর ফলে, আমাদের ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগগুলি অনেক লাভবান হয়েছে। আমাদের শিল্পীরা, আমাদের শ্রমিকরা;  বিশ্বকর্মা সমাজের সকলে অনেক উপকৃত হয়েছেন।

বন্ধুগণ,

সরকারের প্রচেষ্টায় হস্তশিল্পের রপ্তানি, হাতে বোনা কার্পেটের রপ্তানি নিরন্তর বাড়ছে। আজ ২ লক্ষেরও বেশি তাঁতি ও হস্তশিল্পী জেম পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আর সরকারকে খুব সহজেই নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করছেন।

বন্ধুগণ,

করোনার এই সঙ্কটকালে আমাদের সরকার দেশের সমস্ত হস্তশিল্পী, তাঁতি, কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত ভাই-বোনেদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পকে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোটি কোটি মানুষকে কাজ হারানো থেকে বাঁচিয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

অমৃত মহোৎসবের সূত্রপাত গত বছর মার্চ মাসে ডান্ডি যাত্রার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সবরমতী আশ্রম থেকে শুরু হয়েছিল। অমৃত মহোৎসব আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। আমি গুজরাট সরকারের এই সুন্দর আয়োজনের জন্য খাদির সঙ্গে যুক্ত আমাদের ভাই ও বোনেদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অমৃত মহোৎসবে আমাদের এরকমই নানা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

আমি আজ আপনাদের সকলের একটি অনুরোধ রাখতে চাই। আপনারা হয়তো দেখেছেন দূরদর্শনে ‘স্বরাজ’ নামে একটি ধারাবাহিক শুরু হয়েছে। আপানারা দেশের স্বাধীনতার জন্য, দেশের আত্মাভিমানের জন্য, দেশের নানা প্রান্তে কত ধরনের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে, কারা আত্মবলিদান দিয়েছেন – এই ধারাবাহিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত গাথাগুলিকে অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে দেখানো হচ্ছে। আজকের নবীন প্রজন্মকে অনুরোধ, প্রতি রবিবার সম্ভবত রাত ৯টায় দূরদর্শনে সম্প্রচারিত ‘স্বরাজ’ ধারাবাহিকটি গোটা পরিবারের সঙ্গে বসে দেখবেন। আমাদের পূর্বজরা আমাদের জন্য কী কী সহ্য করেছেন, তা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানতে হবে। দেশভক্তি, রাষ্ট্র চেতনা আর আত্মনির্ভরতার এই ভাব যেন ক্রমশই বাড়তে থাকে। এই কামনা নিয়ে আরেকবার আপনাদের সকলকে হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

আমি আজ বিশেষভাবে আমার এই মা ও বোনেদের সম্মান জানাতে চাই। কারণ, চরকা চালানোও একপ্রকার সাধনা। সম্পূর্ণ একাগ্রতা নিয়ে যৌগিক পদ্ধতিতে এটি দেশের উন্নয়নে মা ও বোনেদের অবদানকে সুনিশ্চিত করছে। আর এত বড় সংখ্যক বোন ও মেয়েদের একসঙ্গে চরকা বোনা -  ইতিহাসে প্রথমবার এই ঘটনা ঘটেছে।

যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এই ভাবনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এমন প্রত্যেক বন্ধুকে আমি অনুরোধ করছি যে, আপনারা এতদিন পর্যন্ত যে পদ্ধতিতে কাজ করেছেন, যেভাবে কাজ করেছেন – আজ কেন্দ্রীয় সরকার মহাত্মা গান্ধীর সেই মূল্যবোধগুলি নিয়ে আরেকবার সেই প্রক্রিয়াকে প্রাণবন্ত করে তোলার যে চেষ্টা করছে, তাকে ভালোভাবে বুঝতে ও মেনে নিতে চেষ্টা করুন। তাঁদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন। সেজন্য আমি উপস্থিত সমস্ত বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাই।

