তিনি জল জীবন মিশনের আওতায় ইয়াদগির মাল্টি-ভিলেজ জল প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন
পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণপুর লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানাল জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১৫০সি জাতীয় সড়কের বাডাডাল থেকে মারাদাগির এস আন্দোলা পর্যন্ত ছয় লেনবিশিষ্ট ৬৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রিনফিল্ড মহাসড়কের ভিত্তিপ্রস্তর
“অমৃতকালে আমরা ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তুলব”
“উন্নয়নের কোনও একটি মাপকাঠিতে যদি দেশের একটি জেলাও পিছিয়ে থাকে তাহলে সেই দেশ কখনই উন্নত হয়ে উঠতে পারে না”
“ইয়াদগির উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলা কর্মসূচিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রথম ১০টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার ক্রমতালিকায় উঠে এসেছে”
“ডবল ইঞ্জিন সরকার সুবিধা এবং সঞ্চয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করে চলেছে”
“ইয়াদগিরের প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার কৃষক পরিবার পিএম কিষাণ নিধি প্রকল্পে ২৫০ কোটি টাকা পেয়েছে”
“দেশের কৃষিনীতিতে ক্ষুদ্র চাষীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে”
“ডবল ইঞ্জিন সরকার পরিকাঠামো এবং সংস্কারের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ায় কর্ণাটক বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে”

ভারত মাতা কি – জয়!

ভারত মাতা কি – জয়!

কর্ণাটকের রাজ্যপাল শ্রী থাওয়ার চাঁদ গেহলটজী, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ মুম্বাইজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী ভগবন্ত খুবাজী, কর্ণাটক সরকারের মন্ত্রীগণ এবং আমাদের আশীর্বাদ করতে আসা বিরাট সংখ্যায় উপস্থিত আমার ভাই-বোনেরা!

कर्नाटक दा, एल्ला, सहोदरा सहोदरियारिगे, नन्ना वंदानेगड़ू!

আমি আমার সামনে জনসমুদ্র প্রত্যক্ষ করছি। হেলিপ্যাডেও ছিল উপচে পড়া ভিড় এবং এখানেও তাই। প্যান্ডেলের বাইরেও হাজার হাজার মানুষ রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমাদের সকলের শক্তি।

বন্ধুগণ,

ইয়াদগিরের ইতিহাস সমৃদ্ধ। রাত্তিহাল্লির পুরনো কেল্লা, আমাদের পূর্বপুরুষদের শৌর্য এবং অতীতের প্রতীক। এই এলাকায় রয়েছে - আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ধারা বহনকারী বহু এলাকা। এখানেই রয়েছে – সুরাপুর রাজন্য শাসিত রাজ্যের ঐতিহ্য। মহান রাজা ভেঙ্কটাপ্পা নায়কা তাঁর স্বরাজ (স্ব-শাসন) এবং সুশাসনের ধারা দেশ জুড়ে খ্যাতিলাভ করেছে। এই ঐতিহ্য নিয়ে আমরা সকলেই গর্বিত।

ভাই ও বোনেরা,

কর্ণাটক ও আপনাদের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প আমি আজ আপনাদের হাতে তুলে দিতে এবং নতুন বেশ কিছু নতুন প্রকল্প ঘোষণা করতে এসেছি। এখন জল ও সড়ক ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকগুলি বড় প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করা হ’ল। ইয়াদগির কালাবুরাগি ও বিজয়াপুর জেলার লক্ষাধিক কৃষক নারায়ণপুর লেফট্‌ ব্যাঙ্ক ক্যানেলের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণে উপকৃত হবেন। ইয়াদগিরে বহুস্তরীয় গ্রামীণ জল সরবরাহ ব্যবস্থা জেলার লক্ষাধিক মানুষের কাছে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেবে।

কর্ণাটকে সুরাট – চেন্নাই অর্থনৈতিক করিডরের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে, এই এলাকার সঙ্গে ইয়াদগির, রাইচূড়ে, কালাবুর্গির মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। নানা উদ্যোগ গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থান কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। উত্তর কর্ণাটকের উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলার প্রশংসা দাবি করে।

ভাই ও বোনেরা,

স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পূর্ণ হয়েছে। আগামী ২৫ বছর নতুন সংকল্প পূরণ করতে দেশ এখন এগিয়ে চলেছে। এই ২৫ বছর দেশের প্রত্যেকটি মানুষ ও প্রত্যেকটি রাজ্যের জন্য অমৃতকাল। এই অমৃতকালে আমাদের উন্নত ভারত গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক নাগরিক, প্রত্যেক পরিবার এবং দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য এই অভিযানে সামিল হলে তবেই দেশ উন্নতি করতে পারবে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ, তা তিনি কৃষক বা শ্রমিক যেই হন না কেন, তাঁদের জীবনধারার মানোন্নয়নের মধ্য দিয়েই দেশ উন্নতি করতে পারে। মাঠে যদি ফসল ভালো হয়, কারখানা যদি সম্প্রসারিত হয় – তা হলেই দেশ উন্নতি করবে।

