নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়মকে সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানাতে রাজ্যসভার সদস্যদের প্রতি আহ্বান
“নতুন সংসদ কেবলমাত্র একটি নতুন ভবন নয়, এক নতুন আরম্ভের প্রতীকও”
“মহিলাদের ক্ষমতাকে সুযোগ দিতে হবে। তাঁদের জীবনে যদি, কিন্তুর সময় অতিক্রান্ত”
“আমরা যখন জীবনযাত্রা সরলীকরণের কথা বলি তখন মহিলাদের জীবন সহজ করার কথা প্রথমে উঠে আসে”
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন সংসদ ভবনের রাজ্যসভায় ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী আজকের দিনটিকে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি লোকসভায় তাঁর ভাষণের কথা স্মরণ করেন ও এই বিশেষ দিনে রাজ্যসভায় তাঁকে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও জাতীয় স্বার্থকে গণতন্ত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
আজকের দিনটি আমাদের সকলের জন্য একটি স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন। এর আগে লোকসভায়ও আমার অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি। এখন রাজ্যসভাতেও আজ আপনি আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন, আমি আপনার কাছে এর জন্য কৃতজ্ঞ। 
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
আমাদের সংবিধানে, রাজ্যসভাকে  উচ্চকক্ষ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। সংবিধান প্রণেতাদের উদ্দেশ্য ছিল যে এই সভা যেন রাজনীতির বিশৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে উঠে গুরুতর, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয় আর দেশকে দিকনির্দেশ দেওয়ার শক্তি যেন এখান থেকেই আসে। এটিও দেশের একটি স্বাভাবিক প্রত্যাশা আর গণতন্ত্রের সমৃদ্ধিতে এই সভার অবদান প্রতিনিয়ত আরও মূল্য সংযোজন করতে পারে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,  
এই সভায় অনেক মহাপুরুষ বসেছেন। আমি হয়তো তাঁদের সবার নাম উল্লেখ করতে পারব না, কিন্তু লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজি, গোবিন্দ বল্লভ পন্থ সাহেব, লাল কৃষ্ণ আডবাণী জি, প্রণব মুখার্জি সাহেব, অরুণ জেটলি জি, এমন অসংখ্য পণ্ডিত, সৃজনশীল লেখক এবং সার্বজনিক জীবনে যাঁরা বছরের পর বছর ধরে তপস্যা করেছেন, তাঁরা এই সভাকে অলংকৃত করেছেন এবং দেশকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন। এমন অনেক সদস্য ছিলেন যাঁরা একভাবে ব্যক্তি হিসেবে, একটি প্রতিষ্ঠানের মতো, একটি স্বাধীন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে, তাঁদের নিজস্ব সামর্থ্য দিয়ে  দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন। সংসদীয় ইতিহাসের শুরুর দিনগুলিতে, ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণ রাজ্যসভার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ‘সংসদ শুধু আইন প্রণয়ন নয়, এটি একটি সুচিন্তিত স্বেচ্ছাসেবার সংস্থা’। রাজ্যসভার কাছে দেশের জনগণের উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে, সর্বোত্তম প্রত্যাশা রয়েছে এবং তাই মাননীয় সদস্যদের মধ্যে মাঝে বসে দেশের গুরুতর সমস্যাগুলি সম্পর্কে শোনা এবং সেগুলির সমাধান নিয়ে আলোচনা করা একটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক সুযোগ। নতুন সংসদ ভবন শুধু একটি নতুন ভবন নয়, এটি একটি নতুন সূচনার প্রতীক। আমরা ব্যক্তিগত জীবনেও দেখি যে  আমরা যখন কোনও নতুন জিনিসের সঙ্গে যুক্ত হই তখন আমাদের মনে প্রথম যে চিন্তা আসে তা হল যে এখন আমি একটি নতুন পরিবেশের সর্বোত্তম ব্যবহার করব, আমি তার সবচেয়ে ইতিবাচক পরিবেশে কাজ করব, এটাই আমাদের স্বভাব। আর অমৃত কালের শুরুতে এই ভবনের নির্মান আর আজ এই ভবনে আমাদের সকলের প্রবেশ – এই ঘটনাই আজ আমাদের দেশের ১৪০ কোটি  নাগরিকের মনে আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রক্রিয়ায় নতুন প্রাণশক্তি জোগাবে। সৃষ্টি করবে নতুন আশা ও নতুন বিশ্বাস।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। কারণ দেশ, যেমনটি আমি আগেই বলেছিলাম, বেশি দিন আর অপেক্ষা করতে পারবে না কেউ। একটা সময় ছিল যখন সাধারণ মানুষ ভাবতো যে আমাদের বাবা-মাও এভাবে বেঁচে ছিলেন, আমরাও তাই করবো, এটাই আমাদের ভাগ্যে ছিল, আমরাও কোনমতে দিন কাটিয়ে যাব। আজকের সমাজজীবনে এবং বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা সেরকম নয় এবং তাই আমাদেরকেও সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণের জন্য নতুন চিন্তা ও নতুন শৈলী নিয়ে নিজেদের কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। আমাদের চিন্তা-ভাবনা সীমাকেও বাড়াতে হবে আর আমাদের কর্মকুশলতা যত বাড়বে, দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের অবদানও তত বৃদ্ধি পাবে।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
আমি বিশ্বাস করি যে এই নতুন ভবনে, এই উচ্চকক্ষে, আমরা আমাদের আচার-আচরণ এবং ব্যবহার দিয়ে সংসদীয় শুচিতার প্রতীক রূপে দেশের বিধানসভাগুলিকে, দেশের সমস্ত স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে এবং অন্যান্য বাকি ব্যবস্থাকে প্রেরণা জোগাতে পারি, আর আমি মনে করি, আমি বিশ্বাস করি যে এই স্থানটি এমনই যে এর সর্বাধিক সামর্থ্য রয়েছে আর তা থেকে দেশের লাভ হওয়া উচিত, দেশের জনপ্রতিনিধিদেরও লাভ হওয়া উচিত, তা তিনি গ্রামপ্রধান রূপে নির্বাচিত হয়ে থাকুন কিম্বা তিনি সংসদে নির্বাচিত হয়ে আসুন।  আমরা এখান থেকে এই ঐতিহ্যকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সে কথাই বিবেচনা করবো! 
