প্রধানমন্ত্রী হিন্দুস্তান উর্বরক অ্যান্ড রসায়ন লিমিটেড (এইচইউআরএল) সিন্দ্রি সার কারখানাটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
ঝাড়খন্ডে ১৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি বিভিন্ন রেল প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী দেওঘর – ডিব্রুগড় ট্রেন পরিষেবা, টাটানগর ও বাদাম পাহাড়ের মধ্যে দৈনিক মেম্যু ট্রেন পরিষেবা এবং শিবপুর স্টেশন থেকে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেছেন
প্রধানমন্ত্রী চাতরার নর্থ করমপুরা সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রোজেক্টে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিটটি এবং ঝাড়খন্ডের বেশ কয়েকটি কয়লা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
“সিন্দ্রির কারখানাটি ছিল মোদীর গ্যারান্টি এবং আজ সেই গ্যারান্টি বাস্তবায়িত হ’ল”
“পাঁচটি কারখানার পুনরুজ্জীবন করা হচ্ছে এবং এই কারখানাগুলি থেকে ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনের মধ্য দিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলা হবে”
“সরকার আদিবাসী সমাজ, দরিদ্র জনসাধারণ, যুবসম্প্রদায় ও মহিলাদের উন্নয়নে গত ১০ বছর ধরে অগ্রাধিকার দেওয়ার মধ্য দিয়ে ঝাড়খন্ডের জন্য কাজ করে চলেছে”
“বিকশিত ভারতের স
আর এখান থেকে উৎপাদন শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের নতুন পথ উন্মুক্ত হ’ল। তিনি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ক্ষেত্রে আজকের দিনটির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়খন্ডের ধানবাদে ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে – সার, রেল, বিদ্যুৎ এবং কয়লা। শ্রী মোদী এইচইউআরএল মডেল পরিদর্শন করেন এবং সিন্দ্রি কারখানার পরিচালন কক্ষটি ঘুরে দেখেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, আজ ঝাড়খন্ডে ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হ’ল। এর জন্য তিনি রাজ্যের কৃষক, আদিবাসী জনসাধারণ সহ নাগরিকদের অভিনন্দন জানান। 

প্রধানমন্ত্রী সিন্দ্রি সার কারখানা সম্পর্কে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন। “সিন্দ্রির কারখানাটি ছিল মোদীর গ্যারান্টি এবং আজ সেই গ্যারান্টি বাস্তবায়িত হ’ল”। ২০১৮ সালে এই কারখানার শিলান্যাস করেন তিনি। আর এখান থেকে উৎপাদন শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের নতুন পথ উন্মুক্ত হ’ল। তিনি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ক্ষেত্রে আজকের দিনটির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী হিন্দুস্তান উর্বরক অ্যান্ড রসায়ন লিমিটেড (এইচইউআরএল) সিন্দ্রি সার কারখানাটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। ২০১৮ সালে এই কারখানার শিলান্যাস করেন তিনি। এই কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার যুবসম্প্রদায়ের উপার্জনের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হ’ল। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের জন্য আজকের এই উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতি বছর ভারতের ৩৬০ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। ২০১৪ সালে এদেশে মাত্র ২২৫ লক্ষ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হ’ত। অর্থাৎ, চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যথেষ্ট ফারাক ছিল। “আমাদের সরকারের উদ্যোগে গত ১০ বছরে দেশে ইউরিয়া উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ লক্ষ মেট্রিক টন। রামাগুন্ডাম, গোরক্ষপুর এবং বারাউনির সার কারখনার পুনরুজ্জীবনের পাশাপাশি, এই তালিকায় সিন্দ্রি যুক্ত হ’ল। শ্রী মোদী বলেন তালচের সার কারখানাটিও আগামী দেড় বছরের মধ্যে উৎপাদন শুরু করবে। সেই কারখানাটি তিনি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, এই ৫টি কারখানা থেকে ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদনের মধ্য দিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলা যাবে।  

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ঝাড়খন্ডে রেল বিপ্লবের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হ’ল। নতুন রেলপথ এবং বিভিন্ন রেলপথের দ্বিতীয় লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের সূচনা ছাড়াও বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেওঘর – ডিব্রুগড় রেল পরিষেবার মধ্য দিয়ে বাবা বৈদ্যনাথ মন্দির এবং মা কামাক্ষ্যা শক্তিপীঠের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হ’ল। ধানবাদ – চন্দ্রপুরা রেললাইন এই অঞ্চলকে নতুন পরিচিতি দেবে। বারাণসীতে তিনি বারাণসী – কলকাতা – রাঁচি এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আগামী দিনে এই সড়ক প্রকল্পটি চাতরা, হাজারিবাগ, রামগড় এবং বোকারোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। ঝাড়খন্ডের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কম সময়ে যাতায়াত করা যাবে। পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহণে গতি আসবে। ফলস্বরূপ, এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। 