আসুন, আমরা সকলে মিলে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে পূজনীয় বাপু যে মহান পরম্পরা রচনা করে গেছেন, যে পরম্পরা এখন ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে; তাকে রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করুন। নিজের সামর্থ্য যুক্ত করুন। ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করুন আর কর্তব্য পালন করুন। এই প্রত্যাশা নিয়ে আরেকবার আপনাদের সকলকে, সমস্ত মা ও বোনেদের সাদর প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।

ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan

Media Coverage

Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
“Maitri Parv” celebrates the friendship between India and Oman: PM Modi during community programme in Muscat
December 18, 2025

नमस्ते!
अहलन व सहलन !!!

ये युवा जोश आपकी एनर्जी यहां का पूरा atmosphere चार्ज हो गया है। मैं उन सब भाई बहनों को भी नमस्कार करता हूँ, जो जगह की कमी के कारण, इस हॉल में नहीं हैं, और पास के हॉल में स्क्रीन पर यह प्रोग्राम लाइव देख रहें हैं। अब आप कल्पना कर सकते हैं, कि यहाँ तक आएं और अंदर तक नहीं आ पाएं तोह उनके दिल में क्या होता होगा।

साथियों,

मैं मेरे सामने एक मिनी इंडिया देख रहा हूं, मुझे लगता है यहां बहुत सारे मलयाली भी हैं।

सुखम आणो ?

औऱ सिर्फ मलयालम नहीं, यहां तमिल, तेलुगू, कन्नड़ा और गुजराती बोलने वाले बहुत सारे लोग भी हैं।

नलमा?
बागुन्नारा?
चेन्ना-गिद्दिरा?
केम छो?

साथियों,

आज हम एक फैमिली की तरह इकट्ठा हुए हैं। आज हम अपने देश को, अपनी टीम इंडिया को सेलिब्रेट कर रहे हैं।

साथियों,

भारत में हमारी diversity, हमारी संस्कृति का मजबूत आधार है। हमारे लिए हर दिन एक नया रंग लेकर आता है। हर मौसम एक नया उत्सव बन जाता है। हर परंपरा एक नई सोच के साथ आती है।

और यही कारण है कि हम भारतीय कहीं भी जाएं, कहीं भी रहें, हम diversity का सम्मान करते हैं। हम वहां के कल्चर, वहां के नियम-कायदों के साथ घुलमिल जाते हैं। ओमान में भी मैं आज यही होते हुए अपनी आंखों के सामने देख रहा हूं।

यह भारत का डायस्पोरा co-existence का, co-operation का, एक लिविंग Example बना हुआ है।

साथियों,

भारत की इसी समृद्ध सांस्कृतिक विरासत का एक और अद्भुत सम्मान हाल ही में मिला है। आपको शायद पता होगा, यूनेस्को ने दिवाली को Intangible Cultural Heritage of Humanity में शामिल किया है।

अब दिवाली का दिया हमारे घर को ही नहीं, पूरी दुनिया को रोशन करेगा। यह दुनिया भर में बसे प्रत्येक भारतीय के लिए गर्व का विषय है। दिवाली की यह वैश्विक पहचान हमारी उस रोशनी की मान्यता है, जो आशा, सद्भाव, और मानवता के संदेश को, उस प्रकाश को फैलाती है।

साथियों,

आज हम सब यहां भारत-ओमान "मैत्री पर्व” भी मना रहे हैं।

मैत्री यानि:
M से maritime heritage
A से Aspirations
I से Innovation
T से Trust and technology
R से Respect
I से Inclusive growth

यानि ये "मैत्री पर्व,” हम दोनों देशों की दोस्ती, हमारी शेयर्ड हिस्ट्री, और prosperous future का उत्सव हैं। भारत और ओमान के बीच शताब्दियों से एक आत्मीय और जीवंत नाता रहा है।

Indian Ocean की Monsoon Winds ने दोनों देशों के बीच ट्रेड को दिशा दी है। हमारे पूर्वज लोथल, मांडवी, और तामरालिप्ति जैसे पोर्ट्स से लकड़ी की नाव लेकर मस्कट, सूर, और सलालाह तक आते थे।

