এই পুরস্কারটি ভারত পাচ্ছে সেই সাফল্যর জন্য যা গত পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৩০ কোটি ভারতীয়র শক্তি ও দক্ষতার ক্ষমতার জোরে অর্জিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
ভারতের উন্নয়নের কাহিনী কেবল ভারতের মানুষের জন্যই নয় বরং সারা পৃথিবীর জন্যই: প্রধানমন্ত্রী মোদী
এখন সকলে যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তাদের একত্রিতভাবে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার সময় এসেছে: প্রধানমন্ত্রী মোদী

সিওল শান্তি পুরস্কার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শ্রী কুয়োন ই-হিয়ক

 

জাতীয় বিধানসভার অধ্যক্ষ্য শ্রী মুন হি-সাং

 

সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী ডো জং-হোয়ান

 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন মহাসচিব শ্রী বান কি-মুন

 

সিওল শান্তি পুরস্কার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সদস্যগণ,

 

বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ,

 

ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহোদয়াগণ

 

বন্ধুগণ,

 

নমস্কার!

আনয়োঙ্গ

হা-সেয়ো

য়োরা-বুন্ন

 

সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।

সিওল শান্তি পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আমার বিশ্বাস এই পুরস্কারটি আমার ব্যক্তিগত নয়, বরং ভারতের জনসাধারণের প্রাপ্য। এই পুরস্কারটি ভারত পাচ্ছে সেই সাফল্যর জন্য যা গত ৫ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৩০ কোটি ভারতীয়র শক্তি ও দক্ষতার ক্ষমতার জোরে অর্জিত হয়েছে। আর তাই, তাদের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই পুরস্কারটি গ্রহণ করছি এবং আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই পুরস্কার সেই ভাবনারই স্বীকৃতি যা বসুদেব কুটুম্বকম, যার মানে সমগ্র বিশ্ব একটি পরিবার এই বার্তাটি বহন করে। এই পুরস্কার সেই সংস্কৃতিকে প্রদান করা হয়েছে যা যুদ্ধক্ষেত্রেও শান্তির বার্তা বহন করে, যেমন মহাভারতে ভগবান কৃষ্ণ যুদ্ধের সময়েও ভগবৎ গীতার শিক্ষা দিয়েছেন। এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে সেই ভূমিকে যেখানে আমাদের শেখানো হয়-

 

দ্যৌঃ শান্তিরন্তরিক্ষং শান্তি, পৃথ্বী শান্তিরাপঃ শান্তিরোষধয়ঃ শান্তিঃ। বনস্পতয়ঃ শান্তির্বিশ্বে দেবাঃ শান্তিব্রহ্ম শান্তি, সর্বেঁ শান্তিঃ, শান্তিরেব শান্তি, সা মা শান্তিরেধি।।

ওঁম শান্তিঃ, শান্তিঃ, শান্তিঃ ।।

যার মানে :

 

আকাশের মহাকাশের সর্বস্ব যেন শান্তি বিরাজ করে,

 

আমাদের গ্রহের, প্রকৃতির সর্বস্হানে

 

যেন চিরশান্তি বিরাজ করে।

এবং, এই পুরস্কারটি সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হয় যাঁরা সবসময় সমাজের কল্যাণের বিষয়টিকে নিজস্ব আশা-আকাঙ্খার থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আমি আরও সম্মানিত বোধ করছি এই কারণে যে এই পুরস্কার এই বছর আমাকে প্রদান করা হচ্ছে যখন আমরা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করছি। আমি ২০০ হাজার ডলার বা ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা অর্থের এই পুরস্কার নমামি গঙ্গে তহবিলে দান করতে চাই। এটি আমাদের এমন একটি নদীকে পরিস্কার করার প্রয়াস, যেটিকে ভারতের প্রতিটি মানুষ পবিত্র হিসেবে দেখে, তাছাড়া এটি ভারতের লক্ষ লক্ষ নর-নারীর অর্থনৈতিক জীবনরেখাও বটে।

বন্ধুগণ,

 

