Quoteভবিষ্যতে কোনো মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে
Quoteডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের পরিস্থিতির মোকাবিলা করা, পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা, স্বস্তি এবং সান্তনা জুগিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
Quoteবিঘ্ন ঘটার অর্থ এই নয় আমরা হতাশায় ভুগছি, আসলে আমরা মেরামত করা এবং প্রস্তুত করার ভিত দুটির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
Quoteআমাদের গ্রহ যেসব চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হচ্ছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সমষ্টিগত উদ্যোগ এবং জনমুখী ব্যবস্থাপনা গ্রহণের প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
Quoteএই মহামারী আমাদের প্রাণশক্তিকে খালি পরীক্ষা করছেনা, একইসঙ্গে আমাদের কল্পনা শক্তিরও পরীক্ষা নিচ্ছে। সকলের জন্য আরও সমন্বিত, যত্নবান ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার একটি সুযোগ আজ এসেছে: প্রধানমন্ত্রী
Quoteবিশ্বের বৃহত্তম স্টার্টআপ ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে রয়েছে। সম্প্রতি আমাদের দেশের বেশ কিছু সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
Quoteমেধা, বাজার, মূলধন, পারিপার্শ্বিক ব্যবস্থা এবং মুক্ত মন- এই ৫টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বকে আমি ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী
Quoteফ্রান্স এবং ইউরোপ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমাদের অংশীদারিত্ব মানব জাতির কল্যাণে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী

