নমস্কার!

এবার বাজেটের আগে আপনাদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে কথাবার্তা হয়েছে। ভারত যাতে আরও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে, এই বাজেটে সেই লক্ষ্যপথই স্পষ্ট করা হয়েছে। বাজেটে ভারতের উন্নয়নে বেসরকারী ক্ষেত্রের অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে সরকারী- বেসরকারী অংশীদারিত্বের সুযোগ এবং লক্ষ্য স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বিলগ্নীকরণ এবং সম্পদের নগদীকরণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

বন্ধুরা,
যখন দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলি কাজ শুরু করেছিল, সে সময় সব অন্যরকম ছিল এবং দেশের চাহিদাও অন্যরকম ছিল। যে নীতিগুলো ৫০-৬০ বছর আগের সময়ের জন্য সঠিক ছিল, তার অবশ্যই সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আজ আমরা যখন এই সংস্কারগুলি করছি, তখন আমাদের সবথেকে বড় লক্ষ্য হল জনসাধারণের অর্থের সঠিক ব্যবহার করা।

বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা লাভের মুখ দেখছে না। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থা করদাতাদের টাকার সাহায্যে চলছে। একরকমভাবে, যে অর্থের ওপর দরিদ্রদের অধিকার, যে অর্থের ওপর উচ্চাকাঙ্খী যুব সমাজের অধিকার রয়েছে, সেই অর্থ এই সংস্থাগুলির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরফলে অর্থনীতিতে অহেতুক বোঝার সৃষ্টি হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে, কারও স্বপ্নের প্রকল্প ছিল, শুধু সেজন্যই সেগুলির পরিচালনা করে যাওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির গুরুত্ব তখনই থাকবে যখন তারা কোনও বিশেষ ক্ষেত্রের চাহিদা পূরণ করছে বা কোনো কৌশলগত গুরুত্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

সরকারের দায়িত্ব হল দেশের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং ব্যবসাকে সাহায্য করা, কিন্তু আজকের যুগে সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্যে চালানোর, তার মালিক হয়ে থাকার প্রয়োজনও নেই, এবং তা সম্ভবও নয়। তাই আমি বলছি, ''সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্যে থাকার প্রয়োজন নেই।" জনসাধারণের কল্যাণ এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নই সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সরকারের বেশিরভাগ ক্ষমতা, সম্পদ, সামর্থ্য জনকল্যাণমূলক কাজেই ব্যবহার হওয়া উচিত। সেই সরকারই যখন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে তখন বিভিন্নভাবে ক্ষতিও হয়।

সরকার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যে কাজ করে। ফলে সরকারের বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তে সাহসিকতার অভাব দেখা যায়। এছাড়াও প্রত্যেকের মনেই দোষারোপ এবং কোর্ট-কাছারির ভয় থাকে। এহেন পরিস্থিতিতে যে মনোভাব কাজ করে তা হল, যেমন চলছে চলতে দাও, আমার দায়িত্ব তো সীমিত সময়ের জন্য, আমার পরে যে আসবে সে বুঝবে। সেজন্যে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয় না, যেমন চলছে চলতে দেওয়া হয়।

আপনারাও ভালোভাবে জানেন, এই মনোভাব নিয়ে ব্যাণিজ্য করা সম্ভব নয়। এর আরেকটি দিক হল, সরকার যখন ব্যবসা শুরু করে, তখন তার সম্পদের সুযোগও কমে যায়। সরকারের কাছে প্রচুর দক্ষ আধিকারিক রয়েছে। তবে তাঁদের মূলতঃ প্রশাসনিক কাজকর্ম, নীতি নির্ধারিত নিয়মের পালন করানো, জনকল্যাণমূলক কাজে জোর দেওয়া এবং সেজন্যে প্রয়োজনীয় নীতি তৈরি করা, এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং সেসব কাজে তাঁরা যথেষ্ট দক্ষও। কারন জীবনের অনেকটা সময় তাঁরা মানুষের মধ্যে এই সমস্ত কাজ করেই এগিয়ে গিয়েছেন। এতবড় দেশে এধরনের কাজের অনেক গুরুত্বও রয়েছে।

কিন্তু যখন সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে, তখন এই দক্ষ আধিকারিকদের নিজেদের কাজ থেকে সরিয়ে এদিকে নিয়ে আসতে হয়। এরফলে একরকমভাবে সেই অধিকারীর প্রতিভার প্রতি অন্যায় করা হয়, সেই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার সঙ্গে অন্যায় করা হয়। এরফলে সেই ব্যক্তির ক্ষতি হয়, সেই সংস্থার ক্ষতি হয়। এবং সেজন্যে এরফলে দেশের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবনে সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ কম করা। অর্থাৎ জীবনে সরকারের অভাবও থাকবে না, সরকারের প্রভাবও কম থাকবে।

বন্ধুরা,
আজ দেশে সরকারের কাছে এমন অনেক সম্পদ রয়েছে যা কম ব্যবহৃত হয় বা ব্যবহার হয়ই না। এই ভাবনা মাথায় রেখেই আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেট মানিটাইজেশন পাইপলাইনের ঘোষণা করেছি। আমাদের লক্ষ্য তেল, গ্যাস, বন্দর, বিমানবন্দর, উর্জা, এরকম প্রায় ১০০টি সম্পদের নগদীকরণ। এর থেকে ২.৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এবং আমি এটাও বলব যে এই পদ্ধতি আগামী দিনেও চলবে। 'নগদীকরণ এবং আধুনিকীকরণ' এই মন্ত্র নিয়েই সরকার কাজ করে চলেছে।

