
ভারত মাতা কি জয়!
ভারত মাতা কি জয়!
ভারত মাতা কি জয়!
বিহারের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান জি; রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতিশ কুমার জি; আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী – শ্রী জিতন রাম মাঞ্জি জি, শ্রী গিরিরাজ সিং জি, শ্রী লালন সিং জি, শ্রী চিরাগ পাসওয়ান জি; বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী সম্রাট চৌধারী জি এবং শ্রী বিজয় সিনহা জি; আমার সাংসদবৃন্দ, বিহারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ এবং আমার প্রিয় বিহারের ভাই ও বোনেরা।
আজ আমি ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস করেছি। আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এখানে একজন তরুণ রামমন্দিরের একটি পূর্ণাঙ্গ মডেল আমার জন্য নিয়ে এসেছেন। কী
অনন্যসাধারণ সৃষ্টি!
বন্ধুগণ,
২১ শতকে গোটা বিশ্ব দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। একসময় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল পশ্চিমি দেশগুলি। এখন পূর্বের দেশগুলিরও প্রভাব ক্রমশ বেড়ে চলেছে। একই ভাবে ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিও উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে। আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার হল, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের মুম্বইয়ের মতোই পূর্বাঞ্চলের মোতিহারিকে গড়ে তোলা।
ভাই ও বোনেরা,
পূর্ব ভারতের উত্থান সুনিশ্চিত করতে হলে, আমাদের অবশ্যই বিহারকে উন্নত রাজ্যে পরিণত করতে হবে। ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের শাসনে কেন্দ্রের কংগ্রেস এবং আরজেডি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বিহার মাত্র প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর গত ১০ বছরে এনডিএ সরকারের আমলে এই বরাদ্দ অর্থ বাড়িয়ে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে। দুই দশক আগে বিহারের মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, গত ১১ বছরে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা বিহারের গরিব মানুষের হাতে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দেশজুড়ে গরিবদের জন্য ৪ কোটির বেশি বাসগৃহ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছে বিহারে।
শুধুমাত্র বিহারের মোতিহারি জেলাতেই ৩ লক্ষ গরিব পরিবারের জন্য পাকাবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি আজ ১২ হাজারের বেশি পরিবার তাঁদের নিজেদের পাকাবাড়িতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। ৪০ হাজারের বেশি গরিব পরিবার নিজেদের পাকা বাড়ি নির্মাণে ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
বন্ধুগণ,
আজকের বিহার সামনের দিকে এগোচ্ছে। আর এই অগ্রগতির সব চেয়ে বড় শক্তি হলেন এখানকার মা ও বোনেরা। এমন একটা সময় ছিল এঁদের কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। এমনকি কাউকে ব্যাঙ্কে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হতো না। আমরা জন ধন অ্যাকাউন্ট চালু করেছি। এর মাধ্যমে গরিব পরিবারের মহিলারা ব্যাপক ভাবে উপকৃত হয়েছেন। শুধুমাত্র বিহারেই ৩.৫ কোটি মহিলা জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। গত দেড় মাসে বিহারে ২৪ হাজারের বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গোটা দেশে এবং বিহারেও "লাখপতি দিদি"-র সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আমাদের লক্ষ্য হল, গোটা দেশে ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা। বিহারে ২ লক্ষের বেশি মহিলা "লাখপতি দিদি" হয়ে উঠেছেন। চম্পারণে ৮০ হাজারেরও বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন।
বন্ধুগণ,
বিহার একমাত্র তখনই এগোবে, যখন বিহারের তরুণরা অগ্রগতির পথে অগ্রসর হবে। আমাদের দৃঢ় সংকল্প হল, তরুণদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমৃদ্ধ বিহার গড়ে তোলা। নীতিশ জির সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ তরুণকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করেছে। তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিহার সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। মুদ্রা যোজনায় বিহারে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। চম্পারণেই ৬০ হাজার তরুণ মুদ্রা ঋণ পেয়েছেন।
বন্ধুগণ,
বিহারে সম্ভাবনা বা সম্পদের কোন ঘাটতি নেই। আমরা মাখানা পর্ষদ গড়ে তুলেছি। কৃষিজাত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের প্রায় ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আমরা শুধুমাত্র শ্লোগান বা প্রতিশ্রুতির মধ্যে নিজেদের আটকে রাখবো না, আমরা কাজ করে দেখাবো। এনডিএ সরকারের মিশন হল, অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়ন। জনমন প্রকল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁদের উন্নয়নে ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ধন-ধান্য কৃষি যোজনার মাধ্যমে দেশে কৃষিতে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। এই জেলাগুলিকে অগ্রাধিকারের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে।
