শেয়ার
 
Comments
“আপনারা ‘অমৃত প্রজন্ম’-এর প্রতিনিধি যাঁরা বিকশিত ও আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলবেন”
“যখন স্বপ্ন সঙ্কল্পে পরিণত হয় এবং সেই স্বপ্ন পূরণে জীবন উৎসর্গ করা হয় তখন সাফল্য নিশ্চিত। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন নতুন সুযোগের এটিই সময়”
“এখন সময় ভারতের”
“ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় চালিকাশক্তি হল যুব সম্প্রদায়”
“যে দেশ যুব সম্প্রদায়ের শক্তি ও উদ্দীপনায় ভরপুর সেই দেশ যুব সম্প্রদায়কেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে”
“বর্তমানে দেশের মেয়েদের জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং সংস্থাগুলিতে প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী রাজনাথ সিংজি, শ্রী অজয় ভাটজি, সিডিএস অনিল চৌহানজি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব, এনসিসি-র মহানির্দেশক, বহুসংখ্যায় উপস্থিত অভ্যাগতবৃন্দ এবং আমার তরুণ বন্ধুগণ।
 
এনসিসি-র  ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন দেশের স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তির সঙ্গে একই লগ্নে উপস্থিত। বছরের পর বছর ধরে যারা এনসিসি-তে রয়েছেন এবং দেশ গঠনের কাজে তাদের অবদানকে আমি সাধুবাদ জানাই। আজ আমার সামনে উপস্থিত এনসিসি ক্যাডেটরা আরও বেশি করে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। এই অনুষ্ঠানটিকে যেভাবে সাজানো হয়েছে তা প্রমাণ করে সময়ের কেবল পরিবর্তনই হয়নি, সেই সঙ্গে আঙ্গিকেরও পরিবর্তন হয়েছে। দর্শক মন্ডলী অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যায় উপস্থিত। বৈচিত্র্যের মাঝে অনুষ্ঠানকে সাজানো হয়েছে। সেইসঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর মূল মন্ত্রকে দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে। এনসিসি-র সদস্যবৃন্দ আধিকারিক এবং প্রশাসকগণ সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আপনারা অমৃত প্রজন্মের ধারক। তা সে এনসিসি ক্যাডেট এবং দেশের যুব মানস হিসেবে। দেশকে স্বনির্ভর এবং উন্নত করে তুলতে আগামী ২৫ বছরে এই অমৃত প্রজন্ম দেশকে এক উচ্চ শিখরে পৌঁছে দেবে।

বন্ধুগণ,

আমরা প্রত্যক্ষ করেছি প্রশংসনীয় যে সব কাজ আপনারা করছেন এবং দেশের উন্নয়নে এনসিসি-র ভূমিকাকে। আপনাদেরই এক সতীর্থ আমার হাতে ঐক্যের অগ্নিশিখা তুলে দিয়েছেন। প্রতিদিন ৫০ কিলোমিটার দৌড়ে ৬০ দিনে কন্যাকুমারী থেকে দিল্লি যাত্রাপথ আপনারা পূর্ণ করেছেন। ঐক্যের অগ্নিশিখা দৌড়ে অনেক সহকর্মী অংশ নিয়েছেন ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবধারাকে শক্তিশালী করে তুলতে। নিঃসন্দেহে আপনাদের এই কাজ আমাদের সকলকে উদ্দীপ্ত করছে। এখানে একটি আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে আপনাদের দক্ষতা এবং অধ্যাবসায়কে আমি সাধুবাদ জানাই।

বন্ধুগণ,

প্রজাতন্ত্র দিবস কুচকাওয়াজেও আপনারা অংশ নিয়েছেন। এবারের এই কুচকাওয়াজ বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে কারণ এই প্রথম কর্তব্য পথে তা অনুষ্ঠিত হয় এবং দিল্লিতে এই সময় ঠান্ডা এবং আপনাদের অনেকে এই আবহাওয়ার সঙ্গে হয়তো অভ্যস্থ নন তা সত্বেও আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো দিল্লির কয়েকটি জায়গা আপনারা ঘুরে দেখুন। কিছু সময় কী আপনারা দিতে পারেন? আপনারা যদি জাতীয় যুদ্ধ স্মারক এবং পুলিশ স্মারকে না গিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেখানে যাবেন। ঠিক তেমনই লাল কেল্লায় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস সংগ্রহালয় অবশ্যই আপনারা ঘুরে দেখুন। আধুনিক প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় গড়ে তোলা হয়েছে স্বাধীন ভারতে সমস্ত প্রধানমন্ত্রীদের পরিচিত করাতে। গত ৭৫ বছরে ভারতের উন্নয়নের যাত্রা সম্বন্ধেও আপনারা সম্মক ওয়াকিবহাল হতে পারেন। সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল, বাবা সাহেব আম্বেদকর সংগ্রহালয় আপনারা দেখার সুযোগ পেতে পারেন। এইসব জায়গা ঘুরে হয়তো আপনাদের মধ্যে উৎসাহ, অনুপ্রেরণার সঞ্চার হতে পারে যা আপনাদেকে সংকল্পবদ্ধ লক্ষে নিরন্তর অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারে।

