#NarmadaSevaYatra is a unique move in history: PM Modi
Maa Narmada is a life giver, says PM Modi #NarmadaSevaYatra 
Success of Swachh Bharat Mission is not due to governments but efforts of people: PM Modi

বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আমাদের শাস্ত্রে একটা জিনিস মানা হয় যে, যদি আমরা কোনও তীর্থযাত্রায় নাযেতে পারি, তা হলে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের প্রণাম করলে তীর্থের পুণ্য লাভ হয়। আমিএখানে উপস্থিত সকল তীর্থযাত্রীকে প্রণাম জানিয়ে আপনারা যে পুণ্য অর্জন করেছেন, তারসামান্য অংশ ভিক্ষা করছি। এই ভিক্ষা আমি নিজের জন্য করছি না, আপনাদের অর্জিত পুণ্যভারতমাতার কাজে, ১২৫ কোটি দেশবাসীর কাজে, এদেশের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিরজীবনে উন্নতিসাধনের কাজে লাগাতে চাই।

আমি বিশ্বাস করি যে, নর্মদাযাত্রাই একমাত্র তীর্থযাত্রা যাকে নর্মদাপরিক্রমার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আমি এই শাস্ত্র নিবিড়ভাবে জানি। আমিও কখনও এভাবেবাঁচার চেষ্টা করেছি। সেজন্য জানি, নর্মদা পরিক্রমা করলে কিভাবে সমস্ত অহঙ্কারচূর্ণ হয়ে যায়, মাটিতে মিশে যায়। মা নর্মদা প্রত্যেক পরিক্রমাকারীকে মাটিতে দাঁড়করিয়ে দেন। সমস্ত বন্ধন থেকে মুক্ত করিয়ে দেন। যিনি যত পদ ও উপাধি দ্বারা অভিভূষিতএই পরিক্রমাকালে সবকিছু থেকে মুক্তির স্বাদ মেলে। মা নর্মদা আর নর্মদা সেবকদেরমধ্যে কোনও দ্বৈততা অবিশিষ্ট থাকে না, এক অদ্বৈতের অনুভূতি পরিব্যাপ্ত হয়। আপনারাওআজ মা নর্মদার এই মহান সেবা করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন ।

যখন সময় বদলায়, আমরা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে যাই। আর যখন অতিকায় ভাব প্রবলহয়ে ওঠে, কর্তব্যভাবে ক্ষীণ হয়ে যায়, তখনই নানা সমস্যা জন্ম নেয়। সেজন্য আজ আমাদেরনর্মদা সেবার জন্য পথে নামতে হয়েছে। এই মা নর্মদা হাজার হাজার বছর ধরে আমাদেরবাঁচিয়ে রেখেছেন, আমাদের জীবনদান করেছেন। আমাদের পূর্বজদের রক্ষা করেছেন। কিন্তুআমরা একে অধিকার বলে মনে করেছি, কর্তব্য বিমুখ হয়েছি, আর মা নর্মদাকে যতটা লুন্ঠনকরতে পারি, লুটেছি। নিজেদের স্বার্থে যাচ্ছেতাইভাবে অত্যাচার করেছি। এর ফলে, যে মাএতদিন আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন, আজ তাঁকে বাঁচানোর জন্য আমাদের ঘাম ঝরাতে হচ্ছে।আমাদের সৌভাগ্য যে সময় থাকতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও জনগণ সচেতন হয়ে উঠেছেন।

ভারতে এখন এরকম অনেক নদী আছে, যেগুলিকে শুধু মানচিত্রে দেখা যায়, বাস্তবেসেগুলিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা ইতিহাসের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের কেরলপ্রদেশে একটি নদী আছে, সম্ভবত দেশে ঐ একটি নদীরই নামের সঙ্গে আমাদের দেশের নামজড়িত, সেই নদীটির নাম ‘ভারত পূজা’। সেই নদীটিরও অস্তিত্ব প্রায় বিলীয়মান। এমন নয়যে জল বেশি খরচ করলে নদী শুকিয়ে যায়। নদীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দু’পারের জনগণ যদিতাঁদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করেন, তবেই নদী শুকিয়ে যায় – মানবজাতির কত বড়ক্ষতি হয়।



আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যে, মা নর্মদার উৎস কোনও তুষারশুভ্র পর্বত থেকেনয়। উৎসস্থলে ঘন অরণ্যের প্রত্যেকটি বৃক্ষের অবদান এই নদীর প্রবাহ হয়ে আমাদেরজীবনকে সুজলা-সুফলা করে তোলে। আর সেজন্যই মধ্যপ্রদেশ সরকার মা নর্মদার উজ্জ্বলভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করে তুলতে সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যে কাজটি হাতে নিয়েছে, তাহল – বৃক্ষরোপণ। আজ আমরা যে গাছ লাগাচ্ছি, আমরা কল্পনাও করতে পারব না যে, এরমাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কত বড় সেবা করছি। আমাদের পূর্বজদের তপস্যা, সাধনাএবং সেবার পরিণাম-স্বরূপ আজ পর্যন্ত মা নর্মদা সজীব রয়েছেন। আজ আমরা যদি পরিশ্রম করেবৃক্ষরোপণের মাধ্যমে মা নর্মদাকে দীর্ঘজীবী করতে পারি, তা হলে আগামী অনেক প্রজন্মআমাদের কথা মনে রাখবে ।

প্রায় দেড়শো দিনের তীর্থযাত্রা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু আমাদের দেশেরদুর্ভাগ্য যে, কোনও উদ্যোগের সঙ্গে সরকার যুক্ত হলে কোনও রাজনৈতিক নেতা যুক্ত হলে,তার মাহাত্ম্য খন্ডিত করার চেষ্টা করা হয়। অথচ, এ ধরণের উদ্যোগ, লক্ষ লক্ষমধ্যপ্রদেশবাসী মানুষ এই নর্মদাযাত্রার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন – আমি আজ নর্মদার পারেবসবাসকারী সকল নাগরিককে হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই। বিশ্বের অন্যকোনও দেশে এরকমএকটি নদীকে বাঁচানোর জন্য দেড়শো দিন ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ পদযাত্রা ও বৃক্ষরোপণেরমাধ্যমে যদি এত তপস্যা করতেন, তা হলে – তা নিয়ে সেই দেশের সংবাদ মাধ্যম সারা পৃথিবীতেআলোড়ন সৃষ্টি করতো। তাঁদের উদ্যোগেই বিশ্বের বড় বড় টিভি চ্যানেলে এই ঘটনাকেবিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতো। কিন্তু আমাদের দেশের দুর্ভাগ্য যে,সবকিছুই রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। আমাদের নানা প্রচেষ্টা কতটা সামর্থ্যনির্মাণ করতে পারে, সেটা আমরা বুঝতে পারি না আর সুযোগ হারাই।

আজ কোথাও একটি ‘সৌর পার্ক’ গড়ে উঠলে সারা দুনিয়ায় খবর পৌঁছে যায় যে অমুকদেশের তমুক অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ‘সৌর পার্ক’ নির্মিত হয়েছে। এখানে একটিবড় নদীকে বাঁচানোর জন্যে এত বড় কাজ হয়েছে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এত বড় কাজহয়েছে, ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ সংকল্প গ্রহণ করেছেন। কোটি কোটি মানুষ এর সঙ্গেযুক্ত হয়েছেন, শরীরকে কষ্ট দিয়েছেন, পায়ে হেঁটে ধরিত্রীমা’কে রক্ষা করার স্বার্থে,একটি নদী রক্ষার মাধ্যমে পরিবেশ এবং মানবতার সপক্ষে এত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপনিয়েছেন।এই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি শিবরাজজি এবং তাঁর পুরো টিমকে,মধ্যপ্রদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।

 

আমার জন্ম গুজরাটে হয়েছে। নর্মদা মায়ের একেকটি বিন্দু জলের মূল্য কতটা, তাগুজরাটের মানুষ খুব ভালোভাবেই জানেন। আপনারা নর্মদার ভবিষ্যতের কথা ভেবে এত বড়অভিযানে সামিল হওয়ায় আমি গুজরাটের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক কৃষক, রাজস্থানের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক কৃষক,মহারাষ্ট্রের প্রতিটি গ্রামের প্রত্যেক কৃষক এবং এই তিনটি রাজ্যের প্রত্যেকনাগরিকের পক্ষ থেকে আমি শিবরাজজির নেতৃত্বাধীন সরকারের পুরো টিমকে এবং মধ্যপ্রদেশের জনগণকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ।

আজ দেশে পরিচ্ছন্নতার অভিযান ইতিমধ্যেই একটি পরিকাঠামোগত ব্যবস্থারঅন্তর্গত হয়েছে। সারা দেশে নিয়মিত তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এর মূল্যায়ন হচ্ছে। কোন্‌রাজ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান কিভাবে চলছে, কোন্‌ শহর কিরকম পরিচ্ছন্ন তারপ্রতিদিনকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গণতন্ত্রে সবচাইতে বড় শক্তি হ’ল, গণঅংশীদারিত্ব।জনসামর্থ্য, জনশক্তি এবং গণঅংশীদারিত্বকে উপেক্ষা করলে সরকারগুলি কিছুই ভালভাবেকরে উঠতে পারবে না। যত ভালো ইচ্ছাই থাকুক না কেন, যত ভালো নেতাই হন না কেন, যতসুন্দর পরিকাঠামো থাকুক না কেন, জনসমর্থন ছাড়া আজকের দিনে কোনও কিছুই সফল হয় না।আর জনসমর্থনের মাধ্যমে সাফল্য কিভাবে আসে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হ’ল মধ্যপ্রদেশ।

