প্রধানমন্ত্রী শিবমোগ্গা বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করেছেন
প্রধানমন্ত্রী ২টি রেল প্রকল্প সহ বেশ কয়েকটি সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শিবমোগ্গায় ৪৪টি স্মার্ট সিটি প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছেন
“এটি শুধুমাত্র একটি বিমানবন্দর নয়, এটি হল সেই কর্মসূচি, যা তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তুলবে”
“কর্ণাটকের উন্নয়নে রেল, সড়ক, বিমান যোগাযোগ এবং আইওয়ে শরিক হয়েছে”
“শিবমোগ্গায় বিমানবন্দরটি এমন এক সময় উদ্বোধন করা হ’ল, যখন ভারতে বিমান পরিবহণের চাহিদা তুঙ্গে”
“আজ এয়ার ইন্ডিয়া নতুন ভারতের এক সম্ভাবনা হিসাবে পরিচিত হচ্ছে, যেখানে এই সংস্থা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতে চলছে”
“উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সহ পরিকাঠামো সমগ্র অঞ্চলের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে”
“এই ডবল ইঞ্জিন সরকার গ্রামের জন্য, দরিদ্রদের জন্য এবং আমাদের মা ও বোনেদের জন্য”
এর মধ্যে জল জীবন মিশনের আওতায় ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। শ্রী মোদী শিবমোগ্গা শহরের ৪৪টি স্মার্ট সিটি প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছেন। এগুলির জন্য ব্যয় হবে ৮৯৫ কোটি টাকা।

কর্ণাটকা দা,

এল্লা সহোদরা সহোদরীয়ারিগে, নন্না নমস্কারাগলু!

সিরিগন্নডম গেল্গে, সিরিগন্নডম বাল্গে

জয় ভারত জননীয় তনুজাতে!

জয়া হে কর্ণাটক মাতে!

(আমার কর্ণাটকের প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে আমার সাদর নমস্কার!

কন্নড়ের ঐশ্বর্যের জয় হোক, কন্নড়ের ঐশ্বর্য দীর্ঘকাল বেঁচে থাকুক

ভারত জননীর সন্তান সন্ততিদের জয় হোক! কর্ণাটক মাতার জয় হোক!)

এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের জন্য যিনি ছিলেন সমর্পিতপ্রাণ, সেই মহান রাষ্ট্রকবি কুয়েম্পুর ভূমিকে  আমি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। আজ, আমার সৌভাগ্য হয়েছে কর্ণাটকের উন্নয়ন সংক্রান্ত হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের।

এই মুহূর্তে আমি শিবমোগ্‌গায় আছি আর এখান থেকে আমাকে বেলাপাতি যেতে হবে। আজ শিবমোগ্‌গা নিজস্ব বিমানবন্দর পেয়েছে। দীর্ঘদিনের যে দাবি ছিল আজ তা পূরণ হয়েছে। শিবমোগ্‌গায় একটি অনিন্দ্যসুন্দর বিমানবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে, খুবই সুন্দর। কর্ণাটকের ঐতিহ্যবাহী বাস্তুকলা ও প্রযুক্তির এক অপূর্ব সঙ্গমও দেখা যায় এই বিমানবন্দরে। আর এটা শুধু বিমানবন্দর নয়, এই অঞ্চলের তরুণদের স্বপ্নের ডানায় নতুন উড়াল দেওয়ার অভিযান। আজ, সড়ক ও রেল সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পের কাজও শুরু হচ্ছে। এই ধরনের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য, আমি শিবমোগ্‌গা ও সকল পার্শ্ববর্তী জেলার সমস্ত নাগরিকদের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

আজকের দিনটি আরেকটি কারণেও অত্যন্ত বিশেষ। আজ কর্ণাটকের জনপ্রিয় জননেতা বি. এস. ইয়েদুরাপ্পাজির জন্মদিন। আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন রাজ্যের দরিদ্রদের কল্যাণে, কৃষকদের কল্যাণে। গত সপ্তাহে কর্ণাটক বিধানসভায় ইয়েদুরাপ্পাজির প্রদত্ত বক্তৃতা জনজীবনে সকলের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। সাফল্যের এই উচ্চতায় পৌঁছানোর পরেও কীভাবে আচরণে বিনয়ী থাকা যায়! ইয়েদুরাপ্পাজির এই ভাষণ, তাঁর সহজ জীবনযাপন সর্বদা আমাদের মতো সবার জন্য, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও অনুপ্রেরণার বিষয় হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