और साथियों,

मुझे खुशी है कि मांडवी टू मस्कट के इन ऐतिहासिक संबंधों को हमारी एंबेसी ने एक किताब में भी समेटा है। मैं चाहूंगा कि यहां रहने वाला हर साथी, हर नौजवान इसको पढ़े, और अपने ओमानी दोस्तों को भी ये गिफ्ट करे।

अब आपको लगेगा की स्कूल में भी मास्टरजी होमवर्क देते हैं, और इधर मोदीजी ने भी होमवर्क दे दिया।

साथियों,

ये किताब बताती है कि भारत और ओमान सिर्फ Geography से नहीं, बल्कि Generations से जुड़े हुए हैं। और आप सभी सैकड़ों वर्षों के इन संबंधों के सबसे बड़े Custodians हैं।

साथियों,

मुझे भारत को जानिए क्विज़ में ओमान के participation बारे में भी पता चला है। ओमान से Ten thousand से अधिक लोगों ने इस क्विज में participate किया। ओमान, ग्लोबली फोर्थ पोज़िशन पर रहा है।

लेकिन में तालियां नहीं बजाऊंगा। ओमान तो नंबर एक पे होना चाहिए। मैं चाहूँगा कि ओमान की भागीदारी और अधिक बढ़े, ज्यादा से ज्यादा संख्या में लोग जुड़ें। भारतीय बच्चे तो इसमें भाग ज़रूर लें। आप ओमान के अपने दोस्तों को भी इस क्विज़ का हिस्सा बनने के लिए मोटिवेट करें।

साथियों,

भारत और ओमान के बीच जो रिश्ता ट्रेड से शुरू हुआ था, आज उसको education सशक्त कर रही है। मुझे बताया गया है कि यहां के भारतीय स्कूलों में करीब फोर्टी सिक्स थाउज़ेंड स्टूड़ेंट्स पढ़ाई कर रहे हैं। इनमें ओमान में रहने वाले अन्य समुदायों के भी हज़ारों बच्चे शामिल हैं।

ओमान में भारतीय शिक्षा के पचास वर्ष पूरे हो रहे हैं। ये हम दोनों देशों के संबंधों का एक बहुत बड़ा पड़ाव है।

साथियों,

भारतीय स्कूलों की ये सफलता His Majesty the Late सुल्तान क़ाबूस के प्रयासों के बिना संभव नहीं थी। उन्होंने Indian School मस्कत सहित अनेक भारतीय स्कूलों के लिए ज़मीन दी हर ज़रूरी मदद की।

इस परंपरा को His Majesty सुल्तान हैथम ने आगे बढ़ाया।

वे जिस प्रकार यहां भारतीयों का सहयोग करते हैं, संरक्षण देते हैं, इसके लिए मैं उनका विशेष तौर पर आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

आप सभी परीक्षा पे चर्चा कार्यक्रम से भी परिचित हैं। यहां ओमान से काफी सारे बच्चे भी इस प्रोग्राम से जुड़ते हैं। मुझे यकीन है, कि यह चर्चा आपके काम आती होगी, पैरेंट्स हों या स्टूडेंट्स, सभी को stress-free तरीके से exam देने में हमारी बातचीत बहुत मदद करती है।

साथियों,

ओमान में रहने वाले भारतीय अक्सर भारत आते-जाते रहते हैं। आप भारत की हर घटना से अपडेट रहते हैं। आप सभी देख रहे हैं कि आज हमारा भारत कैसे प्रगति की नई गति से आगे बढ़ रहा है। भारत की गति हमारे इरादों में दिख रही है, हमारी परफॉर्मेंस में नज़र आती है।

