India is working to become a $5 trillion economy: PM Modi in Houston #HowdyModi
Be it the 9/11 or 26/11 attacks, the brainchild is is always found at the same place: PM #HowdyModi
With abrogation of Article 370, Jammu, Kashmir and Ladakh have got equal rights as rest of India: PM Modi #HowdyModi
Data is the new gold: PM Modi #HowdyModi
Answer to Howdy Modi is 'Everything is fine in India': PM #HowdyModi
We are challenging ourselves; we are changing ourselves: PM Modi in Houston #HowdyModi
We are aiming high; we are achieving higher: PM Modi #HowdyModi

ধন্যবাদ, ধন্যবাদ রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প, অনেক ধন্যবাদ, কেমন আছেন বন্ধুরা? আমার সামনে এই যে দৃশ্য, এই পরিবেশ অকল্পনীয়। আর যখনই টেক্সাসের কথা ওঠে, সবকিছুকে বড় করে তোলা, বিশাল করে তোলা টেক্সাসের স্বভাবের মধ্যে রয়েছে। আজ টেক্সাসের এই প্রাণশক্তি এখানেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এই অপার জনসমুদ্রের উপস্থিতি শুধুই সংখ্যা দিয়ে পরিগণনা করা যাবে না, আজ এখানে আমরা একটি নতুন ইতিহাস রচিত হতে দেখছি। আর দেখছি, একটি নতুন রসায়নও।

এনআরজি-র ‘এনার্জি’, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ‘সিনার্জি’র সাক্ষী-স্বরূপ। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের এখানে আসা আর আমেরিকার মহান গণতন্ত্রের রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট – ভিন্ন ভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, প্রত্যেকের মুখে ভারতের জন্য প্রশংসা-সূচক বক্তব্য ও শুভেচ্ছা প্রদান, স্টেনি এইচ হোয়ে সিনেটর জন কর্নিন এবং অন্যান্য মাননীয় ব্যক্তিরা ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে যে কথা বলেছেন, যেভাবে প্রশংসা করেছেন, তা আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সামর্থ্য ও তাঁদের সাফল্যের সম্মান-স্বরূপ। ১৩০ কোটি বা ১.৩ বিলিয়ন ভারতীয়র সম্মান।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও অনেক আমেরিকান বন্ধু আজকের এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আমি প্রত্যেক ভারতবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। এই কর্মসূচির আয়োজকদেরও অভিনন্দন জানাই। আমাকে বলা হয়েছে যে, এর জন্যে আরও বিপুল সংখ্যায় মানুষ নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন, কিন্তু স্থানাভাবে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসতে পারেননি। যাঁরা আস্তে পারেননি, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি।

দু’দিন আগে হঠাৎ আবহ বদলের পর, খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে আমি টেক্সাস প্রশাসনের অনেক অনেক প্রশংসা করবো। তাঁরা সমস্ত সুচারুভাবে সমস্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন। আজ যেভাবে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বলছিলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, হাউস্টন শক্তিশালী।

বন্ধুগণ, এই কর্মসূচির নাম ‘হাউডি মোদী’ …. ‘মোদী কেমন আছেন?’ কিন্তু, মোদী একা কিছুই নয়। আমি ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আদেশে কাজ করতে থাকা একজন সাধারণ মানুষ। আর সেজন্যই যখন আপনারা যখন জিজ্ঞেস করেছেন, ‘মোদী কেমন আছেন?’ তখন আমার মনে হয়, এই প্রশ্নের সঠিক জবাব হ’ল, ভারতে সবাই ভালো আছে ‘সব চাঙ্গা সি’।

বন্ধুগণ, আমাদের আমেরিকাবাসী বন্ধুরা হয়তো অবাক হচ্ছেন যে, আমি কি বলছি? রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং আমার প্রিয় আমেরিকান বন্ধুগণ, আমি বিভিন্ন ভাষায় এটুকুই বলেছি যে, সবকিছু ভালো আছে। আমাদের লিবারেল এবং ডেমোক্রেটিক সমাজ হয়তো ভালোভাবেই জানে যে, বহু শতাব্দী ধরে আমাদের দেশের হাজার হাজার ভাষা আর হাজার রকম কথার মানুষেরা সহ-অস্তিস্তের ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। আর আজও কোটি কোটি মানুষ নিজেদের মাতৃভাষাতেই কথা বলেন। বন্ধুগণ, শুধু ভাষা নয়, আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, অসংখ্য সম্প্রদায়, ভিন্ন ভিন্ন পূজা-পদ্ধতি, হাজার হাজার আঞ্চলিক খাদ্য, নানা পরিধান, বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া ও ঋতুচক্র আমাদের দেশকে অতুলনীয় করে তুলেছে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই হ’ল আমাদের ঐতিহ্য – এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য।

