QuoteNumerous measures undertaken in the last four years to enhance the quality of life of our citizens: PM Modi
QuoteHuman rights should not be about only slogans but it should be an integral part of our values: PM Modi
QuoteFor us, ‘Sabka Saath, Sabka Vikas’ is about serving the people: PM Modi
QuoteWith focus on justice for all, the government is increasing the number of e-Courts, strengthening the National Judicial Data Grid: Prime Minister Modi
QuoteWith the use of technology, we are making the system transparent and protecting the rights of citizens: PM Modi
QuoteTo empower the Divyangs, we have strengthened the Rights of Persons with Disabilities Act: PM Modi

মঞ্চে উপস্থিত আমার মন্ত্রী পরিষদের মাননীয় সদস্য রাজনাথ সিংজি, মনোজ সিনহাজি, এনএইচআরসি-র চেয়ারপার্সন বিচারপতি এস এল দত্তুজি, কমিশনের সদস্যগণ এবং উপস্থিত সম্মানিত ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ।

আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য আপনাদের সবাইকে, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আপনাদের মাঝে এসে আমার খুব ভাল লাগছে।

বন্ধুগণ, বিগত আড়াই দশকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দেশের গরিব, পীড়িত, বঞ্চিত, শোষিত সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠে রাস্ট্রনির্মাণকে দিশা দেখিয়েছে। ন্যায় এবং নীতির পথে আপনারা যে ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁর জন্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলি বরাবরই ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘এ’ স্ট্যাটাস দিয়েছে। এটি ভারতের জন্যে গর্বের বিষয়।

বন্ধুগণ, মানবাধিকার রক্ষা আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংগ। আমাদের পরম্পরায় চিরকালই ব্যক্তির জীবনে সমতা ও সাম্যের গরিমাকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে। আজকের অনুষ্ঠানের শুভসূচনা যে শ্লোক দিয়ে হয়েছে, পরে রাজনাথজিও বিস্তারিত বলেছেন, ‘সর্বে ভবন্তু সুখেন’ –র ভাবনা আমাদের ঐতিহ্যের অঙ্গ।

|

পরাধীনতার দীর্ঘ কালখণ্ডে যে আন্দোলন হয়েছে এটা তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন্ধুগণ, স্বাধীনতার পর এই আদর্শগুলির সংরক্ষণে একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া বিকশিত করেছিল। আমাদের দেশে ত্রিস্তরীয় শাসন ব্যবস্থা, একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা, সক্রিয় সংবাদ মাধ্যম এবং সজাগ বুদ্ধিজীবী সমাজ রয়েছে। অধিকারসমূহ সুনিশ্চিত করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো অনেক সংস্থা, কমিশন এবং ট্রাইব্যুনালও রয়েছে। আমাদের ব্যবস্থা এই সমস্ত সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা দরিদ্র, মহিলা, শিশু, পীড়িত, বঞ্চিত, আদিবাসী ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ। আমাদের পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন স্থানীয় প্রশাসন মানবাধিকার রক্ষার এক একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের আত্মসম্মান রক্ষা, উন্নয়নের সুফল পৌঁছনো এবং জনকল্যাণকারী প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই সংস্থাগুলি মহিলা ও সমস্ত প্রকার বঞ্চিতদের ক্ষমতায়ণ এবং অংশীদারীত্বের ক্ষেত্রেও অনেক বড় অবদান রাখছে।

বন্ধুগণ, মানবাধিকারের প্রতি এই আস্থা দেশকে বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে অনেক বড় সংকট থেকে উদ্ধার করেছে। জরুরী অবস্থা-র সেই কালো দিনগুলিতে জীবনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, বাকি অধিকারগুলির কথা তো বলেই লাভ নেই। সেই সময় সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠানো হাজারো লক্ষ মানুষকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল। ভারতের জনগণ নিজেদের চেষ্টায় এই সংস্থাগুলির সাহায্যে মানবাধিকার পুনরুদ্ধারে সফল হয়েছে। সেজন্য আমি এই সকল সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এই পবিত্র লগ্নে সাদরে প্রণাম জানাই।

