শেয়ার
 
Comments
মহামারী রাজনীতির বিষয় হওয়া উচিত নয়, এটি সমগ্র মানব জাতির কাছে উদ্বেগের বিষয় : প্রধানমন্ত্রী
আগে থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে টিকাকরণের বিষয়ে জেলাস্তরে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের উপর প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন
বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মহামারীর সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের জন্য তাঁর প্রশংসা করেছেন

ভারতে কোভিড পরিস্থিতির বিষয়ে সংসদের উভয় কক্ষের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠক করেছেন। এই মহামারীকে প্রতিহত করতে জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তিনি সে বিষয়েও বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য সকল নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বৈঠকে বিভিন্ন বাস্তবোচিত তথ্য এবং পরামর্শ দিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের থেকে পাওয়া তথ্যের সাহায্যে নীতি প্রণয়ণে সুবিধে হবে।
শ্রী মোদী বলেন, মহামারী রাজনীতির বিষয় হতে পারে না, এটি সারা মানবজাতির কাছে উদ্বেগের বিষয়। গত ১০০ বছরে মানবজাতি এধরণের মহামারী দেখেনি।
দেশের প্রতিটি জেলায় যাতে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট থাকে তার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। ভারতে টিকাকরণ অভিযান কিভাবে গতি পাচ্ছে সে প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকাকরণ অভিযানে প্রথম ১০ কোটি মানুষ ৮৫ দিনে টিকা পেয়েছেন কিন্তু এখন ১০ কোটি মানুষ ২৪ দিনের মধ্যে টিকা পেয়েছেন। তিনি বলেন, দিনের শেষে গড়পরতা দেড় কোটি টিকা মজুত থাকছে।
শ্রী মোদী জেলাস্তরে টিকাকরণ অভিযানের বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ যাতে কোনো অসুবিধের শিকার না হন সেটি নিশ্চিত করতে কেন্দ্র আগেভাগে কত টিকা রয়েছে সে বিষয়ে জানাতে পরামর্শ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকাকরণ অভিযান শুরুর ৬ মাস পরেও অনেক স্বাস্থ্য কর্মী ও সামনের সারির কর্মী টিকা পাননি – যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। রাজ্যগুলিকে এর জন্য আরও সক্রিয় হতে হবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শ্রী মোদী সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, এই অসুখের ক্ষেত্রে ভাইরাসের অভিযোজনের কারণে রোগটি সম্পর্কে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না, তাই আমাদের সকলকে একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী, বৈঠকে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের প্রযুক্তি ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা – কো-উইন এবং আরোগ্য সেতুর বিষয়ে জানান।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া মহামারীর সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরলসভাবে নজরদারি চালানোর বিষয়টি প্রশংসা করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান। বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা তাঁদের নিজের অভিজ্ঞতার কথা বৈঠকে জানান। বিভিন্ন রাজ্যে মহামারীর ফলে উদ্ভুত পরিস্থতি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন এবং নিজ নিজ রাজ্যে টিকাকরণের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব দেন। তাঁদের কাছে মহামারীর বিষয়ে যেভাবে তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সকলে তার প্রশংসা করেন। এই তথ্য সমৃদ্ধ উপস্থাপনাটি যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেছেন।
স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ মহামারী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মাত্র ৮টি রাজ্যে ১০ হাজার সংক্রমিত হয়েছেন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও কেরালায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। মাত্র ৫টি রাজ্যে সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের উপরে।
মহামারীর এই সময়কালে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোট ২০টি বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে ২৯টি বৈঠকে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজ্যগুলির মুখ্য সচিবদের ৩৪ বার পরিস্থিতির সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। এছাড়াও ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড-১৯ –এর উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৬৬টি কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে।
এই মহামারীর সময়কালে ভারতে ওষুধের যোগান বাড়ানো হয়েছে। মার্চ মাসে রেমডেসিভির দেশের ২২টি জায়গায় উৎপাদিত হতো। সিডিএসসিও উৎপাদন কেন্দ্র বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ায় জুন মাসে ৬২টি কেন্দ্রে এই ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। এর ফলে আগে রেমডেসিভির প্রতি মাসে ৩৪ লক্ষ ভায়াল উৎপাদিত হতো, বর্তমানে প্রতি মাসে ১ কোটি ২২ লক্ষ ভায়াল উৎপন্ন হচ্ছে। এছাড়াও লিপোজোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে ৪৫ হাজার ৫০টি অ্যাম্ফোটেরিসিন বরাদ্দ করা হতো, বর্তমানে এই পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লক্ষ ৮১ হাজার করা হয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কমপক্ষে ৮ দিনের ওষুধ তারা যাতে মজুত করে রাখে, এর ফলে ভবিষ্যতে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে ওষুধগুলিকে মজুত রাখতে পরামর্শ দিয়েছে সেগুলি হলো – এনোক্সাপেরিন, মিথাইল প্রেডনিসোলোন, ডেক্সা মেথাজোন, রেমডেসিভির, টোসিলিজুমাব (কোভিড-১৯ –এর চিকিৎসার জন্য), অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ডি অক্সিকোলেট, পুজাকোনাজোল (কোভিডের কারণে মিউকরমাইকোসিসের জন্য), ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন (শিশুদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য এই ওষুধ সংগ্রহ করবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সকলকে ভারতের কোভিড-১৯ টিকাকরণের কৌশল সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এই কৌশলের মূল উদ্দেশ্য হলো :
সকল প্রাপ্ত বয়স্ক ভারতীয়কে নিরাপদে যত দ্রুত সম্ভব বিনামূল্যে টিকা দেওয়া
স্বাস্থ্য কর্মী ও সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের সুরক্ষিত করার বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে
৪৫ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে থাকা জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের সুরক্ষিত করতে হবে, দেশে কোভিডের কারণে মৃত্যুর ৮০ শতাংশই এই জনগোষ্ঠীর মানুষ।
বিজ্ঞান সম্মত ও মহামারীর বিভিন্ন লক্ষণ বিবেচনা করে টিকাকরণের প্রতিটি পর্যায়ে নতুন নতুন গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাঁদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে ভারতে কোভিড-১৯ টিকার উৎপাদন এবং টিকার সহজলোভ্যতার দিকটি বিবেচনা করা হচ্ছে।
এপর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩৩ কোটি ৮০ লক্ষ), ব্রাজিল (১২ কোটি ৪০ লক্ষ), জার্মানি (৮ কোটি ৬০ লক্ষ), ব্রিটেনের (৮ কোটি ৩ ০লক্ষ) তুলনায় ভারতে অনেক বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা ৪১ কোটি ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। শহরাঞ্চলে মোট টিকার ৪২ শতাংশ অর্থাৎ ১২ কোটি ৩০ লক্ষ এবং গ্রামাঞ্চলে ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ কোটি ১১ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে। পয়লা মে থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোট টিকার ৫৩ শতাংশ বা ২১ কোটি ৭৫ লক্ষ টিকা পুরুষরা এবং ৪৭ শতাংশ বা ১৮ কোটি ৯৪ লক্ষ মহিলা টিকা নিয়েছেন। তৃতীয় লিঙ্গের ৭২,৮৩৪ জন টিকা পেয়েছেন।
কোভিড-১৯ –এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমিতদের সনাক্ত করা, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, টিকাকরণ এবং কোভিড সংক্রান্ত যথাযথ আচরণবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