ভারতের এই বৈচিত্র্য আমাদের স্পন্দিত গণতন্ত্রের ভিত্তি। এটাই আমাদের শক্তি ও প্রেরণা। আমরা যেখানেই যাই, বৈচিত্র্য ও গণতান্ত্রিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে যাই। আজ এই স্টেডিয়ামে উপবিষ্ট ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতবাসী এই মহান পরম্পরার প্রতিনিধি রূপে এখানেও উপস্থিত। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব ২০১৯ – এর সাধারণ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

সত্যি এটা এমন নির্বাচন ছিল, যা  গোটা বিশ্বে ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তির জয়ধ্বজা উড়িয়েছে। এই নির্বাচনে ৬১ কোটি অর্থাৎ ৬১০ মিলিয়নেরও বেশি ভোটদাতা অংশগ্রহণ করেছেন। আমেরিকার মোট জনসংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। তাঁদের মধ্যে ৮ কোটি বা ৮০ মিলিয়ন তরুণ-তরুণীরা প্রথমবার ভোট দিয়েছেন। ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এবার সর্বাধিক মহিলা ভোটদাতা ভোট দিয়েছেন। আর এবার সর্বাধিক মহিলা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন।

বন্ধুগণ, ২০১৯ – এর সাধারণ নির্বাচন আরেকটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। ৬০ বছর পর সংখ্যাধিক্যের ভোটে নির্বাচিত কোনও সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করার পর আবারও নির্বাচিত হয়েছে আগের তুলনায় বেশি সংখ্যার শক্তি নিয়ে। এসব কিছু কেন হয়েছে? কার জন্য হয়েছে? একদমই নয়, মোদীর জন্য হয়নি – এসব কিছু ভারতবাসীর ইচ্ছাতেই হয়েছে।

বন্ধুগণ, অপার ধৈর্য্য শক্তি হ’ল ভারতবাসীর অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আমরা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অত্যন্ত অধৈর্য্য, একবিংশ শতাব্দীতে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। আজ ভারতে সর্বাধিক চর্চিত শব্দ হল – উন্নয়ন। আজ ভারতের মন্ত্র হল – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। আজ ভারতের সবচাইতে বড় নীতি হ’ল – গণঅংশীদারিত্ব। আজ ভারতে সর্বাধিক ধ্বনি হল – সংকল্প সে সিদ্ধি, আর আজ ভারতের সবচাইতে বড় সংকল্প হ’ল – নতুন ভারত।

ভারত আজ নতুন ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কথা হ’ল আমরা অন্যদের সঙ্গে নয়, নিজেদের সঙ্গেই প্রতিযোগিতায় নেমেছি। আমরা নিজেদের সামনেই প্রতিস্পর্ধা তুলে ধরছি, নিজেদের বদলে নিচ্ছি।

বন্ধুগণ, আজ ভারত আগের তুলনায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে চায়। আজ ভারত কিছু মানুষের এমন ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, যাঁরা ভাবতেন যে, ভারতে কোনও পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়।

বিগত পাঁচ বছরে ১৩০ কোটি ভারতবাসী মিলে প্রত্যেক ক্ষেত্রে এমন সুফল পেয়েছে, যা আগেই কেউ কল্পনাও করতে পারতেন না। আমরা উঁচু লক্ষ্য স্থির করছি, উচ্চতম লক্ষ্যে পৌঁছচ্ছি।