শ্রী মোদী বলেন, “সরকার আদিবাসী সমাজ, দরিদ্র জনসাধারণ, যুবসম্প্রদায় ও মহিলাদের উন্নয়নে গত ১০ বছর ধরে অগ্রাধিকার দেওয়ার মধ্য দিয়ে ঝাড়খন্ডের জন্য কাজ করে চলেছে”। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির মধ্যে ভারত অন্যতম। গতকালই অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের বিষয়ে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৩ - এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সময়কালে উন্নয়নের হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। এর মাধ্যমে ভারতের দ্রুত উন্নয়ন প্রতিফলিত। এর ফলে, বিকশিত ভারতের জন্য আরও এক ধাপ এগোনো গেল। “বিকশিত ভারত গড়ে তুলতে হলে বিকশিত ঝাড়খন্ড গড়ে তোলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ”। তাই, তাঁর সরকার এই রাজ্যকে সবদিক থেকে সহায়তা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে ভগবান বীরসা মুন্ডার অঞ্চল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে। 

 

প্রধানমন্ত্রী ধানবাদে রওনা হওয়ার আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, বিভিন্ন স্বপ্ন পূরণের জন্য অঙ্গীকারগুলি আরও শক্তিশালী হবে। তিনি রাজ্যের জনসাধারণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল শ্রী সি পি রাধাকৃষ্ণাণ, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী চম্পাই সোরেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রেক্ষাপট:
ঝাড়খন্ডের সিন্দ্রিতে এক অনুষ্ঠানে সার, রেল, বিদ্যুৎ এবং কয়লার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়খন্ডে ১৭,৬০০ কোটি টাকার বেশি বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পাশাপাশি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, দেওঘর-ডিব্রুগড় ট্রেন পরিষেবা, টাটানগর ও বাদামপাহাড়ের মধ্যে দৈনিক মেমু ট্রেন পরিষেবা এবং শিবপুর স্টেশন থেকে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রেন চালু। সিন্দ্রিতে ৮,৯০০ কোটি টাকার বেশি একটি সার ও রসায়ন কারখানা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  ঝাড়খন্ডের ছাতরায় উত্তর করণপুরা সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম প্রথম ইউনিটটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন তিনি।   
 

প্রেক্ষাপট:
ঝাড়খন্ডের সিন্দ্রিতে এক অনুষ্ঠানে সার, রেল, বিদ্যুৎ এবং কয়লার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়খন্ডে ১৭,৬০০ কোটি টাকার বেশি বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পাশাপাশি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, দেওঘর-ডিব্রুগড় ট্রেন পরিষেবা, টাটানগর ও বাদামপাহাড়ের মধ্যে দৈনিক মেমু ট্রেন পরিষেবা এবং শিবপুর স্টেশন থেকে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রেন চালু। সিন্দ্রিতে ৮,৯০০ কোটি টাকার বেশি একটি সার ও রসায়ন কারখানা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  ঝাড়খন্ডের ছাতরায় উত্তর করণপুরা সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম প্রথম ইউনিটটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন তিনি।   
 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan

Media Coverage

Portraits of PVC recipients replace British officers at Rashtrapati Bhavan
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister welcomes passage of SHANTI Bill by Parliament
December 18, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has welcomed the passage of the SHANTI Bill by both Houses of Parliament, describing it as a transformational moment for India’s technology landscape.

Expressing gratitude to Members of Parliament for supporting the Bill, the Prime Minister said that it will safely power Artificial Intelligence, enable green manufacturing and deliver a decisive boost to a clean-energy future for the country and the world.

Shri Modi noted that the SHANTI Bill will also open numerous opportunities for the private sector and the youth, adding that this is the ideal time to invest, innovate and build in India.

The Prime Minister wrote on X;

“The passing of the SHANTI Bill by both Houses of Parliament marks a transformational moment for our technology landscape. My gratitude to MPs who have supported its passage. From safely powering AI to enabling green manufacturing, it delivers a decisive boost to a clean-energy future for the country and the world. It also opens numerous opportunities for the private sector and our youth. This is the ideal time to invest, innovate and build in India!”