Explore More
৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ
World TB Day: How India plans to achieve its target of eliminating TB by 2025

Media Coverage

World TB Day: How India plans to achieve its target of eliminating TB by 2025
...

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India is now working on the target of ending TB by the year 2025: PM Modi
March 24, 2023
শেয়ার
 
Comments
Launches TB-Mukt Panchayat initiative, official pan-India rollout of a shorter TB Preventive Treatment and Family-centric care model for TB
India reaffirms its commitment towards ensuring a TB-free society
India has the best plan, ambition and great implementation of activities to end TB by 2025: Executive Director of Stop TB
“Kashi will usher new energy towards global resolutions in the fight against a disease like TB”
“India is fulfilling another resolution of global good through One World TB Summit”
“India’s efforts are a new model for the global war on TB”
“People’s participation in the fight against TB is India’s big contribution”
“India is now working on the target of ending TB by the year 2025”
“I would like that more and more countries get the benefit of all campaigns, innovations and modern technology of India”

हर हर महादेव।

उत्तर प्रदेश की राज्यपाल आनंदीबेन पटेल, मुख्यमंत्री श्रीमान योगी आदित्यनाथ जी, केंद्रीय स्वास्थ्य मंत्री श्रीमनसुख मांडविया जी, उपमुख्‍यमंत्री श्री बृजेश पाठक जी, विभिन्न देशों के स्वास्थ्य मंत्री, WHO के रीजनल डायरेक्टर, उपस्थित सभी महानुभव, STOP TB Partnership समेत विभिन्न संस्थाओं के प्रतिनिधिगण, देवियों और सज्जनों!