যখন সরকার নগদীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে, তখন সেসময় বেসরকারী সংস্থাগুলি সেই শূন্যস্থান পূরণ করে। বেসরকারী সংস্থা বিনিয়োগও নিয়ে আসে এবং আন্তর্জাতিক মানের সবথেকে ভালো ব্যবস্থাপনাও নিয়ে আসে। উচ্চ মানের কর্মচারী নিয়ে আসে, ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন নিয়ে আসে। এরফলে সমস্ত ব্যবস্থা আরও আধুনিক হয়ে ওঠে, গোটা সেক্টরের আধুনিকীকরণ হয় এবং সমগ্র ক্ষেত্রের দ্রুতগতিতে প্রসার হয় এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগও তৈরি হয়। এই পুরো প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ থাকে, নিয়ম অনুযায়ী চলে, তা পরিদর্শন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ নগদীকরণ এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আমরা গোটা অর্থব্যবস্থাকে কার্যকারিতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

বন্ধুরা,
সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে যে অর্থ হাতে আসবে, তা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। সম্পদের নগদীকরণ এবং বিলগ্নীকরণের থেকে যে অর্থ হাতে আসে, সেটা থেকে দরিদ্রদের বাসস্থান তৈরি হয়, সেই অর্থ দিয়ে গ্রামের রাস্তা তৈরি হয়, সেই অর্থ দিয়ে বিদ্যালয় খোলা হয়, সেই অর্থ দরিদ্রদের কাছে স্বচ্ছ জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হয়। জনসাধারণের জন্য এরকম অনেক কাজ করা হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের দেশে এতো ধরনের ঘাটতি রয়েছে, এখন দেশ এরজন্য আর বেশি অপেক্ষা করবে না।

দেশের জনসাধারণের প্রয়োজন, তাঁদের চাহিদা পূরণ করা আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। সরকার এই দিকে দ্রুত গতিতে কাজ করছে। সেই জন্যেই, সম্পদের নগদীকরণ এবং বিলগ্নীকরণের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত, দেশের প্রতিটি নাগরিক, তা সে দরিদ্র হোক, মধ্যবিত্ত হোক, যুবক, মহিলা, কৃষক, শ্রমিক হোক, তাঁদের সকলকে ক্ষমতা প্রদান করবে। বেসরকারীকরণের ফলে যুব সম্প্রদায়ের কাছে আরও ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। যুব সম্প্রদায়ের কাছে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করার আরও বেশি সুযোগ তৈরি হয়।

বন্ধুরা,
দেশের প্রত্যেকটি সংস্থাকে কার্যকর করে তুলতে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, আইনের ভূমিকা, সংসদীয় তদারকি এবং দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি আজ আপনারা অনুভব করতে পারেন। এবারের বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির জন্য যে নতুন নীতির ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যেও আমাদের এই উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

৪টি কৌশলগত ক্ষেত্র ছাড়া অন্য সমস্ত ক্ষেত্রের বেসরকারীকরণের জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি কৌশলগত ক্ষেত্রেও যতটা প্রয়োজন ততগুলি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা রাখা হবে। এই নীতির মাধ্যমে বার্ষিক বিলগ্নীকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মধ্য মেয়াদী কৌশলগত পদ্ধতির ব্যবহার করে স্বতন্ত্র সংস্থার চয়ন করতে সাহায্য করবে।

এরফলে বিলগ্নীকরণের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা হবে। এরফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হবে এবং ভারতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এবং আমি এটাও বলব যে এই সমস্ত মূল্যবান সম্পদ। এই সমস্ত জিনিস দেশকে অনেক পরিষেবা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অনেকবার দেখেছি যে যখন ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন হয়, এককগুলি নতুন উচ্চতা স্পর্শ করে। আপনারা সবাই বর্তমান থেকে নয়, ভবিষ্যতে যে সমস্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে তার থেকে এর মূল্যায়ন করুন। এবং আমি এর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।

বন্ধুরা,
আজ, যখন আমাদের সরকার পুরো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে এই দিকেই এগিয়ে চলেছে, এর সঙ্গে জড়িত নীতিগুলোর বাস্তবায়নের বিষয়ও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে, প্রতিযোগিতার জন্য একটি সঠিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে, স্থিতিশীল নীতির জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য, বিস্তারিত পরিকল্পনার খসড়ার পাশাপাশি, সঠিক মূল্য আবিষ্কার এবং অংশীদারদের ম্যাপিংয়ের জন্য আমাদের বিশ্বের সেরা ব্যবস্থাপনা থেকে শিখতে হবে। আমাদের দেখতে হবে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তা কেবল জনসাধারনের জন্যই নয়, সেই ক্ষেত্রের উন্নয়নেও সহায়ক হবে।

বন্ধুরা,

ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল গ্লোবাল ইনভেস্টার্স সামিটে আপনাদের মধ্যে অনেকে সার্বভৌম এবং পরিকাঠামো তহবিলের জন্য কর উন্নতি করার মতো কিছু বিষয় আমার সামনে রেখেছিলেন। আপনারা দেখেছেন যে এই বাজেটে এর সমাধান দেওয়া হয়েছে। আপনারা আজ দেশের কাজ করার গতি অনুভব করছেন। প্রক্রিয়াগুলির গতি বাড়ানোর জন্য, আমরা সচিবদের নিয়ে একটি ক্ষমতা সম্পন্ন গোষ্ঠী তৈরি করেছি, যা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করবে। একইভাবে, বেশ কিছু পরামর্শের ভিত্তিতে, আমরা বড় বিনিয়োগকারীদের ধাপে ধাপে সহায়তা করতে যোগাযোগের একটি একক পয়েন্টও তৈরি করেছি।

