“প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতাকে শক্তিশালী করে তোলার ওপর দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে”
“স্বতন্ত্রতা ও বিস্ময়কর ঘটনা তখনই ঘটতে পারে, যখন আপনার নিজের দেশে এই সরঞ্জামগুলি তৈরি হবে”
“এবারের বাজেটে দেশের অভ্যন্তরে গবেষণা, নক্‌শা ও উন্নয়ন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত একটি ইকো ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার ব্লু প্রিন্ট রয়েছে”
“দেশীয় অস্ত্র কেনার জন্য ৫৪ হাজার কোটি টাকা মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে”
“প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশের জন্য পরীক্ষার স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা, সময় সীমা, পরীক্ষা এবং শংসাপত্র অপরিহার্য”

নমস্কার!

আজকের ওয়েবিনারের থিম – ‘আত্মনির্ভরতা ইন ডিফেন্স – কল টু অ্যাকশন’ দেশের ইচ্ছাশক্তিকে স্পষ্ট করছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত তার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দিচ্ছে তার দায়বদ্ধতা আপনারা এ বছরের বাজেটেও দেখতে পাবেন।

বন্ধুগণ,

পরাধীন ভারতে দাসত্বের কালখণ্ডে যেমন, তেমনই স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেও আমাদের ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারিং বা প্রতিরক্ষা উৎপাদনের শক্তি অনেক বেশি ছিল। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ভারতে নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র বড় ভূমিকা পালন করত, কিন্তু পরবর্তী বছরগুলিতে আমাদের এই শক্তি ক্রমে দুর্বল হয়েছে। এটা থেকে স্পষ্ট হয় যে ভারতের ক্ষমতা কখনও কম ছিল না, আর এখনও কম নেই।

বন্ধুগণ,

প্রতিরক্ষার যে মূল সিদ্ধান্ত সেটি হল – আপনার কাছে নিজস্ব কাস্টমাইজড এবং ইউনিক সিস্টেম থাকতে হবে। তবেই সেটা আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। যদি ১০টি দেশের কাছে একই ধরনের প্রতিরক্ষা উপকরণ থাকে, তাহলে আপনার সেনাবাহিনীর হাতে কোনও ইউনিকনেস বা বিশি ষ্টতা    থাকবে না। এই বিশিষ্টতা  এবং সারপ্রাইজ এলিমেন্ট বা চমকের উপাদান তখনই আপনার হাতে থাকতে পারে যখন এর সমস্ত উপকরণ ও সাজসরঞ্জাম আপনার নিজের দেশেই বিকশিত হবে।  

বন্ধুগণ,

এ বছরের বাজেটে দেশের মধ্যেই গবেষণা, নকশা তৈরি করা এবং সমরাস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম উন্নয়ন থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত একটি ভাইব্র্যান্ট ইকো-সিস্টেম বিকশিত করার ব্লু-প্রিন্ট পেশ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাজেটে প্রায় ৭০ শতাংশ শুধুই দেশীয় শিল্পোদ্যোগের জন্য রাখা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত ২০০-রও বেশি ডিফেন্স প্ল্যাটফর্ম এবং সাজসরঞ্জামের পজিটিভ ইন্ডিজিনেশন তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকা ঘোষণার পর ডোমেস্টিক প্রোকিওরমেন্টের জন্য প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। তাছাড়া, ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সরঞ্জামের ক্রয় প্রক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। অতি দ্রুত তৃতীয় তালিকাও প্রকাশিত হতে চলেছে। এটা স্পষ্ট করে যে আমাদের দেশেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকে কিভাবে সমর্থন করা হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

