আমাদের বায়ুসেনা ও যোদ্ধাগণ, যারা জাতিকে রক্ষা করছেন, তাঁদের সাহস এবং পেশাদারিত্ব প্রশংসনীয়: প্রধানমন্ত্রী
‘ভারত মাতা কি জয়’ শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি হল প্রতিটি জওয়ানের শপথ, যারা দেশের সম্মান ও গৌরব রক্ষায় নিজের প্রাণ ত্যাগ করতেও প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
‘অপারেশন সিঁদুর’ হল ভারতের নীতি, সদিচ্ছা ও সিদ্ধান্তমূলক ক্ষমতার “ত্রিমুখী সমন্বয়”: প্রধানমন্ত্রী
আমাদের বোনেদের ও কন্যাদের সিঁদুর মুছে দেওয়া হয়েছিল, আমরা জঙ্গিদের তাদের ঘাঁটিতেই গুঁড়িয়ে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারীরা এখন জানে, ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকালে শুধু ধ্বংসই নিয়ে আসবে: প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের শুধু জঙ্গি ঘাঁটি ও এয়ারবেস ধ্বংস হয়নি, তাদের দুষ্ট উদ্দেশ্য ও ঔদ্ধত্যকেও পরাস্ত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লক্ষ্মণরেখা এখন একেবারে স্পষ্ট— যদি আরেকটাও জঙ্গি হামলা হয়, তাহলে ভারত জবাব দেবে, আর সেই জবাব হবে চূড়ান্ত: প্রধানমন্ত্রী
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিটি মুহূর্তই ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তির সাক্ষ্য বহন করে: প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যতে পাকিস্তান যদি কোনো সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অথবা সামরিক উষ্কানিতে ফের জড়িয়ে পরে সেক্ষেত্রে ভারত সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রত্যাঘাত করবে। ভারত সম্পূর্ণভাবে নিজের শর্তে, নিজের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে: প্রধানমন্ত্রী
এ এক নতুন ভারত – এমন এক ভারত যে শান্তিকামী, কিন্তু মানবতা যদি হুমকির মুখে পড়ে, সেক্ষেত্রে ভারত প্রত্যাঘাত হানতে পিছপা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ পাঞ্জাবের আদমপুরের বায়ু সেনা ঘাঁটিতে গিয়ে বীর সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন। ‘ভারত মাতা কি জয়’ শ্লোগানের অন্তর্নিহিত শক্তির উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব এখন এটি উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। এটি শুধুমাত্র একটি শ্লোগান নয়, এ এমন এক শপথ যা গ্রহণ করে প্রতিটি সৈনিক, মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষায় নিজেদের জীবন বাজিতে রাখে। যারা দেশের জন্য বাঁচেন এবং দেশকে কিছু দিতে চান, তেমন প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর হল এই শ্লোগান। যুদ্ধ ক্ষেত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মিশনে এই শ্লোগান প্রতিধ্বনিত হয়। এই শ্লোগান শুনলে শত্রুদের মেরুদণ্ডে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যায়। ভারতীয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যখন শত্রুর দুর্গে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে, তখন শত্রুরা এই শ্লোগানই শুনতে পায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গভীর অন্ধকার রাতেও আকাশ উজ্জ্বল করে তোলার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। শত্রুরা ভারতের এই দুর্দমনীয় চেতনার সামনে অসহায় হয়ে পরে। ভারতীয় বাহিনী যখন পরমাণু হুমকি অনায়াসেই অগ্রাহ্য করে, তখন স্বর্গ-মর্ত জুড়ে একটি মন্ত্রই প্রতিধ্বনিত হয় - ‘ভারত মাতা কি জয়’।