সিওল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৮তে সিওলে আয়োজিত ২৪তম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের সাফল্য ও উদ্দীপনার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভারত সেই ক্রীড়াকে খুব ভালোভাবে মনে রেখেছে। কারণ সেটি সমাপ্ত হয় মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে। সেই ক্রীড়ার আয়োজন কোরিয়ার সংস্কৃতির সেরা দিকগুলি তথা কোরিয়ার উষ্ম আতিথিয়তা, এবং কোরিয়ার অর্থনীতির সাফল্যকে তুলে ধরেছিল। এবং, ভোলা যাবে না, সেই বছরের অলিম্পিক সারা বিশ্বের ক্রীড়া ক্ষেত্রে একটি নতুন ক্রীড়াশক্তির বিকাশকে তুলে ধরেছিল। তাছাড়া সেই বছরের গেমস বিশ্ব ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশকও ছিল। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিক্স এমন একটি সময় অনুষ্ঠিত হয়, যখন সারা পৃথিবীতে বহু পরিবর্তন হচ্ছিল। ইরান-ইরাক যুদ্ধ সবে শেষ হয়েছে। আফগানিস্হানের পরিস্হিতি সংক্রান্ত জেনেভা চুক্তি সেবছরই গোড়ার দিকে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ঠান্ডা যুদ্ধ তখন শেষের দিকে ছিল, এবং অনেক আশা ছিল যে একটি নতুন স্বর্ণ যুগের ভোরের সূচনা হবে এবং তা হয়েও ছিল। ১৯৮৮ সালের তুলনায় আজ বহু বিষয়েই সারা বিশ্ব অনেক ভালো আছে। সারা বিশ্বের দারিদ্র্য সমান তালে হ্রাস পাচ্ছে। স্বাস্হ্য পরিষেবা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তবুও, বহু বড় সমস্যা সারা বিশ্বে রয়ে গেছে। তার মধ্যে কিছু পুরনো, কিছু নতুন। সিওল অলিম্পিকের কয়েক মাস আগে, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রথম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। আজকে, এই বিষয়টিকে মানবজাতির সর্ববৃহৎ ভীতি প্রদর্শন হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। সিওল অলিম্পিকের কয়েক সপ্তাহ আগে, আল-কায়দা নামে একটি সংগঠন স্হাপন করা হয়। আজকে, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিশ্বজনীন রূপ ধারণ করেছে এবং বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে এবং সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও যথেষ্ট পরিমানে এবং সঠিক মানের খাদ্য, গৃহ, স্বাস্হ্য পরিষেবা, স্বাস্হ্যবিধি, বিদ্যুৎ এবং সর্বোপরি সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্পষ্টত, এখনও বহু কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে। এই যে কষ্টগুলির সম্মুখীন আমরা হই, তার সমাধানসূত্র রয়েছে পরিশ্রমে। এবং ভারত তার কাজ করে চলেছে। আমরা ভারতের জনসাধারণ- অর্থাৎমানবজাতির এক-ষষ্ঠাংশ জনসংখ্যার ভালো থাকার মানোন্নয়ন ঘটাতে কাজ করছি। ভারত আজকে সারা পৃথিবীর মধ্যে একটি দ্রুত উন্নয়নশীল বৃহৎ অর্থনীতি হয়েছে, যার অর্থনৈতিক ভিতগুলি দৃঢ় রয়েছে। আমাদের চালু করা বড় মাপের অর্থনৈতিক পরিবর্তনগুলির জন্য এটি সম্ভব হয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্কিল ইন্ডিয়া’, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘ক্লিন ইন্ডিয়া’-র মতো ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগগুলি লক্ষ্যণীয় আর্থ-সামাজিক বিকাশসাধনে অবদান রেখেছে। আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকণ, ঋণ পাওয়ার সুযোগ, ডিজিটাল লেনদেন, শেষ মাইল পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্হা, এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে সহায়তার ওপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি, যাতে সারা দেশের বিকাশ ছড়িয়ে পড়ে এবং ভারতের জনসাধারণকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান ভারতকে পরিচ্ছন্ন করছে ; ২০১৪ সালে ৩৮ শতাংশের মতো মানুষকে নিয়ে একটি স্বাস্হ্যবিধি কর্মসূচি থেকে শুরু করে সংখ্যাটি এখন ৯৮ শতাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ! উজ্জ্বলা যোজনা পরিশ্রুত রান্নার জ্বালানী ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের জীবনকে উন্নত করেছে ; আয়ুষ্মান ভারত ৫০ কোটি দরিদ্র্য ও নিপীড়িত মানুষকে স্বাস্হ্য পরিষেবা ও বিমার সুযোগ দিচ্ছে ; এবং, নানা উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা সার্বিক বিকাশ ঘটিয়ে চলেছে এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্হায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যগুলি পূরণের দিকে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সব প্রয়াসে, আমাদের চালনা করে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা যাতে বলা হয়েছে আমাদের দেখা দরিদ্র্যতম এবং দুর্বলতম মানুষের মুখটি স্মরণ করতে এবং নিজেকে প্রশ্ন করতে যে, যে পদক্ষেপটি গ্রহণের পরিকল্পনা করছি সেটা সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করবে কি না।