मेरे लिए ये बहुत खुशी की बात है कि ‘One World TB Summit’ काशी में हो रही है। सौभाग्य से, मैं काशी का सांसद भी हूं। काशी नगरी, वो शाश्वत धारा है, जो हजारों वर्षों से मानवता के प्रयासों और परिश्रम की साक्षी रही है। काशी इस बात की गवाही देती है कि चुनौती चाहे कितनी ही बड़ी क्यों ना हो, जब सबका प्रयास होता है, तो नया रास्ता भी निकलता है। मुझे विश्वास है, TB जैसी बीमारी के खिलाफ हमारे वैश्विक संकल्प को काशी एक नई ऊर्जा देगी।

मैं, ‘One World TB Summit’ में देश-विदेश से काशी आए सभी अतिथियों का भी हृदय से स्वागत करता हूं, उनका अभिनंदन करता हूं।

साथियों,

एक देश के तौर पर भारत की विचारधारा का प्रतिबिंब ‘वसुधैव कुटुंबकम्’, यानी- ‘Whole world is one family! की भावना में झलकता है। ये प्राचीन विचार, आज आधुनिक विश्व को integrated vision दे रहा है, integrated solutions दे रहा है। इसलिए ही प्रेसिडेंट के तौर पर, भारत ने G-20 समिट की भी थीम रखी है- ‘One world, One Family, One Future’! ये थीम एक परिवार के रूप में पूरे विश्व के साझा भविष्य का संकल्प है। अभी कुछ समय पहले ही भारत ने ‘One earth, One health’ के vision को भी आगे बढ़ाने की पहल की है। और अब, ‘One World TB Summit’ के जरिए भारत, Global Good के एक और संकल्प को पूरा कर रहा है।

साथियों,

2014 के बाद से भारत ने जिस नई सोच और अप्रोच के साथ TB के खिलाफ काम करना शुरू किया, वो वाकई अभूतपूर्व है। भारत के ये प्रयास आज पूरे विश्व को इसलिए भी जानने चाहिए, क्योंकि ये TB के खिलाफ वैश्विक लड़ाई का एक नया मॉडल है। बीते 9 वर्षों में भारत ने TB के खिलाफ इस लड़ाई में अनेक मोर्चों पर एक-साथ काम किया है। जैसे, People’s participation-जनभागीदारी, Enhancing nutrition- पोषण के लिए विशेष अभियान Treatment innovation- इलाज के लिए नई रणनीति, Tech integration- तकनीक का भरपूर इस्तेमाल, और Wellness and prevention, अच्छी हेल्थ को बढ़ावा देने वाले फिट इंडिया, खेलो इंडिया, योग जैसे अभियान।

साथियों,

TB के खिलाफ लड़ाई में भारत ने जो बहुत बड़ा काम किया है, वो है- People’s Participation, जनभागीदारी। भारत ने कैसे एक Unique अभियान चलाया, ये जानना विदेश से आए हमारे अतिथियों के लिए बहुत दिलचस्प होगा।