ভাই ও বোনেরা, বিগত সাত দশকে দেশে গ্রামীণ শৌচালয় ৩৮% শতাংশে পৌঁছেছে। পাঁচ বছরে আমরা ১১ কোটি অর্থাৎ, ১১০ মিলিয়ন থেকেও বেশি শৌচালয় নির্মাণ করেছি। আজ গ্রামীণ শৌচালয় ৯৯% শতাংশে পৌঁছেছে। দেশে ৫৫ শতাংশ মানুষের বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা সেটা ৯৫ শতাংশে পৌঁছে দিয়েছি। মাত্র পাঁচ বছরে ১৫ কোটিরও বেশি মানুষকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ভারতে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ছিল ৫৫ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে তা আমরা ৯৭ শতাংশ করে দিয়েছি। মাত্র পাঁচ বছরে আমরা দেশের গ্রামাঞ্চলে ২ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক নির্মাণ করেছি। পাঁচ বছর আগে দেশে ৫০ শতাংশেরও কম মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। আমরা পাঁচ বছরে প্রায় ১০০ শতাংশ পরিবারকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করেছি। পাঁচ বছরে আমরা ৩৭ কোটিরও বেশি মানুষের নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছি।

বন্ধুগণ, আজ যখন জনগণকে মৌলিক প্রয়োজনগুলি নিয়ে কম ভাবতে হচ্ছে, তখন তাঁরা বড় বড় স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছেন। আর সেইসব স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করছে।

বন্ধুগণ, আমরা ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’কে যতটা গুরুত্ব দিই, ‘ইজ অফ লিভিং’কেও ততটাই গুরুত্ব দিই। এর মাধ্যম হ’ল ক্ষমতায়ন। যখন দেশে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন হবে, তখনই দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।

আমি আজ আপনাদেরকে উদাহরণ দিচ্ছি। বন্ধুগণ, আজকাল বলা হয় যে, ডেটা-ই হ’ল নতুন জ্বালানি। আপনারা হিউস্টনের বাসিন্দা। আপনারা এই জ্বালানি সম্পর্কে ভালোভাবেই অবহিত। আমি এর সঙ্গে একটি নতুন আখ্যা যোগ করবো – ডেটা-ই হ’ল নতুন সোনা। আর আজ সারা পৃথিবীতে …… একটু ভালো করে শুনুন। আজ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে কম দামে যে দেশে ‘ডেটা’ পাওয়া যায় সেদেশের নাম হ’ল ভারত। আজ ভারতে ১ জিবি ডেটার মূল্য হ’ল মাত্র ২৫ – ৩০ সেন্ট বা ১ ডলারের এক-চতুর্থাংশ। অথচ, সারা পৃথিবীতে ১জিবি ডেটার গড় মূল্য এরচেয়ে ২৫ – ৩৯ গুণ বেশি।

এই সস্তা ডেটা ভারতে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার একটি নতুন পরিচয় তুলে ধরছে। এই সস্তা ডেটা ভারতে প্রশাসনকে পুনর্সংজ্ঞায়িত করেছে। আজ ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির প্রায় ১০ হাজার পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়।

বন্ধুগণ, একটা সময় ছিল, যখন পাসপোর্ট তৈরি হতে দুই – তিন মাস লেগে যেত। এখন এক সপ্তাহেরও কম সময়ে পাসপোর্ট বাড়িতে চলে আসে। আগে ভিসা পেতে কত সমস্যা হ’ত তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু আজ আমেরিকাই হ’ল ভারতে ই-ভিসার সবচেয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্যতম।

বন্ধুগণ, একটা সময় ছিল, যখন নতুন কোম্পানি নথিভুক্ত করাতে দুই – তিন সপ্তাহ লেগে যেত। এখন ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নথিভুক্ত হয়।

একটা সময় ছিল যে, কর দাখিল করতে মাথা খারাপ হয়ে যেত। আর প্রদেয় কর বাবদ ফেরতযোগ্য অর্থ পেতে কয়েক মাস লেগে যেত। এক্ষেত্রে এখন কেমন পরিবর্তন এসেছে, তা শুনলে আপনারা চমকে যাবেন। এ বছর ৩১শে আগস্টে এক দিনে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ অনলাইনে কর দাখিল করেছেন। হ্যাঁ, আমি এক দিনের কথাই বলছি। অর্থাৎ, মাত্র এক দিনেই হিউস্টনের জনসংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ কর দাখিল করেছেন। আর এখন প্রদেয় কর বাবদ ফেরতযোগ্য অর্থ ৭ – ১০ দিনের মধ্যেই সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসছে।