যখন আমরা বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র কিনে আনি, তখন তার প্রক্রিয়া এত দীর্ঘ হয় যে, যখন সেগুলি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলির হাতে এসে পৌঁছয়, ততদিনে এর মধ্যে অনেকগুলিই কালবাহ্য হয়ে পড়ে। এর সমাধানও ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ আর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানের মধ্যেই রয়েছে। আমি দেশের সেনাবাহিনীকেও প্রশংসা করব, কারণ তাঁরাও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের আত্মনির্ভরতার গুরুত্ব বুঝে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আজ আমাদের সেনাবাহিনীগুলির কাছে ভারতে নির্মিত সাজসরঞ্জাম থাকলে তাদের আত্মবিশ্বাস, তাদের গর্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। এক্ষেত্রে আমাদের সীমান্তে মোতায়েন সৈনিকদের মনোভাবকেও বোঝা উচিৎ। আমার মনে আছে, যখন আমি ক্ষমতার কোনও অলিন্দে ছিলাম না, আমি যখন শুধুই দলের কাজ করতাম, যখন পাঞ্জাব আমার কর্মক্ষেত্র ছিল, তখন একবার ওয়াঘা সীমান্তে সৈনিকদের সঙ্গে গল্প করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন যে জওয়ানরা সেখানে মোতায়েন ছিলেন, তাঁরা আলোচনার সময় আমার সামনে একটি কথা বলে ফেলেছিলেন, আর সেই কথা আমার হৃদয় স্পর্শ করেছিল। তাঁরা বলেছিলেন যে ওয়াঘা বর্ডারে ভারতের যে গেট রয়েছে, সেটি আমাদের শত্রু দেশের গেট থেকে আকারে সামান্য ছোট। আমাদের গেটটা আকারে তাদের থেকে বড় হওয়া উচিৎ, আর আমাদের জাতীয় পতাকার দণ্ডটিও যেন তাদের থেকে লম্বা হয়। এরকমই আমাদের জওয়ানদের মনের ভাবনা। আমাদের দেশের সৈনিকরা এই ভাবনা নিয়েই সীমান্তে তটস্থ থাকেন। ভারতে নির্মিত যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে তাঁদের মনে একটি ভিন্ন আত্মাভিমান থাকে। সেজন্য আমাদের যত প্রতিরক্ষা উপকরণ রয়েছে, সেগুলির জন্য আমাদের নিজেদের সৈনিকদের ভাবনাকে সম্মান জানানো উচিৎ। এটা আমরা তখনই করতে পারব যখন আমরা আত্মনির্ভর হব।

বন্ধুগণ,

আগেকার আমলে যুদ্ধ ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে হত। আজ ভিন্ন পদ্ধতিতে হয়। আগে যুদ্ধের সাজসরঞ্জামে পরিবর্তন আসতে অনেক দশক লেগে যেত। কিন্তু আজ যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম প্রায় প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে। আজকে যে অস্ত্র অত্যন্ত কার্যকরি, সেই অস্ত্র কালবাহ্য হতে সময় লাগে না। যত আধুনিক প্রযুক্তি-ভিত্তিক অস্ত্রশস্ত্র আসছে সেগুলি তো আরও দ্রুত কালবাহ্য হয়ে পড়ে। ভারতের যে তথ্যপ্রযুক্তির শক্তি রয়েছে সেটা আমাদের অত্যন্ত বড় সামর্থ্য। এই শক্তিকে আমরা যত বেশি নিজেদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করব, ততটাই আমরা নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সুরক্ষিত ও আশ্বস্ত থাকব। যেমন, এখন সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যদি কথা বলি, তাহলে এটা বলা যেতে পারে যে, এখন এই সাইবার নিরাপত্তাও যুদ্ধের একটা হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তা নিছকই কোনও ডিজিটাল অ্যাক্টিভিটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন দেশের নিরাপত্তার বিষয় হয়ে উঠেছে।২

বন্ধুগণ,

এটা আপনারাও খুব ভালোভাবে জানেন যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সব সময়েই কী ধরনের প্রতিযোগিতা থাকে। আগেকার দিনে বিদেশি কোম্পানিগুলি থেকে যত সাজসরঞ্জাম ও অস্ত্রশস্ত্র কেনা হত, সেগুলি নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের আরোপ-প্রত্যারোপ চলত। আমি আজ সেসব বিষয়ের গভীরে যেতে চাই না। কিন্তু একথা সত্যি যে প্রত্যেক ক্রয়ের সময় বিবাদ সৃষ্টি হত, ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদনকারীর মধ্যেও যে প্রতিযোগিতা থাকে, তার কারণে অপর পক্ষের পণ্যকে ছোট করে দেখানো বা তার খুঁত বের করার অভিযান একটা চিরকালীন ব্যাপার। আর সেজন্য নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, নানা আশঙ্কাও সৃষ্টি হয় আর এভাবেই দুর্নীতির দরজাও খুলে যায়। কোন সাজসরঞ্জাম বা অস্ত্রশস্ত্র ভালো, আর কোনটা খারাপ, কোনটা আমাদের জন্য বেশি কার্যকর হবে, কোনটা ভালো হলেও আমাদের জন্য কার্যকর হবে না, তা নিয়েও অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। অনেক বিতর্ক পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়। কর্পোরেট জগতও এই লড়াইয়ের অংশীদার হয়ে ওঠে। ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর মাধ্যমে আমরা এরকম অনেক সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