বন্ধুগণ, শুধু মানবাধিকারের শ্লোগান দিলেই হবে না, আমাদের সংস্কার ও জননীতির ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, বিগত সাড়ে চার বছরে সরকার দেশের গরিব, বঞ্চিত ও শোষিত সমাজের মানুষদের ব্যক্তি-গরিমার বিকাশে, তাঁদের জীবনমানের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্রকে দেশ সেবার মাধ্যম বলে মনে করে। আর এই মন্ত্রই মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন্ধুগণ, আপনারা সবাই ভালোভাবেই জানেন যে, মেয়েদের জীবনের অধিকার সুরক্ষা নিয়ে এদেশে কত প্রশ্ন উঠতো। কন্যাসন্তানকে অবাঞ্চিত মনে করে ভ্রূণ হত্যার বিকৃত মানসিকতা সমাজের এক শ্রেণীর সংকীর্ণমনা মানুষের মনে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযানের মাধ্যমে হরিয়ানা ও রাজস্থান-সহ অনেক রাজ্যে কন্যাসন্তানের আনুপাতিক জন্মহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক নিরাপরাধ মানুষ জীবনের অধিকার পেয়েছেন। জীবনের অর্থ শুধু প্রশ্বাস গ্রহণই নয়, সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

|

আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি যে, ‘দিব্যাঙ্গ’ – এই শব্দটি এখন এক শ্রেণীর ভারতবাসীর জন্য সম্মানের সূচক হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের জীবনকে সুগম করে তুলতে ‘সুগম্য ভারত’ অভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ভবন, বিমানবন্দর, রেল স্টেশনগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দরিদ্র মানুষদের যাতে খোলা আকাশের নীচে কিংবা বস্তিতে নোংরা জীবনযাপন না করতে হয়। সামান্য ঋতু পরিবর্তন যাতে তাঁদের জীবনে অভিশাপ না বহন করে আনতে পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক গৃহহীনের মাথার ওপর ছাদ সুনিশ্চিত করার জন্য অভিযান চলছে। আমার স্বপ্ন ২০২২ সালে যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে, তার আগেই প্রত্যেক ভারতবাসীর নিজস্ব বাড়ি থাকবে।

বন্ধুগণ, গৃহহীনদের গৃহের পাশাপাশি, উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এটি নিছকই একটি উন্নয়ন প্রকল্প নয়। এর সম্পর্ক রয়েছে সাম্য এবং গরিমার সঙ্গে। ইতিমধ্যেই দেশের সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি গরিব মা-বোনের জন্য নির্মল ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর সুনিশ্চিত হয়েছে।

শুধু তাই নয়, দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও আমাদের হাজার হাজার গ্রামে কোটি কোটি পরিবার অন্ধকারে বসবাস করতেন। কারণ, তাঁরা গরিব, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এত অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, যাঁরা স্বাধীনতার এত বছর পর অষ্টাদশ শতাব্দীর মতো বিদ্যুৎহীন জীবনযাপন করতেন। সৌভাগ্য যোজনার মাধ্যমে ১০-১১ মাসের মধ্যেই দেড় কোটিরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে।

বন্ধুগণ, অন্ধকার দূর করার পাশাপাশি, দেশের মা ও বোনেদের গরিমা রক্ষায় খোলা মাঠে প্রাকৃতিক কর্মসম্পাদন একটি বড় অন্তরায় ছিল। বিগত চার বছরে সারা দেশের গ্রাম ও শহরে ৯ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে। ফলে, গরিব মা-বোনেদের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি, সম্মানের জীবনযাপনের অধিকারও সুনিশ্চিত হয়েছে। আর উত্তর প্রদেশ সরকার তো এই শৌচালয়কে ‘ইজ্জত ঘর’ নাম দিয়েছে।

