প্রধানমন্ত্রী মোদী লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে শ্রী ওম বিড়লার সর্বসম্মতভাবে নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছেন
কোটাকে ছোট্ট ভারতে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে যাঁর উদ্যোগ ও অবদান অনস্বীকার্য, তিনি হলেন শ্রী ওম বিড়লা মহোদয়: প্রধানমন্ত্রী
জনসেবার জন্য ওম বিড়লা জি অত্যন্ত জনপ্রিয়: প্রধানমন্ত্রী মোদী

মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়, এই সভার সকল সদস্যের জন্য এটি অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের সময়। আপনাকে এই পদে আসীন হতে দেখে এই সভা আনন্দিত। এই সভার সমস্ত পুরনো সদস্যরা আপনাকে খুব ভালোভাবেই চেনেন। এর আগে আপনি বিধায়ক রূপেও রাজস্থান বিধানসভায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত অনেকে আপনাকে তখন থেকেই চেনেন।

আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, আজ অধ্যক্ষ রূপে আমরা এমন একজন ব্যক্তিত্বকে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করেছি, যিনি ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে ভারতীয় জনতা পার্টির ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। তারপর তিনি প্রায় ১৫ বছর জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরে যুব মোর্চা সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমি দীর্ঘকাল দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের সূত্রে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আজ তো রাজস্থানের কোটা দেশের শিক্ষার কাশীধাম হয়ে উঠেছে। যাঁরা জীবনে পেশাকে অগ্রাধিকার দেন, তাঁরা এখন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য কোটা-তে পাঠাতে চান। সেখানে থেকে লেখাপড়া করে ছেলেমেয়েরা জীবনে উন্নতি করছে। রাজস্থানের এই ছোট্ট শহরটিকে এভাবেই একটি ছোট্ট ভারতে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে যাঁর উদ্যোগ ও অবদান অনস্বীকার্য, তিনি হলেন শ্রী ওম বিড়লা মহোদয়।

সাধারণত, রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে মানুষের মনে যে ধারণা গড়ে ওঠে যে, তাঁরা ২৪ ঘন্টা রাজনীতি করেন, একে অপরের সঙ্গে কলহ করেন। কিন্তু এর পেছনে আরেকটি সত্য থাকে, যা অনেক সময় সবাই জানতে পারেন না। আজ দেশবাসী অনুভব করছেন যে, কোনও নেতা রাজনৈতিক জীবনে যতটা সমাজ সেবা করেন, তত বেশি সমাজে স্বীকৃতি পান। কট্টর রাজনীতি তথা হার্ডকোর পলিটিক্সের দিনগুলি এখন অতীত হতে চলেছে। ওম বিড়লজী সেই ব্যক্তিত্ব, যাঁর রাজনৈতিক জীবনে সমাজসেবাই অগ্রাধিকার পেয়েছে। সমাজ জীবনে যেখানেই তিনি মানুষকে অসহায় হতে দেখেছেন, সেখানেই তিনি সবার আগে পৌঁছে গেছেন। আমার আজও গুজরাটের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পের কথা মনে পড়ে। সেই সময় ওমজী দীর্ঘকাল তাঁর নবীন সঙ্গীদের নিয়ে সদলবলে কচ্ছে মানুষের সেবা করেছেন। স্থানীয় কোনও ব্যবস্থার তেমন কোনও সাহায্য না নিয়েই তিনি নিজের মতো করে দীর্ঘকাল সেবা করে গেছেন। কেদারনাথে বিপর্যয়ের সময় তিনি তাঁর দলবল নিয়ে উত্তরাখন্ডে ছুটে যান এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজের শহর কোটা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শীতকালে গরিবদের মধ্যে কম্বল বিতরণের জন্য তিনি সদলবলে গ্রাম ও শহরের অলিগলিতে ঘুরে সম্পন্নদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কম্বল সংগ্রহ করেন। এভাবে গণঅংশীদারিত্বের নেতৃত্ব দিয়ে জনসেবার জন্য তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি একটি ব্রত গ্রহণ করেছিলেন, যা এই সভার সমস্ত সাংসদদের প্রেরণা যোগাতে পারে। তিনি ব্রত নিয়েছিলেন যে, কোটায় কেউ খালি পেটে ঘুমাবে না। সেজন্য তিনি ‘প্রসাদম্‌’ নামক একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন, যেটি এখনও সক্রিয়। সেই ‘প্রসাদম্‌’ প্রকল্পের মাধ্যমে গণঅংশীদারিত্বে নেতৃত্ব দিয়ে সম্পন্নদের ঘর থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করে গরিবদের খাদ্য বিতরণ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তেমনই গরিব-দুঃখীদের বস্ত্র সংস্থানের জন্য তিনি ‘পরিধান’ প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পকে তিনি গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমে আন্দোলনে পরিণত করে শীতকালে শীতবস্ত্র এবং গ্রীষ্মে যাঁদের জুতো নেই তাঁদের জন্য জুতোর ব্যবস্থা করেন। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, কারও রক্তের প্রয়োজন হলে রক্তদান করা, এই সেবাধর্মই তাঁর রাজনীতির ভিত্তি। আজ আমরা এহেন সংবেদনশীল ব্যক্তিত্বকে এই সভার অধ্যক্ষ রূপে নির্বাচিত করেছি, যিনি আমাদের অনুশাসনের পাশাপাশি অনুপ্রেরণাও যোগাবেন। তাঁর মাধ্যমে এই সভা দেশকে সর্বোচ্চ পরিষেবা দিতে পারবে। তাঁর এই সামাজিক সংবেদনাপূর্ণ জীবন অনুঘটক রূপে সঠিক পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এই সভায় পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