বন্ধুরা,
গত কয়েক বছর ধরে, আমাদের সরকার ভারতকে ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন সংস্কার করেছে। আজ ভারতে এক বাজার এক কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আজ ভারতে বিভিন্ন সংস্থার ঢোকা এবং বেরোনোর প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। ভারতে অনুবর্তনের সঙ্গে জড়িত সমস্যাগুলি ক্রমাগত সংশোধন করা হচ্ছে। লজিস্টিকস সম্পর্কিত সমস্যাগুলি দ্রুত গতিতে দূর করা হচ্ছে। আজ ভারতে কর ব্যবস্থার সরলীকরণ করা হচ্ছে, স্বচ্ছতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারত সেই দেশগুলির মধ্যে একটি যেখানে করদাতাদের অধিকার সংশোধিত হয়েছে। শ্রম আইনেরও সরলীকরণ করা হয়েছে।

বন্ধুরা,
বিদেশ থেকে যারা আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন,তাদের জন্য একরকমভাবে ভারতে নতুন সুযোগের এক উন্মুক্ত আকাশ রয়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নীতির বিষয়ে ভারত যে অভূতপূর্ব সংস্কার করেছে সে সম্পর্কেও আপনারা অবগত হয়েছেন। প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ এবং উৎপাদনভিত্তিক উৎসাহদায়ক ব্যবস্থার সূচনার ফলে বিনিয়োগকারীদের ভারতের প্রতি আর্কষণ বেড়েছে। এটা গত কয়েক মাসে রেকর্ড সংখ্যায় প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। আজ বাণিজ্যে স্বাচ্ছন্দ্য কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, আমাদের রাজ্যগুলোতেও এর জন্য স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা চলছে, যা একটি বড় পরিবর্তন।

বন্ধুরা,
আত্মনির্ভর ভারতের জন্য, আধুনিক পরিকাঠামো, সংযোগের ওপর দ্রুত গতিতে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আগামী ৫ বছরে ১১১ লক্ষ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় পরিকাঠামো পাইপলাইনে কাজ করা হচ্ছে। এরমধ্যেও বেসরকারী খাতের জন্য প্রায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি আমাদের এখানে কর্মসংস্থান এবং চাহিদা বাড়িয়ে তুলবে। আমি এটাও অনুভব করতে পারি যে অনেক বিনিয়োগকারী ভারতে তাদের প্রথম অফিস খোলার কথা ভাবছেন।

এই ধরনের সমস্ত বন্ধুদের স্বাগত এবং আমি পরামর্শ দেব যে গিফট সিটির আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্র থেকে অনেক সাহায্য পাবেন। কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিকভাবে তুলনামূলক নিয়ামক কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হবে। এটি আপনার কাজ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হতে পারে। আমরা ভারতে এধরনের অনেক প্লাগ এবং প্লের সুবিধা সরবরাহের জন্য আমরা দ্রুতগতিতে কাজ করছি।

বন্ধুরা,
এই সময় ভারতের উন্নয়ন যাত্রার নতুন অধ্যায় শুরু হবে। এখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে চলেছে, সে লক্ষ্য পূরণের ফলে বেসরকারী খাতের প্রতি ভরসা আরও বাড়বে। বিশ্বের বৃহত্তম তরুণ রাষ্ট্র শুধু সরকারের থেকেই এই প্রত্যাশা রাখে না, বেসরকারী ক্ষেত্রের থেকেও তাদের এই প্রত্যাশা রয়েছে। এই আকাঙ্ক্ষাগুলি ব্যবসার বিশাল সুযোগ নিয়ে এসেছে।

আসুন আমরা সকলেই এই সুযোগগুলি কাজে লাগাই। উন্নত বিশ্বের জন্য আত্মনির্ভর ভারতের গঠনে অবদান রাখুন। এবং এত বড় সংখ্যায় আপনারা আজ এই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন, সেজন্যে আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের গভীর অভিজ্ঞতা, দেশ এবং বিশ্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনাদের সেরা পরামর্শ, আমাদের দ্রুত গতিতে এইসব উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, বাজেটে যা হয়েছে, সরকার যে নীতি নির্ধারণ করেছে, যে বিষয়গুলি আজ আমি উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি সেগুলির দ্রুত গতিতে বাস্তবায়নের জন্য আমার একটি পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করতে আপনাদের সাহায্য দরকার। আমি নিশ্চিত যে আপনাদের সবার অভিজ্ঞতা, আপনাদের জ্ঞান, আপনাদের সামর্থ্য, ভারতের এই আশা আকাঙ্খা দুই মিলে এক নতুন বিশ্ব তৈরি করার শক্তি তৈরি করে। আমি আবারও আপনাদের পরামর্শের জন্য অপেক্ষায় রইলাম, আবারও সকলকে স্বাগত জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM Modi
December 06, 2025
India is brimming with confidence: PM
In a world of slowdown, mistrust and fragmentation, India brings growth, trust and acts as a bridge-builder: PM
Today, India is becoming the key growth engine of the global economy: PM
India's Nari Shakti is doing wonders, Our daughters are excelling in every field today: PM
Our pace is constant, Our direction is consistent, Our intent is always Nation First: PM
Every sector today is shedding the old colonial mindset and aiming for new achievements with pride: PM