যখন সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে, সঙ্কল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই, তখন কেমন পরিণাম আসে তার একটি উন্নত উদাহরণ আমাদের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি। একটু আগেই আমাদের প্রতিরক্ষা সচিব এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। গত বছরের আগে আমরা সাতটি নতুন ডিফেন্স পাবলিক আন্ডারটেকিংস গঠন করেছিলাম। আজ সেগুলি দ্রুতগতিতে বিজনেসের সম্প্রসারণ করছে আর নতুন নতুন বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। রপ্তানির অর্ডারগুলিও নিচ্ছে। এটাও অত্যন্ত সুখের বিষয় যে বিগত ৫-৬ বছরে প্রতিরক্ষা রপ্তানি ক্ষেত্রে আমরা ছয়গুণ বৃদ্ধির সাফল্য পেয়েছি। আজ আমরা ৭৫টিরও বেশি দেশকে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া ডিফেন্স ইকুইপমেন্টস’ এবং পরিষেবা প্রদান করছি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে আমাদের সরকার যেভাবে উৎসাহ যোগাচ্ছে তার পরিণামস্বরূপ বিগত সাত বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে ৩৫০টিরও বেশি কোম্পানিকে নতুন শিল্পোদ্যোগ লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। যেখানে ২০০১ থেকে ২০১৪-র মধ্যে মাত্র ২০০টি এমন কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।

বন্ধুগণ,

বেসরকারি ক্ষেত্রও ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং ডিফেন্স পাবলি সেক্টর ইউনিটস-এর সমকক্ষ হয়ে উঠুক, সেজন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বাজেটের ২৫ শতাংশ শিল্পোদ্যোগ, স্টার্ট-আপস এবং অ্যাকাডেমিয়ার জন্য রাখা হয়েছে। বাজেটে ‘স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল মডেল’-এর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা বেসরকারি শিল্পোদ্যোগের ভূমিকাও নিছকই একটি ভেন্ডার কিংবা সরবরাহকারী হিসেবে থেমে থাকবে না, এটি একটি অংশীদার রূপেও তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবে। আমরা মহাকাশ ক্ষেত্র এবং ড্রোন ক্ষেত্রেও বেসরকারি অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছি। উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর ডিফেন্স করিডরগুলিতে ও পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল প্ল্যানের সঙ্গে এগুলিকে যুক্ত করেছি। এভাবে তৈরি নতুন ব্যবস্থা দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাবে।

বন্ধুগণ,

‘ট্রায়াল, টেস্টিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন’-এর ব্যবস্থা স্বচ্ছ, সময় নির্ধারিত, প্র্যাগমেটিক এবং নিরপেক্ষ করে তোলা একটি স্পন্দিত প্রতিরক্ষা শিল্পোদ্যোগ বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর জন্য একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থা গড়ে তুলে এই ধরনের সমস্যাগুলিকে দূর করার ক্ষেত্রে উপযোগী প্রমাণিত হতে পারে। এর ফলে দেশে প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের কাজও মাত্রা পাবে।

বন্ধুগণ,

আপনাদের সবার কাছ থেকে দেশের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই আলোচনার ফলে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার নতুন নতুন পথ খুলে যাবে। আমি চাই যে আজ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে আমরা শুনব, আপনাদের সামনে আমি দীর্ঘ ভাষণ দিতে চাই না। আজকের এই দিনটি আপনাদের দিন। আপনারা ব্যবহারিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরুন, সমস্যা ও সমাধান নিয়ে নিজেদের বক্তব্য রাখুন। এখন বাজেট নির্ধারিত হয়ে গেছে। ১ এপ্রিল থেকে নতুন বাজেট কার্যকরী হবে। আমাদের হাতে প্রস্তুতির জন্য একটি গোটা মাস রয়েছে। আমাদের এত দ্রুত কাজ করতে হবে যে ১ এপ্রিল থেকেই যাতে সমস্ত প্রক্রিয়া কার্যকর হতে শুরু করে। এই যে এক্সারসাইজ, এটাই আমরা চাইছিলাম। আমরা বাজেটকেও এক মাস আগে পেশ করার পদ্ধতি গড়ে তুলেছি। এর পেছনেও আমাদের উদ্দেশ্য এটাই যে আমরা প্রকৃত বাজেট বাস্তবায়নের আগে, কার্যকর করার আগে, সমস্ত সরকারি বিভাগগুলিকে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে প্রস্তুতি নেওয়ার সম্পূর্ণ সুযোগ দেব যাতে আমাদের সময় নষ্ট না হয়। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাই, এটা দেশভক্তির কাজ, এটা দেশ সেবার কাজ। আসুন আমরা কবে লাভ হবে, কত লাভ হবে তা নিয়ে পরে চিন্তা করি। আগে আমরা দেশকে কিভাবে শক্তিশালী করে তুলব তা নিয়ে ভাবি। আমি আপনাদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আর আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ আমাদের সশস্ত্র সেনাবাহিনীগুলি, আমাদের সেনার সমস্ত শাখা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই কাজে সমস্ত উদ্যোগ নিচ্ছে এবং উৎসাহ যোগাচ্ছে। এখন এই সুযোগ আমাদের বেসরকারি কোম্পানিগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যেন না হারান। আমি আরও একবার আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই।

আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই! ধন্যবাদ!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi

Media Coverage

Exclusive: Just two friends in a car, says Putin on viral carpool with PM Modi
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
India–Russia friendship has remained steadfast like the Pole Star: PM Modi during the joint press meet with Russian President Putin
December 05, 2025

Your Excellency, My Friend, राष्ट्रपति पुतिन,
दोनों देशों के delegates,
मीडिया के साथियों,
नमस्कार!
"दोबरी देन"!

आज भारत और रूस के तेईसवें शिखर सम्मेलन में राष्ट्रपति पुतिन का स्वागत करते हुए मुझे बहुत खुशी हो रही है। उनकी यात्रा ऐसे समय हो रही है जब हमारे द्विपक्षीय संबंध कई ऐतिहासिक milestones के दौर से गुजर रहे हैं। ठीक 25 वर्ष पहले राष्ट्रपति पुतिन ने हमारी Strategic Partnership की नींव रखी थी। 15 वर्ष पहले 2010 में हमारी साझेदारी को "Special and Privileged Strategic Partnership” का दर्जा मिला।

पिछले ढाई दशक से उन्होंने अपने नेतृत्व और दूरदृष्टि से इन संबंधों को निरंतर सींचा है। हर परिस्थिति में उनके नेतृत्व ने आपसी संबंधों को नई ऊंचाई दी है। भारत के प्रति इस गहरी मित्रता और अटूट प्रतिबद्धता के लिए मैं राष्ट्रपति पुतिन का, मेरे मित्र का, हृदय से आभार व्यक्त करता हूँ।

Friends,

पिछले आठ दशकों में विश्व में अनेक उतार चढ़ाव आए हैं। मानवता को अनेक चुनौतियों और संकटों से गुज़रना पड़ा है। और इन सबके बीच भी भारत–रूस मित्रता एक ध्रुव तारे की तरह बनी रही है।परस्पर सम्मान और गहरे विश्वास पर टिके ये संबंध समय की हर कसौटी पर हमेशा खरे उतरे हैं। आज हमने इस नींव को और मजबूत करने के लिए सहयोग के सभी पहलुओं पर चर्चा की। आर्थिक सहयोग को नई ऊँचाइयों पर ले जाना हमारी साझा प्राथमिकता है। इसे साकार करने के लिए आज हमने 2030 तक के लिए एक Economic Cooperation प्रोग्राम पर सहमति बनाई है। इससे हमारा व्यापार और निवेश diversified, balanced, और sustainable बनेगा, और सहयोग के क्षेत्रों में नए आयाम भी जुड़ेंगे।

आज राष्ट्रपति पुतिन और मुझे India–Russia Business Forum में शामिल होने का अवसर मिलेगा। मुझे पूरा विश्वास है कि ये मंच हमारे business संबंधों को नई ताकत देगा। इससे export, co-production और co-innovation के नए दरवाजे भी खुलेंगे।

दोनों पक्ष यूरेशियन इकॉनॉमिक यूनियन के साथ FTA के शीघ्र समापन के लिए प्रयास कर रहे हैं। कृषि और Fertilisers के क्षेत्र में हमारा करीबी सहयोग,food सिक्युरिटी और किसान कल्याण के लिए महत्वपूर्ण है। मुझे खुशी है कि इसे आगे बढ़ाते हुए अब दोनों पक्ष साथ मिलकर यूरिया उत्पादन के प्रयास कर रहे हैं।

