PM launches Pradhan Mantri Gram Sadak Yojana (PMGSY) - III
“The next 25 years are very crucial for 130 crore Indians”
“Himachal today realizes the strength of the double-engine government which has doubled the pace of development in the state”
“A Maha Yagya of rapid development is going on in the hilly areas, in the inaccessible areas”
“Your (people’s) order is supreme for me. You are my high command”
“Such works of development take place only when the service spirit is strong”
“Only the double-engine government recognizes the power of spirituality and tourism”

ভারতমাতা কি – জয়!

ভারতমাতা কি – জয়!

অনেক বছর পরে আবারও আপনাদের মাঝে এলাম। তাই, প্রথমেই আমি চম্বার জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি। আজ আপনাদের মধ্যে আসতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। আপনাদের সঙ্গে কথা হবে আর আপনাদের আশীর্বাদও প্রার্থনা করছি।

দু’দিন আগে আমি উজ্জয়িনীর মহাকাল দর্শন করেছি। আর আজ মনিমহেশের ভূমিতে আমি এসেছি। এই ঐতিহাসিক স্থানে এলে স্বাভাবিকভাবেই আমার অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে, যখন আপনাদের সঙ্গে আমি থাকতাম আর সবচেয়ে বেশি যে খাবারের কথা মনে পড়ে, তা হ’ল রাজমা – মন্দ্রা। দারুন সুস্বাদু সেই খাবার।

চম্বা থেকে আমি অনেক ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পেয়েছি। মাস কয়েক আগেই মিঞ্জর মেলা চলাকালীন এক শিক্ষক আমাকে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠিতে চম্বার বিভিন্ন বিষয় তিনি উল্লেখ করেন। আমিও ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের মানুষের সঙ্গে সেই চিঠি ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজ চম্বা সহ হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য বিভিন্ন সড়ক উৎসর্গ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এর ফলে, এই অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

যখন আপনাদের সঙ্গে আমি থাকতাম, তখন একটি বিষয় আমি প্রায়শই উল্লেখ করতাম। এখানে একটি প্রবাদ রয়েছে, পাহাড়ের জল এবং পার্বত্য অঞ্চলের যুবশক্তি এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। আমি তখন বলতাম, এই ভাবনার পরিবর্তন দরকার। আজ সেই পুরনো ছবি বদলেছে। এখন এখানকার জল আপনারা ব্যবহার করছেন, আর উন্নয়নযাত্রায় এখানকার যুবসম্প্রদায়ও শরিক হয়েছেন। আজ যেসব প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে আপনাদের জীবনযাত্রা সহজ হবে। তাই, আপনাদের সকলকে অনেক অভিনন্দন।

ভাই ও বোনেরা,

দিন কয়েক আগে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হ’ল। উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, আজ আমরা যা অর্জন করেছি, তা আগে কখনও চিন্তাও করা যেত না। এই ধারাকে আমাদের বজায় রাখতে হবে। ভারতের আজাদি কা অমৃতকাল শুরু হয়েছে। আমরা উন্নত ভারত গড়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতেই হবে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই হিমাচল প্রদেশ গঠনের ৭৫ বছর পূর্তি। অর্থাৎ, দেশের স্বাধীনতার শততম বর্ষে হিমাচলও ১০০ বছরে পা রাখবে। আর তাই, আগামী ২৫ বছরের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত দেশবাসীর জন্য বিশেষ করে, হিমাচলের মানুষদের জন্য।

বন্ধুগণ,

আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা কি বলে? আমরা দেখেছি, সান্তাজী ও ধুমলজী এই অঞ্চলের জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সময়কালে এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ, জল এবং উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা-কর্মীরা দিল্লি যেতেন। কিন্তু, দিল্লির কেউ-ই হিমাচলের সেই দাবিগুলি সম্পর্কে কর্ণপাত করেননি। হিমাচলের ফাইলগুলি এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ঘুরপাক খেত। আর তাই, চম্বার মতো প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক উপাদানে ভরপুর অঞ্চলগুলিও উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে ছিল। ৭৫ বছর পর এই জেলাকে উচ্চাকাঙ্খী জেলা হিসাবে আমি চিহ্নিত করেছি। কারণ, এখানকার সম্ভাবনা সম্পর্কে আমার ধারণা ভালোই ছিল।

ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ তখন নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতেন। তা হলে বলুন তো, বাইরে থেকে পর্যটকরা কেন আসবেন এখানে? জয়রামজী, চম্বার একটি গানের কথা আমাদের মনে করালেন।

‘জম্মু এ দো রাহে, চম্বা কিতনা অক দূর’ – এর মধ্য দিয়েই এই অঞ্চল সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। এখানে আসার জন্য আগ্রহী মানুষ প্রচুর রয়েছেন। কিন্তু, পৌঁছনো এখানে সহজ নয়। জয়রামজী, কেরলের মেয়ে দেবিকার কথা বললেন। সে কেরলে হিমাচলী লোকগীতি গেয়ে থাকেন। এভাবেই ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। একটি মেয়ে যে কিনা হিমাচলে কখনও আসেননি, হিন্দি ভাষার সঙ্গে পরিচিত নন, তিনি সম্পূর্ণ নিষ্ঠাভরে চম্বার গান গাইছেন। এর মাধ্যমে আমরা চম্বার ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পাই। দেবিকার প্রশংসা যেভাবে চম্বার মানুষ করছেন, তার মধ্য দিয়ে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ভাবনা ছড়িয়ে পড়ছে। চম্বার মানুষদের এই মানসিকতা দেখে আমি আপ্লুত।

বন্ধুগণ,

আজ হিমাচলে ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে। রাজ্যের উন্নয়ন দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে চলেছে। যেখানে সহজে কাজ করা যেত এবং কাজ করলে বেশি রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া যেত, আগের সরকারগুলি সেখানেই কাজ করতো। ফলে, রাজ্যের দুর্গম অঞ্চলে এবং আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেত না। ফলস্বরূপ, রাস্তা, বিদ্যুৎ ও জল সংযোগ থেকে ঐ মানুষ বঞ্চিত থাকতেন। কিন্তু, ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাজের ধারাটাই অন্যরকম। মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর তাই, আমরা পার্বত্য অঞ্চল ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলির উন্নয়নে জোর দিয়েছি।

বন্ধুগণ,

আগে পার্বত্য অঞ্চলে, মাত্র কয়েক জনই রান্নার গ্যাস ব্যবহার করতে পারতেন। আমার মনে আছে, মুখ্যমন্ত্রী ধুমলজী সর্বদাই ভাবতেন, কিভাবে বৈদ্যুতিক উনুন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। তিনি নানাবিধ পরিকল্পনা করেছিলেন। আমরা সেই সমস্যাগুলির আজ সমাধান করেছি। কারণ, ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিটি বাড়িতে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পৌঁছে গেছে। একটা সময় ছিল, যখন এখানকার মানুষরা মনে করতেন, নলবাহিত জল শুধুমাত্র বড়লোকদের জন্য অথবা যাঁদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে, তাঁরাই এই সুবিধা পান। কিন্তু, আজ চম্বা, লাহুল স্পিতি এবং কিন্নরের সব মানুষ ‘হর ঘর জল’ অভিযানে নলবাহিত পানীয় জল পাচ্ছেন।

পূর্ববর্তী সরকারগুলি অজুহাত দেখাতো, এই জেলাগুলি অত্যন্ত দুর্গম, তাই এখানে উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ মহিলারা যেমন জল সরবরাহের সুবিধা পাচ্ছেন, পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানীয় জল সদ্যজাত শিশুদের জীবন রক্ষা করছে। একইভাবে, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুরা আগে সহজে টিকা পেত না। কিন্তু, আজ গ্রামগুলির স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সবধরনের টিকা মজুত রয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা দিদিরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। মাতৃ বন্দনা যোজনার মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলাদের হাজার হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।

আজ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। যাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ পাননি, বিশেষত, আমাদের মা ও বোনেরা – তাঁরা এই প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন। অসুখ কতটা জটিল কিংবা কতটা কষ্ট পেতে হচ্ছে, সেগুলি আজ আর বিবেচ্য নয়। অতীতে মা ও বোনেরা কষ্ট সহ্য করে ঘরের কাজ করে যেতেন। তাঁরা মনে করতেন, হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানো খুবই খরচসাপেক্ষ। হাসপাতালে গেলে তাঁদের সন্তানরা ঋণের বোঝায় জর্জরিত হবেন। আমার প্রিয় মা ও বোনেরা, আপনাদের এই ছেলে যদি আপনাদের কষ্ট না বোঝে – তা হলে কে বুঝবে বলুন তো। আর তাই, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এই অঞ্চলে লেখাপড়ার খুব বড় সমস্যা ছিল। দূরত্বের কারণে অনেকে মেয়ে স্কুলছুট হ’ত। আর তাই, একদিকে আমরা গ্রামের কাছাকাছি উন্নত স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলছি। অন্যদিকে, প্রত্যেক জেলায় মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।