আপনাদের সবার কাছে আমার একটা অনুরোধ, শুনবেন? আপনার কাছে যদি মোবাইল ফোন থাকে, তাহলে মোবাইল ফোনটি বের করুন এবং এর ফ্ল্যাশলাইট চালু করুন এবং এভাবে ইয়েদুরাপ্পাজিকে সম্মান জানান। প্রত্যেকের মোবাইলে একটি টর্চলাইট থাকা উচিত। ইয়েদুরাপ্পাজির প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক হিসাবে, ইয়েদুরাপ্পাজির সম্মানে সেটা অন করুন। একটি দর্শনের ধারণাকে জনজীবনে প্রতিষ্ঠা দিতে তিনি তাঁর জীবনের ৫০-৬০ বছর, তাঁর যৌবন ব্যয় করেছেন। তাই আপনাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজের নিজের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে শ্রদ্ধেয় ইয়েদুরাপ্পাজিকে সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। শাবাস, শাবাস, ভালো হয়েছে, ভালো হয়েছে। ভারত মাতার জয় হোক। আমি বিজেপি সরকারের আমলে কর্ণাটকের উন্নয়ন যাত্রার দিকে তাকালে দেখতে পাই: কর্ণাটক উন্নয়নের রথে সওয়ার, আর এই উন্নয়নের রথটি প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে!

বন্ধুগণ,

গত কয়েক বছরে কর্ণাটকের উন্নয়নের রথটি প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে! এটি প্রগতির পথ, রেলপথ, সড়কপথ, বিমানপথ এবং আইওয়েজ অর্থাৎ ডিজিটাল সংযোগের পথ।

বন্ধুগণ,

আমরা সবাই জানি যে কোনও গাড়ি হোক কিংবা সরকার, ডবল ইঞ্জিন ব্যবহার করলে এর গতি বহুগুণ বেড়ে যায়। কর্ণাটকের বৃদ্ধির রথ এমন ডবল ইঞ্জিনের শক্তিতে চলছে, দ্রুত গতিতে ছুটছে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার আরেকটি বড় পরিবর্তন এনেছে। আগে যখন কর্ণাটকের উন্নয়নের কথা বলা হতো, তখন তা শুধু বড় শহরগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার ক্রমাগত এই উন্নয়নকে গ্রামে গ্রামে, এবং কর্ণাটকের টিয়ার টু এবং টিয়ার থ্রি শহরগুলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। শিবমোগ্‌গার উন্নয়ন আমাদের এই উন্নয়ন ভাবনারই পরিণাম।

ভাই ও বোনেরা,

শিবমোগ্‌গার এই বিমানবন্দরটি এমন সময়ে চালু হচ্ছে যখন ভারতে বিমানপথে ভ্রমণ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম অসামরিক বিমান ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদন করেছে। ২০১৪ সালের আগে, যখনই এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে আলোচনা হত, তখন তা প্রায়ই শুধু নেতিবাচক খবরের জন্য হত। কংগ্রেস শাসনকালে, এয়ার ইন্ডিয়া আর্থিক কেলেঙ্কারীর জন্য পরিচিত হয়েছিল, একটি লোকসানের ব্যবসায়িক মডেল হিসাবে পরিগণিত হয়েছিল। আর আজ এয়ার ইন্ডিয়া, ভারতের নতুন শক্তি হিসাবে, বিশ্বের আকাশে নতুন উচ্চতায় উড়ছে, নতুন নতুন পথে ডানা মেলছে।