সম্প্রতি গরিব মানুষের জীবনে স্বাস্থ্যের অধিকার সুনিশ্চিত করতে আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছি। একটু আগেই মাননীয় রাজনাথজি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এটি কত বড় অধিকার তার প্রমাণ আপনারা রোজ পাচ্ছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে সংবাদ মাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে, সেগুলি অত্যন্ত আনন্দদায়ক। ব্যক্তিগত সম্পদের অভাবে যাঁরা এতদিন ভালো হাসপাতালে পরিষেবা পেতে পারতেন না, আজ তাঁরা উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার অধিকার পেয়েছেন। উদ্বোধনের মাত্র দুই-আড়াই সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি ভাই ও বোনেদের চিকিৎসা চলছে।

বন্ধুগণ, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, স্বাধীনতার অনেক দশক পরও কোটি কোটি দেশবাসী আর্থিক স্বাধীনতার পরিধি থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই পরিধিটা কী? হাতে গোনা কিছু মানুষই শুধু ব্যাঙ্ক পরিষেবা পেতেন, ঋণ নিতে পারতেন। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ নিজেদের স্বল্প সঞ্চয় রান্নাঘরের কৌটায় লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হতেন। আমরা এই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই জন ধন অভিযান চালু করেছিলাম। আর তারপর দেখতে দেখতে প্রায় ৩৫ কোটি সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কের খাতা খুলেছেন, তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতার অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের স্বরোজগারের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আর সুদখোর মহাজনদের ওপর নির্ভর করতে হয় না।

ভাই ও বোনেরা, আমাদের সরকার আইনের শাসন এবং সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিরন্তর মানবাধিকার সুনিশ্চিত ও শক্তিশালী করেছে। সম্প্রতি মুসলমান মহিলাদের তিন তালাকের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিতে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তা এই প্রক্রিয়ারই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আশা করি, মুসলমান মহিলাদের অধিকার সংশ্লিষ্ট এই গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা অদূর ভবিষ্যতেই সংসদে স্বীকৃতি পাবে।

গর্ভবতী মহিলাদের সবেতন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করার সিদ্ধান্ত এই ভাবনারই অঙ্গ। এটি এক প্রকার দেশে প্রত্যেক নবজাত শিশুর অধিকার রক্ষার অঙ্গ। প্রতিটি শিশু যাতে তাঁর মাকে কমপক্ষে ছ’মাস কাছে পায়, তা সুনিশ্চিত করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও এখনও এরকম সুবিধা চালু হয়নি।

আমাদের মহিলাদের ‘নাইট শিফট’-এ কাজ করার ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এবং ওই সময়ে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

দিব্যাঙ্গদের অধিকার বৃদ্ধিকারী ‘রাইটস্‌ অফ পার্সন উইথ ডিজেবিলিটি অ্যাক্ট’ প্রণয়নের মাধ্যমে তাঁদের জন্য চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বৃদ্ধি কিংবা ‘ট্র্যান্সজেন্ডার পার্সনস্‌ প্রোটেকশন অফ রাইটস্‌ বিল’ প্রণয়নের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মানবাধিকার রক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের মানসিকতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

এইচআইভি পীড়িতদের সঙ্গে কোনও রকম বৈষম্য না করে তাঁদের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্যও আমরা আইন প্রণয়ন করেছি।

|

বন্ধুগণ, ন্যায়প্রাপ্তির অধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার ‘ই-কোটস্‌’ – এর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে, ‘ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড’-এর ক্ষমতায়ন করছে। ইতিমধ্যেই এই ‘ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড’-এর সঙ্গে দেশের ১৭ হাজারেরও বেশি আদালতকে যুক্ত করা হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত তথ্যাদি বিচারকদের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত তথ্যাদি অনলাইন হওয়ায় দেশে বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। আর দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা মামলার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। দেশের দূরদূরান্তে বসবাসকারী নাগরিকদের ‘টেলি-ল’স্কিম’-এর মাধ্যমে আইনি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা, নাগরিক অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও নিরন্তর এগিয়ে চলেছে। ইউআইডিএআই অ্যাক্ট প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার আধার-কে আইনসম্মতভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, এর উপযোগিতা বাড়িয়ে দেশের দরিদ্রতম মানুষদের কাছে সরকারি প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ সুফল পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।