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
গত ৯ বছর ধরে আমরা আপনাদের সকলের সহযোগিতায় দেশকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়েছে, আর এগুলির মধ্যে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেগুলি কয়েক দশক ধরে ঝুলে ছিল। এরকম কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত কঠিন বলে বিবেচিত হত এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেগুলিকে স্পর্শ করাও খুব অন্যায় বলে বিবেচিত হত। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা কিছুটা সাহস দেখিয়ে সেই সিদ্ধান্তগুলি নিয়েছি। রাজ্যসভায় আমাদের যথেষ্ট সংখ্যা ছিল না, তবে আমাদের বিশ্বাস ছিল যে রাজ্যসভা পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে। এবং আজ আমি সন্তোষের সাথে বলতে পারি যে আমাদের সংখ্যাগত শক্তি আমাদের উদার চিন্তার ফলাফলের তুলনায় কম হওয়া সত্ত্বেও, এই রাজ্যসভার মাননীয় সংসদ সদস্যদের বিচক্ষণতা,  পাখির দৃষ্টিতে পরিস্থিতিকে বোঝার ক্ষমতা এবং রাষ্ট্রহিতের প্রতি দায়িত্বশীলতার কারণে তাঁরা দলমতের উর্দ্ধে উঠে আমাদের সমর্থন করেছেন। হ্যাঁ, আপনাদের সকলের সহযোগিতাতেই আমরা অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছি। এই ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং রাজ্যসভার মর্যাদা বৃদ্ধির কাজ সদস্য সংখ্যার জোরে নয়, মাননীয় সদস্যদের প্রজ্ঞার জোরে এগিয়েছে। এর চেয়ে বড় তৃপ্তি আর কী হতে পারে? আর সেজন্য আমি এই সভার সংশ্লিষ্ট সকল মাননীয় সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা আজ উপস্থিত আছেন এবং যাঁরা আগে ছিলেন – প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানাই।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, 
গণতন্ত্রে কে ক্ষমতায় আসবে, কে আসবে না, কে কখন আসবে, এই ক্রম তো চলতেই থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং এটাই গণতন্ত্রের স্বাভাবিক প্রকৃতি ও প্রবণতা। কিন্তু যখনই দেশের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে, আমরা সবাই মিলে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, 
রাজ্যসভা এক প্রকার রাজ্যগুলিরও প্রতিনিধিত্ব করে। এক প্রকার সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। আর আজকাল যখন প্রতিযোগিতামূলক – সহযোগিতামূলক যুক্তরাজ্য ব্যবস্থার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে, তখন আমরা দেখছি যে, পারস্পরিক সহযোগিতার এমন অনেক বিষয় প্রাধান্য পাচ্ছে, যার ফলে দেশ এগিয়ে চলেছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সঙ্কট অনেক বড় ছিল। তখন বিশ্ববাসী অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আমরাও অনেক সমস্যার মুখোমুখী হয়েছি। কিন্তু, আমাদের এই   যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার শক্তি এমনই যে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি মিলেমিশে যে যতটা পেরেছে, দেশকে এত বড় সঙ্কট থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এটাই আমাদের সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার শক্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের এই যে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার শক্তি, তা দিয়ে আমরা এরকম অনেক সঙ্কটের মোকাবিলা করেছি। আর আমরা শুধু সঙ্কটের সময়েই নয়, উৎসবের সময়ও বিশ্বের সামনে ভারতের সেই শক্তিকে তুলে ধরেছি, যার মাধ্যমে বিশ্ববাসী প্রভাবিত হয়েছেন। ভারতের বিবিধতা, ভারতের এত রাজনৈতিক দল, ভারতের এত সংবাদ , ভারতের নানা প্রান্তে এতরকম খাদ্যাভাস, বৈচিত্র্যময় পোশাক-আশাক, নানা ভাষা ও অসংখ্য কথ্য ভাষা – এইসব কিছুর শক্তি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনগুলিতে পরিস্ফুট হয়েছে। রাজ্যগুলিতেই তো অধিকাংশ শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে। দিল্লিতে অনেক দেরীতে হয়েছে। তার আগে দেশের ৬০টি শহরে ২২০-রও বেশি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজিত হয়েছে। আর প্রতিটি রাজ্য এক্ষেত্রে অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে নিজেদের সর্বস্ব উজার করে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তাঁদের আতিথেয়তা এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা অতিথিদের মুগ্ধ করেছে, তাঁদের মন জয় করেছে। আর প্রতিটি রাজ্য স্বেচ্ছায় যেভাবে এই অনুষ্ঠানগুলির আয়োজন করেছে, সেখানে তাঁরা প্রত্যেকেই বিশ্বকে নতুন পথ দেখানোর সামর্থ্য দেখিয়েছে। আর এটাই আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আসল শক্তি। আর এই যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কারণেই, এই সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কারণেই আমরা এত উন্নতি করতে পারছি।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, 
আমাদের এই নতুন সংসদ ভবনে এই যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ছাপ স্পষ্টভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। কারণ, এই ভবন নির্মাণের সময় রাজ্যগুলির কাছে আবেদন করা হয়েছিল, যাতে তারা এই ভবনের সাজসজ্জার জন্য রাজ্যের ঐতিহ্যমণ্ডিত কিছু শিল্পকৃতি পাঠায়। যাতে সেগুলি দেখে বোঝা যায় যে, এই সংসদ ভবন সকল রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফলে আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন, প্রত্যেক রাজ্য অসাধারণ সব শিল্পকৃতি পাঠিয়েছে। আমাদের প্রতিটি দেওয়াল সেই শিল্পকৃতিতে সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে। রাজ্যগুলি নিজেদের পছন্দ মতো তাদের রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শিল্পকৃতিই পাঠিয়েছে। ফলে, এখানে যে আবহ গড়ে উঠেছে, তা একদিকে যেমন রাজ্যগুলির বৈচিত্র্যকে তুলে ধরেছে, অন্যদিকে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মাধুর্য ফুটে উঠেছে। 