आप सभी को नमस्कार।

यहां हिंदुस्तान टाइम्स समिट में देश-विदेश से अनेक गणमान्य अतिथि उपस्थित हैं। मैं आयोजकों और जितने साथियों ने अपने विचार रखें, आप सभी का अभिनंदन करता हूं। अभी शोभना जी ने दो बातें बताई, जिसको मैंने नोटिस किया, एक तो उन्होंने कहा कि मोदी जी पिछली बार आए थे, तो ये सुझाव दिया था। इस देश में मीडिया हाउस को काम बताने की हिम्मत कोई नहीं कर सकता। लेकिन मैंने की थी, और मेरे लिए खुशी की बात है कि शोभना जी और उनकी टीम ने बड़े चाव से इस काम को किया। और देश को, जब मैं अभी प्रदर्शनी देखके आया, मैं सबसे आग्रह करूंगा कि इसको जरूर देखिए। इन फोटोग्राफर साथियों ने इस, पल को ऐसे पकड़ा है कि पल को अमर बना दिया है। दूसरी बात उन्होंने कही और वो भी जरा मैं शब्दों को जैसे मैं समझ रहा हूं, उन्होंने कहा कि आप आगे भी, एक तो ये कह सकती थी, कि आप आगे भी देश की सेवा करते रहिए, लेकिन हिंदुस्तान टाइम्स ये कहे, आप आगे भी ऐसे ही सेवा करते रहिए, मैं इसके लिए भी विशेष रूप से आभार व्यक्त करता हूं।

साथियों,

इस बार समिट की थीम है- Transforming Tomorrow. मैं समझता हूं जिस हिंदुस्तान अखबार का 101 साल का इतिहास है, जिस अखबार पर महात्मा गांधी जी, मदन मोहन मालवीय जी, घनश्यामदास बिड़ला जी, ऐसे अनगिनत महापुरूषों का आशीर्वाद रहा, वो अखबार जब Transforming Tomorrow की चर्चा करता है, तो देश को ये भरोसा मिलता है कि भारत में हो रहा परिवर्तन केवल संभावनाओं की बात नहीं है, बल्कि ये बदलते हुए जीवन, बदलती हुई सोच और बदलती हुई दिशा की सच्ची गाथा है।

साथियों,

आज हमारे संविधान के मुख्य शिल्पी, डॉक्टर बाबा साहेब आंबेडकर जी का महापरिनिर्वाण दिवस भी है। मैं सभी भारतीयों की तरफ से उन्हें श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।

Friends,

आज हम उस मुकाम पर खड़े हैं, जब 21वीं सदी का एक चौथाई हिस्सा बीत चुका है। इन 25 सालों में दुनिया ने कई उतार-चढ़ाव देखे हैं। फाइनेंशियल क्राइसिस देखी हैं, ग्लोबल पेंडेमिक देखी हैं, टेक्नोलॉजी से जुड़े डिसरप्शन्स देखे हैं, हमने बिखरती हुई दुनिया भी देखी है, Wars भी देख रहे हैं। ये सारी स्थितियां किसी न किसी रूप में दुनिया को चैलेंज कर रही हैं। आज दुनिया अनिश्चितताओं से भरी हुई है। लेकिन अनिश्चितताओं से भरे इस दौर में हमारा भारत एक अलग ही लीग में दिख रहा है, भारत आत्मविश्वास से भरा हुआ है। जब दुनिया में slowdown की बात होती है, तब भारत growth की कहानी लिखता है। जब दुनिया में trust का crisis दिखता है, तब भारत trust का pillar बन रहा है। जब दुनिया fragmentation की तरफ जा रही है, तब भारत bridge-builder बन रहा है।

साथियों,

अभी कुछ दिन पहले भारत में Quarter-2 के जीडीपी फिगर्स आए हैं। Eight परसेंट से ज्यादा की ग्रोथ रेट हमारी प्रगति की नई गति का प्रतिबिंब है।

साथियों,

ये एक सिर्फ नंबर नहीं है, ये strong macro-economic signal है। ये संदेश है कि भारत आज ग्लोबल इकोनॉमी का ग्रोथ ड्राइवर बन रहा है। और हमारे ये आंकड़े तब हैं, जब ग्लोबल ग्रोथ 3 प्रतिशत के आसपास है। G-7 की इकोनमीज औसतन डेढ़ परसेंट के आसपास हैं, 1.5 परसेंट। इन परिस्थितियों में भारत high growth और low inflation का मॉडल बना हुआ है। एक समय था, जब हमारे देश में खास करके इकोनॉमिस्ट high Inflation को लेकर चिंता जताते थे। आज वही Inflation Low होने की बात करते हैं।

साथियों,

भारत की ये उपलब्धियां सामान्य बात नहीं है। ये सिर्फ आंकड़ों की बात नहीं है, ये एक फंडामेंटल चेंज है, जो बीते दशक में भारत लेकर आया है। ये फंडामेंटल चेंज रज़ीलियन्स का है, ये चेंज समस्याओं के समाधान की प्रवृत्ति का है, ये चेंज आशंकाओं के बादलों को हटाकर, आकांक्षाओं के विस्तार का है, और इसी वजह से आज का भारत खुद भी ट्रांसफॉर्म हो रहा है, और आने वाले कल को भी ट्रांसफॉर्म कर रहा है।

साथियों,

आज जब हम यहां transforming tomorrow की चर्चा कर रहे हैं, हमें ये भी समझना होगा कि ट्रांसफॉर्मेशन का जो विश्वास पैदा हुआ है, उसका आधार वर्तमान में हो रहे कार्यों की, आज हो रहे कार्यों की एक मजबूत नींव है। आज के Reform और आज की Performance, हमारे कल के Transformation का रास्ता बना रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण दूंगा कि हम किस सोच के साथ काम कर रहे हैं।