যখন আমরা টিকাকরণ অভিযান শুরু করি, তখন হিমাচলের পর্যটন ক্ষেত্রও যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেই বিষয়টি আমি মাথায় রেখেছিলাম। তাই, হিমাচলে টিকাকরণ অভিযানকে ত্বরান্বিত করা হয়। দেশের মধ্যে প্রথম হিমাচলেই টিকাকরণ অভিযান সম্পূর্ণ হয়েছিল। অন্য রাজ্যগুলিও এই পথ অনুসরণ করে। আপনাদের মূল্যবান জীবন রক্ষার জন্য জয়রামজী ও তাঁর সরকার যেভাবে কাজ করেছেন, তা অভিনন্দনযোগ্য।

আজ প্রত্যেক গ্রামে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকার রাস্তা নির্মাণ করছে। একবার মনে করুন, ২০১৪ সালে— আজ থেকে আট বছর আগে হিমাচলের গ্রামাঞ্চলে মাত্র ৭ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ছিল। সংখ্যাটা একটু মনে রাখুন। কত কিলোমিটার বললাম? ৭ হাজার কিলোমিটার। আর তার জন্য কত ব্যয় হয়েছিল জানেন? ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কিন্তু, আমরা গত ৮ বছরে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা গ্রামাঞ্চলে নির্মাণ করেছি। এই কাজে ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। আপনাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য আমি আমার দিক থেকে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর তাই সড়ক নির্মাণে আগের সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এই প্রথমবার হিমাচল প্রদেশের শতশত গ্রাম সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে। আজ যে প্রকল্পের সূচনা হ’ল তার ফলে গ্রামাঞ্চলে ৩ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ হবে। চম্বা সহ অন্যান্য আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। ইতোমধ্যেই অটল সুড়ঙ্গের কারণে চম্বা অনেক সুবিধা পেয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে এখন সারা বছরই যোগাযোগ রাখা যায়। একইভাবে, এবারের বাজেটে ‘পর্বতমালা’ নামে যে প্রকল্পটি ঘোষিত হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনারা শুনেছেন। এই প্রকল্পে কাঙড়া, বিলাসপুর, সিরমাউর, কুলু এবং চম্বা জেলায় রোপওয়ে গড়ে তোলা হবে। এর সুফল স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি পর্যটকরাও পাবেন।

ভাই ও বোনেরা,

গত ৮ বছর ধরে আপনারা আমাকে কাজের সুযোগ দিয়েছেন। হিমাচলের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে আপনাদের সেবক হিসাবে আমি আমার জীবনে অসম্ভব আত্মতুষ্টি লাভ করি। আগে রাজনৈতিক নেতারা দিল্লি গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প এবং প্রকল্পের ছাড়পত্রের জন্য অনুরোধ করতেন। আজ হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী যখন আমার কাছে আসেন তখন তিনি আমার জন্য চম্বার রুমাল নিয়ে আসেন অথবা চম্বার বিশেষ শাল উপহার দেন। একই সঙ্গে, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সুখবরও তাঁর কাছ থেকে পাই। নতুন কোনও প্রকল্প শুরু হলে সেই খবরও তিনি আমাকে দেন।

এখন হিমাচলের মানুষদের তাঁদের অধিকারের জন্য আর ভিক্ষা চাইতে হয় না। তাঁরা দিল্লি এসে তাঁদের অধিকার দাবি করেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশগুলি জনসাধারণের কাছে আসে। কারণ, আপনারা আমার হাইকমান্ড। আপনাদের নির্দেশগুলিকে আমি সৌভাগ্য হিসাবে মনে করি। আর তাই, আপনাদের জন্য কোনও কিছু করার সুযোগ পেলে তৃপ্ত হই।