Friends,

हमने ‘TB मुक्त भारत’ के अभियान से जुड़ने के लिए देश के लोगों से ‘नि-क्षयमित्र’ बनने का आह्वान किया था। भारत में TB के लिए स्‍थानीय भाषा में क्षय शब्‍द प्रचलित है। इस अभियान के बाद, करीब-करीब 10 लाख TB मरीजों को, देश के सामान्य नागरिकों ने Adopt किया है, गोद लिया है। आपको जानकर हैरानी होगी, हमारे देश में 10-12 साल के बच्चे भी ‘नि-क्षयमित्र’ बनकर TB के खिलाफ लड़ाई को आगे बढ़ा रहे हैं। ऐसे कितने ही बच्चे हैं, जिन्होंने अपना ‘पिगीबैंक’ तोड़कर TB मरीजों को adopt किया है। TB के मरीजों के लिए इन ‘नि-क्षयमित्रों’ का आर्थिक सहयोग एक हजार करोड़ रुपए से ऊपर पहुँच गया है। TB के खिलाफ दुनिया में इतना बड़ा कम्यूनिटी initiative चलना, अपने आप में बहुत प्रेरक है। मुझे खुशी है कि विदेशों में रहने वाले प्रवासी भारतीय भी बड़ी संख्या में इस प्रयास का हिस्सा बने हैं। और मैं आपका भी आभारी हूं। आपने अभी आज वाराणसी के पांच लोगों के लिए घोषणा कर दी।

साथियों,

‘नि-क्षयमित्र’ इस अभियान ने एक बड़े चैलेंज से निपटने में TB के मरीजों की बहुत मदद की है। ये चैलैंज है- TB के मरीजों का पोषण, उनका Nutrition. इसे देखते हुए ही 2018 में हमने TB मरीजों के लिए Direct Benefit Transfer की घोषणा की थी। तब से अब तक TB पेशेंट्स के लिए, करीब 2 हजार करोड़ रुपए, सीधे उनके बैंक खातों में भेजे गए हैं। करीब 75 लाख मरीजों को इसका लाभ हुआ है। अब ‘नि-क्षयमित्रों’ से मिली शक्ति, TB के मरीजों को नई ऊर्जा दे रही है।

 

साथियों,

पुरानी अप्रोच के साथ चलते हुए नए नतीजे पाना मुश्किल होता है। कोई भी TB मरीज इलाज से छूटे नहीं, इसके लिए हमने नई रणनीति पर काम किया। TB के मरीजों की स्क्रीनिंग के लिए, उनके ट्रीटमेंट के लिए, हमने आयुष्मान भारत योजना से जोड़ा है। TB की मुफ्त जांच के लिए, हमने देश भर में लैब्स की संख्या बढ़ाई है। ऐसे स्थान जहां TB के मरीज ज्यादा है, वहां पर हम विशेष फोकस के रूप में कार्ययोजना बनाते हैं। आज इसी कड़ी में और यह बहुत बड़ा काम है ‘TB मुक्त पंचायत’ इस ‘TB मुक्त पंचायत’ में हर गांव के चुने हुए जनप्रतिनिधि मिलकर संकल्‍प करेंगे कि अब हमारे गांव में एक भी TB का मरीज नहीं रहेगा। उनको हम स्वस्थ करके रहेंगे। हम TB की रोकथाम के लिए 6 महीने के कोर्स की जगह केवल 3 महीने का treatment भी शुरू कर रहे हैं। पहले मरीजों को 6 महीने तक हर दिन दवाई लेनी होती थी। अब नई व्यवस्था में मरीज को हफ्ते में केवल एक बार दवा लेनी होगी। यानि मरीज की सहूलियत भी बढ़ेगी और उसे दवाओं में भी आसानी होगी।

साथियों,

TB मुक्त होने के लिए भारत टेक्नोल़ॉजी का भी ज्यादा से ज्यादा इस्तेमाल कर रहा है। हर TB मरीज के लिए जरूरी केयर को ट्रैक करने के लिए हमने नि-क्षयपोर्टल बनाया है। हम इसके लिए डेटा साइन्स का भी बेहद आधुनिक तरीकों से इस्तेमाल कर रहे हैं। हेल्थ मिनिस्ट्री और ICMR ने मिलकर sub-national disease surveillance के लिए एक नया method भी डिज़ाइन किया है। ग्लोबल लेवल पर WHO के अलावा, भारत इस तरह का model बनाने वाला इकलौता देश है।