এই সভাতেও আমরা তাঁকে দেখেছি যে তিনি স্মিতহাস্য, মৃদুভাষী। সেজন্য সভায় বসে আমার কখনও কখনও ভয় করে, তাঁর এই চরিত্রগত নম্রতা ও বিবেকবান উপস্থিতিকে আমরা কোনোভাবে অপব্যবহার না করে ফেলি। আগে লোকসভার অধ্যক্ষকে বেশি কড়া হতে হ’ত, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে এতটা কড়া না হলেও চলতো। কিন্তু আজকাল দেখছি, উল্টোটা প্রয়োজন। আমরা যদি বিগত অধিবেশনের কথা মনে করি, তা হলে প্রত্যেকেই বলবেন যে, আমাদের অধ্যক্ষ মহোদয়া সবসময়েই হাসতেন, খুশি মনে থাকতেন, কাউকে বকলেও তিনি বকার পর হেসে ফেলতেন। তিনি এই সভায় একটি নতুন পরম্পরা চালু করেছেন। আমি এই সভার পক্ষ থেকে, ট্রেজারি বেঞ্চের পক্ষ থেকে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরিষদের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ মহোদয়কে আশ্বস্ত করছি যে, আপনার কাজ সহজ করে তোলার জন্য আমাদের যেরকম ভূমিকা পালন করা উচিৎ আমরা প্রত্যেকেই ১০০ শতাংশ সেরকম চেষ্টা করব। আর এই বেঞ্চের পক্ষ থেকেও যদি কোনও নিয়ম উল্লঙ্ঘণ করা হয়, ব্যবস্থা কোনোভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তা হলে কড়াভাবে আমাদের শাসনের অধিকার আপনার রয়েছে। আমরা একে স্বাগত জানাবো। কারণ, এই সভার গরিমা উন্নত করার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকেরই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, শুরুর তিন-চার বছর বেশ ভালোই যাবে কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে এলে একটু সমস্যা হবে। কিন্তু এখন প্রত্যেক তিন-চার মাস পরপরই কোথাও না কোথাও নির্বাচন হয় বলে সংশ্লিষ্ট দলের সাংসদরা এখান থেকে কোনও বার্তা প্রদানের চেষ্টা করেন। এহেন পরিস্থিতিতে আপনাকেও কিছুটা চাপে থাকতে হবে। তবুও এই সভায় যাতে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের পথ নিয়ে ভালোভাবে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয় এবং সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় – তা আপনাকে দেখতে হবে। আশা করি, সমস্ত সাংসদরা এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গে সহযোগিতা করবেন – এই আশা নিয়ে আমার পক্ষ থেকে, এই সভার পক্ষ থেকে, এই ট্রেজারি বেঞ্চের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan

Media Coverage

Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা হয়েছে
December 18, 2025

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে একাধিক দেশ। এই স্বীকৃতিগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন যা বিশ্ব মঞ্চে ভারতের উত্থানকে মজবুত করেছে। এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককেও প্রতিফলিত করে।

 আসুন, গত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রদান করা পুরস্কারগুলি দেখে নেওয়া যাক।

দেশের প্রদান করা পুরস্কারগুলি:

১. ২০১৬ সালের এপ্রিলে সৌদি আরব সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - কিং আব্দুল আজিজ সাশ-এ ভূষিত করা হয়েছে। প্রিন্স সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

২. একই বছর, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - আমির আমানউল্লাহ খান পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

৩. ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ফিলিস্তিনে ঐতিহাসিক সফর করেন, তখন তাঁকে গ্র্যান্ড কলার অব দ্য স্টেট অব প্যালেস্তাইন পুরস্কার প্রদান করা দেওয়া হয়। এটি বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ সম্মান।

৪. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীকে অর্ডার অব জায়েদ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।

৫. ২০১৯ সালে রাশিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাদের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে - অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু। 

৬. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মালদ্বীপের সর্বোচ্চ সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ডিসটিনগুইশড রুল অফ নিশান ইজ্জুদ্দিন প্রদান করা হয়েছে।

৭. ২০১৯ সালে বাহরিন সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কিং হামাদ অর্ডার অব দ্য রেনিয়াস্য়ান্স সম্মানে ভূষিত করা হয়।

৮. ২০২০ সালে মার্কিন সরকার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লিজিয়ন অব মেরিট সম্মানে ভূষিত করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্র বাহিনীর দেওয়া পুরস্কার যা ব্যতিক্রমী মেধাবী আচরণের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

৯. ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভুটান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান - অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপোতে ভূষিত করেছে।

সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ছাড়াও, বিশ্বজুড়ে মর্যাদাপূর্ণ সংস্থাগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করেছে।

১. সিওল শান্তি পুরস্কার: মানবজাতির সম্প্রীতি, জাতি এবং বিশ্বের মধ্যে পুনর্মিলন বিষয়ে সিউল পিস প্রাইজ কালচারাল ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদান করে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে হয়েছিল।

২. রাষ্ট্রসঙ্ঘের চ্যাম্পিয়ন্স অফ দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ড: এটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সর্বোচ্চ পরিবেশগত সম্মান। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সাহসী ভূমিকার জন্য ২০১৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

৩. ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রথম ফিলিপ কোটলার প্রেসিডেনশিয়াল পুরস্কার প্রদান করেছে। প্রতি বছর রাষ্ট্রের একজন নেতাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের শংসাপত্রে বলা হয়েছে, দেশকে অসাধারণ নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হল।

৪. ২০১৯ সালে বিল ও মিলিন্ডা গেটস্‌ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের স্বীকৃতি-স্বরূপ ‘গ্লোবাল গোলকিপার’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই পুরস্কার সেইসব ভারতীয়কে উৎসর্গ করেন, যাঁরা স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে গণআন্দোলনের রূপ দিয়েছেন এবং এই অভিযানকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ করে তুলেছেন।

৫. ২০২১ সালে কেমব্রিজ এনার্জি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস বা সিইআরএ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আন্তর্জাতিক শক্তি ও পরিবেশ নেতৃত্ব পুরস্কার প্রদান করেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে শক্তি ও পরিবেশের বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রূপায়ণে নেতৃত্বের অঙ্গীকারকে স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।.