আধার দেশের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি ক্ষমতায়ন কর্মসূচি হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সর্বোচ্চ বিচারালয় সরকারের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে। তেমনই গণ-সরবরাহ ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি দ্বারা স্বচ্ছ করে তুলে সরকার গরিবদের সুলভে খাদ্যশস্য প্রাপ্তি সুনিশ্চিত করেছে। অন্যথা, আগে কী হ’ত, কিভাবে হ’ত – এগুলি সব আমরা সবাই ভালোভাবেই জানি।

এভাবে যাতে নিজেদের অধিকার অনুসারে সবকিছু পেতে অসুবিধায় না পড়েন, তা সুনিশ্চিত করতে অনেক প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনা হয়েছে, অনেক নিয়ম হয়েছে। ‘সেল্‌ফ অ্যাটেস্টেশন’কে উৎসাহ যোগানো কিংবা ভারতীয় বদলানো।

সশস্ত্র সেনায় ‘শর্ট সার্ভিস কমিশন’-এর মাধ্যমে নিযুক্ত মহিলা আধিকারিকদের সমকক্ষ পুরুষ আধিকারিকদের মতোই স্থায়ী কমিশন প্রদানের সিদ্ধান্ত সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন।

নিয়মে এরকম অনেক ছোট ছোট পরিবর্তন অনেক বড় স্তরে প্রভাব ফেলেছে। যেমন বাঁশের পরিভাষা পরিবর্তনের ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী ভাই-বোনেরা এখন বাঁশ কাটা এবং পরিবহণের অধিকার পেয়েছে। এতে তাঁদের আয় অনেক বেড়েছে।

বন্ধুগণ, সবার জন্য রোজগার, সকলের জন্য পড়াশুনা, সকলের জন্য ওষুধ এবং সকলের সমান বিচারের লক্ষ্য নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। ফলে, কোটি কোটি ভারতীয় তীব্র দারিদ্র্য থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন। দেশ দ্রুতগতিতে অনেক বড় মধ্যবিত্ত ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। এই সাফল্যের পেছনে সরকারের প্রচেষ্টা তো আছেই, কিন্তু তার চাইতে বেশি আছে গণ-অংশীদারিত্ব। দেশের কোটি কোটি মানুষ নিজেদের কর্তব্য বুঝেছেন। নিজেদের ব্যবহারে পরিবর্তন আনতে নিজেদের প্রেরণা যুগিয়েছেন।

ভাই ও বোনেরা, আমাদের সিদ্ধান্ত, আমাদের কর্মসূচি তখনই স্থায়ীভাবে সফল হতে পাড়ে, যখন অনেক মানুষ স্বেচ্ছায় এর সঙ্গে যুক্ত হন। আমি নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলতে পারি যে, গণ-অংশীদারিত্ব থেকে বড় সাফল্যের মন্ত্র কিছুই হতে পারে না।

আমাকে বলা হয়েছে যে, রজত জয়ন্তী সমারোহ উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশন সারা দেশে গণসচেতনতা বৃদ্ধির অনেক অভিযান চালিয়েছে। এতে প্রযুক্তির সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে এই উপলক্ষে একটি ডাকটিকিট উদ্বোধন করা হ’ল। রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটের নতুন সংস্করণ-ও প্রকাশিত হ’ল। এর ফলে, নিশ্চিতভাবেই যাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাঁরা উপকৃত হবেন। আমার পরামর্শ হ’ল – সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশন ব্যাপক প্রচা ও প্রসার করুক। মানবাধিকারের প্রতি সচেতনতা তো অবশ্যই চাই। পাশাপাশি, নাগরিকদের তাঁদের কর্তব্য, তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্মরণ করানোও ততটাই জরুরি। যিনি নিজের দায়িত্ব বোঝেন, তিনি অন্যদের অধিকারকে সম্মান করতে জানেন।