साथियों,

ऐसे ही प्रयासों की वजह से आज भारत में TB के मरीजों की संख्या कम हो रही है। यहां कर्नाटक और जम्मू-कश्मीर को TB फ्री अवार्ड से सम्मानित किया गया है। जिला स्तर पर भी बेहतरीन कार्य के लिए अवार्ड दिए गए हैं। मैं इस सफलता को प्राप्त करने वाले सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, शुभकामनाएं देता हूं। ऐसे ही नतीजों से प्रेरणा लेते हुए भारत ने एक बड़ा संकल्प लिया है। TB खत्म करने का ग्लोबल टार्गेट 2030 है। भारत अब वर्ष 2025 तक TB खत्म करने के लक्ष्य पर काम कर रहा है। दुनिया से पांच साल पहले और इतना बड़ा देश बहुत बड़ा संकल्‍प लिया है। और संकल्‍प लिया है देशवासियों के भरोसे। भारत में हमने कोविड के दौरान हेल्थ इनफ्रास्ट्रक्चर का capacity enhancement किया है। हम Trace, Test, Track, Treat and Technology पर काम कर रहे हैं। ये स्ट्रेटजी TB के खिलाफ हमारी लड़ाई में भी काफी मदद कर रही है। भारत की इस लोकल अप्रोच में, बड़ा ग्लोबल potential मौजूद है, जिसका हमें साथ मिलकर इस्तेमाल करना है। आज TB के इलाज के लिए 80 प्रतिशत दवाएं भारत में बनती हैं। भारत की फ़ार्मा कंपनियों का ये सामर्थ्य, TB के खिलाफ वैश्विक अभियान की बहुत बड़ी ताकत है। मैं चाहूँगा भारत के ऐसे सभी अभियानों का, सभी इनोवेशन्स का, आधुनिक टेक्नॉलजी का, इन सारे प्रयासों का लाभ ज्यादा से ज्यादा देशों को मिले, क्‍योंकि हम Global Good के लिए कमिटेड हैं। इस समिट में शामिल हम सभी देश इसके लिए एक mechanism develop कर सकते हैं। मुझे विश्वास है, हमारा ये संकल्प जरूर सिद्ध होगा- Yes, We can End TB. ‘TB हारेगा, भारत जीतेगा’ और जैसा आपने कहा– ‘TB हारेगा, दुनिया जीतेगी’।

साथियों,

आपसे बात करते हुए मुझे एक बरसों पुराना वाकया भी याद आ रहा है। मैं आप सभी के साथ इसे शेयर करना चाहता हूं। आप सब जानते हैं कि राष्ट्रपिता महात्मा गांधी ने, leprosy को समाप्त करने के लिए बहुत काम किया था। और जब वो साबरमती आश्रम में रहते थे, एक बार उन्हें अहमदाबाद के एक leprosy हॉस्पिटल का उद्घाटन करने के लिए बुलाया गया। गांधी जी ने तब लोगों से कहा कि मैं उद्घाटन के लिए नहीं आऊंगा। गांधी जी की अपनी एक विशेषता थी। बोले मैं उद्घाटन के लिए नहीं आऊंगा। बोले, मुझे तो खुशी तब होगी जब आप उस leprosy हॉस्पिटल पर ताला लगाने के लिए मुझे बुलाएंगे, तब मुझे आनंद होगा। यानि वो leprosy को समाप्त करके उस अस्पताल को ही बंद करना चाहते थे। गांधी जी के निधन के बाद भी वो अस्पताल दशकों तक ऐसे ही चलता रहा। साल 2001 में जब गुजरात के लोगों ने मुझे सेवा का अवसर दिया, तो मेरे मन में था गांधी जी का एक काम रह गया है ताला लगाने का, चलिए मैं कुछ कोशिश करूं। तो leprosy के खिलाफ अभियान को नई गति दी गई। और नतीजा क्या हुआ? गुजरात में leprosy का रेट, 23 परसेंट से घटकर 1 परसेंट से भी कम हो गया। साल 2007 में मेरे मुख्यमंत्री रहते वो leprosy हॉस्पिटल को ताला लगा, हॉस्पिटल बंद हुआ, गांधी जी का सपना पूरा किया। इसमें बहुत से सामाजिक संगठनों ने, जनभागीदारी ने बड़ी भूमिका निभाई। और इसलिए ही मैं TB के खिलाफ भारत की सफलता को लेकर बहुत आश्वस्त हूं।