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,  
প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে দ্রুত বদলে দিচ্ছে। আগে প্রযুক্তির পরিবর্তন আসতে ৫০-৫০ বছর লেগে যেত। আর আজকাল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এসে যাচ্ছে। আধুনিকতা আজ অনিবার্যতায় পর্যবসিত হয়েছে। আর আধুনিকতার সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে আমাদের নিজেদেরকেও নিরন্তর সক্রিয়ভাবে স্ব-শিক্ষিত করে তুলতে হবে, এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা যখনই সময় ও সুযোগ পাবো, তখনই যেন আধুনিকতার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি – তবেই আমরা সময়ের সঙ্গে সাযুজ্য রাখতে পারবো।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
পুরনো সংসদ ভবনে, যেটিকে আপনি একটু আগেই ‘সংবিধান সদন’ নাম দিয়েছেন; সেখানে আমরা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে স্বাধীনতার ‘অমৃত মহোৎসব’ পালন করেছি। সেই সংসদ ভবন আমাদের ৭৫ বছরের সফরকে প্রত্যক্ষ করেছে আর নতুন দিশা ও সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকেও দেখেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই নতুন সংসদ ভবনে আমরা যখন স্বাধীনতার শতাব্দী পালন করবো, সেই স্বর্ণ শতাব্দী ‘বিকশিত’ ভারতের শতাব্দী হবে। পুরনো ভবনে আমরা নিজেদের বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে পেরেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, নতুন সংসদ ভবনে আমরা দেশকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিনটি অর্থনীতির দেশের অন্যতম করে তুলতে পারবো। পুরনো সংসদ ভবনে গরীব কল্যাণে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, অনেক কাজ হয়েছে। এই নতুন সংসদ ভবনে আমরা দারিদ্র্য দূরীকরণ অভিযানকে ১০০ শতাংশ সফল করে তুলবো। দেশের গরীব মানুষরা আবার তাঁদের পূর্ণ অধিকার ফিরে পাবেন।
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়, 
এই নতুন সংসদ ভবনের দেওয়ালগুলির পাশাপাশি, আমাদের নিজেদেরকেও এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে রপ্ত করে তুলতে হবে। কারণ, এখন সবকিছু আমাদের সামনে রাখা আই-প্যাডে রয়েছে। আমি সমস্ত মাননীয় সদস্যদের কাছে আবেদন রাখছি যে, আপনারা কিছুটা সময় বের করে নিজেদেরকে এই উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করান। এর ব্যবহার শিখুন, জানুন। এই প্রযুক্তি যত ভালো ব্যবহার জানতে পারবেন, আপনাদের তত বেশি সুবিধা হবে। নিজের আসনে বসে সবকিছু নিজের স্ক্রিনে রেখে নিজেদের অভিব্যক্তিকে আরও ভালোভাবে পরিস্ফুট করতে পারবেন। এখন লোকসভায় এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে যাঁরা অপারেট করছেন, তাঁদের কাছেও অনুরোধ যে, আপনারা অন্যান্য মাননীয় সদস্যদের দিকে আপনাদের হাত বাড়িয়ে দিন, তাঁরা এই প্রযুক্তি ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না। আমার বলার উদ্দেশ্য হ’ল – এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব, কিছুটা সময় বের করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। যত দ্রুত আপনারা এই কাজটা করতে পারবেন, আপনাদের কাজ তত ত্বরান্বিত হবে। 
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
আজ আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করছি। আমাদের এই প্রথম সংসদ ভবনেও প্রতি পদক্ষেপে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শুরুতে শিখতে কিছুটা সময় লাগবে, কিন্তু এই প্রযুক্তি অত্যন্ত ‘ইয়ুজার ফ্রেন্ডলি’। যে কেউ চেষ্টা করলেই দ্রুত রপ্ত করে নিতে পারবেন। আসুন, আমরা সকলে চেষ্টা করি। আমরা যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে একপ্রকার আন্তর্জাতিক স্তরে গেম চেঞ্জার বা বিশ্ব ক্রমে প্রথম সারিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি, সেক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের যাত্রাপথকে মসৃণ করবে; নতুন নতুন ভাবনা, নতুন উৎসাহ-উদ্দীপনা, নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। 
মাননীয় চেয়ারম্যান মহাশয়                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                    