আমার তরুণ বন্ধুগণ,

তারুণ্যই হল যে কোন দেশকে চালানোর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। আপনাদের মধ্যে উদ্যম, আবেগ রয়েছে, রয়েছে স্বপ্ন। স্বপ্ন যখন সংকল্পে রূপ নেয় এবং সেই সংকল্প পূরণের জন্য আপনারা যখন আত্মপ্রত্যয়ী হন তখনই আপনারা সফল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন। আর ভারতের তরুণ সম্প্রদায়ের সামনে নতুন সম্ভাবনার এখন এক সুবর্ণ সুযোগ। প্রত্যেকেই বলছেন ভারতের সময় এসেছে। আজ সারা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে। এর সব থেকে বড় কারণ হল ভারতের তরুণ সম্প্রদায়। ভারতের এই তরুণ সম্প্রদায় কতখানি সচেতন তা বোঝাতে আমি আপনাদের সামনে একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। আপনারা জানেন যে ভারত এবার জি২০-তে সভাপতিত্ব করছে যা হল বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী অর্থনীতির ২০টি দেশ। আমি অবাক হয়ে গেছি সারা দেশ থেকে অনেক তরুণরা আমাকে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছে। এবং নিঃসন্দেহে এক শ্লাঘার বিষয় যে আপনাদের মতন তরুণরা দেশের সাফল্য এবং অগ্রাধিকারের প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন করছেন।

বন্ধুগণ,

সরকারের সব সময় অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হল তরুণরা, তার কারণ তারা উদ্যম এবং আবেগে ভরপুর। আজকের ভারত সমস্ত যুব বন্ধুকে মঞ্চ প্রদানের চেষ্টা করছে যাতে তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। আজ ভারতের যুবদের জন্য নতুন ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। তা ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব, স্টার্টআপ বিপ্লব বা উদ্ভাবন বিপ্লব। তরুণরাই হচ্ছে এ সবের সব থেকে বড় সুবিধাভোগী। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত যেভাবে ক্রমাগত সংস্কার ঘটিয়ে চলেছে তাতে সব থেকে বেশি উপকৃত হচ্ছেন দেশের তরুণরা। একটা সময় ছিল যখন আমরা অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বুলেট প্রুফ জ্যাকেট বিদেশ থেকে আমদানি করতাম। আজ সেনাবাহিনীর জন্য এমন কয়েকশো জিনিস রয়েছে যা ভারতে তৈরি হচ্ছে। আজ সীমান্ত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি। এই যাবতীয় অভিযান দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের সামনে নতুন সম্ভাবনা এবং সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

বন্ধুগণ,

তরুণদেরকে বিশ্বাস করা গেলে তার ফলশ্রুতি আমাদের মহাকাশ ক্ষেত্রে সাফল্যের এক প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। মহাকাশ ক্ষেত্রে দরজা দেশ তরুণদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। প্রথম বেসরকারী উপগ্রহ অল্প কিছুদিন আগেই উৎক্ষেপণ করা হয়। অনুরূপভাবে প্রতিভাবান তরুণদের সামনে অ্যানিমেশন এবং গেমিং সেক্টর অনেক সম্ভাবনার ক্ষেত্র খুলে দিয়েছে। আপনারা হয় নিজেরা ড্রোন চালিয়েছেন অথবা কাউকে তা প্রদর্শন করতে দেখেছেন। এখন এই ড্রোনের সম্ভাবনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। বিনোদন হোক, লজিস্টিক বা কৃষিক্ষেত্র সর্বত্রই ড্রোন প্রযুক্তি সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতে বিভিন্ন প্রকারের ড্রোন তৈরির কাজে দেশের তরুণরা এগিয়ে আসছে।