আজ সারা বিশ্বে ভারতের এভিয়েশন মার্কেট বা বিমান যাতায়াতের বাজারের ডঙ্কা বাজছে। ভারতে আগামী দিনে হাজার হাজার বিমানের প্রয়োজন হতে চলেছে। এসব বিমানে কাজ করতে হাজার হাজার যুবক যুবতীর প্রয়োজন হবে। এখন যদিও আমরা এই বিমানগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করছি, কিন্তু সেই দিন বেশি দূরে নেই, যখন ভারতের নাগরিকরা ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ যাত্রীবাহী বিমানে ভ্রমণ করবে। অ্যাভিয়েশন সেক্টরে কর্মসংস্থানের অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারতে এই বিমান যাত্রার প্রসার ঘটেছে বিজেপি সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তের কারণে। ২০১৪ সালের আগে, বিমানবন্দর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দেশের বড় শহরগুলিকেই গুরুত্ব দেওয়া হত৷ ছোট শহরগুলিকেও যে বিমানপথে যুক্ত করতে হবে, কংগ্রেসের ভাবনায় এই বিষয়টা  ছিল না। আমরা এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০১৪ সালে, দেশে মাত্র ৭৪টি বিমানবন্দর ছিল। অর্থাৎ স্বাধীনতার সাত দশক পরও দেশে বিমানবন্দর ছিল মাত্র ৭৪টি। আর আমাদের বিজেপি সরকার তার ৯ বছরে আরও ৭৪টি নতুন বিমানবন্দর তৈরি করেছে। এখন দেশের অনেক ছোট শহরে নিজস্ব আধুনিক বিমানবন্দর গড়ে উঠেছে। বিজেপি সরকার যে গতিতে কাজ করছে তা আপনি কল্পনা করতে পারেন! গরিবদের জন্য কাজ করতে গিয়ে বিজেপি সরকার আরেকটি বড় কাজ করেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এখন থেকে দেশের হাওয়াই চপ্পল পরা সাধারণ নাগরিকরাও বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন। তাই আমরা খুব কম খরচে বিমান টিকিট দেওয়ার জন্য ‘উড়ান’প্রকল্প চালু করেছি। আজ, যখন আমি আমার অনেক দরিদ্র ভাই-বোনকে জীবনে প্রথমবারের মতো বিমানে উঠতে দেখি, তখন সেই দৃশ্য আমাকে তৃপ্তি দেয়। আমি নিশ্চিত, শিবমোগ্‌গার এই বিমানবন্দরও এমন সব দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

এই নতুন বিমানবন্দরটি প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও কৃষির ভূমি শিবমোগ্‌গায় উন্নয়নের নতুন দ্বার খুলতে চলেছে। এই শিবমোগ্‌গা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার প্রবেশদ্বার মালে-নাড়ুর জন্য বিখ্যাত। যখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা ওঠে, এখানকার সবুজ বনানী, এখানকার বন্যপ্রাণী সমৃদ্ধ অভয়ারণ্য, নদী এবং পাহাড় অসাধারণ। আপনাদের কাছে বিখ্যাত জোগ জলপ্রপাতও রয়েছে। এখানে রয়েছে বিখ্যাত এলিফ্যান্ট ক্যাম্প, সিংহধামের মতো লায়ন সাফারি। আগুম্বে পর্বতে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে কে না চায়? এখানে প্রবাদ আছে, ‘গঙ্গা স্নানা, তুঙ্গা পানা’, অর্থাৎ, যিনি গঙ্গায় স্নান করেননি আর তুঙ্গভদ্রা নদীর জল পান করেননি, তার জীবনে কিছু না কিছু অসম্পূর্ণ থেকে গেছে।

বন্ধুগণ,

আমরা যখন সংস্কৃতির কথা বলি, তখন শিবমোগ্‌গার মিষ্টি জল রাষ্ট্রকবি কুইয়ের কাব্যে মাধুর্য বাড়িয়েছে। বিশ্বের একমাত্র সংস্কৃত গ্রাম - মাত্তুরু এই জেলায় রয়েছে। আর এটি এখান থেকে খুব বেশি দূরে নয়। দেবী সিংধুরু চৌড়েশ্বরী, শ্রীকোটে আঞ্জনেয়, শ্রী শ্রীধর স্বামীজির আশ্রম, বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার সাথে সম্পর্কিত অনেক স্থানও শিবমোগ্‌গায় রয়েছে। শিবমোগ্‌গায় রয়েছে সেই ইসুরু গ্রাম, যেখানে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে "ইয়েসুরু বিট্টরু-ইসুরু বিডেভু" (আমরা নিশ্বাস বা ‘ইয়েসুরু’ বা প্রাণ দিতে তৈরি, কিন্তু ইসুরু সমর্পণ করবো না!) স্লোগান প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, যা আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণার স্থল হয়ে উঠেছে।