আমি জানি, আপনাদের কাছে অনেক অনেক অভিযোগ আসে। এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ থাকে। আপনারা প্রতিটি অভিযোগ যাচাই করে, সেগুলির বিচার করেন। কিন্তু এটা কি সম্ভব যে ক্ষেত্র কিংবা গোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট অভিযোগ আসে, তাঁদের সম্পর্কে কি একটি ডেটাবেস তৈরি করে বিস্তারিত অধ্যয়ন করা সম্ভব? আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন, যেগুলির ব্যাপক সমাধান সম্ভব।

সুদূরপ্রসারী উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে আজ সরকারের যত প্রচেষ্টা, সেখানে রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার সর্বদাই আপনাদের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশের মানুষের জীবনকে উন্নত করতে, তাঁদের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সরকার প্রতি মুহূর্তে দায়বদ্ধ। আরেকবার রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দনন ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। দেশে সৃষ্টিশীল পরিবর্তনের জন্য আমরা সকলে মিলেমিশে কাজ করে এগিয়ে যেতে থাকব।

এই কামনা নিয়ে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
Over 88% Trust PM Modi On National Security Matters After Op Sindoor: News18 Survey

Media Coverage

Over 88% Trust PM Modi On National Security Matters After Op Sindoor: News18 Survey
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM highlights Nari Shakti's transformative role in the journey towards a developed India
June 08, 2025
QuoteOver the last 11 years, the NDA Government has redefined women-led development: PM
QuoteVarious initiatives, from ensuring dignity through Swachh Bharat to financial inclusion via Jan Dhan accounts, the focus has been on empowering our Nari Shakti: PM

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has highlighted the transformative role played by women in the journey towards a developed India, underlining the government’s focus on women-led development over the past 11 years.

The Prime Minister said that our mothers, sisters and daughters have seen times when they had to face difficulties at every step. But today they are not only participating actively in the resolution of a developed India, but are also setting examples in every field from education to business. Shri Modi further added that the successes of Nari Shakti in the last 11 years are a matter of pride for all citizens.

The Prime Minister noted that the NDA Government has redefined women-led development through a series of impactful initiatives. These include ensuring dignity through the Swachh Bharat Abhiyan, financial inclusion via Jan Dhan accounts, and empowerment at the grassroots level.

He cited Ujjwala Yojana as a milestone that brought smoke-free kitchens to several homes. He also highlighted how MUDRA loans have enabled lakhs of women to become entrepreneurs and pursue their dreams independently. The provision of houses in women’s names under the PM Awas Yojana has also made a remarkable impact on their sense of security and empowerment.

The Prime Minister also recalled the Beti Bachao Beti Padhao campaign, which he described as a national movement to protect the girl child.

Shri Modi affirmed that in all sectors- including science, education, sports, StartUps, and the armed forces-women are excelling and inspiring several people.

The Prime Minister shared these remarks through a series of posts on X;

"हमारी माताओं-बहनों और बेटियों ने वो दौर भी देखा है, जब उन्हें कदम-कदम पर मुश्किलों का सामना करना पड़ता था। लेकिन आज वे ना सिर्फ विकसित भारत के संकल्प में बढ़-चढ़कर भागीदारी निभा रही हैं, बल्कि शिक्षा और व्यवसाय से लेकर हर क्षेत्र में मिसाल कायम कर रही हैं। बीते 11 वर्षों में हमारी नारीशक्ति की सफलताएं देशवासियों को गौरवान्वित करने वाली हैं।

#11YearsOfSashaktNari"

"Over the last 11 years, the NDA Government has redefined women-led development.
Various initiatives, from ensuring dignity through Swachh Bharat to financial inclusion via Jan Dhan accounts, the focus has been on empowering our Nari Shakti. Ujjwala Yojana brought smoke-free kitchens to several homes. MUDRA loans enabled lakhs of women entrepreneurs to pursue dreams on their own terms. Houses under the women’s name in PM Awas Yojana too have made a remarkable impact.

Beti Bachao Beti Padhao ignited a national movement to protect the girl child.

In all sectors, including science, education, sports, StartUps and the armed forces, women are excelling and inspiring several people.

#11YearsOfSashaktNari"