গতবার যখন সমীক্ষা হয়েছিল, তখন পরিচ্ছন্নতার নিরিখে মধ্যপ্রদেশ ছিল প্রায়সবার শেষে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের মানুষ এই কলঙ্ক মোচনের সংকল্প গ্রহণ করে গণজাগরণেরমাধ্যমে, গণঅংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করে আজ অনেক এগিয়ে গেছে। এবারের সমীক্ষায় দেশের১০০টি পরিচ্ছন্নতম শহরের মধ্যে মধ্যপ্রদেশেরই ২২টি শহর রয়েছে। এটা বিরাট সাফল্য। এথেকে দেশের অন্যান্য রাজ্য প্রেরণা গ্রহণ করে মধ্যপ্রদেশের অভিজ্ঞতাগুলিকে কাজেলাগাতে পারবে। ইন্দোর এবং ভোপাল ভারতের পরিচ্ছন্নতম শহরগুলির মধ্যে প্রথম এবংদ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।

১০০টির মধ্যে যে রাজ্যের ২২টি শহর পরিচ্ছন্নতার নিরিখে এত দ্রুত দেশে বিশেষস্থান করে নিয়েছে, তার মানে এ রাজ্যের প্রশাসন এবং জনগণ এই পরিচ্ছন্নতাকে কতটাগুরুত্ব দিয়েছে, তা বোঝা যায়। এই সাফল্যের সঙ্গে আজ যুক্ত হ’ল নর্মদা যোজনা সেবাযাত্রার সাফল্য। এই সাফল্য কেবলই সরকারের শক্তিতে হয়নি, জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণেসম্ভব হয়েছে। শিবরাজজি আগামী ২ জুলাই-এর মধ্যে ৬ কোটি বৃক্ষরোপণের যে লক্ষ্যমাত্রাধার্য করেছেন, তার ব্যবস্থা করতে বিগত দেড় বছর ধরে লাগাতার কাজ চলছে। হঠাৎ করেতিনি এরকম ঘোষণা করতে পারেননি। আগে রাজ্যের নার্সারিগুলিতে অঙ্কুরোদগম থেকে শুরুকরে এই ৬ কোটি চারাগাছগুলির লালন-পালন করতে হয়েছে। আমরা যেমন পরিবারে সন্তানদেরলালন-পালন করি, তেমনই লালন-পালন না করলে এই চারাগাছগুলি কেমন করে মহীরূহে পরিণতহবে।

আমাদের শাস্ত্রে বলা হয় যে, যিনি এক বছরের কথা ভাবেন, তিনি শস্য ফলান। আরযিনি ভবিষ্যতের কথা ভাবেন, তিনি ফলের গাছ লাগান। ফলের গাছ লাগিয়ে তাকে ঠিকভাবেলালন-পালন করলে আগামী অনেক বছর ধরে সেই গাছ পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের কারণহয়ে ওঠে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মধ্যপ্রদেশ সরকারও এরকম চিন্তাভাবনা মাথায় রেখেই এইপ্রকল্প গড়ে তুলেছেন, সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালিয়েছেন। আমিমধ্যপ্রদেশ সরকারের এই পরিকল্পনা ভালোভাবে খতিয়ে দেখেছি, সেখানে প্রত্যেকের কাজআলাদা, প্রত্যেক জায়গার কাজ আলাদা; কখন করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, তার নির্দেশসেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে। এই পরিকল্পনার শ্বেতপত্র যে কত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন তাআমি অনুভব করেছি। আমি দেশের অন্যান্য রাজ্যকেও অনুরোধ করব যে, মধ্যপ্রদেশেরঅভিজ্ঞতাকে জানতে। শিবরাজজি-কেও অনুরোধ করব যে, দেশের সকল রাজ্যে আপনাদের এইপরিকল্পনার প্রতিলিপি পাঠান। সকল প্রাকৃতিক উপাদানের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করেরাজ্যের উন্নয়নকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, মধ্যপ্রদেশসরকার।

আমরা সবাই বলি, জলই জীবন। আমরা সবাই বলি, নদী আমাদের মা। এই নদীমাতৃক দেশেআমাদের অর্থ ব্যবস্থাই জলনির্ভর। এই নর্মদা অভিযানের সাফল্য হিসাবে ইতিমধ্যেইমধ্যপ্রদেশ কৃষির উন্নতিতে ২০ শতাংশ অগ্রগতি করতে পেরেছে। এই শক্তি, কৃষকের জীবনপরিবর্তনের এই শক্তি মা নর্মদার রয়েছে।