कुछ दिन पहले ही इकॉनॉमिक ग्रोथ के आंकड़े आए हैं, और आपको पता होगा, भारत की ग्रोथ 8 परसेंट से अधिक रही है। यानि भारत, लगातार दुनिया की Fastest growing major economy बना हुआ है। ये तब हुआ है, जब पूरी दुनिया चुनौतियों से घिरी हुई है। दुनिया की बड़ी-बड़ी economies, कुछ ही परसेंट ग्रोथ अचीव करने के लिए तरस गई हैं। लेकिन भारत लगातार हाई ग्रोथ के पथ पर चल रहा है। ये दिखाता है कि भारत का सामर्थ्य आज क्या है।

साथियों,

भारत आज हर सेक्टर में हर मोर्चे पर अभूतपूर्व गति के साथ काम कर रहा है। मैं आज आपको बीते 11 साल के आंकड़े देता हूं। आपको भी सुनकर गर्व होगा।

यहां क्योंकि बहुत बड़ी संख्या में, स्टूडेंट्स और पेरेंट्स आए हैं, तो शुरुआत मैं शिक्षा और कौशल के सेक्टर से ही बात करुंगा। बीते 11 साल में भारत में हज़ारों नए कॉलेज बनाए गए हैं।

I.I.T’s की संख्या सोलह से बढ़कर तेईस हो चुकी है। 11 वर्ष पहले भारत में 13 IIM थे, आज 21 हैं। इसी तरह AIIMs की बात करुं तो 2014 से पहले सिर्फ 7 एम्स ही बने थे। आज भारत में 22 एम्स हैं।

मेडिकल कॉलेज 400 से भी कम थे, आज भारत में करीब 800 मेडिकल कॉलेज हैं।

साथियों,

आज हम विकसित भारत के लिए अपने एजुकेशन और स्किल इकोसिस्टम को तैयार कर रहे हैं। न्यू एजुकेशन पॉलिसी इसमें बहुत बड़ी भूमिका निभा रही है। इस पॉलिसी के मॉडल के रूप में चौदह हज़ार से अधिक पीएम श्री स्कूल भी खोले जा रहे हैं।

साथियों,

जब स्कूल बढ़ते हैं, कॉलेज बढ़ते हैं, यूनिवर्सिटीज़ बढ़ती हैं तो सिर्फ़ इमारतें नहीं बनतीं देश का भविष्य मज़बूत होता है।

साथियों,

भारत के विकास की स्पीड और स्केल शिक्षा के साथ ही अन्य क्षेत्रों में भी दिखती है। बीते 11 वर्षों में हमारी Solar Energy Installed Capacity 30 गुना बढ़ी है, Solar module manufacturing 10 गुना बढ़ी है, यानि भारत आज ग्रीन ग्रोथ की तरफ तेजी से कदम आगे बढ़ा रहा है।

आज भारत दुनिया का सबसे बड़ा फिनटेक इकोसिस्टम है। दुनिया का दूसरा सबसे बड़ा Steel Producer है। दूसरा सबसे बड़ा Mobile Manufacturer है।

साथियों,

आज जो भी भारत आता है तो हमारे आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर को देखकर हैरान रह जाता है। ये इसलिए संभव हो पा रहा है क्योंकि बीते 11 वर्षों में हमने इंफ्रास्ट्रक्चर पर पांच गुना अधिक निवेश किया है।

Airports की संख्या double हो गई है। आज हर रोज, पहले की तुलना में डबल स्पीड से हाइवे बन रहे हैं, तेज़ गति से रेल लाइन बिछ रही हैं, रेलवे का इलेक्ट्रिफिकेशन हो रहा है।

साथियों,

ये आंकड़े सिर्फ उपलब्धियों के ही नहीं हैं। ये विकसित भारत के संकल्प तक पहुंचने वाली सीढ़ियां हैं। 21वीं सदी का भारत बड़े फैसले लेता है। तेज़ी से निर्णय लेता है, बड़े लक्ष्यों के साथ आगे बढ़ता है, और एक तय टाइमलाइन पर रिजल्ट लाकर ही दम लेता है।