আজ নতুন সংসদ ভবন দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের সাক্ষী হয়ে উঠছে। একটু আগেই লোকসভায় একটি বিল পেশ করা হয়েছে। সেখানে তর্ক-বিতর্কের পর, সেটি এখানেও আসবে। নারী শক্তির ক্ষমতায়নকে দিশা প্রদানের জন্য বিগত অনেক বছর ধরে যত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আজ আমরা সবাই মিলে নিতে চলেছি। আমাদের সরকার গোড়া থেকে চেষ্টা করেছে , জনগণের ‘ইজ অফ লিভিং’ এবং ‘কোয়ালিটি অফ লাইফ’ উন্নত করতে। আমরা যখন ‘ইজ অফ লিভিং’ এবং ‘কোয়ালিটি অফ লাইফ’ – এর কথা বলি, তখন আমি মনে করি, এর প্রথম দাবিদার আমাদের বোনেরা, আমাদের মহিলারা। কারণ, তাঁদেরকেই দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়। সেজন্য আমরা দেশ গঠনেও তাঁদের ভূমিকা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। তাঁরাও যেন সমান দায়িত্ব পালন করতে পারেন। অনেক নতুন নতুন ক্ষেত্রে আজ মহিলাদের শক্তি এবং মহিলাদের অংশীদারিত্ব নিরন্তর সুনিশ্চিতভাবে তাঁরা প্রমাণ করে চলেছেন। আমরাও আমাদের বোনেদের, এমনকি খনিতে কাজ করার অধিকার প্রদানের সিদ্ধান্তও নিয়েছি। এটা আপনাদের সকলের সহযোগিতাতেই সম্ভব হয়েছে। আমরা সমস্ত স্কুলের দরজা মেয়েদের জন্য খুলে দিয়েছি। কারণ, মেয়েদের মধ্যে সামর্থ্য রয়েছে, সেই সামর্থ্যকে আজ উন্মোচনের সুযোগ দেওয়া উচিৎ। তাঁদের জীবনে সমস্ত ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’র যুগ সমাপ্ত হয়েছে। এবার আমরা তাঁদের যত সুবিধা দেব, আমাদের মাতৃশক্তি - আমাদের মেয়ে ও বোনেরা তত বেশি সামর্থ্য দেখাবে। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযান আজ আর নিছকই সরকারি কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধ নয়। গোটা সমাজ একে আপন করে নিয়েছে। আর এর ফলে আমরা দেখেছি যে,  সমাজে মেয়েদের মান-সম্মান অনেক বেড়েছে। আমাদের চালু করা মুদ্রা যোজনা থেকে শুরু করে জন ধন  যোজনার মতো প্রতিটি প্রকল্প মহিলাদের বেশি উপকৃত করেছে। অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে আজ ভারতে সমস্ত অর্থনৈতিক গতিবিধিতে মহিলাদের সক্রিয় অবদান পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি মনে করি যে এই পরিবর্তন, তাঁদের পারিবারিক জীবনেও তাঁদের সামর্থ্যকে অধিক বিকশিত করেছে। এই সামর্থ্যকে এখন রাষ্ট্র জীবনেও তুলে ধরার সময় এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে আমাদের মা ও বোনেদের স্বাস্থ্য আরও ভালো থাকে। আমরা জানি যে, আগে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের জন্য কিভাবে সংসদ সদস্যদের পেছনে পেছনে ঘুরতে হত। গরীব পরিবারগুলির এই সমস্যা দূর করতে আমরা উজ্জ্বলা যোজনা শুরু করে দরিদ্র মা ও বোনেদের বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়েছি। মহিলাদের সম্মান বৃদ্ধির জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা নানা রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির অঙ্কের শিকার হওয়া তিন তালাকের বিষয়টি সমাধান করেছি। এত বড় মানবিক সিদ্ধান্ত আমরা দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মাননীয় সাংসদদের সাহায্যেই করতে পেরেছি। আমরা মহিলাদের সুরক্ষার অনুকূলে কড়া আইন প্রণয়নের কাজও আপনাদের সকলের সহযোগিতাতেই করতে পেরেছি। ‘উইমেন লেড ডেভেলপেমেন্ট’ বা মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় ছিল। বিশ্বের অনেক দেশের জন্য এই মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের বিষয়টি একদমই নতুন ছিল। তাঁরা এ ব্যাপারে অনভিজ্ঞ ছিলেন। আলোচনার সময় তাঁদের কন্ঠে কিছুটা ভিন্ন সুর শোনা গেছে। কিন্তু জি-২০’র ‘ডিক্লারেশন’ – এ সবাই এই ‘উইমেন লেড ডেভেলপমেন্ট’ – এর বিষয়টিকে মেনে নিয়েছেন। আর এজন্য আমরা সবাই গর্ব করতে পারি যে, এই প্রস্তাব ভারতের পক্ষ থেকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছেছিল। 
মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়,
এই প্রেক্ষিতে দীর্ঘকাল ধরে বিধানসভাগুলির ও লোকসভার প্রত্যক্ষ নির্বাচনে আমাদের বোনেদের অংশীদারিত্ব সুনিশ্চিত করার বিষয়টি উঠে এসেছে। দীর্ঘকাল ধরেই তাঁদের জন্য আসন সংরক্ষণ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলেছে। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু চেষ্টা করেছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম এই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। আর অটলজীর নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় তো কয়েকবার বিলও আনা হয়েছিল। কিন্তু, তখন আমরা সংখ্যায় কম ছিলাম। উগ্র বিরোধিতার আবহ ছিল। সেজন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে খুব অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু, আজ যখন আমরা নতুন সংসদ ভবনে এসেছি, নতুন সবকিছুর একটি উৎসাহ ও উদ্দীপনা থাকে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, দীর্ঘকাল ধরে যে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, এখন আমরা যেন সেটিকে আইনে পরিণত করে আমাদের দেশের উন্নয়ন যাত্রায় নারী শক্তির অংশীদারিত্ব সুনিশ্চিত করি - এখন সেই সময় এসেছে। আর সেজন্য ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’কে সংবিধান সংশোধনী রূপে সরকার আজ লোকসভায় পেশ করেছে। আগামীকাল লোকসভায় এটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। আর তারপর রাজ্যসভাতেও আসবে। আপনাদের সকলের প্রতি আমার অনুরোধ যে, এটি এমনই একটি বিষয়, যদি আমরা এটিকে সর্বসম্মতিতে এগিয়ে নিয়ে যাই, তা হলে বাস্তবে আমাদের শক্তি অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। আমার সমস্ত সাংসদদের কাছে অনুরোধ যে,  যখনই এই বিলটি রাজ্যসভায় আপনাদের সবার সামনে আসবে, আপনারা সকলে সর্বসম্মতি প্রদানের মাধ্যমে এটিকে আইনে পরিণত করতে সাহায্য করুন। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই এটা আসবে। আপনাদের কাছ থেকে এই সহযোগিতা প্রত্যাশা করে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি । 
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 धन्यवाद।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
FDI inflows into India cross $1 trillion, establishes country as key investment destination