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও সংকল্পের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের জন্য আজ লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের বুক গর্বে ভরে উঠেছে। তাঁদের অনন্য সাহসিকতা ও ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য আজ প্রতিটি ভারতীয়ের মাথা উঁচু হয়ে গেছে। আজ থেকে বহু দশক পরেও এই সেনাদের বীরত্বের কথা মানুষ মনে রাখবে। তারা শুধু বর্তমান প্রজন্মেরই নন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও অনুপ্রেরণা। প্রধানমন্ত্রী বায়ু সেনা, নৌ বাহিনী, সেনা বাহিনী এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বীর যোদ্ধাদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, অপারেশন সিঁদুরের প্রভাব আজ দেশ জুড়ে অনুরণিত হচ্ছে। এই অভিযান চলার সময়ে প্রতিটি ভারতীয় সর্বতোভাবে সেনাদের পাশে ছিলেন, সেনাদের জন্য তাঁরা প্রার্থনা করেছেন। সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে তিনি সেনা এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুর শুধুমাত্র একটি সামরিক অভিযান ছিল না, এ ছিল ভারতের নীতি, উদ্দেশ্য এবং নির্ণায়ক সক্ষমতার এক ত্রিমূর্তি। ভারত ভগবান বুদ্ধ ও গুরু গোবিন্দ সিংজির দেশ। সেই গুরু গোবিন্দ সিংজি যিনি বলেছিলেন, ‘আমার একজন যোদ্ধা ১ লক্ষ ২৫ হাজার যোদ্ধার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। আমার তীর পাখিকেও হার মানাবে, তবেই আমাকে গুরু গোবিন্দ সিং বলা সঙ্গত হবে’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ভারতের চিরায়ত ঐতিহ্য। সন্ত্রাসবাদীরা যখন ভারতের মেয়েদের উপর হামলা করার সাহস দেখিয়েছে, তখন ভারতীয় বাহিনী তাদের ঘরে ঢুকে তাদের মেরেছে। এরা কাপুরুষের মতো এসেছিল, এরা জানতো না যে তারা ভারতীয় সেনা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। ভারতীয় সেনা বাহিনীর বীরত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে, ৯টি সন্ত্রাসবাদী আস্তানা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসবাদী মারা পরেছে। সন্ত্রাসের নেপথ্য নায়করা এখন বুঝতে পেরেছে যে ভারতকে উষ্কানি দেওয়ার অর্থ অবধারিত মৃত্যু। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাক সেনা বাহিনী যারা এই সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়েছে তারা ভারতীয় সেনা বাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর কাছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী গোটা পাকিস্তানে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদীদের জন্য কোনো সুরক্ষিত জায়গা নেই। ভারতের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পাকিস্তানের মধ্যে এমন ভয়ের সঞ্চার করেছে যে তারা একের পর এক বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য জাতির সংকল্পকে আরও সুদৃঢ় করেছে, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, ভারতের সীমান্তকে সুরক্ষিত করেছে এবং ভারতের গর্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সেনা বাহিনীর কাজকে নজিরবিহীন, অকল্পনীয় ও অসাধারণ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় বিমান বাহিনী যেভাবে নির্ভুল লক্ষ্যে পাকিস্তানের মধ্যে থাকা সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছে তার তুলনা নেই। এমন অভিযান কেবল মাত্র ভারতীয় সেনা বাহিনীর মতো আধুনিক, প্রযুক্তিসজ্জিত ও পেশাদার বাহিনীই চালাতে পারে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের ভেতরে থাকা সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে দেওয়া। পাকিস্তান অসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল, কিন্তু ভারতীয় বাহিনী চূড়ান্ত সতর্কতা ও নির্ভুলতার সঙ্গে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এই অভিযান কেবল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ও বিমান ঘাঁটিগুলিকেই ধ্বংস করেনি, তাদের ঔদ্ধত্ব, মনোবল ও অপকীর্তির প্রয়াসকেও ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান হতাশা থেকে ভারতের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি আক্রমণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রতিটি আক্রমণই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। পাক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, মানবহীন বিমান যান, সব কিছুই ভারতের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে নিষ্ফল হয়ে গেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রতিটি যোদ্ধাকেই তাঁদের অসামান্য সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এখন সুস্পষ্ট। ভারতে আর যদি কোনো সন্ত্রাসবাদী হানা হয়, সেক্ষেত্রে ভারত নির্ণায়কভাবে নিজের শক্তি ব্যবহার করবে। এর আগে সার্জিকাল স্ট্রাইক এবং বিমান হানার সময়েও ভারতীয় সেনার বীরত্বের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি তিনটি প্রধান নীতির কথা বলেছিলেন। প্রথমত, ভারত যদি আবার কোনো সন্ত্রাসবাদীর হামলার শিকার হয় সেক্ষেত্রে নিজের মতো করে ভারত তার জবাব দেবে। দ্বিতীয়ত, ভারত কোনো ধরনের পরমাণু হুমকি সহ্য করবে না। তৃতীয়ত, সন্ত্রাসবাদীদের মাস্টারমাইন্ড এবং তাদের মদত যোগানো সরকারের মধ্যে আর কোনো প্রভেদ ভারত করবে না। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিঁদুরের প্রতিটি মুহূর্ত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি ও সক্ষমতার নিদর্শন হয়ে রয়েছে। ভারতের আকাশ ও জমির সংযুক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের যৌথ প্রস্তুতি আজ ভারতের সামরিক ক্ষমতার নতুন বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।

অপারেশন সিঁদুরে মানব শক্তি ও অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির অসাধারণ সমন্বয়ের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রথাগত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ এবং এস-৪০০-এর মতো শক্তিশালী আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজে লাগানো হয়েছিল। পাকিস্তানের ক্রমাগত প্রয়াস সত্ত্বেও ভারতের বিমান ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামোর গায়ে কোনো আঁচর পরেনি। 

ভারতের কাছে যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বর্তমানে রয়েছে, পাকিস্তান কখনই তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সশস্ত্র বাহিনীও নিরবচ্ছিন্নভাবে কৌশলগত দক্ষতার সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী আজ শুধু অস্ত্র দিয়েই প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধ করে না, তার সঙ্গে তথ্য ও ড্রোনও থাকে। 

ভারতের এই সামরিক অভিযান পাকিস্তানের আবেদনে স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে পাকিস্তান যদি কোনো সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অথবা সামরিক উষ্কানিতে ফের জড়িয়ে পরে সেক্ষেত্রে ভারত সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রত্যাঘাত করবে। ভারত সম্পূর্ণভাবে নিজের শর্তে, নিজের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। বিমান বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও নৌ বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ এক নতুন ভারত – এমন এক ভারত যে শান্তিকামী, কিন্তু মানবতা যদি হুমকির মুখে পড়ে, সেক্ষেত্রে ভারত প্রত্যাঘাত হানতে পিছপা হবে না।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence

Media Coverage

World Exclusive | Almost like a miracle: Putin praises India's economic rise since independence
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।