It is only partnerships that will get us to our goals: PM Modi
The health of mothers will determine the health of the children and the health of children will determine the health of our tomorrow: PM Modi
The India story is one of hope: PM Narendra Modi at Partners' Forum
We are committed to increasing India’s health spending to 2.5 percent of GDP by 2025: Prime Minister

মঞ্চে উপস্থিত সম্মানীয় অতিথিবৃন্দ,

ভারত ও বিদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ,

ভদ্র মহোদয়া ও মহোদয়গণ,

নমস্কার,

২০১৮-র পার্টনার্স ফোরামে সারা বিশ্ব থেকে আগত প্রতিনিধিদের সাদর আমন্ত্রণ জানাই।

অংশীদারিত্বই একমাত্র আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। নাগরিকদের মধ্যে অংশীদারিত্ব, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং নানা দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব। এর প্রতিফলনই হচ্ছে ধারাবাহিক উন্নয়ন।

বিভিন্ন দেশ এককভাবে তাঁদের প্রচেষ্টা চালানোর সময় পেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে তাঁরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার কাজে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মায়েদের স্বাস্থ্যের ওপর শিশুদের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। শিশুর স্বাস্থ্য স্থির করবে আমাদের ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য।

আমরা এখানে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য সমবেত হয়েছি। আমাদের আজকের আলোচনার ফলাফল ভবিষ্যতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।

এই পার্টনার্স ফোরামের লক্ষ্য ভারতের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্‌’ – এর সঙ্গে এক সূত্রে গাঁথা। এই বিশ্ব একটি পরিবার। এর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আমার সরকারের দর্শন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’। যার অর্থ সর্বজনীন উন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রয়াস ও অংশীদারিত্ব।

মা নবজাতক ও শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে অংশীদারিত্ব নিয়ে এটি একটি কার্যকর মঞ্চ। আমরা কেবলমাত্র উন্নত স্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আলোচনা করছি না। আমরা দ্রুত উন্নয়নের জন্যও মতবিনিময় করছি।

বিশ্বে দ্রুত উন্নয়নের জন্য সর্বদা নতুন নতুন পন্থা-পদ্ধতির খোঁজ চলছে। মহিলাদের সুস্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করা এই লক্ষ্য পূরণের অন্যতম প্রধান পন্থা হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছরে আমরা বিপুল পরিমাণ সাফল্য অর্জন করেছি। তবে, এখনও আমাদের অনেক কিছু করা বাকি। বড় বাজেট তৈরি থেকে শুরু করে উন্নত ফলাফল এবং সর্বোপরি মানসিক চিন্তাভাবনা পরিবর্তন থেকে শুরু করে এই প্রেক্ষিতে নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতি, সব ক্ষেত্রেই আমাদের অনেক কিছু করতে হবে।

ভারতের কাহিনী অন্যতম আশার আলো। আশার বিষয় হ’ল এই যে, যে কোনও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা যায়। ব্যবহারিক পরিবর্তন সুনিশ্চিত করার আশা। আশা এই যে, দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

গত কয়েক বছরে ভারতে মহিলা ও শিশু মৃত্যুর হার দ্রুত হারে কমেছে। নবজাতক, শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে এসডিজি-র ধার্য করা লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য ভারত সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে।

কিশোরদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে ভারত যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। মহিলা, শিশু ও কিশোররা যাতে তাঁদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ২০১৫ সালে গৃহীত মহিলা, শিশু ও কিশোর বিষয়ক আন্তর্জাতিক কৌশল অনুযায়ী কাজ চলছে।

বন্ধুগুণ,

আমাদের ইতিহাস বলে, যেখানে মহিলাদের সম্মান করা হয়, সেখানেই ঈশ্বর বসবাস করেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, কোনও দেশের মহিলা ও শিশু যখন শিক্ষিত হন, স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, তাঁদের সঠিকভাবে ক্ষমতায়ন করা যায় এবং যথাযথভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, সেই দেশই তখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলে।