বন্ধুগণ,

আমি অনুভব করতে পারি যে তরুণদের একটা বিরাট অংশ প্রতিরক্ষা বাহিনী অথবা সংস্থাগুলিতে যোগ দিতে আগ্রহী। এটা নিঃসন্দেহে আপনাদের সামনে একটা বিরাট সম্ভাবনা বিশেষত আমাদের মেয়েদের জন্য। গত ৮ বছরে পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীতে মেয়েদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তিন বাহিনীরই সামনের সারিতে মহিলাদের নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম অগ্নিবীর হিসেবে ভারতীয় নৌবাহিনীতে মহিলারা যোগ দিয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনীতে যুদ্ধের ভূমিকা মেয়েরা অংশ নিতে শুরু করেছেন। এনডিএ পুনেতে মহিলা ক্যাডেটদের প্রথম শাখার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সেনা স্কুলগুলিতে মেয়েদের ভর্তির অনুমতিও দিয়েছে আমাদের সরকার। আজ আমি খুশি সৈনিক স্কুলে প্রায় দেড় হাজার ছাত্রী পড়ছেন। এনসিসি-র মধ্যেও এই পরিবর্তন আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গত দশক থেকে এনসিসি-তে মহিলাদের অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। এখানে যে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হল তাতেও নেতৃত্ব দিলেন এক কন্যা সন্তান। সীমান্ত এবং উপকূলবর্তী এলাকায় এনসিসি-র ভূমিকা বাড়াতে বিরাট সংখ্যায় তরুণরা তাতে যোগ দিচ্ছেন। সীমান্ত এবং উপকূলবর্তী এলাকায় কাজের ক্ষেত্রে প্রায় ১ লক্ষ ক্যাডেট নথিভুক্ত হয়েছেন। এই বিরাট সংখ্যক তরুণ শক্তি দেশ গড়ার এবং উন্নয়নের কাজে ব্যাপৃত হলে আমি স্থির নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি কোনো লক্ষ্যই আমাদের কাছে অপূর্ণ থাকবে না। আপনারা একটি সংগঠন হিসেবে এবং এককভাবে দেশের সংকল্প পূরণে আপনাদের ভূমিকা প্রসারিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

দেশমাতৃকার স্বাধীনতার যুদ্ধে দেশের জন্য অনেকে আত্মত্যাগের পথ বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীন ভারতে দেশের জন্য প্রতিটি মুহূর্ত দেশকে নতুন শিখরে পৌঁছে দেওয়ার এক যাত্রা স্বরূপ। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ এই আদর্শে ত্রুটি এবং ভ্রান্তি খুঁজে বেড়ানোর স্বভাব রয়েছে কিছু মানুষের। তাদের উদ্দেশ্য হল দেশে ভাঙন ধরানো। বিভিন্ন বিষয়ে ভারতমাতা এবং তার সন্তানদের মধ্যে একটা ফাটল ধরানোর চেষ্টা হচ্ছে। অশুভ এই যাবতীয় প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারত মাতার সন্তানদের মধ্যে কোনো বিরোধ ঘটানো যাবে না। ফলে ঐক্যের মন্ত্রই হচ্ছে সব থেকে বড় শক্তি এবং সব থেকে কার্যকর ওষুধ। এই মন্ত্র হল ভবিষ্যৎ ভারতের ঐক্যের সক্ষমতার এবং মহিমাকে স্পর্শ করার এক সংকল্প স্বরূপ। আমাদের সেই পথ অনুসরণ করে যেতে হবে এবং পথে যাবতীয় বিঘ্নকে ঠেলে ফেলতে হবে। দেশের জন্য জীবনধারণ করে সমৃদ্ধ ভারতকে আমাদের চোখের সামনে প্রত্যক্ষ করতে হবে। মহান ভারত প্রত্যক্ষ করার এর থেকে বড় সংকল্প আর কিছু হতে পারেনা। এই সংকল্প সম্পূরণে আপনাদের সকলকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। আগামী ২৫ বছর ভারতের অমৃতকাল যা আপনাদেরও অমৃতকাল। ২০৪৭এ উন্নত ভারতে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপনে আপনারা দেশের অগ্রভাগে থাকবেন। ফলে কোনো রকম সুযোগ এবং সম্ভাবনাকে হারালে চলবে না। ভারত মাতাকে নতুন সংকল্প পথে নিয়ে যেতে এবং নতুন শিখরে পৌঁছে দিতে আমাদের আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সমস্ত শক্তি নিয়ে আমার সঙ্গে বলুন- ভারত মাতা কি জয়!, ভারত মাতা কি জয়!, ভারত মাতা কি জয়!

বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম!

বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম!

বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম!

বন্দে মাতরম, বন্দে মাতরম!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের বঙ্গানুবাদ
India's forex reserves rise $12.8 billion to 6-week high of $572.8 billion

Media Coverage

India's forex reserves rise $12.8 billion to 6-week high of $572.8 billion
...

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM congratulates Saweety Boora for winning the Gold Medal in Women's Boxing World Championships
March 25, 2023
শেয়ার
 
Comments

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has congratulated Boxer, Saweety Boora for winning the Gold Medal in Women's Boxing World Championships.

The Prime Minister tweeted;

"Exceptional performance by @saweetyboora! Proud of her for winning the Gold Medal in Women's Boxing World Championships. Her success will inspire many upcoming athletes."