ভাই ও বোনেরা,

প্রকৃতি ও সংস্কৃতির পাশাপাশি শিবমোগ্‌গার কৃষিও বৈচিত্র্যময়। এই এলাকা দেশের অন্যতম উর্বর এলাকা। এখানে পাওয়া ফসলের বৈচিত্র্য এই অঞ্চলটিকে একটি কৃষিকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের শিবমোগ্‌গা অঞ্চলে চা, সুপারি, মশলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফল ও সবজি পাওয়া যায়। শিবমোগ্‌গার প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং কৃষিকে তুলে ধরার জন্য এখানে একটি বড় উদ্যোগের প্রয়োজন ছিল। এই উদ্যোগ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে ভালো সংযোগের জন্য প্রয়োজন ছিল। আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার আপনাদের এই চাহিদা পূরণ করছে।

এখানে বিমানবন্দরটি নির্মিত হলে শুধু স্থানীয় জনগণের সুবিধাই হবে না, দেশের নানা প্রান্ত থেকে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের আসা সহজ হবে। পর্যটকরা যখন আসেন, তাঁরা তাঁদের সঙ্গে ডলার এবং পাউন্ড নিয়ে আসেন এবং একভাবে, এলাকার মানুষের নানারকম কাজের সুযোগও গড়ে ওঠে। যখন রেল যোগাযোগ ভালো হয়, উন্নত পরিষেবা ও পর্যটনের পাশাপাশি এলাকার কৃষকরাও নতুন বাজার পান। কৃষকরা তাঁদের ফসল ও উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য কম দামে সারাদেশের বাজারে পৌঁছে দেন।

বন্ধুগণ,

শিবমোগ্‌গা-শিকারিপুরা-রানিবেন্নুর নতুন রেললাইনের কাজ সম্পূর্ণ হলে, শিবমোগ্‌গা ছাড়াও হাওয়েরি এবং দাওয়ণ গেরে জেলাগুলিও উপকৃত হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই লাইনে কোনো লেভেল ক্রসিং থাকবে না। অর্থাৎ এটি একটি নিরাপদ রেললাইন হবে এবং এর উপর দিয়ে দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল করতে পারবে। কোটেগঙ্গৌর এতদিন পর্যন্ত একটি ছোট হল্ট স্টেশন ছিল। এখন নতুন কোচিং টার্মিনাল তৈরি হলে এর গুরুত্ব বাড়বে, বাড়বে সক্ষমতা। এখন এটি চারটি রেললাইন, তিনটি প্ল্যাটফর্ম এবং একটি রেলওয়ে কোচিং ডিপো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখান থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে নতুন ট্রেন যাতায়াত করতে পারবে। বিমান ও রেল পরিবহনের পাশাপাশি এখন সড়কপথও উন্নত হলে এলাকার তরুণরা অনেক উপকৃত হবেন। শিবমোগ্‌গা একটি শিক্ষা কেন্দ্র। যোগাযোগের

ভালো থাকলে, আশেপাশের জেলা থেকে তরুণ ফেলোদের এখানে আসা সহজ হবে। এটি নতুন ব্যবসা এবং নতুন শিল্পের জন্য পথ খুলে দেবে। অর্থাৎ, ভাল সংযোগ সম্পর্কিত পরিকাঠামো এই সমগ্র অঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চলেছে।