আমি আনন্দিত যে, আমার পছন্দের ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচির সাফল্যের কাহিনী হিসাবে এই মঞ্চে তুলে ধরা হবে। মিশন ইন্দ্রধনুষের আওতায় আমরা গত তিন বছরে ৩২ লক্ষ ৮ হাজার শিশু ও ৮০ লক্ষ ৪০ হাজার গর্ভবতী মহিলার টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। আমাদের এই টিকা বর্তমানে নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়ার মতো মারণ রোগের প্রতিষেধক হিসাবেও ব্যবহৃত হয়।

বন্ধুগণ,

২০১৪ সালে আমার সরকার যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করে, তখন আমরা প্রতি বছর শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ৪৪ হাজার মা’কে হারাতাম। গর্ভাবস্থায় মায়েদের যথাসম্ভব সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষিত মাতৃত্ব অভিযান চালু করি। আমরা চিকিৎসকদের প্রতি মাসে একদিন এই অভিযানে অংশ নিয়ে চিকিৎসার আহ্বান জানাই। এই প্রচারাভিযানের অঙ্গ হিসাবে ১ কোটি ৬০ লক্ষ গর্ভবতী মহিলাকে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

দেশে ২ কোটি ৫০ লক্ষ নবজাতক রয়েছে। নবজাতকদের উন্নত পরিষেবা প্রদানের জন্য ৭৯৪টি ওত্যাধুনিক নবজাতক পরিষেবা কেন্দ্র ১০ লক্ষেরও বেশি নবজাতক শিশুকে বিশেষ চিকিৎসা ও পরিষেবার সুবিধা দিতে পেরেছে। আমাদের এই প্রয়াসের ফলে, গত চার বছরের তুলনায় বর্তমানে প্রতিদিন ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৮৪০ জনকে অতিরিক্ত জীবনদান করা সম্ভব হচ্ছে।

পোষণ অভিযানের মাধ্যমে শিশুর পুষ্টির বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, ভারতকে অপুষ্টির সমস্যা মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। শিশুদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমরা চালু করেছি জাতীয় শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচি। এর মাধ্যমে গত চার বছরে ২ কোটিরও বেশি শিশুর বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো হয়েছে।

যে বিষয়টি আমাদের অনবরত ভাবিয়ে তোলে, সেটি হ’ল স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ব্যয়বহুল ব্যবস্থা। এই সমস্যা সমাধানে আমরা চালু করেছি আয়ুষ্মান ভারত যোজনা। এর দুটি ভাগ রয়েছে।

প্রথমটিতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সাহায্যে যোগাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ওপর দিশা-নির্দেশ দেখানো হচ্ছে। ‘ফিট ইন্ডিয়া’ এবং ‘ইট রাইট’ অর্থাৎ সুস্থ ভারত এবং সঠিক খাবার গ্রহণ করুন – এই দুটি কর্মসূচি সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে আমাদের গৃহীত বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে অন্যতম। মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সাধারণ সমস্যা মোকাবিলায় বিনামূল্যে পরিষেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া, তিনটি সাধারণ ক্যান্সার মোকাবিলাতেও সরকারের তরফে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা তাঁদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষার সুবিধা পাবেন। আমরা ২০২২ সালের মধ্যে এ ধরণের ১ কোটি ৫০ লক্ষ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি।

আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অন্য একটি ভাগ হ’ল – প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা। এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রত্যেক পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন। দরিদ্র শ্রেণীর ৫০ কোটি জনগণকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই জনসংখ্যা প্রায় কানাডা, মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার সমতুল। আমরা এই প্রকল্প চালুর ১০ সপ্তাহের মধ্যেই ৫ লক্ষ পরিবারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছি, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।

বিশ্বের সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে আমরা কাজ করে যাব বলে আমি আবারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

১০ লক্ষ সামাজিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মী বা আশা কর্মী এবং ২ লক্ষ ৩২ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আমাদের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। মহিলাদের একটি শক্তিশালী বাহিনী স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তাঁরা আমাদের এই কর্মসূচির অন্যতম স্তম্ভ।

ভারত একটি বিশাল দেশ। কয়েকটি রাজ্য ও জেলা উন্নত দেশগুলির মতো ভূমিকা পালন করছে। কয়েকটি রাজ্য বা জেলা হয়তো পিছিয়েও রয়েছে। আমি আমার আধিকারিকদের এমন ১১৭টি সম্ভাবনাময় জেলা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছি। এই প্রতিটি জেলায় শিক্ষা, জল, স্বচ্ছতা, গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির মানোন্নয়নে একটি দল কাজ করবে।