সুধীবৃন্দ, আমার প্রিয় বন্ধু রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ,
পাবলিসিস্ট গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মিঃ মরিস লেভি,
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা,
নমস্কার !
এই কঠিন সময়ে সফলভাবে ভিভাটেক আয়োজন করার জন্য আমি উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানাই।
ফ্রান্সের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নানা কার্যকলাপের প্রতিফলন হল এই মঞ্চ। ভারত ও ফ্রান্স বিভিন্ন বিষয়ে একযোগে কাজ করে চলেছে। সহযোগিতার এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা। সংকটের এই সময়ে এ ধরণের সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আমাদের দেশগুলি উপকৃত যেমন হবে পাশাপাশি সারা বিশ্বও এর মাধ্যমে লাভবান হবে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনেক তরুণ-তরুণী ফরাসী ওপেনের খেলা দেখছেন। এই টুর্নামেন্টে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ভারতীয় সংস্থা ইনফোসিস। একইভাবে ভারতে দ্রুততম সুপার কম্পিউটার তৈরির কাজে ফরাসী সংস্থা অ্যাটোস যুক্ত। সারা বিশ্বজুড়ে ফ্রান্সের ক্যাপজেমিনি অথবা ভারতের টিসিএস ও উইপ্রোতে আমাদের আইটি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা এই সমস্ত সংস্থাগুলিতে কাজ করছেন।
বন্ধুগণ,
আমি বিশ্বাস করি যখন কোনো নিয়ম ব্যর্থ হয় সেই সময়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্ভাবন সাহায্য করে। বিশ্ব জুড়ে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় যা আবারও দেখা গেছে। আমাদের সময়কালে এটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সবথেকে বেশি বিঘ্ন ঘটিয়েছে। পৃথিবীর সব দেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, ভবিষ্যৎ নিয়ে দূর্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের প্রচলিত বিভিন্ন নিয়ম-কানুনকে পরীক্ষার আসনে বসিয়ে দিয়েছে। তবে উদ্ভাবন এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। উদ্ভাবন মানে আমি বোঝাতে চাইছি :
মহামারীর আগে উদ্ভাবন
মহামারীর সময়ে উদ্ভাবন
যখন আমরা মহামারীর আগের উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করছি তখন সেই অগ্রগতির বিষয়গুলির কথা ভাবছি যেগুলি মহামারীর সময় আমাদের সাহায্য করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের পরিস্থিতির মোকাবিলা করা, পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা, স্বস্তি এবং সান্তনা জুগিয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমে আমরা কাজ করেছি, আমাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলেছি আর অন্যকে সাহায্য করেছি। ভারতের সর্বজনীন ও অনন্য বায়োমেট্রিক ডিজিটাল পরিচিতি ব্যবস্থা আধার দরিদ্রদের সঠিক সময়ে আর্থিক সাহায্য নিশ্চিত করেছে। আমরা ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করেছি। প্রচুর বাড়িতে রান্নার জ্বালানী ভর্তুকি পৌঁছে দিয়েছি। ভারতে স্বয়ম এবং দীক্ষা নামে দুটি ডিজিটাল জনশিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করেছি। যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা হয়েছে।
উদ্ভাবনের দ্বিতীয় পর্বে মহামারীকে মানবতা কিভাবে প্রতিহত করে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পর্বে আমাদের স্টার্টআপ সংস্থাগুলির ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। আমি আপনাদের কাছে ভারতের কিছু উদাহরণ এখানে তুলে ধরছি। মহামারী যখন ভারতে আঘাত হানল সেই সময় আমাদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল। মাস্ক, পিপিই, ভেন্টিলেটর সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ছিল কম। আমাদের বেসরকারী সংস্থাগুলি এই ঘাটতি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। আমাদের চিকিৎসকরা কোভিড এবং কোভিড নয় এ ধরণের রোগের চিকিৎসা করতে ভার্চুয়ালি টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থাকে কাজে লাগায়। ভারতে ইতিমধ্যে দুটি টিকা তৈরি হয়েছে। আরও অনেকগুলি টিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে আছে। সংক্রমিতদের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন তাদের শনাক্ত করতে, আমাদের দেশীয় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা আরোগ্য সেতু সাহায্য করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতে টিকা পান সেই কাজে সাহায্য করতে আমাদের কোইউন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা যদি উদ্ভাবন না করতাম তাহলে কোভিড-১৯এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইটা দূর্বল হয়ে যেত। পরবর্তী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা আরও ভালোভাবে করার জন্য আমাদের এই উদ্ভাবনী মানসিকতাকে সরিয়ে রাখা উচিত নয়।
বন্ধুগণ,
ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভূমিকা সর্বজনবিদিত। বিশ্বের বৃহত্তম স্টার্টআপ ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে রয়েছে। সম্প্রতি আমাদের দেশের বেশ কিছু সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ভাবক এবং বিনিয়োগকারীরা যা যা চান ভারতে সেগুলি সবই পাওয়া যাবে। মেধা, বাজার, মূলধন, পারিপার্শ্বিক ব্যবস্থা এবং মুক্ত মন- এই ৫টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বকে আমি ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।
বিশ্ব জুড়ে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদরা আজ সমাদৃত। বিশ্বের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান ভারতীয় তরুণ-তরুণীরা প্রযুক্তির মাধ্যমে করেছেন। আজ ভারতে ১১৮ কোটি মোবাইল ফোন রয়েছে এবং ৭৭ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার চাইতে যে সংখ্যাটি অনেক বেশি। ভারতে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এবং এই ব্যবস্থাটি খুব সস্তা। ভারতীয়রা সব চাইতে বেশি সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। আপনাদের জন্য এই বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রাণবন্ত বাজার অপেক্ষা করে রয়েছে।
বন্ধুগণ,
এই ডিজিটাল ব্যাপ্তি অত্যাধুনিক ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। আমাদের ১ লক্ষ ৫৬ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার কিলোমিটার ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আগামীদিনে আরও যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। দেশ জুড়ে সর্বসাধারণের জন্য ওয়াইফাই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। উদ্ভাবনের একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ভারত সক্রিয়। ৭ হাজার ৫০০ বিদ্যালয়ে অটল ইনোভেশন মিশনের আওতায় অত্যাধুনিক গবেষণাগার গড়ে উঠেছে। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অসংখ্য হ্যাকাথনে অংশ নিয়েছে। এর ফলে বিশ্বের মেধা এবং সবথেকে ভালো পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে।