साथियों,

मैं आपको गर्व की एक और बात बताता हूं। आज भारत, दुनिया का सबसे बड़ा digital public infrastructure बना रहा है।

भारत का UPI यानि यूनिफाइड पेमेंट्स इंटरफेस, दुनिया का सबसे बड़ा रियल टाइम डिजिटल पेमेंट सिस्टम है। आपको ये बताने के लिए कि इस पेमेंट सिस्टम का स्केल क्या है, मैं एक छोटा सा Example देता हूं।

मुझे यहाँ आ कर के करीब 30 मिनट्स हुए हैं। इन 30 मिनट में भारत में यूपीआई से फोर्टीन मिलियन रियल टाइम डिजिटल पेमेंट्स हुए हैं। इन ट्रांजैक्शन्स की टोटल वैल्यू, ट्वेंटी बिलियन रुपीज़ से ज्यादा है। भारत में बड़े से बड़े शोरूम से लेकर एक छोटे से वेंडर तक सब इस पेमेंट सिस्टम से जुड़े हुए हैं।

साथियों,

यहां इतने सारे स्टूडेंट्स हैं। मैं आपको एक और दिलचस्प उदाहरण दूंगा। भारत ने डिजीलॉकर की आधुनिक व्यवस्था बनाई है। भारत में बोर्ड के एग्ज़ाम होते हैं, तो मार्कशीट सीधे बच्चों के डिजीलॉकर अकाउंट में आती है। जन्म से लेकर बुढ़ापे तक, जो भी डॉक्युमेंट सरकार जेनरेट करती है, वो डिजीलॉकर में रखा जा सकता है। ऐसे बहुत सारे डिजिटल सिस्टम आज भारत में ease of living सुनिश्चित कर रहे हैं।

साथियों,

भारत के चंद्रयान का कमाल भी आप सभी ने देखा है। भारत दुनिया का पहला ऐसा देश है, जो मून के साउथ पोल तक पहुंचा है, सिर्फ इतना ही नहीं, हमने एक बार में 104 सैटेलाइट्स को एक साथ लॉन्च करने का कीर्तिमान भी बनाया है।

अब भारत अपने गगनयान से पहला ह्युमेन स्पेस मिशन भी भेजने जा रहा है। और वो समय भी दूर नहीं जब अंतरिक्ष में भारत का अपना खुद का स्पेस स्टेशन भी होगा।

साथियों,

भारत का स्पेस प्रोग्राम सिर्फ अपने तक सीमित नहीं है, हम ओमान की स्पेस एस्पिरेशन्स को भी सपोर्ट कर रहे हैं। 6-7 साल पहले हमने space cooperation को लेकर एक समझौता किया था। मुझे बताते हुए खुशी है कि, ISRO ने India–Oman Space Portal विकसित किया है। अब हमारा प्रयास है कि ओमान के युवाओं को भी इस स्पेस पार्टनरशिप का लाभ मिले।

मैं यहां बैठे स्टूडेंट्स को एक और जानकारी दूंगा। इसरो, "YUVIKA” नाम से एक स्पेशल प्रोग्राम चलाता है। इसमें भारत के हज़ारों स्टूडेंट्स space science से जुड़े हैं। अब हमारा प्रयास है कि इस प्रोग्राम में ओमानी स्टूडेंट्स को भी मौका मिले।

मैं चाहूंगा कि ओमान के कुछ स्टूडेंट्स, बैंगलुरु में ISRO के सेंटर में आएं, वहां कुछ समय गुज़ारें। ये ओमान के युवाओं की स्पेस एस्पिरेशन्स को नई बुलंदी देने की बेहतरीन शुरुआत हो सकती है।

साथियों,

आज भारत, अपनी समस्याओं के सोल्यूशन्स तो खोज ही रहा है ये सॉल्यूशन्स दुनिया के करोड़ों लोगों का जीवन कैसे बेहतर बना सकते हैं इस पर भी काम कर रहा है।

software development से लेकर payroll management तक, data analysis से लेकर customer support तक अनेक global brands भारत के टैलेंट की ताकत से आगे बढ़ रहे हैं।

दशकों से भारत IT और IT-enabled services का global powerhouse रहा है। अब हम manufacturing को IT की ताक़त के साथ जोड़ रहे हैं। और इसके पीछे की सोच वसुधैव कुटुंबकम से ही प्रेरित है। यानि Make in India, Make for the World.