বন্ধুগণ,

 

ভারতের উন্নয়নের কাহিনী কেবল ভারতের মানুষের জন্যই নয় বরং সারা পৃথিবীর জন্যই ইতিবাচক ব্যাপারে আমরা বাস করছি যে পৃথিবীতে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্হা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে, আমাদের বিকাশ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতভাবে বিশ্বের বিকাশ ও উন্নতিতে অবদান রাখবে। আমরা একটি শান্তি ও স্হায়িত্বপূর্ণ এবং অর্থনৈতিকভাবে সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একজন দায়িত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধের সামনের সারিতে রয়েছে। কম মাত্রায় কার্বন নিঃসরণের ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও, ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বজনীন যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশের মধ্যে এই কর্মসূচি পালন করতে কার্বন নিঃসরণ কমানো, বনাঞ্চলের প্রসার এবং পরম্পরাগত কার্বন নিঃসরণ করে যে জ্বালানীগুলি সেগুলির পরিবর্তে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির যোগান সামগ্রী ব্যবহারের জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনার সূচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে, আমরা একইরকম ভাবনাচিন্তা করে যে দেশগুলি তাদের সঙ্গে অংশিদারিত্ব করে আন্তর্জাতিক সৌর মৈত্রীর সূচনা করেছি, যার লক্ষ্য পরিশ্রুত ও অবাধ সৌরশক্তিকে জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো। আমরা রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা কার্যকলাপের জন্য সর্বাধিক সেনা পাঠানো দেশগুলির মধ্যে পড়ি। এবং, কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে শান্তি বজায়ের কাজে অবদান রাখতে পেরে আমরা গর্বিত। সাহায্যের প্রয়োজন থাকা দেশগুলিকে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি এবং মানবিক কাজ ও দুর্যোগে ত্রাণকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। সংঘর্ষপ্রবণ এলাকাগুলিতে আমরা অভিযান চালিয়েছি এবং শুধু ভারতীয়দেরকেই নয় বহু অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরকেও উদ্ধার করেছি। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলির উন্নয়নের কাজে একটি সক্রিয় ও বোঝদার অংশীদার হিসেবে কাজ করেছি, যেখানে আমরা দেশগুলির কাঠামোগত ও সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নতিসাধনের মূল নীতি গ্রহণ করেছি। এই প্রয়াসগুলির মাধ্যমে, আমরা চাই নিশ্চিত করতে যাতে বিশ্বায়ন ও সংযুক্ত পৃথিবীর সুযোগ-সুবিধাগুলি সকলে সমানভাবে উপভোগ করতে পারে। গত কয়েক বছরে আমার সরকার বিভিন্ন মহাদেশে নতুন ভাবে আদান-প্রদান ও নতুন নতুন অংশীদারিত্ব স্হাপন করেছে। পূর্ব এশিয়ার ক্ষেত্রে, আমাদের পূবের জন্য কাজ কর নীতির আওতায় কোরিয়া সাধারণতন্ত্র সহ এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে আমাদের আদান-প্রদানকে নতুন সংজ্ঞা দিয়েছি। রাষ্ট্রপতি মুন-এর নতুন দক্ষিণী নীতিতে আমাদের এই ভাবনাচিন্তার প্রতিধ্বনি শুনতে পেয়ে আমি আনন্দবোধ করছি।

