প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৫ নভেম্বর অযোধ্যায় শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির দর্শন করবেন। দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রেক্ষাপটে এই মন্দির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টা নাগাদ সপ্ত মন্দির দর্শন করবেন। এখানে মহর্ষি বশিষ্ট, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত, মহর্ষি বাল্মিকি, দেবী অহল্যা, নিষাদরাজ গুহ এবং মাতা শবরী পূজিত হন। এর পর, তিনি শেষাবতার মন্দিরে যাবেন।
বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী মাতা অন্নপূর্ণা মন্দির দর্শন করবেন। এর পর তিনি রামদরবার গর্ভগৃহে আরাধনা করে রামলালা গর্ভগৃহও দর্শন করবেন।
বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রাম জন্মভূমি মন্দিরের শিখরে গেরুয়া ধ্বজা উত্তোলন করবেন। এর মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার মুহূর্ত সূচিত হবে। এই মন্দির দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে এবং জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করে রাখতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণও দেবেন।
মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষে পবিত্র পঞ্চমী তিথিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঘটনাক্রমে এই দিনেই শ্রী রাম ও মা সীতা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিবাহ পঞ্চমীর অভিজিৎ মুহূর্তে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই সময়টিকে পবিত্র বন্ধনের মুহূর্ত বলে বিবেচনা করা হয়। এই দিনটি নবম শিখ গুরু তেগ বাহাদুরজি-র আত্মবলিদান দিবস। সপ্তদশ শতাব্দীতে তিনি অযোধ্যায় ৪৮ ঘণ্টা ধ্যান করেছিলেন। ফলে, এই দিনের বিশেষ আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য রয়েছে।
সমকৌনিক ত্রিভূজাকৃতি পতকাটির উচ্চতা ১০ ফুট। এটি ১২ ফুট চওড়া। এই পতাকার মধ্যে দীপ্যমান সূর্য্য ভগবান শ্রী রাম-এর প্রজ্ঞা ও শৌর্য্যের প্রতীক। পতাকার মধ্যে ওঁ লেখা আছে। এছাড়াও এখানে কবিদারা বৃক্ষের একটি ছবি রয়েছে। পবিত্র এই গেরুয়া পতাকাটি মর্যাদা ও ঐক্যের প্রতীক, যা রাম রাজ্যের আদর্শ অনুসরণ করে।
এই পতাকাটি উত্তর ভারতের নাগারা স্থাপত্য অনুসরণ করে শিখরের উপরিভাগে অবস্থান করবে। মন্দিরের স্থাপত্যে দক্ষিণ ভারতীয় রীতিনীতির ছোঁয়াও রয়েছে। মূল শিখর সংলগ্ন অঞ্চলে একটি বেষ্টনী নির্মিত হয়েছে, যা দাক্ষিণাত্যের স্থাপত্য অনুসরণ করে।
মন্দির চত্ত্বরে বাল্মিকী রামায়ণ বর্ণিত ভগবান শ্রী রামের জীবন গাঁথা তুলে ধরা হয়েছে। মূল মন্দিরের বাইরের প্রাচীরে ভগবান শ্রী রামের জীবনের নানা ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রী রামের জীবন দর্শন এবং ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ছবি দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।