অন্যান্য বিভাগেও মহিলা-কেন্দ্রিক প্রকল্প চালুর জন্য আমরা কাজ করছি। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতের মহিলাদের অর্ধেকই রান্নার জন্য স্বচ্ছ জ্বালানি পেতেন না। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে আমরা এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করেছি। ৫৮ কোটি মহিলা বর্তমানে স্বচ্ছ জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না করেন।

২০১৯ সালের মধ্যে ভারত’কে খোলা জায়গায় শৌচ মুক্ত করতে আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য চালু করা হয়েছে স্বচ্ছ ভারত মিশন। গত চার বছরে গ্রামীণ এলাকায় স্বচ্ছতার হার ৩৯ শতাংশ থেকে বেরে দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশে।

আমরা সকলেই জানি যে, আপনি যদি একজন পুরুষ মানুষকে শিক্ষা দেন, তা হলে একজন ব্যক্তিকেই শুধু শিক্ষিত করা হয়। কিন্তু, একজন মহিলাকে শিক্ষিত করে তুলতে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব হয়। আমরা এই বিষয়টিকে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করেছি। এর আওতায় বালিকাদের শিক্ষাদানের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা বালিকাদের জন্য একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পও চালু করেছি, যার নাম ‘সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা’। এই প্রকল্পের আওতায় বালিকাদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে।

আমরা প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনাও চালু করেছি। এর ফলে, ৫০ কোটি গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মহিলা উপকৃত হবেন। এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাককাউন্টে সরাসরি নগর হস্তান্তরের ব্যবস্থা রয়েছে।

আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটির পরিমাণ ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করেছি। আমরা ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জিডিপি-র হার ২০২৫ সালের মধ্যে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ চালিয়ে যাব। মহিলা, শিশু ও তরুণদের কথা ভেবেই প্রতিটি নীতি, কর্মসূচি ও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বন্ধুগণ,

আগামী দু’দিনে এই মঞ্চে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সারা বিশ্বের সাফল্যের ১২টি কাহিনী নিয়ে আলোচনা হবে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে আলোচনার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে, আমরা একে অপরের থেকে শিখতে পারব। ভারত দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে এবং স্বল্প মূল্যে ওষুধ ও টিকার ব্যবস্থা করে দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ফলাফল জানতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব। এই মঞ্চ সঠিক সময়ে আমাদের যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালনে সাহায্য করবে।

আমরা সকলের জন্য সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত সর্বদাই তাঁর সহযোগী দেশগুলির পাশে সহমর্মিতার সঙ্গে দাঁড়ায়।

সমগ্র মানবজাতির সহায়তায় ভারত সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। চলুন, এই বিশেষ লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা একযোগে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।

সকলকে ধন্যবাদ।

 

 

 

 

 

 

 

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Silicon Sprint: Why Google, Microsoft, Intel And Cognizant Are Betting Big On India

Media Coverage

Silicon Sprint: Why Google, Microsoft, Intel And Cognizant Are Betting Big On India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi speaks with PM Netanyahu of Israel
December 10, 2025
The two leaders discuss ways to strengthen India-Israel Strategic Partnership.
Both leaders reiterate their zero-tolerance approach towards terrorism.
PM Modi reaffirms India’s support for efforts towards a just and durable peace in the region.

Prime Minister Shri Narendra Modi received a telephone call from the Prime Minister of Israel, H.E. Mr. Benjamin Netanyahu today.

Both leaders expressed satisfaction at the continued momentum in India-Israel Strategic Partnership and reaffirmed their commitment to further strengthening these ties for mutual benefit.

The two leaders strongly condemned terrorism and reiterated their zero-tolerance approach towards terrorism in all its forms and manifestations.

They also exchanged views on the situation in West Asia. PM Modi reaffirmed India’s support for efforts towards a just and durable peace in the region, including early implementation of the Gaza Peace Plan.

The two leaders agreed to remain in touch.