साथियों,

आप भी जानते हैं कि भारत के सामर्थ्य का एक बड़ा हिस्सा एक लंबे समय तक untapped रहा है। जब देश के इस untapped potential को ज्यादा से ज्यादा अवसर मिलेंगे, जब वो पूरी ऊर्जा के साथ, बिना किसी रुकावट के देश के विकास में भागीदार बनेंगे, तो देश का कायाकल्प होना तय है। आप सोचिए, हमारा पूर्वी भारत, हमारा नॉर्थ ईस्ट, हमारे गांव, हमारे टीयर टू और टीय़र थ्री सिटीज, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की इनोवेटिव यूथ पावर, भारत की सामुद्रिक शक्ति, ब्लू इकोनॉमी, भारत का स्पेस सेक्टर, कितना कुछ है, जिसके फुल पोटेंशियल का इस्तेमाल पहले के दशकों में हो ही नहीं पाया। अब आज भारत इन Untapped पोटेंशियल को Tap करने के विजन के साथ आगे बढ़ रहा है। आज पूर्वी भारत में आधुनिक इंफ्रास्ट्रक्चर, कनेक्टिविटी और इंडस्ट्री पर अभूतपूर्व निवेश हो रहा है। आज हमारे गांव, हमारे छोटे शहर भी आधुनिक सुविधाओं से लैस हो रहे हैं। हमारे छोटे शहर, Startups और MSMEs के नए केंद्र बन रहे हैं। हमारे गाँवों में किसान FPO बनाकर सीधे market से जुड़ें, और कुछ तो FPO’s ग्लोबल मार्केट से जुड़ रहे हैं।

साथियों,

भारत की नारीशक्ति तो आज कमाल कर रही हैं। हमारी बेटियां आज हर फील्ड में छा रही हैं। ये ट्रांसफॉर्मेशन अब सिर्फ महिला सशक्तिकरण तक सीमित नहीं है, ये समाज की सोच और सामर्थ्य, दोनों को transform कर रहा है।

साथियों,

जब नए अवसर बनते हैं, जब रुकावटें हटती हैं, तो आसमान में उड़ने के लिए नए पंख भी लग जाते हैं। इसका एक उदाहरण भारत का स्पेस सेक्टर भी है। पहले स्पेस सेक्टर सरकारी नियंत्रण में ही था। लेकिन हमने स्पेस सेक्टर में रिफॉर्म किया, उसे प्राइवेट सेक्टर के लिए Open किया, और इसके नतीजे आज देश देख रहा है। अभी 10-11 दिन पहले मैंने हैदराबाद में Skyroot के Infinity Campus का उद्घाटन किया है। Skyroot भारत की प्राइवेट स्पेस कंपनी है। ये कंपनी हर महीने एक रॉकेट बनाने की क्षमता पर काम कर रही है। ये कंपनी, flight-ready विक्रम-वन बना रही है। सरकार ने प्लेटफॉर्म दिया, और भारत का नौजवान उस पर नया भविष्य बना रहा है, और यही तो असली ट्रांसफॉर्मेशन है।

साथियों,

भारत में आए एक और बदलाव की चर्चा मैं यहां करना ज़रूरी समझता हूं। एक समय था, जब भारत में रिफॉर्म्स, रिएक्शनरी होते थे। यानि बड़े निर्णयों के पीछे या तो कोई राजनीतिक स्वार्थ होता था या फिर किसी क्राइसिस को मैनेज करना होता था। लेकिन आज नेशनल गोल्स को देखते हुए रिफॉर्म्स होते हैं, टारगेट तय है। आप देखिए, देश के हर सेक्टर में कुछ ना कुछ बेहतर हो रहा है, हमारी गति Constant है, हमारी Direction Consistent है, और हमारा intent, Nation First का है। 2025 का तो ये पूरा साल ऐसे ही रिफॉर्म्स का साल रहा है। सबसे बड़ा रिफॉर्म नेक्स्ट जेनरेशन जीएसटी का था। और इन रिफॉर्म्स का असर क्या हुआ, वो सारे देश ने देखा है। इसी साल डायरेक्ट टैक्स सिस्टम में भी बहुत बड़ा रिफॉर्म हुआ है। 12 लाख रुपए तक की इनकम पर ज़ीरो टैक्स, ये एक ऐसा कदम रहा, जिसके बारे में एक दशक पहले तक सोचना भी असंभव था।

साथियों,

Reform के इसी सिलसिले को आगे बढ़ाते हुए, अभी तीन-चार दिन पहले ही Small Company की डेफिनीशन में बदलाव किया गया है। इससे हजारों कंपनियाँ अब आसान नियमों, तेज़ प्रक्रियाओं और बेहतर सुविधाओं के दायरे में आ गई हैं। हमने करीब 200 प्रोडक्ट कैटगरीज़ को mandatory क्वालिटी कंट्रोल ऑर्डर से बाहर भी कर दिया गया है।

साथियों,

आज के भारत की ये यात्रा, सिर्फ विकास की नहीं है। ये सोच में बदलाव की भी यात्रा है, ये मनोवैज्ञानिक पुनर्जागरण, साइकोलॉजिकल रेनसां की भी यात्रा है। आप भी जानते हैं, कोई भी देश बिना आत्मविश्वास के आगे नहीं बढ़ सकता। दुर्भाग्य से लंबी गुलामी ने भारत के इसी आत्मविश्वास को हिला दिया था। और इसकी वजह थी, गुलामी की मानसिकता। गुलामी की ये मानसिकता, विकसित भारत के लक्ष्य की प्राप्ति में एक बहुत बड़ी रुकावट है। और इसलिए, आज का भारत गुलामी की मानसिकता से मुक्ति पाने के लिए काम कर रहा है।