Media Coverage

FDI inflows into India cross $1 trillion, establishes country as key investment destination
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of PM Modi's speech at launch of development works in Panipat, Haryana
December 09, 2024
PM lays the foundation stone of the main campus of Maharana Pratap Horticultural University, Karnal
Our government has taken unprecedented steps for women empowerment in the last 10 years: PM
Today, India is moving forward with the resolve to develop by the year 2047: PM
To empower women, it is very important that they get ample opportunities to move forward and every obstacle in their way is removed: PM
Today, a campaign has started to make lakhs of daughters Bima Sakhis: PM

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

हरि के ठिकाणे हरियाणे के सारे भाण भाइयां नै राम राम।

हरियाणा के राज्यपाल बंडारु दत्तात्रेय जी, यहां के लोकप्रिय और ऊर्जावान मुख्यमंत्री श्रीमान नायब सिंह जी, केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी निर्मला सीतारमण जी, और यहीं के संतान और यहीं के सांसद पूर्व मुख्यमंत्री और सरकार में मेरे साथी श्री मनोहर लाल जी, श्री कृष्ण पाल जी, हरियाणा सरकार में मंत्री श्रुति जी, आरती जी, सांसदगण, विधायकगण...देश के अनेकों LIC केंद्रों से जुड़े हुए सभी साथी, और प्यारे भाइयों और बहनों।

आज महिला सशक्तिकरण की दिशा में भारत एक और मजबूत कदम उठा रहा है। आज का दिन और भी वजहों से विशेष है। आज 9 तारीख है। शास्त्रों में 9 अंक को बहुत शुभ माना जाता है। 9 अंक नव दुर्गा की नौ शक्तियों से जुड़ा है। हम सब साल में नवरात्रि के 9 दिन शक्ति की उपासना करते हैं। आज का दिन भी नारी शक्ति की उपासना जैसा ही है।

साथियों,

आज 9 दिसंबर को ही संविधान सभा की पहली बैठक हुई थी। ऐसे समय में जब देश संविधान के 75 वर्ष का महोत्सव मना रहा है, 9 दिसंबर की ये तारीख हमें समानता की, विकास को सर्वस्पर्शी बनाने की प्रेरणा देती है।

साथियों,

विश्व को नीति और धर्म का ज्ञान देने वाली महान धरती पर आज के दिन आना और भी सुखद है। इस समय कुरुक्षेत्र में अंतरराष्ट्रीय गीता जयंती महोत्सव भी चल रहा है। मैं गीता की इस धरती को प्रणाम करता हूं, नमन करता हूं। मैं पूरे हरियाणा को, यहां के देशभक्त लोगों को राम-राम करता हूं। हरियाण ने एक हैं तो सेफ हैं इस मंत्र को जिस तरह अपनाया, वो पूरे देश के लिए उदाहरण बना है।

साथियों,

हरियाणा से मेरा रिश्ता, मेरा लगाव किसी से छिपा नहीं है। आप सभी ने हम सभी को इतना आशीर्वाद दिया, लगातार तीसरी बार हरियाणा में भाजपा सरकार बनाई, इसके लिए मैं हरियाणा के हर परिवारजन का वंदन करता हूं। सैनी जी की नई सरकार को अभी कुछ हफ्ते ही हुए हैं वैसे तो, और उनकी प्रशंसा पूरे देश में हो रही है। सरकार बनने के तुरंत बाद जिस तरह यहां बिना खर्ची, बिना पर्ची के हज़ारों नौजवानों को पक्की नौकरियां मिली हैं, वो देश ने देखा है। अब यहां डबल इंजन की सरकार, डबल रफ्तार से काम कर रही है।

साथियों,

चुनाव के दौरान आप सभी माताओं-बहनों ने नारा दिया था- म्हारा हरियाणा, नॉन स्टॉप हरियाणा। उस नारे को हम सभी ने अपना संकल्प बना दिया है। उसी संकल्प के साथ आज मैं यहां आप सबके दर्शन करने के लिए आया हूं। और मैं देख रहा हूं, जहां मेरी नजर पहुंच रही है माताएं-बहनें इतनी बड़ी तादाद में हैं।

साथियों,

अभी यहां देश की बहनों-बेटियों को रोजगार देने वाली बीमा सखी योजना की शुरुआत की गई है। बेटियों को अभी यहां बीमा सखी के प्रमाण पत्र दिए गए हैं। मैं देश की सभी बहनों को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

कुछ साल पहले मुझे यहां पानीपत से बेटी बचाओ, बेटी पढ़ाओ अभियान शुरु करने का सौभाग्य मिला था। इसका सकारात्मक प्रभाव हरियाणा के साथ-साथ पूरे देश में हुआ, अकेले हरियाणा में ही, बीते दशक में हज़ारों बेटियों का जीवन बचा है। अब 10 साल बाद, इसी पानीपत की धरती से बहनों-बेटियों के लिए बीमा सखी योजना का शुभारंभ हुआ है। यानि हमारा पानीपत एक प्रकार से नारीशक्ति की प्रतीक भूमि बन गया है।