বন্ধুগণ,

অতীতের দশকগুলির খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে যদি আমরা শিখতে পারি এবং তা পুনর্ব্যবহারের পথ পরিহার করতে পারলেই এই উন্নতি সম্ভব। উত্তর কর্ণাটকের ইয়াদগিরের দৃষ্টান্ত আপনাদের সামনে রয়েছে। এই ক্ষেত্রের সম্ভাবনার কোনও জুড়ি নেই। হাজারো দক্ষতা সত্ত্বেও উন্নয়নের যাত্রাপথে এই এলাকা অনেক পিছিয়ে ছিল। অতীতের সরকার নতুন নতুন জেলা ঘোষণা করে তাদের দায়িত্ব সেরে ফেলেছেন। ইয়াদগির পিছিয়ে পড়া জেলা হিসাবে এর অন্যতম। এই এলাকা পিছিয়ে পড়ার কারণ কি, অতীরের সরকার তা কখনও ভাবার চেষ্টা করেনি। সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর পরিশ্রম তো দূরস্থান। সড়ক পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, জল – এসব ক্ষেত্রে যখন বিনিয়োগের দরকার ছিল, সরকারে থাকা দলগুলি তখন ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছে। প্রত্যেকটি পরিকল্পনা ও কর্মসূচি জাত ও ধর্মের ভোট সুনিশ্চিত করতে চেয়েছে। ফলে আমার ভাই ও বোনেরা, এই এলাকাকে অনেক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার ভোট ব্যাঙ্ক নয়। উন্নয়ন, উন্নয়ন এবং উন্নয়নই হ’ল আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ২০১৪ সালে আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করেছিলেন, অনেক দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি জানি যে, দেশের একটি জেলাও যদি পিছিয়ে থাকে, তা হলে দেশ উন্নতি করতে পারবে না। ফলে, অতীতের সরকারগুলি যে জেলাগুলিকে শুধু পিছিয়ে পড়া বলেই ঘোষণা করেছিল। আমরা সেইসব জেলার উচ্চাকাঙ্খা ও উন্নয়নে সক্রিয়। আমাদের সরকার উচ্চাকাঙ্খা জেলা কর্মসূচি চালু করেছে। ইয়াদগির সহ আরও ১০০টির বেশি এরকম জেলা রয়েছে।

আমরা এইসব জেলাগুলির সুশাসনের উপর জোর দিয়েছি এবং উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্র ধরে কাজ এগিয়ে চলেছি। ইয়াদগির সহ উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলি এর সুবিধাভোগ করছে। আজ ইয়াদগিরের শিশুদের ১০০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে। আজ ইয়াদগির জেলায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সমস্ত গ্রামে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানের জন্য অভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংযোগ সমস্ত ক্ষেত্রেই ইয়াদগির প্রথম সারির ১০টি উচ্চাকাঙ্খী জেলার মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ইয়াদগিরে এখন নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠছে। এখানে ফার্মা পার্কের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিয়েছে।

একবিংশ শতাব্দীর ভারতের জল সুরক্ষা একটা বড় বিষয়। ভারতকে যদি উন্নত করতে হয়, তা হলে তার সীমান্ত নিরাপত্তা, উপকূল নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জল নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবিলা করতে হবে।

ডবল ইঞ্জিন সরকার স্বাচ্ছন্দ্য ও সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখে কাজ করে চলেছে। ২০১৪ সালে আপনারা যখন আমাদের এই সুযোগ দিয়েছিলেন, তখন ৯৯টি সেচ প্রকল্প দশকের পর দশক ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে ছিল। এখন এর মধ্যে ৫০টিরও বেশি তৈরি হয়ে গেছে এবং বাকি প্রকল্পগুলি কাজ চলছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ যাতে মেটানো যায়, তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্ণাটকে এরকম অনেকগুলি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। খরা প্রবণ অঞ্চলগুলির সঙ্গে নদী সংযোগ গড়ে তোলা হয়েছে। নারায়ণপুর লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানেল সিস্টেমে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই নতুন ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে সাড়ে চার লক্ষ হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় আনা হবে। এর ফলে, দীর্ঘ সময় ধরে খালের প্রান্ত সীমাতেও যথেষ্ট পরিমাণ জল থাকবে।