ভাই ও বোনেরা, যে কোনও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশে সাধারণ নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প থাকার প্রয়োজন রয়েছে। দরিদ্র জনগণের জন্য বিভিন্ন ‘ওয়েলফেয়ার স্কিম’ চালু করার পাশাপাশি নতুন ভারত নির্মাণের জন্য বেশ কিছু জিনিসকে ‘ফেয়ারওয়েল’ও জানানো হয়েছে। আমরা ‘ওয়েলফেয়ার’কে যতটা গুরুত্ব দিয়েছি, ‘ফেয়ারওয়েল’কেও ততটাই গুরুত্ব দিচ্ছি।

এই দোসরা অক্টোবর যখন আমরা মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী পালন করবো, তার সঙ্গে ভারত উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্মকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানাবে। বিগত পাঁচ বছরে ভারত ১ হাজার ৫০০-রও বেশি পুরনো আইনকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানিয়েছে। দেশে কয়েক ডজন করের জাল ছিল, তা দেশে বাণিজ্য-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল। আমাদের সরকার এই করের জালকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানিয়ে জিএসটি চালু করেছে।

অনেক বছর পর দেশে ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। বন্ধুগণ, আমরা দুর্নীতিকেও চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। দুর্নীতিকে প্রত্যেক স্তরে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানানোর জন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিগত দু-তিন বছরে ভারতে সাড়ে তিন লক্ষ ভুয়ো  কোম্পানিকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানিয়েছি। তেমনই, সারা দেশে সরকারি পরিষেবা গ্রহণকারী ৮ কোটিরও বেশি ভুয়ো নামকে ফেয়ারওয়েল জানিয়েছি। এদের নাম শুধু কাগজে ছিল, আর এদের নামে কোটি কোটি টাকার পরিষেবা বরাদ্দ হ’ত।

বন্ধুগণ, আপনারা কল্পনা করতে পারেন, এই ভুয়ো নামগুলিকে ফেয়ারওয়েল জানিয়ে দেশের প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউএস ডলার। আমরা দেশে একটি স্বচ্ছ বাস্তু ব্যবস্থা গড়ে তুলছি, যাতে উন্নয়নদ্বারা প্রত্যেক ভারতবাসী লাভবান হন। দেশের একজন ভাই কিংবা বোন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকবেন – তা আমরা মেনে নিতে পারবো না।

৭০ বছর ধরে দেশের সামনে আরেকটি বড় সমস্যা ছিল, যাকে আমরা সম্প্রতি ফেয়ারওয়েল জানিয়েছি। আপনারা বুঝে গেছেন, সেটি হ’ল সংবিধানের ৩৭০ ধারা। এর ফলে,  জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের জনগণ উন্নয়ন মূল ধারা থেকে, সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এর ফলে, সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহ প্রদানকারীরা নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছিল।

এখন ভারতের সংবিধান দেশের সমস্ত নাগরিককে যেসব অধিকার দিয়েছে, জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখের মানুষও সেসব অধিকার পাচ্ছেন। সেখানকার মহিলা, শিশু ও দলিতরা বিভিন্ন বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়েছেন।

বন্ধুগণ, আমাদের সংসদে উচ্চ ও নিম্ন কক্ষে ঘন্টার পর ঘন্টা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা সারা পৃথিবীর মানুষ সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন। এখনও আমাদের রাজ্যসভায় আমাদের দলের সংখ্যাধিক্য নেই। তা সত্ত্বেও লোকসভা ও রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা বিলোপ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাধিক্যে পাশ হয়েছে। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি যে, ভারতে সমস্ত সংসদ সদস্যদের জন্য স্ট্যান্ডিং ওভেশন জানান। হ্যাঁ, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারত নিজের দেশে যা করছে, তাতে কিছু এমন মানুষের সমস্যা হচ্ছে, যারা নিজের দেশ ঠিকভাবে সামলাতে পারছে না। তারা ভারতের প্রতি ঘৃণাকেই নিজেদের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে। তারাই সেই মানুষ, যারা অশান্তি চায়, সন্ত্রাসকে সমর্থন করে, সন্ত্রাসকে লালন-পালন করে। এখন সারা পৃথিবী তাদেরকে খুব ভালোভাবে চেনে। আমেরিকায় ৯/১১ হোক কিংবা মুম্বাইয়ে ২৬/১১ –র ষড়যন্ত্রকারীরা কোথায় রয়েছে?