 

বন্ধুগণ,

 

ভারত বহুযুগ ধরে শান্তিময় স্হান। ভারতের মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে শান্তি ও সঙ্গতিপূর্ণ সহাবস্হানের রীতি অভ্যাস করে চলেছে। শয়ে শয়ে ভাষা ও উপভাষা বহু রাজ্য ও ধর্ম নিয়ে ভারত বিশ্বের মধ্যে একটি সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গর্ববোধ করে। আমরা গর্বিত যে আমাদের দেশে প্রত্যেক ধর্ম, বিশ্বাস ও সম্প্রদায়ের মানুষজন সমৃদ্ধ হতে পারে। আমরা গর্বিত যে আমাদের সমাজ কেবল সহনশীলতাভিত্তিক নয়, বিভিন্নতা ও বৈচিত্র্য উদযাপন করে।

 

 

 

 

বন্ধুগণ,

 

কোরিয়ার মতো, ভারতও সীমান্ত পারের শত্রুতার কষ্ট ভোগ করেছে। শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের প্রতি আমাদের প্রয়াস বহুবার সীমান্তপারের সন্ত্রাসের দ্বারা বিঘ্নিত হয়েছে। যদিও ভারত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে, প্রত্যেকটি দেশ আজ এই গুরুতর বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে যাতে কোনও সীমান্তকেই মানা হচ্ছে না। এখন সকলে যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তাদের একত্রিতভাবে হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে এবং তাদের অর্থযোগান, সরবরাহের চ্যানেলগুলি সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে ও সন্ত্রাসবাদী মতবাদ ও প্রচার রোধ করার সময় এসেছে। কেবল এটি করেই আমরা ঘৃণাকে ঐক্যে ও ধ্বংসকে উন্নয়নে পরিণত এবং হিংসা ও প্রতিশোধের ছবিকে শান্তির পোস্টকার্ডে রূপান্তরিত করতে পারি।

 

বন্ধুগণ,

 

গত বছরে কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে যে শান্তির প্রতি প্রগতি হয়েছে, তা খুবই আনন্দদায়ক। পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং ডিপিআরকে ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সন্ধিগ্ধতার ইতিহাস কাটিয়ে উঠতে এবং তাদেরকে আলোচনার টেবিলে একসঙ্গে বসাতে রাষ্ট্রপতি মুন যে ভূমিকা পালন করেছেন, তারজন্য তিনি প্রশংসার অধিকারী। এটি কোনও ক্ষুদ্র সাফল্য নয়। আমি আবারও উল্লেখ করছি দুটি কোরিয়ার মধ্যে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে-র মধ্যে চলতি আলোচনার প্রক্রিয়াকে আমার সরকার জোরালো সমর্থন করে।

 

কোরিয়ার বিখ্যাত প্রবাদে যেমন বলে :

 

 

 

 

শিচাগি ভানিদা,

 

“ভালো ভাবে শুরু করাই অর্ধেক যুদ্ধ”

 

আমি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখি যে কোরিয়ার মানুষজনের বিরামহীন প্রচেষ্টার ফলে, কোরিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলে শীঘ্রই শান্তি বিরাজ করবে। বন্ধুগণ, ১৯৮৮ অলিম্পিকের থিম গানটি থেকে একটি অংশ উল্লেখ করে আমি শেষ করতে চাই, কারণ তা আমাদের সবার আরও ভালো আগামীদিনের আশা-আকাঙ্খাকে যথাযথভাবে তুলে ধরে : হাতে হাত, আমরা সারাটা ভূমি জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি, আমরা এই পৃথিবীকে আরও ভালো বাসযোগ্য স্হান করতে পারি।

 

গামসা হামনিদা !

 

ধন্যবাদ।

 

অসংখ্য ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PM's Vision Turns Into Reality As Unused Urban Space Becomes Sports Hubs In Ahmedabad

Media Coverage

PM's Vision Turns Into Reality As Unused Urban Space Becomes Sports Hubs In Ahmedabad
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 25 জানুয়ারি 2025
January 25, 2025

Appreciation for India's Transformative Journey with the Modi Government