आज का नया भारत, अपने लक्ष्यों को प्राप्त करने के लिए जाना जाता है। भारत ने Open Defecation Free होने का संकल्प लिया और उसे प्राप्त करके दिखाया। भारत ने सोलर पावर जनरेशन कैपैसिटी का लक्ष्य भी समय से पहले हासिल करके दिखा दिया। भारत ने पेट्रोल में तय परसेंट की इथेनॉल ब्लेंडिंग का लक्ष्य भी तय समय से पहले प्राप्त करके दिखाया है। जनभागीदारी की ये ताकत, पूरी दुनिया का विश्वास बढ़ा रही है। TB के खिलाफ भी भारत की लड़ाई जिस सफलता से आगे बढ़ रही है, उसके पीछे भी जनभागीदारी की ही ताकत है। हां, मेरा आपसे एक आग्रह भी है। TB के मरीजों में अक्सर जागरूकता की कमी दिखती है, कुछ न कुछ पुरानी सामाजिक सोच के कारण उनमें ये बीमारी छिपाने की कोशिश दिखती है। इसलिए हमें इन मरीजों को ज्यादा से ज्यादा जागरूक करने पर भी उतना ही ध्यान देना होगा।

साथियों,

बीते वर्षों में काशी में स्वास्थ्य सेवाओं के तेजी से विस्तार से भी TB समेत विभिन्न बीमारियों के मरीजों को बहुत मदद मिली है। आज यहां National Centre for Disease Control की वाराणसी ब्रांच का भी शिलान्यास हुआ है। पब्लिक हेल्थ सर्विलांस यूनिट का काम भी शुरू हुआ है। आज BHU में Child Care Institute हो, ब्लडबैंक का मॉर्डनाइजेशन हो, आधुनिक ट्रामा सेंटर का निर्माण हो, सुपर स्पेशिलिटी ब्लाक हो, बनारस के लोगों के बहुत काम आ रहा हैं। पंडित मदन मोहन मालवीय कैंसर सेंटर में अब तक 70 हजार से अधिक मरीजों का इलाज किया गया है। इन लोगों को इलाज के लिए लखनऊ, दिल्ली या मुंबई जाने की जरूरत नहीं पड़ी है। इसी तरह बनारस में कबीरचौरा हॉस्पिटल हो, जिला चिकित्सालय हो, डायलिसिस, सिटी स्कैन जैसी अनेक सुविधाओं को बढ़ाया गया है। काशी क्षेत्र के गांवों में भी आधुनिक स्वास्थ्य सुविधाएं विकसित की जा रही हैं। स्वास्थ्य केंद्रों पर ऑक्सीजन प्लांट लगाए जा रहे हैं, ऑक्सीजन युक्त बेड उपलब्ध कराए गए हैं। जिले में हेल्थ एंड वैलनेस सेंटर्स को भी अनेक सुविधाओं से युक्त किया गया है। आयुष्मान भारत योजना के तहत बनारस के डेढ़ लाख से अधिक लोगों ने अस्पताल में भर्ती होकर अपना मुफ्त इलाज कराया है। करीब-करीब 70 जगहों पर जन औषधि केंद्रों से मरीजों को सस्ती दवाइयां भी मिल रही हैं। इन सभी प्रयासों का लाभ पूर्वांचल के लोगों को, बिहार से आने वाले लोगों को भी मिल रहा है।

साथियों,

भारत अपना अनुभव, अपनी विशेषज्ञता, अपनी इच्छा शक्ति के साथ TB मुक्ति के अभियान में जुटा हुआ है। भारत हर देश के साथ कंधे से कंधा मिलाकर काम करने के लिए भी निरंतर तत्पर है। TB के खिलाफ हमारा अभियान, सबके प्रयास से ही सफल होगा। मुझे विश्वास है, हमारे आज के प्रयास हमारे सुरक्षित भविष्य की बुनियाद मजबूत करेंगे, हम अपनी आने वाली पीढ़ियों को एक बेहतर दुनिया दे पाएंगे। मैं आपका भी बहुत आभारी हूं। आपने भारत की इतनी बड़ी सराहना की। मुझे निमंत्रण दिया। मैं आपका हृदय से आभार व्‍यक्‍त करता हूं। इसी एक शुभ शुरूआत और ‘World TB Day’ के‍ दिन मेरी आप सबको इसकी सफलता और एक दृढ़ संकल्‍प के साथ आगे बढ़ने के लिए अनेक-अनेक शुभकामनाएं देता हूं। बहुत बहुत धन्यवाद!