ভাই ও বোনেরা,

আজ শিবমোগ্‌গা এবং এই অঞ্চলের মা-বোনদের জীবন সহজ করার জন্য একটি বড় অভিযান চলছে। প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জল সরবরাহ করার জন্য এটি একটি অভিযান। শিবমোগ্‌গা জেলায় ৩ লক্ষের বেশি পরিবার রয়েছে। জল জীবন মিশন শুরু হওয়ার আগে, এখানকার প্রায় ৯০ হাজার পরিবারের বাড়িতে নলবাহিত জল সংযোগ ছিল। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ নতুন পরিবারকে নলবাহিত জল সংযোগ দিয়ে জল সরবরাহ শুরু করেছে। বাকি পরিবারগুলিতে নলবাহিত জল সরবরাহ করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলছে। গত সাড়ে তিন বছরে, কর্ণাটকের চল্লিশ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারকে নলবাহিত জল সংযোগ দিয়ে জল সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

বিজেপি সরকার হল এমন সরকার যারা গ্রাম, গরীব ও কৃষকদের সরকার, বিজেপি সরকার দরিদ্রদের কল্যাণে কাজ করে। বিজেপি সরকার মানেই, মা-বোনদের আত্মসম্মান, মা-বোনদের জন্য সুযোগ, আর এর মাধ্যমে মা ও বোনদের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করা সরকার। তাই আমরা মা ও বোনদের সামনে থেকে সমস্ত প্রতিকূলতা দূর করার, প্রতিটি সমস্যা দূর করার চেষ্টা করেছি। শৌচাগার থেকে শুরু করে, রান্নাঘরে গ্যাস সংযোগ কিম্বা নলবাহিত জল, এগুলোর অনুপস্থিতি আমাদের মা, বোন ও কন্যাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিত। আজ আমরা এই প্রতিকূলতাগুলি দূর করছি। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা করছে।

বন্ধুগণ,

কর্ণাটকের মানুষ ভালো করেই জানে যে এটাই ভারতের স্বাধীনতার এই অমৃতকাল হল আমাদের উন্নত ভারত গড়ার সময়। স্বাধীনতার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন সুযোগ এসেছে। প্রথমবারের মতো গোটা বিশ্বে ভারতের কন্ঠস্বরের এত প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আজ সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা ভারতে আসতে চান। আর যখন বিনিয়োগ আসে, তখন এর সুফল কর্ণাটকের জনগণ পান, এখানকার যুবক-যুবতিরা অনেক উপকৃত হন৷ তাই কর্ণাটকের জনগণ বারবার ডবল ইঞ্জিনের সরকারকে কর্ণাটক সরকারের দায়িত্ব প্রদানের কথা ভেবেছে।

আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে কর্ণাটকের উন্নয়নের এই অভিযান এখন আরও দ্রুততর হতে চলেছে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, একসঙ্গে চলতে হবে। আমাদের শিবমোগ্‌গার মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য, আমাদের কর্ণাটকের জনগণের স্বপ্ন পূরণের জন্য  সবাইকে একসঙ্গে হাঁটতে হবে। আমি আরেকবার, উন্নয়নের এই প্রকল্পগুলির জন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। আমি আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই. আমার সঙ্গে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলে সমস্বরে বলুন - ভারত মাতা কি জয়। ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক। ভারত মাতা দীর্ঘজীবী হোক।

ধন্যবাদ!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum

Media Coverage

'Will walk shoulder to shoulder': PM Modi pushes 'Make in India, Partner with India' at Russia-India forum
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles loss of lives in fire mishap in Arpora, Goa
December 07, 2025
Announces ex-gratia from PMNRF

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives in fire mishap in Arpora, Goa. Shri Modi also wished speedy recovery for those injured in the mishap.

The Prime Minister informed that he has spoken to Goa Chief Minister Dr. Pramod Sawant regarding the situation. He stated that the State Government is providing all possible assistance to those affected by the tragedy.

The Prime Minister posted on X;

“The fire mishap in Arpora, Goa is deeply saddening. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. May the injured recover at the earliest. Spoke to Goa CM Dr. Pramod Sawant Ji about the situation. The State Government is providing all possible assistance to those affected.

@DrPramodPSawant”

The Prime Minister also announced an ex-gratia from PMNRF of Rs. 2 lakh to the next of kin of each deceased and Rs. 50,000 for those injured.

The Prime Minister’s Office posted on X;

“An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF will be given to the next of kin of each deceased in the mishap in Arpora, Goa. The injured would be given Rs. 50,000: PM @narendramodi”