साथियों,

वैक्सीन्स हों या जेनरिक medicines, दुनिया हमें फार्मेसी of the World कहती है। यानि भारत के affordable और क्वालिटी हेल्थकेयर सोल्यूशन्स दुनिया के करोड़ों लोगों का जीवन बचा रहे हैं।

कोविड के दौरान भारत ने करीब 30 करोड़ vaccines दुनिया को भेजी थीं। मुझे संतोष है कि करीब, one hundred thousand मेड इन इंडिया कोविड वैक्सीन्स ओमान के लोगों के काम आ सकीं।

और साथियों,

याद कीजिए, ये काम भारत ने तब किया, जब हर कोई अपने बारे में सोच रहा था। तब हम दुनिया की चिंता करते थे। भारत ने अपने 140 करोड़ नागरिकों को भी रिकॉर्ड टाइम में वैक्सीन्स लगाईं, और दुनिया की ज़रूरतें भी पूरी कीं।

ये भारत का मॉडल है, ऐसा मॉडल, जो twenty first century की दुनिया को नई उम्मीद देता है। इसलिए आज जब भारत मेड इन इंडिया Chips बना रहा है, AI, क्वांटम कंप्यूटिंग और ग्रीन हाइड्रोजन को लेकर मिशन मोड पर काम कर रहा है, तब दुनिया के अन्य देशों में भी उम्मीद जगती है, कि भारत की सफलता से उन्हें भी सहयोग मिलेगा।

साथियों,

आप यहां ओमान में पढ़ाई कर रहे हैं, यहां काम कर रहे हैं। आने वाले समय में आप ओमान के विकास में, भारत के विकास में बहुत बड़ी भूमिका निभाएंगे। आप दुनिया को लीडरशिप देने वाली पीढ़ी हैं।

ओमान में रहने वाले भारतीयों को असुविधा न हो, इसके लिए यहां की सरकार हर संभव सहयोग दे रही है।

भारत सरकार भी आपकी सुविधा का पूरा ध्यान रख रही है। पूरे ओमान में 11 काउंसलर सर्विस सेंटर्स खोले हैं।

साथियों,

बीते दशक में जितने भी वैश्विक संकट आए हैं, उनमें हमारी सरकार ने तेज़ी से भारतीयों की मदद की है। दुनिया में जहां भी भारतीय रहते हैं, हमारी सरकार कदम-कदम पर उनके साथ है। इसके लिए Indian Community Welfare Fund, मदद पोर्टल, और प्रवासी भारतीय बीमा योजना जैसे प्रयास किए गए हैं।

साथियों,

भारत के लिए ये पूरा क्षेत्र बहुत ही स्पेशल है, और ओमान हमारे लिए और भी विशेष है। मुझे खुशी है कि भारत-ओमान का रिश्ता अब skill development, digital learning, student exchange और entrepreneurship तक पहुंच रहा है।

मुझे विश्वास है आपके बीच से ऐसे young innovators निकलेंगे जो आने वाले वर्षों में India–Oman relationship को नई ऊंचाई पर ले जाएंगे। अभी यहां भारतीय स्कूलों ने अपने 50 साल celebrate किए हैं। अब हमें अगले 50 साल के लक्ष्यों के साथ आगे बढ़ना है। इसलिए मैं हर youth से कहना चाहूंगा :

Dream big.
Learn deeply.
Innovate boldly.

क्योंकि आपका future सिर्फ आपका नहीं है, बल्कि पूरी मानवता का भविष्य है।

आप सभी को एक बार फिर उज्जवल भविष्य की बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

बहुत-बहुत धन्यवाद!
Thank you!