ভারত সরকার, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে প্রত্যেক কৃষকের আয় দ্বিগুণ করারসংকল্প নিয়ে যে কাজ শুরু করেছে, মধ্যপ্রদেশ সরকার এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমিনিশ্চিত যে, কৃষকদের সহযোগিতায় ভারতের প্রত্যেক গ্রাম লাভবান হবে।

ভাই ও বোনেরা, ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি হচ্ছে। এই দেশকেস্বাধীন করতে যেসব মহাপুরুষরা আত্মবলি দিয়েছেন, নিজেদের সম্পূর্ণ যৌবন কারান্তরালেকাটিয়েছেন, হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন, নিজেদের জীবন ও পরিবারের কথা নাভেবে ভারতমাতাকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন আজও সফল হয়নি।এটি অত্যন্ত লজ্জার কথা। দেশের স্বাধীন হওয়ার ৭০ বছর পরও আমরা এই মহামানবদেরস্বপ্নকে বাস্তবরূপ দিতে পারিনি। এখন ৭৫ বছর পূর্তির পাঁচ বছর বাকি। ভারতের ১২৫কোটি জনগণ কি সংকল্প গ্রহণ করতে পারেন যে, ঐ মহামানবদের স্মরণে তাঁদেরপরিবারবর্গের ত্যাগ ও তিতিক্ষার সম্মানে আমরা ২০২২ সালের মধ্যে তাঁদের সকলস্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেব। আমাদের গ্রাম ও শহরে প্রত্যেকে মিলে এই অসম্পূর্ণকাজগুলি করব। প্রত্যেক সংস্থা, প্রত্যেক সমাজ, প্রত্যেক রাজ্যের প্রতিটি মানুষ এইসংকল্প নিয়ে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই।

২০২২ সালে ‘নতুন ভারত’ গড়ে তোলার এই স্বপ্নের সঙ্গে প্রত্যেক ভারতবাসীকেজুড়তে হবে। স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন দেশের মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন, আজ দেশকে নতুনউচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন ভারত নির্মাণের জন্য তেমনই সকলকে যুক্ত করতে হবে।সবাই একসঙ্গে বসে ঠিক করুন যে, আপনার পরিবার, আপনাদের সংস্থা, আপনার সংগঠন, আপনারসমাজ, আপনার দল কী কী কাজ করবে? একবার দেশে এই সংকল্পের আবহ গড়ে উঠলে আগামী পাঁচবছরে দেশকে কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে দেব! আমি নিশ্চিত, দেশের ১২৫ কোটি মানুষ দেশেরস্বার্থে এক পা এগিয়ে গেলে দেশ পাঁচ বছরে ১২৫ কোটি পা এগিয়ে যাবে। আমাদের এইসংকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

 

আমি আজ পূজনীয় অবধেশানন্দজির কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, তিনি আমার জন্য যেআশীর্বাণী উচ্চারণ করেছেন, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আমাদের সবার মধ্যে সেইক্ষমতা জেগে উঠুক, সেই ভালো গুণগুলি জাগ্রত হোক, সেই সমর্পণ ভাব; যাতে আমরা সকলেদেশের সেবার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারি। আমি তাঁর এই আশীর্বাণীর জন্য অন্তরথেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই, তাঁকে প্রণাম জানাই।

আমি আপনাদের সবাইকেও হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাই, শিবরাজজি যেমন বলেছেন, এইতীর্থযাত্রা এখানে শেষ হ’ল ঠিকই কিন্তু এই যাত্রাকালে আমরা যা ভেবেছি, যা দেখেছিএবং যা করেছি, সেগুলি চরিতার্থ করার কর্মযজ্ঞ এখান থেকে শুরু হ’ল। যাত্রা সমাপ্তহ’ল, যজ্ঞ শুরু হ’ল। যজ্ঞে আহুতি দিতে হয়, সময় দিতে হয়, নিজের ইচ্ছা ওআকাঙ্খাগুলিকে সমাজের জন্য আহুতি দিতে হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, নর্মদার উজ্জ্বলভবিষ্যতের কথা ভেবে আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় এই যজ্ঞও সফল হবে। এই ভাবনা নিয়েআপানারা সবাই আমার সাথে সমস্বরে বলুন, দু’হাত মুষ্টিবদ্ধ করে উপরে তুলে বলুন – আমিবলব, নর্মদে, আর আপনারা বলবেন সর্বদে।

নর্মদে – সর্বদে

আপনাদের আওয়াজ নর্মদার ওপারের মানুষ যেন শুনতে পান, ‘খম্বাত কি খাড়ি’পর্যন্ত যেন শোনা যায়।

নর্মদে – সর্বদে

নর্মদে – সর্বদে

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।