Friends,

दोनों देशों के बीच connectivity बढ़ाना हमारी मुख्य प्राथमिकता है। हम INSTC, Northern Sea Route, चेन्नई - व्लादिवोस्टोक Corridors पर नई ऊर्जा के साथ आगे बढ़ेंगे। मुजे खुशी है कि अब हम भारत के seafarersकी polar waters में ट्रेनिंग के लिए सहयोग करेंगे। यह आर्कटिक में हमारे सहयोग को नई ताकत तो देगा ही, साथ ही इससे भारत के युवाओं के लिए रोजगार के नए अवसर बनेंगे।

उसी प्रकार से Shipbuilding में हमारा गहरा सहयोग Make in India को सशक्त बनाने का सामर्थ्य रखता है। यह हमारेwin-win सहयोग का एक और उत्तम उदाहरण है, जिससे jobs, skills और regional connectivity – सभी को बल मिलेगा।

ऊर्जा सुरक्षा भारत–रूस साझेदारी का मजबूत और महत्वपूर्ण स्तंभ रहा है। Civil Nuclear Energy के क्षेत्र में हमारा दशकों पुराना सहयोग, Clean Energy की हमारी साझा प्राथमिकताओं को सार्थक बनाने में महत्वपूर्ण रहा है। हम इस win-win सहयोग को जारी रखेंगे।

Critical Minerals में हमारा सहयोग पूरे विश्व में secure और diversified supply chains सुनिश्चित करने के लिए महत्वपूर्ण है। इससे clean energy, high-tech manufacturing और new age industries में हमारी साझेदारी को ठोस समर्थन मिलेगा।

Friends,

भारत और रूस के संबंधों में हमारे सांस्कृतिक सहयोग और people-to-people ties का विशेष महत्व रहा है। दशकों से दोनों देशों के लोगों में एक-दूसरे के प्रति स्नेह, सम्मान, और आत्मीयताका भाव रहा है। इन संबंधों को और मजबूत करने के लिए हमने कई नए कदम उठाए हैं।

हाल ही में रूस में भारत के दो नए Consulates खोले गए हैं। इससे दोनों देशों के नागरिकों के बीच संपर्क और सुगम होगा, और आपसी नज़दीकियाँ बढ़ेंगी। इस वर्ष अक्टूबर में लाखों श्रद्धालुओं को "काल्मिकिया” में International Buddhist Forum मे भगवान बुद्ध के पवित्र अवशेषों का आशीर्वाद मिला।

मुझे खुशी है कि शीघ्र ही हम रूसी नागरिकों के लिए निशुल्क 30 day e-tourist visa और 30-day Group Tourist Visa की शुरुआत करने जा रहे हैं।

Manpower Mobility हमारे लोगों को जोड़ने के साथ-साथ दोनों देशों के लिए नई ताकत और नए अवसर create करेगी। मुझे खुशी है इसे बढ़ावा देने के लिए आज दो समझौतेकिए गए हैं। हम मिलकर vocational education, skilling और training पर भी काम करेंगे। हम दोनों देशों के students, scholars और खिलाड़ियों का आदान-प्रदान भी बढ़ाएंगे।

Friends,

आज हमने क्षेत्रीय और वैश्विक मुद्दों पर भी चर्चा की। यूक्रेन के संबंध में भारत ने शुरुआत से शांति का पक्ष रखा है। हम इस विषय के शांतिपूर्ण और स्थाई समाधान के लिए किए जा रहे सभी प्रयासों का स्वागत करते हैं। भारत सदैव अपना योगदान देने के लिए तैयार रहा है और आगे भी रहेगा।

आतंकवाद के विरुद्ध लड़ाई में भारत और रूस ने लंबे समय से कंधे से कंधा मिलाकर सहयोग किया है। पहलगाम में हुआ आतंकी हमला हो या क्रोकस City Hall पर किया गया कायरतापूर्ण आघात — इन सभी घटनाओं की जड़ एक ही है। भारत का अटल विश्वास है कि आतंकवाद मानवता के मूल्यों पर सीधा प्रहार है और इसके विरुद्ध वैश्विक एकता ही हमारी सबसे बड़ी ताक़त है।

भारत और रूस के बीच UN, G20, BRICS, SCO तथा अन्य मंचों पर करीबी सहयोग रहा है। करीबी तालमेल के साथ आगे बढ़ते हुए, हम इन सभी मंचों पर अपना संवाद और सहयोग जारी रखेंगे।

Excellency,

मुझे पूरा विश्वास है कि आने वाले समय में हमारी मित्रता हमें global challenges का सामना करने की शक्ति देगी — और यही भरोसा हमारे साझा भविष्य को और समृद्ध करेगा।

मैं एक बार फिर आपको और आपके पूरे delegation को भारत यात्रा के लिए बहुत बहुत धन्यवाद देता हूँ।