বন্ধুগণ,

ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থায় প্রতিটি বিন্দুতে অধিক ফসল – দেশ জুড়ে এই জাতীয় অভূতপূর্ব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, গত ৬-৭ বছরে এই ক্ষুদ্রসেচের আওতায় ৭০ লক্ষ জমিকে আনা হয়েছে। কর্ণাটকেও ক্ষুদ্রসেচ বিস্তার লাভ করেছে এবং এর মাধ্যমে ৫ লক্ষ হেক্টর জমি উপকৃত হবে।

ডবল ইঞ্জিন সরকার ভূগর্ভস্থ জলস্তর বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছে, তা সে অটল ভূজল যোজনাই হোক, অমৃত সরোবর অভিযানের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় ৭৫টি পুষ্করিনী খননের পরিকল্পনা অথবা কর্ণাটক সরকারের নিজস্ব প্রকল্প জলস্তর ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

 

ভাই ও বোনেরা,

জল জীবন মিশনে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজকে প্রত্যক্ষ করা এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে। তিন – সাড়ে তিন বছর আগে যখন এই মিশনের সূচনা করা হয়, তখন দেশের ১৮ কোটি গ্রামীণ বাড়ির মাত্র ৩ কোটি বাড়িতে নলবাহিত জলের সংযোগ ছিল। আজ দেশের ১১ কোটি গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জল সংযোগ রয়েছে। বলা যেতে পারে, আমাদের সরকার গ্রামীণ বাড়িগুলিতে ৮ কোটি নলবাহিত জলের সংযোগ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে – কর্ণাটকেরই ৩৫ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার।

ইয়াদগির রাইচূড়ে প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জলসংযোগ কর্ণাটক ও দেশের গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। নলবাহিত জল যখন বাড়িতে পৌঁছায়, তখন মা ও বোনেরা মোদীকে আশীর্বাদ করেন। আজ যে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হ’ল, তার মধ্য দিয়ে ইয়াদগিরের প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া কাজ সম্পন্ন হবে।

জল জীবন মিশনের আরেকটি সুবিধার কথা আপনাদের বলতে চাই। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ভারতের এই জলজীবন মিশনের ফলে প্রত্যেক বছর ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি শিশুর জীবন আমরা রক্ষা হচ্ছে। কল্পনা করুন, প্রতি বছর ১ লক্ষ ২৫ হাজার শিশুকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাচ্ছে। কেবলমাত্র ভগবান নন, মানুষরাও আশীর্বাদ করছেন। বন্ধুগণ, আমাদের শিশুরা অপরিশোধিত জল পান করে ভয়াবহ বিপদের মুখে দাঁড়িয়েছিল। আজ আমাদের সরকার আপনাদের শিশু-সন্তানদের জীবন রক্ষা করছে।

ভাই ও বোনেরা,

‘হর ঘর জল অভিযান’ ডবল ইঞ্জিন সরকারের ডবল সুবিধার একটি দৃষ্টান্ত-স্বরূপ। ডবল ইঞ্জিন মানে ডবল কল্যাণ – ডবল উন্নয়ন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি যোজনায় প্রতি বছর কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। কর্ণাটক সরকার কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের সঙ্গে আরও ৪ হাজার টাকা দিচ্ছে। ফলে, কৃষকরা ডবল সুবিধা পাচ্ছেন। ইয়াদগিরে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার কৃষক পরিবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধিতে ২৫০ কোটি টাকা পেয়েছে।

বন্ধুগণ,

কেন্দ্রীয় সরকার নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছে। একই সময়ে কর্ণাটক সরকারও বিদ্যা নিধি যোজনার মাধ্যমে গরীব পরিবারের শিশুদের সুশিক্ষা সুনিশ্চিত করেছে। করোনা অতিমারীর সঙ্কট সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। একই সঙ্গে, সমস্ত রকম কেন্দ্রীয় সুবিধাগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকারও কর্ণাটককে দেশের মধ্যে লগ্নিকারীদের প্রথম পছন্দের জায়গা হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তন্তুবায়দের মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে আর্থিক ঋণদান সহায়তা প্রদান করেছে। একই সঙ্গে, কর্ণাটক সরকারও অতিমারীর সময় তাঁদের ঋণের টাকা মকুব করে তাঁদের সাহায্য করেছে। ডবল ইঞ্জিন মানে ডবল সুবিধা।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার এত বছর পরও কোনও ব্যক্তি, শ্রেণী বা অঞ্চল যদি বঞ্চিত থাকে, আমাদের সরকার তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের কাজ, আমাদের সংকল্প এবং আমাদের মন্ত্রই হ’ল অবহেলিতদের অগ্রাধিকার। আমাদের দেশে কোটি কোটি ক্ষুদ্র চাষী দশকের পর দশক ধরে সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। কিন্তু, সরকারের নীতিতে তা নিরসন কখনও প্রতিফলিত হয়নি। আজ দেশের কৃষি নীতির সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকারই হ’ল – ক্ষুদ্র চাষী। আজ আমরা কৃষকদের কৃষিযোগ্য যন্ত্রপাতি দিয়ে সাহায্য করছি। ড্রোনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি তাঁদের কাছে নিয়ে গেছি, ন্যানো ইউরিয়ার মতো আধুনিক মানের সার একদিকে যেমন দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে আমরা প্রাকৃতিক চাষকেও উৎসাহ দিচ্ছি। আজ ক্ষুদ্র কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র কৃষক এবং ভূমিহীন পরিবারগুলিকে সহায়তা প্রদান করছি। পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৌ পালনের মধ্য দিয়ে তাঁরা যাতে অতিরিক্ত আয় করতে পারেন।