साथियों,

आज भारत साल 2047 तक विकसित होने के संकल्प के साथ चल रहा है। 1947 से लेकर आजतक के कालखंड में हर वर्ग, हर क्षेत्र की ऊर्जा ने भारत को इस उंचाई तक पहुंचाया। लेकिन 2047 के विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि के लिए हमें ऊर्जा के ढेर सारे नए स्रोतों की ज़रूरत है। ऊर्जा का ऐसा ही एक स्रोत, हमारा पूर्वी भारत है, हमारे भारत का नॉर्थ ईस्ट है। और ऊर्जा का ऐसा ही महत्वपूर्ण स्रोत है, हमारे देश की नारीशक्ति, भारत की नारीशक्ति। भारत को विकसित बनाने के लिए हमें अतिरिक्त ऊर्जा, ये कोटि-कोटि हमारी माताएं-बहनें हैं, हमारी नारीशक्ति है, वो ही हमारी प्रेरणा की स्रोत रहने वाली है। आज जो ये महिला सेल्फ हेल्प ग्रुप हैं, बीमा सखी हैं, बैंक सखी हैं, कृषि सखी हैं, ये विकसित भारत का बहुत बड़ा आधार स्तंभ बनेंगी।

साथियों,

नारी को सशक्त करने के लिए बहुत आवश्यक है कि उन्हें आगे बढ़ने के खूब अवसर मिलें, उनके सामने से हर बाधा हटे। जब नारी को आगे बढ़ने का अवसर मिलता है, तो वो देश के सामने अवसरों के नए द्वार खोल देती हैं। लंबे समय तक हमारे देश में ऐसे अनेक काम थे, जो महिलाओं के लिए वर्जित थे, वहां महिलाएं काम कर ही नहीं सकती थीं। भाजपा की हमारी सरकार ने बेटियों के सामने से हर बाधा को हटाने की ठानी। आज आप देखिए, सेना के अग्रिम मोर्चों में बेटियों की तैनाती हो रही हैं। हमारी बेटियां अब बड़ी संख्या में फाइटर पायलट बन रही हैं। आज पुलिस में भी बड़ी संख्या में बेटियों की भर्ती हो रही है। आज बड़ी-बड़ी कंपनियों को, और उसकी कमान हमारी बेटियां संभाल रही हैं। देश में किसानों के, पशुपालकों के 1200 ऐसे उद्पादक संघ या सहकारी समितियां हैं, जिनका नेतृत्व महिलाएं कर रही हैं। खेल का मैदान हो या पढ़ाई का, बेटियां हर क्षेत्र में बहुत आगे चल रही हैं। गर्भवती महिलाओं की छुट्टी को बढ़ाकर 26 हफ्ते करने का भी लाभ लाखों बेटियों को मिला है।

साथियों,

कई बार जब हम किसी खिलाड़ी को मेडल पाकर गर्व से घूमते देखते हैं तो ये भूल जाते हैं कि उस मेडल को पाने के लिए उस खिलाड़ी ने, उस बेटी ने बरसों तक कितनी मेहनत की है। कोई एवरेस्ट पर तिरंगे के साथ फोटो खिंचवाता है तो उस खुशी में हम ये भूल जाते हैं कि वो व्यक्ति कितने बरसों के संघर्षों के बाद एवरेस्ट की ऊंचाई पर पहुंचा है। आज यहां जिस बीमा सखी कार्यक्रम की शुरुआत हो रही है, उसकी नींव में भी बरसों की मेहनत है, बरसों की तपस्या है। आज़ादी के 60-65 सालों बाद भी, अधिकतर महिलाओं के पास बैंक खाते नहीं थे। यानि पूरी बैंकिंग व्यवस्था से ही महिलाएं कटी हुई थीं। इसलिए हमारी सरकार ने सबसे पहले माताओं-बहनों के जनधन बैंक खाते खुलवाए। और आज मुझे गर्व है कि जनधन योजना से 30 करोड़ से ज्यादा बहनों-बेटियों के बैंक खाते खुले। क्या आपने कभी सोचा है अगर ये जनधन बैंक खाते ना होते तो क्या होता? जनधन बैंक खाते ना होते तो गैस सब्सिडी के पैसे सीधे आपके खाते में ना आते, कोरोना के समय मिलने वाली मदद ना मिली होती, किसान कल्याण निधि के पैसे महिलाओं के खाते में जमा ना हो पाते, बेटियों को ज्यादा ब्याज देने वाली सुकन्या समृद्धि योजना का लाभ मिलना मुश्किल होता, अपना घर बनाने के लिए पैसे बेटियों के खाते में सीधे ट्रांसफर ना होते, रेहड़ी-पटरी लगाने वाली बहनों के लिए बैंक के दरवाजे बंद ही रहते, और मुद्रा योजना से करोड़ों बहनों को बिना गारंटी का लोन भी मिलना मुश्किल होता। महिलाओं के पास अपने बैंक खाते थे, इसलिए वो मुद्रा लोन ले पाईं, पहली बार अपने मन का काम शुरू कर पाईं।

साथियों,

गांव-गांव में बैंकिंग सुविधाएं पहुंचाने में हमारी बहनों ने ही बड़ी भूमिका निभाई है। आप कल्पना कर सकते हैं जिनके बैंक खाते तक नहीं थे, वो अब बैंक सखी के रूप में गांव के लोगों को बैंकों से जोड़ रही हैं। बैंक में कैसे बचत होती है, कैसे लोन मिलता है, ये सब कुछ लोगों को सीखा रही हैं हमारी माताएं-बहनें। ऐसी लाखों बैंक सखियां आज गांव में सेवाएं दे रही हैं।