বন্ধুগণ,

পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে একদিনে এতগুলি উপহার পাওয়ার বিষয়টি কেউ কল্পনাও করতে পারতেন না। আজ দেশের পার্বত্য, দুর্গম ও জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। হিমাচলের চম্বা, পাঙ্গি, ভারমৌর, ছোটা-বড়া ভাঙ্গাল, গিরিপুর, কিন্নর এবং লাহুল-স্পিতি অঞ্চলও সেই উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে।

গত বছর উন্নয়নের নিরিখে দেশের ১০০টি উচ্চাকাঙ্খী জেলার মধ্যে চম্বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এর জন্য চম্বাকে আমার বিশেষ অভিনন্দন! যাঁদের জন্য এই অসাধ্যসাধন হয়েছে, সেই সরকারি কর্মীদেরও অভিনন্দন জানাই! দিন কয়েক আগে আমাদের সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। সিরমৌরের গিরিপুরের হাট্টি সম্প্রদায়কে আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আদিবাসী সমাজের মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নকে আমাদের সরকার কতটা অগ্রাধিকার দেয়, তা প্রতিফলিত হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

দীর্ঘদিন ধরে দিল্লি ও হিমাচল সরকার শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়েই দেশের দুর্গম অঞ্চলের কথা ভাবতো। আর আজ ডবল ইঞ্জিন সরকার দিনরাত, ২৪X৭ সবসময়েই আপনাদের সেবায় নিয়োজিত। আপনারা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে করোনা সময়কালে আমরা সবধরনের চেষ্টা চালিয়েছি।

আজ গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলি বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছে। প্রত্যেক বাড়িতে যাতে উনুন জ্বলে তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ দেখে গোটা বিশ্ব উপকৃত। সরকার কোনও দরিদ্র পরিবার যাতে অভুক্ত না থাকে, তা নিশ্চিত করেছে।

ভাই ও বোনেরা,

প্রত্যেকে যাতে সঠিক সময়ে টিকা পান, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হিমাচল সরকার এক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আর তাই, আমি অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা দিদিদের এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানাই। জয়রামজীর নেতৃত্বে আপনারা কোভিড টিকাকরণ অভিযানে হিমাচল প্রদেশকে দেশের মধ্যে প্রথম টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার রাজ্যে পরিণত করেছেন।

বন্ধুগণ,

যখন পরিষেবা প্রদান এবং সচেতনতা – এই দুটিই কোনও ব্যবস্থায় যথাযথভাবে কার্যকর হয়, তখন যে কোনও সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়িত হয়। পার্বত্য এবং জনজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে কর্মসংস্থান আরেকটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই অঞ্চলের মানুষের ক্ষমতাকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলের জল ও অরণ্য মূল্যহীন হয়ে রয়েছে। দেশে চম্বাই প্রথম জায়গা যেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

আজ যে প্রকল্পগুলির শিলান্যাস হয়েছে, তার ফলে চম্বা ও হিমাচলের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। হিমাচল প্রদেশ সহ চম্বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কোটি কোটি টাকা আয় করবে। এই অঞ্চলের যুবসম্প্রদায়ের কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। গত বছর আমার ৪টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার সৌভাগ্য হয়েছিল। দিন কয়েক আগে বিলাসপুরে জলবিদ্যুৎ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর সুফল হিমাচল প্রদেশের যুবসম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছবে।

বন্ধুগণ,

উদ্যান পালন, কুটির শিল্প ও হস্তশিল্পের জন্য এই জায়গা পরিচিত। চম্বার ফুল, চুখ, রাজমা-মান্দ্রা, হাওয়াই চটি, শাল এবং পাঙ্গির থাঙ্গি বিখ্যাত। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর জন্য সোচ্চার হওয়ার মতো বিভিন্ন উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। আমি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বোনেদের উদ্যোগকে প্রশংসা করি। এখন ‘এক জেলা, এক পণ্য’ ভাবনাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমি চাই যে, বিদেশি অতিথিদের কাছে এই জিনিসগুলি উপস্থাপিত করা হোক, যার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে হিমাচলের নাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে। হিমাচলের পণ্য সামগ্রী সম্পর্কে সকলে জানতে পারবেন।