साथियों,

अंग्रेज़ों को अच्छी तरह से पता था कि भारत पर लंबे समय तक राज करना है, तो उन्हें भारतीयों से उनके आत्मविश्वास को छीनना होगा, भारतीयों में हीन भावना का संचार करना होगा। और उस दौर में अंग्रेजों ने यही किया भी। इसलिए, भारतीय पारिवारिक संरचना को दकियानूसी बताया गया, भारतीय पोशाक को Unprofessional करार दिया गया, भारतीय त्योहार-संस्कृति को Irrational कहा गया, योग-आयुर्वेद को Unscientific बता दिया गया, भारतीय अविष्कारों का उपहास उड़ाया गया और ये बातें कई-कई दशकों तक लगातार दोहराई गई, पीढ़ी दर पीढ़ी ये चलता गया, वही पढ़ा, वही पढ़ाया गया। और ऐसे ही भारतीयों का आत्मविश्वास चकनाचूर हो गया।

साथियों,

गुलामी की इस मानसिकता का कितना व्यापक असर हुआ है, मैं इसके कुछ उदाहरण आपको देना चाहता हूं। आज भारत, दुनिया की सबसे तेज़ी से ग्रो करने वाली मेजर इकॉनॉमी है, कोई भारत को ग्लोबल ग्रोथ इंजन बताता है, कोई, Global powerhouse कहता है, एक से बढ़कर एक बातें आज हो रही हैं।

लेकिन साथियों,

आज भारत की जो तेज़ ग्रोथ हो रही है, क्या कहीं पर आपने पढ़ा? क्या कहीं पर आपने सुना? इसको कोई, हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कहता है क्या? दुनिया की तेज इकॉनमी, तेज ग्रोथ, कोई कहता है क्या? हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ कब कहा गया? जब भारत, दो-तीन परसेंट की ग्रोथ के लिए तरस गया था। आपको क्या लगता है, किसी देश की इकोनॉमिक ग्रोथ को उसमें रहने वाले लोगों की आस्था से जोड़ना, उनकी पहचान से जोड़ना, क्या ये अनायास ही हुआ होगा क्या? जी नहीं, ये गुलामी की मानसिकता का प्रतिबिंब था। एक पूरे समाज, एक पूरी परंपरा को, अन-प्रोडक्टिविटी का, गरीबी का पर्याय बना दिया गया। यानी ये सिद्ध करने का प्रयास किया गया कि, भारत की धीमी विकास दर का कारण, हमारी हिंदू सभ्यता और हिंदू संस्कृति है। और हद देखिए, आज जो तथाकथित बुद्धिजीवी हर चीज में, हर बात में सांप्रदायिकता खोजते रहते हैं, उनको हिंदू रेट ऑफ ग्रोथ में सांप्रदायिकता नज़र नहीं आई। ये टर्म, उनके दौर में किताबों का, रिसर्च पेपर्स का हिस्सा बना दिया गया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने भारत में मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम को कैसे तबाह कर दिया, और हम इसको कैसे रिवाइव कर रहे हैं, मैं इसके भी कुछ उदाहरण दूंगा। भारत गुलामी के कालखंड में भी अस्त्र-शस्त्र का एक बड़ा निर्माता था। हमारे यहां ऑर्डिनेंस फैक्ट्रीज़ का एक सशक्त नेटवर्क था। भारत से हथियार निर्यात होते थे। विश्व युद्धों में भी भारत में बने हथियारों का बोल-बाला था। लेकिन आज़ादी के बाद, हमारा डिफेंस मैन्युफेक्चरिंग इकोसिस्टम तबाह कर दिया गया। गुलामी की मानसिकता ऐसी हावी हुई कि सरकार में बैठे लोग भारत में बने हथियारों को कमजोर आंकने लगे, और इस मानसिकता ने भारत को दुनिया के सबसे बड़े डिफेंस importers के रूप में से एक बना दिया।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने शिप बिल्डिंग इंडस्ट्री के साथ भी यही किया। भारत सदियों तक शिप बिल्डिंग का एक बड़ा सेंटर था। यहां तक कि 5-6 दशक पहले तक, यानी 50-60 साल पहले, भारत का फोर्टी परसेंट ट्रेड, भारतीय जहाजों पर होता था। लेकिन गुलामी की मानसिकता ने विदेशी जहाज़ों को प्राथमिकता देनी शुरु की। नतीजा सबके सामने है, जो देश कभी समुद्री ताकत था, वो अपने Ninety five परसेंट व्यापार के लिए विदेशी जहाज़ों पर निर्भर हो गया है। और इस वजह से आज भारत हर साल करीब 75 बिलियन डॉलर, यानी लगभग 6 लाख करोड़ रुपए विदेशी शिपिंग कंपनियों को दे रहा है।

साथियों,

शिप बिल्डिंग हो, डिफेंस मैन्यूफैक्चरिंग हो, आज हर सेक्टर में गुलामी की मानसिकता को पीछे छोड़कर नए गौरव को हासिल करने का प्रयास किया जा रहा है।

साथियों,

गुलामी की मानसिकता ने एक बहुत बड़ा नुकसान, भारत में गवर्नेंस की अप्रोच को भी किया है। लंबे समय तक सरकारी सिस्टम का अपने नागरिकों पर अविश्वास रहा। आपको याद होगा, पहले अपने ही डॉक्यूमेंट्स को किसी सरकारी अधिकारी से अटेस्ट कराना पड़ता था। जब तक वो ठप्पा नहीं मारता है, सब झूठ माना जाता था। आपका परिश्रम किया हुआ सर्टिफिकेट। हमने ये अविश्वास का भाव तोड़ा और सेल्फ एटेस्टेशन को ही पर्याप्त माना। मेरे देश का नागरिक कहता है कि भई ये मैं कह रहा हूं, मैं उस पर भरोसा करता हूं।