বন্ধুগণ, এখন সময় এসেছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসবাদের উৎসাহ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ফলদায়ক যুদ্ধ লড়তে হবে। আমি এখানে জোর দিয়ে বলতে চাই যে, এই লড়াইয়ে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প পূর্ণ শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। একবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের এই মনোবলকেও আমরা সবাই মিলে স্ট্যান্ডিং ওয়েবশন জানাবো। ধন্যবাদ, ধন্যবাদ বন্ধুগণ।

ভাই ও বোনেরা, ভারতে এখন অনেক কিছু হচ্ছে, অনেক কিছু বদলাচ্ছে, আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেগুলিকে বাস্তবায়নের জেদ নিয়ে আমরা কাজ করছি। দেশের এই ভাবনা নিয়ে কিছুদিন আগে আমি একটি কবিতা লিখেছি, তার দুটি পঙক্তি শোনাচ্ছি। হাতে বেশি সময় নেই, পুরোটা বলবো না –

‘যত সমস্যার পাহাড় রয়েছে,

সেগুলিই আমার উৎসাহের মীনার’।

বন্ধুগণ, আজ ভারত কোনও চ্যালেঞ্জকে সরিয়ে রাখছে না, মোকাবিলা করছে। ভারত আজ সামান্য ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনে বিশ্বাস করে না। যে কোনও সমস্যার পূর্ণ সমাধান চায়। সেজন্য অসম্ভব মনে হওয়া অনেক কিছু ভারত সম্ভব করে দেখাচ্ছে।

বন্ধুগণ, আজ ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিধর দেশ হয়ে ওঠার জন্য কোমর বেঁধেছে। আমরা পরিকাঠামো, বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা জন-বান্ধব, উন্নয়ন-বান্ধব এবং বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলেছি। আমরা পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে প্রায় ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতে চলেছি।

বন্ধুগণ, বিগত পাঁচ বছরে সারা পৃথিবীতে যত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাই থাকুক না কেন, ভারতের উন্নয়নদর গড়ে ৭.৫ শতাংশ বজায় রয়েছে। আর লক্ষ্য রাখবেন, ভারতের পূর্ববর্তী কোনও সরকারের সম্পূর্ণ শাসনকালের গড় উন্নয়ন দর এই উচ্চতায় পৌঁছয়নি। এই প্রথম একসঙ্গে কম মুদ্রাস্ফীতি, কম রাজস্ব ঘাটতি এবং অধিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ গন্তব্যগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। ২০১৪ – ১৯ – এর মধ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি, আমরা সিঙ্গল ব্র্যান্ড রিটেলের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম-কানুন সরল করেছি।

কয়লা উত্তোলন এবং কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে এখন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ১০০ শতাংশ হতে পারে। গতকাল আমি হাউস্টনের এনআরজি সেন্টারে সিইও-দের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁরা প্রত্যেকেই ভারতে কর্পোরেট ট্যাক্স অনেক কম করার সিদ্ধান্তে উৎসাহিত হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি যে, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নেতৃত্বের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতকে আরও শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগী করে তুলবে।

বন্ধুগণ, ভারতীয়দের জন্য আমেরিকা, আমেরিকায় এবং আমেরিকানদের জন্য ভারত এখন এগিয়ে যাওয়ার অপার সম্ভাবনা খুলে দিয়েছে। ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির জন্য নতুন ভারতের অভিযান আর রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকার মজবুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এই সম্ভাবনাগুলির ডানায় নতুন পালক জুড়বে।

রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প নিজের বক্তব্যে যে অর্থনৈতিক আশ্চর্যগুলির কথা বলেছেন, সেগুলি সব সোনায় সোহাগা হবে। আগামী ২ – ৩ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সঙ্গে আমার নিবিড় আলোচনা হবে। আমি আশা করি, তা থেকেও কিছু ইতিবাচক ফল পাবো। এমনিতে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমাকে ‘টাফ নেগোশিয়েটর’ বলেন। কিন্তু তিনি নিজে দর কষাকষিকে শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারেন আর আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি।

বন্ধুগণ, একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই এগিয়ে চলা এখন আরও ত্বরান্বিত হবে। আপনাদের মতো বন্ধুরা এর গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন। আপনারা নিজের মাটি থেকে এত দূরে রয়েছেন, কিন্তু দেশের সরকার আপনাদের থেকে দূরে নেই।