ভাই ও বোনেরা,

ডবল ইঞ্জিন সরকার সব অঞ্চলের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে সম্মান জানায়। চম্বা সহ গোটা হিমাচল প্রদেশ আধ্যাত্মিকতা ও ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চল দেবভূমি হিসাবে পরিচিত। এখানে পবিত্র মনিমহেশ ধাম, ভারমৌরে চাউরাসি মন্দির রয়েছে। সিমলা, কিন্নৌর বা কুলু দিয়ে মনিমহেশ যাত্রা বা শ্রীখন্ড মহাদেব যাত্রার ব্যবস্থা করা হয়। ভোলানাথের ভক্তদের জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জয়রামজী একটু আগেই বলছিলেন, কুলুতে আন্তর্জাতিক দশেরা উৎসবে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। একইভাবে, আজ মিঞ্জোর মেলায় যোগদানেরও সুযোগ আমি পেয়েছি।

একদিকে আমাদের যেমন ঐতিহ্যশালী পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে আবার ডালহৌসি ও খাজ্জিয়ারের মতো পর্যটন স্থলও আছে। এই জায়গাগুলি হিমাচলকে উন্নত করে তুলবে। ডবল ইঞ্জিন সরকারই এই ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়। আর তাই, আজ হিমাচল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পুরনো ঐতিহ্যের পরিবর্তে নতুন রীতি-নীতি গড়ে তুলবে।

বন্ধুগণ,

যখন আমি এই মাঠে পৌঁছলাম, তখন আমি চারদিক দেখছিলাম। হিমাচলের প্রতিটি রাস্তা ও জনপদের সঙ্গে আমি পরিচিত। এত বড় একটি সমাবেশের আয়োজন করা খুবই কঠিন কাজ। তাই, বিপুল জনসমাগম দেখে আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, সারা রাজ্য থেকেই কি লোক এসেছেন এখানে। তিনি জবাব দেন, “না, শুধুমাত্র চম্বা জেলার লোকেরাই এখানে এসেছেন।

বন্ধুগণ,

এটি একটি সমাবেশ নয়, আমি এখান থেকে হিমাচলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আমি আপনাদের আতিথেয়তার ভক্ত। আপনাদের সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের জন্য সবধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দিতে আমি এখানে এসেছি। কথা দিলাম, সবসময়েই আপনাদের সঙ্গে থাকবো। এই বিরাট সমাবেশ আয়োজন করার জন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাই। এখানে একটি উৎসব হচ্ছে। এই উৎসবের মধ্যেও আমাদের মা-বোনেদের বাড়ি ফেরা যথেষ্ট কষ্ট সাধ্য। তা সত্ত্বেও অনেক মা ও বোনেরা এখানে এসেছেন আমাকে আশীর্বাদ করতে। তাই, আপনাদের থেকে আর বেশি কিছু চাইবো না।

আরও একবার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাই। এখন তো হিমাচল দিল্লি যাওয়ার জন্য বন্দে ভারত ট্রেনও পেল। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

দু’হাত তুলে আমার সঙ্গে জোর গলায় বলুন –

ভারতমাতা কি জয়!

ভারতমাতা কি জয়!

ভারতমাতা কি জয়!

ভারতমাতা কি জয়!

Explore More
শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ

জনপ্রিয় ভাষণ

শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের ধ্বজারোহণ উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ
'Wed in India’ Initiative Fuels The Rise Of NRI And Expat Destination Weddings In India

Media Coverage

'Wed in India’ Initiative Fuels The Rise Of NRI And Expat Destination Weddings In India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister Congratulates Indian Squash Team on World Cup Victory
December 15, 2025

Prime Minister Shri Narendra Modi today congratulated the Indian Squash Team for creating history by winning their first‑ever World Cup title at the SDAT Squash World Cup 2025.

Shri Modi lauded the exceptional performance of Joshna Chinnappa, Abhay Singh, Velavan Senthil Kumar and Anahat Singh, noting that their dedication, discipline and determination have brought immense pride to the nation. He said that this landmark achievement reflects the growing strength of Indian sports on the global stage.

The Prime Minister added that this victory will inspire countless young athletes across the country and further boost the popularity of squash among India’s youth.

Shri Modi in a post on X said:

“Congratulations to the Indian Squash Team for creating history and winning their first-ever World Cup title at SDAT Squash World Cup 2025!

Joshna Chinnappa, Abhay Singh, Velavan Senthil Kumar and Anahat Singh have displayed tremendous dedication and determination. Their success has made the entire nation proud. This win will also boost the popularity of squash among our youth.

@joshnachinappa

@abhaysinghk98

@Anahat_Singh13”