साथियों,

बैंक खाते की तरह ही, कभी महिलाओं का बीमा भी नहीं होता था। आज लाखों बेटियां, उनको बीमा एजेंट, बीमा सखी बनाने का अभियान शुरु हो रहा है। यानि जिस सेवा का लाभ पाने से कभी वो वंचित रहीं, आज उसी सेवा से दूसरे लोगों को जोड़ने का ज़िम्मा उन्हें दिया जा रहा है। आज बीमा जैसे सेक्टर के विस्तार का नेतृत्व भी एक प्रकार से अब महिलाएं ही करेंगी। बीमा सखी योजना के तहत 2 लाख महिलाओं को रोजगार के अवसर देने का लक्ष्य है। बीमा सखी कार्यक्रम के माध्यम से दसवीं पास बहनों-बेटियों को ट्रेनिंग दी जाएगी, उन्हें तीन साल तक आर्थिक मदद भी दी जाएगी, भत्ता दिया जाएगा। बीमा के सेक्टर से जुड़ा डेटा बताता है कि एक LIC एजेंट, हर महीने औसतन, average 15 हज़ार रुपए कमाता है। इस हिसाब से देखें तो हमारी बीमा सखियां, हर वर्ष पौने दो लाख रुपए से अधिक कमाएंगी। बहनों की ये कमाई परिवार को अतिरिक्त आय देगी।

साथियों,

बीमा सखियों के इस काम का महत्व सिर्फ इतना ही नहीं है कि उन्हें हर महीने हज़ारों रुपए कमाई होगी। बीमा सखियों का योगदान इससे कहीं अधिक होने वाला है। विकसित होते हमारे देश में Insurance for All हम सभी का ध्येय है। ये सोशल सिक्योरिटी के लिए, गरीबी को जड़ से मिटाने के लिए अति आवश्यक है। आज बीमा सखी के रूप में आप जिस भूमिका में आ रही हैं, उससे Insurance for All उस मिशन को बल मिलेगा।

साथियों,

जब व्यक्ति के पास बीमा की ताकत होती है, तो कितना लाभ होता है, इसके उदाहरण भी हमारे सामने हैं। सरकार, प्रधानमंत्री जीवन ज्योति बीमा और प्रधानमंत्री सुरक्षा बीमा योजनाएं चला रही है। इसके तहत बहुत ही कम प्रीमियम पर 2-2 लाख रुपए तक का बीमा कराया जाता है। देश के 20 करोड़ से ज्यादा लोग जो कभी बीमा के बारे में सोच भी नहीं सकते थे, उनका बीमा हुआ है। इन दोनों योजनाओं के तहत अभी तक करीब 20 हज़ार करोड़ रुपए की क्लेम राशि दी जा चुकी है। आप कल्पना कीजिए, किसी का एक्सीडेंट हुआ, किसी ने अपने स्वजन को खोया, उस मुश्किल परिस्थिति में ये 2 लाख रुपए कितने काम आए होंगे। यानि बीमा सखियां, देश के अनेक परिवारों को सामाजिक सुरक्षा का कवच देने जा रही हैं, पुण्य का काम करने जा रही हैं।

साथियों,

भारत में पिछले 10 साल में ग्रामीण महिलाओं के लिए जो क्रांतिकारी नीतियां बनीं, जो निर्णय लिए हैं वो वाकई स्टडी का विषय हैं। बीमा सखी, बैंक सखी, कृषि सखी, पशु सखी, ड्रोन दीदी, लखपति दीदी ये नाम भले ही बड़े सहज से लगते हों, सामान्य लगते हों, लेकिन ये भारत का भाग्य बदल रहे हैं। खासतौर पर भारत का सेल्फ हेल्प ग्रुप अभियान, महिला सशक्तिकरण की ऐसी गाथा है, जिसे इतिहास में स्वर्ण अक्षरों में लिखा जाएगा। हमने महिला सेल्फ हेल्प ग्रुप को ग्रामीण अर्थव्यवस्था में परिवर्तन लाने का बड़ा माध्यम बनाया है। आज देशभर की 10 करोड़ बहनें, सेल्फ हेल्प ग्रुप से जुड़ी हैं, उनसे जुड़कर महिलाओं की कमाई हो रही है। बीते 10 साल में हमने सेल्फ हेल्प ग्रुप की महिलाओं को 8 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा की मदद दी है।

साथियों,

मैं देशभर में सेल्फ हेल्फ ग्रुप्स से जुड़ी बहनों से भी कहूंगा, आपकी भूमिका असाधारण है, आपका योगदान बहुत बड़ा है। आप सभी, भारत को दुनिया की तीसरी बड़ी आर्थिक ताकत बनाने के लिए काम कर रही हैं। इसमें हर समाज, हर वर्ग, हर परिवार की बहनें जुड़ी हैं। इसमें सबको अवसर मिल रहे हैं। यानि सेल्फ हेल्प ग्रुप्स का ये आंदोलन, सामाजिक समरसता को, सामाजिक न्याय को भी सशक्त कर रहा है। हमारे यहां कहा जाता है कि एक बेटी पढ़ती है, तो दो परिवार पढ़ते हैं। वैसे ही सेल्फ हेल्प ग्रुप से सिर्फ एक महिला की आय बढ़ती है, इतना ही नहीं है, इससे एक परिवार का आत्मविश्वास बढ़ता है, पूरे गांव का आत्मविश्वास बढता है। इतना काम, इतना बड़ा काम आप सभी कर रहे हैं।

साथियों,

मैंने लाल किले से 3 करोड़ लखपति दीदी बनाने की भी घोषणा की है। अभी तक देशभर में 1 करोड़ 15 लाख से अधिक लखपति दीदी बन चुकी हैं। ये बहनें हर साल एक लाख रुपए से अधिक की कमाई करने लगी हैं। सरकार की नमो ड्रोन दीदी योजना से भी लखपति दीदी अभियान को बल मिल रहा है। हरियाणा में तो नमो ड्रोन दीदी की बहुत चर्चा है। हरियाणा चुनाव के दौरान मैंने कुछ बहनों के इंटरव्यू पढ़े थे। उसमें एक बहन ने बताया कि कैसे उसने ड्रोन पायलट की ट्रेनिंग ली, उनके ग्रुप को ड्रोन मिला। उस बहन ने बताया कि पिछले खरीफ सीज़न में उनको ड्रोन से स्प्रे करने का काम मिला। उन्होंने लगभग 800 एकड़ खेती में ड्रोन से स्प्रे दवा का छिड़काव किया। आप जानती हैं उनको इससे कितना पैसा मिला? इससे उनको 3 लाख रुपए की कमाई हुई। यानि एक सीज़न में ही लाखों की कमाई हो रही है। इस योजना से ही खेती और बहनों का जीवन, दोनों बदल रहा है।