 

ভাই ও বোনেরা,

এখন আমি ইয়াদগিরে। কর্ণাটকের কঠোর পরিশ্রমী কৃষকদের আমি আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চাই। এই এলাকা হ’ল ডাল ভান্ডার। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডাল সরবরাহ করা হয়। গত ৭ – ৮ বছরে ভারত ডালের ক্ষেত্রে বিদেশের উপর নির্ভরশীলরতাকে যে কমিয়ে আনতে পেরেছে, সেক্ষেত্রে উত্তর কর্ণাটকের কৃষকদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। গত ৭-৮ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ৮০ গুণেরও বেশি ডাল কিনেছে। ২০১৪ সালের আগে ডাল উৎপাদকরা কয়েকশো কোটি টাকা পেতেন। আজ আমাদের সরকার ডাল উৎপাদকদের ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।

আজ দেশ ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। কর্ণাটকের কৃষকদেরও উচিৎ এই সুবিধা নেওয়া। দেশ জুড়ে আজ ব্যাপক জৈব জ্বালানী ইথানল উৎপাদনের কাজ চলছে। সরকারও পেট্রোলের মধ্যে ইথানল মিশ্রণের পরিমাণ বাড়িয়েছে। কর্ণাটকের আখচাষীরা এই সিদ্ধান্তের ফলে দারুণভাবে উপকৃত হবেন।

 

বন্ধুগণ,

বিশ্ব জুড়ে আরেকটি বিরাট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর ফলে, নিঃসন্দেহে কর্ণাটকের চাষী, বিশেষ করে ক্ষুদ্র চাষীরা উপকৃত হবেন। ভারতের অনুরোধক্রমে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই বছর আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। জোয়ার, বাজরা, রাগির মতো মোটা দানার শস্য কর্ণাটকে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। ডবল ইঞ্জিন সরকার এই পুষ্টিকর মোটা দানার শস্য উৎপাদন বাড়াতে সংকল্পবদ্ধ এবং বিশ্ব জুড়ে প্রসার ঘটাতে চায়। আমি নিশ্চিত যে, কর্ণাটকের কৃষকরা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেবেন।

 

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের সরকার উত্তর কর্ণাটকের আরও একটি সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জটি হ’ল – যোগাযোগ ব্যবস্থা। কৃষি, শিল্প, পর্যটন – যাই হোক না কেনো, যোগাযোগ হ’ল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ দেশ যখন সংযোগ-ভিত্তিক পরিকাঠামোর উপর গুরুত্ব আরোপ করছে, ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফলে কর্ণাটক এর বাড়তি সুবিধা লাভ করছে। সুরাট – চেন্নাই অর্থনৈতিক করিডর উত্তর কর্ণাটকের বিস্তির্ণ এলাকার উন্নয়নে কাজে লেগেছে। দুটি বড় বন্দর শহরের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি হলে এলাকার নতুন শিল্পগুলির জন্য সম্ভাবনা তৈরি হবে। দেশবাসীর জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি এবং উত্তর কর্ণাটকের ধর্মীয় স্থানগুলিতে পৌঁছানো অনেক সহজ হবে। এর ফলে, এখানকার যুবক-যুবতীদের জন্য অনেক কর্মসংস্থান ও স্বনিযুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

পরিকাঠামো ও সংস্কারের উপর ডবল ইঞ্জিন সরকার জোর দেওয়ার ফলে কর্ণাটক বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ, বিশ্ব জুড়েই এখন ভারতে বিনিয়োগের উৎসাহ সঞ্চারিত হয়েছে।

আমি নিশ্চিত যে, প্রবল উৎসাহের পূর্ণ সুবিধা কর্ণাটক নিতে পারবে। উন্নয়ন এই এলাকার সকলের জন্য সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক – এই আশা নিয়েই আগত মানুষদের পুনরায় আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক নতুন প্রকল্পের জন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই।

ভারত মাতা কি – জয়!

ভারত মাতা কি – জয়!

ভারত মাতা কি – জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi

Media Coverage

Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।