साथियों,

हमारे देश में ऐसे-ऐसे प्रावधान चल रहे थे, जहां ज़रा-जरा सी गलतियों को भी गंभीर अपराध माना जाता था। हम जन-विश्वास कानून लेकर आए, और ऐसे सैकड़ों प्रावधानों को डी-क्रिमिनलाइज किया है।

साथियों,

पहले बैंक से हजार रुपए का भी लोन लेना होता था, तो बैंक गारंटी मांगता था, क्योंकि अविश्वास बहुत अधिक था। हमने मुद्रा योजना से अविश्वास के इस कुचक्र को तोड़ा। इसके तहत अभी तक 37 lakh crore, 37 लाख करोड़ रुपए की गारंटी फ्री लोन हम दे चुके हैं देशवासियों को। इस पैसे से, उन परिवारों के नौजवानों को भी आंत्रप्रन्योर बनने का विश्वास मिला है। आज रेहड़ी-पटरी वालों को भी, ठेले वाले को भी बिना गारंटी बैंक से पैसा दिया जा रहा है।

साथियों,

हमारे देश में हमेशा से ये माना गया कि सरकार को अगर कुछ दे दिया, तो फिर वहां तो वन वे ट्रैफिक है, एक बार दिया तो दिया, फिर वापस नहीं आता है, गया, गया, यही सबका अनुभव है। लेकिन जब सरकार और जनता के बीच विश्वास मजबूत होता है, तो काम कैसे होता है? अगर कल अच्छी करनी है ना, तो मन आज अच्छा करना पड़ता है। अगर मन अच्छा है तो कल भी अच्छा होता है। और इसलिए हम एक और अभियान लेकर आए, आपको सुनकर के ताज्जुब होगा और अभी अखबारों में उसकी, अखबारों वालों की नजर नहीं गई है उस पर, मुझे पता नहीं जाएगी की नहीं जाएगी, आज के बाद हो सकता है चली जाए।

आपको ये जानकर हैरानी होगी कि आज देश के बैंकों में, हमारे ही देश के नागरिकों का 78 thousand crore रुपया, 78 हजार करोड़ रुपए Unclaimed पड़ा है बैंको में, पता नहीं कौन है, किसका है, कहां है। इस पैसे को कोई पूछने वाला नहीं है। इसी तरह इन्श्योरेंश कंपनियों के पास करीब 14 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। म्यूचुअल फंड कंपनियों के पास करीब 3 हजार करोड़ रुपए पड़े हैं। 9 हजार करोड़ रुपए डिविडेंड का पड़ा है। और ये सब Unclaimed पड़ा हुआ है, कोई मालिक नहीं उसका। ये पैसा, गरीब और मध्यम वर्गीय परिवारों का है, और इसलिए, जिसके हैं वो तो भूल चुका है। हमारी सरकार अब उनको ढूंढ रही है देशभर में, अरे भई बताओ, तुम्हारा तो पैसा नहीं था, तुम्हारे मां बाप का तो नहीं था, कोई छोड़कर तो नहीं चला गया, हम जा रहे हैं। हमारी सरकार उसके हकदार तक पहुंचने में जुटी है। और इसके लिए सरकार ने स्पेशल कैंप लगाना शुरू किया है, लोगों को समझा रहे हैं, कि भई देखिए कोई है तो अता पता। आपके पैसे कहीं हैं क्या, गए हैं क्या? अब तक करीब 500 districts में हम ऐसे कैंप लगाकर हजारों करोड़ रुपए असली हकदारों को दे चुके हैं जी। पैसे पड़े थे, कोई पूछने वाला नहीं था, लेकिन ये मोदी है, ढूंढ रहा है, अरे यार तेरा है ले जा।

साथियों,

ये सिर्फ asset की वापसी का मामला नहीं है, ये विश्वास का मामला है। ये जनता के विश्वास को निरंतर हासिल करने की प्रतिबद्धता है और जनता का विश्वास, यही हमारी सबसे बड़ी पूंजी है। अगर गुलामी की मानसिकता होती तो सरकारी मानसी साहबी होता और ऐसे अभियान कभी नहीं चलते हैं।

साथियों,

हमें अपने देश को पूरी तरह से, हर क्षेत्र में गुलामी की मानसिकता से पूर्ण रूप से मुक्त करना है। अभी कुछ दिन पहले मैंने देश से एक अपील की है। मैं आने वाले 10 साल का एक टाइम-फ्रेम लेकर, देशवासियों को मेरे साथ, मेरी बातों को ये कुछ करने के लिए प्यार से आग्रह कर रहा हूं, हाथ जोड़कर विनती कर रहा हूं। 140 करोड़ देशवसियों की मदद के बिना ये मैं कर नहीं पाऊंगा, और इसलिए मैं देशवासियों से बार-बार हाथ जोड़कर कह रहा हूं, और 10 साल के इस टाइम फ्रैम में मैं क्या मांग रहा हूं? मैकाले की जिस नीति ने भारत में मानसिक गुलामी के बीज बोए थे, उसको 2035 में 200 साल पूरे हो रहे हैं, Two hundred year हो रहे हैं। यानी 10 साल बाकी हैं। और इसलिए, इन्हीं दस वर्षों में हम सभी को मिलकर के, अपने देश को गुलामी की मानसिकता से मुक्त करके रहना चाहिए।