साथियों,

आज देश में आधुनिक खेती, प्राकृतिक खेती, नैचुरल फार्मिंग इसके बारे में जागरुकता बढ़ाने के लिए हज़ारों कृषि सखियों को ट्रेनिंग दी जा रही है। करीब 70 हज़ार कृषि सखियों को सर्टिफिकेट मिल भी चुके हैं। ये कृषि सखियां भी हर वर्ष 60 हज़ार रुपए से अधिक कमाने का सामर्थ्य रखती हैं। ऐसे ही, सवा लाख से अधिक पशु सखियां आज पशुपालन को लेकर जागरूकता अभियान का हिस्सा बनी हैं। कृषि सखी, पशु सखी ये भी सिर्फ रोजगार का माध्यम नहीं हैं, आप सभी मानवता की भी बहुत बड़ी सेवा कर रही हैं। जैसे मरीज़ को नई ज़िंदगी देने में नर्स का बहुत बड़ा योगदान होता है, वैसे ही हमारी कृषि सखियां, आने वाली पीढ़ियों के लिए धरती माता को बचाने का काम कर रही हैं। ये प्राकृतिक खेती के लिए जागरूकता फैलाकर मिट्टी की, हमारे किसानों की, धरती माता की सेवा कर रही हैं। इसी प्रकार हमारी पशु सखियां भी, पशुओं की सेवा से मानव सेवा का बहुत पुण्य काम कमा रही हैं।

साथियों,

हर चीज़ को राजनीति के, वोटबैंक को उस तराज़ू पर तौलने वाले लोग, आजकल बहुत हैरान- परेशान हैं। उनको समझ ही नहीं आ रहा है कि चुनाव दर चुनाव, मोदी के खाते में माताओं-बहनों-बेटियों का आशीर्वाद बढ़ता ही क्यों जा रहा है। जिन लोगों ने माताओं-बहनों को सिर्फ वोट बैंक समझा और चुनाव के समय घोषणाएं करने की ही राजनीति की, वो इस मजबूत रिश्ते को समझ भी नहीं पाएंगे। आज माताओं-बहनों का इतना लाड-प्यार मोदी को क्यों मिलता है, ये समझने के लिए उन्हें बीते 10 वर्षों के सफर को याद करना होगा। 10 साल पहले करोड़ों बहनों के पास एक अदद शौचालय नहीं था। मोदी ने देश में 12 करोड़ से अधिक टॉयलेट बनाए। 10 साल पहले करोड़ों बहनों के पास गैस कनेक्शन नहीं था, मोदी ने उन्हें उज्ज्वला के मुफ्त कनेक्शन दिए, सिलेंडर सस्ते किए। बहनों के घरों में पानी का नल नहीं था, हमने घर-घर नल से जल पहुंचाना शुरु किया। पहले कोई प्रॉपर्टी महिलाओं के नाम नहीं होती थी, हमने करोड़ों बहनों को पक्के घर की मालकिन बना दिया। कितने लंबे समय से महिलाएं मांग कर रही थीं, कि उन्हें विधानसभा और लोकसभा में 33 प्रतिशत आरक्षण दिया जाए। आपके आशीर्वाद से इस मांग को पूरा करने का सौभाग्य भी हमें मिला। जब सही नीयत से, ऐसे ईमानदार प्रयास होते हैं, तभी आप बहनों का आशीर्वाद मिलता है।

साथियों,

हमारी डबल इंजन सरकार किसानों के कल्याण के लिए भी ईमानदारी से काम कर रही है। पहले दो कार्यकाल में हरियाणा के किसानों को MSP के रूप में सवा लाख करोड़ रुपए से अधिक मिला है। यहां तीसरी बार सरकार बनने के बाद धान, बाजरा और मूंग किसानों को MSP के रूप में 14 हज़ार करोड़ रुपए दिए गए हैं। सूखा प्रभावित किसानों की मदद के लिए भी 800 करोड़ रुपए से अधिक दिए गए हैं। हम सब जानते हैं, हरियाणा को हरित क्रांति का अगुआ बनाने में चौधरी चरण सिंह विश्विद्यालय ने बड़ी भूमिका निभाई है। अब 21वीं सदी में हरियाणा को फल और सब्ज़ी के क्षेत्र में अग्रणी बनाने में महाराणा प्रताप विश्वविद्यालय का रोल अहम होगा। आज महाराणा प्रताप बागवानी विश्वविद्यालय के नए कैंपस का शिलान्यास हुआ है। इससे इस यूनिवर्सिटी में पढ़ रहे नौजवानों को नई सहूलियत मिलेगी।

साथियों,

आज मैं हरियाणा के आप सभी लोगों को, सभी बहनों को फिर से ये भरोसा दे रहा हूं कि राज्य का तेजी से विकास होगा, डबल इंजन की सरकार, तीसरे कार्यकाल में तीन गुना तेजी से काम करेगी। और इसमें यहां की नारीशक्ति की भूमिका इसी तरह लगातार बढ़ती रहेगी। आपका प्यार, आपका आशीर्वाद, यूं ही हम पर बना रहे। इसी कामना के साथ फिर से सभी को बहुत-बहुत बधाई, बहुत-बहुत शुभकामनाएं। मेरे साथ बोलिए-

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

भारत माता की जय।

बहुत-बहुत धन्यवाद।