|

বন্ধুগণ,
গত এক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিভাবে কাজে বিঘ্ন ঘটেছে তা দেখেছি। এখনও বিভিন্ন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু বিঘ্ন ঘটার অর্থ এই নয় আমরা হতাশায় ভুগছি। আসলে আমরা মেরামত করা এবং প্রস্তুত করার ভিত দুটির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। গত বছর এই সময় সারা পৃথিবী টিকার খোঁজ করছিল। আজ আমাদের কাছে বেশ কিছু টিকা এসেছে। একইভাবে আমরা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং অর্থনীতির মেরামতের কাজ করছি। ভারতে আমরা খনিশিল্প, মহাকাশ, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, আণবিক শক্তি এবং আরও বহু ক্ষেত্রে প্রচুর সংস্কার বাস্তবায়িত করছি। এর মাধ্যমে মহামারীর সময়েও ভারতের কর্মতৎপরতা অনুভূত হচ্ছে। আমি যখন বলি প্রস্তুত হন তার অর্থ দাঁড়ায় আমাদের বিশ্বকে ভবিষ্যতে কোনো মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থিতিশীল জীবন-যাপনের মধ্যে দিয়ে বাস্তুতন্ত্রে ক্ষয় প্রতিহত করার ওপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য সহযোগিতাকে আমরা শক্তিশালী করেছি।
বন্ধুগণ,
আমাদের গ্রহ যেসব চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হচ্ছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সমষ্টিগত উদ্যোগ এবং জনমুখী ব্যবস্থাপনা গ্রহণের প্রয়োজন। আর তাই আমি স্টার্টআপ সম্প্রদায়কে একাজে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই স্টার্টআপ জগৎটিতে তরুণ-তরুণীদের প্রাধান্যই বেশি। এরা অতীতের সংস্কার থেকে মুক্ত। বিশ্বের পরিবর্তন আনার ক্ষমতা এদের মধ্যে সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য পরিষেবা, বর্জ্য পদার্থ পুর্নব্যবহারের মতো পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি, কৃষি, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শেখার মতো ক্ষেত্রগুলিতে আমাদের স্টার্টআপ বা নতুন উদ্যোগীরা অবশ্যই কাজ করবেন।

|

বন্ধুগণ,
মুক্ত সমাজ ও অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনাকে মেনে চলার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ যে দেশ র অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দেয় সেটি হল ভারত। ফ্রান্স এবং ইউরোপ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁর সঙ্গে, মে মাসে পোর্তোয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্মেলনে আমি কথা বলেছি। আলোচনার বিষয় ছিল ডিজিটাল অংশীদারিত্ব, স্টার্টআপ, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। এই বিষয়গুলি এখন অগ্রাধিকার পাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি যে আর্থিক শক্তি, কর্মসংস্থান ও সমৃদ্ধিকে নিশ্চিত করে তা ইতিহাসে প্রমাণিত। তবে আমাদের অংশীদারিত্ব মানব জাতির কল্যাণে কাজ করবে। এই মহামারী আমাদের প্রাণশক্তিকে খালি পরীক্ষা করছেনা, একইসঙ্গে আমাদের কল্পনা শক্তিরও পরীক্ষা নিচ্ছে। সকলের জন্য আরও সমন্বিত, যত্নবান ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার একটি সুযোগ আজ এসেছে। রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁর মতো বিজ্ঞানের শক্তির ওপর আমার আস্থা আছে। ভবিষ্যতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উদ্ভাবন আমাদের সহায়তা করবে।
ধন্যবাদ

 

Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
How The Indian Auto Sector Is Driving $5 Trillion Economy Dream

Media Coverage

How The Indian Auto Sector Is Driving $5 Trillion Economy Dream
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 29 জুন 2025
June 29, 2025

Celebrating Changemakers PM Modi’s Mann Ki Baat Lights the Path to a Healthier Bharat

From Space to Bullet Trains - PM Modi’s Vision Propels India to Global Height