साथियों,

मैं अक्सर कहता हूं, हम लीक पकड़कर चलने वाले लोग नहीं हैं। बेहतर कल के लिए, हमें अपनी लकीर बड़ी करनी ही होगी। हमें देश की भविष्य की आवश्यकताओं को समझते हुए, वर्तमान में उसके हल तलाशने होंगे। आजकल आप देखते हैं कि मैं मेक इन इंडिया और आत्मनिर्भर भारत अभियान पर लगातार चर्चा करता हूं। शोभना जी ने भी अपने भाषण में उसका उल्लेख किया। अगर ऐसे अभियान 4-5 दशक पहले शुरू हो गए होते, तो आज भारत की तस्वीर कुछ और होती। लेकिन तब जो सरकारें थीं उनकी प्राथमिकताएं कुछ और थीं। आपको वो सेमीकंडक्टर वाला किस्सा भी पता ही है, करीब 50-60 साल पहले, 5-6 दशक पहले एक कंपनी, भारत में सेमीकंडक्टर प्लांट लगाने के लिए आई थी, लेकिन यहां उसको तवज्जो नहीं दी गई, और देश सेमीकंडक्टर मैन्युफैक्चरिंग में इतना पिछड़ गया।

साथियों,

यही हाल एनर्जी सेक्टर की भी है। आज भारत हर साल करीब-करीब 125 लाख करोड़ रुपए के पेट्रोल-डीजल-गैस का इंपोर्ट करता है, 125 लाख करोड़ रुपया। हमारे देश में सूर्य भगवान की इतनी बड़ी कृपा है, लेकिन फिर भी 2014 तक भारत में सोलर एनर्जी जनरेशन कपैसिटी सिर्फ 3 गीगावॉट थी, 3 गीगावॉट थी। 2014 तक की मैं बात कर रहा हूं, जब तक की आपने मुझे यहां लाकर के बिठाया नहीं। 3 गीगावॉट, पिछले 10 वर्षों में अब ये बढ़कर 130 गीगावॉट के आसपास पहुंच चुकी है। और इसमें भी भारत ने twenty two गीगावॉट कैपेसिटी, सिर्फ और सिर्फ rooftop solar से ही जोड़ी है। 22 गीगावाट एनर्जी रूफटॉप सोलर से।

साथियों,

पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना ने, एनर्जी सिक्योरिटी के इस अभियान में देश के लोगों को सीधी भागीदारी करने का मौका दे दिया है। मैं काशी का सांसद हूं, प्रधानमंत्री के नाते जो काम है, लेकिन सांसद के नाते भी कुछ काम करने होते हैं। मैं जरा काशी के सांसद के नाते आपको कुछ बताना चाहता हूं। और आपके हिंदी अखबार की तो ताकत है, तो उसको तो जरूर काम आएगा। काशी में 26 हजार से ज्यादा घरों में पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना के सोलर प्लांट लगे हैं। इससे हर रोज, डेली तीन लाख यूनिट से अधिक बिजली पैदा हो रही है, और लोगों के करीब पांच करोड़ रुपए हर महीने बच रहे हैं। यानी साल भर के साठ करोड़ रुपये।

साथियों,

इतनी सोलर पावर बनने से, हर साल करीब नब्बे हज़ार, ninety thousand मीट्रिक टन कार्बन एमिशन कम हो रहा है। इतने कार्बन एमिशन को खपाने के लिए, हमें चालीस लाख से ज्यादा पेड़ लगाने पड़ते। और मैं फिर कहूंगा, ये जो मैंने आंकडे दिए हैं ना, ये सिर्फ काशी के हैं, बनारस के हैं, मैं देश की बात नहीं बता रहा हूं आपको। आप कल्पना कर सकते हैं कि, पीएम सूर्य घर मुफ्त बिजली योजना, ये देश को कितना बड़ा फायदा हो रहा है। आज की एक योजना, भविष्य को Transform करने की कितनी ताकत रखती है, ये उसका Example है।

वैसे साथियों,

अभी आपने मोबाइल मैन्यूफैक्चरिंग के भी आंकड़े देखे होंगे। 2014 से पहले तक हम अपनी ज़रूरत के 75 परसेंट मोबाइल फोन इंपोर्ट करते थे, 75 परसेंट। और अब, भारत का मोबाइल फोन इंपोर्ट लगभग ज़ीरो हो गया है। अब हम बहुत बड़े मोबाइल फोन एक्सपोर्टर बन रहे हैं। 2014 के बाद हमने एक reform किया, देश ने Perform किया और उसके Transformative नतीजे आज दुनिया देख रही है।

साथियों,

Transforming tomorrow की ये यात्रा, ऐसी ही अनेक योजनाओं, अनेक नीतियों, अनेक निर्णयों, जनआकांक्षाओं और जनभागीदारी की यात्रा है। ये निरंतरता की यात्रा है। ये सिर्फ एक समिट की चर्चा तक सीमित नहीं है, भारत के लिए तो ये राष्ट्रीय संकल्प है। इस संकल्प में सबका साथ जरूरी है, सबका प्रयास जरूरी है। सामूहिक प्रयास हमें परिवर्तन की इस ऊंचाई को छूने के लिए अवसर देंगे ही देंगे।

साथियों,

एक बार फिर, मैं शोभना जी का, हिन्दुस्तान टाइम्स का बहुत आभारी हूं, कि आपने मुझे अवसर दिया आपके बीच आने का और जो बातें कभी-कभी बताई उसको आपने किया और मैं तो मानता हूं शायद देश के फोटोग्राफरों के लिए एक नई ताकत बनेगा ये। इसी प्रकार से अनेक नए कार्यक्रम भी आप आगे के लिए सोच सकते हैं। मेरी मदद लगे तो जरूर मुझे बताना, आईडिया देने का मैं कोई रॉयल्टी नहीं लेता हूं। मुफ्त का कारोबार है और मारवाड़ी परिवार है, तो मौका छोड़ेगा ही नहीं। बहुत-बहुत धन्यवाद आप सबका, नमस्कार।