গত পাঁচ বছরে আমরা প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে বার্তালাপের অর্থ এবং পদ্ধতি বদলে দিয়েছি। এখন বিদেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলি নিছকই সরকারি দপ্তর নয়, সেই দেশগুলিতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিকটতম বন্ধুর ভূমিকা পালন করছে। বিদেশে কর্মরত বন্ধুদের জন্য, তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়মিত কাজ করে চলেছে। ‘মদদ’, ‘ই-মাইগ্রেট’, বিদেশ যাওয়ার আগে ‘প্রি-ডিপার্চার’ প্রশিক্ষণ, প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য বিমা প্রকল্পের সংস্কার, সমস্ত পিআইও কার্ডকে ওসিআই কার্ডের সুবিধা প্রদান, বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় এবং বিদেশগামী দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সরকার ইন্ডিয়ান কম্যুনিটি ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ শক্তিশালী করেছে। বিদেশের অনেক নতুন শহরে প্রবাসী ভারতীয় সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা, আজ এই মঞ্চ থেকে যে বার্তা বেরিয়ে এলো, তা একবিংশ শতাব্দীতে অনেক নতুন পরিভাষা ও নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেবে। আমাদের সম-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের শক্তি রয়েছে। উভয় দেশে নবনির্মাণের সংকল্প রয়েছে, যা আমাদের উভয়কেই অবশ্যই একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

মিঃ প্রেসিডেন্ট, আমি চাই যে, আপনি সপরিবারে ভারতে আসুন এবং আমাদের স্বাগত সংবর্ধনার সুযোগ দিন। আমাদের দু’জনের এই বন্ধুত্ব ভারত ও আমেরিকার যৌথ স্বপ্ন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে নতুন উচ্চতা প্রদান করবে। আমি রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প, এখানে উপস্থিত সমস্ত আমেরিকান রাজনীতিবিদ, সামাজিক ও বাণিজ্যিক জগতের সমস্ত নামী নেতাদের এখানে আসার জন্য আরেকবার হৃদয় থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। টেক্সাসের সরকার এবং এখানকার স্থানীয় প্রশাসনকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

ধন্যবাদ হাউস্টন, ধন্যবাদ আমেরিকা, আপনাদের ওপর ঈশ্বরের আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi 3.0: Government gives unprecedented push for infrastructure development in first 100 days

Media Coverage

Modi 3.0: Government gives unprecedented push for infrastructure development in first 100 days
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
List of Outcomes: State Visit of H. E. Dr. Mohamed Muizzu, President of the Republic of Maldives to India (October 06 – October 10, 2024)
October 07, 2024

I No.

Announcements

1.

Adoption of India-Maldives: A Vision for Comprehensive Economic and Maritime Security Partnership.

2.

Refit of Maldivian Coast Guard Ship Huravee by the Government of India on gratis basis.

 

Launch / Inauguration / Handing-over

1.

Launch of RuPay Card in Maldives.

2.

Inauguration of the new runway of Hanimaadhoo International Airport (HIA).

3.

Handing over of 700 social housing units built under EXIM Bank’s Buyers’ Credit Facilities.

 

Signing / Renewal of MoUs

Representative from Maldivian Side

Representative from Indian side

1.

Currency Swap Agreement

Mr. Ahmed Munawar, Governor of Maldives Monetary Authority

Shri Ajay Seth, Secretary, Department of Economic Affairs, Ministry of Finance

2.

MoU between Rashtriya Raksha University of the Republic of India and National College of Policing and Law Enforcement of the Republic of Maldives

Mr. Ibrahim Shaheeb, High Commissioner of Maldives to India

Dr. Rajendra Kumar, Secretary, Border Management, Ministry of Home Affairs

3.

MoU between Central Bureau of Investigation and Anti-Corruption Commission of Maldives for bilateral cooperation on preventing and combating corruption

Mr. Ibrahim Shaheeb, High Commissioner of Maldives to India

Dr. Rajendra Kumar, Secretary, Border Management, Ministry of Home Affairs

4.

Renewal of MoU between National Judicial Academy of India (NJAI) and the Judicial Service Commission (JSC) of Maldives on Training and Capacity Building Programs for Maldivian judicial officers

Mr. Ibrahim Shaheeb, High Commissioner of Maldives to India

Shri Munu Mahawar, High Commissioner of India to Maldives

5.

Renewal of MoU between India and Maldives on Cooperation in Sports and Youth Affairs

Mr. Ibrahim Shaheeb, High Commissioner of Maldives to India

Shri Munu Mahawar, High Commissioner of India to Maldives