বন্ধুগণ,
আজ হাজার হাজার কোটি টাকার রেল ও সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই সব প্রকল্পের মাধ্যমে বিহারের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। কংগ্রেস এবং আরজেডি গরিব, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে রাজনীতি করে এসেছে। তাঁদের সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আসুন আমরা শপথ নিই – আমরা নতুন বিহার গড়বো, এনডিএ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনবো।
পূর্ব ভারতের উত্থান সুনিশ্চিত করতে হলে, আমাদের অবশ্যই বিহারকে উন্নত রাজ্যে পরিণত করতে হবে। ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের শাসনে কেন্দ্রের কংগ্রেস এবং আরজেডি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বিহার মাত্র প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর গত ১০ বছরে এনডিএ সরকারের আমলে এই বরাদ্দ অর্থ বাড়িয়ে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে। দুই দশক আগে বিহারের মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, গত ১১ বছরে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা বিহারের গরিব মানুষের হাতে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দেশজুড়ে গরিবদের জন্য ৪ কোটির বেশি বাসগৃহ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছে বিহারে।
শুধুমাত্র বিহারের মোতিহারি জেলাতেই ৩ লক্ষ গরিব পরিবারের জন্য পাকাবাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি আজ ১২ হাজারের বেশি পরিবার তাঁদের নিজেদের পাকাবাড়িতে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। ৪০ হাজারের বেশি গরিব পরিবার নিজেদের পাকা বাড়ি নির্মাণে ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
বন্ধুগণ,
আজকের বিহার সামনের দিকে এগোচ্ছে। আর এই অগ্রগতির সব চেয়ে বড় শক্তি হলেন এখানকার মা ও বোনেরা। এমন একটা সময় ছিল এঁদের কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। এমনকি কাউকে ব্যাঙ্কে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হতো না। আমরা জন ধন অ্যাকাউন্ট চালু করেছি। এর মাধ্যমে গরিব পরিবারের মহিলারা ব্যাপক ভাবে উপকৃত হয়েছেন। শুধুমাত্র বিহারেই ৩.৫ কোটি মহিলা জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। গত দেড় মাসে বিহারে ২৪ হাজারের বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গোটা দেশে এবং বিহারেও "লাখপতি দিদি"-র সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আমাদের লক্ষ্য হল, গোটা দেশে ৩ কোটি লাখপতি দিদি তৈরি করা। বিহারে ২ লক্ষের বেশি মহিলা "লাখপতি দিদি" হয়ে উঠেছেন। চম্পারণে ৮০ হাজারেরও বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন।
বন্ধুগণ,
বিহার একমাত্র তখনই এগোবে, যখন বিহারের তরুণরা অগ্রগতির পথে অগ্রসর হবে। আমাদের দৃঢ় সংকল্প হল, তরুণদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমৃদ্ধ বিহার গড়ে তোলা। নীতিশ জির সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ তরুণকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করেছে। তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিহার সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। মুদ্রা যোজনায় বিহারে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। চম্পারণেই ৬০ হাজার তরুণ মুদ্রা ঋণ পেয়েছেন।
বন্ধুগণ,
বিহারে সম্ভাবনা বা সম্পদের কোন ঘাটতি নেই। আমরা মাখানা পর্ষদ গড়ে তুলেছি। কৃষিজাত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের প্রায় ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
আমরা শুধুমাত্র শ্লোগান বা প্রতিশ্রুতির মধ্যে নিজেদের আটকে রাখবো না, আমরা কাজ করে দেখাবো। এনডিএ সরকারের মিশন হল, অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়ন। জনমন প্রকল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁদের উন্নয়নে ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ধন-ধান্য কৃষি যোজনার মাধ্যমে দেশে কৃষিতে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। এই জেলাগুলিকে অগ্রাধিকারের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হবে।
বন্ধুগণ,
আজ হাজার হাজার কোটি টাকার রেল ও সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই সব প্রকল্পের মাধ্যমে বিহারের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। কংগ্রেস এবং আরজেডি গরিব, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে রাজনীতি করে এসেছে। তাঁদের সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আসুন আমরা শপথ নিই – আমরা নতুন বিহার গড়বো, এনডিএ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনবো।
আপনাদের সবাইকে আবার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
ভারত মাতা কি জয়!
ভারত মাতা কি জয়!
ভারত মাতা কি জয়!
আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।